নামের বাহার, বাহারী নাম, ফরমুলাতে, ফেলেছি ঘাম! - ৩

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৩:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাহার () ()
সন্তানের নামের মধ্যে পিতার নাম জুড়ে দেয়াটার চল সারা বিশ্বের বহু জায়গাতেই আছে। যেমন, অমুক বিন তমুক, সমুক বিনতে জমুক, ইত্যাদি। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সাম্য দেখা যায় স্পেন এবং পর্তুগালের নাম পদ্ধতিতে।

স্পেনে প্রচলিত নামপদ্ধতিটি চমৎকার। নামের প্রথম অংশটি হবে ব্যক্তির নিজস্ব নাম। আর শেষের দিকে থাকবে পিতার বংশগত নাম এবং মাতার বংশগত নাম।

ধরা যাক, স্পেনের অধিবাসী এদুয়ার্দো ফার্নান্দেজ গারিদো এবং তার স্ত্রী মারিয়া ডলোরেজ মার্টিনেজ রুইজ এর সন্তান হলো, তার নাম রাখা হলো পাবলো। এই পাবলোর পুরা নাম কী হবে?

শুরুতেই থাকবে নিজস্ব নাম (পাবলো)। এর পরে জুড়ে দেয়া হবে পিতার বংশপদবী (ফার্নান্দেজ), আর তার পরে থাকবে মায়ের বংশপদবী (মার্টিনেজ)। কাজেই, সব মিলিয়ে পাবলোর পুরা নাম হবে পাবলো ফার্নান্দেজ মার্টিনেজ।

পিতার নাম থেকে কেনো গারিদো এলো না? কারণ দাদার তথা পিতার বংশের মূল পদবী ফার্নান্দেজ, সেটা থেকেই পাবলো পদবী পেয়েছে। বাপের নামের গারিদো অংশটি বাপের মা, অর্থাৎ পাবলোর দাদীর বংশের নাম।

এহেন নামের অবস্থা আসলে জটিলতর হতে পারে, কারণ নামের মধ্যে পাবলোর জন্মস্থান বা তার আদি নিবাসের নাম ধাম জুড়ে দেয়া হতে পারে। যেমন, পাবলোর বংশের আস্তানা যদি হয় কর্ডোবা এলাকায়, তাহলে তার বংশনামে জুড়ে দেয়া হতে পারে ডি কর্ডোবা, মানে পাবলো বেচারার নাম হয়ে যাবে পাবলো ফার্নান্দেজ ডি কর্ডোবা মার্টিনেজ।

তো, পাবলোকে কী বলে সম্বোধন করবেন? মানে, ধরুন পাবলোর (পাবলো ফার্নান্দেজ মার্টিনেজ) সাথে দেখা হয়ে গেলো আপনার, তো, পাবলোকে কী নামে ডাকবেন? যদি ইংরেজি বা মার্কিন নামের মতো করে মিস্টার মার্টিনেজ ডাকেন, সেটা কিন্তু ভুল হবে। কারণ পাবলোর বংশপরিচয়ে বাবার বংশের প্রাধান্যই বেশি। কাজেই ডাকতে হবে মিস্টার (বা সিনর) ফার্নান্দেজ।

তবে ঘটনা এখানেই শেষ না, পাবলোর নিজের নামটিতেও মামা চাচার নাম, কিংবা পীর ফকিরের নাম জুড়ে দিয়ে সেটাকে ওজনদার বানানো যেতে পারে। এভাবে নামের বোঝা জমতে জমতে কী ভয়ানক অবস্থা হতে পারে, তার উদাহরণ দেখা যাক -

Pablo Diego José Francisco de Paula Juan Nepomuceno María de los Remedios Cipriano de la Santísima Trinidad Ruiz y Picasso

নামটা কি চেনা চেনা লাগে? লাগবে তো বটেই। ইংরেজিভাষী বিশ্বে ইনি পাবলো পিকাসো নামেই পরিচিত। বেচারার বাবার নাম রুইজ, আর মায়ের নাম পিকাসো। কিন্তু তার আগে আত্মীয়স্বজন আর সন্তদের নাম জুড়ে দেয়াতে এহেন ভারিক্কি নাম নিয়ে ঘুরতে হয়েছে বেচারাকে সারা জীবন!

