বাঙলাদেশের সাহিত্য >স্বপ্ন ও বাস্‌তবতা

মনজুরাউল এর ছবি
লিখেছেন মনজুরাউল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৭/২০০৮ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনজুরুল হক

"বৃথা আসি, বৃথা যাই
কিছুই উদ্দেশ্য নাই"
-অক্ষয় কুমার বড়াল

একটা আস-থান ইঁট হাতে করে হাঁটাহাঁটির কোনো উদ্দেশ্য নেই। ওই ইটখানা কারো মাথাতে বসিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য আছে বটে। জিঘাংসাক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। রক্তপাতে জয়ী হওয়ার পুলক ঘটে। বাংলাদেশে রাজ্যের বইপত্তরের প্রকাশন, পরিবেশনা, পঠণ, মনন আর ঘটনের উদ্দেশ্য কেবলই একটা আস্‌তথান ইট বয়ে বেড়ানো। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দুচারজন ‘বইপাগল’ মানুষের হাত থেকে অন্যান্য কর্পোরেট ধান্ধাবাজির মতো প্রকাশনা শিল্পটাও ধান্ধায় লুট হয়ে গেছে। কর্পোরেট গণিকাবৃত্তি আর প্রচলিত গণিকাবৃত্তির তফাৎ হলো প্রথমটা জনসমক্ষে দিবালোকে ঠাঁটবাটসহ ঘটে। দ্বিতীয়টা আউট অফ বাউন্ডে সীমিত পরিসরে অপরাধবোধসহ ঘটে। প্রকাশ্য বেশ্যাবৃত্তিতে গ্লানি কম, কারণ তার শরীরে আন-র্জাতিকতার লেবেল। পেছনে পরাশক্তির প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়। কর্পোরেট বেনিয়ার হাতে যা-কিছু বন্দি হয়েছে তার ব্যাকফায়ার অনেকগুলো স্বল্পকালীন, কিনতু বিবেক মনন আত্মশুদ্ধির (এ রকমটাই সকলে বলেন) হাতিয়ার যে বইপত্তর সেখানটাতে কামান দেগে পুরোটাই দখলে নিয়ে বাংলা সাহিত্য বাঙালি মনন আর বেঙ্গলি ভ্যালুজট্যালুজগুলোর পশ্চাদ্দেশে ব্যাম্বু দেওয়া হয়েছে। ব্যামু্বসহযোগে বেঙ্গলি ভ্যালুজ এখন তারস্বরে চিৎকার করে নিয়মডার্নাইজেশনের র‌্যাগি গাইছে। তার এ্যামপ্ল্লিফাই ভলিউমের পাশে গ্রান্ডফাদার গ্রামোফোনের মতো কুঁই কুঁই করে বেজে চলেছে নিষাদের নিখাদ। বেজায় মিউমিউ ঢং-এ।

"স্বর্গ নরক নিয়ে তাত্ত্বিকতর্কের সাধু যাঁরা
সে সব বিজ্ঞ সন- সাধুরা কোথা গিয়েছেন তাঁরা?
ধুলায় লুটায়, ধিক সে অলীক যত ভবিষ্যৎবাণী,
আজকে ধুলিতে মলিন তাদের প্রগলভ মুখখানি।"
-ওমর খৈয়াম

