Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

একাত্তরের চিঠিঃ ভালো কাজের পরেও আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত মতিউর রহমান সাহেব

এম. এম. আর. জালাল এর ছবি
লিখেছেন এম. এম. আর. জালাল (তারিখ: সোম, ২০/০৪/২০০৯ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাত্তরের চিঠি-প্রচ্ছদএকাত্তরের চিঠি-প্রচ্ছদ

কপিরাইট

আবীরের মামার বাসায় দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি সদ্য ঢাকা থেকে এসেছেন। স্বর্ণা যখন ‘একাত্তরের চিঠি’ বইটা হাতে দিয়ে বলল ‘ফুপা, আপনার জন্য’- তখন বইটা হাতে পেয়ে এতই আনন্দিত ও উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম যে তখুনি পড়তে বসে গেলাম। কিন্তু তৃতীয় পৃষ্ঠায় এসে ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল। যে কোন বইয়ের গ্রন্থস্বত্ত্ব প্রকাশকের থাকতেই পারে। তাই বলে এই চিঠির সংকলন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত চিঠি আছে- তার স্বত্ত্ব কীভাবে আপনার হয়!

উপরন্তু, আরো দুঃখ পেয়েছি যখন দেখলাম নীচে লেখা আছে- ‘এই প্রকাশনার কোন অংশ......... বৈদ্যুতিক মাধ্যমে অনুলিপি করা যাবে না’। এই সংকলনের ক্ষেত্রে এটা করার কি কোন প্রয়োজন ছিল? কিছুদিন আগে মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বইটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এই মানুষগুলোর পাশে এতদিন থেকেও কি আপনারা কিছু শিখতে পারলেন না? মুক্তিযুদ্ধ কি আপনাদের কাছে নিছকই একটি ‘ব্যবসায়ের হাতিয়ার’?

আর একটা কথা না বলে পারছি না। এখানে মুক্তিযোদ্ধা মুশতাক এলাহীর দু’টো চিঠি ছাপা হয়েছে। একটি তাঁর স্বনামে, অন্যটি ছদ্মনামে। দু’টো চিঠিতেই তাকে শহীদ বলে উল্লেখ করে মৃত বানিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ তিনি এখনো সুস্থ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের আরেক ভাই মুখতার এলাহী। এছাড়া চিঠির প্রাপক মুশতাক এলাহীর বড় ভাইয়ের নামও ভুল লেখা হয়েছে। তাঁর নাম মাহমুদ এলাহী নয়- ড. মওদুদ এলাহী। মাত্র এই ক’টা চিঠির সংকলন ছাপাতে এমন মারাত্মক ভুল কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

জীবত মানুষকে রীতিমতো শহীদ উপাধী দিয়ে চিঠি লেখা হয়ে গেছে!!!!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রাজাকারকে শহীদ/মুক্তিযোদ্ধা করার চেয়ে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ করে দেওয়া ভাল!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই মানুষগুলোর পাশে এতদিন থেকেও কি আপনারা কিছু শিখতে পারলেন না? মুক্তিযুদ্ধ কি আপনাদের কাছে নিছকই একটি ‘ব্যবসায়ের হাতিয়ার’?

এই চিঠিগুলো যাঁরা উন্মুক্ত ভাবে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ও প্রকাশের নিমিত্তেই দিয়েছেন। এই চিঠিগুলো ব্যবসায়িক ভাবনাপ্রসূত হয়ে কুক্ষিগত করে রাখা মানবিক দৃষ্টিতে অপরাধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে চূড়ান্ত ধৃষ্টতা বলে মনে করি।

হলোকস্টের (শুধু ইহুদি-নিধন নয়, যেকোন গণহত্যা) ইতিহাসের কোন নথির স্বত্ব নেই, যাতে সবাই তা জানতে পারে। দুঃখজনক হল, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে হাট-বাজারে ছড়িয়ে না দিয়ে প্রকাশকের গুদামে বন্দী করে ফেললাম অল্প কিছু টাকার জন্য।

আশা করি মতিউর রহমানের সুশীল মনে স্বাধীনতার সুবাতাস বইবে। নতুবা আমাদের মত প্রবাসীদের পক্ষে শত ইচ্ছা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না।

