আন্দোলনটির মূল ভিত্তি ছিল নৈতিক। যে অভিযোগের ভিত্তিতে আন্দোলন হয় সেই অভিযোগে অন্য কোন পাবলিক প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন হবার সম্ভাবনার কথা কেউ হয়তো চিন্তাই করতে পারে না। তাই অনেকে এই ইস্যুকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করেন নি। কিন্তু বুয়েটের সকল পরীক্ষা পদ্ধতি, ফলাফল প্রকাশ, নম্বর প্রদান সর্বদা শতভাগ স্বচ্ছ রাখা হয়। এটা চর্চিত ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যের ব্যত্যয় হলে শিক্ষক-ছাত্ররা প্রতিবাদ মুখর কেন হবে না? প্রতিবাদ করা আবশ্যিক নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।
আন্দোলনের মূল ত্রুটি ছিল এর দীর্ঘকাল প্রাসর্য। আন্দোলন পরিচালনাকারী শিক্ষকবৃন্দ সঠিক উপায়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে আন্দোলন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য বাংলাদেশে কোন নৈতিক আন্দোলন চালনা করে দ্রুত সফল হওয়াও সম্ভব নয়। সরকারের প্রধান ফটক (প্রধানমন্ত্রী) পর্যন্ত পৌছাতেই তাদের ২ মাস লেগেছিল। ফলস্বরূপ ছাত্ররা ৩-৪ মাস পিছিয়ে পড়ে। এমন উপায়ে আন্দোলন পরিচালনা করা উচিৎ ছিল যেন এই অপূরণীয় ক্ষতিটুকু এড়ানো যায়।
আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। শিক্ষক ছাত্রদের অংশগ্রহণ নিয়েও কোন প্রশ্ন নেই। নৈতিকতা ভিত্তিক তীব্র আন্দোলনও যে হতে পারে সেটাই বরং উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তবে দীর্ঘসূত্রিতার ক্ষতিটুকু এড়ানো যায় নি এটাই হতাশা-দায়ক।
অনলাইন মাধ্যম এখন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মাধ্যম। যে কোন ইস্যুতে অনলাইন মাধ্যম (ফেইসবুক, ব্লগ, ই-পত্রিকা) এর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ থাকে। পক্ষে-বিপক্ষে, যৌক্তিক-অযৌক্তিক, প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় আলোচনা চলে। ব্যক্তি কেন্দ্রিক-প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বিদ্বেষ তৈরী হয়, স্বাভাবিক। আন্দোলন জাতীয় ইস্যুতেও এর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। জনমত গঠন, তাৎক্ষণিক তথ্য আদান প্রদান, গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রসারের জন্য এই মাধ্যম উপর্যুপরি ব্যবহৃত হয়। যথারীতি এই আন্দোলনেও ফেইসবুক-ব্লগ ব্যবহৃত হয়। একটি ইভেন্ট ‘ভিসির অফিস ঘেরাও এবং অবস্থান ধর্মঘট’ যা পরিচালনা করত একটি একাউন্ট ‘সেইভ আওয়ার বুয়েট’। ইভেন্ট টিতে ক্যাম্পাসের আপডেট জানানো হত; তার নিচে আলোচনা-সমালোচনা হত। এই আলোচনা সমালোচনায় মূল আন্দোলনের কোন উপকার হত বলে আমার মনে হয় না।
প্র্যাক্টিক্যাল আন্দোলন আর অনলাইনের ভার্চুয়াল আন্দোলনের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। ভার্চুয়ালি রাজা-উজির মারা যায়, মৃতকে জীবন্ত করা যায় বাস্তবে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছেও দাবী পেশ করা যায় না সহজে।
যে কোন আন্দোলনকে সরকারী দল বলবে বিরোধী দলের ইন্ধনে হয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতিক চর্চা এরকমই। তা সরকারী দলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যেই থাকুক। যথারীতি বুয়েটের এই আন্দোলনকেও বর্তমান সরকারী দল বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র বলেছে। সেই ধারণার সাথে একাত্ম হয়ে সেই সময়ে ফেইসবুকের অতি পরিচিত কিছু নাম অমি রহমান পিয়াল, ডাক্তার আইজু সহ আরও অনেকে এই আন্দোলনকে জামাত-শিবির-বিএনপির চক্রান্ত বলেছেন। পুরো আন্দোলনের সময় জুড়েই তারা তন্য তন্য করে খুঁজেছেন কোথাও এতটুকু ফাঁক ফোকর পাওয়া যায় কি না। পান নি তখন, হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন হয়তো- শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলেন। তবে সেই হাল তারা বা তিনি ৭ নভেম্বরে আবার ধরলেন এই খবর জানার পরে। একে একে জোগাড় করলেন বেশ কিছু ছবি।
সমান্তরালে আরেকটা বিষয় ঘটেঃ ৫ নভেম্বর সোমবারে স্বাধীনতার শত্রু জামাত-শিবিরের দেশব্যাপী তাণ্ডব চলে। সেদিন দিবাগত রাতে আমি ‘বেঙ্গল ফোর্ট' নামের এক একাউন্ট থেকে শিবির সমর্থন মূলক পোস্ট দেখে বেশ অবাক হই যে আমার ফ্রেন্ড লিস্টে তো জানা মতে কোন শিবিরছাগু নেই, তাহলে এ কে? ঐ প্রোফাইল ঘাটতে গিয়ে আবিষ্কার করি বুয়েট আন্দোলন-কালীন বেশ কিছু নিউজ আপডেট; তখনি সন্দেহ করি এটি ঐ সময়ের কোন একটি বহুল পঠিত একাউন্ট হবে; স্বপর্যবেক্ষণসংশ্লিষ্ট একটি স্ট্যাটাস দেই বাকীদের বিষয়টা জানানোর জন্য যে একাউন্টটির নেপথ্যে একজন শিবির-জামাত লুকায়িত। পরবর্তীতে এটা প্রমাণিত হয় যে এই একাউন্টটিই 'সেইভ আওয়ার বুয়েট' ছিল। পরবর্তীতে এটাও বুঝা গেল যে প্রধান ইভেন্টটিও সে ই চালাত।
ছবি এবং এই তথ্য প্রাপ্তির পরে পিয়াল সাহেব যথা-ভাব্য একটি স্ট্যাটাসে বুয়েটকে ধুয়ে নদী-পাড় করে দিলেন। যার শেষ বাক্য
বুয়েটে ছাগুর চাষ হচ্ছে সেটা বলে আমি কোনও পাপ করি নাই।
এখন আমার কিছু পর্যালোচনাঃ
১. বাংলাদেশের আর কোন পাবলিক/প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোধ হয় শিবির নাই? এই প্রথম বুয়েটেই আবিষ্কৃত হলো?
কিন্তু বাস্তবতা হলো অন্য যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিবির আছে। তাদের প্রকাশ্য সংগঠন আছে, কর্মশালা আছে, ঘর আছে। প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড আছে, মহড়া আছে, ত্রাস আছে। কিন্তু এসবের কিছুই বুয়েটে নাই। কেউ পেটের ভিতর পাকস্থলী লুকায় রাখার মত শিবিরত্ব লুকায় রাখলে সেটা ধরা পড়া খুব আনসার্টেইন ব্যাপার, তবে যখন ধরা পড়ে তখন সেই শিবিরকে ছাত্রসমাজ থেকে একঘরে হয়েই যেতে হয়, যেমনটা এবার হয়েছে। বুয়েটের প্রকাশ্যে শিবিরীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। সুতরাং অন্য যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বুয়েট অপেক্ষাকৃত উত্তম।
২. অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যাবে ১০-২০% শিবিরীয় চেতনায় বিশ্বাসী; সেই সব প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে শিবিরের তাণ্ডব-মিছিল দেখলেই অনুমেয়। বুয়েটে সেই সংখ্যাটা হাতে গোণা। ১% ও হবে কি না সন্দেহ; বুয়েটের যে কাউকে তার ক্লাসে একটা আদমশুমারি চালালেই অনুমেয়। কিছূ থাকলেও তারা চিপা-চাপায় লুকায় থাকে, মুখ ফুটে বলার উপায় নাই। বুয়েটে শিবির কোন দিন মিছিল করে নাই। শিবির-সংখ্যার দিক থেকেও বুয়েট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে অপেক্ষাকৃত উত্তম।
৩. এখন আন্দোলনের সময়টাতে আসা যাক। বুয়েটের প্র্যাক্টিকাল (নট ভার্চুয়াল) আন্দোলনে অংশ নিয়েছে ধরে নিলাম ২০০০ জন। তাহলে শিবির কতজন হবে? ১০০০ বা ৫০০ জন বলবেন? হা হা। সে আপনারা বলতেই পারেন, তবে তা পাগলের প্রলাপ বলেই পরিগণিত হবে! ৯৯% ই ছিল সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী; তাদের কেউ আস্তিক-কেউ নাস্তিক-কেউ তাবলীগ-কেউ মুসলমান-কেউ সনাতন ধর্মাবলম্বী-কেউ অন্য ধর্মের। সবারই একটাই উদ্দেশ্য ছিল- আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিকতার জায়গাটিতে আপস না করা; নৈতিকতার বিজয় ঘটানো।
'সেইভ আওয়ার বুয়েটে'র কথা শুনে কেউ সারাদিন-সারারাত-সারামাস ক্যাম্পাসে থাকে নাই এটা বুঝতে জটিল বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন নাই। আপনাদের বিবেক বুদ্ধি আছে আর ৯৯% ছাত্র-ছাত্রীর বিবেক বুদ্ধি নাই এটা ভাবলেন কি মনে করে? আপনারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার শক্তিতে বিশ্বাসী ভাববেন আর ৯৯% ছাত্র-ছাত্রীদের অবিশ্বাসী ভাববেন তারই বা কারণ কি?
৪. বাঙালী চিরকালই রাজনীতিবিদ। সে সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করবে। রাজনীতি করতে গিয়ে তারা নিজেদের মূল-সুরটাই ভুলে যায়। রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সাথে যান; আওয়ামী লীগ, এরশাদের সাথে বসেন; বিএনপি, জামাতের সাথে ঘুমান। এরা সুযোগ পেলেই স্বার্থান্বেষী হয়ে ওঠে চিরকাল। বিরোধীদল সুযোগ পেলেই সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে আপ্রাণ। বাংলাদেশের রাজনীতির চর্চাই এমন।
সুতরাং পাছে আন্দোলনে বিরোধীদল অংশ নেয় কি না সেটা চিন্তা করে আর কোন আন্দোলন বা প্রতিবাদই তো করা যাবে না! সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না, পাছে বিরোধী দল অংশ নেয় কি না! যে কোন স্থানে ১০০ জন মানুষ নিলে সেখানে ৫০ জন বিরোধী দল হবে সেটাই কি স্বাভাবিক না? তাতে কি আন্দোলনটা মেকী হয়ে যায়? যৌক্তিকতা হারায়?
৫. বুয়েটের এই আন্দোলনে হয়তো শিবিরের কিছু জন ছিল; কিন্তু তারা যে শিবির তা তো সাধারণ ছাত্রদের কাছে প্রকাশ পায় নাই। সাধারণ ছাত্র-শিক্ষকরা নিজেদের বিবেকোৎসারিত সিদ্ধান্তেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গেছে। তাতে বিরোধীদল বা শিবির সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসলে মনে মনে কলা খেতে পারে যে তারাই যেন চালাচ্ছে।
তবে সাধারণ ছাত্ররা সেপ্টেম্বরে যখন সিদ্ধান্ত নেয় আন্দোলন থামিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবে তখন ‘সেইভ আওয়ার বুয়েট’ (বর্তমানে প্রমাণিত শিবির-কর্মী) বিরোধিতা করার চেষ্টা করে আন্দোলনকে চালিয়ে নিতে চায় কিন্তু সাধারণ ছাত্ররা তা একদমই আমলে না নিয়ে ক্লাসে ফিরে যায়।
সাধারণরা নিজেদের ইচ্ছাতেই এসেছিল, নিজেদের ইচ্ছাতেই ক্লাসে ফিরে গেছে; শিবির মনে মনে কলা খাওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারে নাই প্রকৃতপক্ষে।
৬. যখন কোন সংগঠন আন্দোলন করে তখন সেখানে নেতৃত্ব-স্থানীয় লোক/নেতা থাকে। যখন আন্দোলনে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ অংশ নেয় তখন নেতা থাকে না। সবাই স্বাধীন। এবং এই আন্দোলনের জন্য কোন সংগঠন বা কমিটি গড়া হয় নাই যে নেতা থাকবে; যার কথায় সাধারণরা উঠবে-বসবে। তবে মিডিয়ায় কথোপকথনের জন্য কয়েকজন মুখপাত্র ছিল। না আপনাদের আশাবাদী হবার কোন কারণ নাই, সেই মুখপাত্ররা সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। আশা করি তারাও শিবির এমন দাবী করবেন না!
৬. আপনি বাংলাদেশে যেখানে বসবাস করতে যাবেন ১০ জন জামাত পাবেন, ব্যাংকে যাবেন ৫ জন জামাত পাবেন, বাসে উঠবেন ২ জন জামাত পাবেন, যেখানেই যান ১ জামাত পাবেন। অর্থাৎ সারা বাংলাদেশেই ছাগুর চাষ হয়। বুয়েটে সেই অনুপাতে বহুত কম হয়।
সুতরাং আসল পয়েন্টে আলোক পাত করতে হবে। প্রকৃত সমস্যা হল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করণ নিয়ে। সেটা করলে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবে। তাতেই মুক্তি ঘটবে। বাংলাদেশ ছাগুমুক্ত হবে। আর বুয়েট ছাগুমুক্ত হবে তৎক্ষণাৎ অর্থাৎ সবার আগে; কারণ সংখ্যার অনুপাতটা যে বুয়েটে নিতান্তই তুচ্ছ।
সুতরাং আসুন, অযৌক্তিক-অপ্রয়োজনীয় বিষয়ালোচনা-প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষ চর্চা-প্রকাশ বাদ দিয়ে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে আমরা একটি নৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
--------------------------------------------------------------------------------------
সংযুক্তি ১। আলোচনা-সমালোচনা (তীর্যক/মধুর) হবে এটা আকাঙ্ক্ষিত। গালাগালি না করলে প্রীতবোধ করি। যা বলেছি তা বুঝলে খুশি হই; যা বলি নাই সেই অভিযোগ মাথা পেতে নিতে রাজি নই; অস্বস্তি এবং বিরক্তিবোধ হয় (অবশ্য আমার মত ক্ষুদ্রাধমের অস্বস্তি-বিরক্তি আপনারা গায়ে নেন না বোধ হয়)। যাই হোক, তবে আমার লেখায় কোন ত্রুটি নাই তাও না। লেখার ত্রুটি স্বীকার করে নিতে আমার কোন অপ্রবৃত্তি নাই।
সংযুক্তি ২। সমগ্র বাংলাদেশকে জামাত-শিবির মুক্ত করতে আলোচনার সূত্রপাত করতে পারেন কেউ কেউ। ৪০ বছর ধরে ওরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং এখনও ৫ নভেম্বরে সারাদেশে জঘন্য তাণ্ডব লীলা চালায়। এটা কি আমাদের ব্যর্থতা নয়? এই ব্যর্থতার দায়ভার কার? শুধু বুয়েটের? তা তো নয়। সুতরাং সমন্বিত আন্দোলন দরকার, মাঠের আন্দোলন। তার জন্যও আমাদের যোগ্য নেতা-নেতৃত্বও দরকার।
সংযুক্তি ৩। হিমু ভাইয়ের এই মন্তব্যটি মূল পোস্টে যুক্ত করছিঃ
সমস্যাটা আন্দোলনে যাওয়া নিয়ে নয়, কীভাবে যাওয়া, সেটা নিয়ে। বুয়েটের "সাধারণ" ছাত্রছাত্রীরা সংগঠিত না। বুয়েটে কর্মচারী সমিতি আছে, শিক্ষক সমিতি আছে, ছাত্রদের কোনো সংগঠন নাই। তারা নিজেদের সাধারণ ঘোষণা দিয়ে দারুণ পুলকিত। "অরাজনৈতিক আন্দোলন" হচ্ছে গত কয়েকমাসের টপ অক্সিমোরোন। তারা অসংগঠিত বলেই এ ধরনের আন্দোলনকে পেছন থেকে শেপ দিতে পারে শিবির। এই আন্দোলনে গণসংযোগে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে অনেক বেশি ভোকাল ছিলো জামাতশিবিরের শিক্ষক-ছাত্ররা। "সাধারণ" ছাত্রছাত্রীরা তাদের এই লিডারশিপ মেনে নিয়েছে। সমস্যাটা ঐ মেনে নেয়াতে।"রাজনৈতিক দল" আর "রাজনীতি"র মধ্যে পার্থক্য যদি বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা না বোঝে, সেটা যে চিন্তিত হওয়ার মতো একটা বিষয়, সেটা তো আগে বুঝতে হবে। যে আন্দোলনকে আপনি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন বলছেন, সেটা তারা ইনিশিয়েট করেনি। তারা যোগ দিয়েছে, যখন তারা শিক্ষক সমিতিকে লিডারশিপ নিতে দেখেছে। বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা রাজনীতিকে ডিনাউন্স করতে গিয়ে রাজনৈতিক লিডারশিপের জায়গাটা খালি করে রেখেছে, যেটা দখল করা শিবিরের জন্য ক্লাস ওয়ান-টুর ব্যাপার। বিপদটা ওখানে।
মন্তব্য
আপনার মতো নাইভ লোকজন দিয়ে বুয়েটের ৯৯% গঠিত। এটা শিবিরও বোঝে। এ কারণেই বাকি ১% দিয়েই তারা আপনার মতো বাকিগুলিরে সাতঘাটের পানি খাওয়ায় চরাতে পারবে।
ঘুম থেকে উঠে কফির ঘ্রাণ নেন। বুয়েট বাংলাদেশের আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র। এর ত্রুটি আছে, সমস্যা আছে। সারা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে যারা বুয়েটকে ভাবতে চায় বা দেখতে চায়, তারা আকাট বলদ।
হুমম সমীকরণ ওভাবেও মেলানো যায়।
অনিয়ম গুলোর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন ছিল। তবে সেটা দ্রুততম সময়ে সমাপ্তির দিকে গেলে ভালো হত।
বুয়েট অবশ্যই আর দশটার মত একটা প্রতিষ্ঠান। তার হাজারটা সমস্যা আছে, ত্রুটি আছে। সেই হিসেবে শিবির সমস্যাও আছে। আমি এই লেখায় আর কোন বিষয়ে তুলনা করি নি। শিবির কন্টেক্সটে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে এখানে ভয়াবহতা-রক্তাক্ততা কম, এটা বোঝাতে চেয়েছি। যারা এখন বলছে বুয়েটে ছাগুর চাষ হয়, আমি তাদের বলতে চেয়েছি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানেও ছাগু কম বেশি আছে; বুয়েট বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়; সাধারণ রূপটি এখানেও বিদ্যমান। হঠাৎ নতুন করে আতংকিত হবার কিছু নাই। সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই ছাগুমুক্তিকরণ অভিযান দরকার।
_____________________
Give Her Freedom!
তো অনিয়মগুলানের কি কি প্রতিবাদ হইলো? এখন থেকে আর অনিয়ম হবে না? ভিসি তো রয়া গেল! প্রফেসর হেলালী দুই ধাপ নিচে রেজিষ্ট্রার হইতে চান কেনু?
নিজেই কইলেন বুয়েট বেহেশতী জায়গা, আবার কচ্ছেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ না! কী বলবেন আগে ঠিক করেন।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
প্রতিবাদটা আন্দোলনের মাধ্যমে হয়েছে। যেই অনিয়ম হয়েছে সেই অনিয়ম হবে না বলেই মনে করি। যেটা লেখায় বলি নি সেটা বললে তো সমস্যা। বুয়েট বেহেশতী জায়গা না।
_____________________
Give Her Freedom!