স্পেনীয় নামের নারী-পুরুষের সমানাধিকার অবশ্য নামের মধ্যে বাবা-মা দুজনের পদবী যোগ করাতেই সীমাবদ্ধ না। পাশ্চাত্যের এবং অধুনা বাংলাদেশেও চালু আছে বিয়ের পরে মেয়েদের পদবী বদল করার রীতি। স্পেনে কিন্তু এসবের ঝুট ঝামেলা নাই, বিয়ে হোক বা না হোক, নারী পুরুষ প্রত্যেকের পিতৃপ্রদত্ত নাম বজায় থাকে সব সময়েই।

---

মহা ভারিক্কি স্পেনীয় নামের বিশাল আকার দেখে ঘাবড়ে গেলে, চলুন দুনিয়ার অপর প্রান্তে, ইন্দোনেশিয়াতে।

ইন্দোনেশীয়দের নামের রীতি খুব সহজ। সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো এক নামের নাম পদ্ধতি, মানে নাম একটি শব্দেই। বাংলাদেশের চিত্রনায়ক-নায়িকারা যেমন লেজুড়বিহীন একটি নামেই পরিচিত, তেমনি ইন্দোনেশীয়দের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রীতি হলো এক জন এক নাম এই পদ্ধতি। ইন্দোনেশিয়ার আগেকার দুই নেতার নাম মনে আছে? সুকার্নো আর সুহার্তো? ওগুলো কিন্তু এদের পুরা নাম, এর আগে পরে কিছুই নাই।

পারিবারিক নামের তথা চৌধুরী সাহেব বা বালিয়াদী মার্কা বংশ ফলানোর চল ইন্দোনেশিয়াতে নাই, তাই নামের মধ্যেও সেটা জুড়ে দেয়া হয় না। নাম একশব্দের না হয়ে কয়েক শব্দেরও হতে পারে, যেমন সুসিল বাম্বাং যুধযান। (নামটা খেয়াল রাখুন, জোরে জোরে পড়ে দেখুন, কারণটা একটু পরেই বলছি)। খুব কম ক্ষেত্রে পারিবারিক নাম আসতে পারে, সেক্ষেত্রে অনেকটা মার্কিন বা ইংরেজি পদ্ধতিতে আগে ব্যক্তির নাম, আর শেষে পদবী, এহেন রীতি চলে, যেমন সেনাপতি আব্দুল হারিস নাসিতোন এর নামের শেষের নাসিতোন হলো তার বংশপদবী।

ইন্দোনেশীয়দের মধ্যে প্রচলিত অন্য রীতিটি হলো পিতার নামের অংশ নামের শেষে যোগ করা। যেমন, মেগাওয়াতি সুকার্নোপুত্রি। ইন্দোনেশিয়ার সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ছিলেন সুকার্নোর মেয়ে।

মেগাওয়াতির নামটা একটু আবার দেখুন। নামটাকে কায়দা করে পড়লে পরিচিত বাংলা কোনো শব্দের মতো লাগে? মনে হচ্ছে না, "মেঘবতী সুকার্নোপুত্রি"? তো, বাঙালি কবিদের অতি প্রিয় এই মেঘবতী কীভাবে গেলো ইন্দোনেশীয়দের নামে?

এর জবাব আসলে লুকিয়ে আছে ইন্দোনেশিয়ার অতীত ইতিহাসে। ইন্দোনেশিয়ার অনেকগুলো দ্বীপই এক সময়, সেই খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকের পর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ হতে যাওয়া হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজবংশের অধীনে ছিলো। কাজেই সুমাত্রা, জাভা এসব দ্বীপে সংস্কৃত ভাষা হতে আসা নামের প্রচলন আছে বেশ ভালোভাবেই। তাই ধর্মে মুসলিম হলেও অনেকের নামই স্থানীয় সংস্কৃতির অধীনে সংস্কৃত ভাষা হতে রাখা।

উপরে বলেছিলাম সুসিল বাম্বাং যুধযান এর কথা। নামটা এবার বুঝতে পারছেন তো? বাংলাকরণ করলে ইনার নাম দাঁড়ায় সুশীল বাম্বাং যুদ্ধযান। একইভাবে সু দিয়ে নামের বেশ ছড়াছড়ি, তাই সুশীল, সুহার্তো, সুকার্নো টাইপের আরো অনেক নাম চালু আছে সেদেশে। (এদের অনেকেই কিন্তু বাস্তবে নামকরণের সার্থকতার ধার ধারেননি, "সু" এর বদলে "কু" দিয়ে নাম রাখলেই এদের নামগুলো মোক্ষম হতো!)

