এসো কোয়ান্টামের রাজ্যে-২ (অথবা, রমনার চিঠি থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অর্ধেক মালিকানা)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৭/০৭/২০১৩ - ৬:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
১৯২১ সাল, পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বিশেষ বছর; কারন এবারেই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যাক্তির নাম আলবার্ট আইনস্টাইন। আবার বঙ্গভঙ্গ এবং তা রদের পরে সুপার গ্লু দিয়ে জোড়া লাগানো বাংলার রাজধানী ঢাকায় ঠিক এ বছরই শুরু হয় একটি ইতিহাসের যাত্রা, যার নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই শুরুর সময়কার বিভাগগুলোর একটি হল পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ। কিন্তু আইনস্টাইন-ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্ক-বোর প্রমুখের মত ডাকসাইটে পদার্থবিজ্ঞানীদের স্বর্নযুগে অজ-পাঁড়াগায়ের সে নবীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে বৈপ্লবিক কোন চিন্তা বা অনুমিতির (hypothesis) জন্ম হতে পারে সেটা বোধহয় কেউই ভাবেনি। আর এ অভাবনীয় কাজটিই ১৯২৪ সালে করে বসেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

কার্জন হল থেকে খোদ আইনস্টাইনকে চিঠি (ছবি দ্রষ্টব্য) লিখে জানান যে ম্যাক্সপ্ল্যাঙ্কের এক হিসাবে একটু গড়মিল আছে, হিসাবটা অন্যরকম হলে ভাল হত। বিকল্প হিসাবের নমুনাও দেখান তিনি। আইনস্টাইন সমঝদার মানুষ। তৎক্ষণাৎ চিঠির জবাব (ছবি দ্রষ্টব্য) দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বসুর ইংরেজি প্রবন্ধটি নিজেই জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে “সাইটশ্রিফট ফুর ফিজিক” নামের জার্নালে প্রকাশের অনুরোধ জানান সম্পাদককে। সে অনুরোধ যে গৃহীত হয় তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কি ছিল সেই চিঠিতে? কি এমন চিন্তা যাতে আইনস্টাইন তৎক্ষণাৎ সাড়া দিলেন? আসুন জেনে নেই।

২।
মুশকিল হল, সত্যেন বসু ঠিক কি করেছিলেন সে ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই কোনও ধারনা নেই। এই সুযোগে বদলে দেবার পত্রিকাটি নির্দ্বিধায় লিখে ফেলে “সত্যেন বসু আইন্সটাইনের সাথে নতুন পরিসংখ্যান আবিষ্কার করেন, এটাই বোসন কণা” যেন ছিল রুমাল- হয়ে গেল বেড়াল। কিংবা মুসাফিরের হাতে গড়া সুপ্রাচীন পত্রিকাটিতে ফরহাদ মজহার লিখে বসেন “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন বোস আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব শুধরে দিয়েছিলেন”। অজ্ঞানতা বশত আমরা গদ গদ হয়ে সে আবর্জনা গিলি, কখনো বয়েও বেড়াই। আমরা অনেকেই সার্সন রোডের পিয়ানো বাজানো মানুষটিকে চিনতে পারি তাঁর প্রয়ানের পরে। অথচ সকাল-বিকাল নিয়ম করে ভারতীয় শান্তিটিভিতে জোকার্নায়কের রিয়ালিটি শো দেখে গলে যাই, ইউটিউবে তেতুলের গুণগান শুনে লজ্জা পাই। আমরা কাদের মোল্লার উঁচানো আঙ্গুল আর অশ্লীল হাসি দেখে ক্ষেপেক্ষুপে শাহবাগে ঘুরান দিয়ে এসে মাস ফুরাতেই সব ভুলে যাই। কিংবা গোলামের নুরানী চেহারা দেখে “আহা, বেচারা বুড়ো মানুষ” ভেবে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। আর অল্প একটু তথ্যের অভাবে সত্যেন বসু পড়ে থাকেন ঝাঁপির ভেতর, ঝাঁপি থাকে রথের ভিতর, আর সেই রথ থাকে বুয়ান দ্বীপের তলায় । যাকগে, ধান ভানতে বসে শিবের গীত গাইতে গাইতে একেবারে স্বর্গের রংমহলে পৌঁছে যাচ্ছি, এবার লাইনে আসি। অনেক বৈজ্ঞানিক তত্ত্বেই কিন্তু কিছু অনুমিতি থাকে, কখনও তা সহজ-স্বাভাবিক, কখনও বা বৈপ্লবিক। যেমন ম্যাক্সপ্লাঙ্ক যখন ‘শক্তি নিরবিচ্ছিন্ন নয়, বরং টুকরো টুকরো’ এই ধরে হিসেব কষলেন এটি ছিল রীতিমত বিপ্লব। কিংবা বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বে আইনস্টাইন আলোর গতিবেগ ঠিক রাখতে গিয়ে স্থান-কাল সব নড়িয়ে দিলেন। ‘আলোর গতিবেগ সর্বত্র সমান’ এটিও আইনস্টাইনের এক বৈপ্লবিক অনুমিতি। তেমনি সত্যেন বসুও কিছু বৈপ্লবিক অনুমিতির জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন কোয়ান্টাম কণার দশা-স্থানের (phase-space) ক্ষুদ্রতম আয়তন হল h কিউব [h হল গিয়ে প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক, এটিই যেকোন শক্তির নুন্যতম অংশ] যা অনেক পরে হাইজেনবার্গের তত্ত্ব দ্বারা প্রমাণিত হয়। আর সবচেয়ে আকর্ষনীয় চিন্তাটি হল- তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে আলোক কণা গুলো সব হুবহু একই রকম, যমজ বাচ্চাদের মত। এর পরের হিসাবটুকু একেবারেই সোজা।

