মুরাদের চায়ের দোকান।
উপরের বিষণ্ণতার মানে খুঁজিঃ এটা দৈব নয়, এটা অর্জিত, বিষাদ কিনতে কিনতে এদিকে আবার ফতুর হয়ে যাচ্ছি। আরও চাই এবং আরও। এরকম সময় মুরাদের চায়ের দোকানে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। রাস্তার দুপাশেই বেণীবদ্ধ শকটজট, হর্নের কর্কশ শব্দ নেই--লাভ হয় না, সবার সয়ে গেছে, পৃথিবীর আরেকটু ধীরে ঘূর্ণন সম্পন্ন করা উচিত, ২৪ ঘণ্টায় আজকাল পোষায় না। ৫-৭ ঘণ্টা রাস্তার অধরে গাড় চুম্বন একে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কোন পথ খোলা নেই। খুবই বিরক্তিকর চুম্বন।
যাই হোক, এসব বাদ দেই। স্বচ্ছ চায়ের গ্লাস হাতে নিলাম। গ্লাসের অনেক খানি অংশ ফাকা, মনটা খচখচ করে উঠলো-মুরাদ চা কম দেয় কেন আজকাল? ঠকানো ব্যাপারটা সহ্য করতে পারছি না অথচ প্রতি নিয়ত ঠকতে ঠকতে লাভ শব্দটা অপার্থিব হয়ে গেছে। কর্পোরেট কালচার যখন ঠকায় তখন তা গা গলে পড়ে যায়, অথচ এই ছাপোষা মানুষগুলো ঠকালে এক ঘা মারতে ইচ্ছে হয়, চা-ওলা, ফেরিওলা, রিকশাওলা, সব শালা ঠকবাজ।--- বৈষম্যমূলক মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার। সবাই ঠকাক-- কেউ বিনা বাধায় ঠকাবে-কেউ ঠকায় গালি খাবে এর কোন মানে হয় না। সবাই ঠকাক। ঠকে যাচ্ছি ক্রমশ:।
মুরাদের স্বল্প চায়ে আজ আত্মা বেশি ভিজলো মনে হয়। রুবাবকে বললাম চল যাই (হঠাৎ রুবাবকে নিয়ে আসতে হলো, কিছু করার নেই, একা একা মুরাদের চায়ের দোকানে বসি না, অবশ্য চায়ের বিল ব্যাপারটাও কারণ হতে পারে।)। ও বললো কৈ যাবো? আমি বললাম জানি না। উত্তরে ও- চল যাই।
হাঁটা শুরু করি নিরুদ্দেশ। এইভাবে সহস্রবার শহরের অলিগলি ছাপিয়ে বিষণ্ণতা গায়ে মেখে আরও অন্ধকার অমাবস্যার গায়ে ঢেলে ছুটে যাই দিগ্বিদিক। এর অনেক মানে হয়। এরজন্যই আরেকবার সবুজ নিঃশ্বাস নেই।
--------------------------------
পুনশ্চঃ প্রিয় তানিম ভাই, বস চ্রম উদাস, কিংবদন্তি অণুদা, তাজদা, তাপসদা, লতাদি, সজলদা, পীরদা- এই যে লিখলাম কিছু একটা, লেখার বিচারে কিছু হয় নাই তবুও আপ্নাদের বকা খেতে খেতে লিখেই ফেললাম ।
-------------------------------
০৭ জুলাই ২০১২, ঢাকা।
মন্তব্য
এতদিন পরে তাও এট্টুক! নাহ বড়ই ফাঁকিবাজ তো ছেলেটা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাইয়া, কিছু যে লিখতে পারছি এতেই আনন্দে আছি। আবার আউল-ফাউল লিখছি এইজন্য কিঞ্চিত মন খ্রাপ আছে। ভালো কিছু লেখা বড় কঠিন ।
_____________________
Give Her Freedom!
হতাশার গান. হাবিজাবি - ০২ তে একটু মন ভালো কৈরে দিয়েন ভাইডি.
..................................................................
#Banshibir.
এই যে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিরুদ্দেশ হাঁটা হাঁটি করি, এতে আনন্দ আছে ।
হাবজাব পড়ার জন্য
_____________________
Give Her Freedom!
