দেশে বিদেশেঃ পাবলিক বাস

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০১২ - ১০:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে বাস ড্রাইভার (এবং ট্রাক ড্রাইভার) কে ডাকা হয় ওস্তাদ। ওস্তাদ অর্থাৎ দক্ষ, সুনিপুন, পটু। কোন একটি বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী। চলাচলের প্রায় অনুপযুক্ত কিছু যানবাহন নিয়ে ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টনের রাস্তায় এরা যে ধুন্দুমার কান্ড লাগিয়ে দেয় এতে তাদের ওস্তাদ না ডেকে উপায় নেই।

ঢাকায় বাসের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়ি ভার্সিটিতে ওঠার পর। উত্তরায় থাকি তখন, প্রতিদিন বাস ধরে ঢাবি আসতে হয়। গাজীপুর রুটের লাল বাসের নাম ছিল ক্ষণিকা। খুব সুন্দর নাম ঢাবির বাসগুলির, মিরপুর রুটে চলতো দুইটি বাস নাম ছিল বৈশাখী আর চৈতালি। যাইহোক ঐ ক্ষণিকা সকাল ৮টা থেকে ১০টা প্রতি ঘন্টায় একটি ট্রিপ মারতো। আমার এক বন্ধু গাজীপুর থেকে উঠতো, তারপরেই ঘুম। প্রতিদিন উত্তরা স্টপে উঠে দেখতাম সে ঘুমাচ্ছে। একবারে নিখুঁত প্রোগ্রাম করা ঘুম, আশপাশের হাউকাউ বাসের দুলুনি ঝাঁকুনি হর্নের প্যাঁপোঁ কিছুতেই তার ঘুম ভাঙত না, কিন্তু ঠিক আর্ট কলেজের সামনে স্পীডব্রেকারে বাস হালকা দুলে উঠার সাথে সাথে তার চোখ খুলে যেত।

লাল বাসের ড্রাইভারকে ডাকা হত মামা। সে এক অসম্ভব ভাগ্যবান মামা, নিয়ম ছিল বাসের সামনের আদ্ধেক মেয়ে পিছনের আদ্ধেক ছেলে বসবে। আমি পিছন থেকে দেখতাম মামাকে দেখা যাচ্ছে, কয় স্টপ পর পর মেয়েরা উঠছে আর পুরো মামা দেখা যাচ্ছেনা, খালি মাথাটা। একটু পরে মেয়েরা মামার সীট ধরে দাঁড়িয়ে গেলে মাথাটাও অদৃশ্য, খালি বাসটা চলছে দেখে বুঝা যেত চালক বলে কেউ আছে। বাসের ছিল একটি হেলপার, সেও মামা। সেই মামা নম্বর দুইয়ের কাজ ছিল দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, আর বনানী স্টপ আসতে আসতে মামার সাথে দরজা শেয়ার করতো একটি বা দুটি মেয়ে। শোনা যায় জার্মানীতে বাসে একবার আইন্সটাইন বসে ছিলেন আর একটি সুন্দরী হঠাত ঝাঁকুনিতে তার কোলে গিয়ে পড়ে আর ভারি লজ্জিত হয়ে বারবার বলতে থাকে সরি সরি। আইন্সটাইন মৃদু হেসে উত্তর দে, দ্য প্লেজার ইজ অল মাইন। সেরকম সকল প্লেজার বুকে ধারন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মামারা পথ পাড়ি দিতেন। সেই মামারা মজার মজার কান্ডও ঘটাতেন, একবার প্রাইম মিনিস্টার আসছে বলে রাস্তা আটকে দেয়া হয়, সবার সামনে ছিল বৈশাখী বাস। মামা ঘাড় বের করে চিৎকার করে ট্রাফিক পুলিশের উদ্দেশে বলেন, এই যে ভিতরে দেখতেসেন এরা পত্তেকে একেকটা প্রাইম মিনিস্টার। এদের কেলাস আসে, পরীক্ষা আসে। বলে একটানে বাস ছুটিয়ে দিলেন।

তখন মাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ঢাকায় নেমেছে। প্রিমিয়াম বাস। সকল বাস শাহবাগ পিজি হাসপাতালের সামনে থামায় এরা থামানো শুরু করলো শেরাটনের সামনে। উত্তরা টু শেরাটন পনেরো টাকা, চড়ে নিজেকে বেশ দামী লোক মনে হত। ছোট ছোট টাটা বাস, অটোমেটিক দরজা আপনি খুলে যায়। ভাবতাম নাহ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঐ প্রিমিয়াম বাসে চড়ে ঢাকার মানুষ সম্ভবত প্রথম লাইন করে বাসে ওঠা শিখে, তার আগে জোর যার বাস তার অবস্থা। পরে আরো একটি ল্যাভিশ বাস রাস্তায় নামে, নাম ছিল নিরাপদ। সম্ভবত কোরিয়ান বাস, খুবই প্রশস্ত। এতই এসি ছিল যে মাঝে মাঝে উঠে ঠান্ডা লাগতো। এই প্রিমিয়াম নিরাপদ বাসের ড্রাইভারেরা অন্যান্য সাধারন ওস্তাদের মতন লুঙ্গী এবং আধখোলা শার্ট পরে গাড়ি চালাতোনা, বাস চলতোও বেশ নিরাপদভাবে। তারা স্টপ ছাড়া কখনোই দরজা খুলতোনা, তখনকার হিসেবে বেশ রেভল্যুশনারী ব্যাপার।