একটু ভেবে দেখুন, যদি উইকিপিডিয়ায় কিংবা কোন ই-বুকে যুদ্ধের ময়দান থেকে রচিত এই ব্যাক্তিগত আখ্যানগুলোকে স্থান দেওয়া যেত, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পেছনের দেশাত্মবোধ ও আবেগকে কত সহজে ছড়িয়ে দেওয়া যেত।

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

তাও ভাল, আপনার কল্যানে একটা সত্য অন্তত জানা গেল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

বিপ্রতীপ এর ছবি

যারা স্বাধীনতা দিবসে লাল সবুজে খাবার বানানোর রেসিপি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্ভট বানিজ্যিকীকরণ করতে পারে তারা 'একাত্তরের চিঠি' নিয়েও ব্যবসা করবে না সেইটা আশা করাটাই ভুল। ইশতি একদিন একটা ঠিক কথা বলেছিল, মুক্তিযুদ্ধ এখন গরীবের বউ, সবার ভাবী হয়ে গেছে, যে যেমন পারে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছে...।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

হিমু এর ছবি

চিঠিগুলি যাঁদের, তাঁরা কি স্বত্বত্যাগ করেছেন, বা চিঠিগুলি বিক্রি করেছেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে চিঠিগুলির স্ক্যানড কপি ট্র্যান্সক্রিপ্টসহ বাংলা উইকিপিডিয়ায় যোগ করা যেতে পারে। অন্তত মুশতাক এলাহী বা মওদুদ এলাহী এ ব্যাপারে সহায়তা করতে পারেন।

মুখে একদলা থুতু জমা হয়েছিলো কেন যেন, টয়লেটে গিয়ে বেসিনের ওপরই ফেললাম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রাগিব এর ছবি

বাংলা উইকিপিডিয়া ঠিক না, এগুলো স্থান পেতে পারে বাংলা উইই সংকলনে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রাজাকারের চিঠি ছাপিয়ে পয়সা কিংবা খ্যাতি অর্জন করার দিন( দুর্দিন) যদি আসে কোনদিন সেদিন ও এরা একই রকম বানিজ্য করবে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

এখানে কপিরাইট ব্যাপারটা ধরলে, মুক্তিযুদ্ধের কপিরাইটের ব্যাপার এসে যায়। মনে হয় মুক্তিযুদ্ধেরও কপিরাইট থাকা দরকার।

চিঠিগুলো যাদের কাছ থেকে সংগৃহীত, তাদের কাছ থেকে চিঠিগুলো, চিঠির শব্দগুলো আজীবনের জন্য কিনে নেয়া হয়েছে?

বানিজ্য বেসাতি এখানেও? আমিও দুঃখিত মতি ভাই।

অনিকেত এর ছবি

জালাল ভাই, আবারো আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার জন্যে।

প্রথম 'আলু'-র উপর থেকে অনেক দিন থেকেই শ্রদ্ধা হারিয়েছি। বিতৃষ্ণা শুরু হয়েছে গত বছর দুয়েক থেকে---বিশেষ করে কার্টুনিষ্ট আরিফের এবং আরো কিছু সমান্তরাল ঘটনায় প্রথম 'আলু'-র ভূমিকায়। একজন বামপন্থী যখন দাস্যের দাসখত লিখে দেন--তখন সেটা কী রকম অশ্লীল দেখায় তা জানতে 'আলু'-র ভালু 'চুমপাদক' মতিয়ুর রহমান কে দেখলেই যথেষ্ট।

কাজেই তাদের জতুগৃহ থেকে বেরিয়ে আসা এই প্রকাশনায় এ রকম থাকাটাই স্বাভাবিক। আমি মোটেও আশ্চর্য হইনি। বরং কিঞ্চিত কৃতজ্ঞ বোধ করেছি----মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিরল সঙ্কলনের ভূমিকা রাজ্যের কোন দাসানুদাস বা রাজাকারদের দিয়ে লেখানো হয়নি বলে।

