নেপাল বেড়ানোর এক আদর্শ জায়গা। আমরা সমতলের লোকজন নেপালে যাই পাহাড় মেঘ আর বরফ দেখতে। আজ আমি পাহাড় মেঘ আর বরফের চাইতে নজর দেব অন্যদিকে। আর তা হলো লেক। নেপালের সবচাইতে বড় লেকটির নাম ‘রারা তাল’, নেপালী ভাষায় তাল মানে বিল, ইংরেজীতে লেক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ মিটার উঁচুতে এ বিশাল লেকটি আজ আমার গল্পের বিষয় নয়, আজ শোনাবো নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ‘ফিওয়া তাল’ (Phewa or Fewa) আর তাকে ঘিরে বেড়ে উঠা পোখারা শহরের কথা।
নেপালের অন্যতম সুন্দর শহর পোখারা। কাঠমুন্ডু থেকে ২০০কিমি পশ্চিমে, কাঠমুন্ডু থেকে পোখরা যেতে বাসে সময় লাগবে ৫/৬ ঘন্টা আর যদি বিমানে যেতে চান মাত্র ৪০ মিনিট। নেপালী ভাষায় পোখরী মানে পুকুর বা দিঘী, অনেক গুলো ছোট বড় লেক আছে বলেই সম্ভবত এর নাম পোখারা। ফিওয়া তাল ছাড়াও কাছাকাছি আরো দুটো লেক বেগ্নাস আর রূপা শহরের কাছেই আর খুব সহজেই ঘুরে আসা যায়। ধারনা করা হয় নেপালের আদি শাসক মাল্লাদের আবাস ছিল এই পোখারায়। মূল শহরটি যে পাহাড়ের উপর তার উচ্চতা ৮৮৫মিটার, এই পাহাড়ের তলা দিয়ে বয়ে চলেছে শ্বেতী নদী, শহরের মাঝে কোন কোন জায়গায় গর্ত দিয়ে নীচে সেই নদীর তীব্রতা অনূভব করা যায়। স্থানীয়দের ধারনা একদিন এই নদীই পোখারাকে মিশিয়ে দেবে মাটিতে। সে যাই হোক তাতে কিন্তু নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের উন্নয়ন থেমে থাকেনি। নেপালের অনেকেই বৃটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করে, সেখান থেকে অবসর নেবার পর ফেরত গোর্খা যোদ্বাদের প্রথম পছন্দ পোখারার আশেপাশে একটি বাড়ী বানানো। মূলত তাঁদের হাত ধরেই পোখারায় পর্যটকদের আগমন শুরু হয়।
যতবার নেপাল গিয়েছি একবার ছাড়া প্রতিবারই আমার ভ্রমণসূচীতে পোখরার স্থান ছিলো। একবার সিডানে চড়ে আর বাকি সময়গুলোতে বাসে চড়ে পোখারা যাওয়া হয়েছে। আমাদের সেই ফিওয়া তাল এই শহরের ঠিক মাঝখানে। প্রথম যেবার পোখারা গেলাম আমরা পৌঁছেছিলাম দুপুরের ঠিক পর পর, অক্টোবরের মাসের ঝলমলে নীল আকাশ, আশেপাশের ছোট ছোট সবুজ পাহাড়্গুলোর মাথা ছাড়িয়ে দূরে বরফে ঢাকা চুড়া গুলোকে খুব কাছেই মনে হচ্ছিলো। এরমাঝে একটি চূড়া ঠিক গায়ের উপর এসে ছায়া দিচ্ছে। যদিও উচ্চতায় ৭০০০মিটারের নীচে তারপরও পোখারা থেকে মাত্র ২৫কিমি দূরের এই চূড়াটার নাম ‘ফিশটেল’, স্থানীয় ভাষায় ‘মাছাপুছা’। মাছের লেজের আকৃতির জন্যই চূড়াটার এইনাম, এইফাঁকে বলে রাখি মাছের লেজের আকৃতি কিন্তু পোখারা শহর থেকে দেখে বোঝা যায়না আর অত্যন্ত দূর্গম বলে এটা এখনও অজেয়, ইংরেজীতে বলে ভার্জিন পীক। হোটেলের মালপত্র রেখে খাবার জন্য বেড়ুবার পথে ওদের সুইমিং পুল আমাকে চমকৃত করে দিলো, পরিষ্কার নীল জলে ফিসটেলের ছায়া ঝকমক করছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রওয়ানা দিলাম খাবার হোটেলের খোঁজে।