মাঝে গ্রীন লাইন বলে একটা বাস নেমেছিল। উত্তরা টু মতিঝিল। সবুজ রঙের মাঝারী সাইজের বাস। ঐ লাইনের প্রত্যেকটি ড্রাইভার ছিল ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন। মহাখালী ফার্মগেটের গোলকধাঁধার ভেতর তারা যেমন সাঁই সাঁই করে গাড়ী বাস কাটিয়ে যেত তেমনটা আমি এনএফএসেও করিনি। কেউ যদি আমাকে ক্যাম্পাস থেকে ফোন দিয়ে বলতো কতক্ষন লাগবে আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম গ্রীন লাইন পেলে পঁয়ত্রিশ চল্লিশ মিনিট আর না পেলে এক ঘন্টা। সেই লিজেন্ডারি সার্ভিস আর আছে কিনা কে যানে।

উত্তরা থেকে মালিবাগ হয়ে মতিঝিল রুটে একটি বাস নামে আবাবিল। দুদিন পরে একই রুটে ছাড়ে আরেকটি বাস, নাম ছালছাবিল। তারপরে আরেকটি, অনাবিল। যেন কোন পিতা তার শিশুদের নামকরন করছেন। প্রতিটি আলাদা আলাদা মালিক বলেই জানতাম, মিলিয়ে মিলিয়ে নাম রাখার হিড়িক পড়েছিল কেন কে জানে। যাই হোক, তখন বাস বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা যে কেউ আর আগেভাগে টিকেট কাটতো না, বরং পয়সা হাতে অপেক্ষা করতো। বাসস্টপগুলোয় বড় ছাতা টানিয়ে একটি টেবিল চেয়ার নিয়ে বসে থাকতো টিকেটম্যান, কোন একটি বাস আসলেই সেই বাসের কাউন্টার (অর্থাৎ টেবিল চেয়ার) থেকে সবাই টিকেট কিনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। পার্ফেক্ট কম্পিটিশান।

এছাড়া আছে লোকাল বাস। এক নম্বর দুই নম্বর তিন নম্বর ছয় নম্বর ইত্যাদি। খাঁটি লক্কড় ঝক্কড় বাস, কখনো কাঁচ নেই তো কখনো দরজা ঠিক লাগে না। কালো রঙটির ডেফিনিশন হতে পারে ঐ বাসের ধোঁয়া, এছাড়া ড্রাইভারের ঠিক পাশের উঁচু জায়গা যেখানে লোকে বসার একটি সিট বিছিয়ে দেয়া হয় সেটি কোন কারনে ভয়ংকর গরম হয়ে থাকতো এই বাসগুলোয়। কিন্তু সুবিধা ছিল এই বাসগুলির ভাড়া, অসম্ভব স্বল্প ভাড়ায় বহুদূর যাওয়া যায় এই বাসগুলোয়। খেয়াল করলে দেখবেন এই বাসগুলো কখনোই পুরোপুরি থামেনা, হাল্কা গতি কমায় স্টপ আসলে আর ঐ অবস্থাতেই চটপট ওঠা নামা করতে হয়। বাসের হেল্পার নামার সময় চিৎকার দেয় বাম পাও বাম পাও, ডান পা আগে দিলে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা। টাফ লাভ।

মাঝে কিছুদিন বিআরটিসির বেগুনী বাস নেমেছিল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় কিন্তু ভদ্রগোছের। ভাড়াও মাঝামাঝি। টাটা বাস, মাথার উপর ছাদে তিনটে স্পিকার। ঐ দিয়ে তারা গান ছেড়ে রাখতো দূরপাল্লার বাসের মত। একবার আমি সেই বাসে বাসায় ফিরছি, উপরে গান শুরু হল, আমি ন্যাংটা ছিলাম ভালো ছিলাম। আমার সামনে দুই দাড়িওয়ালা, একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করে, “আমি কি ছিলাম?” “ন্যাংটা ছিলেন ন্যাংটা”। প্রশ্নকর্তা অবাক হয়ে বলেন, এইটা আবার ক্যামন গান!

দূরপাল্লার বাস অন্য জিনিষ। আমি আন্তঃশহর জার্নি করতাম সাধারনত রাতে, একটা দিন বাঁচে। ঢাকা চিটাগং রুটে এস আলম বলে একটা লাইন ছিল, ঐ বাসের ড্রাইভারেরা রাস্তার মাঝে সাদা দাগটাকে ডিভাইডার মনেই করতোনা। পুরো রাস্তাটাই তার, চার লেনের রাস্তায় পাশাপাশি যাচ্ছে একটি ট্রাক আর একটি মিনিবাস, অতএব ঐ দুটোকে কাটাতে অপর লেনে উঠে ওভারটেক করা হত। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশের ঘাসেও বাস উঠিয়ে দিত এরা। পুরো রাস্তা বাস উড়তো, তাই ভয়ে বাসে উঠেই দিতাম ঘুম। মাঝে হঠাত ঘুম ভেঙে গেলে চোখ মেলতেই দেখতাম আশপাশের ঘরবাড়ী জমি পর্বত সাইকেল হুন্ডা ট্রাক মানুষ গরু সব অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে পিছনে ফেলে প্রায় আলোর গতিতে চলেছে এস আলম। দুম করে আবার চোখ বন্ধ করে ঘুম দিতাম। মরলে না বুঝে মরাই উত্তম।