তাইলে কি জায়গা? আরেকটা প্রশ্ন করছিলাম!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সমস্যাক্রান্ত জায়গা (ছাগুসমস্যাঃ শিবির, তাব্লীগ; এবং আরো সমস্যা)। প্রফেসর হেলালী বিষয়ে জানি না। 'আমার ব্লগে' যা দেখিলাম তাতে দোষী হবার সম্ভাবনা ভালো।
_____________________
Give Her Freedom!
"কতটা পথ পেরুলে তাকে পথিক বলা যায়?"
এহেম... এই লাইনটা একটা স্ট্রেচ হয়ে গেলো না?
এই পরিসংখ্যানের ভিত্তি কি? এই ধরণের বানোয়াট পরিসংখ্যান কোনো কিছু প্রমাণ করে না।
আবারো, এই পরিসংখ্যানের ভিত্তি কি? এই ধরণের বানোয়াট পরিসংখ্যান কোনো কিছু প্রমাণ করে না।
রাজনীতি এভাবে কাজ করে না। উদ্দেশ্য আদায়ের জন্য জলে খানিকটা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গোলালে পুরো পানিটাই লাল হয়ে যায়। সুতরাং শিবিরকে অ্যাক্টিভলি বাইরে রাখা দরকার ছিলো আন্দোলনকারীদের। নইলে এটা শিবিরের প্রোপাগান্ডাই বিবেচিত হবে।
শিবির কিছু করতে পারে নাই ভেবে মনকলাটা আপনিই খাচ্ছেন মনে হচ্ছে। কম করে হলেও সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ইনফিল্টারেট করতে পেরেছে তারা। তারা বন্ধু বন্ধু ভাব ধরে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তারা শিবিরকে থুতু দিয়ে তাড়িয়ে দেয়নি। এই টুকুই বা কম কিসে?
তারা শিবির বান্ধব "না" এটা কি দাবী করতে পারবেন?
ফিলাডেলফিয়া ছবিটা দেখেছেন? সেখানে এক পর্যায়ে নায়কের সহযোগী আইনজীবিকে গে মনে করে এক লোক ঠাট্টা করে। আইনজীবি রেগে গিয়ে বলে আমাকে কি দেখে গে মনে হয়? উত্তরে লোকটা বলে আমাকেও কি গে মনে হয়, অথচ আমি কিন্তু গে? আইনজীবি তখন বুঝতে পারে যে কেউ যে কিছু হতে পারে, যতক্ষণ না সে অ্যাক্টিভলি প্রমাণ করে যে সে সেটা নয়।
ঠিক একই ভাবে আন্দোলনকারী যে শিবির/জামাতী বা শিবির/জামাতী বান্ধব নয় সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। অ্যাকটিভলি শিবির/জামাতী করে না বলে তাদের ভালু বাসে না সেটা প্রমানিত হয়ে যায় না।
আবারো, এই পরিসংখ্যানের ভিত্তি কি? এই ধরণের বানোয়াট পরিসংখ্যান কোনো কিছু প্রমাণ করে না।
আপনার বক্তব্য বায়াসড। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করণের সুত্রপাত আসলে সব জায়গায় করতে হবে। সরকার আইন করে বন্ধ করে দিবে এরকমটা ভেবে বসে থাকলে কিস্যু হবে না। "অন্য যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বুয়েট অপেক্ষাকৃত উত্তম" ভেবে না বসে থেকে সময় থাকতে চোখ খুলুন এবং বুয়েট থেকে ছাগু তাড়ান।
একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দেখো মুর্শেদ, বুয়েটে ভিসি খ্যাদানোর আন্দোলন হচ্ছে, মিডিয়ার সামনে ঠেলে দেয়া ছাত্রদের মুখপাত্ররা সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। বুয়েটের সিংহভাগ মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কাউকে পাওয়া গেলো না মুখপাত্র হিসাবে, এটা অড একটা ব্যাপার না?
আরো ভালো দেখাতো যদি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও মুখপাত্রবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বী হতেন ।
শিক্ষকদের ব্যাপারটা হালুয়া রুটির সাথে জড়িত।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কোন ব্যাপারটা? রাজনৈতিক নিরপেক্ষ শিক্ষক কিন্তু বুয়েটে অনেক আছেন।
_____________________
Give Her Freedom!
কয়েকটা নাম দেন। পুরাটাই শিক্ষকদের স্বার্থের দ্বন্দ্ব যেখানে ছাত্ররা ব্যবহৃত হয়েছে উইপন-সামনের সারির পদাতিক হিসাবে। শিক্ষকরা তাদের প্রাসাদে বসে আরাম করে মুরগি চাবাইছেন আর জামাত-শিবির পুরো জিনিসটা কনট্রোল করেছে। ভিসি একটা নিরেট নিপাট হারামী, কিন্তু এদিকের লোকগুলান কিন্তু তার চেয়ে একবিন্দু কম নন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমার বিভাগের গুলো নিশ্চিত হয়ে দিতে পারিঃ হুমায়ুন কবির স্যার, ইউনুস আলী স্যার, সুকর্ণ বড়ুয়া স্যার.......।
এই অভিযোগটা ওঠাই স্বাভাবিক।
_____________________
Give Her Freedom!
নাম দেয়ার পর স্বপ্নহারা কিছু বলছেন না। আপনার ক্লাসের যারা টিচার, তাদের মাঝে রাজনৈতিক নিরপেক্ষ শিক্ষক না কতজন? তাদের নাম বলবেন কি?
বিম্পি, আম্লীগ, তাব্লীগ সবি আছে; তবে জামাত সিএসই তে আছে বলে মনে হয় না।
_____________________
Give Her Freedom!
সিএসসিতে জামাত নাই? কেন জানি এই কথাটা ঠিক মানতে পারলাম না। হুমায়ূন কবির স্যার খুবি ভালো মানুষ, উনার ক্লাস করেছি উনাকে জামাত বলে সন্দেহ করি না। সুকর্ন আমাদের একব্যাচ জুনিয়র হবেন বোধহয়। আর ইউনুস স্যরের প্রশংসা শুনেছি অনেক। এনাদের দুজনের ব্যপারে মতামত দেওয়ার মত পর্যাপ্ত জ্ঞান আমার নাই। তবে কোন কোন শিক্ষকের ব্যপারে আমার বেশ কয়েকবার মনে হয়েছে। আমি খুবই খুশি হব যদি আমার সন্দেহ অমুলক হয়। সমস্যা হল শিবির/জামাতের ব্যপারে সন্দেহ হলেই দেখি এক সময় সেইটা সত্যি হয়ে যায়। বুয়েটের ছোটভাইবোন গুলো এতো কষ্ট করে আন্দোলন করেছে, আমি কোনদিন একটা খবর ফেইসবুকে শেয়ার দেই নাই কেন জানেন? কারন আমার সন্দেহ হয়েছে। আমার যতদূর মনে পরে আমি সেইভ আওয়ার বুয়েট গ্রুপে গিয়ে কোন একজনের প্রোফাইল সন্দেহজনক মনে হয়ায় জয়েনও করি নাই। ব্যপার হল "আমি ভালো মানুষ, আমারে মিথ্যা বলে কাজ করাইছে" এই যুক্তি শুধু ছোটবেলায় বাপ মাকেই দেওয়া যায়। ডিপার্টমেন্টে হয়তো কোন ডিরেক্ট জামাতপন্থী শিক্ষক নাই, খোঁজ করলে দেখবেন উমুক তমুক শিক্ষক না জেনেই জামাতপন্থী শিক্ষকদের সাথে ৩ বেলা নামাজ পড়েন, ২ বেলা চা খান। এরপর ধীরে ধীরে জামাতপন্থী হয়ে যান। আমি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি। ঢাকায় আমাদের বাসা যেই জায়গায় সেটাকে ইসলামী ব্যঙ্ক কলোনী বলে। দুপুরে আপাদমস্তক বোরকা পরা মহিলারা জান্নাতের দাওয়াত দিতে আসে। যেইদিন আম্মু স্পষ্ট বলল আমরা জামাত চিনি এর পর আর আসে নাই। প্রায়ই আমরা হাসাহাসি করতাম যে এই এলাকায় আমার মা, আমি আর আমার বোনই শুধূ বোরকা পরি না। আল্টিমেটলি এইসব হাসাহাসি করে বিশেষ লাভ হয় নাই। আমার খুব কাছের একজনই ধরা পরে গেছিল প্রায়। প্রথম প্রথম ভোরের দিকে শিশু শিবিররা নামাজের দাওয়াত নিয়ে আস্তো। এরপর কিছু ছদ্ম শিবিরীয় ইংরেজী পত্রিকা। এরপর যখন আমার সেই টিনএজ আত্নীয় বলা শুরু করল মিটিং আছে তখন আমাদের টনক নড়ছিল। সেই ছেলে আমারদেখা ভালো ভদ্র ছেলেদের একজন। আমার একজন ক্লাসমেট (জ্বি, বুয়েট সিএসসি) খুব ভালো ক্রিকেট খেলতো। অসম্ভব ভদ্র, বিনয়ী। সে একদিন আমাদের গ্রুপে ধর্মের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলো। ধর্মপ্রাণ মানুষজন খুশি হল। কেউ কেউ লেখা ফলো করলো। রিলেভেন্ট প্রশ্নও করতো। হঠাত একদিন এক লেখায় লিখলো "শিবিরে যোগ দেওয়াই ধর্ম পালনের একমাত্র উপায়" বা এইরকম কিছু একটা! আমাদের পুরা গ্রুপ খুবই শকড হয়েছিল। সবাই ওকে অনেক পছন্দ করতো।
একসময় আরো উচ্চশিক্ষা নিবেন, উঁচু পদে কাজ করবেন একটা জিনিস মনে রাখলে কাজে দিতে পারে "আমরা বুঝি নাই, ভুল হইছে" এইসব কথার কোথাও বেইল নাই। ভুল হওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু বুঝি নাই এইটা না বলে লেখেন কেন বোঝেন নাই, কোন জিনিস দেখে বোঝা উচিত ছিল, আপনার জুনিয়ররা যেন একই ভুল না করতে পারে। অমি রহমান পিয়াল যেটা করেছেন সেটা আমার করার কথা ছিল, আপনার করার কথা ছিল। বুয়েটের সুনাম কোন চিরন্তন সত্য না। সেইটা বার বার ডিফেন্ড করার দায়িত্ব বুয়েটের ছাত্রদের, কাজের মাধ্যমে। আমরা অযৌক্তিক ছেলেমানুষী কথা বললে, কাজ করলে সুনাম টা ক্ষুণ্ণ হয়।
ভালো থাকবেন।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বুয়েটে কিভাবে তবলিগ/জামাত বেড়ে যায়, এ বিষয়ে আমার একটা মতামত ছিল। ৯৬ ব্যাচে সি এস ই তে টিচার হ্য় রাগিব স্যার, সোহরাব স্যার, ফরহাদ স্যার, আরো কয়েকজন। এদের মধ্যে ফরহাদ স্যার তবলিগ, পি এইচ ডি করে ফিরেছেন। সোহরাব স্যার মাঝামাঝি, মানে হুজুর না, নামাজ পড়েন, তবে প্রগতিশিল কোনো প্রচার করবেন সেরকম ও না। রাগিব স্যার সেটা করতেপারতেন,করেননি। তাহলে ফাইনালি কি দাড়াল? একজন তবলিগ, একজন "না জেনেই জামাতপন্থী শিক্ষকদের সাথে ৩ বেলা নামাজ পড়েন, ২ বেলা চা খান" টাইপ - দুই জন বুয়েটে থাকল। যারা ফিরে না, তারা অনলাইনে বসে হা-হুতাশ/গালাগালি করবে স্বপ্নহারার মত। এটাই নিয়তি।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি তবলীগি আর জামাতীদের মধ্যে একটা মোলিক পার্থক্য আছে।
রাগিব স্যারের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ মনে হল "জাফর ইকবাল" জবাব দিন টাইপের। রাগিব স্যারকে আমার সম সময়ই সুপার ম্যান টাইপ মনে হয়। উনি একসাথে এতো গুলো জিনিস কিভাবে ম্যানেজ করেন সেইটা একটা রহস্য। উনি পারবেন বলেই যে সব উনাকেই করতে হবে সেই দাবি খুবই অযৌক্তিক। আপনার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি।
আর নিশ্চিত না হয়ে এইভাবে শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করাকে আমার ব্যক্তিগত আক্রমন মনে হচ্ছে। আমার যতদূর মনে হয় এটা সচলায়তনের নীতিমালার পরিপন্থী।
আপনি যারা বাইরে আছে তাদের ব্যপারে ব্যপক বিদ্বেষ দেখাচ্ছেন। দেশে থাকলেও যে সবাই বুয়েটে পড়াতো তা মনে হচ্ছে না। আর ইউনিভার্সিটির ক্লাসে আপনি যদি প্রগতিশীলতার শিক্ষা আশা করেন তাহলে খুবই সমস্যা। প্রগতিশীলতার চর্চা নিজেই করতে হয়। তাহলে যারা বিদেশে আছেন তার দেশে থাকলে আপনি ঠিক কিভাবে প্রগতিশীলতার শিক্ষা দিতেন? আমার তো ধারনা তার সবচেয়ে ভালো জিনিসটাই বেছে নিয়েছেন। ব্লগ, ফেইসবুক ইত্যাদি।
সব কিছু মিলে আপনার মন্তব্য ভালো লাগে নাই। দুঃখিত।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমি বুয়েটে "জামাতপন্থী শিক্ষকদের সাথে ৩ বেলা নামাজ পড়েন, ২ বেলা চা খান"-এর কারণ হিসেবে বলছি। "যারা বাইরে আছে তাদের ব্যপারে ব্যপক বিদ্বেষ" নয় - এটা তাদের অধিকার। বুয়েটে জামাত বিরোধি জনমত গড়ার জন্য এদের ফিরতে হবে। "কোথায় এইভাবে বেশ্যার মত ইউজড হওয়ার পর ছুঁড়ে ফেলে দেয়াতে আলোচ্য ছাগলের পালের উপর লজ্জায়-রাগে-ঘৃণায় থুতু ছেটাবেন- সেইসব ইতর শিক্ষক-ছাত্রদের কাছে জবাবদিহি চাইবেন" - ব্লগ, ফেইসবুকে এ ধরনের কথা বলে কি সেটা হবে?
"ইউনিভার্সিটির ক্লাসে আপনি যদি প্রগতিশীলতার শিক্ষা আশা করেন তাহলে খুবই সমস্যা"- এ কারণেই সামাজিক অনুষদে তবলিগ/জামাত কম।
ভুল হয়া গেসে। স্যরি। এইসব কথা কইতে হলে বুয়েটের টিচার হইতে হবে। গু-এর মধ্যে থাকা লোকজনের গায়ে গু লেগে আছে এইটা বলতে হইলে আমার গু-এর পুষ্কুনিতে নাইমা হাতে ধইরা পরিষ্কার কইরা দিতে হবে- কারণ তারা নাদান-দুদু খায়। যাউজ্ঞা, বুয়েটে আমরা ফিরলে আপনাদের অনেক ফেরেশতাসম স্যার লজ্জা পাবেন যে ভাই।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এইটা ফ্যাক্ট! (সংযুক্তিঃ তবে "যারা ফিরে না, তারা অনলাইনে বসে হা-হুতাশ/গালাগালি করবে স্বপ্নহারার মত। এটাই নিয়তি।" এইটুকু বাদে।)
_____________________
Give Her Freedom!
হ, হা হুতাশ আর গালাগালি সেই ২০০২ থেকে করতেছি। পছন্দ না হইলে কিছু করার নাই।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
জামাত নাই বলি নাই; সম্ভাবনার কথা বলছি যে নাই।
"আমরা বুঝি নাই" কী বুঝি নাই- বলতে চাইলেন? শিবির পাশে আছে এটা ধরা পড়ে নাই। এই আন্দোলনে আমার সমর্থন ছিল- সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল না, চাকরি-বাকরি করতে হয়। তবে ঈশানের জন্য আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। অবশ্য সেই আন্দোলনরে অমি পিয়াল সাহেব শিবিরের আন্দোলন বললে দেখা যাবে আপনি বলবেন ঠিক আছে।
কাজের মাধ্যমেই বর্তমান ছাত্ররা শিবির তাড়াবে চিন্তাইয়েন না।
'অযৌক্তিক ছেলেমানুষী' জাতীয় ট্যাগবাজি-ডায়লাগবাজি করাটা সবচেয়ে সহজ। যেখানে সেখানে লাগায় দেওয়া যায়।
_____________________
Give Her Freedom!
শিবির পাশে ছিল "বুঝি নাই" আর "ধরা পরে নাই" এর মধ্যে পার্থক্য কি? আপনি এই আন্দোলনে যেমন ভাবে পাশে ছিলেন, ঈশানের জন্য আমরাও সেইভাবে পাশে ছিলাম। একজন প্রবাসী আলামনাই হিসেবে যতটুকু সম্ভব ছিল যতটুকু। একটা মজার ব্যপার কি জানেন? পিয়াল সাহেব যে কিছু একটা বলছেন সেটা আমি জানতে পেরেছি আপনার এই লেখা থেকে। চাকরি বাকরি করি, এতো খোঁজ খবর রাখা সম্ভব হয় না। ফেইসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে ৯৫% ই বুয়েটের। কাজেই আন্দোলনের খবর নিয়মিত দেখেছি কিন্তু কেউযে সন্দেহ করছে আন্দোলনে শিবির পাশে আছে এইটা শুনি নি। ইন ফ্যাক্ট এই সন্দেহ আমি প্রথম শুনেছি আন্দোলন শেষ হবার পর আমার মায়ের কাছ থেকে। আপনার লেখার প্রাথমিক ভার্সন টা পড়ে আমার মনে হচ্ছিল আপনি বলতে চাচ্ছেন কেউ কেউ বুয়েটের নামে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার লেখায় তখন পাই নাই ঠিক কি কি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে যেগুলো মিথ্যা। আপনি কোন প্রমান দেখাননি বলেই অযৌক্তিক বলেছি।
বর্তমান ছাত্ররা কাজের মাধ্যমে শিবির তাড়ালে মনে হয় আমার চেয়ে বেশি কেউ খুশি হবে না।
আপনি বলছেন 'অযৌক্তিক ছেলেমানুষী' জাতীয় ট্যাগবাজি-ডায়লাগবাজি করাটা সবচেয়ে সহজ। এই কথার তিনটা ইমপ্লিকেশন হতে পারেঃ ১) আমি 'অযৌক্তিক ছেলেমানুষী' জাতীয় ট্যাগবাজি করি। আমার আগের মন্তব্য আপনার লেখায় আমার প্রথম মন্তব্য। সচলায়তনের অন্য লেখায় এই রকম কিছু বলেছি বলে মনে পরে না। কাজেই এই ইমপ্লিকেশন ইনভ্যালিড। ২) অন্যরা আপনার সাথে বার বার "অযৌক্তিক ছেলেমানুষী" ট্যাগবাজী করেছে। পুরো লেখা কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখলাম আপনার আমার মন্তব্য বাদে ৩ বার "অযৌক্তিক" ০ বার "ছেলেমানুষী" আছে। ৩) আপনি "অযৌক্তিক ছেলেমানুষী" ট্যাগবাজী করেন বলেই জানেন এটা সহজ। সেক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নাই।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমার কাছে পার্থক্য আছে। বুঝি নাই বললে বোকামি বুঝি; ধরা পড়ে নাই মানে ব্যর্থতা বুঝি। এনি ওয়ে।
ভার্চুয়ালি আন্দোলনে পাশে থাকাটাও কাজে যে আসে না তা নয়। আলুমনাই হিসেবে সেটা দায়িত্বও।
কাজেই আন্দোলনের খবর নিয়মিত দেখেছি কিন্তু কেউযে সন্দেহ করছে আন্দোলনে শিবির পাশে আছে এইটা শুনি নি। তখন আসলেই কেউ ধরতে পারে নি শিবির আড়ালে আছে।
ইন ফ্যাক্ট এই সন্দেহ আমি প্রথম শুনেছি আন্দোলন শেষ হবার পর আমার মায়ের কাছ থেকে।আমি আমার বাবাকেও আজ পর্যন্ত বুঝাতে পারি নাই যে এটা জামাত-শিবিরের আন্দোলন না; কারণ উনি দুনিয়ার সবকিছু আওয়ামী লীগের চশমা দিয়ে দেখে।
হুমম শিবির হটুক এটাই কাম্য।
অফটপিকঃ ট্যাগবাজি অপছন্দ করি তাই বলা। আমি না করারই চেষ্টা করি; এই পোস্ট কোথাও করি নাই।
ঈশানের আন্দোলন নিয়া একটা সিনারিও দেখি আসেন। ঐ আন্দোলন যেহেতু ছাত্রলীগ বা বুয়েট প্রশাসন তথা সরকারের বিরুদ্ধে যায় তাই জামাত-শিবির ফায়দা নিতে চায় নাই মনে করেন? বর্তমানের শিবিররা তখন অংশ নেয় নাই কি? নিলে ঐ আন্দোলন কি শিবিরের আন্দোলন ছিল? অথচ না ঐ আন্দোলন শিবিরের ছিল না। ওটা সাধারণ ছাত্রদের ইস্যু ছিল, সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনই ছিল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই শফিকুল ইসলাম হারামজাদা তখনও অপচেষ্টা করত। ঠিক এইভাবে বাংলাদেশে সরকারের ( যখন আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে যায় এমন সব আন্দোলন হয়েছে সব গুলোতেই জামাত-শিবির ফায়দা লুটতে চাবে; তাই বলে কি আন্দোলন বাদ দিয়ে দিতে হবে। তা তো নয়; যেটা করতে হবে সেটা হলো আন্দোলন চলবে তবে শিবির খুঁজে বের করে আন্দোলনের বাইরে রাখতে হবে। যে আন্দোলন নিয়ে কথা বলছি তাতে এটা ত্রুটি ছিল যে শিবিরের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয় নাই। কিন্তু আন্দোলন করাটা ঠিক ছিল।
_____________________
Give Her Freedom!