পোখারায় পর্যটকদের আনাগোনা আর আড্ডা সবই ফিওয়া লেককে ঘিরে, দেড় কিলোমিটার লম্বা এ লেকের একপাশ জুড়েই থাকার আর খাবারের হোটেল, স্যুভেনিওর শপ, ট্রেকিং অফিস আর বার। আমরা ঢুকলাম এক স্থানীয় হোটেলে নেপালী খাবারের খোঁজে, ডাল-ভাত সাথে সব্জী আর মাংস। খেয়ে দেয়ে রাস্তা পেরিয়ে লেকের পাড়ে চলে এলাম, পাড় থেকে একটু নীচে সারি বাঁধা রংবেরং এর ডিঙ্গি আমাদের অপেক্ষায়। ঘন্টা হিসাবে ভাড়া নিয়ে ছোট ডিঙ্গিতে লেকে ভেসে বেড়ানোর মজাই আলাদা। শান্ত লেকের পানিতে দূরে বহুদূরের পাহাড় পর্বতের ছায়া পরিষ্কার দেখা যায়। ভাগ্য ভালো মানে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে যেসব বরফে ঢাকা চুড়া দেখতে পাবেন সেগুলো হলো অনেকটা এরকম। সবচাইতে বায়ে ধবলগিরী (৮১৬৮মি), তার সামনে অন্নপূর্না দক্ষিণ (৭২১৯মি), এর ডানে অন্নপূর্না এক (৮০৯১মি), তারপর হিউঞ্চলি (৬৪৪১মি), এরপর ফিশটেল (৬৯৯৩মি), ফিশটেলের ডানে যথাক্রমে অন্নপূর্না তিন (৭৫৫৫মি), অন্নপূর্না চার (৭৫২৫মি) আর অন্নপূর্না দুই (৭৯৩৭মি)।
আমরা ভেসে বেড়াচ্ছি, পরিষ্কার পানিতে মাছ দেখা যায়, মনে হয় মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াচ্ছে মাছ। ফড়িং এর মত শব্দ করে উপর দিয়ে উড়ে গেল দুজনে বসার মত আল্ট্রালাইট এয়ারক্রাফট, একঘন্টার ফ্লাইটে গুনতে হবে ১২০ডলার আর ৩০মিনিটে ৭০ডলার। ছোট্ট এয়ারক্রাফটের বোঁ বোঁ শব্দে শান্ত পানি থেকে উড়াল দিলো নাম না জানা মাছ খেকো পাখি। বৈঠা চালিয়ে চলে এলাম লেকের আরেক পাশে, এপাশটায় সবুজ পাহাড়, মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাথুরে গুহা, তাতে পাখির বাসা, দেখতে দেখতে এগুচ্ছি, লেকের প্রায় মাঝামাঝি আমরা, সামনে একটা ছোট্ট দ্বীপের মত, তাতে একটা মন্দির, বারাহি মন্দির, শান বাঁধানো ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে মন্দিরের চত্বরে নামলাম, সাংঘাতিক নোংরা। এমন সময় দেখলাম আরেক দৃশ্য, আকাশে উড়ে যাচ্ছে প্যারাগ্লাইডার, উপরে ট্রেনার আর নীচে বসা পর্যটক, তার ডান হাত চামড়ায় মোড়ানো তাতে খাবার, একবার শীষ দিলে দূর থেকে ঈগল এসে খাবার নিয়ে আবার চলে যাচ্ছে। চমৎকার, খুব ভালো ট্রেনিং দেয়া।
সূর্য ততক্ষণে পশ্চিমে হেলে যাওয়া শুরু করেছে। রঙ বদলাচ্ছে আকাশ, এক মোহনীয় অপার্থিব দৃশ্য। এমন সুন্দর সুর্যাস্ত অনেকদিন দেখা হয়না। মন্দির থেকে নেমে ফিরতি পথ ধরলাম। আমাদের মত অনেকেই ডিঙ্গি নিয়ে ঘুরছেন। একজন কে দেখলাম লেকের পাশে ডিঙ্গি নিয়ে চুপ করে বসে আছেন, দৃষ্টি সামনের গাছপালায়, পাখিরা নীড়ে ফেরা শুরু করেছে সেখানে। বসে বসে তাই দেখছেন। কেউ কেউ শুয়ে আছেন ডিঙ্গির উপর, পাশে পানীয়, মাঝরাত পর্যন্ত এভাবেই চলবে। তীরে এসে ডিঙ্গি ছাড়লাম।
সন্ধ্যায় পোখরার রূপ অন্যরকম, ঝলমলে শপিং মল আর রংবেরং এর বাতি জ্বালানো বার পর্যটকদের কাছে টানার জন্য উন্মূখ হয়ে আছে। একদোকানের সামনে দেখলাম অনেকগুলো সাইকেল, ঘন্টা হিসেবে ভাড়া নেয়া যায়, মটর সাইকেলও আছে ভাড়ায় পাওয়া যায়। একটু সাহসী হলে ভাড়া নিয়ে নিজে নিজেই ঘুড়ে বেড়ানো মন্দ নয়। এক হোটেলের সামনের খোলা জায়গায় গান হচ্ছে, স্থানীয় ফোক গান আর নাচ, পাশেই খাবার। অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে খোলা জায়গায় বসে রাতের খাবার, কোথা দিয়ে রাত নেমে আসবে টেরই পাওয়া যাবেনা। উম্ম্ কতদিন হলো এমন হয়না।
চলবে
মন্তব্য
