খোরাসান – দ্বিতীয় পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ২৪/০৫/২০১৫ - ৪:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

ভিক্টোরিয়া ক্লাব, কলকাতার উপকণ্ঠ। এপ্রিল ১৮১০।

মেজর মার্কাস স্মল তার সদ্য লন্ডন হতে আগত বন্ধু ডাল্টন হামফ্রিকে নিয়ে ক্লাবে প্রবেশ করে বললেন, এই আমাদের সামান্য ক্লাব। এসো, ঘুরিয়ে দেখাই।

বিশাল দালান হাঁ করে দেখতে দেখতে ডাল্টন বললেন, হ্যাঁ। সামান্যই বটে। আস্ত এক কাউন্টি ঢুকে যাবে মনে হচ্ছে তোমাদের এই সামান্য ক্লাবের কম্পাউন্ডের ভিতর। অ্যাস্টোনিশিং ইন্ডিড। যাহোক, টুপি ছড়ি রেখে যাই কোথাও নাকি?

হ্যাঁ ঐ ফার্ট ক্যাচার দাঁড়িয়ে আছে একটা ওর হাতে দিয়ে দাও।

ফার্ট ক্যাচার অর্থাৎ ভৃত্য। টার্মটা লন্ডনে থাকতেই শুনেছিলেন ডাল্টন, চাকরেরা পেছন পেছন ঘোরে তাই অমন নাম। মুচকি হেসে পিছনে দাঁড়ানো ভারতীয় চাকরের হাতে টুপি ছড়ি ধরিয়ে দিলেন ডাল্টন, মাথা নুইয়ে সেলাম ঠুকে নীল ইউনিফর্ম পরা শীর্নকায় চাকর দুহাত পেতে তা নিল।

মাঠের পাশে হাঁটতে হাঁটতে মেজর স্মল বললেন, কাল পিগ স্টিকিং এ নিয়ে যাব তোমায়। এইখানে কম্পাউন্ডের ধারে একটা জায়গা ঘেরা আছে, সেইখানে নিরাপদ শিকার করা যেতে পারে। উৎকৃষ্ট আফগান ঘোড়া আছে, চড়ে আরাম। কিম্বা তোমার যদি অনেক থ্রিল এর শখ হয় তবে উই ক্যান গো হান্ট চিতাহ অর টাইগার অ্যাজ ওয়েল। হাতি মজুত আছে।

চোখ কপালে তুলে ডাল্টন বললেন, ওরে না না। চিতা হান্টিং এর শখ নেই বাপু। পিগ স্টিকিং ই ভালো। অথবা কেবল ঘোড়ায় চড়ে হাওয়া খেয়ে আসা যায়, বা নদীতে কোথাও। যেটা ভালো মনে কর।

হুমম। বিকেলে পর্তুগীজ কোয়ার্টার যাব আমার বিশেষ কাজ রয়েছে, গেলে চল আমার সাথে। উৎকৃষ্ট রুটি পাওয়া যায়। তবে যাবার পথ বেশি সুবিধের নয়, ব্ল্যাকটাউনের মাঝে দিয়ে যেতে হবে।

ব্ল্যাকটাউন মানে নেটিভদের এলাকা?

হ্যাঁ। ভয়ানক বিশ্রী অবস্থা, কেলে কেলে নোংরা লোকগুলো গিজগিজ করে ঘুরছে অ্যানিমেলের মতন। গন্ধ! বাড়িঘরগুলোরও যা ছিরি, কি আর বলব। মনে হয় কেউ শূন্যে ঘরগুলো ছুঁড়ে মেরেছিল আর তা গোঁত্তা খেয়ে ফের মাটিতে পড়ে গেছে। কোনো প্ল্যান নাই ভিশন নাই ডিজাইন নাই, যে যেমন পারছে দোতলা তুলছে কি সাইডে বেখাপ্পা কোয়ার্টার লাগাচ্ছে। এক ভাই গোলাপী দেয়াল তুলল তো আরেক ভাই দেয়ালের রঙ দিল হলদে। সামনে হয়তো চাকরদের থাকার খড়ের ঘর, আইসোর একেবারে।

মিচকি হাসলেন ডাল্টন, মুখে কিছু বললেন না। হাঁটতে হাঁটতে দুই বন্ধু ছাতার তলে চেয়ারে বসলেন। দুই চাকর এসে চা আর কিছু স্কোন বিস্কিট দিয়ে গেল। দূরে মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে ডাল্টন বললেন, আচ্ছা জার পলের ব্যাপারটা আরেকটু বল। রাশিয়ানরা ভারতে আসতে চেয়েছিল তাহলে?

স্মিত হাসলেন মার্কাস, তোমার মাথা থেকে যার পলের ঘটনা সরেনি তাহলে। বাদ দাও। দ্যাট ব্যাস্টার্ড ইজ ডেড ফর গুড রিজনস।

তা হল। কিন্তু সেন্ট পিটার্সবার্গের সাথে লন্ডনের তো বৈরী সম্পর্ক নয়। তারা ভারতের দিকে হাত বাড়াবে তাও আবার নেপোলিয়নের সাথে প্ল্যান করে এইটে আমি ভাবতেই পারিনি।

ঘটনা এত সরল নয় হে ডাল্টন। ভারতের আগে তারা হাত বাড়িয়েছে উত্তর পারস্যের দিকে। পারস্যের শাহকে আমরা তখন ধমকে রেখেছি যেন ব্লাডি ফ্রেঞ্চিজ পারস্যে না ঢোকে। শাহ ওয়াজ হ্যাপি টু অব্লাইজ, বাট দ্যাট ডগ থট নাও উই ও দেম। রাশিয়া যখন আর্মিনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান ক্যাপচার করে তখন শাহ লন্ডনে খবর পাঠায়, যেন আমরা তাদের সাথে মিলে রাশিয়া ঠেকিয়ে দেই। কিন্তু খামোকা আমরা সেন্ট পিটার্সবার্গকে খ্যাপাতে যাব কোন দুঃখে, নেপোলিয়নের সাথে লড়াইয়ে ব্লাডি তেহরান থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ বেটার অ্যালাই। আমরা সঙ্গত কারণেই চুপচাপ থাকি।

আচ্ছা।

এইবার নেপোলিয়ন তেহরানকে খবর পাঠায়। তারা রাশিয়াকে ঠেকিয়ে দিতে সাহায্য করবে। শাহ তখন আমাদের বিট্রে করে তাদের সাথে হাত মিলায় আর নেপোলিয়ন আগে বাড়ে। রাশিয়াকে তারা বেধড়ক মারে আর পিছু হটে রাশিয়া একটা গোপন প্যাক্ট করে। কোন এক নদীর মাঝখানে তারা মিট করে, যেন লন্ডন খবর না পায়। কিন্তু ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস তো আর ঘাস খায় না, তারা ঠিকই এক চর পাঠিয়ে দেয় সেই মিটিং এ। সেইখানে নাকি রাশিয়া ইস্ট আর ফ্রান্স ওয়েস্ট নিয়ে নেবে বলে চুক্তি হয়, কিন্তু জার আলেক্সান্ডার কন্সট্যান্টিনোপল চেয়েছিল। নেপোলিয়ন তাতে ভয়ানক বেঁকে বসে।

হাঁ করে শুনতে শুনতে ডাল্টন হামফ্রি বলেন, ফ্যাসিনেটিং!