জানিনাতো ভাইডি! এই জীবনে রাজনৈতিক নিরপেক্ষ কাউরে দেখি নাই! আপ্নে নাম দিয়া যান, জেনে রাখি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খালেদা জিয়া পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কাউরে দেখতেন না।
তো সেইটা স্বাভাবিক একটা অভিযোগ? কোন গুরুত্ব আছে এই অভিযোগের?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হুমম।
ভিসি একটা নিরেট নিপাট হারামী, কিন্তু এদিকের লোকগুলান কিন্তু তার চেয়ে একবিন্দু কম নন! এদিকের লোকগুলান ও অনিয়ম করেন- এটা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ।
_____________________
Give Her Freedom!
রাজনৈতিক নিরপেক্ষ জিনিসটা কী?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কোন রাজনৈতিক পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত নয়। মনে করি।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনাদের মূল সমস্যাটা এইখানে। রাজনীতি ও রাজনৈতিক অবস্থান কী জিনিস সেইটা সম্পর্কে আপনাদের কোন ধারণা নাই। রাজনৈতিক পক্ষ যার নেই তাকে প্রথমেই অবিশ্বাস করা দরকার।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক অবস্থান নেই শুধুমাত্র মানসিক ভারসাম্যহীনদের। তাছাড়া বাকি সবার একটা রাজনৈতিক অবস্থান আছে। বেশীরভাগ মানুষ এই অবস্থানটাকে প্রকাশ করতে চান না, কিংবা সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তারা নিরপেক্ষ নন, প্রকাশ বিমূখ।
হুমম ঠিক। এই ডেপথে চিন্তা করি নাই।
_____________________
Give Her Freedom!
এট্টু সংশোধন দরকার ,
এই কথাটাকে
এই পরিবর্তনে আনলে সঠিক হয়।
অজ্ঞাতবাস
হুমম অড ব্যাপার।
_____________________
Give Her Freedom!
অড ব্যাপারটা কেন হইলো?
নিচে তমাল একটা মন্তব্য করছে, এক্টু ভাইবা দেইখেন।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
যেহেতু আন্দোলনে শিবিরও ছিল তাই এখন বলা যাচ্ছে যে এটা পরিকল্পিত ছিল ওদেরকে মুখপাত্র করা হবে, যদিও তখন মনে হয়েছে ন্যাচারালি ওরা মুখপাত্র হয়ে ওঠেছে। তবে মুখপাত্ররা যোগ্য ছিল, যাই হোক সেটা অন্য বিষয়।
_____________________
Give Her Freedom!
পথিকদের মধ্যেও তো অগ্রগামী-পশ্চাৎস্থিত শ্রেণিভাগ করা সম্ভব।
ভয়াবহতা, অন্য প্রতিষ্ঠানে যেমন রক্তাক্ত কর্মকাণ্ড দেখি সেটা এখানে নাই। তাই অপেক্ষাকৃত বলা।
আপেক্ষিকতা বুঝাতে গিয়ে উল্লেখ্য ছিল। তবে অনুমানের কিছু সম্ভাব্য কেইস বলেছি। আমার কবিভাগে ১২০ জন ছিল, সেখানে ২/৩ জন শিবির সমর্থনকারী থাকতে পারে এমন সন্দেহ ছিল। তবে আল্টিমেইটলি এটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণই। যেহেতু শুমারি চালাই নি তাই স্ট্রং নয়। তবে শুমারি চালালে কাছি কাছি ফলাফল পাওয়ার সম্ভাব্যধা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
হুম শিবিরসম্পৃক্ত আন্দোলন এই অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারে না। সাধারণ ছাত্ররা ধরতে পারে নাই যে তাদের পাশে জামাত; এটা ব্যর্থতা।
ইনফিল্ট্রেইট করতে চাবে তো বটেই। কতটুকু পেরেছে সেটা চিন্তার বিষয়।
মুখপাত্ররা শিবির বান্ধব হবে তার সম্ভাব্যতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পাল্লা কোনদিকে ভারী হবে সেটাও বিবেচনায় রাখা দরকার।
সেটা ঠিক।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের কতভাগ শিবির/জামাতী বা শিবির/জামাতী বান্ধব সেটা অনেক কিছু ডিফাইন করবে আসলে। আমার ৫.৫ বছরের অভিজ্ঞতা বলে সংখ্যাটা আপনি যতটা আশংকা করছেন তার থেকে কম। বুয়েটে তাবলীগের সংখ্যা বেশি দেখেছি।
"অন্য যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বুয়েট অপেক্ষাকৃত উত্তম" আমি শুধুমাত্র একটা কন্টেক্সট থেকে কথাটা বলেছি। ছাগুমুক্তি তো দরকার এতে কোন দ্বিমত নাই।
_____________________
Give Her Freedom!
বিশ্ববিদ্যালয় জায়গাটাই লিডারশিপ তৈরির জায়গা। এইখানে লোকজন খালি ক্লাস করতে আর পরীক্ষা দিতেই যায় না। যারা নিজেদের ভেতর থেকে নেতা তৈরি করতে পারে না, তাদের অন্য লোক শাসন করে, অন্যলোকের কথায় তারা ওঠবোস করে।
আপনার এই কথাটা বুয়েটের আরো বহু ছাত্রছাত্রীর মনের কথা। এবং এই কথাটা লিডারশিপ তৈরিতে বুয়েটের মতো পুরোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতাকেই এপিটোমাইজ করে। নিজেদের ভেতর থেকে নেতা তৈরি করতে না পারা কোনো গৌরবের বিষয় নয়, লজ্জার বিষয়। সেই লজ্জা আপনার মধ্যে নাই, আপনার মতো আরো যারা চিন্তা করে, তাদের মধ্যেও সম্ভবত নাই।
শিবিরের সদস্যদের নিয়মিত লিডারশিপ প্রশিক্ষণ করানো হয়। চাকরিতে ফাঁকি দিয়ে শরিয়তপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফেলা ট্রেনিং ক্যাম্পে এক সপ্তাহের জন্য লিডারশিপ ট্রেনিং করতে যেতে দেখেছি সহকর্মী শিবির সদস্যকে। বুয়েটের নেতৃত্বভীরু ছেলেমেয়েদের ভেড়ার পালের মতো তাড়িয়ে কাজ উদ্ধার করিয়ে নেয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন শিবিরকর্মী বুয়েটের ছাত্রদের মধ্যে আছে।
আপনার মতো বুয়েটের আত্মমগ্ন গর্বের বেলুন ছাত্রছাত্রী আরো যারা আছেন, তারা আরেকটু অ্যানালাইটিক্যালি চিন্তা করতে শিখবেন, কায়মনোবাক্যে সে কামনা করি।
হুমম লজ্জার বিষয়। আমি বাস্তবতার কথা বলেছিলাম যে বর্তমানে নেতা নাই। সেটা হোয়া উচিৎ ছিল কী ছিল না বলি নাই। এখন বলিঃ অবশ্যই নেতা তৈরী হোয়া উচিৎ।
"আত্মমগ্ন গর্বের বেলুন" আমার এরকম কিছু নাই। শিবির ভয়াবহতা তুলনামূলক কম দেখেছি সেটা বলেছি।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার ধারণা, শিবির ভয়াবহতা চালায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে? ২০০১ সালে একবার এক ছেলের রুম থেকে লিস্ট ফাঁস হলো, ৩১৯ জন কর্মী-সমর্থকের নাম তাতে, গোটা বুয়েটের ১০% এরও বেশি ছাত্র। ফ্রন্টের আবুল পোলাপানদের শিবির একদিন আচমকা ধাওয়া দিয়ে পিটাইলো প্রচুর ক্যাডার নিয়ে, তারা কোত্থেকে এলো কোথায় গেলো কেউ ঠাহর করতে পারলো না। বুয়েটে শিবির ভয়াবহতা চালানোর কোনো প্ল্যান করলে সারা শহর থেকে নিবেদিত ক্যাডারদের পাঠাবে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা শুধু কোঅর্ডিনেট করবে।
শিবিরের ভয়াবহতা তুলনামূলকভাবে সমান হওয়ার পর আরেকটা পোস্ট দিয়েন তাহলে। ঐখানে অমি রহমান পিয়াল ঠিকই কৈছিলো লিখতে পারবেন তো?
হিমু ভাই ২০০১ সালে ক্যাম্পাসে ছিলাম এবং আপনার বক্তব্যের ঘটনার সময়েও বুয়েটে আপনার ভাষায় একজন আবুল ফ্রন্টকুর্মী ছিলাম। একটু যদি বলতেন কবে জামাতী ছাগুরা আমাদের হামলা কইরা পালাইছিল তাইলে বাধিত হতাম। যতদূর মনে পড়ে আমরা সেইবার চুপা শিবিরকে ক্যম্পাস থেকে বের করার জন্য আন্দোলন করছিলাম এবং তার সাথে কিছু সাধারন ছাত্রও যুক্ত ছিল। কিন্তু তথাকথিত ব্যাচইজম ব্যবহার করে তখনকার সিনিয়র ব্যাচের ছাত্ররাও আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। আপনি তখন কিভাবে পার্ট করেছিলেন আমার জানা নাই। কিন্তু সেই সময়ের শিবিরের সারা দেশজুড়ে ছেয়ে ফেলা পোষ্টার দেখলেই সেই বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে আমার ধারনা। এক ঢিলে দুই পাখি মারার আপনার এই কৌশলী মন্তব্যে আনন্দ পাইলাম।
জবাবটা আশা করছি হিমু ভাইয়ের কাছ থেকে।
দিন তারিখ তো মনে নাই। ধাওয়া এবং মাইর খাওয়া একজনের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি। আশা করি আপনি আরো আনন্দ পাবেন। একটু সবুর করেন।
আবুল বলায় চেতছেন? সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট একটা আবুল সংগঠন। ইন ফ্যাক্ট খালেকুজ্জামানরে ওস্তাদ মানে এমন সবাই আবুল। একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন আপনাদের জামান ভাই সম্প্রতি বাসদের অফিসে কাকে পুলিশের কাছ থেকে লুকিয়ে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিলেন, আর কেন দিয়েছিলেন। উত্তরটা আমাকে জানিয়ে যাবেন, আমিও আপনার মতো আনন্দ পেতে চাই।
দিন তারিখ দরকার নাই। ঘটনাটা কোথায় হল (কোন কোন হলে/ক্যাফেতে), কে কে ভিকটিম ছিল (ধাওয়া এবং মাইর খাওয়া), এগুলা তো মনে থাকার কথা। একটু বলেন।
তমালকে জানাবো, ওর কাছ থেকে জেনে নিয়েন। আর খালেকুজ্জামান কাকে বাসদের অফিসে সম্প্রতি লুকিয়ে রেখেছিলো, তমালের কাছ থেকে জেনে নিয়ে আমাকে জানায়েন। ঠিকাছে না?
তমালকে তো আমি চিনিনা। এখানে জানাটাই কি পাঠক হিসেবে আমার বা অন্যদের অধিকার না?
আপনার জানার অধিকার তো আমি খর্ব করছি না। আপনি তমালের সাথে পরিচিত হয়ে নিন, কেউ তো আটকাচ্ছে না আপনাকে।
এখানে জানার অধিকার বলেছিলাম।
আপনি সচলায়তনে যদি কোনো ধরনের অধিকার চান, কষ্ট করে নিবন্ধন করেন, লেখালেখি করেন, সেটা অর্জন করে নিতে পারবেন। পরিচয় লুকিয়ে একে ওকে ঠেস দিয়ে কথা বলতে এলে অধিকারের প্রসঙ্গ না তোলাই ভালো। আপাতত কষ্ট করেন, তমালের সাথে পরিচিত হন, ঘটনা আর চরিত্রের কথা জানার আগে ওর কাছ থেকে শিখে নিয়েন, কীভাবে নির্ভয়ে নিজের পরিচয়ে সচলায়তনে মন্তব্য করা যায়। ভবিষ্যতেও কাজে দেবে।
১। তাহলে আপনারা নিবন্ধন না করলে মন্তব্য করার অধিকার রাখছেন কেন? একটা মন্তব্যের clarification চাওয়া পাঠকের অধিকার। সচলায়তনের নিয়ম কি অন্য? নিবন্ধন ও লেখালেখি করে সেটা অর্জন করে নিতে হবে - এটা কি আপনিই ঠিক করেন?
২। অনেকেই এখানে অনামে লেখেন/মন্তব্য করেন। এটা খুব কমন প্র্যাকটিস। হঠাত এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে clarification না দিতে পারার ব্যাপারটা ঢাকছেন কেন?
৩। তমালের কোনো ঠিকানা তো দেখছি না।ওর সাথে পরিচিত হওয়াটা এখানে কেন relevant বা pre-requisite, সেটাও তো বুঝছি না।
১. ধরে নিতে পারেন এটা পাঠকের জন্য নিজেকে দেখার একটা সুযোগ। তমাল যে প্রশ্নটা করেছে, সেটা আপনারও প্রশ্ন। তমাল নিজের পরিচয় ব্যবহারের সাহস পেয়েছে, আপনি পান নাই। পাঠকের অধিকার ফলাতে চান, তমালের উদাহরণ অনুসরণ করুন। আর ধরে নিন, আমিই ঠিক করি।
২. অনেকেই এখানে অনামে লেখে বা মন্তব্য করে, কিন্তু অপরিচয়ে নয়। আপনি ক্ল্যারিফিকেশন চাইতে আসছেন কম্বলের নিচে চেহারা ঢেকে। হাস্যকর না? আজকে আপাদমস্তক কম্বলে ঢেকে কেউ আপনার কাছে ক্ল্যারিফিকেশন চাইলে আপনি তাকে কোনো রকম ক্ল্যারিফিকেশন না দিয়েই কানে ধরে হাঁকিয়ে দিতে পারেন, পারেন না?
৩. প্রশ্নটা তমালের, উত্তরটা তমালকেই দেবো। কম্বলে-ঢাকা নিক এসে প্রশ্ন করলে তমালের হাইকোর্ট দেখিয়ে দেবো। উত্তর চাইলে স্বপরিচয়ে মন্তব্য করুন, পাবেন।
আপনি অনলাইনে হাউকাউ করা নিয়ে অনেককে খোঁটা দিলেন। তারা কিন্তু নিজের পরিচয় লুকিয়ে অনলাইনে হাউকাউ করে না। আপনি সচলায়তনের মতো নিরীহ একটা ফোরামে একটা সাধারণ প্রশ্ন নিজের পরিচয়ে করার সাহস পান না, আসছেন তাদের উপর গলাবাজি করতে। ক্ল্যারিফিকেশন, অধিকার এইসব বড়সড় শব্দ ব্যবহারের আগে একটু সাহসী হন। যে কথা নিজের পরিচয়ে বলতে পারেন না, সে কথা কম্বলের নিচে ঢুকে বলতে এলে ক্ল্যারিফিকেশন চাওয়ার অধিকারও কম্বলের নিচেই রেখে দিয়েন।
কোথায় পেলেন এই জিনিস?
কার ঠিক করার কথা?
না তা তো নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিয়ে চালায়, তার বাইরে তাদের অনেক কর্মী-ক্যাডার আছে, ভাড়া খাটে এমনও আছে।
"বুয়েটে শিবির ভয়াবহতা চালানোর কোনো প্ল্যান করলে সারা শহর থেকে নিবেদিত ক্যাডারদের পাঠাবে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা শুধু কোঅর্ডিনেট করবে।" হুমম জানি।
শিবিরের ভয়াবহতা বুয়েটে দেখতে চাই না, আসলে কোথাওই দেখতে চাই না। দ্রুত বুয়েট থেকে শিবির দূর হয়েছে এটা দেখতে পেলেই খুশি হবো।
_____________________
Give Her Freedom!
"বুয়েটে ছাগলের চাষ হচ্ছে না"- এর স্বপক্ষে তো কোন প্রমাণ দেখছি না?
কোথায় এইভাবে বেশ্যার মত ইউজড হওয়ার পর ছুঁড়ে ফেলে দেয়াতে আলোচ্য ছাগলের পালের উপর লজ্জায়-রাগে-ঘৃণায় থুতু ছেটাবেন- সেইসব ইতর শিক্ষক-ছাত্রদের কাছে জবাবদিহি চাইবেন, তাদের ঘৃণা করবেন-প্রতিরোধ করবেন আর সেখানে আপনার টার্গেট হলো অমি রহমান পিয়াল!!! কারণ বুয়েটে ছাগলের চাষ হয় এই কথা বলেছেন বলে!
আপনি শিবিরের রাজনীতি সম্পর্কে কোন আইডিয়া রাখেন না অথবা আপনি শিবির ভাবাপন্ন এই দুইটার কোন একটা! আন্দোলনকারী সবাই শিবির না, কিন্তু এই আন্দোলন শিবির নিয়ন্ত্রিত-জামাতের শিক্ষক নিয়ন্ত্রিত এইটা জানার পর এইরকম পোস্ট!
তবু বলে যাই, বুয়েট শিবিরের একটা শক্তিশালী ঘাঁটি- এবং অদূর ভবিষ্যতে বুয়েটে আরও অনেক ঘটনা দেখবেন- এর পেছনে শিবিরের শিক্ষকদের অনেক বড় অবদান থাকবে। আপনার এই লেখাটিরও থাকবে। কংগ্র্যাচুলেশনস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বুয়েটে ছাগু আছে তা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেমন আছে তেমনি। একে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাবি না।
শিবির নিয়ন্ত্রিত-জামাতের শিক্ষক নিয়ন্ত্রিত তা হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত প্রামাণ্য না।
"আপনার এই লেখাটিরও থাকবে।" অভিযোগটি সঠিক নয়। আমি জামাত-শিবিরমুক্ত বাংলাদেশ ই চাই।
_____________________
Give Her Freedom!
