খোরাসান - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৪/২০১৫ - ১০:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপ্রিল, ১৮১০। কলকাতা।

সকাল।

ইংরেজ সওদাগর এবং কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মার্কাস স্মলের নতুন বাসভবনের ডাইনিং রুমে ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করে গেল চাকর সুবহান আলি। বড় ডাইনিং রুম, উপরে উঁচু গম্বুজ। ভবনটি আগে এক স্থানীয় হিন্দু মহাজনের ছিল, সে পানির দরে কিনে নিয়েছিল মূল মুসলমান মালিকের কাছ থেকে বছর বিশেক আগে। বেশ খোলামেলা মাজারের মত স্থাপনা। বাইরে ফোয়ারা। মৃদুমন্দ বাতাস।

মার্কাসের অতিথি সদ্য লন্ডন থেকে আগত কবি ডাল্টন হামফ্রি বেকন আন্ডায় কামড় দিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছে বললেন, যাই বল মার্কাস, নেপোলিয়নের ধান্দা ব্যানফিল ঠিকই ধরতে পেরেছিল।

ছুরি দিয়ে এক টুকরো সসেজ কেটে মুখে দিয়ে নির্বিকার কন্ঠে মার্কাস বললেন, ব্যানফিল একটা উজবুক। দশ বছর আগে ইজিপ্টে চল্লিশ হাজার সিপাই নিয়ে নেপোলিয়ন ঘাঁটি গাড়ার পরে সে এমন আজগুবি প্যানিক শুরু করে দিল যে বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সকলে তাকে তখন এড়িয়ে চলা শুরু করল। নেপোলিয়ন নাকি চলেই এল ভারত। আরে ভারত আসা কি সহজ কথা? আসবে কোনদিক দিয়ে, উড়ে?

সাগরপথে আসতে পারত। লোহিত সাগর তো তার কব্জাতেই ছিল।

ডিমের কুসুমের অংশটা সাবধানে ভাঙলেন মার্কাস স্মল, তারপর একটুকরো ব্ল্যাক ব্লাড সসেজ কেটে হলদে কুসুমে ভিজিয়ে কামড় দিয়ে খেয়ে মুখ মুছে তিনি বললেন, তা হয়তো পারত। তবে ব্যানফিলের ধারণা ছিল নেপোলিয়ন আসবে স্থলপথে, সিরিয়া কি টার্কির ভিতর দিয়ে আফগানিস্তান বা বালুচিস্তান হয়ে। উজবুকটা লন্ডনে অনেক লবি করেছিল যেন রাশিয়ার সাথে কথা বলে সেইটা ব্রিটিশ ঠেকানোর ব্যবস্থা করে।

যতই বল উজবুক, মাথা নেড়ে ডাল্টন বললেন, এইটা কি অস্বীকার করতে পারো নেপোলিয়নের ভারতের দিকে চোখ ছিল? সে পারলে কি আসত না?

হ্যাঁ পারলে আসত। কিন্তু স্থলপথে নয়। শর্টি নেপোলিয়ন ফরাসি হলেও চালু মাল। সে জার পলের প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে স্থলপথে ভারত আক্রমণের।

এই তথ্য ডাল্টনের কাছে নূতন। তিনি খাওয়া থামিয়ে মার্কাসের দিকে তাকিয়ে বললেন, রাশিয়ার জার পল? যাকে মেরে ফেলল? সে স্থলপথে ভারত আক্রমণ করতে চেয়েছিল?!