৩।
পৃথিবীর যেকোনো একটি Homo Sapience নেয়া হলে, মোটা দাগে সে হয় মানুষ হবে, নয়তো অমানুষ হবে। এরপরে হিন্দুমুস্লিমবৌদ্ধখ্রিস্টানআর্যনার্যব্রাহ্মনশুদ্রশিয়াসুন্নিকাদিয়ানিমুতাজিলা ইত্যাদি ম্যালা গিয়ানজাম। তেমনই মহাবিশ্বের যেকোনো একটি মৌলিক কণা নেয়া হলে মোটা দাগে সেটা হয় ‘বোসন’ নয় ‘ফার্মিওন’ হবেই হবে। এরপর ইলেক্ট্রন-প্রোটন-নিউট্রন-ফোটন-গ্লুয়ন-ব্যারিওন-লেপ্টন-মেসন ইত্যাদি হরেক জাত-পাতের ম্যালা গিয়ানজাম আছে, সেদিকে আপাতত না যাই। যাহোক, এই বোসন নামটাই এসেছে বসুর নাম থেকে, আর ফার্মিওন এসেছে আরেকজন বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির নাম থেকে। মৌলিক কণাদের মাঝে যারা হুবহু একই রকম তারা হল বোসন। এরা একই সাথে একই জায়গায় গাদাগাদি করে অনেকগুলো একসাথে মিলেমিশে থাকতে পারে। এরা অনেকে মিলে একপাতে খায়, একখাটে ঘুমায়, একলাইনে প্রাতঃকৃত্য করতেও দ্বিধা করে না। শ্রদ্ধেয় এ এম হারুন অর রশীদ স্যারের ভাষায়- “বোসন হল আড্ডাবাজ বাঙ্গালীর মত”। পদার্থবিজ্ঞানের খটোমটো ভাষায় যাদের স্পিন আস্ত, মানে ১,২,৩ ইত্যাদি তারাই হল গিয়ে বোসন। [যারা ভাবছেন স্পিন আবার কি তাদের জন্য বলি স্পিন, মৌলিক কণিকাদের একটি ধর্ম। স্পিনের বিস্তারিত গল্প আরেকদিনের জন্য তোলা থাক] অন্যদিকে বাকী অর্ধেক কণা, অর্থাৎ ফার্মিওনরা প্রচণ্ড হিংসুটে আর ঝগড়াটে। ফার্মিওন সমাজে বর্ণভেদ প্রচণ্ড। হুবহু একই অবস্থার দুটো ফার্মিওন কখনওই পাওয়া যাবেনা। অর্থাৎ একই জায়গায় একাধিক ফার্মিওন থাকলে দেখা যাবে- একটা ঘুমালে আরেকটা ফুটবল খেলছে, একটা খেতে বসেছে তো আরেকটা পাশে দাঁড়িয়ে প্রাতঃকৃত্য সারছে। এদের স্পিন হল ভাঙ্গাচোরা অর্থাৎ ভগ্নাংশ যেমন ১/২, ৩/২ ইত্যাদি। এখন এই বোসনেরা যেহেতু সবাই এক রকম আর ফার্মিওনেরা একেক জন একেক রকম তাই বোসনদের হিসাবপত্র আর ফার্মিওনদের হিসাবপত্রও আলাদা ধরনের। বোসন সংক্রান্ত গোনাগুনতির নাম হল ‘বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’, সব বোসন এই পদ্ধতি মেনে চলে। অথবা উল্টোভাবে বললে যারা এই পরিসংখ্যান মেনে চলে তারাই বোসন। আর ফার্মিওন সংক্রান্ত হিসাব পদ্ধতির নাম ‘ফার্মি-ডিরাক পরিসংখ্যান’ যার সাথে জড়িয়ে আছে আর এক কিংবদন্তী পদার্থবিদ পল ডিরাকের নাম।