হুঁ। ঠিক কথা। যাহোক সত্যমিথ্যে মিলিয়ে নানান কানকথা লন্ডনেও যায় ক্যালকাটাতেও আসে। ভেরিফাই না করে লন্ডন ভেট পাঠায় তেহরানে আর ক্যালকাটা থেকে হুমকি চিঠি যায়। এমব্যারেসিং সিচুয়েশন। এনিওয়ে, থিংস আর ফাইন নাও। তবে ফ্রান্স না হলেও রাশিয়া ইজ স্টিল অ্যা বিগ হেডেক। খোরাসানে আমাদের ফুটহোল্ড স্ট্রং নয়, আমাদের উচিৎ মধ্য এশিয়া ইত্যাদি জায়গাগুলোও সিকিওর করা। বাট ডোন্ট ওরি, আওয়ার কিংস মেন আর অন ইট।

.....................................................................................................................।

হেলমান্দ নদীর পাড়, আফগানিস্তান। সন্ধ্যের পর।

আগুন জ্বালিয়ে রুটি পাক করতে করতে কাফেলার উপসর্দার জালাল ভারি কণ্ঠে বলল, আমিন মিয়া! চীনদেশের গপ শোনান একটা শুনি।

আমিন মিয়া ওরফে মুহাম্মদ আমিন চীনদেশের তলোয়ার সওদাগর। সুঠামদেহী বৃদ্ধ, চিকন বুদ্ধিদীপ্ত চোখ। জালালের কথা শুনে সে একটু চাপা হাসল। তার পাশেই বসে খেজুর খাচ্ছিল ভারতীয় ঘোড়ার মহাজন বিলাল বেগের ছদ্মবেশে থাকা ইংরেজ চর জেফ্রি বার্চ। মুহাম্মদ আমিনের কাফেলায় যোগদানের ঘটনায় সে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলনা, কথা ছিল যে দল নিয়ে নুশকি থেকে রওনা দেয়া হয়েছিল সেই দল নিয়েই হিরাত যাওয়া হবে। দলনেতা আজিজের সাথে সেইরকমই কথা ছিল। আচমকা মাঝপথে চৈনিক সওদাগর এসে জুটবে এইটা ভাবেনি বার্চ। দল যত বড় হয় বিপদের আশঙ্কা ততই বেশী।

থু করে মুখ থেকে খেজুরের বিচি মাটিতে ফেলে দিয়ে বার্চ মুহাম্মদ আমিনের দিকে তাকাল। সে দাবি করছে সে নাকি হাজি, সুদূর চীন থেকে মদীনায় নবী মুহম্মদের মাজার জিয়ারত করে এসেছে। ব্যাটা সত্যই খাঁটি চৈনিক কিনা কে জানে, হুই মুসলমান হতে পারে অবশ্য। আরবে যাবার কথা সত্যি হয়ে থাকলে এই লোক ইয়োরোপীয়দের দেখেছে বলেই ধারণা হয় বার্চের।

মুশকিল।

গলা খাঁকরে চৈনিক সওদাগর আমিন আশপাশে ঘিরে থাকা উৎসুক মুখগুলোর দিকে একটু তাকাল। তারপরে বার্চের দিকে তাকিয়ে বলল, ওহে ভাই বিলাল বেগ। আপনি তো বড়ে ঘোড়ার মহাজন। বলেন দেখি ফরগনার ঘোড়া কেমন?

একটু হেসে বার্চ উত্তর দিল, ফরগনার ঘোড়া অত্যন্ত উৎকৃষ্ট।

হাঁ ঠিক কথা। অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। ফরগনার ঘোড়া নবী মুহম্মদের জন্মের সেই পাঁচ/ছয়শ বচ্ছর আগেই চীনের বাদশার পিয়ারা ছিল তা কি জানেন?

আশপাশের সকলে একটু গুঞ্জন করে উঠল। নবী মুহম্মদের জন্মের পাঁচ/ছয়শো বছর আগের ঘোড়ার গল্প? দাঁত বের করে সকলে কাছিয়ে এল গল্প ভাল করে শুনতে। আমিন গমগমে স্বরে বলে চলল,

উনার নাম ছিল উ-তি। চীনের সম্রাট উ-তি। লোকে কইত বেহেশতের সন্তান। তো এই বেহেশতের সন্তান গদিতে থাকার সময় উনার কাবাবমে হাড্ডি ছিল শিংনু বলে এক জাত। যাযাবর হিংস্র যুদ্ধবাজ ছিল শিংনুরা। কেবল চীনে সম্রাটের এলাকায় এসে নানান হুজ্জতি করত এরা। নিয়ম কানুনের কোন বালাই ছিলনা শিংনুদের।

সম্রাট উ-তি একবার খবর পেলেন, যে এই শিংনু কোন আরেক জাতকে মেরে ভর্তা করে দিয়েছে। সেই জাতের নাম ছিল ইয়েশি। ইয়েশিদের আস্ত গ্রাম পুড়িয়ে, তাদের নেতার মাথার খুলি দিয়ে মদ খেয়ে, হাজারে হাজারে ইয়েশি হত্যা করে শিংনু ব্যাপক হল্লা মাচিয়ে দেয়, আর ইয়েশিরা হটতে হটতে সেই তাকলামাকান মরুভূমির হেইপারে গিয়ে ঘাঁটি গাড়তে বাধ্য হয়। তাকলামাকান মরুভূমির নাম শুনেছেন?

প্রশ্ন করে চৈনিক সওদাগর আমিন থামল, আর সকলে এদিকওদিক চাইতে থাকল। না তাকলামাকান তো শুনিনি। দলের উপসর্দার জালাল রুটি সেঁকতে সেঁকতে বলল, হ্যাঁ তাকলামাকান শুনেছি আমিন মিয়া। শুনেছি বটে। তাকলামাকান মানে হল যাবে কিন্তু বেরুতে পারবে না।

তারিফের স্বরে সওদাগর আমিন বলল, হাঁ জালাল ভাই। ঠিক কথা। তাকলামাকান সে বড় কঠিন মরুভুমি। যাবে যাও, আর আসতে পারবে না। চীনে এই মরুভূমির নাম লিউশা, তার মানে যে বালি নড়ে। বুঝতেই পারছেন আপনারা, কী ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক এই মরুভুমি। কত লাখে লাখ মানুষ আর পশুপক্ষী এই মরুভুমিতে অক্কা পেয়েছে তার লিখাজুখা নাই। কেউ কেউ বলে সেই পথ দিয়ে হাঁটলে নাকি খালি হাড়গোড় দেখা যায় থেকে থেকে।

সকলে শিউরে উঠে চুপ করে রইল। রাত গভীর হচ্ছে, হেলমন্দ নদীর হাল্কা বাতাস ভেসে আসছে। শ্বাস ফেলে দম নিয়ে চৈনিক সওদাগর আবার গল্প শুরু করলেন,

এই ইয়েশিদের কথা শুনে বেহেশতের সন্তান সম্রাট উ-তি ঠিক করলেন তাদের সাথে মিলে শিংনুদের কলজে নড়িয়ে দেয়া যাক। কিন্তু কাজ শক্ত বড়। এই নকশায় বিপদসংকুল শিংনু এলাকা পাড়ি দিয়ে যেতে হবে তাকলামাকানের ওপারে। বেঁচে ফিরার সম্ভাবনা নাই বললেই হয়। বিসমিল্লা বলে রওনা দিল চাঙ চিন বলে এক ছোকরা।

কাফেলার উটের কিশোর চালক আলী আহমদ গল্পের মাঝখানে ফস করে বলে উঠল, বিসমিল্লা বলছিল সত্যই?

গল্পের মাঝখানে আচমকা থেমে গিয়ে আমিন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। সবাই কেমন একটা হাসি দিয়ে উঠল এই প্রশ্নে। দলনেতা আজিজ উঠে ঠাস করে আলীকে একটা চড় দিয়ে বলল, হারামজাদা আরেকবার গল্পের মাঝখানে আওয়াজ করলে উলটা কইরে গাছে বাইন্ধা রাখব সারারাত। একদম চুপ! বদের হাড্ডি।

চড় খেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকল আলী আহমদ মাথা নিচু করে। আমিন সওদাগর বলল, আরে ছেড়ে দেন উস্তাদ। পোলাপান মানুষ। শোন আলী বিসমিল্লা তো আর আসলেই বলেনাই, এইটা মুহম্মদের জন্মের কয়েকশো বছর আগের গল্প। এরা বিসমিল্লার কি জানে।

যাক তো এই চাঙ চিন বাবাজী রওনা দিয়েই খেল শিংনুর কাছে ধরা। অবশ্য ধরার পরে চাঙ চিনরে জানে মারেনাই, বন্দী করে রেখে দিয়েছিল। খেতে পরতে দিয়েছিল, সুন্দরী বউও ছিল একটা। তো সেইখানে চাঙ চিন ভেরেন্ডা ভেজে কাটায় দিল বছর দশেক। এরপরে কিভাবে কিভাবে সে পালায় যেতে সক্ষম হয়।

ব্যাপক দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ইয়েশিদের দেশে অবশেষে তেরো বচ্ছর পরে গিয়ে চাঙ চিন যখন সম্রাট উ-তির দূত হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে বলল আইস বন্ধু মিলেজুলে শিংনুর শিলনোড়া ফাটিয়ে দেই, তখন ইয়েশিরা ঠোঁট উল্টে কইল ও হ্যাঁ শিংনু। ধুর সে কত আগের কথা, থাক তারা তাদের মত। আমরা এখানেই আছি ভাল।