ডাল্টনের কন্ঠে হাল্কা অবিশ্বাস যেন শুনতে পেলেন মার্কাস। কোম্পানীর মেজর থাকাকালীন অনেক ক্লাসিফাইড তথ্য তার কাছে আসত, এই জার পলের খবর যে লন্ডনে সকলে জানে না এইটা তিনি এখন বুঝলেন। কিন্তু ডাল্টন লোক ভালো, এই বাসী তথ্য দিয়ে সে কোন ফায়দা কুড়াবে না। গলা খাঁকরে তিনি বললেন, হুঁ। জার পল একটা রিটার্ডেড লোক ছিল।

সে জানি।

হুম। সে নেপোলিয়নকে প্রস্তাব করেছিল রুশ-ফরাসী যুগপৎ আক্রমণের। লন্ডন জেনেছে পরে। পলের আইডিয়া ছিল পঁয়ত্রিশ হাজার কসাক তুর্কিস্তান দিয়ে এগুবে, পথে হায়ার করে নিবে যুদ্ধবাজ তুর্কদের। ভারতে লক্ষ কোটি সোনা জহরতের গল্পে তুর্কদের জমিয়ে তোলা হবে। এদিকে ফরাসি ড্যানিয়ুব দিয়ে কৃষ্ণ সাগর চলে আসবে রুশ রণতরীর সাথে যোগ দিতে। দন, ভোল্গা কাস্পিয়ান সাগর দিয়ে এগুবে। সেইভাবে কোথাও এসে মিট করবে কসাকদের, তারপর পারস্য আফগানিস্তান ভারত। ইনভেশন কমপ্লিট হা হা হা হা।

সন্দেহের কন্ঠে ডাল্টন বললেন, বানিয়ে বলছ নাকি?

আরে না, তবে বলছি কি। পল একটা আস্ত রিটার্ডেড। নো অফেন্স বাট ইভেন ইউ, আ ব্লাডি পোয়েট আন্ডার্স্ট্যান্ডস হাও অ্যাবসার্ড ইট সাউন্ডস। পূর্ব পারস্য আর মধ্য এশিয়া আফগানিস্তান পার হয়ে ভারত, কতবড় ইডিয়ট। প্রায় এক হাজার মাইল মার্চ করবে দুই সাদা চামড়ার আর্মি আর স্থানীয় বর্বর যুদ্ধবাজ রাফিয়ানগুলো সেই রুক্ষ পাহাড় মরুভূমি দিয়ে তাদের বিনা বাক্যব্যয়ে পার হতে দেবে... এযে পাগলের প্রলাপ!

তা তো বটেই।

কড়মড় করে টোস্টে কামড় দিয়ে আরাম করে চেয়ারে হেলান দিলেন মার্কাস। তারপর আনমনে বললেন, পল মারা গিয়েছিল ঠিক সময়ে। সে কিন্তু কসাকদের প্ল্যান অনুযায়ী ঠিকই পাঠিয়েছিল ভারত বরাবর, ফরাসির সাহায্য ছাড়াই। নেপোলিয়ন যখন না করে দেয় তখন। ইডিয়ট জারের ইডিয়ট ফোর্স, তারা ম্যাপ ট্যাপ ছাড়াই ভারত রওনা দিয়ে দেয়। অক্সাসের এইপারের কোন ম্যাপ ছিলনা জারের কাছে। পরে পল মরার পরে নতুন জার আলেক্সান্ডার কসাকদের ডেকে পাঠান। বড় বেঁচে গেছে গর্দভগুলো।

অক্সাসের এইপারের ম্যাপ কি আমাদের আছে? রাশিয়া কি ফ্রান্স যে ভারতে আবার আসার তাল করবেনা তার গ্যারান্টি কি? সিন্ধ বালুচিস্তানের ওপারে তেহরান যাওয়ার পথ কি মাইটি ব্রিটিশের আয়ত্ত্বে? বড় চিন্তার কথা।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর মার্কাস স্মলের চোখ এক মুহুর্তের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে গেল। জুসের গ্লাসে চুমুক দিয়ে খুব আস্তে করে প্রায় শোনা যায়না এমন স্বরে তিনি বললেন, ক্যাপ্টেন বার্চ। ল্যুটেনেন্ট রীড।

ডাল্টন মাথা এগিয়ে নিয়ে এসে বলল, অ্যাঁ? কিছু বললে?

মাথা নেড়ে হেসে মার্কাস স্বাভাবিক স্বরে বললেন, নাহ। কিছু না। বাইরে তাকিয়ে দেখো, স্প্লেনডিড মর্নিং ইজিনিট? এই যে পাখিগুলো দেখছ, এর নাম ময়না। সুন্দর না?