বাংলাবাজার, বাবুবাজার, ফরাসগঞ্জের নোনাধরা দেওয়াল আর ঘুপচি ঘরে ভার্নিশ, কাগজ, সুতো-সুই, কাইয়ুম চৌধুরী, প্রাণেশ মণ্ডলদের ম্যাড়মেড়ে মলাট নিউজপ্রিন্টের ভোসকা গ্রে রঙের কাগজ, বিদ্যাসাগরীয় ঢঙে টাকা-পয়সার অংক লেখা সেই সব বইয়ের ভ্যানিশ ঘটেছে। সারা বছরে পুঁথিঘর, চাটগাঁর বইঘর একটা-দুটো বই বার করতো। পরম যত্নে লেখক পাণ্ডুলিপি তৈরি করতো কেরোসিনের আলোয়। লেম্প জ্বেলে বাঁধাইকর বাঁধাই করতো। ততোধিক জীর্ণ দোকানে সেসব বই বিক্রি হতো। একটা পাটখোলা বইয়ের গন্ধ আর নতুন বউয়ের ঘোমটা খোলার গন্ধ একাকার হয়ে যেতো।
সে জমানা পার হয়েছে।
মুজতবা আলী, ওয়ালিউল্লাহ, জহির রায়হানদের, জসীমউদ্‌দীনদের, জীনানন্দদের, বিভূতিদের জমানা গত করেছে একাত্তর পরবর্তী মডার্নাইজেশন। যুদ্ধপরবর্তী ইতিহাসকে ধরার জন্য স্ট্যালিনগ্রাদ, পেত্রোগাদ, মিউনিখ, বনে যাওয়ার দরকার নেই, এই সাতচল্লিশ পরবর্তীকালে যুদ্ধের ক্ষত আর যুদ্ধজয়ের অহমিকা নিয়ে বাংলা তথা ভারতবর্ষ উদ্বেলিত হয়েছে, আলোড়িত হয়েছে। ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে। যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশে সে সব অনুপসি'ত। দুচারখানা হঠাৎ ক্রোধসর্বস্ব কবিতার বই আর নতুন ভাঙাভাঙির অনিয়ন্ত্রিত প্রয়াস ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। এক দশক পরই এই দহলিজে বেনিয়াপুঁজির অনুপ্রবেশ। অফসেট কাগজ, চাররঙা প্রচ্ছদ, শয়ের নিচে মূল্য নয়, বোর্ড বাঁধাই জগতে সদম্ভ পদচারণা। বাংলাবাজারের ধুঁকতে থাকা দোকানগুলোতে জেল্লা। প্রচ্ছদে ফিল্মিনায়িকার আলুথালু উপসি'তি এবং খুঁজে-পেতে দাঁতভাঙা বদহজম অবশ্যম্ভাবী গোছের শব্দ প্রয়োগে ইন্টেলেকচ্যুয়াল মুন্সিয়ানার এন্ট্রি। নিউমার্কেটের কুলিন দোকানগুলোয় আফ্রো এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার ওয়েটেড অনুবাদ। স্যাকরা প্যানপেনে মধ্যবিত্ত মার্কেটে নো-এন্টি। কুলিনদের হাতে গ্যাব্রিয়েল, নেরুদা, হার্ভার্ট। মধ্যবিত্ত সমরেশে বুঁদ। সুনীলে মাখন, আর হূমায়ুনে দিওয়ানা। আরো একদশক। মার্বেল পেপার, প্যারাফিনড পেপার, এ্যাম্বুশ পেপার। একসপেরিমেন্ট। প্রবন্ধ হাওয়া। কবিতা দখল করেছে মার্কেট। লুঙ্গির কোনা ঝাঁকি দিলেই কবিতা বেরুচ্ছে। কাচুলির খাঁজে ভাঁজে, চোলির পেছনে, ইলাস্টিকের প্রশস্ত হওয়ায় কবিতা প্রসব করছে। উপন্যাস হারামিপনা করে জায়গা দখলের কসরত করতে গিয়ে গল্পে নেমে যাচ্ছে। স্ট্যান্ট ধরে রাখার জন্য নারীকে উদোম করছে, নিজে উদোম হচ্ছে। তাতেও কেউ গা-না করলে উদোম অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো বিশ্রী কায়দায় নাড়াচ্ছে-ঝাঁকাচ্ছে। অবশেষে পাঠক গা করে। আমরা ময়লা ঘেঁটে ডিসকভার করলাম হূমায়ুন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, ইমদাদুল হক মিলন। ইতিমধ্যে প্রচুর রান করেছি, সেঞ্চুরি করেছি মনে করে প্যাভেলিয়নে উঠে গেছেন আহমদ শরীফ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল ফজলরা।
‘যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশী সাহিত্যে ঘটনাক্রমের রেফারেন্স কিছু বই ছাড়া আমাদের মহান প্রকাশকরা ইতিহাসকে মনে রাখার মতো কোনো কাজ করেননি। ‘লেখা হয়নি’ এমনটি মনে করার কারণ নেই। বাজার মূল্যে কাটতি নেই বলে ছাপা হয়ে বেরোয়নি। সেই শূন্যস'ান পূরণ করেছে দুই বাংলার কিছু থার্ডক্লাস লেখকের সফটপর্ন। মাইল্ড ভালগারিজম।

