এসো স্বপ্নে বানাই স্বপ্ন

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: রবি, ১৬/১১/২০০৮ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শানে নুযুলের শানে নুযুল- আমার প্রিয় গল্পকারের একটা ভুয়াটাইপের বই পড়লাম। বই এর বৈশিষ্ট হল, প্রত্যেকটা গল্পের আগে গল্পের শানে নুযুল দেওয়া! আর এই কারনেই সেই বই এর সাদামাটা গল্পগুলোও দারুণ লাগলো! নিজেও যেহতু আব্‌জাব লিখি কখনো কখনো। তাই প্রিয় লেখকের সেসব গল্প আর গল্প শুরুর কাহিনী বেশ মজা করে পড়লাম। আমার আবার একটা ছোট্ট দোষ আছে। চারিত্রিক দোষ। কোন কিছু দেখে ভাল লাগলে, সেটা নিজেরও করা চাই। তাই তখন থেকেই মাথায় ঘুর ঘুর করছে শানে নুযুল ওয়ালা গল্প লিখবো কিছু। অতএব পাঠক সিটবেল্টটা বেধে ফেলুন। আর যারা শুধু গল্পটা পড়তে চান তারা স্ক্রল ডাউন করে গল্প সেকশনে চলে যান। শানে নুযুল শুরু হল- শানে নুযুল - বসেছিলাম অফিসে। গার্মেন্টস টাইপ অফিস। শুধু শেলাই মেসিনের বদলে সামনে আছে একটা কম্পিউটার। তাতে সারাদিন খট্‌খট্‌ ক্লিকক্লিক শব্দ। সফট্‌ওয়্যার শেলাই চলছে। এমন সময় স্কাইপের (Skype) একটা উইন্ডো পপআপ করল। আমার কীবোর্ডের খট খটানি কমল কিছুটা। কোন একটা মেয়ে আমাকে ‘হাই’ জানিয়েছে! সাথে সাথে দাবার গ্রান্ডমাস্টারদের মত আমার মাথায় সেকেন্ডে শত শত ওপেনিং মুভ আসতে লাগল। সেখান থেকে অনেক ভেবে চিন্তে বাছাই করে আমি আমার মুভ দিলাম। মানে ‘হ্যালো’ জানালাম। এরপর তার মুভ, ‘কেমন আছ?’। স্কাইপ আমি ব্যবহার করি শুধু অফিসে। এইটা আমাদের অফিসের অফিসিয়াল মেসেঞ্জার। প্রজেক্ট ম্যানেজার, কলিগ থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টদের সাথে রানটাইমে যোগাযোগ হয় এর মাধ্যমে। এই আইডি তো কোন মেয়ের জানার কথা না! নাকি পরিচিত কেউ খোজ খবর করে বের করে ফেললো! সেক্ষেত্রে নেক্সট মুভ খুব সাবধানে দিতে হবে। আমি বললাম, ‘আরে, তুমি! স্কাইপে?’ মেয়ে ভাবল, আমি হয়তো তাকে অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছি। সে বলল, ‘আমি অমুক, কানপুর থেকে’ আপনি আই,এস,আর,ও’র তানভীর না? আমি একটু রিল্যাক্স হয়ে বললাম, ‘নাহ আমি অন্য লোক’ এর পর কথা বন্ধ। আমিও আমার পুরোনো খট্‌খ্‌টানিতে ফিরে গেলাম। ‘উইংস অফ ফায়ার’ পড়েছি কিছুদিন আগেই। তাই আইএসআরও কি জিনিস জানা আছে ভালোমত। ‘ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন’, মানে ইন্ডিয়ান নাসা আরকি! স্কাইপএর এই প্রবলেমটা আছে। মাঝে মাঝে রঙনাম্বার করে ফেলে। আমার আইডেন্টিটি নিয়েও যে এরকম কোন রঙ নাম্বার হয়ে গেছে বুঝে গেলাম কিছুক্ষন পরেই। কারণ আবার এক মেয়ে আমাকে ISRO এর তানভীর ভেবে নক করে বসল! এখানেই শেষ নয় সেদিন লগ আউট করার আগ পর্যন্ত মোট চারজন আইএসআরো এর তানভীর ভেবেছে আমাকে!! মানে শাহ্‌রুখ খান, জন আব্রাহাম, আর ধোনিদের মত ISRO’র তানভীর রাও হটলিস্টে পিছিয়ে নেই সেটা বুঝলাম আরকি। আর হবেই বা না কেন? স্পেস রিসার্চ বলে কথা। এই ব্যটা তানভীর নির্ঘাত কোন রকেট সাইন্টিস্ট!! মজার বিষয় হল আমাদেরও একটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র আছে। আছে পরমানু গবেষণা কেন্দ্রও। এ গুলো এমন বিরান ভূমি যে এগুলোর সামনে দিয়ে যখন প্রতিরাতে বাসায় ফিরি তখন মনে হয় নিজেই মহাকাশের কোন ভিন গ্রহে চলে গেছি। তখন মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করি যেন ছিনতাইকারীর কবলে পড়া না লাগে। এখানকার ছিনতাইকারীরা আবার বস। যতই ভাল ছেলের মত সহায় সম্বল সব তাদের হাতে তুলে দিই না কেন। ছেড়ে দেওয়ার আগে ঠিকই আস্তে করে ভুড়ি ফাঁসিয়ে দেবে!! এইসব কেন্দ্রে কারা কি করে কে জানে? কোন পাহারাদারও দেখিনি কোনদিন কোন গেটে। অনেকে হয়তো আমাদের মত ‘ডেভলপিং’(মানে অনুন্নত অথবা রাজনৈতিক ভাবে জংলী) দেশে মহাকাশ গবেষণা(!) এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তাদের জন্য আই,এস,আর,ও এর জনক