……………………………………………………………

জনবিরল নুশকি গ্রাম, বালুচিস্তান। ১৮১০।

ছোট একটি সশস্ত্র দল উটে চড়ে ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে রওনা দেবার ভাও করছিল। আকাশে মেঘ জমেছে, চমকে চমকে উঠছে বিজলি। ঝড় আসন্ন। দলের একজন আগন্তুক, তাতার ঘোড়ার মহাজন বিলাল বেগ। ভারতে থাকে, এক হিন্দু মহাজনের হয়ে ঘোড়ার কারবার করে। সে এই দলটাকে ভাড়া করেছে তাকে নিরাপদে হিরাত শহরে পৌঁছে দেবার জন্য, হিরাতের ঘোড়া অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। পথ খুবই বিপদজনক, দস্যু তস্করে গিজগিজ করছে এলাকা।

নুশকি গ্রামে বিলাল বেগ এসেছে কয়দিন হয়, সাথে ছিল তার ভাই তালাল বেগ। এইখানে এসে তাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তালালের পথ ভিন্ন, সে যাচ্ছে পারস্যের কেরমান ঘোড়া কিনতে। তাদের ঘোড়াও অতি উত্তম।

দলের নেতাগোছের আজিজ উটে মাল চাপাতে চাপাতে জিজ্ঞেস করল, ওহে বিলাল। আপনাদের ভারতে রুটি কিরকম?

বিলাল হেসে বলল, বড়িয়া রুটি। মাখমের মতন, মুখে দিলেই গলে যায়।

ধুর ধুর, মাখমের মত রুটি খাব কি দুঃখে, আমার কি মেয়েমানুষের মত নরম দাঁত? এই দাঁত দিয়ে আধা কাঁচা মাংস টেনে খেতে পারি হে, মাখমের মত রুটি খেতে আমার বয়েই গেছে। তাছাড়া আমার ছেলে রুটি নরম করতে ছ্যাপ দিয়ে একটু নরম করে নেয় হা হা হা হা, তার জন্যে ভারত যাওয়ার কি দরকার হ্যাঁ? হা হা হা হা।

উচ্চস্বরে সকলে হেসে উঠল এই কথায়। বিলাল হেসে বলল, তা বটে।

ব্যাস, এই? মাখমের মত নরম? আর কিছু নাই ভালো ভারতের রুটির?

বিলাল একটু ধন্দে পড়ল। তারপর দ্বিধাজড়িত কন্ঠে বলল, হ্যাঁ না তা ঠিক। তবে কিনা ভারতের রুটিতে বালু নেই একদম, দাঁতে কিছু কচকচ করেনা খাওয়ার সময়।

এক মুহুর্ত সকলে চুপ থাকল, তারপরে সবাই আকাশ ফাটিয়ে ঠা ঠা ঠা করে হেসে দিল। হাসতে হাসতে আজিজ প্রায় লুটিয়ে পড়ে বলল, ও বিলাল এ কি বললেন...বালু ছাড়া...হা হা হা হা...বালু রুটি...হা হা হা হা…

দাঁত বের করে বিলালও হেসে গেল দলটার সাথে। তাগড়া জোয়ান কিছু মানুষ, সাথে অস্ত্র বহন করছে এরা জাতিগতভাবে একেবারে শিশুকাল থেকে, তবু ভেতরে ভেতরে কী ছেলেমানুষ। কত অল্পে এরা বিস্মিত।

নিজাম বলে এক কিশোর এসে বলে গেল খানা তৈয়ার। সকলে আস্তে আস্তে তাঁবুর দিকে এগুতে শুরু করল। লম্বা রাস্তা, আরাম করে খেয়ে নেয়া জরুরী। বিলাল একটু দূরে ভাই তালালের তাঁবুর দিকে এগিয়ে গেল বিদায় নেবার উদ্দেশ্যে।