শুধু মুখে চাইলেই তো হবে না রে ভাই, কাজেকর্মে উলটা হইলে আপনি না চাইলেও লাভের গুড় শিবিরের পাতে চলে যাবে। যেখানে এই আন্দোলনে শিবিরসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ বের করলেন অমি পিয়াল, সেখানে আপনি শিবির নিয়া আতঙ্কিত না হয়ে লাগলেন অমি পিয়ালের পিছনে! এইটা ঠিক জামাত-শিবিরমুক্ত বাংলাদেশের পক্ষের কাজ না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পোস্টে শিবিরের বিপক্ষেই সকল কথা আছে এরপরও যদি বলেন শিবির খুশি হবে তাহলে আর কী বলবো।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার লেখা পড়লে মনে হয় এই ছবিগুলি শুধু ফাঁকফোকর ধরার জন্য বের করা হয়েছে। ফাঁকফোকরের অস্তিত্ব আছে কি নাই, এক কথায় বলেন।
আপনি ছবিগুলি দেখছেন? পুলিশ পিটাইতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া শিবির বুয়েটি স্টুডেন্টের সাথে কমপক্ষে দুইজন শিক্ষকের (স্নিগ্ধা আফসানা আর জাহাঙ্গীর আলম) ফেসবুক যোগাযোগের স্ক্রিনশট লিক হয়েছে, যারা আন্দোলনের সময় খুবই সক্রিয় ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রজীবনে শিবির করার কারণে ধোলাইও খেয়েছিলেন।
আপনার উপযোগী "প্রামাণ্য" কী কী লাগবে একটা লিস্ট দেন।
বুয়েটের ছাত্ররাই ছবিগুলো বা প্রমাণ গুলো বের করে। তাদের কাছ থেকে পিয়াল সাহেব তা নেয়। আমি তো লেখাতেই বলেছি আন্দোলনের সময় শিবিরকর্মী অংশ নিয়েছে এটা বোঝা যায় নাই (সেটা অবশ্যই ব্যর্থতা)। পরে প্রমাণ পাওয়ার পর বোঝা গেছে সেটাও বলেছি। তবে আমি অতিরিক্ত যে কথাগুলো বলেছি সেটা হলো সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক দের সংখ্যার সাথে জামাত-শিবিরের সংখ্যার রেশিও। অনেকে বলছে আন্দোলন শিবিরদের ছিল। আমি বলছি আন্দোলন সাধারণ ছাত্রদের ছিল। এখানে ডিসপিউট পয়েন্ট।
সক্রিয় শিক্ষক (সংখ্যাটা কিন্তু অনেক) দের মধ্যে এক্সাক্টলি কতজন জামাতী সেটা শুধু জানার অপেক্ষায় আছি। স্নিগ্ধা আর রাজ্জাক জড়িত এটা জানা গেছে অলরেডি।
_____________________
Give Her Freedom!
আণ্দোলন ছিলো শিক্ষকসমিতির ও জামায়াত শিবিরের। সো কলড সাধারণ ছাত্ররা গাধার মতো ইউজড হয়েছিলো মাত্র।
এই সাধারণ ছাত্ররা ও শিক্ষক সমিতি এখন যদি শিবির তাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে, তাইলে বুঝা যাবে শিবিরের প্রভাব খুবই সামান্য। সংখ্যার যে রেশিও-ফেশিও দিলেন, তাতে আপনাদের তোড়ে এই ২-১% শিবির খেদাতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। লেটস গো ফর ইট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শিবির খেদানোর কাজ হচ্ছে।
_____________________
Give Her Freedom!
এই খেদানোর কাজ তো করছে সেই ভিসিপন্থী ছাত্রলীগের পোলাপানই!!!
কনডমও নিশ্চয়ই ভাবে, ইন্টারকোর্স সে-ই করছে।
হেডলাইনে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষ বলে যেটা দাবী করা হয়েছে তার স্বপক্ষে কোনও পয়েন্ট দেখছি না তো।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পিয়াল সাহেবের কিছু মন্তব্যে মনে হয়েছে উনি বিদ্বেষপরায়ণ তাই এসেছে। অবশ্য বিদ্বষ আসারও কথাঃ কারণ আন্দোলনের সময়ে উনার অভিযোগের পর অনেক বুয়েটিয়ান উনার সাথে অমার্জিত আচরণ করে।
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক দিন আগে বুয়েটের ইয়াহু গ্রুপে কে যেন লিখছিল যে চট্টগ্রামের শিবিরের ভাইয়ারা ভাল। আপনি বুয়েটের প্রেক্ষিতেও সেটা লিখতে পারতেন কারণ 'নিতান্ত ভালো' না হলে তাদের এতদিন চিনে ফেলতেন মনে হয়।
অথবা তাদের চেনার ইচ্ছা না থাকলে এতদিনে চিনে ফেলতেন।
তা আর বলতে।
২০০০-২০০৫ এর মাঝে (ঠিক সাল মনে নাই) শিবির তো একবার ইউকসু নির্বাচন ও করছে (মনে হচ্ছে ওরা পাস করে গেছে এবং পরে আর কোন শিবির আসেনি!)
২০০৭ থেকে ২০১১ হল আমার অভিজ্ঞতা।
_____________________
Give Her Freedom!
সেটা সনি হত্যার আগে ০১-০২ এর দিকে। তখন ছাত্রফ্রন্ট জান দিয়ে লড়েছিল, লীগও আটকানোর চেষ্টা করেছে। ছাত্রদলের সহায়তায় শিবির প্রকাশ্যে আসে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হুঁ, মনে আছে সেই ঘটনা।
এখনকার আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা আমার কাছে মনে হয় সেই জায়গাতেই। বুয়েট ছাত্ররা আগের তুলনায় অনেক বেশী অরাজনৈতিক হয়েছে। ফলে তারা যেকোন আন্দোলনে অরাজনৈতিক থাকতে চায়। তাই যাদের রাজনৈতিক প্রকাশ্য পরিচয় আছে তাদেরকে তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেয় না, এমনকি অংশগ্রহনে পর্যন্ত বাধা দেয়। আর সেই সুযোগে অপ্রকাশিত চুপা শিবিররা ঢুকে পড়ে।
আর ছাত্রলীগ শিবির বিতারনের থেকে ফ্রন্ট পেটানো ও টেন্ডারবাজির দিকেই এখন বেশী মনযোগী।
_____________________
Give Her Freedom!
ঘুরেফিরে শেষপর্যন্ত তো রাজনীতির সাথে সংশ্রব রাখা ছেলেগুলোই ডিসিশান মেকিং এ থাকে। তবে তাদেরকে প্রথমে গায়ে 'নন পলিটিক্যাল' চাদর পরে নিতে হয়!!
২০০১ এ আওরংগজেব ইউকসু ইলেকশন এ ক্যান্ডিডেট ছিল। ঐবার কিছু পোলাপান ওকে পিটাইতে গেসিলো, ওকে আমাদের ব্যাচ এর ই কিছু ছেলেপেলে বাচায়- তাদের মধ্যে লীগ, ফ্রন্ট, দল সব ই ছিল। ঐটা ছিল আমার মতে সবচেয়ে বড় ভুল, যার মাশুল এখোনো গুনতে হইতেসে।
অভিযোগ সত্য নয়।
_____________________
Give Her Freedom!
শিবিররা (বর্ণ) লুকায় থাকে বুয়েটে, ধরা মুশকিল। সবাইকে ধরতে পারলে তো ভালো হতো বটেই।
_____________________
Give Her Freedom!
কেম্নে???
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমার মনে হয় ৩/৪ মাস ক্লাস না করাকে একটা উইন হিসেবে কাউন্ট করা যায়, কি বলেন?
এটা অপূরণীয় ক্ষতি বারবার বলেছি।
_____________________
Give Her Freedom!
সরকার ভিসি রাখছে, আন্দোলনকারী প্রোভিসি পদত্যাগ করিয়েছে।
_____________________
Give Her Freedom!
সরকার ভিসিরে রাখতোই। আন্দোলনটা ছিলোই প্রোভিসি সরানোর। ভিসি সরানো বাংলাদেশে এত্ত সোজা না। আপনের শিক্ষকদের এত্ত বেকুব ভাবেন কেন? আন্দোলন শুরুর প্রথম দিন থেকেই অনেক "খারাপ" লোক বলে আসছে, ভিসিটা শিখন্ডী- ভিসি চাইলে সেইটা পাওয়া যাবেনা সেটা শিক্ষকরা সবার চেয়ে ভাল জানতেন। কোন জায়গায় রফা হবে সেটা উনারা খুব খুব খুব ভাল জানেন। ছাত্রদের যোগ করে তারা শুধু একটা চান্স নিয়েছেন। তাদের কোন লোকসান নেই। আর শিবিরের তো পুরোটাই লাভ!
ভিসি ভালো না। কিন্তু ভিসি মূল সমস্যা ছিলো না। অনিয়ম বুয়েটে বহুবার হয়েছে-হঠাৎ করে বুয়েটের স্যারদের বিবেক জেগে উঠলো!!!! সন্দেহ লাগে নি? বুয়েটের ছেলেমেয়ে যতদিন রাজনৈতিকভাবে গন্ডমূর্খ থাকবে ততদিন কিচ্ছু পরিবর্তন হবে না।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য।
অফটপিকঃ সচল দেশের গুরুতর সমস্যায় সবসময় উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালন করে। এই আন্দোলনের সময়েও এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হলে উপকারই হতো মনে হচ্ছে।
_____________________
Give Her Freedom!
দুঃখজনক হলেও সত্যি! বুয়েটীয়ানদের স্বমেহন কিছুটা হলেও বিরক্তিকর।
অভিযোগ সত্য তবে এই পোস্টে এমনটা নেই বলে মনে করি।
_____________________
Give Her Freedom!
বুয়েটে যে শিবির এবং শিবিরের ভাবধারায় বিশ্বাসী আছে এবং ভালোভাবেই আছে। শতকরা হার ১% এর চাইতে অনেক বেশি।
বুয়েট লাইফে প্রচুর ছাত্র পেয়েছি, যারা আড়ালে আবডালে শিবিরের মতবাদকে নানাভাবে প্রচার করত। আমার এক ক্লাসমেটকে বলতে শুনেছি পাকিস্তান আমলে নাকি বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো ছিল, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন বেশির ভাগই নাকি হিন্দু ইত্যাদি। লাদেন মারা যাওয়ার পর তার সে কী মন খারাপ!
মজার ব্যাপার বাইরে থেকে এদেরকে চেনা ভীষণ মুশকিল। তেলাপোকার মতই ছাগুদের অভিযোজন ক্ষমতা মারাত্মক। যার কথা বলছি, সে হিন্দি গানও শুনতো, থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত কাটাতো বাইরে; আবার সেই একই ছেলে ল্যানে (local area network) শেয়ার দিতো বিভিন্ন ধরণের জঙ্গীমনোভাবপন্ন ভিডিও, ফেসবুকে তার কমেন্টগুলো ছিল মওদুদীর উদ্ধৃতি।
বুয়েটের ল্যান ঘাটলেই শিবিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। শেষের দিকে দিকে এমনও দেখেছি, শেয়ার করা ফাইলের ৪০-৫০% ই শিবির ঘরাণার।
১% বা ১০% এখানে কোনো ব্যাপার না। এটা কোনো নাম্বার গেম না। শরীরে ক্যান্সার হলে কয় পার্সেন্ট কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
কিছু কাঠবলদের ধারণা, বুয়েটে শিবির আছে, এটা বললেই বুয়েটের মান ইজ্জত একেবারে চুরমার হয়ে যাবে। এইসব বলদরা কথা শুরুই করে দশটা শিক্ষক আর একশোটা ছাত্র মানেই তো বুয়েট না টাইপ কথাবার্তা দিয়ে। যদি সংখ্যা দিয়েই সবকিছু বিচার করতে হয়, তাহলে মাত্র একটা প্রোভিসি খেদায়ে কীভাবে বুয়েটের খান্দান বাঁচানো হলো, জানতে মন চায়।
আন্দোলন চলার সময় শুঞ্ছিলাম, এই ভিসি থাকলে নাকি বুয়েটের খান্দান ধূলায় মিশে যাবে। এবারের সংগ্রাম খান্দান বাঁচানোর সংগ্রাম। ভিসি যেমন ছিলো তেমনই তো আছে। এখন খান্দান নিয়ে কারো কোনো সাড়াশব্দ শুনি না। এখন বুয়েটে শিবির আছে বললে খান্দান বিপন্ন হওয়ার দিন চলে আসছে।
প্রোভিসি ঝেটিয়ে খান্দান বাঁচানো যায় নি। একটা সফলতা হতে পারে, ভিসি আর অনিয়ম করার ঝুঁকি নিবে না।
বুয়েটে শিবির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতই আছে।
_____________________
Give Her Freedom!
খান্দান বাঁচানো না গেলে উইন-উইন সিচুয়েশন হয় ক্যাম্নে?
ধরলাম সরকার দুজনকেই রাখতে চেয়েছিল, আবার আন্দোলনকারীরা দুজনকেই সড়াতে চেয়েছিল।
_____________________
Give Her Freedom!
এটাই সমস্যা। তবে চোখ কান খোলা রাখা জরুরি। না হলে একটা নৈতিক আন্দোলনও এখনকার মত সমালোচিত হবে।
_____________________
Give Her Freedom!
যারা বারবার এই কথাটি বলবার চেষ্টা করে যে বুয়েটে শিবির এর কর্মকাণ্ড নেহায়েতই নগন্য বা সংখ্যাতাত্ত্বিকতার বিচার সামনে নিয়ে এসে তাকে একদম উড়িয়ে দেয় তাদের বলি ভাই
উড়ায় দেওয়া হয় না, যে কম সংখ্যক আছে সেই কম সংখ্যককেই খালপাড় করে দিতে আগ্রহী।
_____________________
Give Her Freedom!
জামাত-শিবির-হিজবুত, এগুলো বিপজ্জনক। কিন্তু এগুলোর চেয়েও বিপজ্জনক হলো, ভুদাই, অসচেতন আর আত্মকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিজবুতের মত জামাত-শিবির-তাবলীগ ও নিষিদ্ধ করা দরকার।
_____________________
Give Her Freedom!
ধুগো রক্স
- বিক্ষিপ্ত মাত্রা
আফসানা মেডাম যে উসকানী গুলো দিতেন সেটা কি কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুলভ উসকানি -কিউরিয়ার মাইনড ওয়ানটস টু নো?
যে কোন পপুলেশনে কিছু শিবির থাকবে না তা তো নয়। শিবির একটা জাতিগত সমস্যা। এর প্রভাব বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষক পপুলেশনে থাকবে স্বাভাবিক। ৭০-৮০-৯০-বর্তমান কোন প্রজন্মই শিবির থেকে যে বাংলাদেশকে মুক্তি দিতে পারেন নি তার ব্যর্থতা এড়াতে পারেন না। জামাত-শিবির নিয়ে আমরা সবাই বসবাস করতেছি এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা, শুধু বুয়েটের না।
_____________________
Give Her Freedom!
“বাংলাদেশ” শব্দটা যতবার -ই উচ্চারন করি , দুইটি শব্দ কেন যেন আমার মুখ থেকে ফসকে বের হয়ে যায়। একটি হচ্ছে ইশ!! আরেকটি হচ্ছে আহহ!!
একজন প্রক্তন বুয়েটিয়ান হিসেবে খুব যে বুয়েট ভালো জানি, তা বলব না। সীমাহীন অনিশ্চয়তা আর অজনা গন্তব্য এর ভয়ে মুখ লুকিয়ে হাঁটা চলা করতাম। কিন্তু এই রচনা পড়ে একটি কথা খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, এত কিছুর পর -ও কি এই সব এর “কারণ বা পরিসংখ্যান” বের করবার সময় শিক্ষার্থীদের মাথা কি ঠিক ভাবে কাজ করে?? মধ্যবিত্ত পিতার মেধাবী ছাত্র, দৌড়াচ্ছে সে-ভর্তি পরীক্ষা যেন গ্রীস এবং ট্রয়ের যুদ্ধ, ৩ ঘন্টা জ্যাম অতিক্রম কর, তারপর বিশেষ শিক্ষকের নিজের যোগ্যতা দেখানোর জন্য ই হোক কিংবা অন্য কারনেই হোক প্রশ্নপত্র কঠিন হয়ে গেল- ফলাফল খারাপ, গ্রেড খারাপ, বড় ভাই বলছে অন্যদিকে, পাশ করে লাভ নেই-চাকরী নেই-বিদেশ যাও। এত সব কিছুতে থামলেও ভালো হত কিন্তু পরীক্ষার আগে আগেই শোনা গেল যৌক্তিক আন্দোলন অথবা অযৌক্তিক আন্দোলন এর কারনে স্থগিত সবকিছু। খেলা দেখে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে, টিউশনি করে, কিংবা শুধুই বসে থেকে সময় নাহয় চলেই গেল-কিন্তু চাকরী তে যখন ঢুকা হল তখন বয়স ২৬। “সোশিয়াল নেটওয়ার্কে”র মাঝে জানা গেল মাত্র ২১ বছর ৬ মাস বয়সে প্রবাসী চাচাত ভাই ম্যানহাটানে ডেভেলপার হিসেবে যোগদান দিয়েছে।
এক সময় ভাবতাম একটি রাক্ষস । মেরে ফেলি, তাহলেই মুক্তি- কিন্তু জানতাম না রাক্ষসের প্রতি রক্তবিন্দু থেকে আরেকটি রাক্ষস জন্ম নেয়। তাই এখন আমি ভয় এ পাই। সমাধান পাই না। সেইদিক বিবেচনা করেই বলব যেই পক্ষ-ই জিতুক। এই শিক্ষার্থীরা যে ভাবতে পারে অন্যকিছু-এতেই আমার গর্ব হয়। আপনাদের মত কারন বা পরিসংখ্যান আমি জানি না। শুধু বলব আহহ!!যা হচ্ছে, ভালো হচ্ছে না। ইশ!! যদি কোন ভাবে ভালো হয়ে যেত।
৪ বছরের কোর্স ৫/৬ বছর লাগা এটা বুয়েটের শিবির সমস্যার মত আরেকটা গুরুতর সমস্যা।
_____________________
Give Her Freedom!
গোলাম আযমের 'জীবনে যা দেখলাম' এর মধ্যেও এই পোস্টের চেয়ে যুক্তির পরিমাণ বেশি।
জামাত-শিবির-হিজবুত, এগুলো বিপজ্জনক। কিন্তু এগুলোর চেয়েও বিপজ্জনক হলো, ভুদাই, অসচেতন আর আত্মকেন্দ্রিক বুয়েটিয়ান।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
গোলাম আযমের বই পড়ব না।
বাকি উত্তর ধুগোদার প্রতি মন্তব্যে।
_____________________
Give Her Freedom!
... ... অসচেতন, আত্মকেন্দ্রিক আর উন্নাসিক বুয়েটিয়ান।
অনেক বিদ্বেষ দেখি!
_____________________
Give Her Freedom!