ডক্টর বিক্রম সারাভাই’র

কিছু কথাঃ "There are some who question the relevance of space activities in a developing nation. To us, there is no ambiguity of purpose. We do not have the fantasy of competing with the economically advanced nations in the exploration of the moon or the planets or manned space-flight. But we are convinced that if we are to play a meaningful role nationally, and in the community of nations, we must be second to none in the application of advanced technologies to the real problems of man and society. " (বাংলা- "কেউ-কেউ আছেন যারা উন্নয়নশীল দেশের মহাকাশ অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন। আমাদের মনে এর উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। উন্নতবিশ্বের দেশগুলোর মতো আমরা চন্দ্রবিজয় করব বা মনুষ্যবাহী মহাকাশজান বানিয়ে ফেলবো তেমন অলীক স্বপ্ন দেখি না। কিন্তু এটা আমরা নিশ্চিত জানি, যে আমরা যদি বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই, যদি চাই জাতীয় প্রবৃদ্ধি, তাহলে মানব ও সমাজসংশ্লিষ্ট বাস্তব সমস্যাসমূহ সমাধানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পিছপা হলে চলবে না")

সেই রঙ নাম্বার এর ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত তাদের চন্দ্রাভিমুখী ‘চন্দ্রজান-১’ ছুড়ে দিলো। এবং ১৪ই নভেম্বর ২০০৮ এ তাদের তেরেঙ্গা পতাকা নিয়ে একটা ইম্প্যাক্ট প্রোব চন্দ্রে অবতরণ করেও ফেলল! ISRO কে অভিনন্দন। অভিনন্দন ISRO’র সেই অজানা তানভীর কে। সেই সাথে তার অনুরাগী মেয়েদের ব্যপারে তাকে একটা মেসেজ, ‘একটু রয়েসয়ে দাদা’!! ধান ভানতে ব্যাপক শিবের গীত গেয়ে ফেললাম। এখন গল্পটা শুরু করি।