তালালের তাঁবুর সামনে তখন বাজার বসে গিয়েছে। কোথা থেকে ছোট একটি বালিকা পায়ে ঝুমুরের মত কি একটা নিয়ে ঝুম ঝুম করে নাচছে, আর তার সাথে গলায় দড়ি ঝুলানো এক বাঁদর। মেয়েও নাচছে বাঁদরও নাচছে। পাশে বাদ্য বাজাচ্ছে এক বুড়া। তাদের ঘিরে সে কি হই চই। ছোট গ্রাম নুশকা, এইরকম বিনোদন সচরাচর তারা দেখে না। কোথা থেকে এই নৃত্যপটীয়সী বাঁদর ধরে আনা হয়েছে কে জানে, লোকের আনন্দের আর সীমা নাই।

ভীড়ের একপাশে ভাই তালাল আর গ্রামের নেতাগোছের লোক আব্দুল আলাপ করছিল, সালাম দিয়ে এগিয়ে গেল বিলাল। আব্দুল হাত তুলে সালামের উত্তর দিয়ে বলল, হিরাত যাচ্ছেন শুনলাম?

হ্যাঁ হিরাত যাচ্ছি। দোয়া করবেন।

অবশ্যই অবশ্যই। আহা হিরাত। আমার জান্নাতবাসী চাচা ছিলেন মাজার ই শরীফের, জায়নামাজের ব্যবসা ছিল তার। তিনি হিরাত গিয়েছিলেন কয়েকবার জায়নামাজ আর আতর আনতে। কত দূর দূর দেশ থেকে সওদা নিয়ে আসে মানুষ হিরাতে, আহা হিরাত। আমার বয়েস আর তাগত থাকলে নিশ্চয়ই সঙ্গে যেতাম।

চোখ কপালে তুলে বিস্মিত হবার ভান করে বিলাল বলল, ইয়া আল্লা। আপনার নাই তাগত? আপনার ওই এক লম্বা তলোয়ার তো আমি হাতেই নিতে পারব না, আর আপনি তো লোফালুফি খেলেন ঐ দিয়ে।

তোষামোদে খুশি হয়ে আব্দুল বলল, হেঁ হেঁ। তা তলোয়ার ভার বটে। ইস্ফাহানের আসাদুল্লাহ কারিগরের বানানো তলোয়ার এইটে, আমাদের বংশের সম্পদ। কত হাজার লুটেরার কল্লা নামিয়েছি আমাদের বংশের লোকে এই তলোয়ার দিয়ে তার লিখাজুখা নাই।

তারিফের স্বরে বিলাল তালাল দুইজনেই বলল, অবশ্যই। অবশ্যই। তা বটেই তো।

এইবার আব্দুল আস্তে করে উঠে বলল, আচ্ছা তবে ফী আমানিল্লাহ। দুই ভায়ে কথা বলে নিন, আমি এগুই ওদিকে। খিদে পেয়েছে, কাবাবের গন্ধ পাচ্ছি হেঁ হেঁ।

হেসে বিলাল অপেক্ষা করল আব্দুল চলে যাওয়া পর্যন্ত, তারপর আস্তে করে চোখের ইশারা করল তালালকে। তালালের তাঁবু পাশেই, গাছের ওপাশে। লোক তেমন নেই ওদিকে, তারা দুজনে গিয়ে তাঁবুতে ঢুকে বসল। আশপাশে কেউ নেই নিশ্চিত হয়ে মাথা অল্প এগিয়ে বিলালের ছদ্মবেশে থাকা ক্যাপ্টেন জেফ্রি বার্চ নিচু স্বরে চোস্ত ইংরেজিতে বলল, অলরাইট ল্যুটেনেন্ট রীড, দিস ইজ ইট। আমার ক্যারাভান বাইরে প্রস্তুত, ঝড় আসছে বটে তবে সমস্যা হবে বলে মনে হচ্ছে না।

