পতাকার ফেরি-ওলার কাঁধের লাঠিতে সবার উপরে বড় পতাকাটি পতপত করে উড়ছে; তারপর মাপে ছোট হতে হতে ছোট্ট একটি আছে সবার শেষে। এই ফেরি-ওলাগুলোকে আমার সেই শৈশব থেকে অনেক পছন্দ, আকর্ষণীয়। সবচেয়ে বড় পতাকাটি কেনার বায়না বাবা কিনে দিলেও পরেরবার শেষ হতো না, আবার চাই। কিশোরটি মাঝারি মাপের পতাকাটি কিনতে আগ্রহী। ছাত্র মানুষ। ফেরি-ওলাও দাম কমাচ্ছে না। বনিবনা হলো বোধ হয় কিছু সময় পর। ছেলেটি পকেট থেকে ভাংতি বের করলো, পুরোটা হলো না বোধ হয়। স্কুল ব্যাগ খুলে অনেক খুঁজে মোচড়ানো একটা ১০০ টাকার নোট বের করে দিলো। নির্ঘাত তিলে তিলে জমানো টাকা। ফেরি-ওলা তার থলে থেকে একটা নতুন পতাকা বের করে দিলো। মাখনের মত পতাকা-সবুজ কোমল ঘাসের মত-লাল লোহিতের মত। ছেলেটা পরম মমতায় পতাকাটা হাতে নিলো। ঘ্রাণ নিল শ্বাস ভরে, আমি বাস থেকেই তা স্পর্শ করতে পারলাম। কী শ্রদ্ধায় বুকের উপর নিয়ে হাঁটতে থাকলো সামনে। এত পবিত্র দৃশ্য অনেক দিন দেখি নি। আমার হৃদয় পরিশুদ্ধির তৃপ্তি পেলাম যেন।
আমি সব সময় দেখি শিশুরা ফেরি-ওলাদের পতাকার প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট হয়। বাবা-মা বহুবার পতাকা কিনে দিতে বাধ্য হোন। ওদের হাতে-পিঠে আমার স্বাধীন দেশের পতাকা বাতাস কাঁপিয়ে দুর্বার উড়তে থাকে। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৯২
৯০ দশকের শুরুতে পুরাতন ঢাকায় থাকতাম, গেন্ডারিয়ায়। অনেক গুলো বড় ভাই ছিল। আরিফ ভাই, বাবুনি (কথা শুনতে-বলতে পারত না)। ১৬ ডিসেম্বরের আগে থেকেই আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হত কে কত টাকা জমাতে পারি আর কত কাগজের ছোট ছোট পতাকা গুলো কিনতে পারি, শ দরে কিনতাম। বান্ডেল বান্ডেল কাগজের পতাকা। অপূর্ব ঘ্রাণ।
১৫ ডিসেম্বরের দিবাগত রাতে সবাই আমরা ব্যস্ত। রাস্তার এ মাথা ও মাথা ঘন ঘন দড়ি বাধা। একেক দড়ি একেক জনের। সবার হাতে পতাকার বান্ডেল আর আঠা। দড়িতে পতাকা লাগাচ্ছি সবাই। একটু দম নেবার সময় নাই। ঠিক ঠিক গ্যাপে লাগাতে হবে, ঠিক ঠিক মার্ক পর্যন্ত ভাজ করে আঠা লাগাতে হবে, সোজা রাখতে হবে। ভোর হবার আগে শেষ করতে হবে। সারা রাত কাজ করে পতাকা সাজাতাম। মাঝে থাকতে উঁচু একটি বাঁশ, অনেক বড় কাপড়ের পতাকা-গাঢ় সবুজ, সিক্ত লাল। তারপর ছাদে নিয়ে কাপড়ের পতাকা, তারপর দড়িগুলো টানাতাম। সে এক বিস্ময়কর অনুভূতির স্মৃতি। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ছাদে যেতাম স্বর্গীয় অনুভূতি হতোঃ এত সুন্দর এত সুন্দর! সবুজ আর লালে মাখামাখি। শুধু আমাদের ছাদ নয়, আশে পাশের প্রতিটি ছাদেঃ আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে উড়ছে পতাকা কাপড়ের, কাগজের, হৃদয়ের।
১৬ ডিসেম্বর ২০১২
দুপুরে বিটিভিতে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ দেখলাম। এই জাতীয় মুভি দেখতে আমি ম্যাকিং-মেরিট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসি না। আমি অনুভূতিটা নিতে চাই, আবেগটা ছুঁয়ে দেখতে চাই। চমৎকার সিনেমা। বইয়ের গল্প আর সিনেমার চিত্রায়িত গল্পের আবহ ভিন্ন হবে স্বাভাবিক। আমি আটকে ছিলাম। রাশেদের সাথে সাথে যুদ্ধ করছি যেন। অসাধারণ চরিত্র। মাঝে মাঝে বুক ভারি হয়ে আসে, চোখের কোণে অশ্রু জমে। একটা রাজাকার-পাকী মরে- অশ্রু কমে।
