স্কুলের ইতিহাস বইতে মোগল/পাঠান আমলের বিরক্তিকর ইতিহাস গিলতে হয়েছিলো, তাতে একটা ব্যাপার প্রায়ই দেখতাম, অমুকে তমুক জায়গার সিংহাসন দখল করে সুলতান হওয়ার পরে সমুক নাম ধারণ করেছেন।
সেই ধাঁচেই আজ থেকে আমি “জোজো মনু” নামটি ধারণ করলাম।
ঘাবড়ে গেলেন? নাহ, এটা আমার আকীকা দেয়া নাম নয়, কিংবা মায়ানগরের সিংহাসনেও চড়ে বসিনি, বরং এটা আমার আফ্রিকীয় নাম। আরো খোলাসা করে বলতে গেলে, এটা আমার ঘানার আকান গোত্রপদ্ধতির নাম।
ঘানার আকান জাতির এই নামের রীতি পশ্চিম আফ্রিকার অনেক দেশেই চালু আছে। এই পদ্ধতির চমৎকার দিকটা হলো, না রাখা নিয়ে কোনো ঝামেলা টামেলা নেই, “শিশুর সুন্দর নাম” জাতীয় বই, কিংবা দাদা-নানার চাপে পড়ে তুঘলকী আমলের নাম রাখারও ফ্যাকড়া নেই। পুরো নামটা চমৎকার এক ফরমুলাতে পড়ে।
দেখা যাক, ফরমুলাটা কী রকম।আকানদের নিয়ম অনুসারে নাম হবে দুই অংশের – প্রথম অংশটি হবে সপ্তাহের কোন বারে জন্ম হয়েছে, সেই বারের নাম। আর দ্বিতীয় অংশে থাকবে বাবা-মার কতো নম্বর সন্তান, সেটা।
ঘানার কফি আন্নান এর কথা নিশ্চয় মনে আছে সবার? ভদ্রলোকের নাম কফি আন্নান কেনো হলো, তা জানতে হলে ঘানার এই জাতিগোষ্ঠীর নামের কায়দাটা বুঝতে হবে। কফি মানে হলো শুক্রবার, আর আন্নান মানে চার নম্বর। সব মিলে বোঝা যায়, জাতিসংঘের এই সাবেক মহাসচিব ছিলেন বাবা-মার চার নম্বর ছেলে সন্তান, যার জন্ম শুক্রবারে।
কফি যদি মেয়ে হতেন, তাহলে তাঁর প্রথম নামটি হতো আফিয়া। দিনভিত্ত্বিক নামের তালিকাটি নিচে দিয়ে দিলাম, এই সিস্টেমে সহজেই নিজের আফ্রিকীয় নামটি বানিয়ে নিতে পারেন।
সোমবার – কোয়াদ্দো বা কোজো বা জোজো - আদজোয়া
মঙ্গলবার – কোয়াবেনা / কোবি – আবিনা
বুধবার – কোয়াকু/কোকু – আকুয়া/আকুবা
বৃহস্পতিবার – ইয়াউ/ইয়াবা/ বাবা/আবা – ইয়ায়া
শুক্রবার – কফি – আফিয়া
শনিবার – কোয়ামে – আম্মা / আমা
রবিবার – আকওয়াসি/ কোয়েসি/ সিসি – আকোসুয়া
আর ক্রমবাচক নামের পদ্ধতি হলো
১ম সন্তান – পিয়েসি বা বার্কো/অর্কো,
২য় সন্তান – মানু বা মাআনু
৩য় সন্তান – মেনসা বা মানসা
৪র্থ সন্তান – আনান বা আন্নান
৫ম সন্তান – নুম বা আনুম
৬ষ্ঠ সন্তান – নসিয়া বা এসিয়েন
৭ম সন্তান – আসোন বা নসোয়া
৮ম সন্তান – বতওয়ে
৯ম সন্তান – আক্রোন বা নক্রুমা
১০ম সন্তান – বদু বা বদুয়া
১১শ সন্তান – দুকু
১২শ সন্তান – দুনু
সবচেয়ে ছোট সন্তান - কাকিয়ে
আবার কী অবস্থাতে জন্ম সেটাও অনেক সময় নামের অংশ হতে পারে, যেমন মাঠে ঘাটে জন্ম হলে আফুম, যুদ্ধাবস্থায় জন্ম হলে বেকু, এরকম।
এবার বলুন তো, কোয়ামে নক্রুমা কী বারে জন্মেছিলেন, আর কত নম্বর সন্তান?