তালাল ওরফে ল্যুটেনেন্ট আর্থার রীড মাথা নেড়ে সায় দিল। এরা দুজনে ভাই নয়, ঘোড়ার ব্যবসায়ীও নয়,তাতার মুসলমান তো নয়ই। এরা ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পঞ্চম বম্বে নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির অফিসার, চর হিসেবে এসেছে ছদ্মবেশে। উদ্দেশ্য কঠিন, বিপদসংকুল সুপ্রাচীন খোরাসানের ভিতর দিয়ে ইংরেজ বান্ধব পারস্যে যাবার ম্যাপ প্রস্তুত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টের শক্তি সম্বন্ধে তথ্য জোগাড় করে লন্ডনে পাঠানো। এইখানের জনবিরল এলাকার বালুচেরা এই খবর পেলে এক কোপে এদের মাথা নামিয়ে দেবে নিশ্চিত, ইংরেজের পোদ্দারি এদের অত্যন্ত অপছন্দ। তবে এরা ইয়োরোপিয়ান দেখেনি তেমন, তাই ছদ্মবেশের আড়ালে ফর্সা ত্বক তাদের এখনো সন্দেহের উদ্রেক করেনি।

বা করলেও, এখনো বালুচেরা সেটা প্রকাশ করেনি।

তালাল ওরফে ল্যুটেনেন্ট রীড কেরমান হয়ে ইস্ফাহানের দিকে যাবে, বিলাল তথা ক্যাপ্টেন বার্চের রুট হিরাত হয়ে। নির্দিষ্ট সময় পরে তারা দেখা করবে পারস্যের শাহ এর রাজত্বে, তারপরে দুই মাস পেরিয়ে গেলে ধরে নিতে হবে অপর পক্ষ জীবিত নেই বা বন্দী। তখন তাকে ছাড়াই যেতে হবে তেহরানে ব্রিটিশ মিশনের সাথে দেখা করতে।

শ্বাস ফেলে ল্যুটেনেন্ট রীড বলল, ওকে স্যার, আই ডু উইশ ইউ গুড লাক।

সেইম টু ইউ ল্যুটেনেন্ট, সেইম টু ইউ। সেইফ জার্নি।

মাথা অল্প নেড়ে একে অপরকে বিদায় দিয়ে উঠে দাঁড়াল তাতার ঘোড়ার ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশধারী দুই ইংরেজ স্পাই।

(চলবে)

কৈফিয়তঃ সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প নয়। ইংরেজ সত্যই ১৮১০ সালে ক্যাপ্টেন চার্লস ক্রিস্টি আর ল্যুটেনেন্ট হেনরি পটিঙ্গার নামে দুই স্পাইকে পাঠিয়েছিল এলাকা জরিপ করতে, এই গল্প সেইখান থেকে অনুপ্রাণিত। তবে আমার গল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ তাদের জার্নির সাথে মিলবে না।


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

সচলে স্বাগতম!

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

অ্যাঁ

..................................................................
#Banshibir.

মুক্তমন এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন ৷
আচ্ছা,একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন,কিছু মনে করবেন না, আপনি কি খাইতে খাইতে লেখেন ? না হলে এরম নিখুঁত বর্ণনা....

সত্যপীর এর ছবি

কফি উইথ রাম চোখ টিপি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ, অবশেষে-------

পরের পর্বর অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভেচ্ছা পীরসাব

স্বয়ম

সত্যপীর এর ছবি

ধইন্যবাদ বস। বিলাল বেগের কীর্তি আসতিছে।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... - প্রথম পর্ব

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

খালি ইটা।

..................................................................
#Banshibir.

ওডিন এর ছবি

দুর্দান্ত! বাকি পর্বগুলোর সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।

পীরসাহেব নিশ্চই এই বইটা পড়েছেন? হাসি

সত্যপীর এর ছবি

গ্রেট গেম নিয়া জানতি হলি হপকার্কের কথা শুনতেই হবি চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

নেপোলিয়ন কি আসলেই শর্টি ছিলেন!! তালাল বেগ পড়তে গিয়ে কেবল হালাল বেগ পড়ছি, কী যে মুসিবত। খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

"হালাল বেগ" ধুরোমিয়া হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হালাল বেগ গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