উত্তর আমেরিকায় বাস ড্রাইভারেরা ওস্তাদ নন, তারা গুলশানের অফিসার। টাই পরনে, চারটে কথা জিজ্ঞেস করলে একটার উত্তর দেয়। হেলপার নেই, ড্রাইভারের পাশে আমাদের মসজিদের দানবাক্সের মতন একটা ছিদ্রওয়ালা বাক্স, ওইখানে কয়েন ফেলতে হয়। গুলশানের অফিসারটি কিন্তু টাকা ভাঙ্গিয়ে দেবেনা, কয়েন না থাকলে বাড়ি যাও মুড়ি খাও। তার কাজ বাস চালানো, এবং ঐ করে তারা যেকোন বড় অফিসারের সমান বেতন পায়। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা চ্যাটারবক্স ড্রাইভার মেলে বটে, কিন্তু অধিকাংশই মুখ গুলশানের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গোমড়ামুখো ক্যাশিয়ারের মতন করে রাখে। এরা ইউনিয়ন ওয়ার্কার, ঠিক বাংলাদেশের সরকারী পিয়নটির মতন তার চাকরির ভয় নেই। আপনি কিসসুটি করতে পারবেননা ওদের।

অটোয়াতে যখন ছিলাম তখন বাসের জন্যে আলাদা রাস্তা দেখে ভারি অবাক হয়েছিলাম। জী হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, আলাদা লেন নয় একেবারে আলাদা রাস্তা। ঐ রাস্তায় অন্য গাড়ি চলার হুকুম নেই। আমি ঢাকা শহরের তিন নম্বর বাস কি ক্ষণিকায় চড়া মানুষ, হ্যান্ডেলে হাত ধরার জায়গা পেতামনা। সেইখানে এমন এক শহর যেখানে মানুষই নাই বলে বাসের জন্য আলাদা রাস্তা বানিয়ে রেখেছে। শালার ফাউল।

অবশ্য টরন্টো শহর ওইরকম নয়। এটি নিউ ইয়র্কের ছোট ভাইয়ের মতন, বাসভর্তি মানুষ ২৪ ঘন্টা বাস সার্ভিস বিভিন্ন রকম টাউট বাটপারে শহর ভরা। বাসে উঠে আইপড কানে দিয়ে সুখে নিদ্রা দেয়া সবসময় নিরাপদ নয়। দুম করে রাত একটায় কিছু কিছু এলাকায় বাস থেকে নেমে পড়া উচিৎ নয়। ডাউনটাউনে প্রবল শীতেও ভিখারীর দল চেঞ্জ চেঞ্জ করে চেঁচায়। ঠিক যেন ঢাকা শহর, চোখ খোলা রেখে পথ চলতে হয় চিন্তা করে রাতে রাস্তায় নামতে হয়। ভারি আরাম। এই পরিবেশেই আমার বেড়ে ওঠা, পঞ্চইন্দ্রিয় সজাগ রেখে পথ চলা। টরন্টো তাই আমার কাছে ঢাকা শহরের মতই প্রিয়।

যাইহোক, বাস নিয়ে গল্প করছিলাম। দূরপাল্লার বাসে পুরো উত্তর আমেরিকায় মনোপলি একটি কোম্পানীর, গ্রেহাউন্ড। ছাই কুত্তা। অতি অখাদ্য সার্ভিস, এমনকি আমাদের ঢাকা বান্দরবান রুটের ডলফিন বাসেও সিট বুক করা যায়। এইখানে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ, যে যার ইচ্ছেমত বসে। ফলে একটি গ্রুপ একসাথে বসাটা কঠিন হয়ে পড়ে। যন্ত্রনা। তবে কোস্ট টু কোস্ট আপনি ঘুরতে পারবেন এই বাসে, ক্যানাডার এক মাথা থেকে আরেক মাথা যেতে ছয় সাতদিন লাগার কথা। পাগল নাকি, ভাবছেন আপনি। আজ্ঞে না পাগল নই। দাম লাগে অনেক কম। আর রাস্তা ঘাটের সিনসিনারিও দেখা যায় হালকা পাতলা। সাথে চিপা সিটে বসার জন্য পাছাব্যথা ফ্রী। ক্যানাডার রাস্তাঘাট অতি মনোহর, একটি রোমান্টিক মন থাকলে বাসযাত্রা করাই যায়। আমি রোমান্টিক বানানই জানিনা তাই ঐ জার্নি করা হয়ে উঠেনি।

একবার আমি গ্রেহাউন্ডে করে কোথাও রাতে যাবো। সকালবেলা খবর এল ম্যানিটোবায় এক গ্রেহাউন্ড বাসে এক লোক তার পাশের প্যাসেঞ্জারের মাথা ছুরি দিয়ে কেটে আলাদা করেছে। তারপরে ঐ মাথা হাতে নিয়ে সে বাসেই বসে ছিল যখন অন্য প্যাসেঞ্জারেরা জানলা ভেঙে দৌড়। সাইকোপ্যাথ টাইপ কিছু। যাই হোক, ওইদিন রাত্রে আমি গ্রেহাউন্ডে চড়লাম। সাধারনত মোকামে পৌঁছে গেলে ড্রাইভারেরা স্পীকারে আওয়াজ দেয়, হে ভাইয়েরা উঠুন, চলে এসেছি ইস্টিশান। ওইদিন ভোরে গ্রেহাউন্ড যখন মোকামে পৌঁছালো তখন ড্রাইভার অতি গুরগম্ভীর কন্ঠে বললেন, ওকে উই হ্যাভ রিচড আওয়ার ডেস্টিনেশান সেফ অ্যান্ড সাউন্ড। আই কাউন্টেড, নোবডি লস্ট দেয়ার হেড।