ছক তো দিয়েই দিলাম, এবার চটপট নিজের আফ্রিকীয় নামটি বের করে নিন।
এবার আফ্রিকা থেকে চলে আসি আমাদের পড়শী বার্মার দিকে। নামের দিক থেকে বর্মীদের মতো স্বাধীনতা আর কেউ পেয়েছে কি না সন্দেহ। বর্মী নামের কোনো সিস্টেমই নেই। এমনকি জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ধারণ করাটাও সেখানে স্বাভাবিক। আর নাম পাল্টাতে হলে সরকারী খাতায় অফিসে দৌড়াদৌড়িরও দরকার নেই।
আর নাম? বর্মীদের অনেকেরই নাম আগে ছিলো এক syllable বিশিষ্ট। হুমায়ুন আহমেদের বইতে বোধহয় পড়েছিলাম, কারো বাচ্চার নাম “নু” রাখা নিয়ে রসিকতা। বর্মীদের কিন্তু এরকম নাম রাখারই চল ছিলো শখানেক বছর আগেও। বিংশ শতকে এসেই কেবল তারা দুইধ্বনির নাম রাখা শুরু করে। কিন্তু তার মধ্যেও অনেক অংশ আসলে “চাচা”, “আংকেল” এই ধরণের। উদাহরণ দেই, বার্মার প্রথম প্রধানম্পন্ত্রীর নাম ছিলো “উ নু” (U Nu), তাঁর নামের প্রথম অংশ উ আসলে বোঝায় “জনাব” বা “মিস্টার” (অথবা সম্মানার্থে আমরা যেমন বলি “চাচা”, সেরকম)। তাঁর আসল নামটি হলো কেবলই “নু”।
আগের উদাহরণের কফি আনানের মতোই জাতিসংঘের আরেক মহাসচিব ছিলেন বর্মী কূটনীতিক উ থান্ট। যথারীতি, তাঁর নামেরও উ অংশটি হলো জনাব, আর থান্ট হলো তার আসল নাম।
অনেক সুপরিচিত বর্মীরই নামের অধিকাংশ অংশ এরকম জনাব বা “চাচা” বা “আন্টি” এরকম বোঝায়। যেমন, মহিলাদের নামে ব্যবহৃত “দ” (Daw) এর অর্থ হলো “বেগম”। মং হলো ছোটভাই। সায়াদও হলো পণ্ডিত, বোগইয়োক মানে সেনাপতি। মিন মানে রাজা।
সুপরিচিত বর্মী রাজনীতিবিদ অং সান সু কীর নামের ব্যাপারটা অনেকাংশে আধুনিক নামকরণ রীতির উদাহরণ। গত বেশ অনেকদিন ধরেই চল শুরু হয়েছে বার্মায়, বাবা মার নাম নামের পেছনে যোগ করে দেয়া। সু কীর নামের প্রথম অংশ “অং সান” আসলে সু কীর জন্মের সময়ে তাঁর বাবার যে নাম ছিলো, সেটাই। সু হলো তাঁর দাদীর নাম। আর কী হলো তাঁর মায়ের নাম।
সুকীর বাবা অং সানের নাম জীবনের শেষদিকে এসে হয়ে যায় বোগইয়োক অং সান, কারণ ততদিনে তিনি সেনাপতি হয়ে গিয়েছিলেন। অং সানের বাবার নাম ছিলো উ ফা (মানে জনাব ফা), আর মায়ের নাম ছিলো দ সু, নামে বেগম সু।
বর্মী নামের প্যাঁচে পড়ে মাথা ঘুরতে শুরু করেছে? তাহলে চলুন ঘুরে আসি কোরীয় উপদ্বীপ থেকে।