মেগাওয়াতির তথা মেঘবতীর নামের উৎস বুঝতে পারছেন তাহলে? এবার শুনুন তাঁর মায়ের নাম, সেটা ছিলো ফাতমাওয়াতি। তা আসলে এসেছে কোথা থেকে? একটু ক্লু দেই, এই নামে আলাওলের একটা মহাকাব্য আছে ... ভাবতে থাকুন, সেই ফাঁকে পরের পর্বে ঘুরে আসবো পৃথিবীর আরেক প্রান্তের নামের বাহারে ...

(সিরিজখেলাপির অপবাদ ঘোঁচাতে এই সিরিজের ৩য় পর্ব লিখলাম। সময় ও সুযোগমত বাকি পর্ব আসলেও আসতে পারে ... )


মন্তব্য

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

নিজের নামটাই না ভুলে যাই ভাই। চিনে রাখার জন্য শুধু একটা নাম,তাতেও শান্তি নাই।
চিন্তিত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার আগের পর্বটা তো বখতিয়ার খিলজি বঙ্গদেশ আক্রমনেরও আগে। পরের পর্ব আসতে আমাদের আরো দুটো জেনারেশান পার হতে হলে তো মুশকিল। চোখ টিপি

তাই বলি, আমার ইন্দোনেশিয়ান কলিগদের নাম এরাম কেন। একটা মেয়ে আছে ইউলিয়ানা। ওরে জিগাইছিলাম নামের বাকী অংশ কই। সে কয় এইটাই। আমি ভাবছি লজ্জাবতী নারী পুরো নাম পরপুরুষের কাছে বলতে লজ্জা পাচ্ছে। দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আশফাক আহমেদ এর ছবি

লজ্জাবতী নারী পুরো নাম পরপুরুষের কাছে বলতে লজ্জা পাচ্ছে।
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

স্যাম এর ছবি

চলুক ইন্টারেস্টিং!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

যতদূর জানি মেঘবতীর নাম রেখেছিলেন সুকর্নের ভারতীয় বন্ধু বিজু পট্টনায়েক। মেঘবতীর মায়ের নামের সাথে তাঁর নামের মিল থাকলেও অর্থটা অন্য সূত্র থেকে এসেছে।

এমন ঘটনা আরো দেখতে পাবেন থাইদের নামে। মূল থাইদের (যারা চীনা অভিবাসী থাই নন্‌) নামে সংস্কৃত বা পালির প্রভাব ব্যাপক। থাইল্যান্ডের রাজার নাম ভূমিবল আদুলিয়াদেজ (অতুল্যতেজ ভূমিবল)। তাঁর আনুষ্ঠানিক নাম নবম রাম। ব্যাংককের এয়ারপোর্টের নাম সুবর্ণভূমি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঘ্যাচাং

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাগিব এর ছবি

ঠিক, থাই কেবল না, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিশাল অংশে আসলে এক সময় হিন্দু/বৌদ্ধ প্রভাব ছিলো। চীনারা বাদে বাকি সবাই এক সময় ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতির অধীনে ছিলো। এখনো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির কিন্তু কম্বোডিয়াতে অবস্থিত।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার ইটালিয়ার বংশোদ্ভূত থাই বান্ধবীর থাই স্বামীর নাম 'সোমনাথ' হামভেজ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অন্যকেউ এর ছবি

তিনটাই পড়ে নিলাম একটানে। চরমস্য চরম! হাততালি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

গৌতম এর ছবি

আমার ছেলের/মেয়ের নাম ঠিক করে রেখেছিলাম এক শব্দে। যে যখন আসবে টুপ করে নাম বসিয়ে দিব! কিন্তু নানা জায়গায় ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে দেখলাম,অনেক জায়গায় ফার্স্ট নেম আর লাস্ট নেম না থাকলে ফর্মই পূরণ করা যায় না। বাধ্য হয়ে এক শব্দের নামের সিদ্ধান্ত বদলাতে হলো।

ইন্দোনেশিয়ানরা এ সমস্যার সমাধান করে কীভাবে?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার একশব্দে নামধারী ইন্দোনেশিয়ান বন্ধুরা যেখানে দুটো নাম উল্লেখের প্রয়োজন থাক সেখানে একই নাম দুইবার লিখে দেয়। যেমন, আমার বন্ধু ওয়ারমান পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। ওখানে ইঞ্জিনিয়াররা নামের আগে আইআর উল্লেখ করে। তো ওয়ারমান কোথাও কোথাও Ir. Warman আবার কোথাওরা Warman Warman, এভাবেই লিখে থাকে। আমি অনেক জায়গাতেই দেখেছি সুকর্ণের নাম Ir. Sukarna লিখে থাকে।

আরেকটা মজার তথ্য দেই, ইন্দোনেশিয়ায় মেডিক্যাল ডক্টররা নামের আগে dr. লেখে আর পিএইচডি হোল্ডার ডক্টররা Dr. লেখে। ওখানে অনেক পিএইচডি হোল্ডার চিকিৎসক পাবেন যারা নামের আগে দুটোই লেখে, যেমন Dr. dr. Sutomo Kasiman.