চাঙ চিনের তো মাথায় হাত। আহা তাওয়া গরম থাকতে রুটি ভাজা হলনা। মন খারাপ করে চাঙ চিন ঘরের পথ ধরল, তবে তার আগে সে বছরখানেক ইয়েশিদের সাথে থেকে গেল। ঘরে ফেরার পথে চাঙ চিন আবার শিংনুদের হাতে ধরা পড়ল, কিন্তু এইবার তার কপাল ছিল ভাল। তাকে যারা ধরেছিল তারা আবার কাদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে গেল, আর ফাঁক পেয়ে চাঙ চিন দিল ছুট। ছুটতে ছুটতে সে অবশেষে পৌঁছাল বাড়ি।

এদিকে বেহেশতের সন্তান উ-তি তো ধরে নিয়েছিল চাঙ চিন পটল তুলেছে বুঝি। সে যে পটল না তুলে এতোদিন বেঁচে থাকতে পারে এইটা তিনি ভাবেনইনি। ব্যাপক খানাপিনা সমারোহে তাকে বরণ করা হল, আর হাঁ করে দরবারে সকলে শুনতে লাগল চাঙ চিনের বলা গল্প। ফরগনা, সমরকন্দ, বুখারা, বলখ এইসব দূর দেশের কথা চীনে কেউ কখনো শোনেনি, তারা এইসব গল্পে তো ভারি অবাক হয়ে গেল। তারা এই প্রথম শুনল পারস্য বলে এক বিরাট সাম্রাজ্য আছে, আর আছে লি-জিয়েন।

এতদূর একটানা গল্প বলে চৈনিক সওদাগর মুহাম্মদ আমিন থামল। হেলমান্দের পাড়ে কাফেলার জটলায় তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। তারপর কী হল? আমিন গম্ভীর স্বরে বলল,

লি-জিয়েন কি জানেন তো? লি-জিয়েন হল ফিরিঙ্গিদের সাম্রাজ্যের রাজধানী, রোম।

সবাই ফিসফিস করতে থাকল। বিলাল বেগ তথা ইংরেজ চর ক্যাপ্টেন জেফ্রি বার্চ অস্বস্তির সাথে খেয়াল করল মুহাম্মদ আমিন পুরো গল্প অন্যদিকে তাকিয়ে করলেও ফিরিঙ্গিদের রাজধানী রোম বলার সময় ঠিক তার চোখে চোখ রেখে চেয়ে ছিল।

সাড়ে সর্বনাশ।

হেসে আমিন বার্চের দিকে তাকিয়েই বলতে থাকল, তো সেই চাঙ চিনের কাছেই চীনারা খবর পায় ফরগনার ঘোড়ার। নানান যুদ্ধের পরে ফরগনার ঘোড়া যখন সত্যই চীনে আসে, সম্রাট অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তার তাগৎ দেখে। চীনের ঘোড়া ছিল ছোট, মাল টানা যায় কিন্তু যুদ্ধের জন্য একবারে বাত্তি। তাই ফরগনার ঘোড়া দেখে…

আমিনের কথা শেষ হলনা। কাফেলার সকলে হঠাৎ শোনে হৈ হৈ হৈ চিৎকার করতে করতে ছুটে আসছে কে বা কারা। সারা কাফেলা গোল হয়ে বসে গল্প শুনতে যখন মশগুল ছিল তখন কাছেই যে একদল দস্যু এগিয়ে আসছে লুট করতে এইটা তারা খেয়াল করে নাই।

ছোট দস্যুর দল, সকলের ঘোড়াও নেই। কাফেলার সকলে দ্রুত তলোয়ার নিয়ে লড়াই শুরু করে দিল। দলনেতা আজিজ একটা উটের পিঠে সটান চড়ে বসে আরম্ভ করল তীর ছোঁড়া। এইবার দস্যুর দল মাথা বাঁচাতে একটু দূরে গাছের আড়ালে সরে গেল, কয়েকজন না পেরে ঝাঁপ দিল নদীতে। বিপুল বিক্রমে কাফেলার বালুচেরা দস্যুদের গণহারে কচুকাটা করতে থাকল, আর বেগতিক দেখে দস্যুরা সকলেই মোটামুটি দিল ছুট।

এই দ্রুত আক্রমণ প্রতিআক্রমণে ক্যাপ্টেন বার্চ একটু থমকে সরে গিয়েছিল, এরকম তাড়াতাড়ি যে শুরু হবার আগেই লড়াই শেষ হয়ে যাবে এইটা তার মাথায় আসেনি। বড় একটা গাছের একটু আড়ালে দাঁড়িয়ে সমস্ত নজর রাখতে থাকল সে। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে, লড়াইয়ে হুট করে নামা যাবেনা। অজ্ঞান হয়ে গেলে বিড়বিড় করে কোন ভাষায় কথা বলে ফেলবে এই ভয় ছিল বার্চের। ইন্টেলিজেন্স ট্রেনিং এ পরিষ্কার বলা ছিল অযথা গ্যাঞ্জামে না জড়িয়ে পড়তে।

হঠাৎ তার মনে হল ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে আছে কেউ। ঝট করে ঘুরে দাঁড়াল সে। চৈনিক সওদাগর মুহাম্মদ আমিন।

স্থির চোখে বার্চের দিকে তাকিয়ে ভাঙা ভাঙা উচ্চারনে আমিন বলল, ভুইজ রাসি?

শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল ছদ্মবেশী ইংরেজ চর ক্যাপ্টেন জেফ্রি বার্চের। চৈনিক তাকে রুশ ভাষায় জিজ্ঞাসা করছে সে রাশিয়ান কিনা।

এক ঝটকায় কোমরের তলোয়ার বের করে পজিশন নিল বার্চ।

(চলবে)


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। ক্লাবটার নামটা কি পালটানো যায়? কারণ, (ক) স্যাটারডে ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৭৫ সালে (খ) এটা মোটেও তৎকালীন কলকাতার উপকণ্ঠে নয় (গ) এটার আকার মেরেকেটে পাঁচ একর হবে কিনা সন্দেহ আছে।

২। ঐ সময় কলকাতায় পর্তুগীজ কোয়ার্টারটা কোথায়? গোবিন্দপুর বা হুগলীর পর্তুগীজরা তো তখন দূর অতীতের ব্যাপার। রুটি কিনতে হুগলীতে ফরাসীদের কাছে যাওয়া বরং বিশ্বাসযোগ্য।

৩।

রাশিয়া যখন আর্মিনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান ক্যাপচার করে তখন শাহ লন্ডনে খবর পাঠায়, যেন আমরা তাদের সাথে মিলে রাশিয়া ঠেকিয়ে দেই।

রাশিয়া ইয়েরেভান দখল করেছিল ১৮২৭ সালে, ১৮১০ বা তার আগে নয়।

৪। রাশিয়ার সাথে ফ্রান্সের তথা আলেক্সান্দরের সাথে নেপোলীয়নের পিটাপিটি, কোলাকুলি কোনটাই ১৮১২ সালের আগে নয়। ১৮০৭ সালে তিলসিতে একটা কোলাকুলি হয়েছিল বটে তবে সেটা পিটাপিটি পরবর্তী নয়। পিটাপিটির শুরু ১৮১১ থেকে।

৫।

আগুন জ্বালিয়ে রুটি পাক করতে করতে কাফেলার উপসর্দার জালাল ভারি কণ্ঠে বলল, আমিন মিয়া! চীনদেশের গপ শোনান একটা শুনি।

জালাল আমিনকে 'আমিন বে' বা 'আমিন বাই' সম্বোধন করার কথা, 'মিয়া' নয়। আর চৈনিক (হুই) পরিচয় নিয়ে থাকলে আমিনের নাম মুহাম্মদ আমিন হতে পারে না। হবে 'মা আমিন' বা 'আমিন মা'।

৬। যে সময়কালটার গল্প আমিন বলছে সে সময়ে পূর্ব দিককার কোন জাতি তা হান/হুই বা শিংনু যে-ই হোক পশ্চিমের ইউচী/রৌচীদেরকে পরাজিত করতে পারেনি। ৯০ সালে হানরা বান গু'র নেতৃত্বে আক্রমণ চালালেও খোটানের যুদ্ধে শিয়ে'র নেতৃত্বাধীন ইউচীদের কাছে হেরে যায়। এই যুদ্ধের ফলে খোটানতো বটেই সাথে ইয়ারকান্দ আর কাশগড়ও ইউচীদের দখলে চলে আসে। বস্তুত তারও ৬০ বছর আগে ইউচীরা কুশান ডায়নাস্টি প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিল। ৩০ থেকে ৩৭৫ অব্দ পর্যন্ত শাসন করা কুশানদের মধ্যে সবচে’ স্মরণীয় হচ্ছে প্রথম কনিষ্ক (১২৭-১৫১)। তার ২৩ বছরের রাজত্ব তারিমের তুরফান থেকে বিহারের পাটনা (পাটলিপুত্র) পর্যন্ত প্রায় ৩৮,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ছিলো। তার রাজধানী ছিলো পুরুষপুর বা পেশওয়ার। প্রধান কেন্দ্র ছিল আজকের আফগানিস্তানের বাগরাম আর ভারতের মথুরাতে।

৭।

ভুইজ রাসি?