‘দুর্ভেদ্য দুস্‌তর শূল্য, ক্ষুদ্রদৃষ্টি নর;
ওই বহ্নি, ওই ধুম! কিবা তারপর?’
-অক্ষয় কুমার বড়াল।

আশির দশকে সামরিক জমানা হঠাৎ বঙ্গে একটা বিদ্রোহবোধের প্রসব ঘটায়। ছোট ছোট কবিতার বই হারপুনের মতো ধারালো শব্দযোগে বিদ্ধ করতে চায়। সে সময়ের প্রকাশকরা অকস্মাৎ বিপ্লবী হয়ে ওঠেন। ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব’র মতো লেখা ছাপতে থাকেন। কচি ছেলেমেয়েরা প্রকাশকদের লৌহবর্ম ভেদে ব্যর্থ হয়ে ‘লিটল ম্যাগ আন্দোলন’ শুর" করে। জমে থাকা ক্রোধ একসঙ্গে বেরুতে গিয়ে হুটোপুটি খায়। জবরজং ধাক্কাধাক্কি করে অসময়ের প্রসবের মতো হয়েই মরে যায়। শাহবাগের ফুটপাথে তবুও কিছু নাছোড়বান্দা চটি আর লিটলম্যাগ একসঙ্গে সহবাস করায়। আশা ফুটফুটে ডাগরডোগর সন্‌তান ভূমিষ্ঠ হবে। হয় না। হয়নি। রেবতি বর্মন, হাসান হাফিজুর রহমান, পূর্ণেন্দু দসিস-দার, রণেশ দাশগুপ্ত, সরদার ফজলুল করিম, আব্দুল হালিম, শওকত আলী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরা জ্বলে জ্বলে পুড়ে পুড়ে সলতে খতম করে গলে যান। পড়ে থাকে দলাপাকানো ধূসর রঙের প্যারাফিন। আবুল হোসেন মারা যান,রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিরহ জ্বালায় ফুটে যান। রঙ্গমঞ্চ আলোকিত করেন প্রকাশকদের নয়নের মণি কর্পোরেট দোকানের শো রুমের ইমিটেশন হূমায়ুন আহমেদ; সৈয়দ শামসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, হুমায়ুন আজাদ, মহাদেব সাহা, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, আল মাহমুদ- এরা। রঙ্গমঞ্চের ফাঁক ফোকরে সোলড হওয়ার আশায় কাতারবদ্ধ হন ব্যবসায়ী থেকে কবি, দোকানদার থেকে ঔপন্যাসিক, চিটেগুড়ের আড়তদার থেকে দার্শনিক, জমিদারের লেঠেল থেকে আসা প্রাবন্ধিক আর যৌনজীবনের লেসপারভার্শনে অতৃপ্ত ম্যানিয়াক। সঙ্গে নাটকের, ফিল্মের নায়িকারা, নায়করা এবং নিমতেতো স্বভাবের ব্যুরোক্র্যাটরা। এদের ল্যালচা পদচারণায় সরগরম হয়ে ওঠে বাংলাবাজার, নয়া আজিজ মার্কেট, পুরোনো নিউমার্কেট। এক তসলিমা এসে সবাইকে টেনে নেন, আবার ক’ মিনিট বাদে সবাইকে ছেড়ে দেন। জল খসানো, মাল খসানো -এমত বিষয়াদি হয়ে ওঠে পূর্ববঙ্গের জাঁদরেল সাহিত্য। কর্পোরেট স্পন্সরগিরিতে ইনভেস্ট পাঁচগুণ হয়ে উঠে আসে। সারভাইবাল অব ফিটেস্ট তত্ত্বের বাস্‌তব প্রয়োগে পাওয়ারলেসরা সরে যান কানা গলিতে। ‘ফিটেস্ট’রা উঠে আসেন হাইওয়েতে। বাছবিচার কিছুই আর দরকার করে না। এই সময়ে বিলগেটস সায়েবরা বাজারে এক অদ্ভুত জিনিস ছেড়ে দেন কম্পিউটার। গোটা দুনিয়াকে চিপস করে ওতে ঢোকানো আছে। সালভাদর দালির ‘টাইম’ নিয়ে প্রচ্ছদ বানাবেন? মাত্র পাঁচ মিনিট! ব্রাউজ করতে যেটুকু সময়। এই ‘মহাবিপ্লবে’ বঙ্গসাহিত্যের গর্ভে যে ভ্রুণটা তিনদশক ধরে তড়পাচ্ছিল সেটার এ্যাবরশন হয়ে যায়। চোখ নাক মুখ হাত-পা সবই আছে কিনতু মৃত।
‘রাত ও দিনের দুটি রঙ দিয়ে ছককাটা এক ঘর,
মানুষকে ঘুঁটি বানিয়ে নিয়তি খেলছে নিরন্‌তর’
-ওমর খৈয়াম