হয়ে যাবে
বকা দেবার সময় কত কিছু বলেন আর এখন লিখলাম তাতেও মাত্র এতটুকু মন্তব্য
_____________________
Give Her Freedom!
হুম। বুঝলাম। দুঃখবিলাস বাদ দিয়ে ঐ 'নিরুদ্দেশে' হাঁটা অব্যাহত থাকুক।
ডাকঘর | ছবিঘর
দাদা ঢাকা আসেন, অনেক দূর হেঁটে চলে যাবো নে
_____________________
Give Her Freedom!
এত যুগ পরে লিখলেন, তাও এরকম বিষন্ন লেখা?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়দা, কী যে বলবো, লেখা আসেই না। আপনারা যে কীভাবে এতো ভালো লেখেন ভেবে পাই না।
_____________________
Give Her Freedom!
৫-৭ ঘন্টা চুম্বন? ইয়ার্কি পায়া হ্যায়?
ঢাকায় কিন্তু সত্যিই যারা উত্তরা-ধানমণ্ডি বা আরো দূরে যাতায়াত করে তাদের ৫ ঘণ্টা রাস্তাকে ভালোবেসে( ) রাস্তার কোলে বসে থাকতে হয়!!! ক্যান তুমি পড়ো নাই একবারো?
_____________________
Give Her Freedom!
ব্লগরব্লগর, তবে নিরর্থক তো নয়।
বেশ ভালো লাগলো পড়তে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা ।
_____________________
Give Her Freedom!
মুরাদদের মত চায়ের দোকানের চা খাওয়া এক নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল আমারও এক সময়। আর ওদের এই কিছু চা কম দেয়ার বিষয়টাও চোখে লেগেছে। তবে আপনার কথা গুল বেশ হয়েছে। এই যে বললেন কর্পোরেট মানুষদের ঠকানো গা গলে পড়ে যায় অথচ ছা পোষা মানুসগুল ঠকালে ঘা মারতে ইচ্ছে হয়।
অনেক ভালো লাগলো
টঙের চা-দোকান গুলো আসলেই অন্যরকম ভালো লাগার মতো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিন অমি_বন্যা ।
_____________________
Give Her Freedom!
আবার ৩ মাস অপেক্ষা করতে রাজি না কিন্তু ! আরেকবার নাম উঠলে আপনি হ্যাট্রিক করবেন ফাঁকিবাজ হিসেবে !
facebook
ঠিক্কর্ছি লতাদির মতো ২ মাস ২৯ দিনের মাথায় আরেকটা হাবজাব দিবো ।
_____________________
Give Her Freedom!
প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ। তবে এ ধরনের লেখায় বানান এবং যতি চিহ্নের ব্যবহারে সতর্ক থাকা দরকার। না হলে পড়তে ভালো লাগে না। বিশেষ করে বানান। কয়েকটা উদাহরণ দেই:
থমকে দাঁড়ায় থাকে >> দাঁড়িয়ে হবে
তবে এপথ হারিয়ে যাবে >> এ পথ
ছেড়া পেপার >> ছেঁড়া
হর্নের কর্কশ শব্দ নেই-লাভ হয় না >> কর্কশ শব্দ নেই--লাভ হয়না (ড্যাস হবে, হাইফেন নয়)
এরকম আরো আছে। এগুলো ঠিক করলে এই লেখা সুপাঠ্য হবে আশা করি
বানান ভুল হোয়াটা অন্যায়ই, কারণ আমি নিজেই বিরক্ত হই বানান ভুল দেখলে। তবে বাসার ডেস্কটপটার কীবোর্ড খানার এক রো বরাবর সবগুলো কী নষ্ট হয়ে গেছে। চন্দ্রবিন্দু, খণ্ড ত দিতে সমস্যা হচ্ছিলো।
১। কথ্য ভাষা বলতে গিয়ে দাঁড়ায় লিখেছি।
২। এটা আমার অজ্ঞতা। শিখে নিলাম।
৩। ছেঁড়া তে এক জায়গায় চন্দ্রবিন্দু দিয়েছি আরেক জায়গা চোখ এড়িয়ে গেছে। কী বোর্ড প্রবলেম।
৪। ড্যাশ হবে, ঠিক করে দিচ্ছি।
বাকীগুলো চোখে পড়লে ঠিক করে দিবো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ পিপিদা।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
কথ্য রীতিতে লিখলে অন্যগুলোও ঠিক করতে হবে। যেমন হারিয়ে > হারায়ে করতে হবে। এনিওয়ে, লিখে যান। নিজে তো লিখিনা, কিন্তু মাস্টারি করতে ভালই লাগে। আশা করি কিছু মনে করেননি।
আরো কিছু বানান ঠিক করতে হবে। যেমন,
গাড় > গাঢ়
ফাকা > ফাঁকা
কিছু মনে করার কোন সুযোগই নাই পিপিদা ।
গাঢ় বানান ভুল হৈছে এটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। তবে ফাঁকা বানানটা মাঝেমাঝেই ভুল করে বসি ।
_____________________
Give Her Freedom!