এটা কোন ভাষার বাক্য? রুশ ভাষায় হলে তো জিজ্ঞেস করতো 'তে রুস্‌কি?'


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পীরসাহেবের এই গল্প মনে হয় Peter Hopkirk-এর Foreign Devils on the Silk Road এবং The Great Game বইগুলির ভিত্তিতে লেখা।

(৩) The Great Game অনুযায়ী রাশিয়া ইয়েরেভান অবরোধ করেছিল ১৮০৪ সালে, দখল নয়।

(৪) নেপোলিয়নিক যুদ্ধের ইতিহাস ঘাঁটলে তো দেখা যায় ১৮০৭ সালে ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধে ফ্রান্স রাশিয়াকে পরাজিত করেছিল। পরাজয়ের পর রাশিয়া এবং ফ্রান্সের মধ্যে তিলসিতের সন্ধি হয়। এটাও Hopkirk "The Great Game"-এ উল্লেখ করেছেন।

(৬) Foreign Devils on the Silk Road-এর তথ্য অনুযায়ী খৃষ্টজন্মের অন্ততঃ ১০০ বছর আগে (অর্থাৎ খৃষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর কোন এক সময়ে) হানরা ইউচীদের পরাজিত করে। খৃষ্টপূর্ব ১৩৮/১৩৯ সালে চীনা সম্রাট উ-তি ইউচীদের কাছে দূত পাঠান। সেই হিসাবে এটা নবী মুহম্মদের জন্মের প্রায় ৭০০-৮০০ বছর আগের ঘটনা; আমিন টাইমলাইনে গণ্ডগোল করে ফেলেছে আরকি।

আশা করি পীরসাহেব আরও কিছু তথ্য যোগ করবেন।

Emran

সত্যপীর এর ছবি

পীরসাহেবের এই গল্প মনে হয় Peter Hopkirk-এর Foreign Devils on the Silk Road এবং The Great Game বইগুলির ভিত্তিতে লেখা।

আপনি সঠিক।

..................................................................
#Banshibir.

সত্যপীর এর ছবি

দারুণ, টুপিখোলা কুর্নিশ। সময় নিয়ে পড়ার জন্য এবং ততোধিক সময় নিয়ে টু দ্য পয়েন্ট কুশ্চেনের জন্য। এগুলোর জন্যই লিখে আরাম।

এইবার একে একে আসিঃ

১. এই ক্লাব সেই ক্লাব নহে। প্রকৃত স্যটার্ডে ক্লাবে গপ্প হচ্ছে তা বলিনি। আচ্ছা পাল্টে ভিক্টোরিয়া ক্লাব করে দিলাম।

২. কলকাতায় পর্তুগীজ কোয়ার্টারের কথা আমি পেয়েছি চিত্রকর বালথাজার সলভিন্স এর লেখায়। "Each nation at Calcutta has its particular quarter; so we have the English quarter, the Portuguese quarter, etc.... That which is inhabited by the natives, who, whether they are originally Hindoos or Mussulmans, differ from all the others by their complexion which is as dark as the Caffries,8 is called the Black Town." এইটা ১৭৯১ থেকে ১৮০৩ এর দিকের স্মৃতিচারণ, সুতরাং ১৮১০ থেকে বেশী এদিকওদিক হবার কথা নয়।

পর্তুগীজের রুটি ফরাসীর রুটি থেকে খেতে উত্তম, তাছাড়া ইংরেজ উন্নাসিক মেজর ফরাসী পাড়ায় রুটি দূরের কথা পুপু করতেও যাবার কথা নয়।

৩. ১৮০৪ এর জুনে রাশিয়া ইয়েরেভান দখল করেছিল। পৃষ্ঠা ৭২৮। শাহ এর দোস্ত লন্ডন বা কলকাতা সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

৪. পিটাপিটি কোলাকুলি ১৮১২ এর আগেও হাল্কার উপর ঝাপসা ছিল। ১৮০৭ এর মে তে ফিঙ্কেন্সটিন চুক্তি হয় পারস্য আর ফ্রান্সের মধ্যে। ইংরেজকে গদাম এবং রাশিয়াকে ঠেকিয়ে দেবার চুক্তি। আর হ্যাঁ, তিসলির নদীর পাড়ের মিটিং এর কথাই মেজর স্মল এইখানে বলছেন।

৫. হুই হলে (এই চৈনিক সত্যই হুই কিনা সেইটা নিশ্চিত নয় এখনো) মা সারনেম হত মুহম্মদের বদলে এইটা যেমন সত্য, চৈনিকেরা আরবে গিয়ে নাম পাল্টে মুহাম্মদ বা কোন আরবি নাম নিচ্ছে এই প্রথাও পুরাতন। আমি হাজি ইব্রাহীম নামে এক চৈনিক স্কলারের কথা পেয়েছিলাম, সে হজ্ব করে গিয়ে নিজের নামে ইব্রাহীম জুড়ে দেয়। মুহাম্মদ আমিনে সমস্যা দেখিনা। "মিয়া" ডাকে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু বাংলা গল্পে মিয়া ডাকের স্বাধীনতা আমার থাকার কথা।

৬. এই গল্প আমি পেয়েছি পিটার হপকার্কের বইয়ে। পৃষ্ঠা ১৪ দ্রষ্টব্য। চাঙ চিনের গল্প বলার চৈনিক আমিনের বিশেষ কারণ আছে, তার সম্ভবত ধারণা বিলাল বেগ চাঙ চিনের মত মতলব নিয়ে হিরাত যাচ্ছে।

(তারিমের তুরফান থেকে বিহারের পাটলিপুত্রের রাজত্ব নিয়া লেখা দেন পড়ি। খুবই ইন্টারেস্টিং হওয়ার কথা)

৬. ভুল হইল নাকি? নিশ্চিত হলে বলেন পাল্টে দেই, ভাঙা ভাঙা রাশিয়ান বলছে আমিন। রুস্কি তো স্ল্যাং দেখলাম, তাই রাসি দিলাম। সম্মানার্থে রুস্কি বলা যায় নাকি? (রুশ ভাষায় আমার দখল শূন্য, বিবিধ ওয়েবসাইটই ভরসা...ভুল হইতে পারে)

আবারো অশেষ ধন্যবাদ চিন্তা জাগানিয়া মন্তব্যের জন্য।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ক্লাবঃ থ্যাংকস। বিদ্যমান ক্লাবের নাম থাকলে পাঠক কনফিউজড হয়ে যেতে পারে।

পর্তুগীজঃ আবারো প্রশ্ন, পর্তুগীজ কোয়ার্টারটা কোথায় ছিল? দুইশ' বছর আগে কলকাতার কোথাও পর্তুগীজ কোয়ার্টার থেকে থাকলে এখনো তার কিছু ছাপ থেকে যাবে। লোকেশনটা জানা থাকলে নেক্সট কলকাতা ভিজিটে ওটা কাভার করতাম। কাদের রুটির সোয়াদ ভালো সেটা খানেওয়ালার পছন্দের ওপর নির্ভরশীল। ফরাসীদেরকে বাকি ইউরোপীয়রা যতই গালাগালি করুক বা শ'খানেক বছর ধরে যুদ্ধ করুক তাদের মধ্যে এক প্রকার 'ফরাসীফেটিশ' আছে। সেটা গাঙের উত্তর-পশ্চিম দিকে চরের অ্যাঙ্গল-স্যাক্সন-নরম্যানদের মধ্যেও আছে।