সদ্য ঘুম ভাঙা আমরা বাসের সকল যাত্রী আকাশ ফাটিয়ে হেসে দিলাম।


মন্তব্য

কালো কাক এর ছবি

ঢাকা ভার্সিটির বাসগুলো দেখলে ভয় লাগতো, এই বুঝি উলটে যায় !
পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে লোকাল বাসে সিট পাওয়া যায় মাঝেমধ্যেই, কিন্তু কাউন্টার সার্ভিসগুলোয় দ্বিতীয় স্টপেজের পর আর সিট পাওয়ার কোন আশা নাই। আর এখন বিআরটিসির নতুন এসি/ননএসি বাসগুলা বেশ আরামদায়ক, চালক দক্ষ, চালুর পর কিছুদিন ভাল মানের গানবাজনাও হতো। এক বছরের মাথায় অবশ্য অটো দরজা প্রায় নষ্ট, গান বন্ধ, বেশিরভাগের সাম্নের ভাঙ্গা কাঁচ নিয়ে প্রায় লোকাল বাসের চেহারা ধরে ফেলেছে। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

কাউন্টার সার্ভিসগুলোয় দ্বিতীয় স্টপেজের পর আর সিট পাওয়ার কোন আশা নাই।

ঠিক। আমাদের উত্তরা রুটে একটি হতভাগ্য স্টপেজ ছিল খিলক্ষেত, মেলা যাত্রী থাকতো কিন্তু সিট দূরে থাক তারা বাসে জায়গাই পেতনা।

..................................................................
#Banshibir.

পৃথ্বী এর ছবি

ভাল লাগল।

টরন্টো শহরও কি ঢাকার মত নাকি? আমার যে কারণেই হোক, একটা ধারণা হয়েছিল যে কানাডার সব শহরই শতভাগ নিরাপদ। হতে পারে আমেরিকান শোগুলোতে কানাডিয়ানদের স্টেরিওটাইপিং থেকে এ ধারণা জন্মেছে।

সত্যপীর এর ছবি

ঢাকার মতন নয় পুরোটা, কিছু কিছু এলাকা। ঢাকায় রাত তিনটায় যেখানেই হাঁটুন নট রেকমেন্ডেড, এখানেও কিছু কিছু জায়গা ওরকম। জেইন অ্যান্ড ফিঞ্চ বলে একটা এলাকা আছে, ওইখানে পিজ্জা ডেলিভারি দেয়া হয়না সন্ত্রাসী এলাকা বলে। রাত তিনটা কেন দুপুর তিনটায় হাঁটলেও ফাউল পাবলিক পিছু নেবার সম্ভাবনা। এই আর কি।

..................................................................
#Banshibir.

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

৩৫ বছর অটোয়ায় কটিয়ে সন্তানের টানে সম্প্রতিই মিসিসাওগায় চলে এসেছেন, আমার বড় বোন। গত সপ্তায় দোকান থেকে একটা ল্যাপটপ কিনে গাড়ীর পিছনের সিটে রেখে পাশের আরেকটি দোকানে ঢুকেছেন। এরই মধ্যে গাড়ীর পিছনের কাঁচ ভেঙ্গে ল্যাপটপ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল দুটি লোক।

সত্যপীর এর ছবি

একই ঘটনা ঘটেছে আমার এক বন্ধুর, সাস্কাটুনে। কাঁচ ভেঙে তারা জিপিএস নিয়ে দৌড়!

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
জটিল লাগছে আপনার দেশে বিদেশে সিরিজ।

সত্যপীর এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। আপনের দুই বান্দরের মতন আমিও ভেটকি দিয়া হাসলাম।

..................................................................
#Banshibir.

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ, গ্রে হাউন্ডের সেই কাহিনীর পর পরই আরেকটা কী জানি কাহিনী হয়। তখন আমগো কিছু ছোট-ভাইবোন গ্রে হাউন্ডে ক্যালগেরি-সাস্কাটুন-এডমন্টন করতো। গ্রে হাউন্ড মাগনা দিলেও কেউ তাতে চড়তো না। এইদেশে বাসে কোন চার্ম নাই। ইস্ট-ওয়েস্ট বাসে করার চেয়ে হাইট্যা আসা ভালো। মাঝখানে পুরাই বিরক্তিকর। তবে পয়সা হইলে একবার ট্রেনে চড়ুম। এইটাতে চড়ার বড়ই শখ হাসি

এখন দেশে বাসে চড়া মানে জান হাতে নিয়ে চলা। গত সপ্তাহে মা ঢাকা থেকে নরসিংদি গেলেন। এসে বল্লেন, "বাবা, তোরা বিদেশে বেঁচে থাক। রেকলেস ড্রাইভিং আর মঙ্গলের উপর রাস্তায় চলার ফিলিং- প্রতি মোমেন্টে মনে হয় এই বুঝি গেলাম!" মন খারাপ

ঢাকায় রিক্সা আমার প্রিয় বাহন। হাসি বাস সার্ভিস কিছুদিন বেশ ভাল ছিল। এখন ত শুনি খুব জ্যাম।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সত্যপীর এর ছবি

ও মা গো (ইংরেজীতে যাকে বলে ও এম জি), এই ট্রেনে চড়ার শখ? দুইবার দেশ ঘুইরা আসা যায় এইটার পয়সায়...এই জীবনে হইবো নাহ।

..................................................................
#Banshibir.