শেষের দৃশ্যে রাশেদকে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলতে জোড় করে রাজাকার। রাশেদ শতবার উচ্চারণ করে 'জয় বাংলা'। তাকে গুলি করে মেরে ফেলে ঐ শুয়োরের বাচ্চা। শুয়োরের বাচ্চারা এইভাবে লাখ লাখ রাশেদ মেরে ফেলেছে। মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে; গণ কবর খুড়ে মাটি চাপা দিয়েছে। এই বাংলার প্রতিটা নদী শাখা প্রশাখার জল, প্রতিটা মাটির কণা শহীদদের রক্তে চিরপবিত্র। এই পবিত্রতা যুদ্ধাপরাধীরা-তাদের সমর্থকরা শত চেষ্টা ষড়যন্ত্র করেও কলুষিত করতে পারবে না!
মুভি শেষে সমগ্র ঢাকা নিজে ড্রাইভ করে অনেকক্ষণ ঘুরেছি। মানুষ আর শুধু মানুষ লাখে লাখে- রাস্তায় রাস্তায়-পার্কে- পরিবারে-যুগলে-বন্ধু-মহলে। লাল-সবুজ জামা পড়া। মাথায় ব্যান্ড বাধা বিজয় দিবস, হাতে ওড়ানো পতাকা। স্থানে স্থানে মঞ্চ-বিজয়ের গান-মুক্তির গান-পথ-নাটক। সর্বত্র একটাই শপথ দৃপ্তঃ যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। সমগ্র ঢাকা এই শ্লোগানে কাঁপছে। শুনে রাখ ৭১ এর হায়েনারা, তোদের এবার আর রক্ষা নাই। ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছে এই জনতা। বিচারপতি রায়টা দিবে এতটুকু বাকী।
এত এত আশাবাদী নির্দেশকের বাইরে অন্ধকাররূপে হতাশাও আছে। কেউ কেউ বিশ্বজিতের নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে শিউরে উঠে অথচ ৭১ এ লাখ লাখ শহীদের নির্মম হত্যার কথা ভুলে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে মানবতা দেখাতে চায়, অথচ লাখ লাখ পরম শ্রদ্ধেয় নারীর সম্ভ্রম লুটের বর্বরতার ইতিহাস ভুলে যায়, মুক্তিযোদ্ধাদের এইভাবে জবাই করা হয়েছে ভুলে যায়। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজনৈতিক বিষয় ভাবে অথচ এটা যে বাংলার অস্তিত্বের বিষয়, স্বাধীনতার পরিপূর্ণতার বিষয়, দেশপ্রেমের বিষয় এটা শুনতে চায় না। আন্তর্জাতিক আইন মানার কথা বলে অথচ আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞের কাছে পরামর্শ চাইলে বিচারপতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, পদত্যাগ করায়। এরা কিছু শুনতে চায় না, মানতে চায় না শুধু একটা জিনিসই চায়ঃ যে কোন মূল্যে যে কোন ইস্যু তৈরি করে বিচার প্রক্রিয়া থামাতে-নষ্ট করতে। কিন্তু নব্য রাজাকারেরা জেনে রাখঃ এবার আর রক্ষা নাই, কোটি কোটি জনতা রাত্রি বিনিদ্র আছে, কোন ফাঁক রাখবে না, ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যার, লাখ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির বিচার ছিনিয়েই আনবে।
পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের শক্তি অপরিসীম। পতাকা হাতে নিয়ে- কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে সকল অপশক্তি প্রতিহত করতে বেগ পেতে হয় না। যুদ্ধাপরাধী-তাদের দোসর-তাদের প্রকাশ্য বা লুকায়িত সমর্থকদের কণ্ঠ ছাপিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের শক্তিতে বলীয়ান প্রতিটা মানুষের তাই হাতে থাকা চাই উড়ন্ত জাতীয় পতাকা, কণ্ঠে থাকা চাই অমিয় জাতীয় সঙ্গীত।। হৃদয়ে জয় বাংলা।।
----------------------
অনলাইনের কলমযোদ্ধারা যার যার সাধ্যমত অসাধারণ আর পরিশ্রমী সব কাজ করছেনঃ
১। 1971 Genocide : A Creed for Justice
২। একাত্তর; in 354 seconds
৩। রাজাকার গোলাম আজমের কুকীর্তির প্রমান ও এটি।
৪। Stop Genocide A Film Zahir RaiHan,Bangla 1971
৫। রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কুকীর্তির সামান্য কিছু প্রমান
৬। Bangladesh National Anthem (Acoustic Fingerstyle)-Mashfique Anwar
৭। Khiyo is excited to present its first official video - Amar Shonar Bangla
৮। জয়ের গান
৯। এবং আরো অসংখ্য...