আমি পাশ করে এসেছি তাও বছর চারেক হতে যাচ্ছে। আমি জানি না সাম্প্রতিক 'অর্জন'গুলি কী শিবিরের, তবে সেই সময় যা দেখেছি তা থেকেই বলি।
বুয়েটে সক্রিয় শিবির শতকরা হারে যতো কমই হোক (আমার কাছে শতকরার কোন গুরুত্ব নেই শিবির প্রসঙ্গে, আপনি বলেছেন দেখেই বলছি), শিবিরের প্রতি সমব্যথী লোকের সংখ্যা কিন্তু আমি খুব কম দেখিনি। এর কারণ সম্ভবত অধিকাংশ ছাত্রের রাজনৈতিক অসচেতনতা।
বুয়েটের আন্দোলনে যে শিবির সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো সেইটা যদি পাশ করে যাওয়া অ্যালামনাই হিসেবে আমার বুঝতে কষ্ট না হয়, ছাত্রদের না ধরতে পারার সত্যিই কোন কারণ দেখি না। সরকার এবং ছাত্রলীগের প্রতি বুয়েটের সাধারণ ছাত্রদের যৌক্তিক একটা ক্ষোভ আছে এবং সেইজন্য আন্দোলনকেও আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু বুয়েটের ছাত্ররা যে ব্যাপারটা লক্ষ্য করেনি বা পাত্তা দেয়নি কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবেই এড়িয়ে গিয়েছে (কোনটা ঠিক আমি জানি না)- এই আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলছে শিবির। শত্রুর শত্রু মানেই বন্ধু- এই তত্ব সবসময় ঠিক না। সেই সময় শিবিরের এইভিড়ে যাওয়া নিয়ে জুনিয়ার এবং অ্যালামনাইদের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করে অনেক কথা শুনেছি।
বুয়েটিয়ান বুয়েটিয়ান ভাই ভাই: নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না- এই স্লোগানের আওতায় পড়ে শিবির যেভাবে আলো বাতাস পাচ্ছে বুয়েটে সেটাই আতংকজনক লাগে। আফসোস, প্রাতিষ্ঠানিক মেধার দিক থেকে বুয়েটের একজন ছাত্র যেই মানের, তার কাছাকাছিও যদি তারা মুক্ত চিন্তা এবং প্রগতিশীলতার দিক থেকে থাকতো, আজ হয়তো শিবিরের এই বংশবিস্তারের দায় নিতে হতো না।
শতকরা হিসেব বাদ দিয়ে বুয়েটিয়ানরা যতো দ্রুত নির্মোহভাবে নিজেদেরকে দেখতে পারবে এবং শিবিরকে বিদায় করতে পারবে, ততোই মঙ্গল। শুধু বুয়েটের না, সারা দেশের জন্যই।
অলমিতি বিস্তারেণ
_____________________
Give Her Freedom!
একেবারে কিছু না হোক, আত্মঘাতী রক্ত বোতল দেখে পৃথিবীর উল্টো মাথা থেকেও তো ঘটনা কিছু আঁচ পাওয়া গিয়েছিলো। আমাদের সময়ে বুয়েটের শিবিরত্ব বা শিবিরঘেঁষাত্ব নিয়ে কিন্তু বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এতোটা সংশয় ছিলো বলে মনে পড়ে না। হঠাৎ কী হলো?
দলে দলে সবার এতো বড়ো ধোঁকা খাওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। রাজনৈতিক দলের ইস্যুকে কেবলই সাধারণ ছাত্রদের ইস্যু ভাবাটা অবশ্য নতুন নয়।
এতদিন সবাই এত ভালভাবে জানতো, কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে কিছু করলোনা এটাই আশ্চর্য। শিবির একদিনে তো আর আস্তানা গাড়েনি। এতদিন যারা চুপ ছিল এই বিষয়ে সবাইকেই সমানভাবে দায়ী করতে চাই, এটা পরোক্ষভাবে শিবির কে মদদ দেয়ার মত। এখন অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন আমি আগেই জানতাম, আরে ভাই আপনি করেছেন টা কি জানার পর? খালি দর্শক হয়ে বসেছিলেন? -"একজন এক্স ছাত্র হিসেবে আমি নিজের কাছেই হীন হয়ে আছি। কারণ এই লোকদের মধ্যে আমিও একজন
_____________________
Give Her Freedom!
এটা তো দায়ের তর্ক নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বুয়েট অনেক আলাদা কিনা শিবির প্রসঙ্গে। বিশেষ করে প্রশাসন। আমি আমাদের সময়ে এরকম সেন্টিমেন্ট দেখেছি বলে মনে পড়ে না। প্রশাসনের মদদে শিবির বহাল তবিয়তেই ছিলো। নানান কাণ্ডও করেছে। এগুলো তো অজানা ছিলো না। তখন তারা সরকারি পক্ষের সহায়তা পেয়েছে। এখন অবশ্য, বোধ করি, একটা সরকার-বিরোধী কমন সেন্টিমেন্টের আড়ালে গা ঢাকা দেওয়াটা বা এক প্রকার ধোঁকা দেওয়াটা সহজ হয়েছে। আমাদের সময়ে অনুরূপ পরিস্থিতি ছিলো না বলে তুলনাটা যথার্থ নয় বলে মানছি।
তবে এখানে দায় দেবার কিছু দেখছি না আমি, হীনবোধ করারও কিছু নেই। প্রশাসন সমর্থিতভাবে যে বেড়ে উঠেছে, তার দীর্ঘ ছায়া যে পড়ে থাকবে, এটা অস্বাভাবিক নয়।
তবে বুয়েট কুলীন সম্প্রদায়, এরকম জেনারেল সেন্টিমেন্ট অবশ্যই ছিলো। এই অবাস্তব-কল্পনা প্রবণতাকে দায়ী করলে করতে পারেন।
প্রশাসনের মদদ (শিক্ষকদের সহযোগিতা) তো অবশ্যই আছে নইলে তো কোন উপায়েই (প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে) থাকতে পারত না।
_____________________
Give Her Freedom!
রক্ত বোতল বিষয়টা বিভৎস বটেই। এতে সবার সমর্থন ছিল না।
"হঠাৎ কী হলো? " সংশয় নাই। বুয়েটে শিবির অন্যান্য জায়গার মতই আছে।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ, স্পষ্ট করার জন্য!
আপনার হিসেবে শতকরা মাত্র ১ ভাগ ছাত্র ৯৯ ভাগকে কুতুব মিনার দেখিয়ে আনলো। আপনারা পেলেন ঘাস আর ১ ভাগ পেলো আপনাদের চড়ানোর জন্য দড়ি। ঘাস পেয়েই খুশি। তার জন্য আবার গর্ববোধও করছেন। বলিহারি যাই।
গর্ববোধ নাই। নিন্দার ভাগিদার সমগ্র বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শিবিরমুক্ত হোক।
_____________________
Give Her Freedom!
উপরে সবাই যা বলার বলে দিয়েছেন আসলে। এই বুয়েটিয়ান এলিটিজম থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে মূল সমস্যা কোনদিনই ধরা যাবে না। আপনার এই লেখাটা অযৌক্তিক কথা বার্তায় ভর্তি আবেগময় লেখা। এই ধরণের লেখা আসলে সমস্যাকে আরও লালন করবে।
সত্যি কথা যদি বলি, পিয়াল ভাইয়ের শেয়ার দেয়া একটা ছবি দেখে আমারও মেজাজ খারাপ হয়েছিল। একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম ওটা নিয়ে। আপাতদৃষ্টিতে আমার মনে হয়ে হয়েছিল অতিকথন। কিন্তু পরে দেখলাম আমিই ভুল ছিলাম। আন্দোলনে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে জানতাম কিন্তু এতটা জানতাম না। প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার আমার আবেগের অবস্থান থাকতেই পারে। কিন্তু সেই আবেগ যেন বাস্তবতাকে অস্বীকার না করায়। আখেরে কিন্তু লাভের গুড় সেই শিবিরের পাতেই যাবে তাহলে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যাক, আপনার পরিবর্তিত অবস্থান দেখে আশান্বিত হলাম। তবে ভুলটার টাইমিং খুব খারাপ ছিলো। লাভের গুড় অনেকটাই অলরেডি শিবিরের পাতে চলে গেছে। বাংলাদেশের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস ক্লাস বন্ধ রাখতে পারাটাই তাদের একটা বিশাল অর্জন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঘটনা দুঃখজনক হলেও সত্য।
_____________________
Give Her Freedom!
হুম, সেটাই। লাভের গুড় অলরেডি চলে গেছে, যাচ্ছে। অনেক সময় আমরা 'মডারেট' হতে গিয়ে ভুল করে ফেলি, অনেকেই। জামাত-শিবির ইস্যুতে কোন মডারেশান চলে না এই জিনিসটা মাথায় সেট না করতে পারলেই সমস্যা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এইখানে জামাত-শিবির নিয়া কোন মডারেট পক্ষ নেই নাই, জোড় করে বসায় দিলে আপনাদের বিবেক। বুঝাতে চেয়েছিঃ শিবির সমস্যা শুধু বুয়েটের অধুনা সমস্যা না- সমগ্র বাংলাদেশের সমস্যা। আলাদাভাবে বিশেষভাবে বুয়েটের নিন্দা করার চেয়ে রুটে আলোকপাত করা দরকার তাই বলেছি। সমন্বিত কার্যক্রম দরকার সমগ্র বাংলাদেশ থেকে জামাত-শিবির মুক্ত করার জন্য। শুধু বুয়েট থেকে শিবির ভাগালে লাভ হবে না।
_____________________
Give Her Freedom!
আলাদাভাবে কেউ বুয়েটের নিন্দা করছে না। বুয়েটে শিবির আছে এই কথা কেউ বলার পর আপনি যদি বলেন চন্দ্রঘোনা আসমতউল্ল্যাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও শিবির আছে অতএব আসুন রুটে আলোকপাত করি, তার অর্থ দাঁড়ায় আপনি বুয়েটে সমস্যাটার দিকে তাকাতে আগ্রহী না। সারা বাংলাদেশেই তো ছাত্রলীগের মস্তানি আছে, আপনি কি বুয়েটে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন নাই? রুটে আলোকপাতের কথা বলে ছেড়ে দিছেন? শুধু বুয়েট থেকে একটা ভিসি আর একটা প্রোভিসি ভাগালে যদি বুয়েটের খান্দান বাঁচে, শুধু বুয়েট থেকে শিবির ভাগালে লাভ হবে না কেন?
আপনার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর যদি কেউ বলে, পাতলা পায়খানা আপনার একার সমস্যা না গোটা বাংলাদেশের সমস্যা, কথাটা আপনার কোনো উপকারে আসে?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি বুয়েটের সমস্যার দিকে তাকাতে আগ্রহী। সাথে যদি বাংলাদেশের দিকেও যদি তাকাতে চাই তাহলে কি খুব সমস্যা হয় হিমু ভাই?
হুমম ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি (ঈশানের ঘটনা)। ছেড়ে দেই নাই। এখন শিবিরকেও ছেড়ে দিতে চাচ্ছি না। শিবিরের সংখ্যা কম বললে কি শিবির (যত গুলো আছে) তাদের ছেড়ে দেওয়া বোঝাবে?
শিবির যেখান থেকেই ভাগানো যাবে সেখানেই লাভঃ এই আন্দোলনে আমি ভার্চুয়ালি-প্র্যাক্টিকালি সর্বদাই সক্রিয় থাকি।
_____________________
Give Her Freedom!
বুয়েট থেকে শিবির তাড়াতে কি কি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
উদ্যোগ হচ্ছে। আপনার শিবির তাড়ানোর কোন সক্রিয় ভূমিকা থাকলে গাইড লাইন দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
_____________________
Give Her Freedom!
এটা কাদের লিফ্লেট? প্রথম কয়েকটি তো সংবাদ মাধ্যমের খবর----- ঠিক বুঝিনাই-----
গুড স্টার্ট। এবার প্রশাসনকে এই শিক্ষক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। সাধারণ ছাত্ররা শিক্ষক সমিতিকে এই বিষয়ে আন্দোলন করার জন্য চাপ দেন। কারণ, শিক্ষক সমিতির ভিসিবিরোধী আন্দোলনই শিবিরকে এই সুযোগটা দিয়েছে। তাদেরও দায়টা নেয়া দরকার। পাশাপাশি প্রত্যেক হলে শিবিরের লিস্ট করে পিটিয়ে হলছাড়া করাও শুরু করতে হবে। শিবিরের জন্য মাইরের উপর ওষুধ নাই।
আর সর্বপ্রথমে সচলে এই উদ্যোগ নিয়ে একটা পোস্ট দেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
গুরুত্বপূর্ণ ফলোআপ নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিবো।
_____________________
Give Her Freedom!
মাইর কি একটা permanent solution? সরকার বদল হলে কি এতে কাজ হবে? আরো বেশি ছেলেকে ইনভলভ করে, এমন কিছু ভাবা উচিত। কালচারাল প্রসার বা বিজয় দিবসে সবাইকে নিয়ে কিছু করা, পয়লা বৈশাখে আরকিতে যেমন হয়।
প্রগতিশীলতার চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা অবশ্যই দরকার। তবে ধাওয়া দেওয়ার বিকল্প নাই।
_____________________
Give Her Freedom!
বুয়েটের শিবির ছাত্রের ঘর থেকে উদ্ধার করা হাতিয়ার। এগুলি আপনার বগলে কাতুকুতু দেওয়ার জন্য বা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য ব্যবহৃত হতো না নিশ্চয়ই।
শিবির মাইর খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কালচারমারানি ছাগু নিক আইসা ভ্যা ভ্যা করতে থাকে সবসময়। আপনি কায়দা পাল্টান, সুবিধা হবে।
তেনার বোধহয় ধারণা এইগুলা বনি ইয়ামিন গাইবান্ধায় কুরবানির মাংস কাটাকুটির জন্যে রাখসে
atithi স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হইলে পর্যাপ্ত খাবার এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম দুইটাই জরুরী।
সৈকত
তাইলে জাবিতে শিবিরকে তাড়ানো গেছে চিরতরে, বুয়েটে একই রকম পরিবারের (একি দেশের পাবলিক বিদ্যাপীঠ বলে) ছেলেরা আসার পরও অন্য ফল কেন? দুই জায়গার তফাত কোথায়? সেটা কি প্রগতিশীলতার চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা - এ জায়গাগুলোতে নয়?
"প্রগতিশীলতা" বা সাংস্কৃতিক চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ডিটারেন্ট নিশ্চয়ই, কিন্তু একমাত্র ডিটারেন্ট না। আর জাবিতে শিবিরকে "চিরতরে" তাড়ানো যায় নাই। শিবির তাড়ানো একটা চলমান প্রক্রিয়া।
বুয়েটে অন্য ফল কারণ আপনারা ঘরের মধ্যে হাতিটাকে দেখবেন না বলে প্রচুর সংখ্যক বুয়েট ছাত্র অ্যালামনাই পণ করে বসে আছেন।
বুয়েটিয়ান এলিটিজম এই অভিযোগ সত্য কিন্তু এই লেখায় তা পাইলেন? মুশকিল। কেউ না কেউ আমরা তো আউট অব দা বক্স বুঝতেছি। যাই হোক; লাভের গুড় শিবিরের পাতে দিতে চাই না কোনভাবেই। এই লেখায় কোথায় সেটা দেখিয়ে দিলে- ঠিক করি বা লেখাই রিমুভ মারি।
_____________________
Give Her Freedom!
আউট অব দ্যা বক্স নারে ভাই। সবাই যখন একটা জিনিস বুঝেতেছে তখন আপনার বুঝতে হবে সমস্যা তো কোথাও আছেই লেখায়। আপনি কী চিন্তা করেন সেটা কেউ জানে না, কেউ জানতে চায় ও না, জানা সম্ভবও না। আপনার লেখা কী বলছে সেটাই এখানে ইম্পর্ট্যান্ট।
সব জায়গায় শিবির আছে, তাই বুয়েটেও আছে, এই কথাটা বলা হলেই মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়, শিবিরকে বেনিফিট দেয়া হয়। আপনি হয়ত বেনিফিট দিতে চাননা, কিন্তু আপনার লেখা থেকে সেটা কেউ ধরতে পারবে বলে মনে হয় না।
আলাদা করে এখানে আর ধরিয়ে দেয়ার কিছু নাই। সবাই উপরে ডিটেইলস আলোচনা করেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একটা জায়গায় শিবির আছে এটা বলার পরেও কীভাবে শিবিরকে বেনেফিট দেওয়া হয় বুঝলাম না! দুইটা জায়গায় (বুয়েট, বাংলাদেশ) শিবির আছে বললে মূল সমস্যা কে কীভাবে পাশ কাটানো হয় তাও বুঝলাম না!
আমার লেখা থেকে শিবিররা আরো ক্ষিপ্ত (অলরেডি ম্যাসেজ পেয়েছি যে- কেন ধর্ম রাজনীতি নিষিদ্ধ তথা শিবির ব্যান করতে বলেছি)।
_____________________
Give Her Freedom!
শিবির আছে কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে কম। সব জায়গা থেকে আমরা ভাল আছি, এইটা বলাই বিশাল বেনিফিট দেয়া শিবিরের জন্যে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এইক্ষেত্রে দ্বিমত আছে আমার। আমি ফ্যাক্টটা বলতে চাই। যেমনঃ ১০ বছর পর বাংলাদেশে জামাত-শিবির কমলে আমি সেই সময় সেটা বলতে চাই যে পূর্বাপেক্ষা শিবির কম।
_____________________
Give Her Freedom!
এটা খুবই চিন্তার কথা। সাবধান থাইকো।
এই ব্যান প্রসঙ্গটা আবার ইনডিপেনডেনটলি শুরু করতে পারো, পরে। এই তর্কটা অনেকদিন ইগনোরড।
ব্যান প্রসংগ নিয়ে লেখার আশা রাখলাম। কিছু ইস্যু সচলভাবে আলোচনায় রাখার আসলেই দরকার।
_____________________
Give Her Freedom!
গত কয়দিনে এইরকম কিছু ঘটে যাবার পরে এইরকম পোস্ট আশা করিনাই।লাভের গুঁড় জামাতি শিবির খেয়ে যাচ্ছে দেখেও আপনার নির্বিকার নির্লজ্জ ভাবখানা লজ্জাকর।
অমি রহমান পিয়াল বুয়েট নিয়া অনেক কিছুই লেখছেন,আপনি মানতে পারেন নাই,সেইটা কোন সমস্যা না কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হইতেছে অমি রহমান পিয়াল এই ইস্যুতে বুয়েটরে নোংরা প্রমাণ করার দায় মাথায় নিছেন।নিলেও তো আমি দোষের কিছু দেখিনা।দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে এইরকম নোংরা ইস্যু নোংরা করেই উপস্থাপনটা জরুরী।
ছবিগুলা তো বানোয়াট না রে ভাই,বুয়েটিয়ান শিবিরদের ফেসবুক থেকে পাওয়া।সেইখানে গত আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় শিক্ষক আর বুয়েটিয়ানের সাথে জামাত শিবিরের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট।সেইসব সত্য অমি রহমান প্রকাশ করলে দোষের কি পাইতেছেন??
উনি আপনাদের মত জামাত শিবিরের নেতৃত্বে বড়সড় আন্দোলন নামায় তৃপ্তি লাভ করেন নাই,এইটাই সত্য আর এইজন্যই সত্যটা শেষ পর্যন্ত জানা গেল।
প্রথমদিকে উনার স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এখন এইটা নিশ্চিত বুয়েটের জমিনে ছাগুর চাষ হইতেছে আর সেইখানে সার আর ষাঁড় দুইটাই আপনার মত বলদ বুয়েটিয়ানরা যারা হাতের কাছে শিবির জামাতিদের নেতৃত্বের প্রমাণ নিয়াও "আমার বুয়েটরে নিয়া কিছু কওয়া যাইব না" ধারণা আঁকড়ায় রইছেন।
দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে উঠায় দিলেন; শুধুশুধি এলিটে ওঠান আপনারা দোষ দেন আমাগোরে। ভাই বুয়েটে অন্যান্য জায়গার মতই শিবির আছে। এটা বিচ্ছিন্ন না।
জোগাড় বলতে অন্য কিছু বুঝায় নাই, শব্দ মাত্র।
"আমার বুয়েটরে নিয়া কিছু কওয়া যাইব না" এমন ধারণায় নাই। আমি নিজেই বুয়েটরে অনেক কিছু কৈছি যা অন্যদের আঘাত করবে।
_____________________
Give Her Freedom!