বহু আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম---লোহার চোঙ্গায় কুকুরের লেজ একমাস ঢুকিয়ে রাখলেও সেটা আসলে সোজা হয়না। তাই কুকুরের লেজ সোজা করার চেষ্টা না করে যেটা করা উচিত, সেটা হল, তার লেজ কেটে ফেলা।

অনিকেত এর ছবি

জালাল ভাই, আবারো আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার জন্যে।

প্রথম 'আলু'-র উপর থেকে অনেক দিন থেকেই শ্রদ্ধা হারিয়েছি। বিতৃষ্ণা শুরু হয়েছে গত বছর দুয়েক থেকে---বিশেষ করে কার্টুনিষ্ট আরিফের এবং আরো কিছু সমান্তরাল ঘটনায় প্রথম 'আলু'-র ভূমিকায়। একজন বামপন্থী যখন দাস্যের দাসখত লিখে দেন--তখন সেটা কী রকম অশ্লীল দেখায় তা জানতে 'আলু'-র ভালু 'চুমপাদক' মতিয়ুর রহমান কে দেখলেই যথেষ্ট।

কাজেই তাদের জতুগৃহ থেকে বেরিয়ে আসা এই প্রকাশনায় এ রকম থাকাটাই স্বাভাবিক। আমি মোটেও আশ্চর্য হইনি। বরং কিঞ্চিত কৃতজ্ঞ বোধ করেছি----মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিরল সঙ্কলনের ভূমিকা রাজ্যের কোন দাসানুদাস বা রাজাকারদের দিয়ে লেখানো হয়নি বলে।

বহু আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম---লোহার চোঙ্গায় কুকুরের লেজ একমাস ঢুকিয়ে রাখলেও সেটা আসলে সোজা হয়না। তাই কুকুরের লেজ সোজা করার চেষ্টা না করে যেটা করা উচিত, সেটা হল, তার লেজ কেটে ফেলা।

সবজান্তা এর ছবি

ব্যক্তিগত এক সূত্রে জেনেছিলাম যে প্রথম আলো- গ্রামীনফোন প্রচুর টাকা খরচ করেছে শুধুমাত্র চিঠিগুলির "অথেনসিটি" যাচাই করার জন্য। এমনকি বেশ কিছু চমৎকার চিঠিও বাদ পড়ে গিয়েছে সূত্রের সম্পর্কে নিশ্চিত না হতে পারার কারণে।

কিন্তু এতো বাহারি উদ্যোগের ফলাফল যদি এই হয়, দিব্যি বেঁচে থাকা মানুষকে শহীদ বানিয়ে ফেলে, তাহলে বুঝতে হয় কাজ যাই হোক না কেন, প্রথম আলো তর্জন গর্জনটা ভালোই ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।

কপিরাইটের ব্যাপারে মন্তব্য করার রুচি হচ্ছে না।


অলমিতি বিস্তারেণ

কীর্তিনাশা এর ছবি

ইহাকেই বলে জাত ব্যবসায়ী, যারা কিনা ব্যবসার খাতিরে মা-বাপকেও ছাড়ে না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অনিকেত দা, আপনার মন্তব্যটা ফেসবুকে হলে একটা "আই লাইক" দিতাম।

বিপ্র, কথাটা এই মন্তব্যেও লিখতে গিয়েও লিখিনি। মনে আছে দেখে মজা পেলাম। কী দুর্দিন যে এলো...

এখানেই বলে যাই... জালাল ভাই Duke University তে কেউ আছেন কিনা খোঁজ করছিলেন। আমার চেনা কাউকে পাচ্ছি না। কোন পাঠকের চেনা-জানা কেউ থাকলে জানিয়েন। একটি জরুরি নথি প্রয়োজন।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এই কাজটা করার পেছনে উনার কী লজিকটা কাজ করছে জানা উচিত।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মন খারাপ ভাষা পাই না।

ধন্যবাদ, জালাল ভাই। ব্যাপারটি উত্থাপনের জন্য।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

ভুল তথ্য ও ব্যাপারী মানষিকতা প্রদর্শনের পরেও আসুন আমরা শহীদ মতিকে ক্ষমা করে দেউ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আলু বেচো পটল বেচো বেচো সোনাদানা ...।