নন্দিতা  এর ছবি

নীল লোহিতের বই থেকে জেনেছি আম্রিকা একসময় সমস্ত রেলপথ উপড়ে দেয় ঐ গ্রেহাউন্ড চালানোর জন্যে। সেসব জায়গায নাকি রেল সার্ভিস তুলে দেয়া হয় গ্রেহাউন্ডরে যায়েজ করতে ! বাংলাদেশে ও গ্রেহাউন্ড বলি আর নাবিল, বাবাবিল, আবাবিল বলি তাদের হাতেই আমরা সাধারনেরা বন্দী। ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কটা আপনি যেমন বলেছেন তেমনটাই আছে। আরো অনেক গুলো নতুন সার্ভিস যোগ হয়ে য্যাম, এ্যাকসিডেন্টের মাত্রা বেড়েছে - এই যা ! আর ট্রেনের টিকিটের টিকিটা আপনি কখনোই কাউন্টার থেকে পাবেননা, কিন্তু কালোদের সাথে যোগাযোগ নৈপুন্যে ট্রেনে ছাড়ার আগমুহুর্তে ও সেটা আপনার হাতের নাগালে থাকবে। অবশ্য তার জন্যে দ্বিগুনের বেশী টাকা আপনাকে খোয়াতে হবে। কি আর করা ,জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কথা !

যাইহোক, আমিতো বর্ণনার নৈপুণ্যে মুগ্ধ........! একখানে দারুণ হাসছি একা একা হো হো হো

সত্যপীর এর ছবি

ট্রেন বেশি চড়া হয়নাই, দেশেও এখানেও। ট্রেন নিয়ে একটা পোস্ট দেননা।

..................................................................
#Banshibir.

উদ্ভট রাকিব এর ছবি

"আমি কি ছিলাম?"---- চিন্তিত গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আহা বৈশাখী !

সত্যপীর এর ছবি

বুকে আসেন কোলাকুলি

..................................................................
#Banshibir.

হাসান এর ছবি

সে কী! আপনি টরন্টোতে থাকেন না কি? ছোটো হয়ে আসছে পৃথিবী!
পাবলিক ট্রানসিট আমার বড়ো প্রিয়। কতো রকমের মানুষ যে দেখা যায়!

সত্যপীর এর ছবি

মিসিসাগায় থাকি, টরন্টোর থাকতাম আগে। ভারি চমৎকার শহর।

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

গ্রেহাউন্ড অতি অখাদ্য জিনিস। তবে আমেরিকাতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে অন্য কোনো বাসলাইন সার্ভিস দেয় না, সেখানে যেতে গেলে গ্রেহাউন্ড ধরতেই হয়। এদের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার, সিট রিজার্ভের কথা তো ছেড়েই দিলাম, আপনি টিকিট কাটলেও বাসে উঠতে পারবেন এমন কোনো গ্যারান্টি নেই, ওভারবুকড হয়ে থাকলে বাসের জন্য লাইনে যারা সামনে থাকবে তারাই কেবল উঠতে পারবে। আপনাকে পরের দিনের বাসও ধরতে হতে পারে।

বস্টনের বাসে স্মার্টকার্ডে টাকা ভরে ড্রাইভারের পাশের যন্ত্রে ঠেকিয়ে উঠে পড়া যায়, পয়সা-টাকার হ্যাপা নেই। ভার্জিনিয়ার এক ছোট্ট টাউনে দেখেছিলাম ড্রাইভারের পাশের শিশিতে কোয়ার্টার ফেলার ব্যবস্থা। টিকিটের কোনো বালাই নেই। আসলে এত ছোট্ট শহর, ড্রাইভার সবার চেনা, সবাই ড্রাইভারের চেনা। উঠলেই দারুণ গল্পসল্প-পরনিন্দা-পরচর্চা শুরু হয়ে যায়। দেঁতো হাসি

কলকাতার বাসের অবস্থা কী আর বলি। বাংলাদেশে বাসে চড়ার গল্প একটুখানি বলেছিলাম বরং খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

বস্টনের কার্ড সিস্টেম এইখানেও চালু করার কথা শুনছি, এখনও পুরো চালু হয়নি। দেখা যাক।

আপনার ঢাকার বাসের গল্প পড়েছিলাম আগেই। কোলকাতার বাসের বর্ণনা বইয়ে পড়া, লিখুন না কিছু আবার।

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

নিউইয়র্কের কার্ডগুলো ক্রেডিট কার্ডের মত, সোয়াইপ করতে হয়। অফিসটাইমে হাজার হাজার যাত্রীর ভিড়ের মধ্যে কী ভাবে সবচেয়ে কম সময়ে স্মুথ ভাবে হাতটাকে ধরে সোয়াইপ করে বেরিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে টিউটোরিয়ালও আছে দেঁতো হাসি

