ফেরত দেন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ২৮/০৯/২০০৯ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকায় একটা কাণ্ড হইছে। প্রায় প্রতিদিন সচলাড্ডা।কোনোরকমে দুপুরটা পার হইলেই হয়। বিকাল থেকেই সচলদের ফোন। আড্ডা। গত একমাসে কমপক্ষে ২০টা সচলাড্ডা হইছে।

সচলায়তন এমনিতেই জীবনের একটা বড় অংশ। ঘন্টার পর ঘন্টা পোস্ট পড়তেই যায়। তার উপরে এই সচলাড্ডা ভালো লাগলেও কষ্টকর। অতটা সময় আমি আসলে বের করতে পারি না। আমি দিনমজুর মানুষ।

সচলেরা আমার বাড়িতে উতপাত করে সেইটা নিয়া আমার সমস্যা নাই। কিন্তু আমার বইগুলা নিয়া আমি একটু চিন্তিত।

আমার জীবনে বইয়ের যা সঞ্চয় তার সবই গোল্লায় গেছে। ক্লাস টেনে পড়ার সময় একটা পাঠাগাড় খুলছিলাম এলাকায়, তাতে অনেক বই চুরি গেছে। আর সবচেয়ে বড় ঝামেলাটা হইছে আসলে আমার গাফলতিতে।
আমার সারাজীবনের বইয়ের সংগ্রহ ছিলো মিরপুরে আমাদের বাড়িতে। আমি উত্তরায় থাতকাম বিধায় বইগুলা আনা হয় নাই। বছরের পর বছর সেগুলা থাকতে থাকতে চোর এবং নানাবিধ কারনে বইগুলা আমি আর পাই নাই। কমপক্ষে হাজার খানেক বই হাতছাড়া হইছে। আমি জানি, সেখানে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই ছিলো। যা আমি এখন আর টাকা দিয়াও কিনতে পারবো না।

এই দুঃখ আমি কোনোদিন ভুলবো না।

এখন আমার ঘরে যা বই আছে তা মূলত গত কয়েক বছরের সংগ্রহ। সচলরা পড়তে নেয় কিন্তু ফেরত দেয় না। সত্যি বলি, আমার জীবনে সবচেয়ে পছন্দের বিষয় আমার কেনা বই। আমি পড়তে ভালোবাসি। আমার কেনা অনেক বই আছে যেগুলো আমি এখনো পড়ি নাই।

আমার বইগুলা এমনই হইছে যে, দেখা গেছে মামুন হকরে গিফট দিতে হবে, তো আমার বুকসেলফ থেকে বইটা নিয়ে তারে গিফট দেওয়া হচ্ছে। এইটা একটা আশ্চর্য... আমি বই কিনি পড়ার জন্য এবং সংগ্রহে রাখার জন্যই।

সবার কাছে বিণীত অনুরোধ আমার বইগুলা ফেরত দেন। আমি আবারো আপনাদের পড়তে দিবো অন্য কোনো বই। পড়তে চাইলে আমার দুয়ার অবশ্যই খোলা। কিন্তু ফেরত দিতে হবে।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা.. এই আহবানে কেউ সাড়া দিবে বলে মনে হয়? কয়টা বই ফেরত পেলেন তার আপডেট দিয়েন নজু ভাই। আমার দিক থেকে শুভ কামনা থাকলো। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিদ্ধান্ত ফাইনাল। আগের বই সবগুলা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আমার বাড়িতে সচলদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বালক এর ছবি

আমি আপনের বই নেই নাই। তবে ইচ্ছে ছিলো নেবার কিন্তু আমি জানতাম বই চাইলে এরকম ঝাড়ি দিতেন, তাই আর চাই-ই নাই।

বই ফেরত না দিলে আসলেই অনেক খারাপ লাগে, তা সত্য।
কিন্তু নইজ্জা ভাই, বই ও বউ খাইছে যদি একবার ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সেটা আর ফেরত আসে না।

____________________________________________
ভালো করে বাঁচতে হলে, ভালো মানুষ হতে চাই...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরে বউ গেলে বউ পাওয়া যাবে। কিন্তু বই!!!