৪।
এই দুই হিসাব সম্পর্কে আর একটু বুঝিয়ে বলি। আবু ইউসুফের কথা মনে আছে তো? [না থাকলে, চরম উদাসের লেখা পড়ে আসেন আগে। পড়া শেষ? ওকে, এইবার শুনেন তাহলে] মনে করেন আবু ইউসুফের কাছে ৩ টা খাঁচা আছে। আর আছে ২ টা বান্দর, একটা সাদা একটা কাল। বান্দর দুইটা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেনা- একজন “গোলামাজমের পুটু চাই” বলে স্লোগান দিলে আরেকজন “তারেকাণু’র ফুটু চাই” বলে গগন বিদারী চিৎকার দিয়ে ওঠে, এই অবস্থা। এদেরকে একসাথে রাখলেই হয় পানিপথ নয়তো কুরুক্ষেত্র। এই অবস্থায় একটাই করণীয়- ২ বান্দরকে আলাদা খাঁচায় রাখা। এখন খাঁচা যেহেতু ৩ টা, আবু ইউসুফের বাহিনীর চেহারা হল একরকম (ছবি দ্রষ্টব্য) । আচ্ছা, এবার ধরলাম বন্ধুর বিপদে চরম উদাস যথারীতি এগিয়ে আসলেন। ছাই রঙা ২ টা বান্দর পোষবার ভার তিনি নিলেন। ফ্রি পেলেন ৩ টা খাঁচা। চরম উদাস কাবেল মানুষ। তিনি এসেই আগে ইউএসবি কেবল দিয়ে তাদের ব্রেনে “এসো নিজে করি- কীভাবে নরম মানুষ হবেন” প্রোগ্রামটি ইন্সটল করে দিলেন। ফলাফল ২ বান্দরই ‘বানর-বানর ভাই ভাই/বাঙ্গীর উপরে ফল নাই’ স্লোগান দিয়ে গলাগলি ধরে সুখে শান্তিতে থাকার প্রতিজ্ঞা করল। [ইয়ে... মানে... ক্রিয়েটিভ বান্দর তো, উদাসদার প্রোফাইল পিকচার দেখে স্বজাতি ভেবে তাদের স্রষ্টাকে টানা হ্যাঁচড়া করলে কিন্তু আমার দোষ নাই দেঁতো হাসি ]। যাহোক, এখন ৩ খাঁচা আর ২ বান্দরের সিস্টেমে উদাস’দার বাহিনীর চেহারা হল আরেকরকম (ছবি দ্রষ্টব্য)। কি বুঝলেন? আবু ইউসুফের ২ বান্দর ৩ খাঁচা, চরম উদাসেরও ২ বান্দর ৩ খাঁচা, অথচ এক যাত্রায় দুজনের ফল হল আলাদা। সবাই মনে হয় এতক্ষনে বুঝে গেছেন, আবু ইউসুফের বান্দরগুলো ফার্মিওন জাতের, আর চরম উদাসের গুলো বোসন।

৫।
বসুর আপাত নিরীহ এই হিসাবপত্রের ফলাফল ছিল ভয়াবহভাবে সুদূরপ্রসারী। জন গ্রিবিন তাই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন- “It is no co-incidence that the name ‘Photon’ was coined for the particle of light only in 1926, after Bose had put the quantum theory of light on a secure mathematical footing”। বসুর তত্ত্ব থেকেই পদার্থের পঞ্চম অবস্থার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, বসু অবশ্য তাঁর এই সাফল্য দেখে যাতে পারেননি। তিনি তাত্ত্বিকভাবে হিসেব করে দেখিয়েছিলেন, তাপমাত্রা খুব কমিয়ে আনলে ছোটাছুটির শক্তি হারিয়ে পরমাণুরা একেবারে গায়ে গায়ে লেগে বোসনের মত আচরন করে (এমনিতে, একটা পরমাণু কখনও আরেকটার একেবারে ঘাড়ের উপর এসে পড়তে পারেনা, একটা দুরত্বে এসে আটকে যায়)। তখনকার প্রযুক্তিগত বাস্তবতায় সেই অতি নিম্ন তাপমাত্রায় পৌঁছুন সম্ভব হয়নি। তাঁর তাত্ত্বিক রেসিপি মোতাবেক, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন বা BEC বাস্তবে রাঁধতে বিজ্ঞানীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। প্রক্রিয়াটাও চমৎকার, নাম হল ফুটিয়ে ঠান্ডা করা (Evaporative cooling)। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে চুম্বকের খাচায় পরমানু রাখা হয়। এরপরে, বান্দর টাইপ যেগুলা অর্থাৎ কিনা যাদের শক্তি বেশি তারা যথারীতি খাঁচা থেকে বের হবার জন্য লাফাঁঝাপা শুরু করে। কিন্তু খাচার বাইরে ঘাড়ত্যাড়া বিজ্ঞানীরা ওঁত পেতে বসে থাকেন, মাথা তুললেই খপ! এভাবে বেশি শক্তিশালী পরমাণু গুলোকে ঘাড় ধরে খাঁচা থেকে বের করে দিলে খাঁচার তলায় পড়ে থাকে কম শক্তির শান্তশিষ্ট পরমাণু, আর শক্তি কম মানে তাদের তাপমাত্রাও কম; কারন তাদের ভাগের শক্তি খেয়েই কিন্তু বান্দরটাইপ পরমাণু গুলো পালিয়েছিল। ব্যাস, খাঁচার ভেতর এখন গরমাগরম, থুক্কু অতি-হিমশীতল বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন বা BEC একদম রেডি। এটা একটু হলেও মন খারাপ করার মত ব্যাপার যে, তাঁর রেসিপি রেঁধে অনেকে নোবেল পুরস্কার পেলেও তাঁর ভাগ্যে সে সম্মান জোটেনি, শান্তিতে যেমনটা জোটেনি মহাত্না গান্ধীর। কিন্তু আকর্ষনীয় হলেও নোবেল যে শুধু যে নিছক একটা পুরষ্কার ছাড়া আর কিছু নয় সেটা প্রমান করতেই যেন বসু আজও স্বমহিমায় টিকে আছেন পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে, যেখানে তাঁর সঙ্গী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা, ঢাকা আর সেই সুত্রে পুরো বাংলাদেশ। আচ্ছা, বসু এই বুদ্ধি পেলেন কোথায়? হারুন স্যারের কৌতূহলের জবাবে বসু একবার একগাল হেসে উত্তর দিয়েছিলেন- “আমি যে তোদের ওখানে তাপগতিবিদ্যা পড়াতাম রে!” পড়াতে গিয়েই টের পেলেন যা পড়াচ্ছেন তাতে কি জানি একটা ঘাপলা আছে, এই হলেন সত্যেন বসু। বিনয়ী সত্যেন বসুর জবানীতে অবশ্য- “আমার ধারণাই ছিল না যে আমি যা করেছি তা নতুন কিছু”। বিজ্ঞান সাধনার পাশাপাশি অবসরে আইনস্টাইন যেমন বেহালা বাজাতেন, বসু বাজাতেন এস্রাজ। মাতৃভাষার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ছিল তাঁর। তাই অসঙ্কোচে তিনি বলে গিয়েছিলেন- “যারা বলেন যে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া যায় না, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না অথবা বিজ্ঞান জানেন না”। এখনকার শিক্ষকেরা কি দয়া করে সত্যেন বসুর পুনর্পাঠ করবেন? সময়ই বোধ হয় ভালো জানে।