লন্ডনের অয়স্টারকার্ডের সিস্টেমও বস্টনের মত, ট্যাপ করলেই হয়ে যায়। এগুলোর একটা সমস্যা, রেডিও ফ্রিকোয়ান্সি রিডার যন্ত্র নিয়ে কেউ বাসে উঠলে সে আপনার কার্ড পড়ে টাকার পরিমাণ বদলে দিতে পারবে, অর্থাৎ একটা চুরির পদ্ধতি হতে পারে এটা। এমআইটি'র ছাত্ররা একটা প্রোজেক্টে এটার প্রোটোটাইপ প্রদর্শন করেছিল। বস্টনের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম কোথায় তাদের পরামর্শ নেবে এইটা আরো সুরক্ষিত করার জন্য, তার বদলে এরা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার করাতে যায় যাতে প্রোজেক্টটা প্রেজেন্টেশন না হয়, তাদের ভয় ছিল শুনে কেউ চুরি করে নেবে। তারপর বহু সমালোচনার মুখে পড়ে তারা ক্ষমাটমা চায়।

সত্যপীর এর ছবি

লন্ডনে সাবওয়েতে অয়েস্টার ব্যবহার করে ব্যাপক ভয় পেয়েছিলাম, ঢুকার সময় একবার আর বের হবার সময় আবার সোয়াইপ করতে হয় আর দূরত্ব অনুযায়ী টাকা কাটে, এই অদ্ভুত অরাজক ব্যবস্থা কোথাও দেখি নাই। সাধারনত আমি এক স্টপ যাই আর দশ স্টপ যাই ভাড়া একই কাটে দেশে দেশে সাবওয়েতে। আমার মত কিপ্টেদের জন্য লন্ডন নয়।

..................................................................
#Banshibir.

যাযাবর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো চলুক

সত্যপীর এর ছবি

আগেরবার ইটা রাইখা গেসিলেন পায়ে বিরাট ব্যথা পাইসিলাম। এইবার আপনের থাম্বস আপে মন্টা শান্ত অইলো। চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

একেবারেই প্রাঞ্জল বর্ণনা। চমৎকার পীরসাহেব। খুবই মজা পেলাম।
আপনার মোগলদের আরও লুঙ্গি খোলা দেখতে চাই। দেঁতো হাসি

অতীত

সত্যপীর এর ছবি

ছিঃ ছিঃ মোগলদের লুঙ্গী খুলবো কেন? কি যে বলেন হাসি

..................................................................
#Banshibir.

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

দারুন লাগল লেখা ।
এত মজা করে লেখেন আপনি যে একটানে পড়ে ফেলি ।

ইতিহাসের মাঝে মাঝে এই দেশ-বিদেশ সিরিজটা খুবই ভাল ।
চালিয়ে যান দাদা । হাততালি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সত্যপীর এর ছবি

অতি ধইন্যবাদ। ভালো লাগা দিয়ে কথা।

..................................................................
#Banshibir.

অনিন্দ্য সৈকত এর ছবি

ঐতিহাসিক অনুবাদ ছাড়াও স্মৃতিচারণ টাইপ লেখাগুলোতেও আপনার লেখার হাত ঈর্ষণীয়। আমি একবার টানা ২২ ঘন্টা গ্রেহাউন্ডে বসে থাকার পর কান ধরেছিলাম যে এই বাসে আর না। আগে সুনীলের বই-টই পড়ে ধারণা হয়েছিল গ্রেহাউন্ড বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বাস। সেই ধারণা ভেঙে গেছে। আমার খুব ইচ্ছা আছে একবার অ্যামট্রাকে চড়ে কানাডিয়ান রকিস ট্যুরে যাব।

সত্যপীর এর ছবি

গ্রেহাউন্ড একটা ছাতার বাস। অ্যামট্র্যাকে চড়ে রকিস যাওয়ার বুদ্ধিটা ভালোই, তবে মেলা খরচের ব্যাপার শুনেছি।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ব্যাপক, প্রোডাক্টিভ মুডে আসেন বস। একটার পর একটা লেখা নামাইতেছেন। হিংসা হয়।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

এই আর কি লইজ্জা লাগে । হাবিজাবি অনুবাদ আর আজাইরা বকরবকর তো তাই লিখতে তেমন টাইম লাগে নাহ। আছেন ভালো?

..................................................................
#Banshibir.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

“আমি কি ছিলাম?” “ন্যাংটা ছিলেন ন্যাংটা”।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

লেখায় (গুড়)

সত্যপীর এর ছবি

হেঃ হেঃ হেঃ

..................................................................
#Banshibir.

কোয়াসিমোডো এর ছবি

"ওকে উই হ্যাভ রিচড আওয়ার ডেস্টিনেশান সেফ অ্যান্ড সাউন্ড। আই কাউন্টেড, নোবডি লস্ট দেয়ার হেড।"
ড্রাইভার মামু তো ব্যাফক! হো হো হো

সত্যপীর এর ছবি

হ, মামু জিন্দাবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

অন্যকেউ এর ছবি

এই যে উইড়া উইড়া লেখা ছাড়তাছেন, ভাবি কী জালে আটকাইবো!