রণদীপম বসু এর ছবি

বণিক্য-চরিত্রে তো এটাই স্বাভাবিক ! এখানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই ! মুক্তিযুদ্ধ বহু আগেই ব্যবসায়িক পণ্য হয়ে গেছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন সেক্টরের হোমড়া-চোমড়ারা বিকিয়ে খাওয়া থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে করছেন না। এটাকে এখন এমনই ডালভাতের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যে, এসব দেখে সাধারণের মনে আর কোন প্রতিক্রিয়াই হয় বলে মনে হয় না ! যারা আত্মীয়-পরিজন হারিয়েছেন এদের কোন বেইল আছে নাকি ! কেউ পোছেও না তাদের।

ধন্যবাদ জালাল ভাই, মুখোশের কোণা ধরে টান দেয়ার জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নজমুল আলবাব এর ছবি

এদের বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় দল বেধে মতি ভাইকে গালাগাল করার চাইতে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা উচিত। গালি দিয়া কোন ফায়দা হবেনা। বাংলাদেশে কপি রাইটের বিষয়টা গতবাধা, প্রায় সব বইতেই কপি রাইট আর বার কোড উল্লেখ থাকে, সবাই খুব কড়া কড়ি ভাবে ওগুলা ফলো করে বলে কখনও শুনি নাই। মতি ভাই মাল পাত্তি অনেক বানাইছে, আমার মনে হয়না ইচ্ছা করে উনি মুক্তিযোদ্ধাতের চিঠি পত্র নিয়ে বানিজ্যের ধান্ধা করছেন। উনাকে বুঝাইয়া বলতে পারলে হয়ত উনি চিঠিগুলোকে দেশপ্রেমিক বাংগালীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। গালাগালি করে সত্তুর বানানোর চাইতে গলাগলি করে কার্যোদ্ধার করতে পারলেই ভালো হবে মনে হয়। উনিতো আর রাজাকার না যে তাতে আমাগো জাত যাইব।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

উদ্ধৃতি :
গালাগালি করে সত্তুর বানানোর চাইতে গলাগলি করে কার্যোদ্ধার করতে পারলেই ভালো হবে মনে হয়। উনিতো আর রাজাকার না যে তাতে আমাগো জাত যাইব।

জোশ হো হো হো
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হাসিব এর ছবি

- এক্মত । নাদান মতি ভাইয়াকে মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাস্তায় নিয়া আসা হৌক । আর এইকথাও সত্য যে যারা ইতোমধ্যে অনেক টাকাকড়ি ট্যাকে গুজে ফেলেছেন তারা বাণিজ্যধান্দায় মন দেন না ।
- তবে একটা কথা । গলাগলি করনেওয়ালা অনেকেই সবকিছু ভুলে অতীতকে পেছনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে প্রকারান্তরে রাজাকারদের ঘানিই টেনেছেন । বিষয়টা স্মরণ থাকা ভালো ।

নামে কি আসে যায় এর ছবি

উদ্ধৃতি:
উনিতো আর রাজাকার না যে তাতে আমাগো জাত যাইব।

এককালের বামপন্থী, এখনকার পুঁজিঁবাদী... রাজাকার নাতো কি? তারচেয়েও খারাপ, বর্ণচোরা।

আকতার আহমেদ এর ছবি

এখানে মুক্তিযোদ্ধা মুশতাক এলাহীর দু'টো চিঠি ছাপা হয়েছে। একটি তাঁর স্বনামে, অন্যটি ছদ্মনামে। দু'টো চিঠিতেই তাকে শহীদ বলে উল্লেখ করে মৃত বানিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ তিনি এখনো সুস্থ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের আরেক ভাই মুখতার এলাহী। এছাড়া চিঠির প্রাপক মুশতাক এলাহীর বড় ভাইয়ের নামও ভুল লেখা হয়েছে। তাঁর নাম মাহমুদ এলাহী নয়- ড. মওদুদ এলাহী

বাণিজ্যের চেয়েও আতংকের বিষয় মনে হইসে আমার এই ভুল তথ্যকে। নিশ্চয়ই অনেক সুশীল যদু মধু সংশ্লিষ্ট ছিল গ্রামীণফোন আর প্রথম আলোর এই কাজের সাথে। তারা কি করল বইসা বইসা। জালাল ভাই যে ভুলটা ধরাই দিল এরকম আরো যে হয়নাই এটাইবা বলি ক্যাম্নে?
তাদের সব পন্ডিতি আর দেশপ্রেম খালি অই গোলটেবিল আলোচনা আর টকশো'র মধ্যেই! বা..