গল্প আবীর ছেলেটা পড়ে ক্লাস সিক্সে। তাদের এখানে খেলার মাঠ নেই। তাই খেলাধুলা সে করেনা তেমন একটা। তবে তার আম্মুর কম্পিউটারে মাঝে মাঝে গেম খেলে সে। কিন্তু কম্পিউটার গেম খেলতেও তার আজকাল ভালো লাগে না। আগে গেম খেলতে ভালো না লাগলে সে তার ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতো আকাশের দিকে। তুলা তুলা মেঘের বেশ ধরে তখন কয়েকটা ‘বানি’ উকি দিতো তার ঘরে। কখনো উকি দিত কিছু ডাইনোসর। কখনো বা দুয়েকটা এলিয়েন! একটা প্লেন উড়ে যেত মাঝে মাঝে। পিছনে একটা ট্রেইল থেকে যেতো অনেকক্ষন। সেই ট্রেইল ধরে সেও তার পঙ্খিরাজটা উড়িয়ে দিত দূরে। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ তার এই আকাশভ্রমনও বন্ধ। জানালার ঠিক পাশেই একটা বহুতল ভবন এসে আটকিয়ে দিয়েছে সব কিছু। আজকাল তাই সে কিছু কিছু প্রগ্রামিং শিখে নিচ্ছে। কাজটা মজারই। কম্পিউটার অনেকটা আলাদিনের দৈত্যের মত। যদিও জিনিসটা বেশ বোকা, তারপরও ঠিক মত বুঝিয়ে বললে যে কোন কিছু করে ফেলে ঝটপট। বড় হয়ে সে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারই হয়ে যাবে কিনা, তাই ভাবছে আজকাল। অবশ্য বাবা চায় সে ডাক্তার হোক। তাহলে নাকি বুড়ো বয়সে ব্লাড প্রেসার টেস্ট করতে তাদের আর ক্লিনিকে যেতে হবেনা। আবীর প্রগ্রামিং টোগ্রামিং করে জেনে তার ক্লাসের ছেলেমেয়েরা তার নাম দিয়েছে নার্ডি। প্যারেন্টসডেতে আশা মিস্‌ তো তার আম্মুর কাছে নালিশই করেছে যে আবীর নাকি কারো সাথে মিশতে পারেনা। একা একা থাকে। রীতিমত অসামাজিক। তাই ছেলেকে সামাজিকীকরণের জন্য আম্মু তাকে নতুন একটা গেম খেলতে দিয়েছে। ‘ক্লাব পেঙ্গুইন’ খেলা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। প্লেয়াররা সবাই একেকটা পেঙ্গুইন। তারা একটা ভার্চুয়াল জগতে একে অপরের সাথে কথাটথা বলে। কখনো ছোট খাট গেম খেলে। ফ্রেন্ডশীপ করে। আবীরের কাছে এইসব কেমন যেন সিলি লাগে। সে শুধু একেকটা আইসবল বানিয়ে বানিয়ে সবার গায়ে ছুড়েমারে। এমন না যে সে কোনদিন কারো সাথে কথা বলার চেষ্টা করেনি। কিন্তু অন্যরা সবাই এত বোকা! আবীরের ভাল লাগেনা। আবীর শুধু এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় আর প্রত্যেকটা যায়গায় গিয়েই স্নোবল মেরে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। সবকিছু চলছিল এভাবেই। একদিন খেলা চলছে একটা আইল্যান্ডে। আইল্যান্ড এর মাঝখানে একটা লাইটহাউস। আইল্যান্ডে নেমেই সে সবাইকে তুমুল বেগে স্নোবল মারা শুরু করল। সবাই যথারীতি পালিয়ে গেল লাইট হাউসের মধ্যে। আবীর ভাবলো যাক একটু শান্তি! এখন সে তার কবিতা লেখার প্রোগ্রামটা কোড করে শেষ করবে। অমনি দেখে সবাই হুড়মুড় করে লাইটহাউস থেকে বের হয়ে আসছে! আজব! আবীর আবার তাদের স্নোবল মারা শুরু করল। আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ঘটনা কি? লাইট হাউসের মধ্যে কিছু একটা গন্ডগোল আছে নিশ্চই। এবার তাই সে নিজেও বীর দর্পে ঢুকে গেলো লাইট হাউসে। গিয়ে কিছু বোঝার আগেই ঠুস করে একটা স্নোবল লাগলো তার গায়ে! এত বড় সাহস, তার গায়ে স্নোবল মারে!! সে আবার তুমুল বেগে ব্রাশ ফায়ার শুরু করল। সবাই পালিয়ে বাঁচল ঠিকই কিন্তু একজন রয়েই গেল। সেও দেখা যাচ্ছে উলটো আবীরের দিকে স্নোবল ছুড়ে মারছে। এভাবেই যুদ্ধ চলল বেশ কিছুক্ষন। অনেক গুলো বলই কারো গায়েই লাগছে না। দুইজনই মনে হয় বেশ বিরক্ত। এমন সময় তার প্রতিপক্ষ বলে উঠলো, ‘আইসবলের প্রোজেক্টাইলটা প্যারাবলিক হবার কথা। কিন্তু এই গেমের সিমুলেশন এত বাজে। ধেত!!’ ব্যপারটা আবীরও খেয়াল করেছে বেশ কিছুদিন আগেই। কিন্তু এই কথা সে কারো কাছে বলতেও যায়নি। অন্য পেঙ্গুইনরা এত গাধা! যাই হোক এই লালচে পেঙ্গুইনের সাথে তাহলে এই বিষয়ে আলাপ করা যায়। কিভাবে কোডে একলাইনের ছোট্ট একটা পরিবর্তন করেই সিমুলেশনটাকে আরো রিয়েলিস্টিক করা যায় সেই কথা বলে দেয় সে। প্রতিপক্ষ আরো কিছু অ্যাড করে তাতে। এভাবেই আলাপ চলে আরো কিছুক্ষন। এই প্রথম কোন একটা পেঙ্গুইনের নাম খেয়াল করে সে। শ্বেতা সিন্‌হা। শ্বেতা সিন্‌হা ইন্ডিয়ার মেয়ে। সেও পড়ে ক্লাস সিক্সে। তার বাবা কানপুর আই আই টির ম্যাথ প্রফেসর। শ্বেতার প্রিয় সাবজেক্ট ম্যাথ। তবে সে হতে চায় একজন ফিজিসিস্ট, মূলত মহাকাশ বিজ্ঞানী। আবীর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় শুনে সে কেমন যেন নাক শিটকিয়ে বলে। ‘ওও... ইঞ্জিনিয়ার...’। এটা শুনে আবীর একটু লজ্জা পায়। আসলে সব বড় বড় সব রিসার্চ সেন্টারেই সবার উপরে থাকে বিজ্ঞানীরা। ইঞ্জিনিয়াররা হল তাদের অ্যাসিস্টেন্ট। আবীর সেটা জানে। আবীর বলে সেও বিজ্ঞানী হতে পারে চাইলে। চাইলে মহাকাশ নিয়েও গবেষনা করতে পারে। শ্বেতা জিজ্ঞেস করে, ‘কিন্তু তোমাদের কি রকেট আছে? জিওস্ট্যাটিক স্যাটেলাইট?’ তাদের নাকি এই সবই আছে। এইতো কিছুদিন আগেই তাদের একটা স্পেসশীপ চলে গেল চাঁদে। শ্বেতা যখন বড় হবে, তখন সে চাইলে নাকি চাঁদেও ঘুরেও আসতে পারবে। অ্যাস্ট্রোনট হিসেবে। তবে ঘোরাঘুরির চেয়ে বরং সে কিছু লোগ্রাভিটেশন এক্সপেরিমেন্টে বেশী আগ্রহী। আবীর একটু দমে যায়। বলে, ‘তাহলে আমি হব পার্টিকেল ফিজিসিস্ট’। শ্বেতা বলে, ‘তাহলে তো তোমাদের পার্টিকেল এক্সিলারেটর লাগবে। আছে?’ ...‘তাহলে নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট!’... ‘কিন্তু তোমাদের কি বড় কোন নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর আছে? অবশ্য নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গবেষনা করতে পারো। আমরা আমাদের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট গুলোর রেডিওঅ্যাকটিভ ওয়েস্ট নিয়ে বেশ বিপদে আছি। ওগুলো পাঠিয়ে দেব তোমাদের দেশে’ এসব বলে হি হি করে হাসি দেয় সে। আবীরের মনে হয় সে কেঁদেই ফেলবে। খুব রাগ হয় তার। সে বলে, ‘আসলে আমরা তো ছোট দেশ। তাই ওসব নেই আমাদের।’ শ্বেতা বলে, ‘ছোট দেশে কিন্তু নতুন কিছু করাটাও বেশ সহজ। বড় দেশের বরং অনেক রকম বোঝা’। আবীর বলে, ‘ধ্যাত, তোমার কথা বুড়োদের মত’। শ্বেতা বলে, ‘আমরা বুড়ো না, আমরা বড়, সত্যিকারের বড়!’ আবীর নামের একটু নার্ডি কিন্তু অসাধারণ ছেলেটা এরপর লগআউট করে। ক্লাবপেঙ্গুইনের ভার্চুয়াল জগৎ থেকে যেন মাথাটা একটু হেট করেই ফিরে আসে সে। বেখেয়ালে পুরোনো সেই জানালার ধারে গিয়ে আবার বসে পড়ে। ভাবে, এর চেয়ে বরং কবিই হব আমি। কিন্তু তখনই খেয়াল করে। তার স্বপ্ন দেখার আকাশটাও কারা যেন কেড়ে নিয়ে গেছে...