কোরিয়ার কারো সাথে যদি পরিচয় থাকে, তাহলে প্রায় অবধারিত ভাবে বলতে পারি,তার পদবীটি হবে কিম, লী, পার্ক, চো/কো, কিংবা চ্যান (বা চ্যাং, ঝ্যাং)। কোরীয়দের পদবীর ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য একেবারেই নেই। কোরিয়ার পদবীর পরিসংখ্যানটা দেখুন, ২২% লোকের পদবী কিম, ১৪% এর লী, ৮.৫% হলো পার্ক, আর ৪% করে কো/চো এবং চ্যাং/ঝ্যাং। কোরিয়ায় মোট পদবীর সংখ্যা ২৫০টি হলেও পার্ক/লী/কিম এরা মিলে দখল করে রেখেছে ৪৫% । তাই ঠাট্টা করে বলা হয়, কোরিয়ার কোনো রাস্তাতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে একটা ঢিল ছুড়লে সেটা মিস্টার পার্ক, মিস্টার কিম বা মিস্টার লী’র গায়ে গিয়ে লাগবেই।
গুজব চালু আছে, কোরীয়দের মধ্যে নাকি ছেলে মেয়ের পদবী এক হলে বিয়ে করা মানা।আসলে ব্যাপারটা ওরকম ভয়াবহ না, কোরিয়ার রীতি অনুযায়ী প্রতি পরিবারের পদবী ছাড়াও “বন” বলে গোত্রসূচক আরেকটা নাম আছে। বিয়ের নিয়ম হলো, বন আর পদবী এক হলে বিয়ে করা মানা। একই পরিবার বা গোত্রের মধ্যে বিয়ে এড়াতে এই রীতি চালু করা হয়েছে।
কোরীয়দের নামের আরেকটা ব্যাপার হলো প্রজন্ম নাম। মানে একই পরিবারের ভাই বোন বা চাচাতো ভাইবোনদের নামের মাঝের অংশটি এক হবে, আর সেটা হলো সেই প্রজন্মের নাম।
সব মিলে কোরীয়দের নামের ফরমুলা হলো : পদবী, প্রজন্মনাম, ব্যক্তিগত নাম
অবশ্য অনেক সময়ে ব্যক্তিগত নামটা মাঝেও বসতে পারে।
যেমন, কোরীয়ার বর্তমান নেতার নাম কিম জং ইল। এখানে কিম হলো পদবী, জং হলো তাঁর ব্যক্তিগত নাম, আর “ইল” হলো প্রজন্মের নাম। নেতার ভাইয়ের নাম কিম পিয়ং ইল। আর নেতার তিন সন্তানের নাম হলো কিম জং নাম, কিম জং চুল, আর কিম জং আন । মানে এই প্রজন্মের নাম হয়েছে জং।
(চলবে)
(বাংলাদেশীদের নামের ফরমুলার প্রজেক্টের কথা মাথায় আছে। পরে এক সময় দেয়া হবে, আপাতত চা খেতে গেলাম বলে লেখার সময় পেলাম না, আর ব্লগের মলাটে জায়গা এতো কম, ফরমুলাটা পুরো লিখতেও পারছি না, নইলে দেখিয়ে দিয়েই ছাড়তাম ... )
মন্তব্য
নিজের নাম আফ্রিকি করতে গিয়ে যে সমস্যা হয়ে গেলো রাগিব ভাই ! আমার তো জন্মবার মনে নেই ! এর কোন বিকল্প নেই ?
পোস্টে দারুণ মজা পেলাম!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কম্পুর তারিখ খানা উল্টায়া বার দেইখা নিলেই তো হয়
নিজের নাম পছন্দ হইলো না
কোয়াবেনা মানু
ভাই আপ্নেরটা বহুত ভাল। বিষ্যুদবার জন্মানোর পাপে আমার নাম হয়ে গেল 'ইয়াবা'
আমি একজন কোয়ামে মানু !!!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমার আফ্রিকীয় নামঃ আফিয়া বার্কো
বর্মী নামঃ দ বু
কোরীয় নামঃ লী বিং বুনো (বিংশ শতকে জন্মেছি, তাই প্রজন্ম নাম "বিং")
রাগিব ভাই, অনেক ধন্যবাদ মজার একটা পোস্ট আর নতুন তিনটা নামের জন্য।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুণ লাগলো!