পড়তে নিলে অসুবিধা নাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বই ফেরত পাই নাই। এজন্যই কষ্ট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

এই জিনিষ্টা আমার কাছেও খুবই বিরক্ত লাগে। মানুষজন বই নিয়া আর ফেরত দেয় না।
এজন্য আমি আম্রিকা আসার আগে আমার শোকেসে তালা মাইরা আসছি দেঁতো হাসি
আপ্নের নাহয় আপনার চেনা মানুষেরা বই নেয়...আর আমার বই নিতো আমার বন্ধুবান্ধব, বোনের বান্ধবীরা...বাবার কলিগেরা... বোঝেন অবস্থা!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

জি.এম.তানিম এর ছবি

আমারে আগে কিছু বই দেন... তারপরে আমি এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কিভাবে বই উদ্ধারের প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায় সেই কর্মপ্রণালী বের করব। দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

আমারে আগে কিছু বই দেন... তারপরে আমি এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কিভাবে বই উদ্ধারের প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায় সেই কর্মপ্রণালী বের করব। দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

তুলিরেখা এর ছবি

স্ট্রিং থিওরি, ডিব্রেন থিওরি, মালটিভার্স থিওরি, ব্ল্যাক হোল ওয়ার, নাসদীয় সূক্ত, অদ্বৈতবাদ দ্বৈতবাদ দ্বৈতাদ্বৈতবাদ এইসব মেলা মেলা অংক আর কঠিন কঠিন মন্তরওলা বই রাখবেন চোখের দেখায়, লোকে যাতে দেখলেও পড়তে না চায়। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি

মানুষের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখার কৌশলগুলির মধ্যে ওপরের সারিতে আছে, এমন একটা কৌশল হলো, তাকে বই ধার না দেয়া। আমি আমার বন্ধুদের বই পড়তে দিই না কখনো, ফলে তারা আমার বন্ধু থেকে যায়। তবে তাদের বই কলাকৌশল করে নিয়ে আসি, আবার সযত্নে ফিরিয়ে দেয়ার, কিংবা তারা বইয়ের ব্যাপারে উদাসীন হলে সযত্নে নিজের কাছে রেখে দেয়ার চেষ্টা করি দেঁতো হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার বইগুলো ফেরত নেবার কোনো দরকার নেই
আপনি জ্ঞানী মানুষ বই দিযে আর কী করবেন?
আপনি এখন লিখবেন

আর যারা জ্ঞানী হতে চায় তারা বই বাড়িতে নিয়ে সাজিয়ে রাখবে

আর যারা অজ্ঞান তারা দুয়েকপাতা পড়বে

কিন্তু আমার আপত্তি আছে ঢাকার সচলাড্ডা নিয়ে
এইটার একটা কড়া নীতিমালা (আইন) করা দরকার
প্রতিদিন ব্রান্ডের শার্ট ইন করে চকচকে ব্লেডে দাড়ি কামিয়ে ঝকঝকে সু পরে সবজান্তা এসে শাহবাগে হাজির হয়ে বলে- টিএসসিতে গিয়েছিলাম। ভাবলাম একটু ঢু মেরে যাই (টিএসসিতে যেতে হলে শার্ট ইন করে যেতে হয়?)

সেখানে আগে থেকেই বসা থাকে আউলা ইঞ্জিনিয়ার এনকিদু (বাড্ডা থেকে)

বনানী থেকে গিয়ে গরিব চাওয়ালার বেঞ্চিটার উপর অর্ধচিৎ শাহেনশাহ সিমন আর খসখসে দাড়ি সমেত হাফ ইঞ্জিনিয়ার তারেক (ফুল ইঞ্জিনিয়ার হলে দাড়ি কামাবে)

এবং প্রতিদিনই ট্রাফিকজ্যামের টেকিব্যাখ্যা
ফ্লাইওভারের স্ট্রাকচারের দুর্বলতা
এবং কারে ভাঙিয়ে খাওয়ার কী টেকনলজি এইসব নিয়া আড্ডা মারে
আর এরে ওরে ফোন করে এনে দল বড়ো করে
তারপর প্লান করে এরওর বাসায় যায় কিংবা ধরে নিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকিযে বিলের কাগজ হাতে ধরায়

এইটা চলতারে না
এইভাবে চললে এরা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত আঁতেল হয়ে গিয়ে বলবে ইন্টারনেট ফিন্টারনেট এইগুলা ফালতু জিনিস- আসেন ভাইসব আমরা দেয়াল পত্রিকায় লিখি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- উপরিউক্ত সবগুলারে নেক্সট টাইম কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মোটা দেখে কাছি নিয়ে বেঁধে ফেলবেন। তারপর আমারে খবর দিবেন। এইগুলার অত্যাচারে সচলে চোখ রাখা যায় না বিনাহিংসায়! আরেকটা আছে না? চাংকুযাত্রী? ঐটা কই? ঐটারেও বাঁনবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

