শেখ সাহেবের গপ্পো

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: শনি, ২৫/১২/২০১০ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাহ, ইনি শেখ মুজিব নন, কিংবা তেলের সাগরে ভাসা আরব শেখও নন -- ইনি হলেন শেখ দীন মুহাম্মদ। আর এই গল্পের সূচনা আজ থেকে প্রায় আড়াইশ বছর আগে।

auto
‌‌
শ্যাম্পু শব্দটি আজ ইংরেজি ভাষার একেবারে নিজের শব্দের মতো বনে গেছে। সানসিল্ক কিংবা আরো দামি নানা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপণে ভর্তি থাকা টিভি/পত্রিকা দেখে কিন্তু বোঝার অবকাশ নাই, এই শ্যাম্পুর সাথে শেখ সাহেব আর বাংলার সম্পর্কটা কী। চলুন ফেরা যাক আজ থেকে আড়াইশ বছর আগের ভারতবর্ষে, যেখানে শেখ সাহেবের মাত্র জন্ম হয়েছে।

শেখ দীন মুহাম্মদের জন্ম ১৭৫৯ সালে, "বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা"র নবাবী আমল তখন মাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আর লর্ড ক্লাইভের হাতে ধরাশায়ী। এক বাঙালি মুসলিম পরিবারে দীন মুহাম্মদের জন্ম, নিবাস ছিলো পাটনায়, যা এখন বিহারে পড়েছে। দীন মুহাম্মদের আত্মজীবনী অনুসারে তার পূর্বপুরুষেরা মুগল সম্রাটদের প্রশাসনে কাজ করতেন, আর বাংলার নবাব পরিবারের সাথেও তাদের ছিলো লতায় পাতায় আত্মীয়তা।

দীন মুহাম্মদের যখন জন্ম, নবাবী আমল প্রায় শেষ, মীর জাফর, মীর কাসিম এরা নামে মাত্র নবাব বনে আছেন। মুগল সম্রাটও প্রায় ক্ষমতাহীন। বড় হতে হতে দীন মুহাম্মদ শিখে ফেললেন মুগল আমলের সব রসায়ন বিদ্যা, সাবান, সুগন্ধি, তেল সবকিছু বানাবার কৌশল। সাথে উপরি হিসাবে কিছু চিকিৎসাবিদ্যাও। নবাবী আমলও নেই, দরবারও নেই, তাই দীন মুহাম্মদ যোগ দিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফৌজে, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসাবে। খুব অল্প বয়সেই যোগ দিয়েছিলেন, আর ইঙ্গ-আইরিশ অফিসার ক্যাপ্টেন গডফ্রি ইভান বেকারের সাথে কাজ করতেন। ১৭৮২ সালে ক্যাপ্টেন বেকার সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন, কেউ কেউ বলে করতে বাধ্য হন, আর ফিরে যান ব্রিটেনে। দীন মুহাম্মদ তার এই ক্যাপ্টেন সাহেবের সাথে সাথে চলে আসেন বিলেতে। বেকার পরিবারের সাথেই তিনি ১৭৮৪ সালে চলে যান আয়ারল্যান্ডের কর্কে। ইংরেজি শেখার জন্য ভর্তি হন স্কুলে, সেখানে পরিচয় আইরিশ কিশোরী জেইন ডেলির সাথে। সুন্দরী জেইনের প্রেমে পড়ে যান দীন মুহাম্মদ, কিন্তু জেইনের পরিবার অমত করায় পালিয়ে যান দুজনে পাশের শহরে ১৭৮৬ সালে, বিয়ে করেন। ততোদিনে দীন মুহাম্মদ খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন।

নানাদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে নিয়ে দীন মুহাম্মদ ১৭৯৪ সালে The Travels of Dean Mahomet বা দীন মুহাম্মদের সফর নামা নামের বই লিখেন। ভারতবর্ষ নিয়ে ইউরোপে তখন কৌতুহলের কমতি নেই, তাই বইটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