লেখা ঢাকা-চট্টলা হানিফ বাসের মতো দ্রুতগামী। খুবই মজা পালাম পইড়া। হাসি

এসআলমের সেই স্বর্ণময় দিনে এখন হানিফ বাস ভাগ বসাইছে। ঢাকা-চট্টলা রাউটে এরা স্বল্প খরচে প্লেনে চড়ার অনুভূতি দেয়, তবে যতক্ষণ যানজট না থাকে আরকি। হাইওয়েতে এখন যানজট খুবই সাধারণ ঘটনায় দাঁড়াইছে।

পীরের দরবারে হাদিয়া হিসাবে (গুড়) দিয়া গ্লাম।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সত্যপীর এর ছবি

আহা কি গানটাই না দিলেন। আসেন বুখে আসেন।

..................................................................
#Banshibir.

rabbani এর ছবি

গ্রে হাউন্ডে চড়েছি কয়েকবার - ওয়াটারলু খেকে টরন্টো, ছোট ট্রিপ, খারাপ লাগেনি।একবার তো বউ, বাচ্চা (৩ মাসের ) নিয়ে অটোয়া চলে গেসিলাম হাসি পিচ্চি একটু কেঁদেছিল, তবে লোকজন ভদ্র ছিল!
সিয়াটলের বাস ভালই লাগে - জাস্ট ওয়ালেট (ইউনিভারসিটির আইডি কার্ডসহ) ট্যাপ করলেই হয়ে যায় - এ পর্যন্ত টাকা খোয়া যায়নি

সত্যপীর এর ছবি

ওয়াটারলু থেকে টরন্টো তো বাসে উঠেই নেমে যাওয়ার কথা হেহে। অটোয়া টরন্টো বাসে ইদানিং ওয়াইফাই দেয় শুনেছি।

..................................................................
#Banshibir.

সাম্য এর ছবি

ওয়াটারলু থেকে টরন্টো তো বাসে উঠেই নেমে যাওয়ার কথা হেহে

অ্যাঁ কিচেনার, কেম্ব্রিজ, গুয়েলফ - এইসব চোদ্দ জায়গায় বাসের থামতে থামতে আসার কথা ভুললে চলবে?

জাতিস্মর এর ছবি

কঠিন ডায়লগ।

"ওকে উই হ্যাভ রিচড আওয়ার ডেস্টিনেশান সেফ অ্যান্ড সাউন্ড। আই কাউন্টেড, নোবডি লস্ট দেয়ার হেড।"

আমি ত প্ল্যান করসিলাম নেক্সট সামার এ বাস এ উঠবো। কি লেখলেন ভাই। এখন নিউ ইয়র্ক যামু কেমনে? সাহস পাইতেসি না। (প্লেনে ওঠার পয়সা নাই)

দ্রষ্টব্যঃ বাংলার নবাব নিয়া লেখতে ভুইলেন না।

সত্যপীর এর ছবি

আরে ধুর, চড়েন চড়েন কিসসু অইবো না। নিউ ইয়র্ক কি আর হাইটা যাইবেন বাসেই যান হাসি

নবাব নিয়া লিখুম তো। নবাব নিয়া লিখুম বাদশা নিয়া লিখুম রাজা নিয়া লিখুম রানী মহারণী নিয়া লিখুম সাদা বান্দর নিয়া লিখুম সিপাই নিয়া লিখুম জেনারেল নিয়া লিখুম। আজাইরা লিখা আসতেই থাকবো। সবুর করেন। একটা কুক খান।

..................................................................
#Banshibir.

দিকভ্রান্ত এর ছবি

দারুন লাগল, বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের মামাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন। সত্যিই চমৎকার।

সত্যপীর এর ছবি

থ্যাঙ্কু।

..................................................................
#Banshibir.

হাসান কাজমী এর ছবি

আমার পছন্দ অবশ্য Amtrak হাসি

সত্যপীর এর ছবি

চড়ি নাই কখনো। খুব ভালো ট্রেন নাকি?

..................................................................
#Banshibir.

সুদিপ এর ছবি

খুবই মজা পেলাম।

সত্যপীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

..................................................................
#Banshibir.

পল্লব এর ছবি

দেশের জন্য মন খারাপ হয়ে গেল আপনার এই লেখাটা আর আগের নাপিত নিয়ে লেখাটা পড়ে হাসি ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়তেসে এখন। ধন্যবাদ।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

সত্যপীর এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

হাফিজ  এর ছবি

আমাদের এখানে (লিওন) খুব ভালো সিস্টেম. ট্রাম, বাস, মেট্রোর জন্য একটাই মাত্র টিকেট. এক টিকেটে তিন ছবি দেখার মত ব্যবস্থা. ছাত্রদের জন্য মাসে ২৬.৫০ ইউরো. অবশ্য চাইলে ঘন্টার টিকেট, দিনের টিকেট ও কিনা যায়. মেশিন থেকে টিকেট কিনতে হয়. তবে সেই মেশিন বাসে থাকে না. চাইলে বাস ড্রাইভার এর কাছ থেকেও কিনা যায়. সেক্ষেত্রে ১.৬০ এর টিকেট ২ ইউরো দিয়ে কিনতে হবে. তবে প্রতিবার অবশ্যই আপনাকে মাসিক কার্ড অথবা টিকেট বাস অথবা ট্রামের ভেতরে রাখা মেশিন এ ভ্যালিডেট করতে হবে. অন্যথায় জরিমানা. কার্ড শুধুমাত্র মেশিনে ছোয়াতে হয়.