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাগিব এর ছবি

এটার সমাধান করা হয় নানা জায়গায় নানা ভাবে। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে FNU = First Name Unknown লেখা হয় এরকম ক্ষেত্রে। আবার নেদারল্যান্ড্সে Onbekend মানে অজ্ঞাত দেয়া হয় এরকম ক্ষেত্রে। জার্মানিতে নাম ডুপ্লিকেট করে খালি জায়গা পূরণ করা হয়।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হয় এই ক্ষেত্রে ফ‌্যামিলি নেম এ নামটা লেখে, ফার্স্ট নেম খালি রাখে - অস্ট্রেলিয়া ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে এটাই বলা আছে, এবং আমার কাছে এটাকে বেশ লজিক্যাল মনে হচ্ছে - "Where there is only one name, enter that name into the Family Name field. " সূত্র: http://www.immi.gov.au/migration/helptext/0100.htm
-অয়ন

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

রাগিব ভাই
আমার কলিগের নাম রাফায়েল নুনু
সবাই ওরে নুনু নামে ডাকে! কিন্ত নুনু আমার এলাকায় ছুডু পোলাপানের ইয়েকে বলে। এখন কি করা যায় বলেন তো

সাই দ এর ছবি

@মাহমুদঃ আপনার কলিগটি কি পর্তুগীজ?? তাহলে উচ্চারণটি হবে নুনো। Nuno - নামটি বহুল প্রচলিত পর্তুগালে।

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রাগিব এর ছবি

সিলেটে কিন্তু মূল নাম হিসাবেই এই শব্দটির প্রচলন আছে ঃ)

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শেহাব এর ছবি

আমি ভেবেছিলাম সচলায়তন ভদ্রপাড়া তাই এ ব্যাপারে কোন কথা বলব না। কিন্তু গুরু নিজেই শুঁড়িবাড়ি চলে গেছে। সিলেটের একজন কমিশনারের নাম নুনু মিয়া। আরেক লোকের নাম জানি সুনু মিয়া।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

একজন কম্বোডিয়ানের নাম, 'আমনার পোং চাই' ডাক নাম পোং। আমি এর সাথে কথা বলার সময় মুখ টান রাখি। যদি বুঝে ফেলে বন্ধুত্ব নয়, তাকে দেখে আমার হাসি আসে তার নামের কারনে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

'আমনার পোং চাই' !!!

হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেলো।

দুর্দান্ত এর ছবি

"সুকার্নো আর সুহার্তো? ওগুলো কিন্তু এদের পুরা নাম, এর আগে পরে কিছুই নাই।"

সুকারনোর নামটা 'বংগবন্ধু' টাইপের উপাধি। সুকারনোর জন্ম হয় কুসনো সস্রোদিহারযো নাম নিয়ে। তার বাবা নাম রাদেন সুকেমি সস্রোদিহারযো।

সুহারতোর ব্য়াপারে সহমত।

রাগিব এর ছবি

উইকিপিডিয়াতে সুকার্নোর জীবনীতে কিন্তু লেখা আছে, জন্মের সময়ের নাম কুসনো সস্রদিহারযো হলেও শৈশবে অসুস্থতার পরে নাম পাল্টে দেয়া হয়। কাজেই ওটা উপাধি বলে মনে হয় না।

(আপডেট) আরেক জায়গায় পেলাম এই তথ্যগুলো -

When born, Sukarno given name Sosrodihardjo Kusno by parents. Because he was often sick and then when the five-year-old was renamed by her father Sukarno.The name was taken from a warlord in the story of Bharata Yudha namely Karna.The name “Karna” to “Karno” because in the Java language letter “a” changes to “o” while the prefix “su” means “good”.