দীন মুহাম্মদের গল্পের পরের অধ্যায় লন্ডনে। ১৮১০ সালে সেখানে মুহাম্মদের পরিবার চলে আসার পরে একটা রেস্তোরা খুলেন দীন মুহাম্মদ। এটাই ছিলো ইংল্যান্ডের প্রথম ভারতীয় খাবার দাবারের রেস্তোরা। লন্ডনের জর্জ স্ট্রিটে খোলা হিন্দুস্তান কফি হাউজ নামের এই দোকানটি অবশ্য খুব ভালো চলেনি, অল্পদিন পরেই লোকসানের চোটে বন্ধ হয়ে যায়। দুশো বছর পরে ভারতীয় তথা বাঙালি খাবারের কী জয়জয়কার হবে ইংল্যান্ডে, শেখ দীন মুহাম্মদ জানতে পারেননি, লালবাতি জ্বেলে রেস্তোরার ব্যবসা বাদ দিয়ে লন্ডন ছেড়ে চলে যান।

auto(জর্জ স্ট্রিটে সম্প্রতি স্থাপিত স্মারক ফলক)

লন্ডনে রেস্তোরার ব্যবসাতে সাফল্য না পেলেও দীন মুহাম্মদের ভাগ্য ফিরে যায় ব্রাইটনে। ১৮১৪ সালে সপরিবারে এই শহরে বসতি স্থাপনের পর দীন মুহাম্মদ খুলে বসেন তার স্নানাগার। সেসময়কার একটি স্থানীয় পত্রিকায় তার দোকানের বিজ্ঞাপন দেয়া হয় এভাবে -

The Indian Medicated Vapour Bath (type of Turkish bath), a cure to many diseases and giving full relief when every thing fails; particularly Rheumatic and paralytic, gout, stiff joints, old sprains, lame less, aches and pains in the joints

এই সুগন্ধি স্নানাগারে খদ্দেররা পেতেন দীন মুহাম্মদের তৈরী করা মাথার চুলে মাখাবার তেল -- সেই তেল দিয়ে খদ্দেরদের চুলে মাথায় মালিশ করে দেয়া হতো। তেল মালিশের এই কাজটাকে হিন্দুস্তানী ভাষায় বলায় হতো চ্যাম্পু করা, আর সেই শব্দটিই সাগর পেরিয়ে মুহাম্মদের স্নানাগারে গিয়ে হয়ে যায় শ্যাম্পু।

auto

(দীন মুহাম্মদের শ্যাম্পু স্নানাগার)

ইংরেজদের কাছে এই শ্যাম্পুর দোকান অভিনব ঠেকেছিলো, তাই দীন মুহাম্মদের দোকান Mahomed's Steam and Vapour Sea Water Medicated Baths ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় উনবিংশ শতকের ইংল্যান্ডে। দূর দূরান্ত থেকে লোকজন কেবল দীন মুহাম্মদের দোকানে শ্যাম্পু করাতে ছুটে আসতো। শ্যাম্পু করে রোগবালাই দূর হয়, এই বিশ্বাসে হাসপাতাল থেকে রোগীদের পাঠানো হতো ব্রাইটনে। আর তেল মালিশ করে করেই দীন মুহাম্মদ পেয়ে যান ড: ব্রাইটন খেতাব। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যাওয়া এই মালিশ-চিকিৎসার সুবাদে খোদ ইংল্যান্ডের রাজা ৪র্থ জর্জ ও ৪র্থ উইলিয়ামের "শ্যাম্পু সার্জন" হিসাবে মুহাম্মদ নিয়োগ পান। ১৮৫০ এর পরে তেলের বদলে সুগন্ধি সাবান দিয়ে চুল ধোয়ার রীতি চালু হয়, কিন্তু রয়ে যায় শ্যাম্পু নামটি।

auto

(১৮১৮ সালে "শ্যাম্পু সার্জন শেখ দীন মুহাম্মদ")

দীন মুহাম্মদ মারা যান ১৮৫১ সালে, নব্বইয়ের কোঠায় পৌছে। জেইনের সাথে দীন মুহাম্মদের সংসারে এসেছিলো ছয়টি সন্তান - রোসানা, হেনরি, হোরেশিও, ফ্রেডেরিক, অ্যামেলিয়া, ও আর্থার। এর মাঝে ফ্রেডেরিক বাপের পেশায় যোগ দেন। ফ্রেডেরিকের ছেলে ফ্রেডেরিক হেনরি হোরেশিও আকবর মুহাম্মদ (বাপরে, বাপ দাদা সবার নামের সমাস!!) চিকিৎসক হিসাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। লন্ডনের গাইস হাসপাতালে কাজ করার সময়ে উচ্চ রক্তচাপের উপরে গবেষণা করে আবিষ্কার করেন অনেক নতুন তথ্য।

auto (দীন মুহাম্মদের স্ত্রী জেইন)