নিম্নোক্ত ছবিসজ্জাঃ স্যাম।
মন্তব্য
লেখাটা মনের মাঝে ছুঁয়ে গেল।
বড্ড আবেগাপ্লুত হলাম। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলাম।
ধন্যবাদ জানবেন প্রৌঢ়দা। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
_____________________
Give Her Freedom!
মুগ্ধতা। বারবার ছুঁয়ে দেখলাম
মরার আগে কোন একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬শে মার্চ, কিংবা ১৬ই ডিসেম্বর সশরীরে বাংলায় থাকতে চাই
ডাকঘর | ছবিঘর
স্বাগতম তাপসদা
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হুমম সুস্বাগতম
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ তাপসদা। এই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে চলে আসা যায়? অণুদাও থাকবেন দেশে
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক ধন্যবাদ সাফিনাজ :)। আসব অচিরেই
অলি, ভাইডি হবে হবে। তবে এই ফেব্রুয়ারী একেবারেই অসম্ভব। আসলে এই পেট এর জন্যে তো সব দায় আটকে আছে'রে ভাই। এইটার জন্যে যা করতে হয় সেখানেই তো ফেঁসে যাচ্ছি । তবে পরের একটায় বা তার পরেরও একটায় হবেই হবে। দেখে নিও আমরাও হাতে হাত রেখে একদিন..
ডাকঘর | ছবিঘর
চইলা আয় মামুর বুটা, আমিও আসছি।
কত বছর প্রভাতফেরীতে যাওয়া হয় না।
facebook
ইয়েস স্যার, আমি আছি প্রভাতফেরিতে
_____________________
Give Her Freedom!
আচ্ছা পরের বছর কিন্তু ঠিক ঠিক.............
_____________________
Give Her Freedom!
হৃদয়ে বাংলাদেশ, হৃদয়ে জয় বাংলা, হৃদয়ে লাল সবুজ পতাকা।
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই , হতেই হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ সাফিনাজ আপু। শুভেচ্ছা।
_____________________
Give Her Freedom!
মন ছুঁয়ে গেল আপনার পোষ্ট।
দ্রুত বিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হোক ন্যায়।
ধন্যবাদ প্রদীপ্তদা। ঐদিনটার অপেক্ষায় আছি ৪১ বছর..........
_____________________
Give Her Freedom!
হু, ৪১ বছর অপেক্ষা করে আছি। স্বচক্ষে দেখেছি এদের নৃশংসতা। আপনজন হারিয়েছি। আর অপেক্ষা করার সময় ও ধৈর্য কোনটাই নেই।
অতিদীর্ঘ এবং সময় পেরিয়ে বিচার কিন্তু অবিচারেরই সমার্থক।
আসছে বছর ১৬ ই ডিসেম্বরের মধ্যে সুবিচার আসুক এই প্রার্থনা রাখি।
আসবে প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি
_____________________
Give Her Freedom!
একটু ধৈর্য ধরতে হবে প্রিয় প্রৌঢ়দা। নৈলে ওরা বলবে বিচার সুষ্ঠু হয় নাই
_____________________
Give Her Freedom!
ওরা কি আমাদের প্রতি সুবিচার করেছিলো ?
কোন বিচারেই যে লাখ লাখ হত্যা-জবাই-ধর্ষণ করা যায় না!
_____________________
Give Her Freedom!
বিজয় দিবসের প্রতি আবেগ আমাদের মানবিক গুণাবলী বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখুক এবং এই বলে বলিয়ান হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
''দিবাকর''
ধন্যবাদ জানবেন দিবাকর। আপনার চেতনায় শ্রদ্ধা।
_____________________
Give Her Freedom!
চমৎকার
..................................................................
#Banshibir.
