| ওই ছেমড়ি তোর পাছায় কাপড় কই !

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৭/২০০৯ - ১:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমস্যা হলো পেটে দানা না থাকলেও পাছা বা লজ্জা আমাদের ঢেকে রাখতেই হয়। আমাদের মান সম্মান ইজ্জত ওই পাছার মধ্যেই থাকে কিনা ! তাই ভেতরে সদরঘাট হলেও বাইরে ফিটফাট থাকতে পারতপক্ষে কসুর করি না আমরা। কিন্তু চাইলেই কি ফিটফাট থাকা যায় ? প্রয়োজনীয় খাবার না পেলে আধপেটা কিংবা উপোস চালিয়ে দেয়া গেলেও পাছা অর্ধেকটা কিংবা পুরোটা উন্মুক্ত রাখার কায়দা কি আছে ? প্রকৃতির নিয়ম যে বড়ো উল্টো ! পাছা খোলা রাখো কিবা ঢেকে রাখো, প্রকৃতির কিচ্ছু যায় আসে না। কিন্তু পেটে দানা না দিয়ে সইবে কতো ? প্রকৃতি সয় না তা। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির বশ না হয়ে উপায়ও থাকে না আমাদের। পাছা ঢাকো কি না ঢাকো, পেটের জোগাড় আগেভাগেই করে রাখতে হয়। পেট আর পাছার এই যে সমন্বয়, কারো কারো কাছে তা কোনো বিষয়ই নয়, যাদের আয় উপার্জনে লক্ষ্মীর বর রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীছাড়া যাদের অনিবার্য ব্যয়ের সাথে আয়ের সংগতি পরিহাসের পর্যায়ে চলে যায়, তাদের পাছায় যে সত্যি সত্যি কাপড় থাকবে সে গ্যারান্টি কে দেবে ?

তবে আশ্বস্তের কথা হলো, এই লক্ষ্মীছাড়ারা কখনো ভদ্রলোক হয় না। তাই তাদের আবার লজ্জা-শরম একটু কমই থাকে। যেভাবে ভদ্রলোকদের লজ্জা থাকে বেশি। আর লজ্জা বেশি বলেই লক্ষ্মীছাড়া মেয়েদের দেখে আমরা ভদ্রলোকেরা সাংঘাতিক লজ্জা পেয়ে বলে ওঠি- ওই ছেমড়ি তোর পাছায় কাপড় কই ! একথা বলি বটে, কিন্তু আমরা যে নিজের পাছা ঢেকে রেখে অন্যের উদোম পাছা দেখে মনে মনে বড়োই আমোদ পাই, এর প্রমাণ আমাদের মাননীয় সচিব কমিটির সুপারিশকৃত এবারের অদ্ভুত পে-স্কেল।

সপ্তম জাতীয় বেতন কমিশনের রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য গঠিত সচিব কমিটির রিপোর্ট ২৭-০৭-২০০৯ তারিখ সোমবার নাকি মন্ত্রীসভায় পেশ করার কথা। মন্ত্রীসভার বৈঠকে সচিব কমিটির সুপারিশ অনুমোদন পেলে পয়লা জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হবে। কথা থাকলেও তা পেশ করা হয়েছে কিনা এখন পর্যন্ত তা জানা যাচ্ছে না। লেখাটা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত সরকারি কোন ঘোষণাও আমরা পাইনি। তবে পত্র-পত্রিকা থেকে জানতে পারি এবারের পে-স্কেলে সচিব কমিটির সুপারিশে গ্রেড ভিত্তিক বেতন বৃদ্ধির শতকরা হার নাকি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে এবার বেতন বাড়বে সবচেয়ে বেশি। ছা-পোষা চাকুরে হিসেবে আমাদের কাছে বড়ই প্রীত হবার মতো খবর বৈ কি। কিন্তু যে রাষ্ট্র দুর্নীতিতে পাঁচ পাঁচবার চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়, সেখানে রেকর্ডের কথা শুনলে পিলেটা তো চমকে ওঠেই, কৌতুহলও বেড়ে যায়। অথচ এমন রেকর্ড সৃষ্টিকারী হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও যথাসময়ে যথাস্থানে তা উপস্থাপন হলো না ! কেন ?

কী আছে এই বেতন স্কেলে ?

এই বেতন স্কেলে কী আছে না বলে বোধয় বলা উচিত ছিলো কী নেই এখানে ? তা জানতে হলে নিচের সচিব কমিটির সুপারিশকৃত বেতন-চার্টটা একটু দেখে নেয়া প্রয়োজন।

গ্রেড নং- বর্তমান মূল বেতন- প্রস্তাবিত মূল বেতন- বৃদ্ধির পরিমাণ- বৃদ্ধির হার

১------ ২৩,০০০/- ----- ৪০,০০০/- ------- ১৭,০০০/- -- ৭৪%
২------ ১৯,০০০/- ----- ৩৩,৫০০/- ------- ১৪,২০০/- -- ৭৪%
৩------ ১৬,৮০০/- ----- ২৯,০০০/- ------- ১২,২০০/- -- ৭৩%
৪------ ১৫,০০০/- ----- ২৫,৭৫০/- -------- ১০,৭৫০/- -- ৭২%
৫------ ১৩,৭৫০/- ----- ২২,২৫০/- ------- ৮,৫০০/- --- ৬২%
৬------ ১১,০০০/- ----- ১৮,৫০০/- ------- ৭,৫০০/- --- ৬৮%
৭------ ৯,০০০/- ------ ১৫,০০০/- ------- ৬,০০০/- --- ৬৭%
৮------ ৭,৪০০/- ------ ১২,০০০/- ------- ৪,৬০০/- --- ৬২%
৯------ ৬,৮০০/- ------ ১১,০০০/- ------- ৪,২০০/- --- ৬২%
১০----- ৫,১০০/- ------ ৮,০০০/- -------- ২,৯০০/- --- ৫৬%
১১----- ৪,১০০/- ------ ৬,৪০০/- --------- ২,৩০০/- --- ৫৬%
১২----- ৩,৭০০/- ------ ৫,৯০০/- --------- ২,২০০/- --- ৫৯%
১৩----- ৩,৫০০/- ------ ৫,৫০০/- --------- ২,০০০/- --- ৫৭%
১৪----- ৩,৩০০/- ------ ৫,২০০/- --------- ১,৯০০/- --- ৫৭%
১৫----- ৩,১০০/- ------ ৪,৯০০/- --------- ১,৮০০/- --- ৫৮%
১৬----- ৩,০০০/- ------ ৪,৭০০/- --------- ১,৭০০/- --- ৫৭%
১৭----- ২,৮৫০/- ------ ৪,৫০০/- --------- ১,৬৫০/- --- ৫৮%
১৮----- ২,৬০০/- ------ ৪,৪০০/- --------- ১,৮০০/- --- ৬৯%
১৯----- ২,৫০০/- ------ ৪,২৫০/- --------- ১,৭৫০/- ---- ৭০%
২০----- ২,৪০০/- ------ ৪,১০০/- --------- ১,৭০০/- ---- ৭০%

এখানে যে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে, বর্তমান বেতন স্কেলের সাথে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষিত অতিরিক্ত ২০% মহার্ঘ ভাতাটি কিন্তু প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো কার্য়করের সাথে সাথে বাতিল হয়ে যাবে। রেকর্ড ভঙ্গকারী এই বেতন তালিকার সাপেক্ষে বর্তমানে ৫০% থেকে ৭০% জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হারের কথা নাই আনলাম। তা বিশ্লেষণ করার জন্য দেশে বহু অর্থনীতিবিদ ও সমাজ-বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। সেক্ষেত্রে ৪ সদস্যের একটা পরিবারের ব্যয় বিবেচনা করে প্রস্তাবিত এই বেতন কাঠামো দিয়ে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কী করে একটা পরিবার চালাতে পারেন তা পাঠকরাই বিশ্লেষণ করুন। আমার বক্তব্য ভিন্ন, এই সুপারিশের নৈতিকতা নিয়ে।

পাঠক হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, প্রথম চারটি গ্রেডের কর্মকর্তারা বাড়ি গাড়ি টেলিফোন ইত্যাদি ইত্যাদি সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করে থাকেন। অথচ তাঁদের জন্যই বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৪%। যাঁরা এই বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন সেই মহামান্য সচিবরা নিজেদের জন্য বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ও হার সর্বোচ্চ রেখে গাছের আগা ও মাঝখানটা নিজেদের ভাগে নিতে কার্পণ্য করেননি একটুও। কেননা তাঁরা যে অতি উচ্চ দরের ভদ্রলোক। ভদ্রলোকদের লজ্জা-শরম তো একটু বেশিই থাকে। আর এই বেশি পরিমাণের লাজলজ্জা ঢাকতে সবকিছুই তো বেশি বেশি লাগার কথা ! অন্যদিকে সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে গাছের গোঁড়াটুকু থাকবে নিচের স্তরের সেইসব কর্মচারীদের ভাগে, যাদের লাজ লজ্জা আবার এমনিতেই কম। অতএব তাদের পাছা উদোম থাকলেও সমস্যার তো কিছু নেই !

নৈতিকতা শব্দটি মনে হয় একটা বিমূর্ত ধারণা মাত্র। নইলে নৈতিকতাবোধের কতোটা অবনমন ঘটলে এরকম একটা বেতন-স্কেলের সুপারিশ করেন আমাদের মহামান্য সচিবরা, ভাবলেই অবাক হতে হয় ! তাঁদেরকে কি এই তালিকার ডান পাশের বেতন বৃদ্ধির হারের কলামটা কোন সংবেদনাই জাগাতে পারে নি ! পেটের কথা ভাবতে গেলে যাদের পাছা ঢাকার কাপড় থাকে না, সেই সব কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির হার ৫৬-৫৭% নির্ধারণ করতে একটুও লজ্জা হয় নি কর্ম ও সেবার মাহাত্ম্য বর্ণনাকারী এই সচিব মহোদয়দের ! নিজেরা এতো সুবিধা পাওয়ার পরও নিজেদের বেতন বৃদ্ধির হার কিছুটা কম রেখে নিচের দিকে পর্যাক্রমে একটু একটু হার বাড়িয়ে দেবার মুরব্বি-সুলভ উদারতা দেখাতে নাইবা পারলেন তাঁরা। অন্তত বৃদ্ধির হার সবার জন্য ৭৪% এক ও অভিন্ন রাখলেও কি তাঁদের ভাগে প্রাপ্তির পরিমাণ কোন অংশে কম পড়তো ? অন্তত চক্ষুলজ্জা বলেও তো একটা কথা থাকে ! রাষ্ট্র কতো হাজার হাজার কোটি টাকা কতো খাতে খরচ করে। কিন্তু বিশাল কর্মী বাহিনী যারা সরকারের সব কর্মসূচি-কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের দেহ যৌবন খরচ করে ফেলে, তাদের জন্য রাষ্ট্র কি এতোটাই অনুদার ! রবীন্দ্রনাথ হয়তো এজন্যেই আক্ষেপ করেছিলেন- রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি !

অভিজ্ঞ বিশ্লেষকরা হয়তো বলতে পারবেন নতুন এই বেতন কাঠামো কার্যকর হলে সেই সব পাছা-খোলা কর্মচারীদের প্রকৃত বেতন বৃদ্ধি কতো হবে, কিংবা ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার বেশি হবে কিনা। অথবা ১০ম গ্রেডের নমুনা উদাহরণ টেনে হিসেব কষে বের করবেন, নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বৃদ্ধির বদলে বেতন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কাটা সত্যিই অমূলক কিনা। অথচ নতুন স্কেলে লক্ষ্মীর আশির্বাদপ্রাপ্ত সেইসব কর্মকর্তাদের গাড়ি ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সাথে মেইনটেন্যান্স খরচ তো রাষ্ট্রই দেবে। এবং তার পরিমাণও সম্ভবত মাসে ৩৫,০০০ টাকা। দয়ার শরীর তাঁদের। তাই হয়তো কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত দয়াপরবশ হয়ে তাঁরা যাতায়াত ভাতার প্রস্তাব করে ফেলেছেন মাসিক ১৫০ টাকা।

রাষ্ট্রের বর্তমান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন কে জানে। ভিশন ২০২১ কে প্রকৃতই সফল ও কার্যকর করে তুলতে এর প্রস্তুতি দৌঁড়ে জাতীয় বেতন স্কেলের কোন গুরুত্ব তাঁরা আদৌ অনুধাবন করেন কিনা সে প্রশ্নটা উহ্যই থাক। সরকারের দায়িত্ববান মন্ত্রী-এমপিদের কথাও কী আর বলবো ! দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁরা যদি এই বিশেষ জ্ঞানটুকু রপ্ত করে ফেলেন যে, কেবল শীর্ষলেভেলে যত্ন-আত্তি করে কয়েকজন স্বাস্থ্যবান হাতি পুষলেই সরকার ব্যবস্থা চেলচেলাইয়া চলতে থাকে, তাঁদের সেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাঁদেরই থাকুক। মূর্খ আমরা অনভিজ্ঞ বিবেচনা দিয়ে ভাবি, সচিব কমিটির প্রস্তাবিত সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত যখন ১ ঃ ১০ হয়ে যায়, নিশ্চয়ই তাঁদের খাওয়া পরা চলা সবই দশগুণ বেশিই হবে। এমনকি তাঁদের লজ্জাটাও নিশ্চয়ই দশগুণ বড়ই। এবং তা ঢাকার আয়োজনও দশগুণ বেশিই হতে হবে।

কিন্তু দুর্মুখেরাও যে তা দশগুণ ভিন্ন চোখেই দেখবে ! যে লজ্জা ঢাকতে দশগুণ বেশি আয়োজন করতে হয়, সে লজ্জা কি আদৌ ঢাকা পড়ে ? না কি লজ্জাটা অত্যন্ত লজ্জাকরভাবেই দশগুণ বেগে চিহ্ণিত হয়ে যায়, এর জবাব কে দেবে ? কাউকে কি দোষ দেয়া যাবে, সচিব মহোদয়দের এমন নির্লজ্জ আয়োজন দেখে যদি সত্যি সত্যি জানতে চায় কেউ- ওই ছেমড়ি তোর পাছায় কাপড় কই ?


মন্তব্য

গৌরীশ রায় [অতিথি] এর ছবি

এক কথায় অসাধারণ ।।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জীবন যাত্রায় ব্যয় ৮০০টাকার নাশতা আর ১২০০টাকার পিজা খেলে তো বাড়বেই রে ভাই। ইদানিং আশংকা হয়, পড়াশুনা শেষ করে যদি দেশে ফিরি তখন ৬৬০০টাকার বেতন দিয়ে আমি কি করবো (চিন্তিত)।

হিমু এর ছবি

সরকারী কর্মকর্তাদের সবরকম সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাবে আমি সহমত, কিন্তু তার আগে তাঁদের নিজেদের সম্পত্তির হিসাব ও ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা উচিত। আমার পরিচিত অনেক সরকারী কর্তাই ঢাকায় নিজের ছয়তলা বাড়িতে বসবাস করেন। তাঁদের কারো বাপই সেরকম নবাব ছিলেন না, বাড়ি তাঁরা ঘুষ ও চুরিচামারির পয়সায় তৈরি করেছেন। সরকারের এইসব সুবিধা সৎ কর্মকর্তাদের জন্যে নির্দিষ্ট করে দেয়া উচিত। চোরচোট্টা বদমায়েশদের জন্যে নতুন সুবিধা তৈরি করার কোন মানে হয় না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমারও এটাই মত। আমিও সরকারী কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পক্ষপাতী। যে-বেতন বর্তমানে দেওয়া হয়, তা দিয়ে জীবন চালানো খুব কঠিন।

উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের বেতন বাড়ার ব্যাপারটি খারাপ লাগার কারণ তাঁদের চুরি-দুর্নীতির মাত্রা, শতকরা হার। যদি সচিব-ব্যবস্থাপকেরা সৎ, আদর্শবান মানুষ হতেন তবে তাঁরা এই আক্রোশের শিকার হতেন না।

সুবিধা বাড়ুক, তবে পাশাপাশি সততা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা হোক। অসততার শাস্তি হোক খুব কঠোর।

উচ্চতর অবস্থানে যাঁরা আছেন, তাঁরা নীতিনির্ধারণের মধ্য দিয়ে দেশের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখানে সবচেয়ে মেধাবী মানুষগুলোকে নেওয়ার জন্য একটু বেশি বেতন রাখতেই হবে। নয়তো আমাদের মেধা বাইরের দেশে চলে যাবে (যাচ্ছে), অথবা কোনো বিদেশী কোম্পানির কামলা খেটে মরবে (মরছে)। এই ক্ষতির পরিমাণ কিন্তু অর্থ দিয়ে পরিমেয় না।

আমি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের শতকরা অনুপাত নিয়েও অতটা আপত্তি করবো না। এটা জগতেরই নিয়ম যে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেতন বহুগুণ বেড়ে যায়। অন্যান্য দেশে এই 'বৈষম্য' আরও প্রকট। কিছু বাড়তি টাকার বিনিময়েও যদি দেশকে ঠিক পথে চালানো যায়, তবে তা-ই সই।

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

একমত

মূলত পাঠক এর ছবি

ট্যাগ তালিকা দেখে মজা পেলাম। হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রণদা, প্রথমে ভাবলাম রম্যরচনা হবে, শিরোনাম দেখে দাঁত বের হয়ে গেল, কিন্তু সস্তা রসিকতা নিয়ে আপনে লেখেন না, পড়া শুরু করে বুঝলাম, ঘটনা সিরিয়াস, শেষে এসে আমারও আপানর সাথে একমত হলাম, গলা মিলিয়ে তাই বলি, ওই ছেমড়ি তোর পাছায় কাপড় কই ?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানবীরা এর ছবি

রনদা, আপনি দুঃখ থেকে লিখেছেন জানি, কিন্তু তারপরও বলবো, পর জনমে বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তা নিজে হতে চাই, বাবাকে হওয়াতে চাই এবং সন্তানকেও হওয়াতে চাই।

পোড়ার হল্যান্ডে খামাখাই জীবনটা কালি করলাম। সর্বোচ্চ বেতন বাড়ে বছরে ৩.৫%।

সবকিছুই রাজনীতিকরন করা হচ্ছে। সরকারী কর্মচারীদের মুখ বন্ধ করে পয়সা দিয়ে তাদেরকে হাতে নেয়ার চেষ্টা।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপু, হল্যান্ডের বেতনে তো মাস চলে, ঢাকার বেতনে কি তা চলবে?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রণদীপম বসু এর ছবি

@ তানবীরা
একান্ত ব্যক্তিগত হলেও প্রসঙ্গ এসেছে বলেই বলছি, ১৯৯০ সালে জাতীয় বেতন কাঠামোর অধীন একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে একটা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি এবং এখনো কর্মরত। বর্তমানে গ্রেডিং তালিকায় আমার অবস্থান যেখানে, খুব খারাপ বলা যাবে না। তাতে কষ্ট হলেও কোনভাবে হয়তো পরিবার নিয়ে আমার দিনগুলো কেটে যাবে। তাই ব্যক্তিগত কষ্ট নিয়ে নয়, বরং নৈতিকতার মানদণ্ডেই এ বিষয়টা উপস্থাপন করেছি।


আমার অবস্থান থেকে আমি যেটুকু বুঝি, গত বিশ বছরে কেবল নির্দিষ্ট বেতন-নির্ভর আমার দিন চলে যাচ্ছে ঠিকই, তবে কাল যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি চিকিৎসা করার মতো কোন সঞ্চয় থাকা দূরের কথা, বেতন না পেলে পেটের দানাপানির ব্যবস্থাও হবে না। আর বাড়িঅলা তো পরের মাসেই আমার যৎকিঞ্চিৎ আসবাব সোজা বাইরে ফেলে দেবে। উল্লেখ্য, আমার সন্তান এখনো প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডিই পেরোয় নি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় বেতন কাঠামোটাই বাজার পরিস্থিতির সংশ্রবহীন একটা প্রহসন মাত্র। অথচ আমার অবস্থানের কোন সরকারি কর্মকর্তা হয়তো এই ঢাকা শহরেই ছয় তলা বাড়ি বানিয়ে বসে দিব্যি রাজসুখে আছেন। কীভাবে সম্ভব তা ! কেবল বেতন নির্ভরতায় তা অসম্ভব বললেও কম বলা হবে। তাহলে আমার নিচে আরো চৌদ্দটা গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবস্থা বিশ্লেষণ করলে কী দাঁড়ায় ?
আমাদের রাষ্ট্র যেখানে পেটে খেলে পিঠে সয় তত্ত্বের বদলে ভাত দেবার মুরোদ নাই কিল মারার গোসাই তত্ত্বেই বেশি অভ্যস্ত বা আগ্রহী বলেই মনে হয়, সেখানে আমি আমার অধঃস্তনদের কোন্ মুখে সৎ থাকার বুলি আওড়াবো ! অতএব সরকারি অফিসগুলো যে চোর-ছ্যাচ্চোরের গোয়ালঘর হবে, তাতে আর আশ্চর্যের কী !

তাই আপনি সরকারি চাকুরে হবার যে স্বপ্নবচন শুনালেন, তা আমার কাছে কল্প-বিলাসই মনে হলো বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দুর্দান্ত এর ছবি

আপানাদের ৩.৫% বাড়িয়েছে। আমাদের তো মেরিট ইন্ক্রিমেন্টের বাইরে মাত্র ২.৫%। হালার ডি এইচ এল এই যামুগা।

অম্লান অভি এর ছবি

@ স্বাতীদি-এই তবে কেনা বেচার খেলা, তাই না? আপনার আশা পূর্ণ হোক পরজন্মে....তখন সরকারী কর্মচারী ঘুষ মুক্ত হোক। ৩.৫% নিয়ে আপনাকে ঘুষের কথা চিন্তা করতে হয় না আর ৭৪% নিয়ে এরা ঘুষকে সাথি করে। আর তাদের মধ্যে যারা ঘুষহীন জীবন যাপন করেন তারা ধিক্কৃত কর্মে-পরিবারে-সমাজে- আমার যাপিত জীবনে তাই উপলব্ধি মাত্র। তবু নিরন্তন চেষ্টা........
@ রণদা, জীবনকে সত্যি অন্য রকম ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন জানি কিন্তু বেতন কাঠামোর এই বিশদ বিশ্লেষণ সত্যি 'লেজ সরকারী কর্মকর্তা' হিসেবে আমাকে ভাবিয়ে তুলল। ...............কিন্তু দুঃখ সেই ৭৪% ভোগিরা এই সব লেখা পড়েন না। পড়বেনও না কখন। তারা কিছু লেখিয়ে পোষেন তাদের মনের মত করে লেখা ছাপানো জন্য। তারা কিছু পড়িয়ে পোষেন তাদের মনের মত করে লেখা পড়ে শোনানোর জন্য।
স্ব আয়ের বাজেট ভোগীর চেয়ে পর সম্পদের বাজেট অনুরাগী মানুষ গুলোই উপরে বসে দেখায় পথ আর আমার পিয়ন হাত পাতে গ্রাহক সেবা নিতে আসা গ্রাহকের কাছে- হায় 'লেজ সরকারী কর্মকর্তা' আমি অবাক তাকিয়ে দেখি স্ববাক দৃষ্টিতে।
নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হবে জিনিস পত্রের দাম বাড়বে......তারা তাদের সাধের বাজার করবে 'সপার্স ওয়াল্ড' থেকে আর আমার পিয়ন আমার চোখের সামনে প্রকাশে টুপাইস ইনকাম করবে অবলীলায়। কোন ঘুষ খাইয়ে আমার উদ্ধস্তনে আশীর্বাদে আর ইউনিয়নের দাপটে তার এসিআরও লেখা হবে ভালো ভাবেই।
দাদা, বেতন বৈষম্য না থাকলে তো সেই পিয়ন গুলোকে ঘুষের উৎস খোজার চাকর বানানো যাবে না। ইউনিয়নের নামে নিজে লালসা পূরন হবে না- ঘুষ খোর এমডি-জিএম-ডিজিএম মহোদয়দের। ধিক্ শত ধিক্ সেই সব পথ ভ্রষ্ট পথপ্রদর্শকদের। হায় পেটের দায়ে ঘুষ খোর আর ঘুষ বানিয়েদের নিয়ে চাকরগিরি করছি। হায় বেতন কাঠামো.......হায় আমার আহাম্মকি জীবন যাপন।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

ফকির লালন এর ছবি

পড়ে ভালো লাগলো। তবে কিছু প্রশ্ন মনে হলোঃ

১। বেতন কি নিয়মিত বাড়া উচিত না একটা মান সম্পন্ন বেতন ঠিক করে প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির পরিমানটা বেতনের সাথে যোগ করা উচিত?

২। প্রথম ও শেষ গ্রেডের চাকুরেদের মধ্যে বেতনের তুলনা কি হওয়া উচিত? তাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দায়িত্ব কি একই রকম ? যদি তা না হয় তবে জীবন যাত্রার মানের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রথম ও শেষ গ্রেডের মধ্যে কিভাবে সমন্ব্য করা যেতে পারে?

৩। প্রতি গ্রেডের চাকুরেদের সাথে বেসরকারী খাতে একই মানের চাকুরেদের বেতনের পার্থক্য কেমন?

৪। বেতন পর্যাপ্ত বাড়লে কি দূর্নীতি কমার সম্ভাবনা আছে - তা কতটা অভাবপ্রসুত আর কতটা অভ্যাস/লালসা প্রসুত?

তানভীর এর ছবি

যে প্রশ্নটা মাথায় প্রায়ই ঘুরে কিন্তু শত্রু হয়ে যাওয়ার ভয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারি না (এমনিতেই আমাকে শত্রু ভাবে এমন লোকের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে হাসি ) তা হল- বিদেশের ইউনিভার্সিটিগুলোতে অনেক অমুক সচিব, তমুক সচিব, উর্ধতন কর্মকর্তাদের পুত্র-কন্যাদের বাপের পয়সায় পড়তে দেখি। এই গ্রেডের বেতন দিয়ে তারা বিদেশে পুত্র-কন্যাদের কীভাবে পোষেন- তা আমার কাছে আজীবন রহস্য রয়ে গেলো!

সরকারের এসিট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে একসময় সাত হাজার টাকার মতো বেতন পেতাম। ঢাকা-বগুড়া যাতায়াত ভাড়া আর খাওয়ার খরচেই সব টাকা শেষ হয়ে যেত। তখন যদি সংসার চালানো লাগত তাহলে কী অবস্থা হতো এখন মাঝে মাঝে চিন্তা করি। চিন্তিত

নৈষাদ এর ছবি

মনে হচ্ছে ডুবে গেছে পুরো ঢাকা শহর। এক ঘন্টার বেশী সময় ধরে বসে আছি গাড়িতে ৩০০ গজের মত এগিয়েছি মাত্র।

বিশ্লেষনটা ভালো লাগলো। কিছু মন্ত্যব্যঃ

১। আপনার লেখার মুল পয়েন্টটা, অর্থাৎ প্রথম ও শেষ গ্রেডের বেতনের পার্থক্যের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে। এধরনের একটা ব্যাপক-ভিত্তিক রিভিউর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র % উপর ভিত্তি করাটা দুঃখজনক। (যদি না ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়ে থাকে)। সহমত আপনার আবেগের সাথে।

২। কর্পোরেট ক্ষেত্রে এ ব্যাবধান কিন্তু দুঃখজনক ভাবে অনেক বেশী। যেখানে আমি মুল সমস্যাটা দেখি তা হচ্ছে ফিলসফির ক্ষেত্রটা। ‘প্রাগৈতিহাসিক’ কোন এক সময়ে যখন এই পুরো ব্যাপারটা ডিজাইন করা হয় তখন কিন্তু এতে একটা সুন্দর ‘ফিলসফি’ ছিল। (যেটা অবশ্যই ছিল কল্যান রাষ্ট্রের ভিত্তিতে এবং এখানে সমতার ক্ষেত্রটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।) পরে ‘বিটস এন্ড পিসেস’ নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে কর্পোরেট সেক্টার থেকে বা ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী।

৩। দেখুন উপরের গ্রেডে বেতন তুলনামুলক ভাবে অনেক বাড়ানো হয়েছে কিন্তু এর সাথে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য জিনিসের খবর নাই। (পারফরম্যন্স, জবাবদিহিতা, চাকরীর স্থায়িত্ব)। এ,সি,আর নামক যে মুল্যায়ন পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয় তাতে নাকি পারফরম্যন্সের ব্যাপারটা শুধু ৫% ওজন বহন করে। কর্পোরেট সেক্টার থেকে নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ‘সিলেক্টেড’ অংশ।

৪। ছাত্র থাকার সময় একটা ‘ইনফরমাল’ বিশ্লেষন করেছিলাম – নন-বুয়েট আইবিএ এবং বুয়েটের (+আইবিএ) কিছু ছাত্রের উপর। খুব কম % সরকারী সংস্থায় যেতে চায়। অথচ একটা সময় ছিল যখন মেধাবীদের প্রথম প্রত্যাশা ছিল সরকারী সংস্থায় যোগদান করা। ট্রেন্ডটা দেশের জন্য খারাপ।

৫। আমি আরও বেতন বাড়াকে সাপোর্ট করি – কিন্তু ‘ফিলসফিটাকে’ ঠিক করতে হবে – আমরা কী চাচ্ছি? করাপ্শানের কথাটাতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এর কোন সমাধান দেখছি না।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

রনদা আপনার লেখাটির তাৎপর্য হয়ত কিছুটা বুঝতে পারছি। তবে নৈতিকতার মাপকাঠি খুবই কঠিন। সে বিচারে এটাও বলা কঠিন আসলে শতকরা বৃদ্ধির কি রকমের বিন্যাস সঠিক হত? আরো স্পষ্ট ভাষায় বলতে গেলে কারা কোন স্কেলের বেতন পাচ্ছেন সেটা জানা ছাড়া বলা কঠিন যে সকল স্কেলের বেতন একই হারে বাড়া যৌক্তিক হচ্চে কিনা। যেমন যেসব স্কেলে দীর্ঘদিন থাকতে হয় তাতে বেশি হারে বৃদ্ধি যৌক্তিক বোধ হয়।

এরপর ধরুন ইন্সেন্টিভ যদি বিবেচনা করেন - তাহলে দুর্নীতি ছাড়ার জন্য যথেষ্ট ইন্সেটিভ আছে কিনা এই বেতন কাঠামোতে সেটা দেখার বিষয়। যে সব স্কেলের ক্ষেত্রে দুর্নিতিতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রে ইন্সেটিভ বাড়ান হয়ত যৌক্তিক। দুর্নিতি বিষয়টিকে কেবল মোরালিটির বিষয় বলে ভাবার পক্ষপাতি নই। এরকম ভাবলে আমরা দুর্নিতির গ্রাস থেকে বেড় হতে পারব না। সেক্ষেত্রে সরকারি চাকুরেদের বেতন ভাতা বাড়ানো দুর্নিতি কমানোর একটা বড় উপায়। বিষয়টির ব্যক্তি আচরনগত (behavioral) দিক বিবেচনা করার উপর জোর দিতে চাই। একই রকম যোগ্যতা নিয়ে সরকারি চাকরি আর বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে চাকরিতে বেতন অনেক বেশি। এখন পিয়ার প্রেসারের কথা ভাবুন। এছারা অর্থনীতির তত্ত্ব অনুসারে সমাজের কোন একটি অংশ যদি হঠাৎ অন্য অংশের চেয়ে বেশি আয় করে তবে কম আয়ের লোকেদের ক্রয় ক্ষমতা আরো কমে যায়। সেই বিচারে এই স্কেল কার্যকর না হলে দুর্নিতি দিনকে দিন বাড়তেই থাকবে।

তবে বলে রাখি বেতন স্কেল কার্যকর হলে মূল্যস্ফিতির আরেকটা ঝড় কিন্তু আসন্ন। সেটা সবাই কে আঘাত করবে তবে সমান ভাবে নয়। সাময়িক ভাবে এরফল অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। তবে কয়েক মাস গেলে হয়ত স্থিতাবস্থা আসার সম্ভাবনা।

আর একটি দেখার বিষয় হচ্ছে আয় ব্যায়ের সাথে করের কাঠামোর সম্পর্ক। যদি বাজেটে সৌখিন ভোগ্যপন্যের উপর বেশি আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয় সেটা বিভিন্ন আয়ের পরিবারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাজেট পরিকল্পনার প্রয়োজন তৈরি করবে। আর বাংলাদেশের আয়করের কাঠামো কি সেটাও দেখার বিষয়।

আরো অনেক কিছু বলার ছিল। আরেকদিন সুযোগ হলে বলব।

নৈষাদ এর ছবি

সুন্দর বিশ্লেষন। সরি, দুর্নীতির ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যাটা আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি।

এরপর ধরুন ইন্সেন্টিভ যদি বিবেচনা করেন - তাহলে দুর্নীতি ছাড়ার জন্য যথেষ্ট ইন্সেটিভ আছে কিনা এই বেতন কাঠামোতে সেটা দেখার বিষয়। যে সব স্কেলের ক্ষেত্রে দুর্নিতিতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রে ইন্সেটিভ বাড়ান হয়ত যৌক্তিক। - ভাই আপনি তো ১০% কর দিয়ে কালো টাকা শাদা করার মত একটা আসার এবং ভয়াভহ প্রস্তাব দিলেন - যা কখনোই জাস্টিফাই করা যাবে না। আমি কম বেতনের যুক্তি দিয়ে দুর্নীতিকে জাস্টিফাই করার ঘোর বিপক্ষে। আমরা দেখেছি এমন অনেক লোক দুর্নীতির সাথে জড়িত যাদের কত টাকা আছে নিজেই জানে না।

আচরনগত দিকটা কন্ট্রোল করার কথা মানি। মাল্টিনেশান্যালরা কী করছে - আপনি কোড অভ বিজনেস ইথিক্সে স্বাক্ষর করে কাজে যোগ দিয়েছেন - আপনার আচরনগত দিকটা কন্ট্রোলড হচ্ছে (কত টাকার গিফট পেলে সংস্থাকে জানাতে হবে, আপনার কাছের কেউ যদি সংস্থার কাজের সাথে জড়িত থাকে -রিপোর্ট করতে হবে, ইত্যাদি, ইত্যাদি) । ব্যতয় হলে - সর্বোচ্চ ডিসসিপ্লিনারী একশন। এবং এটা সারা বিশ্বে অনুসরন করা হয়।

ধন্যবান। ভাল থাকুন।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

আমি বুঝতে পারছি অপ্রুচলিত যৌক্তিক কাঠামো উপস্থাপন করায় সেটার গ্রহনযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ধরুন আপনার দুইটি সম্পদের জন্য দুই জন পাহারাদার নিয়োগ দিতে চান। ধরা যাক একখানে সম্পদের পরিমান ১০ কোটি টাকা আরেক খানে সম্পদের পরিমান ৫ কোটি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি যৌক্তিক ভাবে বিবেচনা করেন দুই ক্ষেত্রেই কি আপনি একই পরিমান বেতন দিতে চান। মনে হয় না। যদি দেখেন বেতন কাঠামো এক তাহলে হয়ত দুইজন প্রহরী নেবেন অথবা বেতন কাঠামো যদি ফ্লেক্সিবল হয় সেক্ষেত্রে আপনি খুজবেন সেই প্রহরিকে যে বেশি অভিজ্ঞ, অস্ত্রে সজ্জিত ইত্যাদি। কিন্তু বেতন কাঠামো ব্যপারটিতে সরকারি কাঠামো বদ্ধতা এই আচরন গত এডজাস্টম্যন্টের রাস্তা কে বন্ধ করে দিচ্ছে।

আমি কম বেতনের যুক্তি দিয়ে দুর্নীতিকে জাস্টিফাই করার ঘোর বিপক্ষে

বেশিরভাগ ব্যক্তিই হয়ত এর বিপক্ষেই যাবে। আর কম বেতন সবক্ষেত্রে দুর্নিতিকে জাস্টিফাই করেওনা। তবে কার্যকারন যদি মানেন তাহলে ব্যপারটি অন্যরকম। দুর্নিতি করার পেছনে দারিদ্র নেসেসারি কন্ডিসন নয় তবে সাফিসিয়েন্ট কন্ডিশন অবশ্যই। বিডিয়ার বিদ্রোহের কথাই ধরুন। বিদ্রোহের পেছনে তাদের ক্ষোভের একটা বড় উৎস ছিল বঞ্চনা। কিন্তু আমরা একপর্যায়ে তাদেরকে নিষ্ঠুর অমানবিক রায় দিয়ে আমাদের চিন্তার খাতা বন্ধ করে ফেলেছি। আমার প্রশ্ন স্বল্প আয়ের লোকেদেরকে নৈতিকতার কঠিন পরীক্ষায় না ফেলে তাদের কাজের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিলে কি সমস্যা? যারা পতিতাবৃত্তি বা এরকম সামাজিক ভাবে ঘৃনিত পেশায় নামতে হয় তারা কি জন্মগতভাবে স্বভাব দুষ্ট? আমি তা মনে করি না। কিছু অর্থগৃধু ধনি আরো বেশি টাকার লোভে দুর্নীতি করছে বলে যারা দারিদ্রের কারনে এরকম করে তাদেরকেও একই কাতারে ফেলবেন? আরেকবার ভেবে দেখুন।

ব্যতয় হলে - সর্বোচ্চ ডিসসিপ্লিনারী একশন। এবং এটা সারা বিশ্বে অনুসরন করা হয়।

সহমত। তবে এক্ষেত্রে তাদের ইন্সেন্টিভ পেকেজটিও মিলিয়ে দেখবেন। বাংলাদেশে একজন ট্রাফিক পুলিশ কিংবা পুলিশের কনস্টেবলের বেতন কত? এদেরকে সততা আর আদর্শের বুলি শুনাতে এদের চেয়ে স্বচ্ছল হওয়া জরুরী। তবে একথা ঠিক ডিসিপ্লিনারি মেকানিজম থাকা দরকার আছে বত্যয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু এর ঊপর যখন বেশি চাপ পড়ে তখন বুঝতে হবে প্রচলিত ব্যবস্থার ইন্সেন্টিভ মেকানিজমে সমস্যা রয়েছে। জানিনা আমার পয়েন্টগুলো স্পষ্ট হলো না। দুই ধরনের ইন্সেন্টিভ মেজানিজম আছে। নেগেটিভ আর পজিটিভ। নেগেটিভ হচ্ছে না মেনে চললে মাইর। আর পজিটিভ হচ্ছে মেনে চললে বোনাস। আমি দ্বিতীয়টি বেশি দেখার পক্ষপাতি। বাংলাদেশে সৎ ভাবে জীবন যাপনের সুযোগ মূল্য কতটা সেটা ভেবে দেখুন। ৮ হাজার টাকা বেতনে সৎ অফিসার হয়ে সংসার চালানোর ভয়ে দক্ষ ব্যক্তিরা সরকারি চাকরির রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে। পারফর্মেন্সের মূল্যায়নের সুযোগ সরকারি চাকরি তে কেমন? ছেলে পুলেকে ভাল স্কুলে পড়ান, কম্পিঊটার সহ প্রয়োজনীয় উপকরন কিনে দেয়া, বাজার খরচ নির্বাহ ইত্যাদি কি করে সম্ভব এই বেতনে। তারপরও অনেকে দাঁতে দাঁত কামড়ে সততা বজায় রাখে এদেরকে শতকোটি সালাম। পৃথিবীর সবচেয়ে কম দুর্নিতি গ্রস্ত দেশের সবচেয়ে সৎ ব্যক্তিটিকে এরকম স্থানে রাখলে সে সৎ থাকতে পারত কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। শাসনের ছড়ি দিয়ে সব হয় না। এটাই মুখ্য বিষয়। ইন্সেটিভ পেকেজ ঠিক হোক দুর্নীতির হার অনেক কমে যাবে। অভ্যাস গত কারনে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে হবে বলে আমি আশাবাদি।

নৈষাদ এর ছবি

রিয়াজ উদ্দীন ভাই,

ধন্যবাদ আপনার বক্তব্য সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।

সরকারী বেতন কাঠামোর অপর্যাপ্ততা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমি স্বীকার করি নীচের দিকের গ্রেডের বেতনে চলা খুবই কঠিন, এবং এটাও বিশ্বাস করি দুর্নীতিতে যে পরিমান অপচয় হয় তার একটা অংশ দিয়ে বেতন বাড়ার জন্য যে ঘাটতি হবে তা মেটানো সম্ভব। দারিদ্র দুর্নীতির একটা প্রি-কন্ডিশন - স্বীকার করি হয়ত বর্তমান পেক্ষাপটে। আপনার পয়েন্টগুলি আমি দেখতে পারছি। অর্থগৃধু ধনি আরো বেশি টাকার লোভে দুর্নীতি করছে বলে যারা দারিদ্রের কারনে এরকম করে তাদেরকেও একই কাতারে ফেলবেন? না ফেলতে চাই না। কিন্তু দারিদ্র প্রি-কন্ডিশনের কারনে কতটা দুর্নীতি হচ্ছে তা কিন্ত শুধু একটা ধারনা। নীচের দিকের গ্রেডের কত % দুর্নীতি করছে আর উপরের গ্রেডের কত % দুর্নীতি করছে তার কোন পরিসংখ্যান কিন্তু আমাদের নাই।

আপনি পজেটিভ এবং নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্টের কথা বলেছেন। শাসনের ছড়ি দিয়ে সব হয় না। মানি। আমরা সবাই পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্টের কার্যকারীতা দেখতে চাই। কিন্তু বেতন বাড়ানো কিভাবে সরাসরি পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট হয়? পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্টতো আচরনের সাথে সম্পর্কীত হতে হবে। যেমন পারফরমেন্সের পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট - পারফরমেন্স ভাল হলে আপনি 'রিয়োর্ডেড' হবেন। এবং পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্টের সাথে নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট থাকতেই হবে। যে সব স্কেলের ক্ষেত্রে দুর্নিতিতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রে ইন্সেটিভ বাড়ান হয়ত যৌক্তিক। - আমি বিশ্বাস করি এখানে একমাত্র নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট কাজ করবে।

আবারো একটা কথা বলতে চাই - সরকারী বেতন কাঠামোর অপর্যাপ্ততা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। এবং আমি চাই এটা বাড়ুক।

ধন্যবাদ। ভাল থকবেন।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

নীচের দিকের গ্রেডের কত % দুর্নীতি করছে আর উপরের গ্রেডের কত % দুর্নীতি করছে তার কোন পরিসংখ্যান কিন্তু আমাদের নাই

এই পরিসংখ্যান আমার কাছেও নেই। টিআইবির কাছে থাকতে পারে। তবে তুলনাটি কেবল একই ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে ছোট বড় বিবেচনার মধ্যে নয়। সেক্ষেত্রে সরকারি চাকরির বিপরিতে ব্যক্তিখাতের চাকরির ইন্সেন্টিভ পেকেজ তুলনা করুন। হেপিনেস বা সুখবোধের একটা বড় উৎস কিন্তু রিলেটিভিটি। আমরা যদি কেবল এবসলিউনেসের আলোতে সুখবোধকে বিচার করি তাহলে সেটা ভুল হবে। নিজের অবস্থা মূল্যায়ন করার সময় আপনার সহপাঠি এবং একই ক্লাসে পড়া অপেক্ষাকৃত কম মেধার ছাত্রের তুলনা করা একটা সহজাত প্রবৃত্তি। অথবা প্রতিবেশির সাথেও তুলনা হতে পারে। একপর্যায়ে আপনি হয়ত ভেবে নেবেন আচ্ছা আমি অন্যের সাথে তুলনা করবনা। কিন্তু আপনার কোমলমতি বাচ্চাটিকে সেটা বোঝান কি সহজ? এজন্যই পিয়ার প্রেসারের কথা উল্লেখ করেছিলাম প্রথম মন্তব্যে।

পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্টতো আচরনের সাথে সম্পর্কীত হতে হবে। যেমন পারফরমেন্সের পজেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট - পারফরমেন্স ভাল হলে আপনি 'রিয়োর্ডেড' হবেন।

যদি আমি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে আপনি ইন্সেন্টিভকে একটা ইনক্রিমেন্টাল ফ্রেমওয়ার্কে দেখছেন। অর্থাৎ প্রথমে কেউ কম বেতনে কাজ শুরু করবে পরে পারফরমেন্সের উপর রিওয়ার্ড নির্ভর করবে। ইনক্রিমেন্টাল রিওয়ার্ডে সমস্যা নেই। কিন্তু যখন কাজ শুরু করছে তখন যদি বেতনই কম হয় সেক্ষেত্রেও কাজের মটিভেশন কমে যায়। অর্থনীতির ভাষায় একজন কর্মির বেতন হবে মার্জিনাল প্রোডাক্টের সমান। সে হিসাবে তার বেতন যদি কম রাখা হয় তাহলে রিভার্স এফেক্ট হিসাবে তার উৎপাদনশিলতা কমে যাবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়। এভাবে লক্ষ্য করুন অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে সরকারি চাকরিতে ঢোকার কয়েক বছর পর কর্মকর্তারা তাদের কর্মদক্ষতা হারাতে থাকে।

আমার মনে আছে একবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকৌশলিদের একটা প্রশিক্ষনের সাথে জড়িত ছিলাম। সেখানে সহকারি প্রকৌশলি থেকে শুরু করে কয়েকধাপ উপরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়। দেখা যায় উপরের দিকের কর্মকর্তারা টেকনিকাল বিষগুলো বুঝতে গড়ে বেশি সময় নিচ্ছে। এছাড়া বেশির ভাগ সরকারি দপ্তরেই এইরকম ট্রেন্ড দেখতে পাবেন। এটা কিন্তু এদের ব্যক্তিগত ঘাটতি নয়। অন্ততঃ আমার তাই বিশ্বাস। বরং ইন্সেন্টিভ মেকানিজমের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে তারা ঝিমিয়ে পড়ে। আমার মনে পড়ে একবার বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। একজন বলল দোস্ত সৎ থেকে কোনা লাভ নেই। আরেক বন্ধু উত্তর দিল সৎ থাকার সবচেয়ে বড় লাভ 'সৎ থাকা'। সেদিন সেই উত্তর চমৎকার মনে হয়েছিল। আজও মনে হয়। কিন্তু এই নীতিতে ভর করে যদি সমাজ চলে তাহলে কিন্তু উন্নতি বন্ধ হয়ে যাবে। সমাজিক আচার এমন হবে যাতে করে সৎ থাকাটা পুরষ্কারের দাবি রাখে। এতে করে অসৎ হবার সম্ভাবনাই কমে আসবে। লুৎফর রহমানের উন্নত জীবন, আর মহৎ জীবন বইগুলো চমৎকার; তবে - আমাদের বুঝতে হবে উন্নত সমাজ বলতে আসলে কি বোঝায়? উন্নত সমাজ (ব্যবস্থা) না থাকলে মহৎ ব্যক্তি হয়ে গড়ে ওঠাও কঠিন।

ছড়ির প্রয়োগ থাকতে হবে সন্দেহ নেই। তবে ঠক বাছতে গা উজার হলে দেখা দরকার এই গায়ে গুনের আর চেষ্টার কদর কেমন। কেবল ছড়ির ভয় দেখিয়ে যদি মানুষকে বাগে আনা যেত তাহলে বিডিয়ারের বিদ্রোহ ঘটত না। এ বিষয়ে আমার আরেকটি পোস্টে ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছি। সুমন ভাই দেখেন আমি কিন্তু আসলে ঝগড়াটে মানুষনা। খালি একটু বেশি কথা বলি এই আরকি। তাও মাঝেমধ্যে।

সুধীর (অতিথি) এর ছবি

এটা কি সচিবদের প্রণীত স্কেল, না মুহিত বা মন্ত্রীসভার? মন্ত্রী, হুইপ, সাংসদগণ কি কি পান, তার পূর্নাংগ বিবরণেও আমি আগ্রহী। শুধু বেতন নয়, সব সুযোগ সুবিধার সর্বমোট আর্থিক মূল্য।

আর্মি জেনারেল , সুপ্রীম কোর্টের সাধারণ ও এ্যাপেলেট বিচারপতি, এঁদেরও মোট বেনেফিট কত জানতে চাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করে বাইরে রাখলাম।

এর পর আসে আয় করের ব্যাপার। একবার শুনেছিলাম এই বেতন থেকে সবাইকে নিজে আয়কর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সম্ভবত প্রথম চারটি স্কেলের টেক হোম পে কিছুটা কমে যাবে। এই আয় করের জন্য গাড়ী ও অন্যান্য সুবিধার আর্থিক মূল্য ধরলে বেশ কমবে। সেই হিসাবের পরে প্রকৃত আয়-বৃদ্ধির শতকরা হিসাব কেমন হবে?

এটাও সম্ভব যে উচ্চতর পদ্গুলির সংখ্যা এতই কম যে সেগুলোতে বেতন বাড়ালেও সরকারী বাজেটে তেমন প্রতিক্রিয়া হবে না, এটাই বোঝানো হয়েছে, এবং সম্ভবত ভারত ও পাকিস্তানে সচিবদের আকাশচুম্বী বেতনের উদাহরণ দেখানো হয়েছে।

এগুলো আমার কৌতুহল মাত্র। আমার নিজের বিশেষ কিছু যায় আসে না। আমি নিশ্চিত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে গবেষণা শেষ করেছেন এবং আমাদের ফলাফল জানাতে পারবেন।

minhaj এর ছবি

ওপরের গ্রেডে ঘুষ পাওয়া যায় ওদের বেতনও বেশি বাড়িয়ে নেওয়া হয় ৷ বেতন বৃদ্ধি হোক সমস্যা নাই তবে ওদের সম্পদের হিসাব যাচাই করে দেখি কৈটি কোটি টাকা তাদের কি টাশাল আছে ?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।