দীন মুহাম্মদের কথা ইতিহাস ভুলে যায় ধীরে ধীরে। বিস্মৃতির আড়ালে একশো বছর কাটাবার পরে সত্তর ও আশির দশকে আস্তে আস্তে ঐতিহাসিকরা আবার খুজে পান শেখ দীন মুহাম্মদের সেই কাহিনী, বাংলা থেকে ব্রাইটন অবধি এই বঙ্গসন্তানের অভিনব জীবনগাঁথা। ইংরেজদের ভারতীয় খাবার ধরাতে দীন মুহাম্মদ পারেননি, দেউলিয়া হয়ে গেছিলেন, কিন্তু আজ দুশো বছর পরে সেই খাবার ছড়িয়ে গেছে সেখানে। আর শ্যাম্পু? শেখ সাহেবের সেই শ্যাম্পুর দোকান থেকে শুরু হওয়া শ্যাম্পু করার ধারা ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়েই।

আর এভাবেই শেষ কিংবা শুরু সেই শেখ সাহেবের গপ্পো ...

সূত্র

[*] উইকিপিডিয়া

[*] Mahomet, Dean. The Travels of Dean Mahomet: An Eighteenth-Century Journey through India. Berkeley: University of California Press, c1997 1997. http://ark.cdlib.org/ark:/13030/ft4h4nb20n/

ছবিগুলো শেখ দীন মুহাম্মদের রচনা এবং উপরোক্ত বই থেকে নেয়া।


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লেখায় চলুক

মন্তব্যে গড়াগড়ি দিয়া হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শামীম এর ছবি

চমৎকার কাহিনী জানা হল। এটা প্রাইমারীর বিজ্ঞান বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার মত একটা কাহিনী যা এদেশের বাচ্চাদেরকে রসায়নে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল্লাগলো ভাইয়া।
ফেসবুক শেয়ার করা যাবে নিশ্চয়ই?

---আশফাক আহমেদ

তাসনীম এর ছবি

এই বিষয়টা ভাসাভাস জানতাম। দারুণ এই লেখার জন্য ধন্যবাদ রাগিব।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রাগিব ভাই। বিষ্মিত হলাম যে বাংলার মানুষের এতবড়ো আবিষ্কার আর আমরা তা জানিনা। শামীম ভাইয়ের সাথে একমত।

একজন মানুষের কথা পড়েছিলাম অনেকদিন আগে কিন্তু আর খুঁজে পাচ্ছিনা। খুলনার পায়গ্রাম কসবা গ্রামের আজিজুল হক বৃটিশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন এবং ফিংগারপ্রিন্টের মাধ্যমে অপরাধী সনাক্ত করার কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে তার বিলেতি বস স্যার এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি এই আবিষ্কার "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম" নামে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং লন্ডন মেট্রোপলিটান পুশিল হেডকোয়ার্টার্সে অনুমোদন করিয়ে নেন যদিও তিনি সহআবিষ্কারক হিসেবে আজিজুল হক এবং হেমচন্দ্র বোস, এই দুজনের জন্যে বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে পদকের ব্যবস্থাও করে দেন। তবে স্যার এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি তার ডেথ বেড কনফেশনে হকের আবিষ্কার মেরে দেওয়ার ব্যাপারটা স্বীকার করে যান। উইকি বলছে-

A Fingerprint Bureau was established in Calcutta (Kolkata), India, in 1897, after the Council of the Governor General approved a committee report that fingerprints should be used for the classification of criminal records. Working in the Calcutta Anthropometric Bureau, before it became the Fingerprint Bureau, were Azizul Haque and Hem Chandra Bose. Haque and Bose were Indian fingerprint experts who have been credited with the primary development of a fingerprint classification system eventually named after their supervisor, Sir Edward Richard Henry. The Henry Classification System, co-devised by Haque and Bose, was accepted in England and Wales when the first United Kingdom Fingerprint Bureau was founded in Scotland Yard, the Metropolitan Police headquarters, London, in 1901. Sir Edward Richard Henry subsequently achieved improvements in dactyloscopy.