দেশে থাকতে আমি অবশ্য উত্তরা রুটের হতভাগা স্টপেজ খিলক্ষেতের বাসিন্দা ছিলাম. সিট পাওয়া ছিল সোনার হরিন.

সত্যপীর এর ছবি

এক টিকেটে তিন ছবি...ভাইয়া দুষ্ট আসেন।

..................................................................
#Banshibir.

আশফাক আহমেদ এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীর গল্পটা মজা লাগলো হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সত্যপীর এর ছবি

হে হে।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)
আগেই পড়েছিলাম, মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেল।
গ্রে হাউণ্ডের কাহিনী অনেক শুনেছি, আম্রিকা আসি, ট্রাই দিব নি !

আমার এক সিনিয়র বন্ধুর কথা মনে পড়ল, উনার ছোট বোন আমেরিকা থেকে দেশে বেড়াতে আসলে, নিজেই ড্রাইভ করে নদীর তীরে নিয়ে যেয়ে ভাই-বোন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ট্রাক থেমে গেল, তার জানালা দিয়ে ড্রাইভার গলা বাহির করে বলে-- ওস্তাদ , মাল লইয়া আসলেন !

সত্যপীর এর ছবি

ওস্তাদ , মাল লইয়া আসলেন !

খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

দুর্দান্ত এর ছবি

ইউরোপে কমদামি এয়ারলাইনের বদৌলতে বাস/ট্রেনের ওপর চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।

সত্যপীর এর ছবি

ট্রেন বড়লোকি ব্যাপার। আমেরিকাতেও ডোমেস্টিক লাইনে বিবিধ সস্তা ফ্লাইট মিলে। ক্যানাডায় প্লেন সার্ভিস অতি অখাদ্য, পয়সাও বেশি সার্ভিসও জঘন্য।

..................................................................
#Banshibir.

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখা নিয়মিত পড়া হচ্ছে হাসি

সত্যপীর এর ছবি

থ্যাঙ্কু ভাইয়া।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কলেজে পড়ি তখন। ঢাকা ফিরতেছিলাম বাড়ি থেকে। যাত্রাবাড়ির একটু আগে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের মহিলা যাত্রীদের দেখে আমাদের বাসের হেল্পার ভাইজানের প্রেম বেশ চাগাড় দিয়ে উঠেছিলো। কিছু একটা কী জানি বলছিলো, সেইটা আমাদের কানে যাওয়ার আগেই দেখি যাত্রাবাড়ির জ্যামে বাস থামার সাথে সাথে ঐ লাল বাস থেকে কিছু পোলাপান এসে হেলপার ভাইজানকে চ্যাঙদোলা করে ঐ বাসে নাইওর নিয়ে গেছে। যথারীতি, এই ঘটনা বুঝে উঠবার আগেই আমাদের হেলপার ভাইজান নাইওর থেকে ফেরত চলে এসেছেন সারা মুখের মানচিত্রে আপ্যায়নের চিহ্ন নিয়ে।

ঐ সিন দেখে মনে মনে তওবা করছিলাম, জীবনে কোনো দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বালিকার দিকে প্রেম নিবেদন তো দূরে থাক, এই কথাই মাথায় আনুম না!

সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরের পেছনে পড়তে যেতাম মল্লিক স্যারের কাছে। আরামবাগ থেকে একটা বাস চালু হৈছিলো, ৮ নাম্বার। গেটলক। ভাড়া শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত ৪ টাকা। আমরা নাম দিছিলাম ৪ টাকার প্রিমিয়াম।

আম্রিকানরা আমাদেরকে বলে আমাদের দেশে ভিক্ষুক! আরে, শালা আমাদের তো ভিক্ষুক দেখোস খালি এয়ারপোর্টে, আর তোগো দেশে যে রাস্তাঘাটে-রণেবনে-জলেজঙ্গলে সবখানে লোকজন 'চেঞ্জ চেঞ্জ' বলে চিল্লায় সেইগুলা কী? এমনকি তোগো প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত 'চেঞ্জ উই মাস্ট' বলে চিল্লায় ইলেকশনের আমলে।

সত্যপীর এর ছবি

হ এই দেশের ভিক্ষুকেরা ক্যামন ভায়োলেন্ট হয়, আমাদের ভিক্ষুকেরা কত ভদ্র টাইপ।

..................................................................
#Banshibir.

আলতাইর এর ছবি

ওস্তাদ গুরু গুরু ^:)

আমি ট্রেনের যাত্রী। ঠেকায় না পড়লে বাস এ উঠিনা। উত্তরা-মতিঝিল যাইতেও এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেন এ যাই। কিন্তু খটকা লাগলো এক জায়গায়। ট্রেনের ভাড়া বাসের থেকে বেশী? কেমতে কি? বাংলাদেশে তো এতদিন ট্রেনের ভাড়া বাসের অর্ধেক ছিলো। এই কয় সপ্তাহ আগে গিয়া বাসের সমান ভাড়া করা হইসে। অইখানের ট্রেন কি আসমান দিয়া উড়ে নিকি?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।