আরেকটা ব্যাপার আগের মন্তব্যে বলা হয় নাই।
বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতো শতাংশ শিবির এবং তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম না বেশি- এই আলোচনাটাই আমার বিচারে অবান্তর। শিবির, হিজবুত- এই ধরনের বিষাক্ত দলের সদস্য যদি একটাও থাকে, সেইটাও মাথা ব্যথার কারণ হওয়া উচিত। আপনি শিরোনামে কেন প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছেন, সেটা লেখা পড়ে আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি। শিবির যে বুয়েটে সক্রিয় সেটা তো প্রমাণ হয়েছে (ইন ফ্যাক্ট প্রমাণের কিছু নাই, প্রায় সব বুয়েটিয়ানই এটা জানে)- এখন শিবির কি বুয়েটের চে রাবি কিংবা ঢাবিতে (জাস্ট কথার কথা হিসেবে নাম দুইটা বলা) বেশি, সেইটা কিন্তু আলোচনার বিষয় হওয়ার কথা না। অন্যেরা বুয়েটের সুনাম ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে এমনটা দাবি করার আগে বোধহয় নিজের দিকেই তাকানো ভালো।
আবারো বলি, বুয়েটের ভালো ছাত্ররা "রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের" ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ব্যাপারে যতো দ্রুত আগ্রহ দেখাবে; যতো দ্রুত শিবির আর হিজবুতকে ক্যাম্পাস ছাড়া করতে পারবে, ততোই মঙ্গল।
অলমিতি বিস্তারেণ
"প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষের" অংশটা না রাখলেও চলত। এটা স্থূল কারণে দেওয়া। পিয়াল সাহেব আর সমমনারা বুয়েটকে যৌক্তিক-অযৌক্তিক সবদিক থেকেই ধুয়ে দিচ্ছিলেন এবং আমার মনে হয়েছে তাদের হঠাৎ করে হয়তো বুয়েট বিদ্বেষের জন্ম নিয়েছে। স্থূল।
বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা বুয়েটে প্রভাব তো ফেলবেই। সামগ্রিক ভাবেই শিবিরবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা দরকার শুধু বুয়েট থেকেই নয়।
_____________________
Give Her Freedom!
স্যার আপনার বটম লাইন কি? দেখেন তো আমার জবাব ঠিক হয় নাকি?
বাংলাদেশে শিবির আছে তাই বুয়েটে শিবির আছে-সেই শিবির বুয়টের আন্দোলনের লীড দিসে- পাবলিক যাতে কিছু না বোঝে- তার লিগা সনাতন ধর্মরে দুধভাত সামনে রাখসে- আমি আর পিয়াল আপনাদের আন্দোলনের শিবির সংষ্পর্ষতা আছে বইলা তীব্র ভুল কইরা ফালাইসে- আমাদের বরং সেই সময়টা বাংলাদেশে কেন শিবির আছে সেটা নিয়া কাটানো দরকার ছিল-আর বুয়েট বাংলাদেশের বাইরে না তাই বুয়টের শিবির আপনারা মেনে নিসেন তবে বুয়েটে চোর ভিসি কিংবা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ অসম্ভব তাই আপনেরা সেটার জন্য সংগ্রাম করেছেন-
এবার একটা ইকুয়েশন ডেমেজের এবং ইভিলের দিক দিয়া
চোর ভিসি্ > ছাত্র লীগ> ছাত্র শিবির
আপনেরা ছাত্র শিবিরকে লেসার ইভিল হিসাবে মাইনা তাকে নিয়া আন্দোলন করসেন চোর ভিসি আর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে -ঠিক আছে-
নিজের মনগড়া কথা বললে তো হবে না।
সেই শিবির বুয়টের আন্দোলনের লীড দিসে>> লিডারদলে ছিল (যদিও তখন কেউ জানত না, এটা ব্যর্থতা)
আমি আর পিয়াল আপনাদের আন্দোলনের শিবির সংষ্পর্ষতা আছে বইলা তীব্র ভুল কইরা ফালাইসে>> প্রমাণ ছাড়া বলেছেন তাই বিশ্বাস করে নি হয় তো। আর পুরো আন্দোলনটাই শিবিরের এইখানেও দ্বিমত আছে সাধারণদের।
বুয়টের শিবির আপনারা মেনে নিসেন>> বুয়েটে শিবির আমরা মেনে নেই নাই, নেই না, নিবোও না। আন্দোলনের সময় শিবির প্রকাশ পায় নাই।
বাঙালির চিরশত্রু ছাত্র শিবির-জামাত। ঘটনাসাপেক্ষে ছাত্রলীগ হয়ে যায়। ভিসি আন্দোলনের সময় অপছন্দনীয় ছিল।
_____________________
Give Her Freedom!
ভাইয়া দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে শিবির এর কর্ম-কৌশল সম্পর্কে আপনার বিন্দু-মাত্র ধারনা নেই। আচ্ছা আপনার কি মনে হয় শিবির এখন প্রকাশ্যে তাদের কর্মকাণ্ড চালাবে। তাদের কি এখন সেই অবস্থা আছে? কিন্তু আপনি বুয়েটে শিবিরের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড না দেখে উপসংহার টেনে দিলেন যে বুয়েটে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবিরের পরিমান অনেক কম।
আসল কথা হল বুয়েটে এখনো আইডেন্টিফাইড শিবির কম। কিন্তু গোপনে সরাসরি শিবিরের সাথে যুক্ত এরকম অনেক ছাত্র-ই পাওয়া যাবে। তার চেয়েও ভয়ঙ্কর কথা হল বুয়েটের কম করে হলেও ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই ধারনা পোষণ করে যে "শিবির করা খারাপ কিছু নয়"।[অপ্রমানিত] আপনার কি মনে হয় এদের মদদ দেয়ার কেউ নেই বুয়েট প্রশাসনে?? তাহলে বলতেই হবে বুয়েট প্রশাসন সম্পর্কেও আপনার তেমন কোন আইডিয়া নেই।
তো বর্তমানের তোমরা শিবির আইডেন্টিফাই করে তাড়াচ্ছ না কেন? সমন্বিত উদ্যোগ নাও। আমরা আলুমনাইরা পাশে থাকবো।
_____________________
Give Her Freedom!
একটা জিনিস ক্লিয়ার করেন। অমি পিয়াল আর আইজুদ্দিনদের 'অন্যায়টা' কি তা স্পষ্ট করে বলেন।
আমি যতোদূর বুঝলাম:
১। তারা আগেও বলতেছিলেন এই আন্দোলনের অগ্রভাগে শিবির খুবই সংশ্লিষ্ট।
২। সাথে শিক্ষকদের হালুয়া রুটির ইকুয়েশন।
৩। ১ ও ২ এর কারণে তারা এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন।
বর্তমানে তো তাদের কথার সপক্ষেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাইলে তাদের অন্যায়টা কি যে, পোস্টে তাদেরকে ধুতে হলো?
আমার বিবেচনায়, তখন যারা বরং অমি পিয়াল, আইজুদের বিরোধিতা করছিলো, তারা ভদ্রলোক হলে নিজেদের অবস্থান যে ভুল ছিলো, এটা স্বীকার করা উচিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জামাত শিবির ইস্যুতে মডারেশন চলেনা এই বিষয়ে সম্পূর্ন একমত। আমার দেখা ও জানামতে পুরো আন্দোলনের সময়জুড়ে ফিল্ডে শিবির কর্মীদের তেমন কোন ভূমিকাই ছিলনা , হ্যা সাধারন ছাত্রদের জমায়েতের মাঝে হয়তো এদের অনেকেই ছিল এবং একটা বড় জমায়েতে এদের কে চিহ্নিত করাও সবক্ষেত্রে সম্ভব না , তার উপর এরা অধিকাংশই গোপনে শিবির করে। এখন কথা হল এক হাজার ছাত্রর জমায়েতের মাঝে যদি ১০ জন শিবির কর্মী বসে থাকে তাহলে কি সেটা শিবিরের আন্দোলন বা শিবিরের ইন্ধন হয়ে যায় ? যেই শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছে আন্দোলনে সে কি এমন ভূমিকা রেখেছে আমি জানতে চাই, বা সাধারন ছাত্রদের মাঝে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন শিবির কর্মী ছিল এটা কি কেউ প্রমাণ করতে পারবে। সাধারন ছাত্রদের উদ্দেশ্য ছিল ভিসি-প্রোভিসি হঠানো, তাদের এই লক্ষ্যটা শিবিরের লক্ষ্যের সাথে মিলে যাওয়াটাই কি তাদের অপরাধ ? জিনিস টা কি এমন যে আমি একজন অপরাধির বিচার চাই, একজন শিবির কর্মীও তাই চায় অতএব আমি ঐ শিবির কর্মীর দ্বারা ব্যবহৃত হলাম ?
শিবিরের সাথে কাঁধ মিলিয়ে এক ও অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের ধারণাটা ভয়ানক। সবই করতে হবে শিবির বাদ দিয়া, এমনকি লক্ষ্য একই হলেও। বরং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে, লক্ষ্য এক হইল কিভাবে।
..................................................................
#Banshibir.
ঠিক কিন্তু আরেকটা কেইস ধরেন শিবির চিহ্নিত করতে পারলো না, তাহলে কি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দোষ দেওয়া যাবে?
_____________________
Give Her Freedom!
এটা দেখেছেন?
পিয়াল সাহেবের লিস্টে থাকার সুবাদে সব পোস্ট-ছবিই তো দেখি। দুঃখজনক হলো সামি আমাদের ব্যাচের।
আবার সেই সংখ্যায়ই যেতে হবে- অনেকে যে জানে সেটা কতজন। না যাই বরং। দেখেন, সব বর্তমান ছাত্র তাদের পাশে শিবির আছে এটা জেনেও আন্দোলনে যাবে এমনটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। বুয়েটে এখনও প্রগতিশীল ছাত্র ছাত্রী আছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত অনেকেই আছে। তারাও তো আন্দোলনে গিয়েছে। আমি আশাবাদী প্রগতিশীলতার চর্চাটাই বেশি হবে সামনের সময়ে।
_____________________
Give Her Freedom!
প্রগতিশীলতার চর্চা বেশি হতে হলে প্রগতিশীলদের বেশি বেশি চর্চা করতে হয়। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাক বুয়েটে, নাটক, গান, আবৃত্তি, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী; দল বেধে গান গাইতে শুরু করুক সবাই, হাসতে শুরু করুক ছোট ছোট বিষয় নিয়ে; মোদ্দা কথা শুরু এখন করলে এখনি এগিয়ে যাওয়া যাবে, আর পরে করলে আরও কিছু ইট, গাঁথুনি নষ্ট হয়ে যাবে।
বিষয়টা এত সহজ নয় হে বালক! টের পাবা একদিন।
দেখো, আমাদের ইতিহাস আমাদের সংগ্রামের চাইতে পুরনো!
সমস্যাটা আন্দোলনে যাওয়া নিয়ে নয়, কীভাবে যাওয়া, সেটা নিয়ে। বুয়েটের "সাধারণ" ছাত্রছাত্রীরা সংগঠিত না। বুয়েটে কর্মচারী সমিতি আছে, শিক্ষক সমিতি আছে, ছাত্রদের কোনো সংগঠন নাই। তারা নিজেদের সাধারণ ঘোষণা দিয়ে দারুণ পুলকিত। "অরাজনৈতিক আন্দোলন" হচ্ছে গত কয়েকমাসের টপ অক্সিমোরোন। তারা অসংগঠিত বলেই এ ধরনের আন্দোলনকে পেছন থেকে শেপ দিতে পারে শিবির। এই আন্দোলনে গণসংযোগে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে অনেক বেশি ভোকাল ছিলো জামাতশিবিরের শিক্ষক-ছাত্ররা। "সাধারণ" ছাত্রছাত্রীরা তাদের এই লিডারশিপ মেনে নিয়েছে। সমস্যাটা ঐ মেনে নেয়াতে।
"রাজনৈতিক দল" আর "রাজনীতি"র মধ্যে পার্থক্য যদি বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা না বোঝে, সেটা যে চিন্তিত হওয়ার মতো একটা বিষয়, সেটা তো আগে বুঝতে হবে। যে আন্দোলনকে আপনি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন বলছেন, সেটা তারা ইনিশিয়েট করেনি। তারা যোগ দিয়েছে, যখন তারা শিক্ষক সমিতিকে লিডারশিপ নিতে দেখেছে। বুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা রাজনীতিকে ডিনাউন্স করতে গিয়ে রাজনৈতিক লিডারশিপের জায়গাটা খালি করে রেখেছে, যেটা দখল করা শিবিরের জন্য ক্লাস ওয়ান-টুর ব্যাপার। বিপদটা ওখানে।
আপনি এবং আপনার মতো আরো অনেকে এখন এই আন্দোলনে জামাত-শিবিরের লিডারশিপ ডিনায়ালের অবস্থানে আছেন। আপনার ডিনায়াল হয়তো লজ্জা বা বিড়ম্বনা থেকে আসছে, আপনার ক্লাসমেটের ডিনায়ালটা হয়তো অন্য কোনো কারণেও হতে পারে, তাই না?
এই মন্তব্যটা মূল পোস্টে এ্যাড করতে চাই।
-----------------------------------------
আমি টোটাল লিডারশিপে জামাত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা ডিনাই করি নাই; পুরোটাই জামাতের এটাতে সন্দেহ আছে। লিডারশিপে জামাত-শিবির ও ছিল তার প্রমাণ একটু আগে দেখলামঃ
_____________________
Give Her Freedom!
আন্দোলনটা কিভাবে হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? রাজনৈতিক লিডারশিপের জায়গাটা কে নিবে? কোনো দল না অন্য কোনো ভাবে?
একটা দল কেন রাজনৈতিক লিডারশিপ নিতে পারে? কারণ তাদের সাংগঠনিক কাঠামো আছে। বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা যদি প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র ল্যাংবোটদের ওপর আস্থা না রাখে, তারা পৃথক কাঠামো নিজেরা তৈরি করে নিতে পারে। কিন্তু ঐ কাঠামো ছাড়া লিডারশিপ টিকবে না।
সাংগঠনিক কাঠামোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
_____________________
Give Her Freedom!
মৃত্যুময় ঈষৎ বলেছেনঃ
দেখেন মৃত্যুময়, আমার আগের কমেন্টে নির্লিপ্ত বহুদূর সাহেব বলছেন এক হাজার জনের মধ্যে দশ জন শিবির বসে থাকলে তা শিবিরের মুভমেন্ট হয়ে যায়না...তখন আমি বলেছি লক্ষ্য এক হলেও শিবিরকে সাথে নেয়া একটা ভয়ংকর ধারণা। শিবির চেনা খুব কঠিন নয়, খুব বেশীদিন তারা আইডেন্টিটি লুকিয়ে রাখতে পারেনা। বা রাখতে চায়না এটাও বলতে পারেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির একটা সোশিওপ্যাথদের কিলিং স্কোয়াড। এরা আজকের দিনের আল বদর। যেকোন প্রোগ্রামে মুভমেন্টে এদের একজনকে দেখা গেলেও মাথায় টংটং অ্যালার্ম বাজা প্রয়োজন আছে। তখন জানতেন না যে এরা শিবির ঠিক আছে, কিন্তু এখন যখন জানেন তখন পুরো জিনিসটা ঠান্ডা মাথায় আবার ভেবে নেয়া দরকার আছে। অন্য পাব্লিক ভার্সিটির চেয়ে বুয়েটে এরা কম না বেশী এইটা অবান্তর প্রশ্ন।
..................................................................
#Banshibir.
_____________________
Give Her Freedom!
"শিবিরের সাথে কাঁধ মিলিয়ে এক ও অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের ধারণাটা ভয়ানক। সবই করতে হবে শিবির বাদ দিয়া, এমনকি লক্ষ্য একই হলেও। বরং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে, লক্ষ্য এক হইল কিভাবে।"
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভাইয়া নির্লিপ্ত বহুদুর, আপনার এবং অনেকের মন্তব্য দেখে আমি আসলেই আবার কনফিউজড হইয়া গেছি। আসলেই পাপ করে ফেলছি আপনাদের ভাই বেরাদরদের স্বরূপ উন্মোচন করে। আফসুস, যাদের নিয়া কথা বলছি তারা তাদের বুয়েটিয়ান পরিচয়টারে সেকন্ডারি মনে করে। তারা আগে শিবির, তারপর বুয়েটিয়ান। যাহোক আমি একটা অ্যালবাম আপলোড করছিলাম ফেসবুকে। সেখানে কিছু স্ক্রিনশট আছে। আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাবও সেখানে আছে। এবং আগামীতে আন্দোলনের নেতৃত্বদের পারস্পরিক কথাবার্তারও কিছু স্ক্রিনশট হয়তো আপলোড করবো। তবে এইটুকু জানি তাতেও লাভ নাই। কারণ যে জেগে ঘুমায়, তারে জাগায় কোন বলদ
১০ জন শিবির কর্মী যদি ৯৯০ জন নির্লিপ্ত রাজনীতিবিমুখ অবিমৃষ্যকারীকে নিজেদের চারপাশে জড়ো করতে পারে, তারপর তাদের গর্দানে কামান রেখে গোলন্দাজি করতে পারে, তাহলে সেই আন্দোলনের উপর কার নাম ছাপ্পড় মারা আছে তাতে কী আসে যায়?
এখন কথা হল এক হাজার ছাত্রর জমায়েতের মাঝে যদি ১০ জন শিবির কর্মী বসে থাকে তাহলে কি সেটা শিবিরের আন্দোলন বা শিবিরের ইন্ধন হয়ে যায়? হ্যাঁ, হয়। কারন তারা তাদের ঘাপটি মারা উদ্দেশ্য নিয়ে বসে থাকে। সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের দোষ দেয়া হচ্ছেনা, দোষ দেয়া হচ্ছে তাদের ছাড় দেবার মাত্রাটাকে। আপনি যখন আড্ডা দেন, সেখানে যদি শিবির থাকে তখন কি তাকে বসে থাকতে দেন? তাইলে আপনার সাথে কোন কথা নাই।
জিনিস টা কি এমন যে আমি একজন অপরাধির বিচার চাই, একজন শিবির কর্মীও তাই চায় অতএব আমি ঐ শিবির কর্মীর দ্বারা ব্যবহৃত হলাম? হ্যাঁ, হলেন। কারন শিবির কর্মী বলে কিছু নেই, শিবির শিবির-ই। সে একটা জঘন্য কাজকে স্বীকৃতি দিতে পেরেছে বলেই শিবির। আপনি চেষ্টা করে দেখুন-না, চাইলেই আপনাকে শিবিরে নেয় নাকি?
শিবির কর্মী দ্বারা ব্যবহার হওয়া না হওয়ার চাইতে বড় কথা, কেন ব্যবহার হওয়ার মত পর্য়ায়ে আমরা নিজেদের যেতে দেব।
দেশটা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে! কোথায় দাঁড়িয়েছে প্রজন্মের বোধ! ভালোইতো, যুদ্ধে দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ যত কম তত বেশি সুবিধা।
দোষ দেয়া হচ্ছে তাদের ছাড় দেবার মাত্রাটাকে।>> ছাড় দেয় নাই বোধ হয়। পূর্ণ সচেতন ছিল না- এটা বলা যেতে পারে। আন্দোলনের ময়দানে শিবির ধরার জন্য কয়েকজনকে নিয়োগ করলে হয়তো ধরা পড়তো।
_____________________
Give Her Freedom!