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

এতোদিন আপনি কোথায় ছিলেন, সেটা আগে বলেন। না কি আপনিও মহাকাশে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ? অবশ্য কবি হলে মহাকাশ ঘুরতে স্পেসশিপের প্রয়োজন হয় না। অত্যন্ত নিরাপদ ভ্রমন করা যায়।

আবীরের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটা অতীব চমৎকার !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্পর্শ এর ছবি

নারে ভাই মহাকাশে যাইনি। ছিলাম আশেপাশেই।

...কিন্তু নিজের এক টুকরো আকাশ ছাড়া কি কবি হওয়া যায়?
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

আবীরের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটা অতীব চমৎকার !

সেই ...
আমরা গোয়ামারা খাওয়ার পর সবাই কবি হইতে চাই । একবার গোয়ামারা খেয়ে তারপর দশবার গোয়ামারা দেয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়াই না । উলটা আরো পোঁতায় যাই ।

আমাদের দেশে সেই চুদির ভাই কবে হবে
গোয়ামারা না খেয়ে গোয়ামেরে দিবে ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এনাদার "টাচি" ডেলিক্যাসী! দেঁতো হাসি
ভালো লাগলো, বেশ ভালো। চলুক

এখন কুম্ভকর্ণদের ঘুমের অধ্যায় শেষ হলেই হয়...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

বাইরে বাই!! "টাচি ডেলিক্যাসি" !! দেঁতো হাসি
এই নতুন জিনিস দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে কম্ভকর্ণতো আমরাই। বয়স তো আর কম হলনা। আমাদেরই এখন কিছু করা উচিৎ।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফাহা এর ছবি

বিষন্নতার গল্পটা ভালো লাগলো পড়তে

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। পড়া এবং মন্তব্যের জন্য...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

আমার আনন্দে কানতে ইচ্ছা করছে। সত্যি...

তানভীর ভাই, আপনি এতো সুন্দর লিখেন কিন্তু হঠাৎ করে অফ গেলেন কেন?

গল্পটা একদম ছুঁয়ে গেলো।
============================

স্পর্শ এর ছবি

হৈ মিয়া! কানতে ইচ্ছা হচ্ছে মানে? !! অ্যাঁ
লজ্জা দেউ ক্যান।

মাঝে মাঝে অফ না গেলে জমেনা। দেঁতো হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনার প্রিয় গল্পকারের নাম টা জানতে পারি?

=============================

স্পর্শ এর ছবি

হা হা!
বোঝনি? ভুয়া টাইপ বই আর কে লেখে??
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

আপনার চমৎকার আর অসাধারণ লেখাটা পড়ে আমি অভিভূত।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য। হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্বপ্নাহত এর ছবি

বহুদিন পর হাসি

মিস ইউ আ লট (আমি কিন্তু ইন্ডিয়ান কোন মাইয়া না। যা বলছি ভাইবা চিন্তাই বলসি)

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্পর্শ এর ছবি

খাইসে আমারে!! অস্ট্রেলিয়ান ছেলে নাতো? ইয়ে, মানে...

এইতো আসলাম আবার কিছুদিন আবজাব দিয়ে কান ঝালাপালা করব সবার। দেঁতো হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিবিড় এর ছবি

হুম...... চমতকার লেগেছে আপনার গল্প ।

স্পর্শ এর ছবি

হাসি থ্যাঙ্কু
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রেনেট এর ছবি

আপনি বেঁচে আছেন জেনে স্বস্তি পেলাম।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্পর্শ এর ছবি

বেঁচে আছি... হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হ। সব গেল। বাকী ছিল আকাশটা। সেটাও আর আগের মতন নাই। যত লম্বা হচ্ছিলাম আকাশটা তত কাছে আসার কথা ছিল। কিন্তু হইল উল্টাটা, আকাশের বাচ্চা দূরে সরে গেল। তাইলে কী আকাশ আর মানুষের মাথা সমধর্মী বস্তু? পরস্পরকে বিকর্ষণ করে।

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। ভাল্লাগলো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্পর্শ এর ছবি

এরকমই হয় বোধহয় সবার বেলায়ই। মন খারাপ
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