দারুন ছবি। ভ্রমণ স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ১৯৯৯ সালের গ্রীষ্মে তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম পোখারায় - ফিওয়া তাল লেকের পাশেই এক গেস্ট হাউজে ছিলাম। তবে বোটিং করতে গিয়ে এতো ভয়ানক সুন্দর ছবি তুলতে পারিনি!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দেবার মত আরো কিছু ছবি রেখেছিলাম, এখন খুঁজে পাচ্ছিনা
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো অসাধারণ!
তবে এবার লেখাটা কেমন যেনো পাঠ্য বইয়ের মতো লাগছে...আরেকটু ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লিখুন স্যার!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
মুখস্ত করার দরকার নেই, তাহলেই হবে
...........................
Every Picture Tells a Story
ছবিগুলো সব দুর্দান্ত!! ঝকঝকে লেখা।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
নেপালের এইসব বেঙ্গাস, রূপা আর ফিওয়া তালের কথা খালি ক্লাসে পড়াইয়াই গেলাম আর আলোচনা কইরাই গেলাম। নিজে না দেইখা।
ছবি যে কোনটা রাইখা কোনটা দেখি....
আপনি মশাই, মানুষটা সুবিধার না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিডা কইসে আফনারে?
...........................
Every Picture Tells a Story
ভালো মানুষ অতো টো টো করে বেড়ায় না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
টো টো কোম্পানীর চাকরী কিন্তু মজার
...........................
Every Picture Tells a Story
বাহ্! অসাধারণ সব ছবি তুলেছেন আপনি। ওদিকটায় আমার যাওয়া হয়নি একেবারেই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ওদিকটায় আমার টান ক্লান্তিহীন, অনেকটা ঢাকা চিটাগাঙ্গের মত। কখনও ঢাকায় এলে আগেভাগে আওয়াজ দিবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
এখন থেকে আপনার লেখা পড়া বর্জন করলাম। খালি বেড়ানোর যন্ত্রণাটাকে উসকিয়ে দেন!
আর, আপনার দু'একটা ছবি কি আমার ল্যাপটপে ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি?
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
বেড়ানোর যন্ত্রণা কোথায় পেলেন?
ছবি ব্যবহারে অনুমতি লাগবেনা, আগেও বলেছি, এখনও বলি
...........................
Every Picture Tells a Story
না বেড়ানোর যন্ত্রণা লিখতে গিয়ে বেড়ানোর যন্ত্রণা লিখে ফেলেছি। এই জায়গাগুলোতে না বেড়াতে পারার যন্ত্রণা তাড়িয়ে বেড়ায়।
ছবির অনুমতির জন্য ধন্যবাদ। আগে জানতাম না।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
আপনি মানুষ হইলেন না... দেবতাই থেকে গেলেন!
অনেক সাধনা করে চুল বড় করেছি, এরপর হাতে আর গলায় এখন পাথরের মালা পড়ি, মাঝে মাঝে চুলে লাল নীল হলুদ সুতা বেঁধে রাখার অভ্যাস করছি। রাস্তায় হাঁটতে বের হলে মানুষজন অন্য চোখে তাকায়।
ভাবছিলাম অন্যকথা বলবেন, এখন দিলেন তো আমার ভাবটা নষ্ট করে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আহারে আমারও কিছু ছবি ছিলো পোখরার!
কিন্তু মুস্তাফিজ ভাইয়ের এ ছবির কাছে সেগুলো লজ্জা পাবে।
...লেখা ওছবি খুব ভালো লাগলো।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই, তাইলে লেখাই দেন, ওইখানে লজ্বা পাবার কিছুই নাই
...........................