চাঙ্কু আমাদের সাথে মিশে না, ভদ্র লোক হয়ে গেছে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরেকটা আছে না? চাংকুযাত্রী? ঐটা কই? ঐটারেও বাঁনবেন।
আপনি পাণ্ডবদা'কে বাঁধতে চান? অ্যাঁ

ভ্রম এর ছবি

এই সমস্যা হইতো আমার বাবার, কারন সে একটা বোকা। লিভিং রুমে বই সাজায় রাখলেতো মানুষ চাইবেই! আর একবার বই বাসার সীমানা পাড় করা মানেই এই বইয়ের মুখ আপনি আর জীবনে দেখতে পারতেন্না! আমার বই সব ভিতরে চিপায় লুকানো থাকে তাই কখনো কাউরে ধার দিতে হয়নাই! দেঁতো হাসি সব লুকায় রাখেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার এক কমবয়সী দিদিমা আছেন যিনি আমাদের বাড়ি এলেই কোনো ভারিক্কি গোছের বই নিয়ে যাবেন পড়তে, যেমন বাঙালীর ইতিহাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস ইত্যাদি, এমনকি রামকৃষ্ণ কথামৃত। নিয়ে কতোটা পড়তেন জানি না, ঐ রকম আহ্লাদী-কাটিং লোক এই সব পড়েন বিশ্বাস হয় না। যাক, বার বার বলে বলে সেগুলো ফেরৎ পাওয়া গেছিলো। তারপর থেকে বই সব আমার ঘরের আলমারিগুলোতে রাখা হতো, বাবার ঘর থেকে এনে। কিন্তু বই আর কতো লুকিয়ে রাখা যায়!

আজকাল আর কেউ বই পড়ে না, এটা একটা দুঃখ হলেও এই বাবদ এই অত্যাচার কমেছে অনেক।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো, নজুদা, মনে হয় প্রাবাসি হক্কল সচল, হাচল আর অচলদের বদ্দোয়া লাগছে আপনার ঘাড়ে, এইজন্যে তার একটা স্রোত আপনার লাইব্রেরীর উপর দিয়া গেছে, আরো সচলাড্ডা করলে বাকি গুলাও যাবে এমন দোয়াই করলাম, যতদিন না আমি ঢাকায় আইতেছি, তখন সচলাড্ডা হইলে আমি ২ হাত তুলে দোয়া করব, যাতে বইগুলা ফেরত আসে চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রবাসিনী এর ছবি

ফেরত আসবে না। আশা ছেড়ে দেন দেঁতো হাসি
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

অতিথি লেখক এর ছবি

আহারে!! সমবেদনা জানাইলাম।

নৈশী।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বই সংরক্ষনে আমার নিয়ম ফলো করেন :

বই দুইপ্রকার। সংরক্ষনযোগ্য ও আবর্জনাযোগ্য।
সংরক্ষনযোগ্য বইগুলোকে একতাকে রাখুন , অথবা এগুলো সম্ভব হলে বেডরুমে রাখুন। ( সংরক্ষনযোগ্য বই বেশি হওয়ার কথা না )।

আর যেগুলো একবার পড়ে অথবা না পড়ে ফেলে দিলে সমস্যা নেই , সেগুলো সাঁজিয়ে রাখুন এবং চাহিবা মাত্র ধার দিন। তবে এই শোকেসে একটা খাতা রাখুন , যে বই নিয়ে গেল তার বইয়ের নাম এবং স্বাক্ষর টাক্ষর এগুলো রাখুন। পুরো ফর্মাল একটা বিষয়। এতে করে বই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এভাবে করলে ১০০ বই ধার গেলে ৭/৮টা ফেরত পাওয়া যায়।

দ্বিতীয় পদ্ধতিটা হচ্ছে বই ফেরত আনার কৌশল। দেখা হলে বই ফেরত চাইবেন এরকম করলে বই ফেরত পাবেন না। হুট করে মাঝরাতে ফোন দিবেন এবং বই ফেরত চাইবেন। সময় দিবেন এভাবে যে কালকে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বইটা দরকার।
এতে করে আবেদনের গুরুত্ব বাড়ে এবং সহজ সরল লোকজন সত্যি সত্যিই বইটা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করে।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আবর্জনা বইযের একটা তালিকা দাও না ভাইডি..।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