পাদটীকা

  • ১. ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Our Alma Mater (published by Dhaka Physics Group)
ছবি: 
27/01/2012 - 9:56অপরাহ্ন
27/01/2012 - 9:56অপরাহ্ন
27/01/2012 - 9:56অপরাহ্ন

মন্তব্য

আবির আনোয়ার এর ছবি

চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

থুক্কু আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

কিষান এর ছবি

বেসম্ভব মজা পাইলাম, বিশেষত বান্দরগুলার আচার আচরণের কথা শুনে। খাইছে

পরের পর্ব কবে আসতেছে? পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপ্নে পপ্পন খাইতে থাকেন... আমিও চা খেয়ে আসি চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রকিবুল ইসলাম কমল  এর ছবি

আপনার লেখার স্টাইলটা খুব ভালো লাগলো। চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সম্ভাব্য হাচলত্বের অগ্রিম শুভেচ্ছা হাসি আবার ফুলের রঙ পাল্টে দেবেন কবে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনীর পর এবার হাচলত্বের দোরগোড়ায়। দেঁতো হাসি

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

উত্তম জাঝা!
চমৎকার লাগল। যেভাবে বান্দরের লাফঝাঁপ দিয়ে পারমাণবিক কণাদের আচরণ ব্যাখ্যা করলেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

মারাত্মক! সাপ্তায় সাপ্তায় লেখা দিবেন এরম.

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

(এত লেখা কই পামু? আমি কি তারেকাণু?? চিন্তিত )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কোয়ান্টাম বিজ্ঞান যে এত মজার, সাক্ষী সত্যানন্দের জেবানবন্দী ছাড়া কে বুঝতে পারত? আমি তো পারতাম না!
আর, সত্যন বোস - এত বড় মাপের একটা মানুষ এই উপমহাদেশে জন্মেছিলেন, এখানেই কাজ করে আলো ধরেছিলেন ভবিষ্যতের পৃথিবীর মানুষের জন্য ভাবলে যতটা গর্ব লাগে ততটাই কুন্ঠা লাগে যে আমরা তাঁর উপযুক্ত সমাদর করা তো দূর, তাঁর দেখান পথে চলতে পর্যন্ত পর্যাপ্ত আগ্রহ প্রকাশ করিনি।
- একলহমা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাব্বির রহমান  এর ছবি

উত্তম জাঝা!
কিন্তু আবু-চরম বান্দর বিন্যাসের চিত্রে বান্দরের স্থলে এইডা কিসের ছবি ? বান্দর কই ? চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

[ও জানেন্ না বুঝি? আমি কি আর স্যাম্ভাই? আমার আঁকার হাত এইরকমই। ছাগল আকতে গেলে গোলামাজম হয়ে যায়। বিজ্ঞানের জিনিস তো, "ধরে নেন" ওই গোল-গাপ্পা কানখাড়া জিনিসটাই বান্দর চোখ টিপি ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আমরা অনেকেই সার্সন রোডের পিয়ানো বাজানো মানুষটিকে চিনতে পারি তাঁর প্রয়ানের পরে। অথচ সকাল-বিকাল নিয়ম করে ভারতীয় শান্তিটিভিতে জোকার্নায়কের রিয়ালিটি শো দেখে গলে যাই, ইউটিউবে তেতুলের গুণগান শুনে লজ্জা পাই। আমরা কাদের মোল্লার উঁচানো আঙ্গুল আর অশ্লীল হাসি দেখে ক্ষেপেক্ষুপে শাহবাগে ঘুরান দিয়ে এসে মাস ফুরাতেই সব ভুলে যাই। কিংবা গোলামের নুরানী চেহারা দেখে “আহা, বেচারা বুড়ো মানুষ” ভেবে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। আর অল্প একটু তথ্যের অভাবে সত্যেন বসু পড়ে থাকেন ঝাঁপির ভেতর, ঝাঁপি থাকে রথের ভিতর, আর সেই রথ থাকে বুয়ান দ্বীপের তলায় । গুল্লি উত্তম জাঝা!

লে ঘিরে লে ! আরামে পড়লাম, আরও ছাড়ুন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

[খসড়ায় এই অংশটুকু ছিলনা অণু'দা... কিন্তু, ইদানীং কি যেন হয়েছে... শয়নে-স্বপনে খালি বেচারা "বুড়ো মানুষ" টার চেহারা ভেসে ওঠে...কীবোর্ডে বসলে হাতগুলো কথা শোনেনা মন খারাপ ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম হয়েছে দাদা।

------------
মিলন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

আগে চিন্তা করে দেখি আমার কি কি অনুভূতিতে আঘাত লাগলো, তারপরে বাকি আলাপ চিন্তিত

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ
দুনিয়া অদ্ভুদ!! আপনারও আবার পিলিং বেশি হয়ে গেল কবে থেকে!
সকল অনুভূতিতে আঘাত হানার পারমিশন দিলেন যে, মনে নাই? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

আইলসা  এর ছবি

চমৎকার লেখা। ইন্টারের পদার্থবিজ্ঞান আর রসায়ন বইটা যদি আপনি লিখতেন, ১০বছরের মধ্যে দেশে আরো একটা নুবেল চলে আসতো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রসায়নে আমার ব্যাপক এলার্জি ... তবে টেক্সটবুক লেখার ভুত একবার সত্যিই মাথায় চেপেছিল... তবে আমি আবার আপনার নিক্টারে বড্ড ভালা পাই হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

অসাধারণ লাগলো পড়ে। যেমন তথ্য সমৃদ্ধ তেমন প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা।
আমি তো দিন দিন আপনার লেখার স্টাইলের ফ্যান হয়ে পড়ছি। খাইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ওফ, চরম হয়েছে (চরম উদাস না কিন্তু আবার)। চালিয়ে যান ভাই চালিয়ে যান। আপনার এই লেখা(গুলো) -( লেখা গুলোই তো হবে, নাকি শুরুতেই শেষ?) আগে পেলে আর ফিজিক্স ১০১ এ বি-প্লাস নিয়ে সন্তষ্ট থাকতে হতো না!!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

১। বহুবচনই হবে আশা করি হাসি (তবে ২ ও কিন্তু বহুবচন খাইছে )
২। বি+ ?? মেলা পাইছেন তো (আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্সে পাস করেছিলাম কিনা মনে পড়ছে না)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বাহ, চমৎকার লেখা। কঠিন কথা গল্পের ছলে হাসি ঠাট্টায় যারা বলতে পারে তাদের ভক্ত হতে আমার বেশি দেরী লাগে না। মানুষ এখন সহজ কথাই সহজভাবে বলতে পারে না, আর আপনি কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে একেবারে চরম উদাস করে ছেড়ে দিলেন!

বিজ্ঞানের লেখার এই স্টাইলটা ভাল লাগে। এই ধরণের লেখাকে আমি বলি বিজ্ঞানের গল্প। আসলে এত অল্প কথায় অল্প পরিসরে বিজ্ঞান শিখে ফেলা তো সহজ কাজ নয়, সবার কাজও নয়। আর সব ওভাবে শেখার মত শেখা সম্ভবও নয়। বিজ্ঞান আসলেই শিখতে চাইলে সেগুলো সেখানোর মানুষ আছে, সেগুলো শেখার মত বিস্তর বই পত্তর আছে, কিন্তু বিজ্ঞানের গল্প বলার মত লোক খুব বেশি নেই। আপনার কাছে আরও বিজ্ঞানের গল্প শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

দ্যা গড পার্টিকেলের লেখক নোবেল প্রাইজ বিজয়ী বিজ্ঞানী লিওন লেডারম্যানের একটা বই পড়লাম কিছুদিন আগে, 'কোয়ান্টাম ফিজিক্স ফর পোয়েটস'। বইটার নাম আর লেখকের নাম দু'টাই আগ্রহ জাগিয়েছিল (আমার নিকে কবি আছে বলে না)। বইটা বেশ চমৎকার হলেও একেবারে কবিদের জন্য লেখা কথাটা সম্ভবত অতিকথন হয়ে গিয়েছিল। আমি বরং আপনার এই সিরিজটার নাম দিলাম 'কোয়ান্টাম ফিজিক্স ফর পোয়েটস'। সিরিজ চলুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এত্ত বড় মন্তব্য! কবিকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিলে কম হয়ে যাবে... লন তালগাছটা আপনাকে দিলাম

বিজ্ঞানের গল্প- কথাটা চমৎকার লাগলো, এই না হলে কবি হাসি সেই ছোটকালে আব্দুল্লাহ আল মূতী আর বুলবন ওসমানের বইতে বিজ্ঞানের গল্প পড়েছি... আজকাল কেন জানি তেমন গল্পকার পাইনা... বিজ্ঞানের বইগুলা কেমন যেন টেক্সটবুকের মত হয়ে যাচ্ছে মন খারাপ

বাহ! 'কোয়ান্টাম ফিজিক্স ফর পোয়েটস' ও আছে নাকি? পড়তে হবে তো, 'ফিজিক্স ফর পোয়েটস' বইটা বহুদ্দিন আমার কাছে ছিল... যেই পড়তে শুরু করলাম মালিক তখন বিয়েশাদী করে কই জানি উড়াল দিল... বইটাও নিয়ে গেল মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ মনজুর মোর্শেদ এর ছবি

ভাই, লেখাটা দারুণ হয়েছে হাসি চালিয়ে যান হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

কোয়ান্টাম মেকানিক্সটা এবার বোধ হয় বুঝেই ছাড়বো! চলুক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আব্দুল্লাহ এ এম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

দারুণ লাগলো পড়তে, দারুণ! লিখতে থাকুন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

কেমন সহজ সরল করে লিখেছেন হাততালি সিরিজটায় আগ্রহ বাড়ছে হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

মন দিয়ে পড়ে শেষ করলাম পুরাটা। দারুণ হচ্ছে সিরিজটা। বানরের ছবিগুলা অনেকটা বিল্লির মতো হইছে তবে কাম চলবে দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লইজ্জা লাগে
২। বানর দিয়া "কাম চলবে" অ্যাঁ নাউজুবিল্লাহ মিন যালেক, হিম্ভাইর নতুন গল্পের প্লট আইলো বুঝি
৩। পরের বার স্ট্যান্ডার্ড মডেল হিসাবে আপনার প্রোফাইলখানা সামনে রাখিয়া লইব হাসি

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

বিল্লি-বান্দর-ডাইনোসর-ইদুর-বাদুর সব চলবে...জাতপাত তো পরে...এইখানে তো শুধু মোটা দাগে মানুষ আর অমানুষ নিয়ে কথাবার্তা... হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

একজন এর ছবি

বাহ ভালো তো । আমি আসার আগেই শুরু কৈরা দিলি । ভালো হৈছে । কিনতু ৪ নাম্বার প‌্যারায় সব কিছু কেমন জানি প্যাচাইন্না লাগ্লো । আর হ‌্যা, "ফিজিক্স ফর পোয়েটস" আমার কাছে একটা আছে । সেইটা কি তুমার ??

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ
১। আইসা পড়, কি আছে জীবনে? ২ দিন আগে আর পরেই তো হাসি
২। ৪ নং প্যারার উৎস এইখানে( http://www.sachalayatan.com/udash/48705 ), তবে হিসাবটা কড়াকড়ি ভাবে না নিলেই ভাল... আমি ২ জাতের পার্থক্য সাধারণ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আরকি
৩। "ফিজিক্স ফর পোয়েটস" যখন মালিকের কাছে ফেরত যায়ই নাই... পরেই যাক... শেষ করেই নেই আগে দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ সিরিজ! চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

এইবারে উদাস দাদাকে কঠিন ফাইট দেওয়ার লোক পাওয়া গেছে। শয়তানী হাসি

লেখায় পাঁচতারা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

??? চিন্তিত

( আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

mamun এর ছবি

খুবই সুন্দর ব্যাখ্যা। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটা জিনিশ বুঝালে ভালো হয়। একটা সাইটে পরলাম স্পিন হলো কনাকে যে কয়বার ঘুরালে তার আগের অবস্থায় ফিরে আসে তার বিপরীত মান ই হল স্পিন। যেমন ইলেক্ট্রন কে দুইবার ঘুরালে তার আগের অবস্থায় ফিরে আসে তাই তার স্পিন ১/২। এই কথাটা বুঝতেসি না। জানি এইটা ক্লাস না তারপরেও বললে ভালো হয়।
লেখায় চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
স্পিন নিয়ে আলাদা পোস্ট দেবার ইচ্ছা ছিল, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

স্পিন বলতে আমাদের সাধারণভাবে মনে হয় যেন কণা লাটিমের মত একটি অক্ষের চারদিকে ঘুরছে। কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয় কারণ লাটিমের মত কোয়ান্টাম তত্ত্বে কণার কোন নির্দিষ্ট অক্ষ থাকেনা। আসলে কণাটিকে যতবার ঘোরালে প্রথম অবস্থার মত দেখায়, তা হল স্পিন।
১) ০ স্পিনের কণা বিন্দুর মত অর্থাৎ ০ বার ঘোরালে অর্থাৎ না ঘোরালেও দেখতে একই থাকে [বা বলা যায় অসীমবার ঘোরালেও একই থাকে তাই এর স্পিন ‘অসীম’-এর অর্থাৎ (কোন সংখ্যা/০) এর বিপরীত অর্থাৎ ০]।
২) ১ স্পিনের কণা একটি তীরের ফলার মত অর্থাৎ একবার পুরো (৩৬০০) ঘোরালে উলটোবেনা,একই থাকবে। তাই এর স্পিন ১-এর বা ১/১-এর উলটো ১।
৩) একইভাবে যে কণা দুমুখো তীরের মত তাকে অর্ধেক(১/২)বার (১৮০০) ঘোরালে একই দেখাবে;তাই এর স্পিন ১/২ এর বিপরীত ২।
এভাবেই দেখতে একই রাখতে গেলে ক্রমশ পূর্ণ আবর্তনের যত ভগ্নাংশ ঘোরাতে হয় (১/৩,১/৪,১/৫...অর্থাৎ ১২০০,৯০০,৭২০...), কণার স্পিন-ও তাদের বিপরীত অর্থাৎ ৩,৪,৫... ইত্যাদি হয়। এভাবে পূর্ণ সংখ্যার স্পিন হয় যাদের, তারাই হল ‘বোসন’।
আবার যাদের ঘুরিয়ে একই অবস্থায় আনতে গেলে ৩৬০০ বা তার কম নয়, ৩৬০০-এর চেয়ে বেশি ডিগ্রীতে ঘোরাতে হয় অর্থাৎ আবর্তন হয় ১ এর চেয়ে বড়, যেমন ২,৩... ইত্যাদি তাদের স্পিন হয় ১/২,১/৩... ইত্যাদি।যেমন যদি একে ঘোরাতে হয় ৭২০০, অর্থাৎ ২ পূর্ণ আবর্তন, তবে স্পিন ২ এর উলটো ১/২।(উদাহরনঃইলেকট্রন) এরাই হল ‘ফার্মিয়ন’।

তবে এটা মনে রাখা উচিত যে এটা হল একটি গাণিতিক ধারণা, তীর বা তাসের যে তুলনা দেওয়া হয় সেটি তুলনাই, বাস্তবে সেরকমই ঘটে এটা ভাবা ভুল। কি ঘটে কেউ জানেনা, কারণ কণাদের দেখা যায়না। কিন্তু এভাবে মেনে নিলে কণার আচরণের ভাল ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তাই এই তত্ত্ব মেনে চলা হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এটা হল একটি গাণিতিক ধারণা

বটমলাইন এটাই

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

ওপরে সব ডিগ্রী চিহ্নগুলো ‘০’ হিসেবে পরে গেছে। ৩৬০০ মানে ৩৬০ ডিগ্রী। কেন হয়েছে বোধগম্য হলনা। ত্রুটি মার্জনীয়...

mamun এর ছবি

ধন্যবাদ, আমিও এরকম কিছু ধারনা করেছিলাম যে এটা কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল ধারনা এর ক্লাসিক্যাল কোন আনালজি নেই। সমস্যা হল স্কুলে পরেছিলাম লাটিমের মত ঘুরে তাই ঐটা মাথায় বদ্ধমুল হয়ে গিয়েছিল।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

স্কুলে "আলো একপ্রকার তরঙ্গ" খালি এই একটা বাক্যেই যে ক্ষতিটা করা হয় তা অপূরণীয় মন খারাপ
দেখি এইগুলা নিয়ে পোস্ট দিমুনে ঈদের পরে... এখন হাতের কাছে বইপত্তর নাই

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তীর্থ চক্রবর্তী এর ছবি

সাধারণ টেক্সট বইয়ে ওইরকম অনেক লেখা থাকে যেগুলো বিভ্রান্তিকর...যেমন বলা হয় যে আপেল পড়া দেখে নিউটন মহাকর্ষ আবিষ্কার করেন। কিন্তু আসলে নিউটন এটা দেখে মহাকর্ষের ধারণা আনেননি...তাঁর মাথায় ওই ধারণা ছিলই আর তিনি আপেল পড়া আর পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের ঘোরা-এদুটো আপাত ভিন্ন ঘটনাকে মহাকর্ষ নামক একই শক্তির ফল হিসেবে প্রকাশ করে পদার্থবিদ্যার লক্ষ্য যে ভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের একীকরণ (যেমন ম্যাক্সওয়েল এর তড়িৎ আর চৌম্বকশক্তির একীকরণ তড়িৎচৌম্বকতত্ত্ব, আইনস্টাইন এর ভর-শক্তি-স্থান-কাল-ত্বরণ-মহাকর্ষ-জ্যামিতির একীকরণ আপেক্ষিকতাতত্ত্ব, আধুনিককালে আরও একীভূত ইলেক্ট্রোউইক বা ইলেক্ট্রোনিউক্লিয়ার তত্ত্ব এবং আজও অনাবিষ্কৃত এবং পদার্থবিদ্যার চরম লক্ষ্য সবকিছুর একীকরণ ‘সবকিছুর তত্ত্ব[the theory of everything]’) তার ভিত স্থাপন করেন...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পড়তে একটু দেরি হয়ে গেল। আপনার বিজ্ঞান লেখা ভালো লাগে। কেন জানি মনে হয় আপনি নিজের তাগিদেই লিখবেন। লিখতে আপনার ইচ্ছে করবে। বিজ্ঞানের যে অংশটুকু নিজে বুঝতে পারেন সেই অংশটুকু গল্প করতে ইচ্ছে করবে। আগ্রহী পাঠক পেলে লেখার চাইতে অরগাজমিক কিছু হয়না!

একটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ বলি। যখন পাঠককে চিন্তা করতে হচ্ছে তখন যদি পাঠককে প্যাঁচালো বাক্য পড়তে না হয় তাহলে ভালো হয়। প্যাঁচালো বাক্য বলতে বোঝাচ্ছি রূপকে/বিশেষণে ভারী বাক্য। "তিন দুগুনে ছয়' না বলে কেউ হয়তো বলতে পারেন "তিনকে দুই দিয়ে গুণ করলে হয় সাঁড়ে পাঁচ থেকে একটুখানি বেশি, সেই একটুখানি হচ্ছে এক-এর অর্ধেক'। এসবই লেখকের শব্দচয়ন/বাক্য গঠণের কৌশল এবং স্বাধীনতা। আমি কেবল একান্তই বিনীতভাবে বলতে চাইলাম যে, যখন পাঠককে সিরিয়াসলি চিন্তা করতে হচ্ছে তখন তাকে জটিল বাক্য পড়তে না হলেই তার জন্যে সুবিধে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা সেরকম।

লেখা চলুক। আপনার লেখা দেখলেই পড়ব। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। লইজ্জা লাগে
২। "...যে অংশটুকু নিজে বুঝতে পারেন সেই অংশটুকু গল্প করতে ইচ্ছে করবে..." চলুক ঠিক তাই দেঁতো হাসি
৩। এমন কিছু কি করে ফেলেছি? ইয়ে, মানে... সেক্ষেত্রে ধরিয়ে দেবেন যে অমুক অংশটুকু পেঁচিয়ে গেছে শুধরে নেব/সাবধান থাকব হাসি
৪। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ফাইয়াজ জামাল এর ছবি

ভাই, প্রথম পর্ব টা কোথায় ? আপনার প্রোফাইলে খুঁজে পেলাম না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রথম পর্বটা সচলে আমার প্রথম লেখা,
ওটা এখনও অতিথি লেখকের জিম্মায় রয়েছে,
আপাতত এখানে টিপি দেন হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, আপনি কীভাবে এতো সহজ ভাষায় এতো কঠিন কথা লিখেন! মার্ভেলাস! লেখাতে যেমন আছে রস, তেমন আছে কস, আছে শিক্ষা, আছে দীক্ষা। আবারো অসাধারণ।

-নিয়াজ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এত কিছু আবার লিখলাম কোথায়? চিন্তিত
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

না ব্লগে আর আইমু না, সবাই সব কিছু দেখি শিখিয়ে ছাড়বে। চোখ টিপি

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে নাকি রাত হয়, এখন দেখছি শুধু রাত না মেরু এলাকার মতো দীর্ঘ নিশুতির রাত হয়। মাথার ভিতর অণুদা ঢুকিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ঘরে বসে থাকার সময় নয়, বের হয়ে দুনিয়াটা দেখো। উদাস দা আবার নরম মানুষ হওয়ার কলা কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছে, আর আপনি এসে কিসব কোয়ান্টম মেকানিক্স, তাপ গতি বিদ্যা কি সব শিখিয়ে ছাড়বেন। এতো কিছু কি করে শিখি আর জানিএকজীবনে, এর চেয়ে শান্তির নায়ক সাহেবি ভালো একবই একজীবন গুল্লি

মাসুদ সজীব

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপ্নে একটু অণুজীব (ইয়ে তারেকাণুজীব অর্থাৎ, "তারেক অণু আজীব" নহে সহীহ অণুজীব) সম্পর্কে শেখান না। [নায়ক সা'বের জবাব নাই]
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।