পীরসা'ব পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
_____________________
Give Her Freedom!
এবারের বিজয় দিবসে অন্যরকম বিজয় ছিল মানুষের মাঝে
আমরা যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করে এনেছি প্রায়.............তারপর প্রতিটা গ্রামের সমগ্র বাংলাদেশের সকল রাজাকারেরও বিচার হবে..........এই প্রত্যাশায়
_____________________
Give Her Freedom!
যুদ্ধ শেষ হয়নি, সজাগ থাকো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুমম বন্ধু
_____________________
Give Her Freedom!
'ভোর হয়নি, আজ হল না কাল হবে কিনা তাও জানা নেই, পরশু ভোর আসবেই ঠিক সেই আশাবাদ তুমি ভুলনা'। একদিন ভোর আসবেই। সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মাধ্যমেই তা আসবে।
_____________________
Give Her Freedom!
বিজয় দিবসে যুদ্ধাপরধীর বিচার নিয়ে শপথটা যাতে ডিসেম্বরের পরেও বজায় থাকে- এটাই প্রত্যাশা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রত্যাশা তাই, ফাহিমদা।
_____________________
Give Her Freedom!
বিজয় দিবসে যুদ্ধাপরধীর বিচার নিয়ে শপথটা যাতে ডিসেম্বরের পরেও বজায় থাকে- এটাই প্রত্যাশা
ঠিক
_____________________
Give Her Freedom!
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কৃতজ্ঞতা বস!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ স্যামদা। আমার অনুরোধটা রাখার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
_____________________
Give Her Freedom!
আমিও ঘুরেছি পুরো ঢাকায়। এই দিনগুলিতে চারপাশের আনন্দ, গর্ব মাখা হাশিখুসি চেহারাগুলো দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। আমি বড় হয়েছি মতিঝিল এলাকায়। ১৬ ডিসেম্বরে প্রতিটা অফিস লাইট আর পতাকা দিয়ে সাজান থাকত, অসাধারণ লাগত দেখতে, সন্ধের পর যায়গাটা অচেনা অপার্থিব মনে হত। বিকেলে আব্বু আমাদের নিয়ে বের হয়ে যেত, হাতে থাকত ছোট পতাকা, কোন কারন ছাড়াই আমার মনে ফুর্তি হত, কিছু না বুঝেই অনেক গর্ব লাগত, এখনও সেই অভ্যাসটা ছাড়তে পারিনি।
আমার মনে হয় দেশপ্রেমের চর্চায় একটা পরিবারের ভূমিকা অনেকখানি। অনেক সময়ই দেখি যাদের বাবা মারা তাদেরকে নিয়ে পহেলা বৈশাখে বটমূলে যায়নি, ২৬সে মার্চ , ১৬ ডিসেম্বর পতাকা হাতে তুলে দেয়নি, ২১ সে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরীতে কখনও হাটায় নি এদের একাংশই বড় হয়ে ছাগু হওয়ার প্রবনতা দেখায়।
তবুও হতাশ হব না ঠিক করেছি। মনে পড়ে ২০০১ এ পহেলা বৈশাখে বোমা ফাটার খুব কাছেই ছিলাম আমরা, সেবারই প্রথম আব্বু আম্মুর সাথে না যেয়ে বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম, কিন্তু এরপরও কিন্তু আমাদের যাওয়া কেউ বন্ধ করতে পারেনি। এবং এখন পর্যন্ত প্রতিবারই গিয়ে দেখি এবার আগেরবারের চেয়েও বেশী লোক জমেছে। তাই বলি, এসব করে ওরা আসলে কিছুই করতে পারবে না। বাঙালি চেতনাবোধ এত হালকা কোন জিনিস না যে কিছু ছাগুর কীর্তিকলাপে সেটার উপর আদৌতে কোন প্রভাব পড়বে।
লেখায়
আপনার এই সাহসই অপশক্তিদের দূর করে দিবে দৃষ্টির আড়ালে................
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা আপু। সব সময় আপনাকে পাশে পাই, কৃতজ্ঞ।
_____________________
Give Her Freedom!
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত!
সেদিন একটা শ্লোগান দেখলাম পোস্টারেঃ
সব শহিদদের খবর দে,
রাজাকার কবর দে।
_____________________
Give Her Freedom!
হৃদয়ে জয় বাংলা।
চমৎকার
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
_____________________
Give Her Freedom!
অসাধারণ লেগেছে।
ফারাসাত
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
_____________________
Give Her Freedom!
নতুন মন্তব্য করুন