আমি স্যার হেনরির ডেথ বেড কনফেশনেটার রেফারেন্স খুঁজছি। পেলে একটা লেখা দেবো। কেউ সহায়তা করতে পারলে ধন্য হবো। মেধা এবং কৃতিত্ত্বচুরির কাহিনীগুলো জনসমক্ষে আসা প্রয়োজন এবং প্রকৃত কৃতি মানুষদেরকে মানুষের সামনে তুলে আনা প্রয়োজন।

======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

হুম! ব্যোমকেশ, কিরীটি, ফেলুদা, কুয়াশা - সবগুলা সিরিজ এখন সংশোধন করা লাগবে। হোমসের কথা বাদই দিলাম, ওদের কথা ওরাই বুঝুক। কিন্তু আমাদের এদিকে শরদিন্দু, নীহার, সত্যজিত, কাজীদা এরা সবাই এতদিন এইসব ব্যাপারে বিলিতিদেরই গুরু মেনে গেছেন। ডয়েল আর হোমসের দিকেই গদগদভাবে তাকিয়ে থাকতেন সবসময় গুরুভক্তিবিনতচিত্তে। অথচ টেরই পাননি গুরুরও গুরু আছে - আর সেই গুরু তাদেরই বাড়ির পাশে ওপাড়ার ধুতিলুঙ্গিরহিমকরিমযদুমধু -- হক এ্যান্ড বোস কোম্পানি ! যাদেরকে ওনারা হয়তো বাজারের থলে হাতে রোজই দেখতেন, কিন্তু চিনে উঠতে পারেননি। ভাবুন তো একবার, ম্যাগনিফায়িং গ্লাস হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্টের বিশ্লেষন করতে করতে শার্লক হোম্‌স নয় - আততায়ী কে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে হক এ্যান্ড বোস ! এবং এই করনকৌশলের আসল জনক তারাই- এই চিত্রের বাস্তব ভিত্তি তাঁদের মাথায় ঢুকলে ঐ লেখকদের ছিনা কতটা ফুলে উঠতো?! তখন কি আর কিরীটি রায়, প্রদোষ মিত্তির, ডিটেক্টিভ শহীদ খানেরা হ্যাট, ওভারকোট পরে ঘুরতো, নাকি লুঙ্গি-ধুতিই হতো তাদের জন্য স্মার্টনেসের পরাকাষ্ঠা ? পাইপ বা সিগার খেত, নাকি পান চিবুতে চিবুতে হুক্কা টানতো অবসর সময়ে? এবং সেটাই হতো স্মার্টনেসের চুড়ান্ত ! আমি তো ভাবছি একটা ডিটেক্টিভ সিরিয়াল বানাবো যেখানে গামছা গলায় লুঙ্গি-ফতুয়া পরা নায়ক ম্যাগনিফায়িং গ্লাস হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্টের গবেষণা করতে করতে দুর্ধর্ষ ভঙ্গিতে অপরাধীকে খুঁজে বেড়াবে (ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক থাকবে হয়তো - 'বাড়ির পাশে আরশিনগর, সেথায় এক...' অথবা 'আমি কোথায় পাব তারে...') ।
............................

ঠাট্টা করছি না। আমার কল্পনাটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হলেও, আমার বিশ্বাস কৃতি আর সংস্কৃতির মধ্যে কোথায় যেন একটা নাড়ির সম্পর্ক আছে। কৃতি ছাড়া সংস্কৃতি এতিম হয়ে যায়। নিজের কৃতির ব্যাপারে সচেতন থাকলে তখন আর সাংস্কৃতিক লেনদেনে কোন সমস্যা থাকে না। নয়তো সব লেনদেনকেই তখন একতরফা হাতপাতা, মেকি বা নকলিবাজি মনে হয় এবং হীনমন্যতা গ্রাস করে। এই পোস্টের লেখক এবং রাতঃস্মরণীয় ভাই - উভয়কেই ধন্যবাদ দারুন এবং ইন্সপায়ারিং পোস্ট ও মন্তব্যের জন্য !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কিছুই জানতাম না!
অনেক ধন্যবাদ
এই সিরিজে এরকম আরো লেখার আশায় থাকলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পড়াচোর [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব ভাই শেয়ার করার জন্য, খুব ভাল লাগলো পড়ে ।