জালাল ভাইরে ধন্যবাদ এই পোষ্টটার জন্য!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বইটার বিষয়ে ভালো অনেক কথাই শুনেছিলাম, কিন্তু কপিরাইটের বিষয়টা কেউই মনে হয় লক্ষ্য করেননি - আপনার দেয়া তথ্যকে তাই সাধুবাদ জানাই।

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

জিজ্ঞাসু এর ছবি

জালাল ভাইকে ধন্যবাদ।
বইটি প্রকাশের সংবাদ পড়ে কপিরাইটের প্রশ্নটা তখনই আমার মনে জেগেছিল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেসাতি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। যাদের অর্থ আছে, যাদের জানা আছে ব্যবসায়িক চাতুরী, তারা পারেন যেকোন কিছু নিয়েই ব্যবসা করতে। সময়ের অন্তড়ালে চলে যায় শুধু মহৎপ্রাণ, অবিসংবাদিত সবার নামধাম, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম। কারণ অর্থ ও চাতুরীর অভাব। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর তেমনই আরও এক দৃষ্টান্ত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আইচ্ছা, বইয়ের প্রথম প্রকাশ চৈত্র ১৪১৬ হয় ক্যামনে? এই মাত্রই না আমরা ১৪১৬ সালের বৈশাখরে কতো ঘটামটা করে বরণ করলাম! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

লুগ্জন মহা বদ হৈছে :$

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জিজ্ঞাসু এর ছবি

এটাকে ১৪১৫ করার দায় পাঠকের। ৬ এর দুই প্রান্ত যোগ করে পড়ুন।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

আনিস মাহমুদ এর ছবি

কতগুলো কপি কিনে বিলি করলাম। এখন তো নিজের ওপরেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

সাকিব [অতিথি] এর ছবি

সব যায়গায় টাকার খেলা, খুব কষ্ট লাগে...

গ্রামীণফোন আর প্রথম আলোর কি টাকার এতই অভাব হইছে যে মানুষের মনের এই আবেগঘন বিষয় নিয়েও ব্যাবসা করা লাগবে???

জাফর স্যারের মত কি শুধু প্রিন্টিং এর খরচ টা কে দাম ধরা যেত না??? তাতে তো মনে হয় গ্রানীণ এর সম্মান আরো বাড়ত, আবার ৫তারা হোটেলে এটার মোড়ক উন্মোচন... এ সব কি আসলেই দরকার ছিল??

আসলেই আমরা একটা আজব দেশে বাস করি...আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার চিঠি আমাদের ই কিনে পড়তে হয় একটা বিদেশি কম্পানীর কাছ থেকে।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হতাশ হলাম প্রআর কাজে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কদিন পরে মুক্তিযুদ্ধ শব্দটা লিখতে গেলেও কাউকে পয়সা দিয়ে পারমিশন আনতে হবে

রানা মেহের এর ছবি

এই বইয়ে আসলে ঠিক কারা জড়িত ছিলেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আকতার আহমেদ এর ছবি

সম্পাদনা পরিষদ

সভাপতি
সালাহউদ্দীন আহমদ

সদস্য
আমিন আহম্মেদ চৌধুরী
রশীদ হায়দার
সেলিনা হোসেন
নাসির উদ্দীন ইউসুফ

তারেক এর ছবি

আমি সেইদিন দেখলাম বইটার দামও অনেক বেশি। একেবারে শহীদ বানিয়ে দেওয়ার মতো ভুল ও কপিরাইটের বিষয়টা পড়ে তো মেজাজ খারাপ হলো।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

প্রথম আলো আগেই বর্জন করছি। এখন মনে হচ্ছে এর চে ভালো কাম কমই করছি।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।