নৈষাদ এর ছবি

নজরুল ভাই, এই গন-বিজ্ঞপ্তির পর অর্ধ এবং পূর্ন সচলরা তো বই চাওয়ার কথা না। চাইলেও আকর্নবিস্তৃত একটা হাসি দিলে তো কী বলতে চাচ্ছেন সেই বার্তা পারাব কথা। তারপরও যদি … সমাধান কী হবে আমি জানি না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আরে ভাই বিশালদেহী সিমন একদিন আইসা বাইছা বাইছা একগাদা বই নিলো। এতোগুলাই যে হাতে নেওয়া যায় না, কয় ব্যাগ দেন। ব্যাগও নিলো। নিধি বাঁইকা বসলো... সে কোনোভাবেই বই নিতে দিবে না। তবু নিলো এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরতের প্রতিশ্রুতিতে।
তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো...

লুকায়ে রাখার জায়গা আমার বাড়িতে নাই... বসার জন্য যে ঘর, সেখানে কেউ বসে না। সব চলে আসে আমার ঘরটাতেই

সচলদের আর বাড়িতে ঢুকতে দিবো না। সিকিউরিটি গার্ডরে বলে দিছি এইগুলা যাতে আর না আসতে পারে চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

আমি গরীব মানুষ। দেশে আমার অল্প কয়েক্টা বই অনেক সামলে সুমলে রাখতাম। আমার একটা খাতা ছিলো যেখানে কেউ বই নিলে তারিখ সহ সাইন করে বই নিতো এবং আমি খাতা দেখে বেহায়ার মতো ঘ্যান ঘ্যান করতাম যতোদিন বই ফেরত না দিতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

বই, সিডি, ডিভিডি আর প্রেমিকা একবার হাত ছাড়া হলে আর ফেরত আসে না।

সুতরাং কান্না-কাটি করলেও ফেরত আসা দুষ্কর।

আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়া গেছে মনে করে দাবী আপাতত ছেড়ে দিতে পারেন। যদি কোনো হৃদয়বান ফেরত দেয়, ভাববেন হারানো প্রেমিকাকে ফেরত পেয়েছেন। এই খুশিতে বাসায় একটা পার্টি দিবেন আর আমাকে কিন্তু দাওয়াত দিয়েন।

দলছুট।
========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

দময়ন্তী এর ছবি

অঢেল সহানুভুতি রইল নজরুল৷ আর ফেরত পাবেন বলে মনে হয় না৷ আমি ঠেকে শিখেছি৷ আজকাল হিমুর মতই আমিও প্রায় কাউকেই বই ধার দিই না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রেনেট এর ছবি

কেউ কেউ তো আছে চাওয়া চাওয়ির ধার কাছ দিয়েও যায় না... সোজা বই বগলদাবা করে রওয়ানা দেয়
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নিবিড় এর ছবি

নজরুল ভাই একটু সুস্থ হইলেই আপনার বই দুইটা ফেরত দিয়ে যাব হাসি বেশী চিন্তা কইরেন না হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মামুন হক এর ছবি

আমিও কয়েকটা বই নিয়ে আসছি, ফেরৎ পাঠানো অনেক ঝামেলার। তারচেয়ে বরং দোস্ত তুমি একবার কষ্ট করে তাইওয়ান এসে নিয়ে যেও। আমার বসার ঘরও বই-পুস্তকে ছয়লাব...হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি কাউরেই বই ধার দেই না। দুঃখের বিষয় হলো এই কঠোর নীতি আমি অবলম্বন করছি আমার বেশিরভাগ বই হারানোর পর। নজু ভাই, আপনার ক্ষেত্রে যেন তা না হয় সেই দোয়া করি। আমি সত্যিই আমার হারানো বইয়ের কথা মনে উঠলে আবেগী হয়ে পড়ি। ছাত্রাবস্থায় বই সংগ্রহ করতে গেলে চাইনিজ খাওয়ার, সিনেমা দেখার, বেড়াতে যাওয়ার, শার্ট-প্যান্ট কেনার, বন্ধুমহলে মদ খাওয়ার এরকম অসংখ্য সুখ বিসর্জন দিতে হতো। সেই কষ্ট ভুলতাম বইয়ের মুখ দেখে...
আমার পরামর্শ হচ্ছে, যে বইটি বাজারে পাওয়া যায়না শুধুমাত্র সেটি ধার দিন। এবং অবশ্যই লিখিত ভাবে। এবং অতি অবশ্যই যে কাউকে না...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