"There are some who question the relevance of space activities in a developing nation. To us, there is no ambiguity of purpose. We do not have the fantasy of competing with the economically advanced nations in the exploration of the moon or the planets or manned space-flight. But we are convinced that if we are to play a meaningful role nationally, and in the community of nations, we must be second to none in the application of advanced technologies to the real problems of man and society. "

"উন্নয়নশীল দেশে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা কতটুকু প্রাসঙ্গিক তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেন। গবেষণার উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের কিন্তু কোন দ্বিধা নেই। চাঁদ বা গ্রহ-উপগ্রহের পুঙ্খাণুপুংখ বিশ্লেষণ, অথবা মানুষবাহী মহাকাশযান নিয়ে উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতার কোন খায়েশ নেই আমদের। কিন্তু জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বিশেষ কোন অবদান রাখতে হলে, মানুষ ও সমাজের আসল সমস্যা সমাধানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা পিছপা হব না।"

এদ্দিন পরে কোথা থেকে স্পর্শ?

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনুবাদ এর জন্য। হাসি

এইতো আশেপাশেই ছিলাম।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর লাগলো। চলুক চলুক

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দিগন্ত এর ছবি

আপনি বিক্রম সারাভাই বললে নামটা ঠিকঠাক শোনাত হাসি, আর সুন্দর লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পছন্দের পোস্টে যুক্ত করলাম।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

স্পর্শ এর ছবি

নামটা ঠিক করে দিলাম। হাসি
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন এক গল্প দিয়ে আবার সূচনা হলো।
আবার ডুব দিবেন না দয়া করে।
দুই হাতে লেখা আবজাব চলতে থাকুক।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্পর্শ এর ছবি

এইতো আছি... হাসি
দেখি চলতে থাকে কিনা... ইয়ে, মানে...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

দারুন লাগল হাসি খুবি। আমারো ছোটবেলার শখ ছিল আমি অ্যাস্ট্রোনট হব মন খারাপ আর হলনা
আপনি এত ভাল লিখেন আর এত কম লিখেন কেন? মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রায়হান আবীর এর ছবি

আমারো ছোটবেলার শখ ছিল আমি অ্যাস্ট্রোনট হব

তারমানে কি আপনি এখন বড় সরি (বুড়ি) হয়ে গেছেন???

=============================

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওমা বুড়ি বুড়ার কথা আসতেসে কেন? আমিতো বলসি "ছোটবেলার শখ ছিল আমি অ্যাস্ট্রোনট হব" মানে তখন ছোট থাকতেই অ্যাস্ট্রোনট হইতে চাইসি, কিন্তু তখন ছোট ছিলাম বলে হইতে দেয় নাই মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্পর্শ এর ছবি

এইটা এখনও সম্ভব। যা লাগবে তা হল, একটা 'কোটি কোটি পতি' (টাকায় না ডলারে)। ব্যাস হয়ে গেল। দেঁতো হাসি

কম লিখিনা তো!! যখন লিখি তখন সবার কান ঝালাপালা করে দিই! হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

স্বপ্ন দেখার জন্য আমাদের আকাশটুকু থাক...
ছিলেন কই?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্পর্শ এর ছবি

এইতো শীতনিদ্রায় ছিলাম!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

পড়লাম

মন্তব্য সামনাসামনি দেয়া হবে ।
অথবা নিজের ব্লগে ।
অপেক্ষা করুন ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্পর্শ এর ছবি

অপেক্ষায়...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

স্পর্শ, আপনি তো হারাধন হয়ে গেলেন! থাকেন কোথায়?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

এইতো, লেখালেখি আটকিয়ে গেছিলো। মানে মাথা ফাকা হয়ে গেছিল একটু। বয়স বাড়ছে মনে হয়। মন খারাপ
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেকদিন বাদে আপনার লেখা পড়লাম। গল্পটা দারুন লিখেছেন। খুব ভাল লেগেছে।
এবার দু'হাতে আরো কিছু লেখা নামিয়ে দিন তো!

জি.এম.তানিম এর ছবি

মহাকাশচারী হওয়ার ইচ্ছা এখনো আছে...তবে বাস্তবায়িত কেম্নে হবে জানি না...এখন কবি হওয়ার চেষ্টা চলতেছে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

পাঁচটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ভারত। (লিঙ্ক-১[ছবি]) (লিঙ্ক-২[প্রথমালো])


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।