ইয়েরেভানঃ ১৮০৪-১৮১৩ সালের রুশ-পারস্য যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৮০৪ সালের জানুয়ারীতে রুশরা আজারবাইজানের গাঞ্জা শহরটি দখল করেছিল, ইয়েরেভান নয়। ক্যাচালটা ছিল পার্সীদের জর্জিয়ার দিকে হাত বাড়ানোতে। সেখানে আর্মেনিয়া পর্যন্ত যাবার উপায় ছিল না। এমনকি যুদ্ধ শেষে যে 'গুলিস্তানের চুক্তি' হয়েছিল সেটাও লক্ষ করে দেখুন, আলোচ্য এলাকা আজারবাইজান, জর্জিয়া, দাগেস্তান বড় জোর নগর্নো-কারাবাখ। ইয়েরেভান বহু দূরের ব্যাপার। উপরে এমরান দখল নয়, অবরোধের কথা বলেছেন, কিন্তু এর সপক্ষে আমি কিছু পাইনি। ম্যাপের দিকে তাকালেও সেটা মানতে কষ্ট হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

ইয়েরেভানঃ গাঞ্জা হাতছাড়া হয় ১৮০৪ এর জানুয়ারি তে, ইয়েরেভান দখল ১৮০৪ এর মে তে। এইখানে পেলামঃ

"Tsitsianov and 8,000 troops fanned out from Tbilisi in early 1804
to occupy the khanates to the south of Georgia. The first target was
Ganja which fell to Tsitsianov on January 1804 and was renamed
Elizavertpol. … …Following this success, Tsitsianov's forces reached Yerevan on
May 1, 1804. … … Tsitsianov quickly forced Yerevan's commander to surrender."

তথ্যের আদানপ্রদানে মন্তব্য অংশ ভারি হয়ে যাবার আগে চলুন পাণ্ডবদা ফিরে দেখি গল্পে এর রিলেভেন্স টা কী। ১৮১০ এ কলকাতায় বসে ইংরেজ মেজর মার্কাসের বয়ানে আমরা শুনছি রাশিয়ার পারস্যের দিকে হাত বাড়ানোর গল্প। ভীত এবং ক্রুদ্ধ পারস্য আশা করেছিল ইংরেজ তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে, কিন্তু আসেনি। এইটেই বলছে মেজর মার্কাস। এখন আপনি এই উপরের বইয়ের ইয়েরেভান ক্যাপচারের নিচের অংশটায় এরকম পাবেনঃ The Russian arrival into khanates considered to be Iranian dependencies set alarm bells off in Tehran।

সুতরাং দখল নাকি অবরোধ তা নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে, তবে গল্পে রিলেভেন্ট কিনা সেইটা ঠিক থাকা জরুরি।

পর্তুগীজঃ হ্যারিকেন বাত্তি জ্বালায় পর্তুগীজ কোয়ার্টারের কথা খুঁজলাম। ব্ল্যাক টাউনের কাছাকাছি ছিল বলে দেখতেছি, আর্মিনিয়ানদের সাথে। এইখানে পাইলামঃ "…shortly after the English came, the Portuguese who were the only people who kept fowls, the rest of the inhabitants being Hindus to whom fowls are forbidden, were allotted a quarter which came to be designated as Murgihatta, and…"

কলকাতা যাইনাই কখনো, মুর্গিহাটা চিনলাম না। নিচে ম্যাপে হাইলাইটেড এলাকার মধ্যে হওয়ার কথা না?

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হ্যাঁ, গল্পের আলোচনায় গল্পের সাথে রেলেভেন্সের ব্যাপারটা মাথায় থাকা উচিত ছিল। ইতিহাসে ঢুকে গিয়ে সেটা আর আমার মনে ছিল না। স্যরি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

আলোচনা থামিয়ে দেবার জন্য বলিনি, কেবল গল্পের কিবলা ঠিক আছে কিনা সেইটা একটু যাচাই করে নিলাম।

রানা মেহের বলেছেন এই গল্পের পরে প্রবন্ধটাও লিখতে, অরিজিনালি মুরক্রফটের জীবনযৌবন নিয়ে প্রবন্ধ লিখার কথা ছিল আমার। সেইখানেও ফাটায় আলুচনা হৌক, যদি লেখতে পারি সময় করে খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পিটাপিটি-কোলাকুলিঃ ১৮০৭ সালের ফিঙ্কেস্টেইনের চুক্তিটা একটা চোতা কাগজ ছাড়া আর কিছু না। এই চুক্তিরও ৩ বছর আগে রুশদের সাথে এই ডিসপিউটেড এলাকাগুলো নিয়ে পার্সীদের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এই চুক্তি পার্সীদের দুইটা ইউরোপীয় শত্রুর বদলে একটা শত্রুর সাথে যুদ্ধের সুবিধাটা দিয়েছিল।

উপরে এমরান যেমনটা বলেছেন, ১৮০৭ সালে রাশিয়ার ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে ফ্রেইডল্যান্ডের যুদ্ধে হারার পর রুশরা ফরাসীদের সাথে তিলসিতের চুক্তিটা করে - এটা ঠিক। তবে রুশরা যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধিতে আগ্রহী আর ফরাসীরা একটু বিশ্রামের আশায় এমনটা করেছিল। ফরাসীদের সাথে রুশদের মূল যুদ্ধের আগের এই মহড়াটা আমি অগ্রাহ্য করেছিলাম - এটা ঠিক হয়নি।

(অটঃ রুশরা হিটলারের সাথেও চুক্তি করেছিল, এবং সেই চুক্তি তাদেরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। নেপোলীয়নের মতো হিটলারও রাশিয়াতে শেষমেশ জেনারেল উইন্টারের কাছে মার খেয়ে হেরেছে। মস্কোর অতি বুদ্ধিমান নেতৃত্বের কারণে উভয় ঘটনায় সাধারণ রুশীদের অকাতরে প্রাণ হারাতে হয়েছে।)


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মুহাম্মদ/মাঃ আরবী 'মুহাম্মাদ' নামটি চীনা মুসলিমদের (প্রধানত হুই এবং উইঘ্যুর/পূর্ব তুর্কিস্তানী) কাছে গিয়ে 'মা', 'মু' বা 'হ্যান'হয়ে যায়। বাইরের দুনিয়ায় ব্যবহারের জন্য বর্তমান চীনা মুসলিমরা জায়গা বুঝে কখনো তাদের ম্যান্ডারিন নাম আর কখনো পুরো অবিকৃত আরবী নাম ব্যবহার করে। ঠিক এই কালচারটা আসিয়ানের চীনাদের মধ্যে দেখা যায়। ঘরে তাদের নাম পুরো ক্যান্টোনিজে আর বাইরের দুনিয়ায় বাহাসাতে। এখন 'মা আমিন' নিজেকে 'মুহাম্মাদ আমিন' বলেও পরিচয় দিতে পারে। তবে তার নিজের উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে আলটিমেটলি সে নিজেকে চীনা বলে প্রতিপন্ন করাতে চাইছে, তাহলে সে নিজেকে 'মা আমিন' বলে পরিচয় দেবার কথা। (অবশ্য পুরো আমিনও বলবে না। বলবে 'মা আমি'!)

১৮১০ সালে একজন ভারতীয় মুসলিম আরেকজন মুসলিমকে 'মিয়া'কে ডাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ভারতীয়দের স্বভাব হচ্ছে পরের মুখের বুলি বলার। নতজানু মনন, অপচিত মেরুদণ্ড।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

মুহম্মদ চীনে গিয়ে মা হয়ে গিয়েছে এইটা আমি দেখেছি, কিন্তু গল্পে সচেতনভাবেই মা এর বদলে খাঁটি আরবি নাম ব্যবহার করিয়েছি আমিনকে দিয়ে। সে আরব পর্যন্ত গিয়েছে, হয়তো আরো দূরেও যেতে পারে। বালুচ সফরসঙ্গীদের কাছে তারেক অণুর প্রায় সমান ভ্রমণকারী আমিন মিশতে চাওয়ার জন্য এবং তাদের বিশ্বস্ততা লাভের জন্য আরবি মুহাম্মদ নামটাই ব্যবহার করেছে।

আমিনের আরেকটি নাম আছে, সেইটা আরেকটু পরে আসবে। সেই নামও চৈনিক নয়।

নতজানু মনন, অপচিত মেরুদণ্ডের অবজার্ভেশনে উত্তম জাঝা।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