- কোয়ামে পিয়েসি
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
হ আমিও তাই
হেহে আমিও!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তাহলে তো ঘানাতে একই নামের অনেক লোক থাকার কথা
ঘানার সিস্টেমটা কঠিন!
আমাকে একটা বাংলা নামের মাজেজা বের করে দিতে পারবেন? "সূফী সারওয়ার মোঃ গজনফর আলী নূর সিদ্দিকী" - একটা পত্রিকার আইন সম্পর্কিত অংশে দেখেছিলাম ইনি পরামর্শ চাচ্ছেন এত বড় নাম এস.এস.সি এর ও.এম.আর ফর্মে আটাবেন কিভাবে।
যেখানে পড়াশুনা করার নামে ল্যাবে বসে ব্লগ পড়ি, সেখানে আজকে একটা সেমিনার হল, একজন ফ্যাকাল্টি পদপ্রার্থী একটা প্রেজেন্টেশন দিলেন। নাম গং গউ (Gong Gu, গ টা গলার ভেতর থেকে উচ্চারণ হবে)।
একজন চীনা বন্ধুকে জিগেস করে জানলাম Gu অর্থ প্রাচীন। নাম হিসেবে হয়ত ভাল।
আমি কেবল চিন্তা করছি ইনি যদি এখানে চাকরি পান, তারপর আমার মত কোন বাংলাদেশী/বাংলাভাষী ছাত্র/ছাত্রী নেন, প্রতিদিন মিটিংয়ে গিয়ে "ডঃ গু" বলে সম্বোধন করতে গিয়ে তার কী অবস্থা হবে
---আশাহত
ব্লগের মলাটে জায়গা কম হলেও কমেন্টের ঘর আছে, যেটা ফার্মা সাহেবের ছিল না
কোবি মানু
বাহ অনেক মজার তথ্য জানলাম, আজ থেকে আমি আকুবা কান্দে।
তাও ভাল বেকুবে কান্দে হ্য় নাই আমারটা।
ধন্যবাদ রাগিব ভাই।
-----------------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আমার নাম আবিনা মানসা। ভাগ্য ভালো মনসা না!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আমি হচ্ছি কোয়েসি মানু
চমৎকার সিরিজ হচ্ছে রাগিব ভাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হাহাহা, আপনার এই সিরিজটা খুবই মজার। এই পর্বটা আরেকটু বড় করতেন! সবটুকু মজা নেওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল।
তবে একটা জিনিস দেখে বেশ হাসি লাগল......
এটা কিভাবে সম্ভব?
বাচ্চা জন্ম নেবার সাথে সাথে কি বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেবে যে এই সন্তানই হবে সবচেয়ে ছোট সন্তান?
===================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
সকাল বেলা নিজের একটা আফ্রিকান নাম পেয়ে ভালোই লাগল তার সাথে 'উলফ্রাম আলফা' লিংক....আমার নামটা হলো 'কফি কাকিয়ে'
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
আমি হলাম কোবি অর্কো। মন্দ নয়, একটু বাংলা করে নিলে ভালই শোনাবে - কবি অর্ক। বাহ, মুফতে কবি হয়ে গেলাম!
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আমারও তো তাই
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ডিলিটেড
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
দারুন লাগলো রাগিব ভাই
আমি কোয়ামে পিয়াসি।
♪ আমার পিয়াসি মন ♫
খুবই বৈচিত্রময় বিষয় এবং চমকপ্রদ। রাগিব ভাইও দেখি চা খাওয়া শুরু করলেন!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আফিয়া মানু
ইয়াবা (কিংবা বাবা) মানু
ছি ছি!!!
ইয়াউ মানু নিলাম! B-)
শেষের জোকস টা খুব ভালো লাগল ।
এই সিরিজ চলুক
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
আমি কোকু মেনসা
বার্মিজদের নামের আরেকটা ব্যাপার আছে, ওরা বিদেশী নাম রেজিস্ট্রেশন করেনা, বিশেষ করে আরবী নাম, সেখানকার মুসলমানদের প্রায় সবারই তাই দুটো নাম।
আমার বড়ভাই যখন মিয়ানমারে পোস্টিং সে সময় উনার এক ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে যেয়ে সমস্যা হয়েছিলো নাম নিয়ে। অন্যটার নাম ছিলো 'প্রাজ্ঞ', তাকে স্কুলের রেজিস্টারে নাম দিয়েছিলো prong gu.
...........................
Every Picture Tells a Story
প্রং গু?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার এক চৈনিক বন্ধুর নাম ফেং গু।
হা হা হা...দুনিয়া জোড়া নামের বাহার দেখে খুব মজা পেলাম।
সিরিজ খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
আমি বাবা মানসা
নামটা পছন্দ হইসে নিজের কাছেই...
রাগীব ভাই, কোকু বার্কুর তরফ থেকে নতুন নামের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
আসলেই, নামের আমি নামের তুমি, নাম দিয়ে যায় চেনা!!!
---- মনজুর এলাহী ----
আমি ইয়াবা পিয়েসি !!!
অনেক মজা...
-স্নিগ্ধা করবী
হায় আল্লাহ, আমি তো বাবা কান্দে! বাবাকে কাঁদাবো, না কান দিতে বলবো তাই ভাবছি!
আরো ফানি , আমার ভাই হলো আম্মা মানু। ভালোই বাপ মা ভক্ত আমরা দু'ডিভাইবোন :)।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেকক্ষণ ধরে হাসলাম।
আপনার নাম কিন্তু "বাবা দেদে"ও হতে পারে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আরে যাহ্ ! বাবা কান্দে কত খ্যুল আই মিন ক্যুল না:)? ইনফ্যাক্ট হয়তো সত্যাদর্শীও প্রাসঙ্গিকতা ধরলে
ভাইয়া, আমার নাম কোয়েসি বার্কো :)। দারুণ লাগলো লেখাটা। আগের পর্বটা পড়া হয় নি। ওটা এখন পড়তে যাচ্ছি।
টুইটার
আমি আমা বার্কো
নাম পছন্দ হয়েছে।কেমন যেন গাছের বাকল বাকল গন্ধ আছে
ঘুম পরী
বার্কো ছেলেদের নাম। মেয়েদের বেলায় হবে কান্দে অথবা দেদে।
আপনার নাম হতে পারে "আম্মা কান্দে"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লাগলো লেখাটা।
তারাতারি চা খেয়ে আসুন।
কফি ভাল পাই না। বার্কও করি না...
কফি বার্কো... তবে নামটা শুনতে খারাপ লাগছে না !
দারুণ লেখা।
ভাইজানের কাছে একটা প্রশ্ন, সন্তান যদি ১৩টার বেশি হয়, ধরেন ১৪টা, তাহলে ১৪ নম্বরটার লাস্ট নেম না হয় কাকিয়ে হলো, ১৩ নম্বরটার কি হবে? :Parranged
আমিতো বিপদে পড়ে গেলাম
আমার জন্মবার বিষুদবার
কিন্তু সিরিয়ালে তো গণ্ডগোল
মায়ের সন্তানদের মধ্যে আমি সিরিয়ালি ৩ আর একচুয়ালি ২
কারণ তার প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠই হয়েছে মৃত
এখন তাহলে কফি স্টাইলে নাম বসাতে গেলে আমার ভাগে কী পড়বে? ২ না ৩?
আমার মনে হয় আপনার নাম বাবা মানু
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
জোরে জোরে হাসছি!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি 'কোয়ামে মেনসা' বলছি
------------
রাসেল
নতুন মন্তব্য করুন