......অসমাপ্ত


মন্তব্য

সুমন সুপান্থ এর ছবি

.... অপেক্ষায় আছি বাকী পর্বের । গদ্যের কথা বলতেই হবে,বলি- দীর্ঘ পরিক্রমণ ছাড়া এই ভাষা জন্মে না কলমের ডগায় । বিষয় নিয়ে বাতচিতনা হয় পরেই হলো .....

রঙ্গমঞ্চের ফাঁক ফোকরে সোলড হওয়ার আশায় কাতারবদ্ধ হন ব্যবসায়ী থেকে কবি, দোকানদার থেকে ঔপন্যাসিক, চিটেগুড়ের আড়তদার থেকে দার্শনিক, জমিদারের লেঠেল থেকে আসা প্রাবন্ধিক আর যৌনজীবনের লেসপারভার্শনে অতৃপ্ত ম্যানিয়াক। সঙ্গে নাটকের, ফিল্মের নায়িকারা, নায়করা এবং নিমতেতো স্বভাবের ব্যুরোক্র্যাটরা।
ব্রাভো,মনজুরাউল ভাই ।

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মনজুরাউল এর ছবি

ধন্যবাদ সুমন। কালই পেয়ে যাবেন।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়ে দুঃখ করার ক্ষেত্রে আগাগোড়াই দ্বিমত আমার

ফেলে দেয়া গরুর হাড্ডি থেকে শুরু করে মানুষের ভেতরের যন্ত্রপাতি যা যা বিক্রি হয় তাই ব্যবসার টার্গেট

আর বইতো বেশ চলতি একটা বিক্রয়যোগ্য আইটেম
ব্যবসা হবেই। কেউ কেউ করবেই

আর বইয়ের ব্যবসা করতে এসে কেউ যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যটাও না ছাপাতে চায় তাহলে তার কাছে আদৌ কি আমরা কোনো দাবি করতে পারি?

কিংবা বলতে পারি যে তুমি ওটা কেন ছাপাও না?

সম্ভবত পারি না
কারণ সে তো আর এমন কোনো ঘোষণা দিয়ে আসেনি যে সাহিত্যের প্রচার ঘটানো তার কাজ

সে বইয়ের ব্যবসায় সুবিধা পেয়েছে। বইয়ের ব্যবসা করছে
সুবিধা না পেলে কাপড়ের ব্যবসা করবে

ওর কাছে আবার দাবি করার কী আছে?

০২

লেখকদের মধ্যে ঝামেলা আছে
লেখকদের একটা ধারণা আছে যে মহান কোনো কিছু একটা লিখে ফেললেই তার দায়িত্ব শেষ
তারপর তার বই প্রকাশ এবং প্রচারের দায়িত্ব মানবজাতির

এটা একটা ফালতু চিন্তা
কারণ মানববজাতি দায়িত্ব নেয় প্রকাশিত লেখার
অপ্রকাশিত লেখা কিংবা লেখকের দায়িত্ব নেয়া তাদের কাজ না

আদি কবি বাল্মিকীও কিন্তু নিজের লেখা প্রচারের জন্য লব আর কুশকে রামায়ণের গায়েন বানিয়েছিলেন
লব কুশ যদি রামায়ণ গেয়ে গেছে ঘুরে না বেড়াতো তাহলে আজ আর রামায়ণের নাম শুনতে হতো না আমাদের

০৩

একজন লেখক যতটা পরিশ্রম আর মেধা খরচ করে লেখেন তার ওয়ান পার্সেন্ট পরিশ্রম করলে নিজেই বই প্রকাশ করে ফেলতে পারেন

অথচ ভুল জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে লেখকরা বাকি জীবনে লেখার ক্ষমতা হারিয়ে হা পিত্তেশ করেন...