Every Picture Tells a Story
ইস নেপাল এখনো দেখা হয়নি। ইচ্ছাটা বেড়ে গেল অনেকগুন।ধন্যবাদ ভাইয়া ছবিগুলোর জন্য
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনাকেও ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
জীবনে কিছুই দেখলাম না!
যাই পাঁচতলা থেকে লাফ দিই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
...........................
Every Picture Tells a Story
আহা কী ছবি! সন্দেহ হয় এ জায়গার মাহাত্ম্য না আপনার হাতের।
একদিন আবর্জনার স্তুপের ছবি একটা তুলে পোস্ট করেন, সেও যদি মায়াময় লাগে তাহলে সন্দেহ দূর হয়।
জায়গাটা সুন্দর সন্দেহ নাই
...........................
Every Picture Tells a Story
উমম! কী সোন্দর ছবি। এক্কেরে টাশকি খায়া গ্যালাম!
তার মানে আমাদের পান্থ এখন বড় হইছে
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ ! অসাধারণ ! অসাধারণ !
ছবিগুলো থেকে চোখ ফেরানো দুস্কর হয়ে পড়েছে।
পারলে চা খাওয়াটা একটু শর্টকাটে সাইরেন ওস্তাদ
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
...........................
Every Picture Tells a Story
একসাথে ঘুড়িয়ে আনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আমার টুকটাক স্মুতি আছে দার্জিলিঙ আর নেপাল নিয়ে। সময় পেলে দেবো।
আবারও বলছি, আপনার ডান হাতটা খুবই দামী বস্তু, ওটাকে দ্রুত ভালো করে তুলুন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
গত বছর নেপাল ট্যুরের প্রোগ্রাম করেও একদম শেষ পর্যায়ে বাতিল করতে হইসিল। তারপর আর যাওয়া হয় নাই। নেপাল যাওয়ার খুব শখ আমার। দেখি, কখনো গেলে আপনার কাছ থেকে শর্ট কোর্স কইরা যাইতে হবে।
ছবিগুলা অদ্ভুত সুন্দর। দ্বিতীয় ও শেষ ছবিটা একই মনে হচ্ছে। চা খাওয়া শেষ করে তাড়াতাড়ি ফিরেন কিন্তু।
১। কোর্স ফী লাগবে কিন্তু।
২। ছবি দুইটা একই জায়গায় তোলা, একটু সময়ের হেরফের আর ক্যামেরাও ভিন্ন।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, কত্তদিন পর! আপনার লেখা পড়লাম। কক্ষণও নেপাল যাইনি, কিন্তু পাখিদের খাওয়ানো যেটা বললেন সেটা এ বছর নিউ ইয়ারে ক্যাংগারু আইল্যান্ডে করে এসেছি। বিশাল বড় বাজপাখি অনেক ভয় লাগে , কিন্তু আসলেই অনেক ভালো ট্রেনিং দেয় ওরা। ছবিতে উত্তম জাঝা! লেখায় দুই মার্ক কম দিলাম, আরো বড় লেখা চাই তাই।
সুস্থ হয়েছেন? কেমন আছেন এখন?
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
হু অনেকদিন পর, এখন একটু ভালো, আবারো বাইরে যাবার প্ল্যান করছি। আপনি মনে হয় পিসা নিয়ে লেখা এর আগের লেখাটা মিস করেছেন
...........................
Every Picture Tells a Story
একেবারে ছবির মতো ছবি
সুনীলের কবিতায় যেমন:
মায়ের গোলাপ গাছে ঠিক একটি গোলাপের মতো ফুল ফুটে আছে
চোখের মতন চোখে দেখতে পাই ভোরবেলার মতো ভোরবেলা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ
...........................
Every Picture Tells a Story
এতো, এতোও, এত্ত সুন্দর ছবিগুলো!!!!!
আপনার প্রফাইলে দেখলাম আপনি ব্রীজ খেলতে পছন্দ করেন, আমিও ভয়ংকর তাসুড়ে! ঠিক করেছি, ফটোগ্রাফিতে তো আর পারবো না, ব্রীজে হারিয়ে আপনাকে শিক্ষা দেয়া হবে - আপনি শুরু করেছেন কী?!
ইয়াহু অনলাইন গেমস্এ আমাদের একটা কম্যুনিটি আছে, প্রতিদিনই খেলি, আসবেন নাকি?
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন