অলখ আমেরিকা - আঙ্গুলীয় আমেরিকা

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ২০/১০/২০১০ - ৬:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আঙ্গুলীয় আমেরিকা

আমেরিকাতে কাউকে বলতে শুনিনি যে তারা 'ডিজিটাল' দেশে বাস করে। আমি এ পর্যন্ত পৃথিবীর যে গোটা ২৫ দেশে যাবার সুযোগ পেয়েছি - সেখানে কোথায় শুনিনি 'ডিজিটাল' দেশের কথা। আসলে এ কথার কোন মানে হয় না। তবে সব কথার যে মানে থাকতে হবে এমন কি কোন কথা আছে? যাক, আজকে অবশ্য আমি 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নিয়ে কিছু লিখতে আসিনি। আমার প্রতি দিনকার অভিজ্ঞতায় ব্যক্তি জীবনে 'অটোমেশন' ও কম্পুউটারের প্রভাব নিয়ে এই লেখা। মূলত এটি বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দেশে লেখা। যাতে তারা তুলনা করতে পারেন 'ডিজিটাল আমেরিকা' না হয়েও কতটা যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে আজকের আমেরিকা। এখানকার মানুষের বেকারত্বের পিছনে কতটা অবদান রয়েছে 'অটোমেশন' এবং 'আউট-সোর্সসিং' সেটাও চিন্তা করার বিষয়। উৎপাদনের দক্ষতা বাড়াতে বাড়াতে এমন এক স্থানে পৌছে গেছে সমাজ, যার ফলে সমাজ যাদের নিয়ে তৈরী, তারাই আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। পুঁজিবাদের অসুভ ফলাফল দেখতে আরম্ভ করছে সাধারণ মানুষ। যদিও এখানকার খুব কম মানুষ সেটা মানতে রাজী।

এক সাধারন দিনের সকাল থেকেই শুরু করি। রাতে আজকাল এখানে তাপমাত্রা বেশ কমতে শুরু করেছে। থারমোস্টাট ঠিক ভাবে সেট করা থাকে, ফলে ভোর রাতে যখন শীতটা একটু কাপিয়ে আসার মত হয়, তখনি চালু হয়ে যায় সেন্ট্রাল হিটিং। ব্যাপারটা আসলে এমন কিছু না। একটা গ্যাসের চুলা নিজে থেকে চালু হয়ে যায় তারপর একটু সময় নিয়ে বাতাসের ভেন্টের মধ্যে রাখা ফ্যান চালু হয়ে সব ঘরে গরম বাতাস ছড়িয়ে দিতে থাকে। খানিক চলার পর আবার নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায় হিটিং, যাতে বেশী গরম না হয়ে যায় ঘর। এভাবেই চলতে থাকে।

অফিসে এসে পার্কিং লটের গেটে আমার গলায় ঝুলানো আইডি কার্ড একটু উচু করে ধরলে সেন্সিটিভ স্ক্যানার পড়ে ফেলে আইডির কোডটি এবং তারপর নিজ থেকে উচু করে তুলে দেয় গেটের প্রতিবন্ধক বাধাটি। নিজের কর্মস্থলে পৌঁছাবার আগে আরও কয়েকবার আইডি ব্যবহার করতে হয়। লাউঞ্জের কফি মেসিন থেকে গরম গরম কফি নিয়ে নিজের আসনে বসে প্রথম কাজটি হল প্রয়োজনীয় ই-মেইল গুলি দেখা। দেখা গেল সকালেই একটা মিটিং আছে। ই-মেইলেই লিঙ্ক দেওয়া আছে, সেখানে ক্লিক করে যোগ দিলাম মিটিং-এর আলোচনায়। টেক্সাস ও ইন্ডিয়ানা থেকেও কোম্পানীর অন্য কিছু কর্মচারী যোগ দিল মিটিং-এ। মাথায় হেড ফোন সংযুক্ত মাইক্রোফোন - ফলে কথা শুনতে ও বলতে কোন অসুবিধা নেই। একই সাথে দুই হাত খোলা - ফলে মাউজ ক্লিক করতে বা টাইপ করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। একজন তার ডেস্কটপ শেয়ার করার বোতামে ক্লিক করে দিল, যাতে অন্যরা সবাই দেখতে পায় সেখানে কি আছে। মাঝে মাঝে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। এ সবের ফলে অনেক সময় ও টাকা খরচ বাঁচে। আমাদের কাজের বেশ একটা বড় অংশ ভারতে আউট-সোর্সিং করা হয়েছে। এতেও টাকা বাঁচে। কিছু ভারতীয়রা এখানেই অবস্থান করে, আর অন্যরা তাদের ভারতের বিভিন্ন ছড়িয়ে থাকা অফিস থেকে কাজ করে।

কম্পুউটার ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন স্থানে এখন অনেক ভাবে আউট-সোর্সিং শুরু হয়ে গেছে। এখানকার নিয়ম হচ্ছে প্রতিটি রুগী দেখার পর ডাক্তার লিপিবদ্ধ করে রোগীর বর্তমান অবস্থা, কি ওষুধ দেওয়া হলো, ইত্যাদি। এখন অনেক ডাক্তার অন-লাইন ডিক্টেশন দিয়ে রেকর্ড করে এবং সেগুলি চলে যায় কোন বিদেশী আউট-সোর্স করা কোম্পানীতে। সেখানে তারা ট্রান্সক্রাইব করে এবং সেই রেকর্ড কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক্তারের কম্পুটারে চলে আসে। একই ভাবে আমেরিকার উকিলের চিঠি, দলিলের ড্রাফট, ইত্যাদি তৈরী হচ্ছে বিদেশে। সেই চাকরীগুলি হারাচ্ছে এখানকার লোকেরা। এখানকার হাসপাতালের তোলা 'এক্স-রে' এবং 'এম আর আই' সোজাসুজি চলে যাচ্ছে ভারত ও সিঙ্গাপুরের ডাক্তারের কাছে। সেগুলি দেখে রিপোর্ট পাটিয়ে দিচ্ছে এখানকার ডাক্তারের কাছে।

সম্প্রতি শুনলাম একটি বড় রেষ্টুরেন্ট চেইন, যাদের অধিনে কয়েক হাজার রেষ্টুরেন্ট আছে, তারা তাদের 'ড্রাইভ-থ্রু' অর্ডার 'আউট-সোর্স' করার জন্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। 'ড্রাইভ-থ্রু' রেষ্টুরেন্ট হচ্ছে - যেখানে গাড়ী থেকে নেমে রেষ্টুরেন্টের ভিতরে যেয়ে অর্ডার দেবার প্রয়োজন নেই। গাড়ীতে বসেই এক জালনাতে অর্ডার দিয়ে পাশের জালনায় মুল্য পরিশোধ করে তার পাশের জালনা পর্যন্ত যেতে যেতে অর্ডার তৈরী হয়ে রেডি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ম্যাকডোনাল্ড জাতীয় দোকানে এই ধরনের ব্যবস্থা আছে। এতে অনেক সময় বাঁচে। আমি হয়তো বাইরে কোন কাজে গেছি, ফেরার পথে এক 'ড্রাইভ-থ্রু' ম্যাকডোনাল্ড-এ কিছু খাবারের অর্ডার দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে অফিসে বসে খেতে খেতে কাজ শুরু করলাম। সাধারনত যখন প্রথম জালনাতে অর্ডার দিই, তখন দোকানের ভিতরে বসা কোন কর্মচারী মাথায় হেড ফোন লাগিয়ে আমার অর্ডার শুনে এবং তার সামনের কম্পুউটার স্ক্রীনে ছুয়ে ছুয়ে অর্ডারটা তাদের সিস্টেমে ঢোকায়। একই সাথে কিচেনের মনিটরে দেখা যায় অর্ডারের বিবরণ এবং কুক বা অন্য কেউ তখনি প্যাকেট করতে থাকে সেই খাবারগুলি। যে ব্যাক্তি এই অর্ডার গ্রহন করে তার মজুরী সাধারনত স্থানীয় নিন্মতম মজুরী হয়। তবে ঘন্টায় ৮ ডলার মজুরী হলে এবং কয়েক হাজার কর্মচারী এ কাজে নিয়জিত থাকলে এটাও একটা বড় পরিমান টাকার ব্যাপার। এখন তারা চেষ্টা করছে এই কাজটি ভারতে আউট-সোর্স করতে। অর্থাৎ আমি যখন অর্ডার দেবো তখন দোকানের ভিতরে বসা কোন মেয়ের বদলে পুনা বা চিন্নাইয়ের কোন মেয়ে হয়তো আমার অর্ডারটি নেবে এবং তার স্ক্রীনে ঢোকাবে। একই সাথে সেটি আবার ভেসে উঠবে আমেরিকায় কিচেনের পর্দায়।

ইন্টারনেট ব্যবহার এখন আর বিলাসিতা নয়, রীতিমত জীবনযাত্রার অঙ্গ। আমার মাইনের টাকা প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর সোজা ব্যাংকে আমার একাউন্টে জমা হয়। একই ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমার ব্যাংকের একাউন্টে লগ করে আমি বিদ্যুত, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, মোবাইল ফোন এবং ক্রেডিট কার্ডের পাওনা টাকা অগ্রীম নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে আমি সেখানে সেট করে রাখি এবং নির্দিষ্ট দিনে সেই একাউন্টে টাকাটা ট্রান্সফার হয়ে যায়। এর ফলে চেক লেখা, খামে ভর্তি করে ডাক টিকিটসহ ডাকে পাঠানো, ইত্যাদি ঝামেলা আর নেই। অন্য দিকে ডাক বিভাগের আয় অনেক কমে যাওয়ায় তারা এখন টিকে থাকার জন্যে হিমসীম খাচ্ছে।

আমি এক সময় পার্ট টাইম পরিক্ষকের কাজ করতাম। কাজটা আমার কাছে বেশ মজার ছিল। কাজটা ছিল টেক্সাসের ইন্টার-মিডিয়েট ছাত্রদের ইংরেজী পরীক্ষার খাতা দেখা। খাতা বলাটা অবশ্য ঠিক হল না। আমরা প্রায় গোটা ৫০/৬০ পরীক্ষক রাতের শীফটে একটা বড় হল ঘরে বসতাম। আমাদের সবার সামনে একটি করে কম্পুউটার ওয়ার্ক-ষ্টেশন। সবই এক নেটওয়ার্কভুক্ত। যে ক'টি প্রশ্নের উত্তর আমরা পরীক্ষকেরা দেখবো, সেই উত্তরগুলি স্ক্যান করে আগে থেকে নেটওয়ার্কে ঢোকানো। একই ছাত্রের পরীক্ষার উত্তর দুই জন পরিক্ষকের কাছে যেয়ে হাজির হতো। দু'জন পরীক্ষক যদি একই মার্ক দিতেন, তবে সেই মার্কটাই সঠিক বলে ধরে নেওয়া হ'তো। প্রাপ্ত মার্কের মধ্যে এক মার্কের ব্যবধান হলে তৃতীয় আর এক জনের কাছে যেত উত্তরটা আবার দেখার জন্যে। তার দেওয়া মার্ক অন্য দু'জনের কারও সাথে মিললে সেটাই গ্রহন করা হতো। না মিললে সুপারভাইজারের কাছে যেত এটি। প্রথম দু'জন পরীক্ষকের মধ্যে দেওয়া মার্কে যদি দুই মার্কের ব্যবধান হতো - তবে দু'জন পরীক্ষকের ডাক পড়তো সুপার-ভাইজারের কাছে। তখন শুধু ছাত্র নয়, পরীক্ষকেরও পরীক্ষা হতো। এই ধরনের কাজ যখন বেশী করে দেশের বাইরে যাওয়া আরম্ভ করবে তখন আরও কয়েক হাজার মানুষের চাকরী চলে যাবে।

ক্রেডিট কার্ড এখানে জীবনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাশ টাকার ব্যবহার যথেষ্ট কমে গেছে। ট্যাক্সি ড্রাইভাররা সাথে করে ক্রেডিট কার্ড রিডার মেশিন রাখা আরম্ভ করেছে, যাতে করে গ্রাহকদের কষ্ট করে ক্যাশ টাকা সাথে নিয়ে ঘুরতে না হয়। আমি নিজেও ক্যাশ ব্যবহার করিনা। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের আর একটি সুবিধা হল - কোন খরচের পর এক মাস সময় পাওয়া যায় তার পাওনা মিটাতে। কোন কারনে তখন টাকা দিতে না পারলে সেটা তখন আমার একাউন্টে ধার হিসাবে দেখা দেয় এবং বেশ চড়া হিসাবে সুদ যোগ হতে থাকে সেখানে। এই সুদের হার ৩০% হওয়া বিচিত্র নয়, অথচ ফেডারেল ব্যাংকের সুদের হার এখন অনেকটা ১% এর মত। আমার মানিব্যাগে অবশ্য দশ-বিশটা খুচরা নোট রাখি - যাতে কখনো ছিনতাইয়ের কবলে পরলে ছিনতাইকারীদের খালি হাতে ফিরতে না হয় [এটা পুলিশের বুদ্ধি - তারা বলে কোন টাকা না পেলে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা গুলি ছুড়ে আহত করতে পারে, তাই সামান্য কিছু টাকা সব সময় সাথে রাখা ভাল]। আমার ক্যাশ টাকা অবশ্য ছিনতাই ছাড়াই কমতে থাকে। মমতাজ কখনো জিজ্ঞাসা করে এবং কখনো জিজ্ঞাসা না করে সেখান থেকে কিছু টাকা নেয় যখন তার 'ঢাকা বাজার' দোকান থেকে কিছু কেনার দরকার পড়ে এবং তার কাছে হয়তো পুরা ক্যাশ টাকা নেই। এখানকার 'ঢাকা বাজার' এখনও বাংলাদেশী ট্রেডিশন বজায় রেখে শুধু ক্যাশের কারবার করে।

এখানে 'স্মিথস' নামে একটা সুপার স্টোর আছে যেখানে গ্রাহকদের নিজের কেনা-কাটার টাকা পয়সার লেনদেন নিজেদেরকে করার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হয়। সাধারনত এই সব দোকানের নিয়ম, কেনা কাটার পর দ্রবাদি নিয়ে ক্যাশিয়ারের কাছে যেতে হয় এবং ক্যাশিয়ার এক এক করে দ্রবাদির গায়ে আটকানো 'বার-কোড' মেসিনে স্ক্যান করে। তারপর ক্যাশ বা ক্রেডিট কার্ডে পাওনা মেটানো হয়। এখন এরা দোকানের ক্যাশিয়ারের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দিয়ে সেখানে অনেকগুলি মেসিন বসিয়ে দিয়েছে। ক্রেতারাই এক এক করে তাদের কেনা দ্রবাদির বার-কোড মেসিনে স্ক্যান করাচ্ছে এবং তারপর মেসিনে প্রাপ্য টাকা ঢুকাচ্ছে বা ক্রেডিট কার্ড ঢুকাচ্ছে। মেসিন যথা রীতি ন্যায্য পাওয়ানা বুঝে খুচরা ফেরত দিচ্ছে। ওহ, এই সব মেসিন আবার কথাও বলে। সুন্দর মেয়েলী গলায় নির্দেশ দিতে থাকে। স্ক্যানিং-এর পর পাশের স্থানে রাখতে বলে যাতে মেসিন চট করে ঐ বস্তুর ওজন বের করে মিলিয়ে দেখতে পারে। কিছু ওলট-পালট হলে মেসিন খবর দেয় কোন কর্মচারীকে এসে সাহায্য করার জন্যে। এই সেকটরে সব চাইতে বড় পৃথিবী ব্যাপী চেইন 'ওয়াল-মার্ট' যদি একই পথ ধরে তবে তাদের ২০ লাখ কর্মচারীর অর্ধেক হয়তো চাকরী হারাতে বসবে।

আমেরিকার আকাশে প্রতিদিন দেড় লাখের মত প্লেনের ফ্লাইট আকাশে উড়ে। কম করে হলেও এর মধ্যে প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের সংখ্যা ৫০,০০০-এর উপরে হবে। যদি গড়পড়তা ১০০ জন থাকে একটা প্লেনে, তাহলে অন্তত ৫,০০,০০০ লোক দৈনিক প্লেনে চড়ছে। এই ৫ লাখ লোক আগে ট্রাভেল এজেন্সীর মাধ্যমে তাদের টিকিট কাটতো। সেই সংখ্যা এখন খুবই নগন্য হয়ে গেছে। ফলে ট্রাভেল এজেন্সীর সংখ্যা খুবই কমে গেছে। বহু লোক চাকরি হারিয়েছে এই সেকটরে। এখন প্রায় সবাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কাটে। টিকিটের প্রিন্ট-আউটও সাথে রাখার দরকার পরে না আজকাল।

আমি তখন শিকাগোর এক কোম্পানীতে বিজনেস এনালিষ্টের চাকরী করে আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এক কাজের শেষে এরিজোনার ফিনিক্স এয়ারপোর্টের দিকে গাড়ী চালাচ্ছি। মোবাইল বের করে শিকাগোতে আমার অফিসে ফোন করে জানালাম বাড়ী ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করতে। বললাম আর এক ঘন্টার মধ্যেই এয়ার পোর্ট পৌঁছে যাবো। তখনই আমার টিকিট কনফার্ন করে আমাকে এয়ার লাইন্সসের নাম জানিয়ে দিল। গাড়ী চালাতে চালাতে আর কাগজ কলম বের করে লিখে নিতে পারিনি। এয়ারপোর্টে যেয়ে আর মনে করতে পারলাম না কোন এয়ার লাইন্সসে কাটা হয়েছে আমার টিকিট। বড় এয়ারপোর্ট - বহু এয়ার লাইন্সসের প্লেন এখান থেকে ছাড়ে - কাকে যেয়ে জিজ্ঞাসা করবো? এটা কি আমেরিকান এয়ার লাইন্সসের না ইউএস এয়ার ওয়েজের ফ্লাইট ? শেষ পর্যন্ত হাতের কাছের কাউন্টারে যেয়ে আমার নাম বলে জিজ্ঞাসা করলামঃ

- দেখতো আমার নামে এখানে কোন টিকিট আছে কিনা?
- না, তোমার নামে এখানে কোন টিকিট নেই।
- তাই তো, কি করি এখন?
- তুমি ঠিক জান যে তোমার নামে টিকিট কাটা হয়েছে?
- হ্যাঁ, ঠিক জানি।
- সামনের ঐ মেসিনে তোমার যে কোন একটা ক্রেডিট কার্ড ঢুকিয়ে দাও, তোমাকে বলে দেবে।
- কিন্তু আমি তো ক্রেডিট কার্ডে টিকিট কিনিনি।
- তাতে কিছু আসে যায় না।

গেলাম তার নির্দেশিত মেসিনে এবং আমার সাথের ৪/৫ টি ক্রেডিট কার্ড থেকে একটি কার্ড বেছে ঢুকালাম মেসিনে। কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করেই মেসিন লেখা দেখালো - আমার নাম, ফ্লাইট নাম্বার, এয়ার নাইন্সসের নাম, সঠিক ছাড়ার সময় ও গেইট নম্বর। আরও জানতে চাইলো আমি ফ্লাইট কুপন চাই কিনা। OK বোতামে চাপ দেবার সাথে সাথে প্লেনের ফ্লাইট ডায়াগ্রাম এবং কোন কোন সীট এখনো খালি আছে জানিয়ে আমাকে পছন্দ করতে বললো আমার আসন। জালানার পাশে একটা আসন নির্বাচিত করলাম। বেরিয়ে এল ফ্লাইট কুপন। নির্দিষ্ট গেটের সামনের লাউঞ্জে বসে ঘড়িতে দেখলাম তখনও আধা ঘন্টা সময় হাতে আছে। ল্যাপটপ খুলে ওয়েরলেস সংযোগে চ্যাট শুরু করে দিলাম আমার এক বিদেশী বন্ধুর সাথে। পৃথিবীটা ক্রমেই যেন ছোট হয়ে আসছে।

তবে এই ছোট হওয়া পৃথিবীতে অনেক কিছুই একে অন্যের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন কিছুতে লাফ দিয়ে পরার আগে একটু চিন্তা ভাবনা করা ভাল। যেখানে সেখানে 'আঙ্গুল' ঢোকাবার আগে তার ফলাফল কি হতে পারে সেটা চিন্তা করা উচিৎ। বাংলাদেশে তথাকথিত 'ডিজিটাল সময়' করার বদলে সরকার যখন এতটা ক্ষমতাশালী (এ পর্যন্ত সব সরকারই), শুধু আদেশ দিয়েই তো অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, দোকানপাট বিভিন্ন সময়ে খোলা এবং বন্ধ করতে পারতো। আমার চিন্তায় বাধা পড়লো এক বন্ধুর টেলিফোন এসে। রতন আমার হলের রুম-মেট ছিল। এখন থাকে উত্তর ক্যারোলিনা ষ্টেটে। শান্ত-শিষ্ট খুব ভাল মানুষ। ছেলে মেয়েরা সবাই মানুষ হয়ে গেছে এবং নিজের নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। রতন সিটিতে কাজ করে, ফলে অবসরের পর পেনশন পাবে - ভবিষ্যত নিয়ে তেমন কিছু ভাববার নেই তার। নিয়মিত মসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় করা লোক সে। তার স্ত্রীকে সে আমেরিকা আসার পর হিজাব পড়ানো আরম্ভ করেছে। আমাকে রতন 'মামা-শশুর' বলে ডাকে। কারনটা বেশ মজার। তার শাশুরী আমার মাকে খালাম্মা বলে ডাকতো যখন আমাদের পাড়াতে ছিল তারা। রতনের স্ত্রী এবং শালীদেরকে আমি দেখেছি যখন তারা খুব ছোট ৫/৬ বছরের। আমাকে মামা ডাকতো। সেই সুবাদে রতনও এখন আমাকে মামা ডাকা শুরু করেছে। টেলিফোন ধরে মনে হল গুরুতর কোন ঘটনা ঘটে গেছে। কান্না কান্না গলা তার।

- মামা, আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে।
- কেন, কি হলো আবার?
- আমি জানি না কি ভাবে বলবো। আমার সংসার বোধ হয় ভেঙ্গে গেল।
- মানে?
- আমার সাথে বোধ হয় নীরুর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

কি বলবো বুঝতে না পেরে খানিকক্ষন চুপ করে রইলাম। নীরুকে আমার মনেই পরে না। তবে যতদূর জানতাম বেশ চুপচাপ ছিল মেয়েগুলি। কি এমন হতে পারে তাদের জীবনে। আমাদের ক্লাশে পড়াশুনায় বেশী ভাল ছিল এমন দুই বন্ধুর এক জন প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে এখন দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সুখে সংসার করছে। অন্যজন স্ত্রীকে ছাড়েনি, তবে আলাদা হয়ে থাকছে। কিন্তু এরা তো সবাই ছিল 'বেশী ভাল ছেলে' - পি এইচ ডি ইত্যাদি। রতন তো সাধারণ একটা ভাল ছেলে। বেশী না খুঁচিয়ে, সাধারণ ভাবে জিজ্ঞাসা করলামঃ

- কি হয়েছেটা কি?
- নিরু অন্য আর এক জনকে বিয়ে করতে চেয়েছে?
- কাকে?
- কাকে মানে আমাকেই, কিন্তু অন্য লোক মনে করে।
- তুমি তো মদ খাও না বলে জানতাম। আজ কি সন্ধ্যার আগেই বোতল খুলে বসেছো? কি উল্টা-পাল্টা কথা বলছো?

এবার টেলিফোনেই কেঁদে ফেললো রতন।

- আমার এখন এমন কেউ নেই যাকে বলতে পারি আমার দুঃখের কথা। এখানে সবাই আমাকে সন্মান করে। আমি মসজিদ কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট। এমন একটা ঘটনা ঘটে গেলে আমি মুখ দেখাবো কি করে?
- আমেরিকাতে তো এমন ঘটনা নতুন কিছু না। - আমি রতনকে সান্তনা দেবার চেষ্টা করলাম।
- মামা, আমি কি করব বলে দাও। আমি আর চিন্তা করতে পারছিনা।
- আচ্ছা, একটু খুলে বলতো আমাকে কি হয়েছে।
- আচ্ছা বলছি।

রতন যে কথাগুলি পরবর্তী আধা ঘন্টা ধরে আমাকে জানালো তা শুনে আমি হাসবো, না কাঁদবো, ঠিক করতে পারলাম না।

আমেরিকা আসার পর দু'জনেই একটু বেশী ধার্মিক রক্ষণশীলতার দিকে ঝুকে পরেছিল। নিয়মিত হিজাব এবং মাঝে মাঝে বোরখা পরতো নিরু। যদিও বাংলাদেশে থাকার সময় তারা আর দশটি সাধারণ বাঙ্গালীর মতো থাকতো। কখনো হিজাব পড়েনি। এখন ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবার পর সারাদিন আর তেমন কিছু করার থাকে না নিরুর। তাই মাঝে মাঝে কম্পুউটারে বসে ঢাকার নাটক ইত্যাদি দেখতো সে, যখন রতন অফিসে কাজে যেত। রতনের সরকারী কাজ, চাপ তেমন ছিল না। তাই অনেক সময় অফিসের পরেও সেখানে বসে বিভিন্ন ওয়েব-সাইটে ঢু মারতো রতন। এমনি ভাবে রতনের পরিচয় হয় এক ভারতীয় মেয়ে নেহার সাথে এক চ্যাট রুমে। নিজের পরিচয় না দিয়ে রতন সেখানে নিজেকে আর্জেন্টিনার আরমান্দো পরিচয় দিয়েছিল। ম্যারাডোনার মধ্যের নাম আরমান্দো। ওদিকে নেহা বলেছিল তার বাড়ী মুম্বাইতে।

নেহা আর আরমান্দোর মধ্যে অনেক কিছু পছন্দের মিল থাকায় ক্রমে ক্রমে দু'জনেই একে অন্যের কাছে চলে এসেছিল। আরমান্দো বলেছিল যে সে নিউ ইয়র্ক শহরে চাকরী করে। এক দিন নেহা বলে ফেললো যে সে আসলে নকল নাম ব্যবহার করেছে যাতে তার রাগী স্বামী ধরে না ফেলে, তার আসল নাম হচ্ছে নিরু। তখনো বুঝতে পারেনি রতন এই নিরু হচ্ছে তারই স্ত্রী নিরু। কিন্তু এর পরে ক্রমাগত নিরু তার স্বামী সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছে যেটা অন্য কারও জানা সম্ভব ছিল না। তবু তার সন্দেহ নিরাসনের জন্যে বাড়ীর কম্পুউটারে ষ্ট্যাটিক আই পি নাম্বার বসিয়ে পরে অফিস থেকে নিরুর সাথে কথা বলার সময় দেখেছে ঠিক সেই নাম্বার থেকেই নিরু তার সাথে কথা বলছে - ফলে তার মনে যে ক্ষীণ সম্ভাবনাটা ছিল সেটাও এখন দূর হয়ে গেছে। নেহা আরমান্দোকে বলেছে - 'আরমান'-কে ছাড়া সে আর থাকতে পারছে না। আরমান্দো যেন অবশ্যি করে একবার এসে তাকে দেখা দিয়ে যায়। আরমান্দো আর একটু বাজিয়ে দেখার জন্যে বলেছে - সে যদি এসে নেহাকে বিয়ে করতে চায়, তবে কি নেহা তার সংসার ছেড়ে নতুন জীবন শুরু করতে রাজী আছে। নেহা তাতে রাজী। এর পর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি রতন, আমাকে ফোন করেছে।

এক বার ইচ্ছা হচ্ছিল ঠাট্টা করে বলি - অসুবিধা কোথায় - যাও, যেয়ে নেহাকে আবার বিয়ে করে ফেলো। কিন্তু এই মুহূর্তে তাকে আর কষ্ট দিতে ইচ্ছা করল না। না হলে বলতাম - আমেরিকাতে এসেও যখন বউকে অতটা পর্দা করে রাখতে গিয়েছো, তারই ফল লাভ করো এখন। তার বদলে তাকে বললাম - আপাতত তুমি একটা কৌফিয়ত খাড়া করে কিছুদিনের জন্যে আর্জেন্টিনায় ফিরে যাও। এর মধ্যে দেখি কিছু একটা বুদ্ধি বের করতে পারি কিনা।

আমি এখনো কোন বুদ্ধি বের করতে পারিনি। কোন পাঠকের কি এ ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা আছে?


মন্তব্য

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

ডিজিটালের বাংলা "আঙ্গুলীয়"...ভাল্লাগলো !!
আপনার লেখা সব সময়ই ভাল লাগে।
এই বারেরটাও ভাল লাগসে।
ভাল থাকবেন।

সাইফ শহীদ এর ছবি

তৌফিক,

আমার লেখা সব সময় ভাল লাগার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

যদিও digit-এর এক বাংলা প্রতিশব্দ 'অঙ্গুলী' বা 'আঙ্গুল' এবং বিশেষন রূপ 'আঙ্গুলীয়' হতে পারে - তবে আমি শব্দটা একটু ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহার করেছি।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

লেখা যথারীতি চমৎকার হইছে।
অভিজ্ঞতা না থাকলেও বুদ্ধি দিই। আর্জেন্টিনা থেকে না ফিরে আসলেই ভালো। "মেন্টাল সাপোর্ট" বলে দেশে প্রচলিত একটা শব্দ আছে। এই "মেন্টাল সাপোর্ট" দিয়ে আবার মনের কাছাকাছি আসা যেতে পারে :)।

সাইফ শহীদ এর ছবি

ভ্রান্ত (সঠিক) পথিক,

বুদ্ধির তারিফ করতে হচ্ছে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দৈনন্দিন জীবনের বর্ননা দারুণ লাগল, শেষের ঘটনা পড়ে হাহাপগে!

এখানকার হাসপাতালের তোলা 'এক্স-রে' এবং 'এম আর আই' সোজাসুজি চলে যাচ্ছে ভারত ও সিঙ্গাপুরের ডাক্তারের কাছে

এরকম কোন সেন্টারের নাম জানেন নাকি? খুব জানতে ইচ্ছা করছে। কারণ আইনত কিছু সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। এদেশে এদের সার্টিফায়েড লোক ছাড়া কোন পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা কিভাবে সম্ভব ঠিক বুঝতে পারছি না। আর ঠিক এ কারণেই রেডিওজিস্টরা এখনো অনেক বেশি বেতনের চাকুরি করেন এবং এই বেতনের কারণে রেডিওলজিস্টের ট্রেনিং এ ঢুকতে যাওয়াও ব্যাপক কম্পিটিশনের ব্যাপার।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ শহীদ এর ছবি

সাইফ,

নাম বের করতে পারলে জানাবো তোমাকে। ঠিকই বলেছো - আইনগত সমস্যা অনেক আছে - বিশেষ করে রুগীর প্রাইভেসী, ইত্যাদি ব্যাপারে। তবে আইন অমান্য না করেও নানা ফন্দি-ফিকির তো মানুষ চিরকাল বের করে আসছে।

ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

রানা [অতিথি] এর ছবি

শহীদ ভাই,

আমি গ্যারান্টি করে বলছি, নেহা প্রথম থেকে না হলেও জানে যে এটা রতন। নিজের ঘোড়া চিনতে কোন মেয়েরই বেশি সময় লাগার কথা নয়।

যাক, লেখাটি বরাবরের মতো ভাল লাগলো।

সাইফ শহীদ এর ছবি

রানা,

আমি গ্যারান্টি করে বলছি, নেহা প্রথম থেকে না হলেও জানে যে এটা রতন। নিজের ঘোড়া চিনতে কোন মেয়েরই বেশি সময় লাগার কথা নয়।

এ সম্ভাবনার কথা আমিও ভেবেছি। তবে একেবারে গ্যারান্টি? নিজের অভিজ্ঞতা প্রসূত কি?

ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

রানা [অতিথি] এর ছবি

নিজের অভিজ্ঞতা? ভাই, আমাদের মাঝে কে না আছে বউকে ভুজুং ভাজুং বোঝাতে গিয়ে ধরা খেয়েছি। নেহা-রতন একসাথে অনেকদিন ঘর করেছে, গ্যারান্টি এ জন্যই বলতে পারেন ।

নিজের ঘোড়া মেয়েরা ঠিকই চিনে, তা ভিড়ের মাঝেও। ভাবুন আপনার পছন্দ-অপছন্দ কি সে বিষয়ে ভাবির জ্ঞান দেখে আপনি অবাক হননি বা এখনও হন না? হতে পারে "আরমানের" সাথে কথা বলার সময়ই নেহা অবাক হয়েছে "এত মিল" ইত্যাদি, তারপর সন্দেহ -- তাই হয়তোবা যথাসময়ে নামের "টোপ" । হতে পারে রতন যে চ্যাট করছে তা নেহা আগে/পরে ধরেছে -- রতন হয়তোবা "ভুলে" কোনদিন বাসা থেকে লগইন করেছিল, কোন সাইটে গিয়েছিল তা নেহা পরে দেখেছে। ইত্যাদি।

তবে কেসটা ইন্টারেস্টিং। আশা করি আপনি রহস্যভেদ করে ফেলবেন।

অপছন্দনীয় [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখাগুলো সব সময়েই ভাল লাগে। আরেকবার ধন্যবাদ এত প্রাঞ্জলভাবে লেখার জন্য।

ই-টিকেট, ক্রেডিট কার্ড ব্যাপারগুলো বাংলাদেশেও ভালোভাবেই প্রচলিত - যদিও সব ক্ষেত্রে না। বাংলাদেশে থাকতে আমি নিজেও ক্রেডিট আর ডেবিট কার্ড প্রচুর ব্যবহার করেছি - মোবাইল আর ফোনের বিলও দিয়েছি অনলাইনে।

তবে বাংলাদেশের একটা ব্যাংক আমাকে বলেছে তাদের ক্রেডিট কার্ড আমি বিদেশে ব্যবহার করতে চাইলে কোন সিকিউরিটি ডিপজিট লাগবে না, কিন্তু ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে চাইলে ১০০০ ডলার সিকিউরিটি ডিপজিট লাগবে - অবাক হচ্ছেন? আমিও হয়েছিলাম।

'ডিজিটাল বাংলাদেশেই' ছাগলামো শেষ নয়। কোন এক মাননীয় একদিন দেখলাম বলে বসেছেন 'এই প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করা হবে'। 'অটোমেটেড করা হবে' আর 'ডিজিটাল করা হবে' এর মধ্যের পার্থক্য বোঝার শিক্ষা এদের থাকবে এতটা আশা করি না অবশ্য।

সাইফ শহীদ এর ছবি

অপছন্দনীয়,

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে জেনে ভাল লাগলো। বিগত এক যুগ দেশে যাবার সুযোগ হয়নি তাই অনেক কিছু জানা নেই।

ডেবিট কার্ড অনেকটা ক্যাশের সমতুল্য তাই হয়তো এই আইন - তবে খুব একটা মানে হয় বলে মনে হয়না। ওখানকার ক্রেডিট কার্ডে কি কোন লিমিট দেওয়া থাকে? কেউ যদি এক হাজার ডলারের উপর চার্জ করে (প্লেনের টিকিট কিনতে, ইত্যাদি খরচে) তখন কি হবে?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অপছন্দনীয় [অতিথি] এর ছবি

আমার নিজের ক্রেডিট কার্ড লিমিট ছিলো এক হাজার ডলার। বাংলাদেশের ট্র্যাভেল কোটা অনুসারে তিন হাজার ডলারের বেশী লিমিট সাধারণতঃ দেয়া হয় না।

আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশী বেশীর ভাগ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করা যায় না। কার্ডটা সুইপ না করলে কাজ করে না। অল্প কয়েকটা ব্যাংক আই কার্ড নাম দিয়ে ইন্টারনেটে ব্যবহারযোগ্য কার্ড দেয় কিন্তু সেগুলোও খুব সীমিত।

ডেবিট কার্ডে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে আমি অবাক হয়েছি কারণ ডেবিট কার্ডে আমি আমার অ্যাকাউন্টে যা আছে তা-ই খরচ করছি - সেখানে ডিপোজিট লাগবে, আর ক্রেডিট কার্ডে যেখানে আমার পুরো খরচটাই ব্যাংকের ঝুঁকি, সেখানে লাগবে না!

ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

ভাল্লাগলো। চলুক

রতন-নেহার সমস্যাটা পড়ে মিত্র: মাই ফ্রেন্ড ছবিটার কথা মনে হচ্ছিলো।

সাইফ শহীদ এর ছবি

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী,

ছবিটি দেখিনি। সুযোগ পেলে দেখবো। অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাফি এর ছবি

কদিন আগেই রাগিব ভাই সম্ভবত ওনার আইফোন ব্যবহার করে ইলেক্ট্রনিক বোর্ডিং পাস ইস্যু করেছিলেন। এই লেখা ওনার চোখে পড়লে বিস্তারিত বলতে পারবেন।
লেখা যথারীতি ভাল লেগেছে শহীদ ভাই।

সাইফ শহীদ এর ছবি

সাফি,

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। তোমার এবারের ঢাকার অভিজ্ঞতার কথা পড়ার অপেক্ষায় আছি।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

রাগিব এর ছবি

ঠিক -- আমেরিকার বেশ কয়েকটা এয়ারপোর্টে এখন ইলেক্ট্রনিক বোর্ডিং পাস ব্যবহার করা যায়। যেকোনো স্মার্ট ফোন থাকলেই চলবে। চেক ইন করার সময়ে এয়ারলাইন থেকে একটা ইমেইল পাঠায়, সেটাতে মোবাইলের উপযোগী একটা পাতার লিংক থাকে। পাতায় গেলে বোর্ডিং পাস দেখায়, বার কোড (কিউ-আর কোড) সহ। সিকিউরিটি কিংবা গেইট, দুই জায়গাতেই ফোনটাকে স্ক্যানারের সামনে ধরতে বললো, আর বারকোডটা পড়ে নিলো। ব্যস, ঝামেলা শেষ।

আমি বাল্টিমোর আর শিকাগো, দুই খানেই এটার সুবিধা পেয়েছি।

---

ডিজিটাল জীবনযাপন করছি এখন। বাসার কেবল বাদ -- এখন বাসার ফোন থেকে শুরু করে টিভি পর্যন্ত সবই ইন্টারনেটভিত্তিক। আগে কোনো ডকুমেন্টে কাজ করতে গেলে ভয় পেতাম, কখন মেশিন ক্রাশ করে, বেশ কয়েকবার সেটা হয়েছেও ডেডলাইনের আগে আগে। এখন আমার ব্যবহার করা গোটা ছয়েক মেশিনের সবগুলাতে ড্রপবক্স যোগ করেছি, সেখানে যা রাখি সব মেশিনেই একই দেখায়। বহুকাল কাগুজে/ডাকযোগে কোনো বিল পাইনি/দেইনি। যেকোনো কিছু হাতে আসলেই ইউএসবি বা ওরকম ইন্টারফেইস আছে কিনা সেটার দিকে নজর যায়। আর কানেক্টিভিটির চরম উদাহরণ আরেকটা দিতে পারি, গত বছর একটা ক্লাসে লেকচার দিলাম আমি হপকিন্সে বসে, ছাত্ররা ছিলো আমার চেয়ে ৭০০ মাইল দূরে ইলিনয়ের আরবানা-শ্যাম্পেইনে, ২০০ মাইল দূরের নিউ ইয়র্কের স্টোনিব্রুকে, আর হাজার দুই মাইল দূরের এরিজোনাতে। আর আমার প্রাক্তন আ্যডভাইজর ছিলেন মেক্সিকোতে। সব মিলে ক্লাসে পড়াতে কিন্তু কোনোই সমস্যা হয়নি, লাগেনি কোনো স্পেশাল যন্ত্রও, কেবল স্কাইপ আর টিমভিউয়ার দিয়ে কাজ চলে গেছে।

----

তবে ডিজিটাল জীবন মানুষকে বেকুব বানিয়ে দিচ্ছে বলে অনেকের মত। বিশেষ করে মনোযোগের বারোটা বেজে গেছে। ধৈর্য্য গেছে নির্বাসনে। কোনো কিছু ১০ সেকেন্ডের মধ্যে না পেলে অস্বস্তি লাগে।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ভ্রান্ত পথিক [অতিথি] এর ছবি

রাগিব ভাই,
ড্রপবক্সের ব্যাপারটা জানলেও আলসেমির কারণে আর একাউন্ট খোলা হয়নি। আজকে আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লিংক থেকে গিয়ে ২৫০ এমবি বোনাসও পেয়েছি।

রাগিব এর ছবি

ড্রপবক্স আমার প্রায় ৬ মাসের পরিশ্রম পানিতে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে, আমার ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক মাস চারেক আগে রাতারাতি অক্কা পেয়েছিলো --- ড্রপবক্স থাকায় ডকুমেন্টগুলা অন্তত ফেরত পেয়েছি। এখন কোনো নতুন ডকুমেন্ট বানালে সোজা ড্রপবক্সে রাখি। আর এটা উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক -- সবখানেই চলে। সাবভার্শন বা সিভিএস করে একই কাজ আগেও করা যেতো, কিন্তু ড্রপবক্সে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে বলে নিজেকে আলাদা করে কিছু করতে হয় না।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

অমিত এর ছবি

গুগলডক্সও খ্রাপ না মনে হয়

রাগিব এর ছবি

অলস মানুষদের জন্য ডক্সে সমস্যা আছে হাসি, ড্রপবক্স কিছু ফেললে আপডেট নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়না। আর ফাইলসিস্টেমের যেকোনো ফোল্ডারকেই ড্রপবক্সের অংশ করা যায় বলে আলাদা করে এসব ফাইল আপলোড করা-টরার ফ্যাকড়াও নাই।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাহ! আমি তো এমনই খুঁজছিলাম। বেশ তো! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

রাগিব,

ধন্যবাদ। শিখলাম নতুন একটা জিনিস।

'পিশিং'-এর উপরে দেওয়া তোমার 'সাজেশন ফলো' করছি। আর কোন সমস্যা দেখতে পারিনি এখনো। আমি সম্প্রতি 'ক্যানাডার বেষ্ট বাই' কোম্পানীতে কিছু জিনিসের জন্যে অর্ডার দিয়েছিলাম এবং একই পাসওয়ার্ড ও ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করেছিলাম। সন্দেহ হচ্ছে সেখান থেকে শুরু হয়েছে কিনা এই 'পিশিং'

ইয়াহু নিজেরা কতটা সিকিউর - সেটা নিয়েও প্রশ্ন জাগছে মনে।

গত বছর একটা ক্লাসে লেকচার দিলাম আমি হপকিন্সে বসে
তোমার কাজ আমি ফলো করছি এবং খুবই গৌরব বোধ করি তোমাদের এইসব সাফল্যে।

শুভেচ্ছা রইল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার বাসার তিনটা ল্যাপটপ, দুইটা স্মার্ট ফোন, একটা ল্যান্ড ফোন, টিভি সবকিছু ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। মাসে ১৭০ গিগার মতন ডাটা ট্রান্সফার হয়। ইন্টারনেট ছাড়া সব অচল। ইন্টারনেটকে হয়ত নাগরিক অধীকার হিসেবে ঘোষনা দিবে কিছুদিন পর।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সাইফ শহীদ এর ছবি

মাহবুব,

ইন্টারনেটকে হয়ত নাগরিক অধীকার হিসেবে ঘোষনা দিবে কিছুদিন পর।
হয়তো দিবে। কিন্তু ভয় হয় জর্জ অরওয়েলের কথা না শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়ে যায়। সেদিন এক সিকিউরিটি এক্সপার্ট বলছিল সম্প্রতি কিছু 'রুট ডিএনএস সার্ভার' নাকি বিশেষ অজানা স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যার অবস্থান কারও জানা নেই। এছাড়া ক্লাউড কম্পুউটিং-এর সাথে সাথে বিভিন্ন ভাবে 'ডাটা মাইনিং' করার ফলে 'প্রাইভেসী' বলে কিছু আদতেই থাকবে কিনা সন্দেহ।

এখন নতুন ভাবে চিন্তা করতে হবে সব কিছু।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

কেমন সুর [অতিথি] এর ছবি

শহিদ ভাই,
আগের 'ডিজিটাল' বর্ণনার সাথে পরের 'ব্যপারটা'র যোগসুত্র খুঁজে পেলাম না মন খারাপ
হয়তো আমিই বুঝি নাই

-- কেমন সুর

সাইফ শহীদ এর ছবি

কেমন সুর,

তোমার কথাটা ঠিক - চট করে যোগসুত্র খুঁজে বের করতে অসুবিধা হতে পারে।

আমার লেখাতে দু'টো ঘটনা বা গল্প আছে। প্রথমটা হচ্ছে প্লেনের টিকিটের ব্যাপারে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে রতনের গল্প। প্রথমটা উপকারী আর দ্বিতীয়টা একটা সুখী সংসার ধংশ করে ফেলার ক্ষমতা রাখে।

আমরা যদি যে কোন নতুন টেকনলজি ব্যাবহার করার সময় আগ-পাছ চিন্তা না করে ব্যবহার শুরু করি, তা হলে অনেক সময় অনভিপ্রেত ফলাফল বয়ে আনতে পারে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

নেহা আর আরমান্দোর ঘটনাটা পড়ে বুয়াপক মজা পেলাম

সাইফ শহীদ এর ছবি

একেই বলে কারো সর্বনাশ, আর কারো পৌশ মাস!

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

কৌস্তুভ এর ছবি

দৌড়ের উপর আছি, দারুণ লেগেছে সেটুকু জানিয়ে গেলাম।

সাইফ শহীদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কৌস্তুভ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

মঈনুল রিয়াদ এর ছবি

আমার ধারনা নিরুর কাচে রতন ধরা খেয়ে গেচেন।

সাইফ শহীদ এর ছবি

মঈনুল,

ব্যাপারটা অবশ্য সবার জন্যে শিক্ষানীয়।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

পৃথিবী [অতিথি] এর ছবি

আমার মানিব্যাগে অবশ্য দশ-বিশটা খুচরা নোট রাখি - যাতে কখনো ছিনতাইয়ের কবলে পরলে ছিনতাইকারীদের খালি হাতে ফিরতে না হয় [এটা পুলিশের বুদ্ধি - তারা বলে কোন টাকা না পেলে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা গুলি ছুড়ে আহত করতে পারে, তাই সামান্য কিছু টাকা সব সময় সাথে রাখা ভাল]।

আমেরিকাতে ছিনতাইয়ের হার কেমন?

সাইফ শহীদ এর ছবি

পৃথিবী,

আমেরিকাতে ছিনতাইয়ের হার কেমন?

খুব একটা না, সামান্য কয়েকটি শহর বা কিছু স্থান বাদে। তাছাড়া লোকজন তো গাড়ীতে থাকে - হাটে কোথায় যে ছিনতাইয়ের কবলে পড়বে?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমাদের কোনো 'আরমান'ই এতো সহজে পূরণ হবে না ... এই নিউকলোনিয়াল সাম্রাজ্যে মন খারাপ

এই সিনেমাটা দেখা যাইতে পারে, মিনহোয়াইল।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাইফ শহীদ এর ছবি

অনিন্দ্য,

ছবিটা দেখিনি। লিঙ্ক দেবার জন্যে ধন্যবাদ। গল্পটা পড়লাম। আমি একবার চেষ্টা করেছিলাম - পরিচিত জনদের মধ্যে - কারা কতটা সুখী এবং তার কারনটা কি বের করতে।

অবাক হলাম যখন বের হলো যে আমার যে বন্ধু অনেক মিথ্যা বলে এবং আপাতঃ আরও অনেক অনুসাঙ্গীয় দোষ আছে - সেই সব চাইতে সুখী রেখেছে তার স্ত্রীকে। তবে এ ব্যাপারে আমার দেখার ও চেনার গন্ডী অনেক সীমিত - ফলে আশা করবো এটাই শেষ কথা না।

এ ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের কি ধারণা? কারা সুখী তাদের মতে?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সততা ছাড়া সুখ নাই। ইহা সকল প্রজন্মের জন্য সত্য।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই মন্তব্যে লাইক!
(সিনেমাটা হাস্যকর বাই দি ওয়ে। মন খারাপ )
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

মজা পেলাম। এই সিরিজের অন্য পর্বগুলো পড়েছি কদিন আগে। সবই ভালো লেগেছে। কিন্তু আপনি এখনো computer-কে কম্পুউটার লিখছেন এটা এখনো মেনে নিতে পারি নি খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফ শহীদ এর ছবি

বুনোহাঁস,

মানুষ তার প্রিয় জিনিসকে অনেক সময় অন্য নামে ডাকতে পছন্দ করে। মনে করোনা - আমিও তাই করছি। আর সবারই যে সব সময় একই কথা মানতে হবে এমন কি কোন কথা আছে?

ইংরেজী computer শব্দটার মধ্যে '‍ি' উচ্চারণ কোথায় আছে - আমাকে কি দেখাবে?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

নাশতারান এর ছবি

ইংরেজিতে u-এর উচ্চারণ আ, উ, ইউ সবই তো বলা হয়। যেমন:

আ:
cut=কাট,
bus=বাস
duck=ডাক

উ:
rude=রুড
jute=জুট

ইউ:
cute=কিউট
abuse=অ্যাবিউস
reduce=রিডিউস

সেভাবেই computer=কম্পিউটার

এটাই প্রচলিত উচ্চারণ। কিন্তু আপনি যদি কম্পুউটার(আমার মতে compoo-ooter শোনায়) ডাকতে ভালোবাসেন, সে ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কম্পিউটারে ই'টা অনেক জাগাতেই স্পষ্ট করে শুনা যায় না .. মানে তারা বলে না।

আবার ধরো সুটেবলে (suitable) কেবল i থাকার কারণে আমরা সুইটেবল বলি ... যেইটা নাকি আবার ঠিক না মন খারাপ

তবে সমস্যা হইল, যেম্নে কয়, সেম্নে লিখলে, পাঠকের বুঝাবুঝির সমস্যা হইতে পারে, সেইটাতে যদি লেখকের সমস্যা না থাকে, তাইলে আর সমস্যা কী!


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ আখতার এর ছবি

এ শব্দের সঠিক উচ্চারণ হবে "কম্পিউতা"। শেষ 'র" উচ্চারিত হবে না। কিন্তু বঙ্গদেশে, এটাতো সর্বজন গ্রাহ্য হবে না। প্রচলিত বানানই শুদ্ধ বানান। ভুল হলেও!

আখতার

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি প্রযুক্তির ব্যবহারকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখি। এটা মানুষের জ্ঞান অর্জনের গতিকে বাড়িয়ে দেয়, আমাদের সীমিত বয়সসীমার কথা ধরলে এটা নিশ্চিতভাবেই একটা পজিটিভ ব্যাপার।

অটোমেশন হিউম্যান রিসোর্সকে প্রতিস্থাপনের সমস্যার মূলে আছে প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিতে অপারগতা। উদ্বৃত্ত জনশক্তিকে কাজে লাগানোর খাত বের করার ব্যর্থতার দায়ভার প্রযুক্তির ওপরে চাপানো অন্যায়। প্রযুক্তির বিকাশ সবক্ষেত্রে সমানভাবে হয় না। এখন হয়তো ইনফর্মেশন টেকনোলজির ক্ষেত্রে কাজ বেশি হচ্ছে; কিন্তু হিউম্যান রিসোর্স প্ল্যানিংয়ের ক্ষেত্রেও কাজের হার বাড়বে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই সবকিছু ইকুইলিব্রিয়ামের দিকে যেতে থাকে, যদিও সেখানে কখনো পৌঁছায় না।

লেখা যথারীতি ভালো লেগেছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাইফ শহীদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই,

আমি নিজেও একজন প্রযুক্তিবিদ হিসাবে প্রযুক্তিকে পজিটিভ ব্যাপার হিসাবে গন্য করি। তোমার কথা গুলি খুবই যুক্তিযুক্ত এবং সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমার তো উনার কাহিনি পড়ে একটু মায়াই লাগতেসে হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সাইফ শহীদ এর ছবি

স্বপ্নাহত,

আমার তো উনার কাহিনি পড়ে একটু মায়াই লাগতেসে

মায়া হয়েছে আমারও।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধুসর গোধূলি,

কেউ কলার খোসায় পা-পিছলে রাস্তায় চিৎ-পটাং হলেও আমরা মজা পাই। আমরা অদ্ভুত, তাই না?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ শহীদ এর ছবি

শিমুল,

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

এটার জন্যে দায়ী কিন্তু মাথার মধ্যের কিছু কিছু কেমিক্যাল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

তিথীডোর এর ছবি

'এটার জন্যে দায়ী কিন্তু মাথার মধ্যের কিছু কিছু কেমিক্যাল।'
হুমম..
চিন্তিত শি'পু, মনে থাকবে তো?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

অনেক আইফোন ওয়ালা কে দেখি মুদি দোকানের কুপন এর একটা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে। চেক আউটের সময় মোবাইল ফোনে বারকোডটা দেখালেই হলো। সেদিন দেখলাম আরেকটা অ্যাপ্লিকেশন। যেকোন জিনিশের ছবি তুলে সার্চ দিলেই তার নাম ধাম, ডিসকাউন্ট কুপন সব চলে আসে। পরীক্ষা করতে গিয়ে একটা ছবিওয়ালা খাতার ছবি তুলে সার্চ দিতেই বল্লো কভারের ছবিটা কোন এক কবিতার বই এর কভার থেকে মেরে দেয়া!!

তবে গুগলের কারণে যেটা হয়েছে কোন তথ্য এখন আর মাথায় স্টোর হয় না। আগে ২০-৫০টা দেশের রাজধানী কি আলোর গতি সব ঠোঁটের আগায় থাকতো, এখন গুগ্লানোর সুযোগ না থাকলে সেগুলা মনে করতে চউক্ষে তারা দেখতে হয়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাইফ শহীদ এর ছবি

শিশিরকণা,

গুগলের কারণে যেটা হয়েছে কোন তথ্য এখন আর মাথায় স্টোর হয় না।

"শিশিরকণা" গুগল সার্চ করাতে প্রায় দেড় হাজার হিট পেলাম।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

দুর্দান্ত এর ছবি

যে দেশের সাংসদের সিংহভাগ ২০১০ এর অক্টোবর মাসে এসেও নিজের হাতে বোতম চেপে কোন ইমেইল পাঠাননি, সেদেশেকে ডিজিটাল হতে "যেখানে সেখানে 'আঙ্গুল' ঢোকানো" ছাড়া গতি কি?

ইন্নামাল আ'মালু বিন্নিয়্যাত। আম্লকির ডিজিটাল বাংলাদেশ কৌশলপত্র পড়লে আর তাদেরকে দোষ দেয়া যায়না। কারন কৌশলপত্রে আম্লকি নতুন কিছুর অঙ্গীকার করা করির মধ্যেই যায়নি; ১০ লাইনের গরুর রচনা লেখার মত করে লেখা এই কৌশলপত্র থেকে উঁচু কোন বৌদ্ধিক উতকর্ষতা বা কার্যসম্পাদনের সদিচ্ছার প্রতিফলন আশা করাটা ঠিক না।

যত দোষ ব্যাক্কল পাবলিকের। কার 'আঙ্গুল', কিসের 'আঙ্গুল' আর এই 'আঙ্গুল' কার কোথায় ছিল, এগুলো ভাবার দায়দায়িত্ব আমাদের জাতির ভাগ্নের হাতে সঁপে দেয়া হয়েছে। আমাদের কাজ আপাতত ডিজিট চোষা।

---

সৌদি আরবের রিয়াদের গ্রানাডা সেন্টারের সুবিশাল জারা'র প্রবেশ পথ। সাদা আলখাল্লার সদ্য মোচদাড়ি ওঠা চেংড়া পোলাপান একপাশে জটলা করে আছে। কালো কালো আবায়া/হিজাব/নেকাব ঢাকা মেয়ে/মহিলার ছোট ছোট দল ঢুকছে বেরিয়ে যাচ্ছে।

থেকে থেকে হাসাহাসি উঠছে দুই পক্ষ থেকেই।

বিষয় কি?

ব্লুটুথ দিয়ে টাংকিবাজী চলছে। যদি লাইগা যায়।

সাইফ শহীদ এর ছবি

দুর্দান্ত,

দুর্দান্ত সব কথাবার্তা।

আমাদের কাজ আপাতত ডিজিট চোষা।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

তাসনীম এর ছবি

লেখা যথারীতি ভালো লাগলো।

তারা বলে কোন টাকা না পেলে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা গুলি ছুড়ে আহত করতে পারে, তাই সামান্য কিছু টাকা সব সময় সাথে রাখা ভাল

আমার মা এই পলিসিতে বিশ্বাস করতেন, উনি মানিব্যাগ খালি না রাখার উপদেশ দিতেন, আমরা এটাকে বলতাম "ডাকাত খরচ"।

তথ্য প্রযুক্তি এখন জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাতে...আমি জন নামের একজনের সাথে বছরের পর বছর কাজ করেছি, গিফট বিনিময় হয়েছে...সামনা সামনি কোনদিন দেখা হয় নি। আস্তে আস্তে সম্পর্কের ডেফিনিশন বদলে দিচ্ছে প্রযুক্তি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ শহীদ এর ছবি

এমিল,

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

"ডাকাত খরচ" - বেশ নতুনত্ব আছে এই শব্দে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

নেতা বলেছে তাই পাতিনেতাগণ বুলি আওড়াচ্ছে, এটাই আমাদের ডিজিটালাইজেশন। যে দেশে এমপি হওয়ার জন্য শিক্ষার কোন প্রয়োজন হয় না, সেখানে এর বেশী আর কী কাম্য হতে পারে! তবে আমি আশাবাদীদেরই দলে। দেরীতে হলেও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

কামরুল,

তবে আমি আশাবাদীদেরই দলে।

এইটাই ঠিক কথা। আশা রাখা উচিত এবং সাধ্যমত পথ বাতলিয়ে দেখিয়ে দেওয়া উচিৎ কি ভাবে কি করা যায়।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

নৈষাদ এর ছবি

বিশ্লেষণটা ভাল লাগল।

টেকনলোজির কিছু ফ্লিপ সাইড থাকা সত্ত্বেও অছ্যুৎ বলাই এর সাথে একমত। আমাদের মত দেশে অটোমেশনের আরেকটা ভাল দিক হল এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে করাপশন কমতে বাধ্য।

মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপসন এবং ডেটা প্রটেকশনের ব্যাপারটা নিয়ে আমারও কিছুটা কনফিউশন ছিল। তবে এটা সত্যি যে ভারতে মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপসনের ব্যবসা আছে। আমার ধারণা এসব ক্ষেত্রে আইডেন্টিটি গোপন করে কোন ধরণের কোড ব্যবহার করা হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই, আপনি অটোমেশনের নেতিবাচক দিকগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন। অনেক কিছুই নতুন জানলাম। এমন দিন হয়তো সামনে আসছে যে প্রতি পরিবার থেকে একজন করে মানুষ এমপ্লয়মেন্ট পাবে কি না তা'ই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে। মালাউতে দেখেছিলাম সরকার মেশিন দিয়ে ঘাট কাটা নিশেষ করেছে। কিন্তু এভাবে সমস্যার আর কতটুকু সমাধান সম্ভব। ইনডিয়া বা ফিলিপিনের মতো দেশগুলো যারা লো-কষ্ট স্মার্ট ইয়াং জেনারেশন তৈরী করছে, তাদের জন্যে আউটসোর্সিংটা ভালোই কাজ দিচ্ছে।

রাতঃস্মরণীয়

সাইফ শহীদ এর ছবি

রাতঃস্মরণীয়,

সমস্যার সমাধান যে কেবল সরকার বা কনসাল্টেন্টের মাথা থেকে বের হবে এমন আশা করা বাতুলতা। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কোথাও না কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে নতুন চিন্তা করার মানুষ। আমাদের সবাইকে সেই সব মানুষের কথা শোনার মত মুক্ত মন নিয়ে থাকতে হবে।

আমি কিন্তু এখনো অপেক্ষা করে আছি আফ্রিকার আরও অভিজ্ঞতার গল্প শোনার জন্যে।

শুভেছা রইল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

mef এর ছবি

যদিও বলেছেন "'ডিজিটাল বাংলাদেশ' নিয়ে কিছু লিখতে আসিনি।:"কিন্তু একটা মন্তব্য পড়ে লিখছি....

বাংলাদেশে বসে বিদ্যুত, গ্যাস, ওয়াসা বিল সেলফোনে দিচ্ছি। আমিই দিচ্ছি। (সবাই কি সরকারী ব্যাঙ্কে বিল দেবার বিভৎস কুৎসিত দিনব্যাপি লাইনের কথা ভুলে গেলাম ?)
এবার আয়কর হিসাব করলাম বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবের সফটওয়্যারে। পচিশ পয়ত্রিশ ডলার দিয়ে আমেরিকার টারবোট্যাক্স না......ফ্রী। ট্যাক্স দিলাম অনলাইনে।
ছেলেমেয়েরা ইঊনিভার্সিটি ভর্তির পরীক্ষা রেজিস্টেশন করছে ঘরে বসে। ডিইউ তে লম্বা লাইন মারামারি নেই ফর্ম নিতে আর জমা দিতে।

পাসপোর্ট তৈরী হলে ইমেইল আসছে নিয়ে যাবার জন্য।

বাংলাদেশের হিসাবে মন্দ কি এ কয় দিনে ?

ভূমি রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড ডিজিটাল (অটোমেশন কি ?) হচ্ছে।
কত বিশাল ব্যাপার ........

সবচেয়ে বড় কথা কেউ ভাবছে সমস্যা আর সমাধান নিয়ে ।

ন্যাশনাল ভিশনকে ঠিক করে...'ব্রান্ডিং' করে ডাকলো নাহয় "ডিজিটাল বাংলাদেশ" বলে। (এনালগ .. না .. ডিজিটাল..)

সমস্যা তো দেখিনা। কাজ তো কিছু হচ্ছে !!!!!!

সেটাই কি বড় কথা না ?

সাইফ শহীদ এর ছবি

mef,

খুব ভাল লাগলো আপনার কাছ থেকে এই বর্ণনা গুলি জানতে পেরে।

ঠিক কথা - 'নামে কি আসে যায়', আমাদের কাম হলেই হবে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লেখা ইন্টারেস্টিং হয়েছে।

নিতান্ত কৌতূহল বশে দুইটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে -

"কাজটা ছিল টেক্সাসের ইন্টার-মিডিয়েট ছাত্রদের ইংরেজী পরীক্ষার খাতা দেখা। "

ইন্টার-মিডিয়েট বলে আপনি কি হাইস্কুল বোঝাচ্ছেন?

যদিও digit-এর এক বাংলা প্রতিশব্দ 'অঙ্গুলী' বা 'আঙ্গুল' এবং বিশেষন রূপ 'আঙ্গুলীয়' হতে পারে - তবে আমি শব্দটা একটু ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহার করেছি।

আপনি কি এই [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Digit_(anatomy)]ডিজিট[/url] এর কথা বলছেন? এর সাথে এর বিস্তর ফারাক আছে বলেই হয়তো আমি "ডিজিটাল" এর প্রতি এর রেফারেন্সটা ধরতে পারিনি।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সাইফ শহীদ এর ছবি

অবাঞ্ছিত,

ইন্টার-মিডিয়েট বলে আপনি কি হাইস্কুল বোঝাচ্ছেন?

ইন্টার-মিডিয়েট বলতে গ্রেড ১২, বা হাই স্কুল শেষ পরীক্ষা বলতে চেয়েছি।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

The word digital comes from the same source as the word digit and digitus (the Latin word for finger), as fingers are used for discrete counting.

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অবাঞ্ছিত এর ছবি

গরু খুঁজে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ হাসি

হাইস্কুল শেষ পরীক্ষা কি এ.পি টেস্ট? না এ.সি.টি জাতীয় কিছু?

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সাইফ শহীদ এর ছবি

সবাইকে,

আগ্রহভরে এই লেখাটা পড়ার জন্যে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এটা একটা নিছক 'ইনস্টান্ট লেখা' - এক ঘন্টার মধ্যে। কোন সরকার বা কাউকে আঘাত করার বা ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে লেখা না।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার করে বিষয়টি তুলে এনেছেন। ভালো লাগলো
মমতাজ আপাকে আমার শুভেচ্ছা বলবেন। আমি "একুশ" এর হামিদা।

ভালো থাকুন

-----------------------------
হামিদা আখতার
Los Angeles

hamida_k7@yahoo.com

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ ভাই, ভাল লেগেছে আপনার লেখা। আমি সচলে মাত্র নিবন্ধন করলাম, আবশ্য আপনার লেখা আগেই পরেছি। নেহা আরমান এর কান্ড মনে হল "সুখে থাকলে ভুতে কিলায়', তবে মজার ঘটনা।

শামীম আরমান

সাইফ শহীদ এর ছবি

শামীম,

নেহা আরমান এর কান্ড মনে হল "সুখে থাকলে ভুতে কিলায়', তবে মজার ঘটনা।
কথাটা অনেকটা ঠিক। স্বাভাবিক এবং সাধারন জীবনে থাকার সময় অনেক সময় মনে হয় 'কি বোরিং এই জীবন'। উদাহরন দিয়ে বলি - সম্প্রতি চিলির খনি শ্রমিকরা যখন দুই মাস আটকে থাকার পর উদ্ধার হতে পারলো, তখন নিশ্চয় নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে 'বোরিং জীবন' কতটা কাম্য হতে পারে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

আহসানুল হাকিম এর ছবি

আপনার এই লেখা ভাল লেগেছে। আপনার সঙ্গে কী উপায়ে যোগাযোগ হতে পারে জানালে খুশি হব। e-mail address-e mail korle paabo.

সাইফ শহীদ এর ছবি

আহসানুল হাকিম,

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আমার ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছেঃ


saif_shahid@yahoo.com

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভার্চুয়াল প্রেম যখন হয় ভার্চুয়াল বিয়েটাও চালু হয়ে গেলে খারাপ না

সাইফ শহীদ এর ছবি

মাহবুব লীলেন,

ভার্চুয়াল প্রেম যখন হয় ভার্চুয়াল বিয়েটাও চালু হয়ে গেলে খারাপ না

কথাটা অনেকগুলি চিন্তার জন্ম দিল। কোন বিয়েটা 'ভার্চুয়াল' না? যদি ইতিহাস দেখি তবে এক সময় এগুলি সবই বিয়ে হিসাবে গন্য হতঃ

- গুহা যুগের মানুষ গায়ের জোর দেখিতে নিয়ে যেত তার ঐ মুহূর্তের পছন্দের মেয়েটিকে।

- নিজেদের মধ্যে মালা বদল বা আংটি বদল করে।

- হিন্দু সমাজে পুরোহিতের পরিচালনায় আগুনের পাশে সাত পাক ঘুরে।

- খৃষ্টান এবং আরও কিছু সমাজে বর বউ সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে একে অপরকে গ্রহন করতো পুরোহিতের বা ঐ ধরনের কারও সামনে। সবার সামনেই চুমা খেত বর বউ।

- বর্তমান অধিকাংশ দেশে বর বউ কোর্টে যেয়ে বিয়ে করতে পারে।

সেদিক দিয়ে বলতে গেলে এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ বিয়ে 'ভার্চুয়াল বিয়ে' হিসাবে গন্য হতে পারে। বর বউ আলাদা ভাবে আলাদা ঘরে বসে তাদের নিয়োজিত উকিলের কাছে তাদের সম্মতি জানায়। এটা কি এক ধরনের 'ভার্চুয়াল বিয়ে' নয়?

এছাড়াও আমি আগের দিনের কিছু ঘটনার কথা জানি যেখানে বিলাতে পড়াশোনা করছে বর, টেলিফোনে বাংলাদেশে অবস্থিত কনের সাথে বিয়ের অনুষ্টান সম্পন্য করেছে।

এ ছাড়া আর কি কি ধরনের ভার্চুয়াল বিয়ে হতে পারে বর্তমানের এই 'আঙ্গুলীয়' যুগে?

মন্তবের জন্যে এবং নতুন কিছু চিন্তার খোরাক দেবার জন্যে ধন্যবাদ রইল।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা, এই অবজারভেশনগুলো মারাত্মক! মাঝেমাঝে মনে হয় কিছু কিছু মানুষকে ডেকে এনে পড়াই, যদিও লাভের লাভ কিছুই হবে না, ঐ যে বলে না? You can take a horse to the water, but you can't make it drink. যাই হোক, অনেক আগ্রহ নিয়ে একটা বই পড়তে শুরু করেছিলাম Thomas L. Friedman এর The World is Flat, মুশকিল হল আমি হার্ড কপি ছাড়া কিছুই পড়ে আরাম পাইনা। মন খারাপ তাই সেই পিডিএফ বই আদ্ধেক পড়ে তোলা আছে আজকে দেড় বছর হল। আউটসোর্সিং নিয়ে সেখানে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু কথা আছে, কীভাবে ইন্ডিয়া এমনকি চায়নাও এগিয়ে গেছে তার অনেক টুকিটাকি হিসেব আছে। আর আমি পড়ে ভাবছি আমাদের এখানে হর্তা-কর্তাদেরকে আউট-সোর্সিংটা কী, সেটা বোঝাতেই কিনা তিন/চার বছর পেরিয়ে যাবে! ফ্রিডম্যান কিন্তু তার প্রথম চ্যাপ্টারেই ভারতে মেডিক্যাল ডেটা অ্যানালিসিস থেকে শুরু করে ট্যাক্সেশন ক্যাল্কুলেশনের সিকিউরড স্পেশাল ব্যাবস্থায় আউটসোর্সিং সম্পর্কে লিখেছেন। দেখি বইটা পড়ে শেষ করে ফেলব যে করে হোক।

আর ইয়ে, আমার মনে হয় আপনি রিল্যাক্স থাকতে পারেন, নীরু খালা আসলে ব্যাপারটা ধরে ফেলেছেন মনে হয়, তাছাড়া একটু শাস্তি পাবার দরকার আছে মানুষের, হয়ত কখনো কখনো দু'পক্ষেরই... অনিন্দ্যের কথাটা বড় সত্য - সততা ছাড়া সুখ নেই!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার,

The world is Flat - বইটার হার্ড কপি ছাড়াও আমার কাছে একটা পেপার-ব্যাক বোধ হয় আছে। চাইলে পাঠিয়ে দিতে পারি। তিনটি পুলিটজার প্রাইজ পাওয়া সাংবাদিক, ফ্রাইডম্যানের লেখা আমিও পেলে আগ্রহ ভরে পড়ি। ৯/১১-এর পর ২০০২ সালে তার প্রকাশিত 'Longitudes and Attitudes' (The world in the age of Terrorism) আর একটি এমন ধরনের চোখ খুলে দেওয়া বই। সুযোগ পেলে দেখো।

আপাতত ঠিক করেছি নেহা-আরমান তাদের সমস্যা তারাই সমাধান করুক। ঠিকই - এটা অনেকটা 'সুখে থাকলে ভুতে কিলানোর' মত ব্যাপার। ঘটনা বেশী কিছু সিরিয়াস মোড় নিলে তখন দেখা যাবে।

শুভেছান্তে -

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনি আমাকে না চাইতেই বই দিতে চাইছেন??! অ্যাঁ
আমি তো এটা শুনেই আনন্দে দাঁত বের করে ফেললাম! সাবধান সাইফ মামা, আমি কিন্তু শেষে বিশাল একটা বইয়ের লিস্টি ধরিয়ে দেব!
দেঁতো হাসি
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার,

বসতে দিলে শুতে চাইছো?

আসলে ব্যাওয়ারটা হচ্ছে যে মাঝে মাঝে আমি স্থানীয় লাইব্রেরীর ডিসকাউন্ট বুক স্টোরে ঢু মারি এবং সস্তা দামে বই পেলে কিনে ফেলি। 'ওয়ার্ল্ড ইজ ফ্লাট' পেপার ব্যাক বইটা আগেই কিনেছিলাম, পরে লাইব্রেরী থেকে একটা হার্ড কভার কিনেছি।

যদি বইটা চাও তবে আমার ই-মেইলে তোমার এড্রেস পাঠিয়ে দিও, ডাকে পাঠিয়ে দিব।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

তিথীডোর এর ছবি

আপনার লেখা সব সময়ই ভাল লাগে।
যথারীতি এটাও ভালো লাগলো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাইফ শহীদ এর ছবি

লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তিথি।

চিন্তিত শি'পু, মনে থাকবে তো?
মানেটা কি?

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।