Read more: http://newsflavor.com/world/asia/soekarno-biography-indonesian-president-first/#ixzz1nbScTQWk

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ভাইয়া, আপনার এই সিরিজটা পড়তে বেশ ভালো লাগে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

কালো কাক এর ছবি

আপনার নামের ফরমুলা ক'ন

উচ্ছলা এর ছবি
আশফাক আহমেদ এর ছবি

দারুণ পোস্ট

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

পদ্মজা এর ছবি

মেঘবতীর মা পদ্মাবতী।
দূর্দান্ত।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মেগাওয়াট, কিলোওয়াট শব্দগুলো তাইলে ইন্দোনেশিয়া থেকেই আসছে! চিন্তিত

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সুশীল বাম্বাং যুদ্ধযানের স্ত্রীর নামটা কিন্তু ভারী মিষ্টি, আনি হীরাবতী।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

শিশিরকণা এর ছবি

পদ্মাবতীর সঙ্গে ফাতমাওয়াতির মিল দেখে মজা পেলাম। কোনদিন ভাবিও নাই এইটা হইতে পারে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মামুন সৃজন এর ছবি

বহুকাল আগে আপনার ফরমুলাতে ঘাম ফেলানো নামের বাহারগুলো সামহোয়্যারইনব্লগে দেখেছিলাম উত্তম জাঝা!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

মজারু পোস্টের সাথে মজারু মন্তব্যগুলো উপরি পাওয়া।

কুমার. এর ছবি

একজন ইন্দোনেশিয়ান পেয়েছিলাম নাম মুজিবুরোরহমান (একসাথে)।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

সপ্তাহ দুই আগে এক প্রফেসর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'বাপু তোমার তো নাম দেখতেছি তিনখান, তা তুমি শেষের নামটা লিখ কেন মেইলের শেষে? এইটা তোমার বাপের নামের সাথে মিক্স হইয়া যায় না?' আমি তাকে অবশ্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে এটা আমার ডাক নাম হিসেবে চলে আর আমার নাম, বাবার নাম , দাদার নাম কারো নামের মাঝে কোন 'কমন' অংশ নেই। সবাই স্বাধীন হাসি

রাগিব এর ছবি

আমার প্রায় ৭ পুরুষ অবধি পিতা, প্রপিতা, প্রপ্রপ্রপিতা ইত্যাদিদের নাম যা জানি, তার মধ্যে কারোরই পদবী নাই। একজন মন্ডল, আরেকজন সরকার, আরেকজন আহমেদ, ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবল আমার ছেলের নাম আমার নামের শেষাংশে মিলিয়ে রাখতে হয়েছে, তাও প্রবাসে থাকার কারণেই।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শাব্দিক এর ছবি

সবাই স্বাধীন

দেঁতো হাসি

আলভী মাহমুদ এর ছবি

হে হে,পাবলো পিকাসোর নামটা এককালে ক্লাসে কুইজ খেলার সময় ম্যালা কাজে দিসে।অন্য গ্রুপরে আটকাইতে হইলেই 'পাবলো পিকাসোর পুরা নাম ক" জিজ্ঞেস করতাম (গালিও খাইসি এর জন্যে কমবেশি),স্প্যানিশদের কাহিনী তাহলে এই,তথ্যটার জন্য ধন্যবাদ হাসি

পোস্টে চলুক

আয়নামতি এর ছবি

নামের নাড়িনক্ষেত্র পড়তে মজা লাগলো দেঁতো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

আবার কি প্রায় এক আলোকবর্ষ পর এই সিরিজের পরের পোস্টটা আসবে? খাইছে

রাগিব এর ছবি

কে জানে, সবই নির্ভর করছে যায়ান রাগিবপুত্রের অনুমতি পাওয়ার উপরে হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

বনমালী ক্ষীরসাগরবাসী এর ছবি

ইয়ে.. (হালকা কাশির ইমো) অতি বিনয়ের সাথে মনে করায়ে দিতে চাই আলোকবর্ষ তো দৈর্ঘ্যের একক, সময়ের একক না হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

জানি গো দাদা। ওইটা মজা করেই বলা হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!
বেশ মজা পেলাম। হাসি

আশালতা এর ছবি

আগের পর্বগুলো পড়ার পরে তারিখ দেখে সত্যিই ভাবিনি এর পরটা পড়ার সুযোগ হবে। লিখলেন বলে ধন্যবাদ। চমৎকার লেগেছে বলাই বাহুল্য। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বাউলিয়ানা এর ছবি

চলুক
এই সিরিজের লেখাগুলো আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।