নজু ভাইয়ের বাসায় যাওয়া দরকার মনে হইতেছে দেঁতো হাসি

--------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

এনকিদু এর ছবি

আজকে বিকালে আসতেছি, কথা আছে । আমি কিন্তু কোন বই নেই নাই এখনও । কিন্তু এখন ভাবছি জাতে উঠার জন্য আমিও একটা বই নিব । সুন্দরী বালিকাদের ছবি সম্বিলিত ফ্যাশন ম্যাগাজিন বা ক্যাটালগ জাতীয় কিছু আছে ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

যূথচারী এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতা হলো, আমি বই ধার দেই এবং একটা খাতা মেইনটেইন করি। সাধারণত স্বাক্ষর রাখি না, তবে স্বাক্ষর রাখার অপশন আছে, বই দিতে দেরি করলে, সাধারণ যোগাযোগ তো করিই, সেই সাথে একটা ডাকযোগে অফিশিয়াল চিঠি দেই। এবং বাইরের ঘরের দরজায় ভেতরের দিকে (যাতে ঘর থেকে বের হবার সময় সবাই দেখতে পায়) একটা নোটিশবোর্ড (আসলে বড় কাগজ) লাগানো আছে, যার শিরোনাম, "যারা বই ধার নিয়ে এখনো ফেরৎ দেননি", সেখানে কে কবে কোন্ বই নিয়ে আর ফেরৎ দেননি, তা লেখা থাকে। এইসব যন্ত্রণা এড়ানোর জন্য অনেকেই বই ধার নিয়ে ফেরৎ দেন, মোটামুটি ৭০-৮০ ভাগ বই ফেরৎ এসেছে।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

আলমগীর এর ছবি

এইটা একটা কথা?
বইয়ের দুঃখে পোস্ট দিলেন, ফেরত পাওয়া দূরের কথা লোকজন এখন আরো ধার নেয়ার ধান্ধা করতেছে।

একটা ছেলে লাগান। সব বই স্ক্যান করে হার্ডডিস্কে ঢুকায়া ফেলেন।
চোর-প্রতিরোধক্ষম অক্ষয় কোম্পানি।

রণদীপম বসু এর ছবি

ভাগ্যিস নজু ভাইর বাড়িত কুনুদিন যাই নাই, নইলে তো এই মিয়া আমারেও চোর বানাইতো ! নিজের মনে কইরা কেউ নাহয় আনলোই, হের লাইগা এইরকম ঢোল পিটানি লাগে- সচল্যারা সব চোর, সচল্যারা সব চোর !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

দেঁতো হাসি সহমত রণদা...

তানবীরা এর ছবি

মনের কথা দাদা। আমিও তাইই কইইইই

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আজকেও নাকি আড্ডা হলো আপনার বাড়িতে? ঢুকতে দিলেন সচলদের? চিন্তিত

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

খালি ঢোকা? কাবাব-নান সহযোগে কত্তো আড্ডাই না হলো!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তার মানে কি একটা ব্যাগ আর কিছু বই ফেরত গেছে নজু ভাইয়ের কাছে... নাকি বেচারা ভদ্রলোক ভাইয়া লাজশরমের কারনে আপনাদের কিছু বলতেও পারেননাই... [আহারে ভাইয়াটা...]

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

নাহ, ফেরৎ যায় নি। উল্টো আরো এক ব্যাগ বই সাথে এসেছে। এখন পা দুলিয়ে বিড়ি খাচ্ছি আর বই পড়ছি। চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমি লাল ডায়রি তে সব লিখে রাখি, অনেক বই হারিয়েছি, আর ভালু লাগেনা...

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

খুব খ্রাপ!
আসোলেই দুঃখজনক। পরিস্থিতি কী পরিমাণ খারাপ হইলে নজরুল ভাই এই বিষয়ে এমন আকুল একটা পোস্ট দিছেন, সেইটা বোঝা যাইতেছে।

আমি একটু দোহরাইলাম, - ভাইয়েরা না ভালো! সবাই বই দিয়া দ্যান সব ফেরত। বই নেয়া ভালো, নিয়া পড়াও ভালো, যদি সেটা ফেরত দেয়া হয়। যার-ই হোক, যেই বই-ই হোক, মালিককে ফেরত না দেয়া অবশ্যই তীব্র অন্যায়। হ। মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।