উ তী/চাঙ চিয়েনঃ এমরান রাইট! উ তী'র ঘটনাটা খ্রীস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের। আমি উ তী ও চাঙ চিয়েন সংক্রান্ত কিছু বিবরণী পড়লাম। এখানে দুটো সমস্যা অনুভব করলাম।

এক, নাম পাল্টানোর ক্ষেত্রে চীনাদের জুড়ি নেই। তারা কোন নাম দিয়ে যে কী বুঝিয়েছে সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। চাঙ চিয়েন ইউয়েহ চী'দের দেখা কোথায় পেয়েছিল সেটা নিয়ে একাধিক মত দেখলাম। কেউ বলে উত্তর-পশ্চিম ভারত (কাশ্মীর/লাদাখ নাকি আফগানিস্তান?) আবার কেউ বলে সমরখন্দ! এদিকে আমার জানা মতে, এরা যদি ইউয়েহ চী (এরা ইউচী/রৌচী নয়) হয়ে থাকে তাহলে এদের থাকার কথা কানসু-নিঙশিয়া-চিঙহাই অঞ্চলে। সেখান থেকে ভারত-ফরগানা-সমরখন্দ সবই হনুজ দূর অস্ত! আর এরা ইউচী/রৌচী হয়ে থাকলে ভারত-সমরখন্দে যাওয়ার বহু আগে শিনজিয়াঙ এলাকাতেই এদের সাথে দেখা হয়ে যাবার কথা।

দুই, উ তী'র রাজ্যের সীমা যা বলা হচ্ছে তা যদি সত্য হয় তাহলে সেটা পূর্বে কোরীয় উপদ্বীপ থেকে পশ্চিমে রুশ ফেডারেশনের ইউরোপীয় অংশ আর উত্তরে সাইবেরিয়া থেকে দক্ষিণে মালয় সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই তথ্য হজম করতে গেলে আমাকে ছেউরিয়াতে না হোক অন্তত আমাদের জোড় আমলিতলা শ্মশানঘাট পর্যন্ত যেতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রুশী জবানঃ আমার জানা মতে সচলে অন্তত দুই জন আছেন রুশী জবান যাদের দখলে আছে। একজন হলেন সন্ন্যাসী আর রেকজন হলেন বদ্দা। সংশয় কাটাতে এদের জিগান।

(কুশানদের নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছিলাম তিন বছরেরও আগে। লেখাটা দেড় পৃষ্ঠা লেখার পর সেটা চণ্ডীশিরা রোগে আক্রান্ত হয়। এই জন্য আর লেখা শেষ হয়নি, পোস্টও করা হয়নি।)


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কল্যাণ এর ছবি

হেহ হে চন্ডীশিরা অতি মারাত্মক রোগ। লাখে লাখে কাপ লাল ছা তল হয়ে যায়, বাট পোস্ট আলোর দেখা নাহি পায়!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

কল্যাণ এর ছবি

চাং চিনের 'শিলনোড়া ফাটানো'র ব্যাপারটা মানে ফ্রেজটা ভাল্লাগছে খুউপ। এই শিলনোড়া কি মধ্যপ্রদেশের জোড়া আঙুর ফাটানোর সংক্ষিপ্ত রুপ? এইটা এখন থেকে ইউজ করতে হপে।

গপ্প দারুণ জমে গেছে, আর ঘুমায়েননা, শিলনোড়া আস্ত রাখতে চাইলে এইবার বাকি কিস্তিগুলা এক বারে ছাড়েন শয়তানী হাসি

পান্ডবদার মন্তব্য ভাল্লাগে, বেশি কিছু না বলি নাইলে পান্ডেদা আবার শরম পেয়ে চেপে যেতে পারেন।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সিরিজ শেষ হবার পরেই পুরোটা পড়বো বলে জমিয়ে রাখলাম। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সত্যপীর এর ছবি

খুবই খারাপ বুদ্ধি। বুড়া হয়া যাবেন ততদিনে। বুড়া বয়সে কম্প্যুটার স্ক্রিন পড়া ঠিকনা, ডাক্তার মানা করে।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

নো ইয়া বেঙ্গাল্‌স্কি! দেঁতো হাসি

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

ইয়া হাবিবি।

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

এইবারে গপ-এ মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। তবে আপনার গপ-এর কারিকুরিতে যে ব্যাপারটা আমার বেজায় ভাল লাগে সেটা এ লেখাতেও আছে। সেইটায় আবারও বেপক আমোদ অনুভব করেছি! হে হে! -
"কাফেলার উটের কিশোর চালক আলী আহমদ গল্পের মাঝখানে ফস করে বলে উঠল, বিসমিল্লা বলছিল সত্যই?

গল্পের মাঝখানে আচমকা থেমে গিয়ে আমিন একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। সবাই কেমন একটা হাসি দিয়ে উঠল এই প্রশ্নে। দলনেতা আজিজ উঠে ঠাস করে আলীকে একটা চড় দিয়ে বলল, হারামজাদা আরেকবার গল্পের মাঝখানে আওয়াজ করলে উলটা কইরে গাছে বাইন্ধা রাখব সারারাত। একদম চুপ! বদের হাড্ডি।

চড় খেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতে থাকল আলী আহমদ মাথা নিচু করে।"

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

মাথা ভোঁ ভোঁ করার কারণ কি অতিরিক্ত তথ্য? আমি গ্রেট গেম নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে শেষ মুহুর্তে ঠিক করি গল্প লিখব, তথ্যগুলোর ভিত্তিতে। সেইজন্য আমার খসড়াভর্তি কেবল ঝুড়ি ঝুড়ি তথ্য। ভালো গল্পে তথ্য আসা উচিৎ চামেচিকনে, পাঠকের মাথা ভোঁ করার কথা নয়।

দুঃখিত। ভবিষ্যতের পর্বগুলোয় তথ্য আরো ভালো করে মিশিয়ে দিতে চেষ্টা করব যেন গল্প গল্পই থাকে।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... – দ্বিতীয় পর্ব

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

জব্বর। .....
আপনার সিরিজগুলো পড়বার সময় আমিও মাঝে মাঝে ভাবি জমিয়ে রাখি পর্বগুলো, পরে একসাথে পড়ব. যদিও পরে একসময় আর লোভ সামলাতে না পেরে পড়ে ফেলি।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

সত্যপীর এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস।

..................................................................
#Banshibir.

মরুদ্যান এর ছবি

অসাম হয়েছে মাইরি! চলুক

পাণ্ডব দা এত কিছু কেম্নে জানে? গুরু গুরু

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সত্যপীর এর ছবি

হ।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পাণ্ডবদারে কোনও গপ্পের জ্ঞানীগুণী দেইখা একটা চরিত্রে ফিট কইরা দ্যান পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ হাসেন ক্যান? ও হ্যাঁ, মাথামুথা কাইটেন না। জিন্দা থুইয়েন। চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

কি যে বলেন, দুইটা বিখ্যাত চরিত্রে তো উনি অলরেডি ফিট হয়ে আছেনই! শার্লক হোমসের বড়ভাই মাইক্রফট হোমস আর ফেলুদার সিধু জ্যাঠা আসলে কাকে দেখে লেখা হইছিল এখনো বুঝেন নাই??? দেঁতো হাসি

****************************************

তানিম এহসান এর ছবি

জমেছে, লেখা -গুড়- হয়েছে

সত্যপীর এর ছবি

কৈতেছেন?

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

একমাস জমে থাকবে না মশাই, তাত্তাড়ি ছাড়ুন পরের পর্ব চাল্লু

নজমুল আলবাব এর ছবি

এক পর্বের থেকে আরেক পর্ব ১ মাস পরে আসলে নতুন করে প্রথমটায় চোখ বুলিয়ে আসতে হয়। মন খারাপ

এই পর্বের সবচে বড় প্রাপ্তি মন্তব্য। পাণ্ডবদাকে ধন্যবাদ।

সত্যপীর এর ছবি

এক মাস পরে না তো, প্রায় দেড় মাস পরে দিলাম শয়তানী হাসি

পরেরটাও দিরং হইতে পারে, সেন্ট পিটার্সবার্গের রাশান কুতুবেরা আসতেছে।

..................................................................
#Banshibir.

রানা মেহের এর ছবি

পুরোটা একবারে দিননা। বড় হলে হোক। উপন্যাস করার চিন্তা থাকলে অবশ্য আলাদা কথা।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সত্যপীর এর ছবি

পরের পর্ব তো লেখিনাই এখনো!

উপন্যাস হবে না। চাইর পর্বে খতম এনশাল্লাহ। পাঁচ ম্যাক্স।

..................................................................
#Banshibir.