পূর্ণ সচেতন না থাকাটাই ছাড় দেয়া। শিবির ধরার জন্য নিয়োগ দেয়ার কিছু নেই, শিবিরকে শিবিরের স্টাইলে প্রতিরোধ করতে গেলে হবেনা।
তোমরা কিছুই দেখোনি, একবার দেখলে প্রতিবার আরও সব খবরে নিজেদের মুখচ্ছবি দেখতে পেতে। বন্ধুর কর্তিত হাত, রগ কাটা চাপাতি শিল্প।
বোধ হয় শব্দটা আরও সবার জন্যে তুলে রেখো ভাইয়া, জামাত-শিবিরের বেলায় হয় প্রত্যয় নয়তো পরাধীন স্বাধীনতা!
বন্ধুর কর্তিত হাত, রগ কাটা চাপাতি শিল্প। বুয়েটে দেখি নি বলেই হয়তো সচেতনতা কম।
_____________________
Give Her Freedom!
বর্তমানে প্রাপ্ত তথ্যে তো দেখা যাচ্ছে, শিবির ভালোভাবেই আন্দোলনের লিডে ছিলো। এ অবস্থায় শিবির বিতাড়নে আপনারা কি কি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আন্দোলনের সময় উনারা অনেক কিছু (আন্দোলন সংশ্লিষ্ট-অসংশ্লিষ্ট) বলেছিলেন বিভিন্ন স্ট্যাটাসে, পোস্টে, কমেন্টে; সব খুঁজতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তাতে উনাদের বিদ্বেষপরায়ণ মনে হয়েছে। যেমন এটাঃ
আর যারা ঐ সময়ে বা এখনও ডিনাই করে বুয়েটে ছাগু নাই তাদের অবশ্যই লজ্জিত হোয়া উচিৎ।
_____________________
Give Her Freedom!
এই তথ্যগুলো কি ভুল?
দেড় লাখ টাকা যেখানে প্রতি ছাত্রের পিছনে বছরে খরচ, সেখানে ৬ মাস ক্লাস বন্ধ রাখলে যে কেউই সমালোচনা করতে পারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তথ্য ভুল না (কিছু প্লাস-মাইনাস হতে পারে)। তবে এটাতো শুধু বুয়েটে না। আর দশটা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবটাও এমনি। আলাদাভাবে বুয়েটের নাম দিয়ে উনি কি বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন মনে হয়েছে।
_____________________
Give Her Freedom!
একটা জিনিস আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, প্রসঙ্গ যদি বুয়েট হয়, তাহলে কেন বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলতে হবে? অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাবটা এমন না, শুধু বুয়েটেই এমন, এরকম কথা কি এরা বলেছে?
আরো পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবটা যেহেতু এমনই তারপরও বুয়েটে কেন এটা বলা কী দরকার আমি তো এভাবে চিন্তা করছিলাম। আন্দোলনের সময় এই কথা কেন উনি তুললেন সেটাও চিন্তা করেছিলাম।
_____________________
Give Her Freedom!
জামাত শিবির ইস্যূতে কোন ছাড় দিতে নেই। প্রতিষ্ঠানের আর কোন সুনামের প্রয়োজন নেই, সেখানে জামাত-শিবির ঘাপটি মেরেও রাজনীতি করতে পারেনা -- এর চাইতে বড় কোন সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। বিষয়টা শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে দেখতে গেলেতো হবেনা, এটা সাংস্কৃতিক লড়াই, জাতিগত অস্তিত্বের লড়াই।
পিয়াল ভাই এর প্রতিটি স্ট্যাটাস আমি ফলো করি। আমরা যখন ঘুমাই, তখনও তিনি জেগে থাকেন। একজন পিয়াল ভাই যে মাত্রায় লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গেলে শিবির’কে যে ছাড় দিতে হয় সেই ছাড় দেয়ার সময় আমাদের কখনো না আসুক। ইস! এই সুযোগে তারা আন্দোলনটা থেকে বুয়েটে তাদের সামাজিক ভিত্তি দাঁড় করিয়ে ফেলেছে বহুগুনে। খেদানোর রাস্তা বলো আমাদের। বুয়েটের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিবির এর পুরোপুরি দখলে চলে যাবে এটাতো হতে পারেনা। এখনকার বুয়েটের ছেলে-মেয়েরা কি বোকা নাকি?
নাকি শিবির নিরবে ভয়-ভীতি-পারিতোষিক দিয়েছে? জাবি’তে তাই দেখেছি। কিন্তু আমাদের পার্থক্য ছিলো, একবার ধরামাত্র পশু-চিকিৎসা, এক চিকিৎসায় বাকি সব ঠান্ডা।
তোমার এই লেখাটা যে আবেগ থেকে লেখা, তার চাইতে সংহত আবেগ থেকে উচিত হবে বিষয়টা নিয়ে আরো খোঁজখবর করা, পর্য়ালোচনা করা, বিষয়গুলো আবার সবাইকে জানানো। যে দুইজন মানুষের নাম এখানে এসেছে, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে যদি তোমার স্পষ্টতা এসে থাকে তাহলে এখানে বলে ফেলো। প্রয়োজন আছে।
জামাত-শিবির মুক্ত বাংলাদেশ চাইলে পুরোপুরি সীমানা পেরিয়ে যেতে হয়, মাঝামাঝি কোন রাস্তা নেই। যারা ভাবে আছে তাদের বরং বর্জন করো। নইলে তোমার কবিতা লিখা ছেড়ে দিতে হবে খুব সহসা, ভোরবেলায় ঘুম ভাঙাবে শীতল কন্ঠস্বর, ‘ঘুম থেকে উঠুন, গোলাম আযম সাহেবের ইমামতিতে নামায পড়তে আসেন!’
এই পোস্টটাও ওরা ব্যবহার করবে, আমি নিশ্চিত; এই ব্যবহার করাটা ঠেকাতে পার নাকি দেখিতো! এইবার না পারলে আর কোনদিন পারবানা মিয়া! সময় নাই বেশি।
ভাল বলেছেন তানিম ভাই। সহমত।
জামাত শিবির ইস্যূতে কোন ছাড় দিতে নেই।
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসচেতনতা হয়তো ছিল, ছাড় দেওয়া মানে হল শিবির পাশে জেনে নিয়ে না জানার ভান করা। শিবিরকে ধরাই যায় নি তখন (ব্যর্থতা)।
আমরা যখন ঘুমাই, তখনও তিনি জেগে থাকেন। একজন পিয়াল ভাই যে মাত্রায় লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গেলে শিবির’কে যে ছাড় দিতে হয় সেই ছাড় দেয়ার সময় আমাদের কখনো না আসুক।>> অবশ্যই উনার কর্মকাণ্ড পূজনীয়। তবে বুয়েট নিয়ে উনার কিছু মন্তব্য অতিরিক্ত মনে হয়েছে। উনার ভুলকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না এতে একমত নই। তবে শিবিরকে ছাড় দেওয়া যাবে না এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
এখন যখন প্রকাশ পেয়েছে তখন শিবির খুঁজে বের করা হবে সেই আশা রাখি। অন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন শিবির নিয়ন্ত্রণ করে সেভাবে বুয়েট কখনই নিয়ন্ত্রিত হবে না, সাধারণ ছাত্ররা তা দিবে না, নিশ্চিত থাকেন।
তাদের উদ্দেশ্য একটাই মনে হয়>> সমগ্র আন্দোলনের এ টু জেড শিবির চালিবেছে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব শিবির করেছে। বুয়েটে শুধু ছাগুর চাষ হয়। বুয়েটিয়ান = ছাগু।
"‘ঘুম থেকে উঠুন, গোলাম আযম সাহেবের ইমামতিতে নামায পড়তে আসেন!’" এই অবস্থায় বাংলাদেশ যাবে না। এই প্রজন্ম যেতে দিবে না, জীবন দিয়ে দিবো দরকার হলে।
এই পোস্টটাও ওরা ব্যবহার করবে, আমি নিশ্চিত; এই ব্যবহার করাটা ঠেকাতে পার নাকি দেখিতো! এইবার না পারলে আর কোনদিন পারবানা মিয়া! সময় নাই বেশি।>>
একদমি একমত নই। শিবির নাই বললে হয়তো ব্যবহার করতে পারত। শিবির আছে (অপেক্ষাকৃত কম হলেও) বহুবার বলেছি।
ধরেন বাংলাদেশে এখন জামাত-শিবির ১.৫ কোটি। দশ বছর পর ৫০ লাখে আসল। তখন আমি যদি বলি বাংলাদেশে পূর্বের তুলনায় জাম-শিব-ছাগু কমছে (অপেক্ষাকৃত) তাহলে সবাই মিলে কি তখন আমারে বাক্যবাণে আহত-আঘাত করতে আসবেন? বলবেন এই কথা বলাতে শিবির বেনেফিট নিবে? আমি শিবিররে ছাড় দিছি? আমি সমস্যা এড়ায় যাইতে চাইতেছি বলবেন? এই পোস্টে এটা বলছিলাম শিবির বুয়েটে অপেক্ষাকৃত কম। এর জন্য এত কথা শোনা লাগলো কেন বুঝলাম না। আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগতেছে আর কী।
_____________________
Give Her Freedom!
কেউ কথা বলছেনা কিন্তু, সবাই তাদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছে।
একদমি একমত নই। শিবির নাই বললে হয়তো ব্যবহার করতে পারত। শিবির আছে (অপেক্ষাকৃত কম হলেও) বহুবার বলেছি। আচ্ছা। তুমি আমার কথা বুঝতে পারো নাই, এই ব্যবহার বুয়েটের শিবির এর কথা বলা হয় নাই, বৃহত্তরভাবে বলা হয়েছে।
বুয়েটে শিবির অপেক্ষাকৃত কম মানে বুঝলাম না, তথ্য-উপাত্ত কি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি আরও কম? জাহাঙ্গীরনগরে বেশি দেখে বারবার আক্রমন হয়? নাকি রাজশাহী, চিটাগাং-এ দখল করেছে বেশি বলে? মুক্তিযুদ্ধের সময়তো জামাত সংখ্যায় কম ছিলো তাই বলে কি আমাদের ক্ষতি কম হয়েছে? ধরলাম এখন ১ কোটি, আগে কি এত ছিলো? দশ বছর পর ৫০ লাখে আসবে কি আসবেনা তা নির্ভর করবে কিন্তু এখনকার কাজের উপর।
বুয়েটের স্টুডেন্টদের আবেগ, দেশপ্রেম, চেতনা নিয়ে কোন দ্বিধা নেই, শংকা আছে আমাদের কারন আমরা দেখেছি কিভাবে চক্রবৃদ্ধিহারে ভাইরাস বাড়ে।
ঠিক আছে, জান দেয়ার ময়দানে দেখা হবে
অ.ট. আমার একটা পুরনো পোস্টের মন্তব্যে জেনেছিলাম আপনি জাবি ২২তম ব্যাচ। তার মানে ৯৫ আর ৯৬ এর শিবির বিতাড়নের স্মৃতি থাকার কথা। একটা ডিটেলড পোস্ট দিন না। আপনার আর আমার আমলের অনেক প্রগতিশীলই পল্টি মেরেছেন সত্য। কিন্তু তাতে তো আর শিবির হালাল হয় না।
অজ্ঞাতবাস
কিছুটা দিলাম নিচে। ডিটেলড! এক পোস্টে ডিটেলড হবেনা। একটা বড় লেখা লিখে ফেলে রেখেছি বহুদিন, দিতে ইচ্ছে করেনা। মানুষের নাম আছে, দলের নাম আসবে, কারো কারো কাছে মনে হয়েছে তাদের নাম কম এসেছে, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ-ফ্রন্ট, ইউনিয়ন কার নাম কম বেশি হয়েছে। এত বাহানা করে এই নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা।
কিন্তু তাতে তো আর শিবির হালাল হয়না কথা সত্য। বুয়েটের উপর লেখাগুলো পড়ার পর গতকাল রাতেও একবার লেখাটা উল্টে-পাল্টে দেখছিলাম।
দিব। নিচে পড়ে আর কোনকিছু আলোকপাত করার উপর জোর দিবেন? মিলেমিশে কাজ করি।
আপনি অনেক আগে বলেছিলেন শিবির নিয়ে অভিজ্ঞতা গুলো নিয়ে লিখবেন। আমার মনে আছে। লেখাগুলো দেওয়াটা যে কত গুরুত্বপূর্ণ এখন মনে হয় বুঝতে পারছেন। যেটা লেখা আছে একবার রিভিউ করে দিয়ে দিন তানিম ভাই।
_____________________
Give Her Freedom!
বুয়েটে শিবির অপেক্ষাকৃত কম মানে বুঝলাম না, তথ্য-উপাত্ত কি? ভয়াবহতা যেহেতু কম তাই লোকবল কম তাই সংখ্যায় কম এমন মনে করি।
বাকী কথা বুঝলাম।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার রাজনৈতিক চিন্তার পরিধি অতিসরলীকরণ-দোষে সংকুচিত। যে কারণে আপনি একজন বুয়েট ছাত্র হয়েও চিন্তা করছেন subjectively . আপনার premise হচ্ছে শিবিরের প্রকাশ্য কর্মকান্ডই কোনো প্রতিষ্ঠানের শিবিরের সমর্থক সংখ্যাকে নির্দেশ করে। যেহেতু বুয়েটে শিবিরের প্রকাশ্য কর্মকান্ড প্রায় অনুপুস্থিত, আপনি তাই ধরে নিচ্ছেন শিবির বুয়েট এ অপেক্ষাকৃত কম, এমনকি আপনি ১% জাতীয় একটি কাল্পনিক সংখ্যা জুড়ে দিয়েছেন এই "কম" এর স্বরূপ বোঝাতে। কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রাখলে বুঝতেন ১) শিবির যখন কোনো প্রতিষ্ঠান দখল করে, কখনই সাধারণ ছাত্রের সমর্থনে করে না, বরং অস্ত্রের জোরে করে, আর অস্ত্র থাকলে ১% লোকই যথেষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দখলে নিতে, ২) শিবির কোন প্রতিষ্ঠান কখন দখলে নেবে, সেটা তাদের সমন্বিত পরিকল্পনার অংশ, কোনো হঠাত adventurism এর বিষয় নয়। বুয়েট দখল নিতে যে পরিমান শক্তি প্রয়োগ করা দরকার, ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অস্ত্রের সে পরিমান শো ডাউন করা এই মুহুর্তে শিবিরের কাছে লাভজনক কিছু নয়, কিন্তু ভবিষযত এর কথা ভেবে groundwork করে রাখাটা তাদের প্ল্যান এর অংশ। এই groundwork স্টেজ হচ্ছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো আর potential সমর্থক দের দলে টানা। যেহেতু শিবির ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, ধর্মভীরু গোষ্ঠিকে এপ্রোচ করে ধর্মের বাণী শুনিয়ে বিভ্রান্ত করা তাদের জন্য সহজ। আর যে কারণেই হোক, বুয়েট এ ধর্মপ্রাণ শিক্ষক, ছাত্রের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদন্ডে (আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ)। এ কারণে বুয়েট ছাগুদের টার্গেট ছিল, আছে এবং থাকবে। এখন সাধারণ ছাত্র রা শিবির কে দুর্বল ভেবে ignore করার নীতি নিলে আখেরে যখন শিবির স্বমূর্তি ধারণ করবে, তখন আর কিছুই করার থাকবে না, কারণ শিবিরের অস্ত্রশক্তি কে পাল্লা দেয়ার মত শক্তি বুয়েটের প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর নেই। অমি রহমান পিয়ালের কাজে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্ধেষ অন্বেষণ না করে বরং শিবিরের ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক ignorance নিয়ে চিন্তিত হন, শিক্ষক সমিতির সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজে শিবির পন্থী শিক্ষকদের সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি কেন, সেটার প্রতিবাদ করেন। এক অমি পিয়াল বিদ্বেষ নিয়ে পরে থাকলে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু শিবির যদি সরলতার সুযোগে একবার বুয়েটে গেড়ে বসে, তাহলে সমূহ বিপদ।
শিবির ইস্যুই বোধহয় একমাত্র জিনিস যেটা আমাদের সময়কার জাহাঙ্গীরনগরের কাছে বুয়েটের শিক্ষনীয়।
অজ্ঞাতবাস
কোন সময়টার কথা বলছেন জানতে পারি কি?
১৯৮৯-২০০১। ৯২, ৯৫ আর ৯৬ এ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে শিবির পালায়। এর কোন বারই আধা দিনের বেশি ওরা টিকতে পারে নাই। ১৯৯৬ এর পরে অবশ্য শিবির আর আক্রমণ করে নাই। তবে হলে মাঝে মাঝে ধরা পড়তো। আমি সেই সময়টাতেই জাবির ছাত্র ছিলাম। ২০০১ পরবর্তী ঘটনা সেভাবে বলতে পারবো না। শিবির হয়তো ক্যাম্পাস দখলে নিতে পারেনি কিন্তু প্রগতিশীল সংগঠণগুলির অধ:পতনের সুযোগ ওরা নেবেনা এটা অসম্ভব।
অজ্ঞাতবাস
হুমম অবশ্যই বর্তমান ছাত্রদেরও আরো অনেক সচেতন হতে হবে।
_____________________
Give Her Freedom!
৯৫, ৯৬ এ আমি ছিলাম জাবি’তে, আমরা জাবি থেকে বেরিয়ে আসি ৯৮ এর শেষের দিকে। দ্বিতীয় আক্রমণ ৯৬’র ১লা জুলাই, আমাদের সময়ের প্রথম আক্রমণ হয়েছিলো ৯৫ এ, তারিখটা মনে নেই কারো। প্রথমবার খুব সম্ভবত ৩৩ রাত পাহারা দিতে হয়েছিলো আমাদের, ঢাকায় আসতে পারতাম না আমরা, আমিনবাজারে খুব ঝামেলা হতো; আরও কত স্মৃতি! দ্বিতীয়বার ততটা পাহারা দিতে হয়নি। প্রথমবার জাবি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো ৬৪ জন শিবির, যাদের ভেতর খুব সম্ভবত ১৯ জন আবার দ্বিতীয় আক্রমণের সময় এসেছিলো। দ্বিতীয়বার বাইরের প্রচুর ক্যাডার এসেছিলো, ক্যাম্পাসের ছাত্র ছিলো কম; সেবারই তাদের আবাবিল বাহিনী ক্যাম্পাস থেকে শিবির ক্যাডারদের নিরাপদে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি ছিলো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে।
৯৫ এ বেলা ১০ টার পর থেকে সারাদিন ক্যাম্পাস শিবিরের দখলে ছিলো, সন্ধ্যায় পুলিশ এসে সব হলের দখল নেয়। ৯৬ এ দখল হয় একদম ভোরবেলা, এইবার বিকেলের পর পুলিশ এসে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সব হলের দখল নেয়। এই দুই আক্রমণের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা, সত্যি কথা বলতে কি মুগ্ধ হওয়ার মত। রবোটিক, কঠিন লিডারশীপ, একদম ছক কেটে প্রতিটি স্টেপ, প্রতিবার বিভিন্ন ফর্মেশনে আক্রমণ, দল ভেঙে আরও সব ছোট ছোট দল, মানে কিনা একটা তেলেসমাতি ব্যাপার। আমাদের বেলায় দুই দুইবারই ছিলো একদম “বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী”! পরবর্তীতে মূল্য দিতে হয়েছিলো আমাদের এর জন্য।
কি সব দিন, রাত, ইট, পাথর আর শুধু হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মুখোমুখি যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি একটা তীব্র আফসোস আছে কিন্তু জাবি’তে এই দুইটা ঘটনায় এই আফসোস বহুলাংশে কমে গিয়েছিলো আমাদের।
৯৬ এ ৪৮ জনকে কামালউদ্দিন হলে আটক করা হয়েছিল। পরে ঠোলা এসে বাঁচিয়ে দেয়।
কী রকম? শিবিরের করা মামলা?