ওসিরিস এর ছবি

কদিন আগে কালেরকন্ঠের একটা ফিচারে জনাব দীন মুহাম্মদের কাহিনী কিছু পড়েছিলাম। সদ্য পড়তে শুরু করা ড্যালরিম্পেলের 'হোয়াইট মোগলস'-এও এনার নাম আছে। ভদ্রলোককে নিয়ে আরো কিছু গুগলানোর ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু পরীক্ষার ঠ্যালায় কুলিয়ে উঠতে পারি নাই। তিনি রেস্তোরার ব্যবসা করতেন তা জানতাম কিন্তু শ্যাম্পুর তথ্যটা জানতাম না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ। সুন্দর পোস্ট।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

নাশতারান এর ছবি

জানা ছিলো না এসব। পড়ে মজা পেলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

রাগিব ভাই,
কীর্তিমান বাঙ্গালি দের নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। আপনি কাইন্ডলি লিঙ্ক গুল আমার মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠাতে পারবেন? দিলে বাধিত হব।
manikchandradas10[@]gmail.com এখানে পাঠাবেন প্লীজ।
মানিক

তানভীর এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

খাইসে!!!!!!! শ্যাম্পুর পেছনের শানেনুযূল যে ব্রিটিশ আমল থেকে তা তো কখনো মাথায়ই আসেনি; উপরন্তু এটা এই বঙ্গেরই একজনের সৃষ্টি তাও তো জানতাম না।

অনেক কিছু জানলাম, চমৎকার তথ্যবহুল একটি রচনা; রাগিব ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ; এরকম পোস্ট আরও চাই

-অতীত

নৈষাদ এর ছবি

একেবারেই জানা ছিল না। চমৎকার।

দ্রোহী এর ছবি

কত অজানারে...

চলুক


কাকস্য পরিবেদনা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই সিরিজটি খুব সিরিয়াসলি করলে ভালো হবে। আমাদের মাটির প্রতিভাগুলোকে যতবেশি করে জানানো যাবে, ততোই শিশু কিশোররা অনুপ্রানিত হবে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নতুন কিছু জানা গেল। একদমই কিছু জানতাম না! সিরিজ সিরিয়াসলি লিখতে থাকেন।

ওডিন এর ছবি

দুর্দান্ত! আর পয়লা মন্তব্য ততোধিক দুর্দান্ত! দেঁতো হাসি

কর্নেল সুরেশ বিশ্বাসের সম্বন্ধে ভাসাভাসা জেনেছি সত্যজিতের 'ছিন্নমস্তার অভিশাপ' থেকে। ভদ্রলোক সার্কাসের অ্যানিমেল ট্রেনারও ছিলেন। হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

রাগিব ভাই,
গর্ব করার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।

সিরিজ চলুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দারুণ! এই সিরিজে আরো লেখা পড়তে চাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন পোষ্ট রাগিব ভাই।

সিরিজ হিসেবে চাই।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চমৎকার লাগলো রাগিব ভাই! হাসি
(আর ১ নং মন্তব্যও জটিল দেঁতো হাসি )

আরো এমন লেখা চাই, নিয়মিতভাবে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

ফাটাফাটি লেখা। আর অফটপিক - 'সাধনে জবাকুসুম, প্রসাধনে জবাকুসুম' শুনেছেন?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চমৎকার সুস্বাদু লেখা। চলুক

রাশেদুল ইসলাম রনি এর ছবি

দারুন লিখা । আসলে এইটা প্রাইমারীর বিজ্ঞান বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।বাংগালিরা অনেক কিছুই করতে পারে, এই বিশশাসটার জাইগা ছোটদের মনে দিতে হবে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, রাগিব ভাই। ভালো লাগল পড়ে।

কুটুমবাড়ি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বিশাল অজানা কাহিনি জানলাম। চলুক

আর প্রথম মন্তব্যে উত্তম জাঝা! । 'ফাইভ মিনারস অফ নিউইয়র্ক'-এর চুরির ভয়ে সব লেখাতেই এখন এমন সাইনবোর্ড টাঙ্গায়ে দিতে হবে! মন খারাপ



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

নূর এর ছবি

ভাইয়া
এই সিরিজের পরের লেখাগুলো কি আর আসবে না?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।