রানা মেহের এর ছবি

আচ্ছা গল্প লেখার পাশাপাশি আপনি যে প্রবন্ধ লিখতে চেয়েছিলেন, সেটাও লিখুন না।
ইতিহাস জানাটাওতো জরুরী। আমাদের অনেকেরই অন্তত আমার কখনো এই বইগুলো পড়া হবেনা।
আপনি লিখলে সেই লেখাটাই পড়া হবে।

প্রবন্ধও আসুক।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সত্যপীর এর ছবি

আচ্ছা লিখব তাহলে। লেখার ফর্দ কেবল বেড়েই চলেছে, প্রচুর অসমাপ্ত আইডিয়া পড়ে আছে পিসির কোনায়। জীবন অত্যাধিক ছোট।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

কলকাতার সব থেকে নিকটবর্তী পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল ব্যাণ্ডেলে,ষোড়শ শতকে তৈরি,কলকাতা থেকে ৪৫/৫০ কিমি দূরে,তাকে ঠিক উপকন্ঠে বলা যায় না।
শহর কলকাতার চৌহদ্দির মধ্যে পর্তুগিজ,আর্মানি,ইহুদি,গ্রিক অনেকেই বাস করতো,প্রবণতা ছিল আলাদা আলাদা পাড়ায় ঘেঁষাঘেষি করে বাস করার,ঘেটোর ধরনে।এই ঘেটোগুলিকে চিহ্নিত করা যায় তাদের ধর্মস্থান দিয়ে,পরে অধিকাংশ ঘেটোই মিশ্রিত বসতিতে রূপান্তরিত হয়।
আমার জানা মতে,কলকাতায় পর্তুগিজ গির্জা দুটি,প্রাচীনতমটি ১৭০০ সালে তৈরি,Cathedral of Our Blessed Lady of Rosary,ঠিকানা পর্তুগিজ চার্চ স্ট্রিট,একেই মুর্গিহাটার গির্জা বলা হতো।দ্বিতীয়টি Church of Our Blessed Lady of Dolours, বৌবাজার স্ট্রিট,বর্তমান বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটে অবস্থিত।
কোনও কারণবশত অন্যান্য বিদেশিদের অনেক আগেই পর্তুগিজরা কলকাতা ছাড়তে শুরু করে।উনিশ শতকের মাঝামাঝি দেখা যাচ্ছে পর্তুগিজ চার্চ স্ট্রিটের বাসিন্দাদের প্রায় সকলেই অ-পর্তুগিজ।এটা যে স্বাভাবিক কিছু নয়,বোঝা যায় পাশের রাস্তা আর্মেনিয়ান স্ট্রিট দেখলে।ঠিক একই সময়ে এই রাস্তার ২৯টি বাড়ির ২৬টিরই বাসিন্দা আর্মানিরা।প্রসঙ্গত,আর্মেনিয়ান চার্চ এই রাস্তাতেই অবস্থিত।
অবশ্য তার অনেক পরে,এমনকি হালআমলেও কলকাতার নাগরিক তালিকায় অনেক ডি সিলভা,পেরেইরা,ডি সুজা,লোপেজ,ডি ক্রুজ,ডি রোজারিও,ফার্নান্দেজদের দেখা মেলে,এঁরা সকলেই ইউরেশিয়ান।
বুড়া

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আগ্রহ জাগানোর মতো কয়েকটা থ্রেড পাওয়া গেলো। পর্তুগীজ ফ্যামেলি নেমগুলোর যে উদাহরণ দিলেন সেগুলো তো অ-ইউরেশিয় লোকাল ক্রিশ্চিয়ানদের মধ্যে আকছার দেখা যায়। সম্ভবত কনভার্সনের সময় কোন কারণে তাদের পূর্বপুরুষ ঐ ফ্যামেলি নেম নিয়েছিলেন।

অটঃ হঠাৎ হঠাৎ কোন কোন লেখায় আপনার দেখা পাওয়া যায়। একটু নিয়মিত মন্তব্য করলে পারেন। আর একটু সময় করে দুয়েকটা ব্লগ লিখলেও পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পরামর্শ মন্দ না,হিতাকাঙ্খী বটে!সব বিষয়ে মন্তব্য করতে যাই,আর কলসির যাবতীয় ফুটো প্রকাশ্যে আসুক।বুড়ো বয়েসে বেইজ্জতির একশেষ হোক।
একটা চুক্তি আছে আপনার সঙ্গে পুরনো ঢাকা দেখাবার,আশা করি ভোলেননি।
বুড়া

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সব বিষয়ে কি আর মন্তব্য করতে বলেছি! যে সব বিষয় আপনার ভালো লাগে, যেখানে কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখতে পেলেন, যেখানে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে, যেখানে আপনারও কাছাকাছি একটা গল্প আছে - অমনসব বিষয়ে মন্তব্য করুন। আর ব্লগে সব জ্ঞানের জুড়ি নামাতে হবে - এমন কোন কথা নেই। আপনি আপনার অভিজ্ঞতার গল্প বলতে নিলে আরেকটা 'আলিফ লায়লা' বা 'ডেকামেরন' হয়ে যাবার কথা। সেগুলোই না হয় বলুন।

ঢাকা আসার আগে এই অধমকে একটু স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকলে, সুস্থ থাকলে, ঢাকায় উপস্থিত থাকলে আপনাকে পুরনো ঢাকা দেখানো, তার খাবার খাওয়ানো এসব কোন ব্যাপার না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কল্যাণ এর ছবি

হেহ হে পুরানঢাকা ঘুরে আরো অনেকেই খাইদাই করতে চায় চলুক চোখ টিপি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সত্যপীর এর ছবি

শহর কলকাতার চৌহদ্দির মধ্যে পর্তুগিজ,আর্মানি,ইহুদি,গ্রিক অনেকেই বাস করতো,প্রবণতা ছিল আলাদা আলাদা পাড়ায় ঘেঁষাঘেষি করে বাস করার,ঘেটোর ধরনে।

কলকাতার ইহুদিদের নিয়ে পড়তেছিলাম একদিন, বাগদাদি/ইরাকি ইহুদিদের সেটেলমেন্ট বম্বে আর কলকাতায়। খাঁটি কসমোপলিটান এলাকা ছিল ভারতবর্ষ, আরব ইয়োরোপীয় ইহুদি আফ্রিকান রাশিয়ান চীনা মালয়... কে নাই।

এই বই থিকা কলকাতায় বাগদাদি ইহুদির বংশধর মোজেস ইলিয়াসের ছবি দেখেন। মনে হয় সিনেমার সেট।

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

এই জন্যেই মাঝে মাঝে আমার ইহুদি হয়া যাইতে মুঞ্চায়!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

বান্ডেল চার্চ দেখতে গিয়েছিলাম ২০০৪ এ, আচ্ছা ওটাই কি উপমহাদেশের সর্বপ্রথম চার্চ নয়?

অতিথি লেখক এর ছবি

কলকাতার ইহুদিরা প্রায় সকলেই ইস্রায়েল চলে গেছে,কিছু অস্ট্রেলিয়া,আমেরিকা প্রভৃতি দেশে।নাছোরবান্দা যে পরিবারটি টিকে ছিল,তারা হচ্ছে নহুম (Nahum),কলকাতার নিউ মার্কেটে এদের বেকারির দোকান।
ওরা যেতে পারছিলেন না কারণ দীর্ঘপুরনো এই দোকানের কর্মচারীদের কী হবে? এই দোকান এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রচুর লেখা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
আমি নহুমে যাই,ঠিক বছর মনে নেই,বাবার হাত ধরে,ষাট/বাষট্টি বছর আগে তো বটেই।এখনো যাই।
কলকাতায় গেলে এদের Black Forest Cake খেয়ে দেখবেন।গুরুমারা চেলা!
বুড়া

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই নহুম, তাদের বেকারি আর তাদের মতো যারা চলে গেলেন তাদের গল্প নিয়ে একটা পোস্ট দিন বস্‌!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

আমি নহুমে যাই,ঠিক বছর মনে নেই,বাবার হাত ধরে,ষাট/বাষট্টি বছর আগে তো বটেই।এখনো যাই।

বলেন কী! পুরানো কলকাতা নিয়ে গল্প ছাড়েন তাইলে।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

পর্ব এত ছুটো কেনে?

সত্যপীর এর ছবি

টানা লিখলে ঘুম আসে।

..................................................................
#Banshibir.