ঐ সময়টাই শ্রেষ্ঠ সময় জাবির। আমাদের সময় আমরা শুধু শিবিরের অস্তিত্ব অনিশ্চিত করার দায়িত্বটা পালন করে গেছি।
অজ্ঞাতবাস
কোন দলের অংশগ্রহণ বেশি ছিল আমি জানি। এখানে অনেকেই জানেন। গত দেড় দশকের পলিটিক্যাল পার্সপেক্টিভ (তর্ক সাপেক্ষে) বদলে যাওয়ার যে সঙ্কট কারো কারো আছে সেটা আপনার নেই বলেই মনে হয়েছে। নির্ভয়ে লিখে ফেলেন। ঐ সময়ের সাক্ষি আমি ছাড়াও আছেন কম্পক্ষে আরো একজন।
অজ্ঞাতবাস
আবাবিল বাহিনী! শিবির নিয়ে সব কিছু এখনও জানি না মনে হচ্ছে। কিরিচ বাহিনী, রিজার্ভড ক্যাডার ব্যবহার করা, ইনফিলট্রেশন, ধাপে ধাপে প্রসার করা এগুলো কিছু জানি। আমরা আপনাদের আট দশ বছর পরে এখন বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে দেখছি। আপনাদের কাছ থেকেই জানতে চাই, সে সময়ের অবস্থাটা কেমন ছিলো।
এই বিষয়টা নিয়ে আপনার পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করব, যত বেশি সম্ভব, যতখানি বেশি সম্ভব, ডিটেইলে আমাদের জানাবেন।
আপনাদের সেই সময়গুলো আমাদের জন্য সবসময় অনুপ্রেরণাদায়ী।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ওহ! দারুন---
শিবির বিতাড়নের ব্যাপারে শিক্ষকসমিতি ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কোনো উদ্যোগ নিবে?
নাকি এখনও বুয়েটে শিবির নাই, এই ডিনায়াল চলতে থাকবে?
এবং অরাজনৈতিক সাধারণ ছাত্রছাত্রী আওয়ামী লীগের পা চাটা ভিসি ও কুখ্যাত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে 'অরাজনৈতিক' আন্দোলন করলেও শিবিরের বিরুদ্ধে কিছু করাটা 'রাজনৈতিক' উদ্যোগ হওয়ায় সেটা এড়িয়ে চলবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কাজ কিন্তু আগাচ্ছে। আশান্বিত হতে পারি যে শীঘ্রই ফলাফল পাওয়া যাবে। বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরাও শিবির দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
_____________________
Give Her Freedom!
লেখাটার জন্যে ধন্যবাদ। লেখাটা যে এঙ্গেলেই হোক না কেন - অন্তত লেখা ও তার কমেন্টগুলো পড়ে নিজের জানার ও ভাবার গন্ডিটা তো বড় করতে পারছি।
ভালো থাকা হোক।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
বুয়েট একটা সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছে। বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক পড়লাম। সব শেষে মাথায় ঘুরছে চবি-তে শিবিরের কাটা হাত নিয়ে মিছিল!!!
অন্য প্রতিষ্ঠানে শিবিরের ভয়াবহতা আছে।
_____________________
Give Her Freedom!
"আরেকটি কথা সকল জ্ঞানপাপীর উদ্দেশ্যে, বুয়েটে শিবির একটিভ, এটা আমরা গোপন করিনি, বরং শিবিরকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেটা নিয়ে সবাই সরব আছি। বুয়েটে শিবির হলে একটা রুম দখল করতে পারে বড়জোর, হল দখল করতে পারেনা, পারবেওনা। সারা দেশের বাদবাকি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারে হাজারে শিবির, রগ কাটে, গুলাগুলি করে, হল দখল করে-তখন সুশীলদের টনক নড়েনা। বুয়েটের শিবির কর্মীদের সামাজিকভাবে বয়কট বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরাই করবে। বুয়েটের যে কয়জন শিবির কর্মী আছে তাদেরকে রাষ্ট্র তার আইন-আদালত ব্যবহার করে গ্রেফতার করুক, বিচার করুক, বুয়েটের কোন সাধারন ছাত্র-ছাত্রী এতে বাধা দিবেনা, বরং সাধুবাদ যাবে। বুয়েটে শিবির চাষ হয়, শিবিরকে উত্সাহ দেয়া হয়-এই কথাটা উচ্চারন করার আগে আপনি ভেবে দেখুন-আপনি বাংলাদেশ থেকে জামায়াতকে কতটুকু নির্মূল করতে পেরেছেন বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল দখল, রগ কাটা থেকে শিবিরকে কতটুকু দুরে রাখতে পেরেছেন? ব্লগে বা অনলাইন পত্রিকায় জ্ঞান দেয়ার আগে সকল জ্ঞানপাপী এটা ভেবে দেখবেন সেটাই আশা করি।
সব দোষ বুয়েটের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ঘরে বসে জাবর কাটবেন-এটা আমরা মানবনা। ৫০ জন শিবির কর্মীকে ২০০০ জন সাধারণ ছাত্র মিলে কুপিয়ে মেরে ফেলতে পারবেনা, এটা আইন না। শিবিরকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিরোধ করার উপায় বাতলে দিন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।"
শুনে মনে হচ্ছে আপনি শিবির। নইলে দুটো পোস্টে একই মন্তব্য দিতেন না। তবে ধরে নিলাম শিবির বিতাড়নের সত্যিকারের ইচ্ছা আপনার আছে। সেইক্ষেত্রে দুই পয়সা >
জাহাঙ্গীরনগর আর ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশকের শেষে এবং নব্বুই দশকের প্রথমার্ধে পিটিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে। আপনারদের বুয়েটেরও ঐ সময় শিবির পেটানোর গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০ সালের সম্ভবত ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিক্ষকদের উপর শিবির হামলা করার প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির পেটানো শুরু হয়। (তখনও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম হয় নাই।) সেই সময় আপনার বুয়েটের রশীদ হলে শিবির আবিস্কৃত হয়। ১% এর কম সেই কয়জনকে ছাদে উঠিয়ে শীতের রাতে কাঁথাবালিশ ছাড়া রাত্রিযাপন করতে বাধ্য করা হয়। এর পরে প্রায় একদশক বুয়েটের কোন হলে প্রকাশ্যে শিবির ছিল না। জাহাঙ্গীরনগরেও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সিদ্ধান্তে ১৯৮৯ সালে শিবির নিষিদ্ধ হয়। এরপরে শিবির দুইবার ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টা করে এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরোধে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় বেলার পুরো সময়টাই সবকটি হলে নিয়মিত শিবির হান্টিং চালু ছিল। আণ্ডারগ্রাউণ্ডে থাকতে বাধ্য করা খুব কার্যকর রাজনৈতিক কৌশল।
শিবিরকে আজ পর্যন্ত যত জায়গায় ঠেকানো হয়েছে গণপ্রতিরোধেই ঠেকানো হয়েছে। এইক্ষেত্রে খুব বেশি কাজে লেগেছে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি। বুয়েট ক্যাম্পাসকে তার পুরনো দিনে ফেরত নিতে হবে। ধর্মীয় মৌলবাদীরা প্রচণ্ডরকম আক্রান্তবোধ করে এই ধরণের নাটক/সিনেমার প্রদর্শন বর্তমানের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বাড়াতে হবে। এরফলে শিবির/হিজবুতগং ভায়োলেন্ট রিঅ্যাকশানে বাধ্য হবে এবং সেই প্রতিক্রিয়াকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে শিবির বিতাড়ন বৈধতা পাবে।
কিন্তু পুরা ব্যাপারটাই নির্ভর করছে শিবির খেদানোকে আপনি কতটা জরুরি মনে করেন তার উপর।
অজ্ঞাতবাস
ভাই, আপনি যখনকার কথা বলতেছেন তখন দেশে ছাত্র মৈত্রী বলে একটা দল ছিল, এই জমানার ফেন্সীখোর আর ইয়ো-জেনারেশন দিয়া শিবির বিতাড়ন? -- অলীক স্বপ্ন মাত্র, (আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে বললাম)।
-- রামগরুড়
যেই দল বা পক্ষ যেমনেই কথা বলেন না কেন শিবির তাড়ানো দরকার, সক্রিয়ভাবে- এইটা মানলেই হৈব মনে হয়।
_____________________
Give Her Freedom!
শিবিরের সংখ্যা যাই থাকুক, নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি আমাদের চুপচাপ থাকার কারণে ওরা খুব দ্রুত মাল্টিপ্লাই করতে পারে।
আশা করব, তোদের জুনিয়র রা এটাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে পারবে,আর ওদেরকে আইডেন্টিফাই করা খুব বেশি কঠিন কিছু না। সাসপেক্টেড দের অনলাইন এক্টিভিটি খেয়াল করলেই বোঝা যাবে।
আফটার অল, লেঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট থিঙ্ক টু হাইড
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
_____________________
Give Her Freedom!
লেখঅ ও মন্তব্যগুলো পড়ে ভাল লাগলো। শিবিরপ্রসঙ্গে এখানে বা অনলাইনে যতটা কথা হয় ততটা যদি মাঠে হত তাহলে সত্যি আমাদের সাংস্কৃতিক মান বাড়তো কিছুটা। এখানে একেবারে নিজস্ব ভাবনা থেকে কিছু কথা বলতে চাই, কারো দ্বিমত থাকতে পারে। শিবির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে প্রথমে ক্লোজ ক্যাম্পাসগুলোকে বেছে নেয়। এটা তাদের এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে। ক্লোজ মানে আক্ষরিক অর্থে নয় একেবারে। ক্লোজ বলতে সেসকল ক্যাম্পাস যেগুলৈা হয় নিজেদের পৃথক করে রেখেছে দেয়াল দিয়ে, সে দেয়াল ইটের হতে পারে, হতে পারে মানসিক। বুয়েট দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে দেশের বিভিন্ন ইস্যু থেকে আলাদা হয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে অন্তত মাঠ পর্যায়ে তার অংশগ্রহণ একেবারেই নেই বল্লেই চলে। একই সংকট আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে আছে। দেশের সামনের সারির প্রতিষ্ঠান বলেই দায়িত্বটাও সামনে থেকেই পালন প্রত্যাশিত। বিরাজনীতিকীকরণের সবচেয়ে বড় শিকার সম্ভবত বুয়েট।
আরেকটি প্রসঙ্গে আসি। এটা ব্যাক্তিগত একটি পর্যবেক্ষণ থেকে বলছি, দুখঃজনক হলেও সত্য যে, শিবির বা হিজবুত তাহরির এর মত সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংগঠন বিস্তারে বিজ্ঞান অনুষদকে টার্গেটে পরিণত করে। এটা কৌতুহলের বিষয় হলেও ঘটনা সত্য। গত জোট সরকারের আমলে ঢাবির যে অনুষদে শিবির সহ হুজি বা হিজবুত পাওয়া গেছে তা বিজ্ঞান অনুষদ। তত্ত্বাবধায়ক আমলে যখন সবরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির সেই সুযোগে তারা আত্মপ্রকাশও করেছিল। কলাভবনের দেয়ালে ছাত্রশিবির লিখে নিজেদের জানান দিয়েীছল। (এখানে বলে রাখি জানা মাত্রই আমরা মাত্র তিন বন্ধু মিলে দেয়ালে দেয়ালে গোলাম আজমের ফাঁসি চাই বা এরকম লেখা দিতে বিন্দুমাত্র দেরি করিনি। ছাত্রশিবির লেখাটা টিকেছিল ৬ ঘন্টার মত। এখনকার মুক্তিযুদ্ধের সোল ডিস্টি্রবিউটর ছাত্রলীগ কিন্তু ছিল না।)
বিজ্ঞান অনুষদকে বেছে নেয়ার সম্ভবত কারণ হচ্ছে, ছাত্ররা ব্যাস্ত সময় কাটায়, এরপর তারা আর জটিল বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে সহজে চায় না যদি না নিজের ভিতর থেকে একটা তাড়না কাজ না করে। ঢাবিতে আমরা হলে হলে বিভিন্ন সংঘঠনের পক্ষ থেকে ওই ঘরানার লিস্ট রি করেছিলাম।
আরেকটি বিষয়ে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না, তাবলিগ প্রসঙ্গে সবাৈই এতো চুপ কেন? এটা কি ভুলে গেছে যে, কাকরাইল মসজিদ অপরাধী আত্মগোপনের উৎকৃষ্ট জয়গাগুলেঅর একটি হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই? দ্বিতিয়ত আপাত নিরীহ তাবলিগের ছত্রছায়াতেই এক ধরনের গোপনীয়তা অবলম্বন করে কর্মকাণ্ড চালায় ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলো। কোনও ধর্মীয় সংগঠনকে আলাদাভাবে ভাল বা মন্দের ভালো বলার সুযোগ কি আছে? বা এড়িয়ে যাওয়ার? যেখানে এটা প্রামাণ্য যে, সবগৈুলো সংগঠনেরই অর্থায়নের উৎস প্রায় এক। মধ্য প্রাচ্যের সৌদি আরব সহ কয়েকটি দেশ, খোদ ইংল্যান্ড, মার্কিন, আর এখনতো দেশের ভিতরেই। জামাতের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান, আল বাইয়্যেনাতসহ আরো ছোট বড় সংগঠনের অর্থের সংস্থান তারা নিজেরাই করতেপারে।
তাবলীগ নিজেই ব্যাবসা বিস্তারের একটা ক্ষেত্র, অনেকটা ঢাকা ক্লাব বা গুলশান ক্লাবের মত। এখানে যেমন জঙ্গীর চাষ চলে তেমনি দুনিয়াভী চাষও চলে। তাবলীগ বিষয়টা টেনে আনছি, নিজে তার প্রত্যক্ষ্য সাক্ষী বলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ বন্ধু যে তাবলীগ করে তাকে যখন বছর ঘুরতে আবিষকার করি হরকাতুল জিহাদের একজন হিসেবে। এবং তার আর আর তাবলীগ সাথীরও একই অভিন্ন পরিচয় বের হয়ে আসে তখন নিশ্চিত না হয়ে কী উপায় থাকে?
আর যা কথা তা আগেই আলোচিত হয়েছে। মূলত আমাদের চর্চা দরকার। সেটা নেটের বাইরেও চাই। পথে চাই। শুধু মিছিল করে যেমন পাল্টানো যায় না,তেমনি শুধু শিবিরকে গালি দিলেই বদলাবে না, যুদ্ধটা সাংস্কৃতিক, যুদ্ধটা অস্তিত্বের, যুক্তির আর আত্মসম্মানের। এগুলোকে প্রবল না করলে বিপরীতই প্রবল হতে থাকে কেবল।
স্বয়ম
এ লেখায় আমার পড়া সেরা মন্তব্য।
" বুয়েট দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে দেশের বিভিন্ন ইস্যু থেকে আলাদা হয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে অন্তত মাঠ পর্যায়ে তার অংশগ্রহণ একেবারেই নেই বল্লেই চলে।" - তেল গ্যাস কমিটির কাজের সাথে, নিজেদের সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বুয়েটের ছাত্ররা এগিয়ে যাক। সিনিয়ররা তাদের ইনসপায়ার করুক, গালাগালি নয়।
অনেকের মন্তব্যের অনেক অংশই চমৎকার। আর সবাই স্বনামে আপনাকে মন্তব্য করতে বলছে, আপনি করছেন না কেন?
তেল গ্যাস কমিটির কাজের সাথে, নিজেদের সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বুয়েটের ছাত্ররা এগিয়ে যাক। অসংলগ্ন লাগলো। কী বুঝালেন বুঝলাম না!
অফটপিকঃ গালাগালি এসেছে এই পোস্টে বেশ কিছু। হয়তো এটাই ব্লগীয় চর্চা। ব্লগে মানুষ তার ক্ষোভ বা অপছন্দ গালাগালি বা স্যাটায়ারের মাধ্যমে প্রকাশ করার প্রবৃত্তি ধারণ করে হয়তো। দ্বিমত বা ভিন্নমতে গালাগালি বা অমার্জিত শব্দ ব্যবহার পরিহার করা অবশ্য উত্তম; এতে আলোচনার পরিবেশ নষ্ট হয়।
_____________________
Give Her Freedom!
রাগিব হাসান যখন আন্দোলনের সময় কিছু ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তখন তারই ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র, তাদের দুয়েকজন সম্ভবত শিক্ষকও ছিলেন, তাকে যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন, সেটা গালাগালির চেয়েও খারাপ ছিলো। তখন গোল গোল কথা বলা কোনো নৈতিকতার আঁটিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে দেখিনি, গালাগালি না করে ইনস্পায়ার করতে। শিবির, শিবিরের প্রচ্ছন্ন সমর্থক, কিংবা ভাঙা পলিটিক্যাল রাডারওয়ালা ভোদাইরা একটু কর্কশ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়লেই গালাগালির সমালোচনা করতে চলে আসে কিছু পরিবেশকর্মী। খুব ইন্টারেস্টিং ফেনোমেনন এটা।
বুয়েটিয়ান গ্রুপে যাতায়াত কম/নাই (তাই জানতাম না)। নিজের অবস্থানটা একটু বলতে চাই (ব্যক্তিগতভাবে শান্তি পাবো বলে): আমার সামনে হলে আমি প্রতিবাদ করতাম হিমু ভাই। কিছু ওল্ড ফ্যাশন আচার আমার মধ্যে এখনও আছেঃ আমি বড়দের শ্রদ্ধা-সম্মান করাটা আবশ্যক মনে করি, অপমানিত হতে দেখলে আমার নিজেরই গায়ে লাগে; প্রতিবাদও করি।
_____________________
Give Her Freedom!
আমি বিভিন্ন প্রতি মন্তব্যে তাব্লীগ সমস্যার কথাটা উল্লেখ করেছি।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার গোছানো মন্তব্য ভালো লেগেছে স্বয়ম। অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলেও মনে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে লেখা পেলে ভালো লাগবে। বুয়েট বিষয়ে না, বর্তমান ছাত্রদের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা বা অসচেতনতার একটা সমসাময়িক ছবি চাচ্ছি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ইচ্ছে আছে লেখার। মূল সংকট আলসেমি। তবু চেষ্টা করব দূর অথবা অদূর ভবিষ্যতে।
একটা প্রশ্ন যে কেউ উত্তর করলে কৃতজ্ঞ থাকব। একটু আগে একটা লেখা লোড করতে চাইলাম,সরাসরি অতিথি লেখকের ব্লগ তৈরি হয়ে গেল। িঅথচ নীড়পাতায় নেই। ঠিক বুঝতে পারছি না। কেউ কি বলবেন?
স্বয়ম
নীড়পাতায় আসতে সময় নেবে। আমরা যারা অতিথি, তাদের লেখা মডারেশন পার হয়ে আসবে। লেখা ভালো হলে, তখন আসবে। ২৪-৪৮ ঘন্টা(?) এর মধ্যে যদি না আসে, তবে ধরে নেবেন, মডারেশনের গন্ডি পার হতে ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে নতুন লেখা দিয়ে আবার চেষ্টা করবেন। উপরে "সচলে লিখতে হলে" লিঙ্ক-এ গুতা দিয়ে ওখানে সব নিয়ম-কানুন পড়তে পারবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এখানে দেখুন: http://www.sachalayatan.com/sachalayatan/16572
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ, আমি সরাসরি ব্লগে লেখাটা দেখতে পাওয়ায় কনফিউজড ছিলাম। ২৪ ঘন্টা ব্যাপারটা জানতাম যদিও। ধন্যবাদ ক্রেসিডা।
স্বয়ম
নতুন মন্তব্য করুন