হাবিজাবি ভালো লাগলো। কিন্ত ছয় মাস পরে এসে এইরকম ছোট লেখা দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। আপনার কবিতা লেখার কি হলো? আগে তো লিখতেন?
বস।
সব জাড়িজুড়ি ফাস করে দিয়ে বলেন কবিতার কী হলো? একটা প্রোগ্রাম চালিয়ে কোবতে লিখলাম, সে তো আপ্নিই সব্বাইরে বলে দিলেন। ও পথ কী আর মাড়ানো যায় ।
_____________________
Give Her Freedom!
এখানে এসে বাজিমাত করে দিলে ওস্তাদ !! কিন্তু এতো ফাঁকিবাজি করলে কি চলে, এতদিন কোথায় ছিলে? তোমার ভাষার দখল তো দারুন, আরো ঘনঘন লিখনা কেন?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভাই বড়ই শরমিন্দা হৈলাম। তোমার সাম্প্রতিক পোস্ট গুলো পড়লে শুধু দুর থিকা স্যালুট ঠুকি। এতো পরিশ্রমও করা যায়। ঠিক এইভাবে এগিয়ে যাও, একদিন সকল অন্ধকার দূর করে দেওয়া যাবে সমাজটা থেকে।
লেখালেখি করাটা খুব কঠিনরে ভাই। ব্লগর ব্লগর তো একদমি পারি না। আর প্রবন্ধ লেখার মতো পরিশ্রম করার সময়ও পাই না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস।
_____________________
Give Her Freedom!
ধুর কি যে বলোনা !! আমি একটু-আধটু চেষ্টা করি, এর থেকে বেশি না।
তোমার লেখা আরও বেশি বেশি চাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
_____________________
Give Her Freedom!
ঠিক এই জায়গাটিই কোট করতে চাইছিলাম-- অনেক ভালো লেগেছে।
পথিক পরাণ
শুভেচ্ছা রৈলো ভাই।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার পুরোনো লেখাগুলে পড়িনি- পড়ে নেবো কোন একসময়- হাঁটতে হাঁটতে,
চলুন তবে হাঁটতে থাকি- হাঁটতে হাঁটতে নিরুদ্দেশ...
তাহলে তো খুব খুশি, আর কিছু মন্তব্য পেলে আরো
হুমম হাঁটতে থাকি চলুন বিষণ্ণ বর্ষা মেখে বা ভরা পূর্ণিমা ছুঁয়ে ছুঁয়ে..........
অনেকদিন পরে লিখলেন, মনে হয়। পিপি'র কথাগুলো স্মরণে রেখে লিখলে লেখার মান ভালই হবে। এটাও ভাল হয়েছে, কিছু টাইপো ছাড়া।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য দাদা।
গদ্য লেখা শুরু করেছ দেখি। দিব্যি।
[ এতদিন লোকের পোস্টে চুলচেরা ভুল ধরে বেড়াতে এইবার ?! হে হে হে ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আর উপায় আছে, মডুরা কোবতে ছাড়েই না, এদিকে কত আর আপনাদের বকা শোনা যায়, তাই ভাবলাম যা মনে আসে লিখে ব্লগরব্লগর বলে চালায় দেই !!
ওগুলো টাইপো তো ভুল নয়
_____________________
Give Her Freedom!
নতুন মন্তব্য করুন