০৪

আর সবাই সাহিত্য করে না
কেউ কেউ বই লেখে চাকরির মতো করে
তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা করার কী দরকার

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আর সবাই সাহিত্য করে না
কেউ কেউ বই লেখে চাকরির মতো করে

দুর্দান্ত বলেছেন তো লীলেন ভাই !!!
---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মনজুরাউল এর ছবি

নাহ্‌, কোন দরকার নেই। ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কিস্তিগুলা শেষ হোক...

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ একটু বেশিরকম ক্রোধ ও হাতাশাক্রান্ত মনে হলো। অনেক বিষয়ে একমত হয়েও বলতে চাই, এতোখানি নেতিবাচক না হলেও চলে বোধহয়। বস্তা বস্তা জঞ্জালের পাশে কিছু অর্জনও যে হয়নি তা কিন্তু নয়। এই দিকগুলি উপেক্ষিত হওয়ার ফলে আপনার লেখাটা কিছুটা একপেশে হয়ে যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

রাফি এর ছবি

আরো পর্ব আছে তাই সবটা না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
তবে যে ভঙ্গিতে শুরু করেছেন তাতে মনে হচ্ছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, শীর্ষেন্দু, শহীদ কাদরী, শাহাদুজ্জামান, শাহেদ আলী,সুনীল সবার সব বই পড়া হয় নি আপনার।
আর যদি পড়া হয়ে থাকে তবে এদের লেখা সম্বন্ধে দয়া করে আপনার মতামত জানাবেন।
অপেক্ষায় থাকলাম।

---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মনজুরাউল এর ছবি

না। শাহাদুজ্জামান পড়া হয়িন। উপন্যাস,প্রধানত রাজনৈতিক উপন্যাস নিয়ে বলার চেষ্টা । কবিরা এসে গেছেন। আনতে চাওয়া হয়নি।ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

শেখ জলিল এর ছবি

এরকম লেখা আরও চলুক। তর্কবিতর্ক হোক।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আশির দশকে সামরিক জমানা হঠাৎ বঙ্গে একটা বিদ্রোহবোধের প্রসব ঘটায়।
‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র খাব’র মতো লেখা ছাপতে থাকেন।

রফিক আজাদ কি এই কবিতা আশির দশকে লিখেছিলেন? যতদূর জানি ৭৪ এ ।


আবুল হোসেন মারা যান

ইনি বোধ হয় মারা যাননি এখনো । আপনি কি আবুল হাসানের কথা লিখছিলেন?

-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মনজুরাউল এর ছবি

আশির দশকে লিখেছিলেন তা বলিনি। কবির নামও লেখা হয়নি। বলা হয়েছে....এই সময়টাতে লেখাগুলো ছাপতে থাকে। এখানে আলোচ্য কবি নয়,প্রকাশকজগত্ ।

হ্যাঁ আবুল হাসান । সম্ভবত অল্প বয়সেই মারা যান।

ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

‘যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশী সাহিত্যে ঘটনাক্রমের রেফারেন্স কিছু বই ছাড়া আমাদের মহান প্রকাশকরা ইতিহাসকে মনে রাখার মতো কোনো কাজ করেননি। ‘লেখা হয়নি’ এমনটি মনে করার কারণ নেই। বাজার মূল্যে কাটতি নেই বলে ছাপা হয়ে বেরোয়নি।

এমন কিছু লেখা আর লেখকের নাম দিলে ভাল হতো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মনজুরাউল এর ছবি

সবগুলি নাম এ মুহূর্তে মনে করতে পারব না। তাছাড়া সঙ্গতও হবে না। সেক্ষেত্রে পরের প্রশ্ন হতে পারে ...'সেই প্রকাশক কে'? 'আগামী' ছাড়া অন্য কারো নাম দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেই লেখা , লেখক এবং বিষয়বস্তু অতিতেও অচ্ছুত্ ,এখনো ও, এবং ভবিষ্যতেও অচ্ছুত্ ই।

১। তেভাগা আন্দোলন পরবর্ত্তী বাংলাদেশ_ডা.মহররম হোসেন।
২। শ্রেণীসমূহের ক্রমবিকাশ_ জগন্নাথ দাশ।
৩। এনজিও উত্থান প্রসঙ্গে_ জীবন মুখার্জী।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।