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

এটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো।

--------------------------------------------------------------------------------

সত্যপীর এর ছবি

এইটা ভাবি মনে করেন মাস দেড়েকের আউটপুট। আরো লাম্বা পর্ব দিতে গেলে ছয়মাস পরপর কিস্তি আসবে চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

১) চোখ গোল্লা গোল্লা করে আপনার লেখা পড়ি, মাঝে মাঝে নোট করে রাখি লিঙ্কগুলি, পরে বিস্তারিত পড়ার জন্য। ইতিহাস আমার খুব ভাল লাগে পড়তে, কিন্তু একটা সময় সুযোগ ছিল না বই সংগ্রহের আর এখন সময় করতে পারি না। বুড়া বয়সে পারবো বোধ হ তখন দেখা যাবে লিঙ্কগুলি কাজ করতেসে না, বইগুলি পোকার পাকস্থলীতে আর আমার চক্ষু কর্নিয়া ব্যাঙ্কে।
২) এই লেখাটি বই অন্ততপক্ষে ই বই করার কথা বিবেচনা করবেন ?
৩) লেখা এবং মন্তব্য অসাধারণ (ভালো কথা অসংখ্যবার বললেও ক্ষতি নেই দেঁতো হাসি )

অন্য প্রসংগঃ আপনার কন্যা এবং আপনি কেমন আছেন ?

সত্যপীর এর ছবি

১। আমিও চোখ গোলগোল করে লিখি। ইতিহাস একটি ফ্যাসিনেটিং বিষয়।
২। গোটা পঞ্চাশ গল্প হইলে ইবুক কইরা বড়লোক হয়া যাব এরকমই প্ল্যান। দেখা যাক। কাগুজে বইয়ের কোন প্ল্যান নাই।
৩। ধন্যবাদ। মন্তব্যের ক্রেডিট যদিও আমার প্রাপ্য না।

অন্য প্রসংগঃ কন্যা আছে চমেতকার। তারে কোলে নিয়াই লিখি। আরেকটু বড় হইলে আমার টাইপিং করার ঝামেলা চুকে যাবে চোখ টিপি

..................................................................
#Banshibir.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পরের পর্ব কই?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সত্যপীর এর ছবি

সেন্ট পিটার্সবার্গের ভাগ্যাকাশে আজ কেন দুর্যোগের ঘনঘটা?

..................................................................
#Banshibir.

মাসুদ এর ছবি

তিন চার মাস পর পর এসে দেখে যাই, খোরাসানের নেক্সট পর্বটা আসলো কি না ? হালি বছর কিন্তুক পার হইবার পথে ।।।।।।

গল্প শেষ না করলে, মইরা গেলেও আফসোস রইয়া যাইবো ওঁয়া ওঁয়া প্লাস কেয়ামতের দিন দাবী থাকবো রেগে টং

সত্যপীর এর ছবি

নানাবিধ ঝুটঝামেলার মধ্যে থাকি, একপাতা লিখে ইদানিং সপ্তাখানেক আর বসা হয়না। এর মধ্যে এইসব মন্তব্য দেখলে মনটা খারাপ হয়। লিচ্চয় আরেকটা লেখা দিব বস দ্রুত। কিন্তু, সেইটা খোরাসান না। কৈফিয়ত দেই।

আমি মূলত মোগল ভারতীয় ইত্যাদি নিয়ে লিখতে লিখতে এক ধরনের স্ট্রেচ এসাইনমেন্ট হিসাবে নিজের লেখার ক্ষেত্র মধ্য এশিয়া, রাশিয়া (এই গল্পে) কিম্বা চীন ইন্দোচীন (লালু - লাও বাঙ) পর্যন্ত টানতে চেয়েছিলাম। দেখি না কদ্দুর যেতে পারি টাইপ ব্যাপার। কিন্তু সমস্যা হল, অল্প পড়াশুনার উপর ভিত্তি করে ইতিহাসভিত্তিক গল্প লেখা খুব কঠিন। ধরেন আমার গল্পে উপমহাদেশীয় কোন মাহুত কিম্বা ভিস্তিওলা, রাজপুত তলোয়ার প্রস্তুতকারী, উত্তর/মধ্য ভারতের স্থানীয় মহারাজার গোপন চর এইসব মানুষেরা কী খায়, কী পরে, ঘরে ফিরে বাচ্চার সাথে কী দিয়ে খেলে, বাজারে গিয়ে কী নিয়ে দরদাম করে, কোন মদ খেয়ে বাজারে কোন নারীর কাছে যায়, সেই বাজারি নারী কোন দুশমন রাজার হতভাগ্য মহলের নারী ইত্যাদি এসব বিষয়ে আমার খুবই শক্ত দখল। আক্ষরিক অর্থেই এসব নিয়ে শত শত বই পুস্তকের খবর আমার জানা।

কিন্তু একই বিষয়ে রাশান চর, চীনে গোয়ালা, মালয় জেলে, তাতার ঢালপ্রস্তুতকারীর মনের খবর আমার জানা নাই। সেসব এলাকার ভূ-রাজনীতি বিষয়েও আমার জ্ঞান স্বল্প। ভেবেছিলাম লিখতে লিখতে জানতে থাকব, কিন্তু কিছুদূর গিয়ে আটকে গিয়ে বুঝলাম আগে জেনে তারপরেই লিখতে হবে। তাই আপাতত সকল লেখার পটভূমি হিসেবে উপমহাদেশেই ফিরে গিয়েছি। হাজার হাজার গল্প সেখানেও পড়ে আছে আমার বলবার অপেক্ষায়।

মধ্য এশিয়া নিয়ে একদিন আবার অবশ্যই লিখব কিন্তু। তবে সেটা খোরাসানের পরের পর্ব নয়। অন্য কোন লেখা। অন্য এক সময়। আরেকটু বুঝে নেই ব্যাপার্স্যাপার। বুঝলেন তো?

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ইতিহাস নিয়ে প্রবন্ধ/নিবন্ধ/গল্প/উপন্যাস ইত্যাদি লেখার সময় সবচে' বড় ব্যাপার হচ্ছে লোভ সংবরন করা। কারণ, নানা প্রকার তথ্য, নানা প্রকার ইশারা, নানা প্রকার ঘটনাসংযোগ-তথ্যসংযোগ-বিষয়সংযোগ হাতছানি দিতে থাকে। যেহেতু পৃথিবীতে কোন কিছুই একটিমাত্র কারণে সংঘটিত হয় না তাই কারণের সাথে কারণের লেজে লেজে জোড়া দিলে সমুদ্র পার হয়ে যাবে। তাই ইতিহাস নিয়ে লেখার সময়, বিশেষত ফিকশন লেখার সময় স্থান-কাল-পাত্র খুব সীমাবদ্ধ রাখলে সব পক্ষের জন্য ভালো হয়।

আপনি যে বললেন,

এসব বিষয়ে আমার খুবই শক্ত দখল

- এই কথাটা বলার জন্য হিম্মত লাগে, সেটা খুব খুব কম জনের থাকে। এই আত্মবিশ্বাস তো হাওয়া থেকে আসেনি, এর জন্য কঠোর পরিশ্রম লেগেছে। সেই পরিশ্রমের ফসলের ভাগ আমাদের যেটুকু পাওনা হয় সেটুকু আমাদেরকে দিন। অর্থাৎ আপনি নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা উপমহাদেশের গণ্ডিতে থেকে প্রবন্ধ/নিবন্ধ/গল্প/উপন্যাস রচনা করে আমাদের পাতে দিন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস। লেখা কয়েকটা হাফডান পড়ে আছে, তারমধ্যে সিসোদিয়া মোগল কামড়াকামড়ি নিয়ে লেখাটা এগিয়ে। আর পাতা দুয়েক লিখেই পোস্ট করে দিব ভাবতেছি। আস্ত রাজপুত-মোগল ভাবভালুবাসা নিয়ে আড়াই গজি লেখা দেওয়ার বদলে প্রধান দুই তিনটা গোত্রের সাথে মোগল সম্পর্ক নিয়ে ছোট করে লিখব ঠিক করলাম...

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঠিক আছে! আপনি যেভাবে সুবিধা মনে করেন সেভাবেই দিন। আমরা লেখা পেলেই হলো। লেখালেখি জারী রাখা খুব কঠিন কাজ। যে এই পেইনের মধ্য দিয়ে যায়নি তাকে এটা বোঝানো যাবে না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।