স্পর্শ এর ছবি

আপনি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি হয়ে যাচ্ছেন দিন দিন। শত শত অসমাপ্ত প্রোজেক্ট খুলে বসছেন। এইটাও জমজমাট গল্প।

বালুচদের রুটিতে কি আসলেই বালি থাকতো? নাকি জোক্স করলো?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সত্যপীর এর ছবি

আরে নাহ জুক্স করল, হয়তো আগের খানায় রুটিতে বালু ছিল তাই।

এই গপ শেষ করবই এই আমার কছম। তবে বেশি লিখলে ঘুম আসে এইটাই সমিস্যা। এই গপ নানাদিকে টানা যায়, আপাতত খালি বিটিশ আসছে, আর বালুচি। এরপরে মধ্য এশিয়ার রাজাগজা আসবে তাদের তীরতলোয়ার বাগায়ে, এদিকে পারস্যের কুতুবেরাও হয়তো আসবে। গপ অত্যন্ত প্যাঁচ না খায়া গেলে রাশানভি আসতে পারে। তয় পর্ব চারটার বেশি দিতে চাইনা, সুতরাং ঐ হিসাবে কাটছাঁট চলবে।

..................................................................
#Banshibir.

মরুদ্যান এর ছবি

২য় পর্ব কো???

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সত্যপীর এর ছবি

আসতেছে।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক । পরের পর্ব আসুক, অপেক্ষায়...

দেবদ্যুতি

খেকশিয়াল এর ছবি

মুহুহুহু আগে ইটা রাইখ্যা গেলাম...
এখন পড়ি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আয়নামতি এর ছবি

উত্তম জাঝা!
আপনি কী খুব বেশি খাইতে পছন্দ করেন? সব লেখায় খাওয়ার এত নিখুঁত বর্ণনা থাকে।
কঠিন তপস্যায় থাকা লুকেরও আপনার খাওয়ার বর্ণনা পড়ে সেটা ভেঙে যাবে যাবে করে তো! ইয়ে, মানে...
নাচেগানেভরপুর সেই গপের জন্য আর কত ওয়েটাবো ভাইয়া? এটার পরের পর্ব তাত্তাড়ি দিয়েন।

সত্যপীর এর ছবি

আমি খাইতে খুবই পছন্দ করি। বিভিন্ন ক্যুইজিনের খাবারের ইতিহাস আমার সবচাইতে পছন্দের বিষয়। আমার লেখায় পাত্রপাত্রীরা নিয়মিত খেতে খেতে/পান করতে করতে আলাপ আলুচনা করে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

এইবার জিগান মেজর (অবঃ) মার্কাসের প্লেটের ব্ল্যাক ব্লাড সসেজ কি জিনিস। গুড কুশ্চেন। এই জিনিস।

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

এই মাল বানানি দেখছি ডিসকোভারিতে! গা গুলায় উঠছিল!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

খেকশিয়াল এর ছবি

তুখোড় তুখোড়! জমে উঠেছে ভ্রাত! পরের পর্ব রেডি তো?

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সত্যপীর এর ছবি

বিলাল বেগের সামনে বন্ধুর পথ। ওয়ে অফ ফ্রেন্ডস ইউ সি।

..................................................................
#Banshibir.

ভাবুক পাঠক এর ছবি

গুরু গুরু হাসি কোলাকুলি

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

ইংরেজগো চিকন বুদ্ধি! পরের পর্ব আসুক খোরাসানের পথে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কৈফিয়ত অংশের উত্তরে বলি, গল্প জমছে কাজেই পুঙ্খানুপুঙ্খ মিলের দরকার নাই। হ্যাঁ, তবে লেখা যেন ঘোড়ার পিঠে চড়েই এগোয়, উটের পিঠে নয়! হাসি

এক লহমা এর ছবি

বেশ। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি
নববর্ষের শুভেচ্ছা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মরুদ্যান এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

ভালো লাগলো।

--------------------------------------------------------------------------------

কল্যাণ এর ছবি

পুরা গুল্লি!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।