ভদ্দরলুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বুধ, ০৯/০৬/২০১০ - ১১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূলঃ শাহ্‌রনুস পারসিপুর

ভদ্দরলুক এখানে তিনজন। ছানাউল, হাবিবি, রহমত। উঠোনে পুরানো একটা কার্পেটের উপর তাঁরা বসেছিলেন। বিকেল সূর্যকে অনর্থক ঝুলিয়ে রেখে লম্বা হচ্ছিল। সানাউল আধা মদ্যপ অবস্থায় দেয়ালে বৃষ্টির ফোঁটা খুঁজে ফিরে। রহমত গুনগুন করে একটা জনপ্রিয় গান আওরায়।

হাবিবি: মাইয়াডার কইলজা ভাল। গান ও গায় অন্তর ঢাইলা।

রহমত: হ, হের গলায় কিছু একটা আছে। কেমুন য্যান দুঃখ দুঃখ। গলাটা্র জন্য একদম ফিট।

হাবিবি: লোকে কয়, হের লাইফ হিস্ট্রি নাকি খুব কষ্টের। মা-বাপ মরণের পর এক চাচী তারে মানুষ করছে।

রহমত: হ, অদ্ভুত।

ছানাউল: তোমরা খালি ফালতু বকো।

বাকি দুই ভদ্দরলুক জিগায়, তয় আমাগো কি করবার কও?

ছানাউল: চুপ থেকে আশেপাশের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পারো না।

হাবিবি, রহমত আশেপাশে দেখা শুরু করে। এঁদো হাজার-কোণা পুকুরের চারপাশে চ্যাপ্টা কিছু ফুলের বিছানা। ভায়োলেটগুলো একদম বিবর্ণ, মিসেস ছানাউল গ্রীষ্মকালীন ফুলের বাগান করার সময় করে উঠতে পারেন নি। মোজাইক টাইলসের উপর ছড়ানো পানি থেকে ওঠা বাষ্প উঠোনের বাতাসকে ভারী করে ফেলছে।

রহমত: ছানাউল, প্রকৃতি বলতে তুমি কি বুঝাইতে চাও?

ছানাউল: খালি কেশ-উৎকলন মার্কা কথা। এটা প্রকৃতি নাতো কী?

হাবিবি: তুমি আমাগো কইলা প্রকৃতি দেখবার লাইগা। কইবা না কী দেখুম।

রহমত: আমি জানি প্রকৃতি কইতে গিয়া তুমি পাইন গাছ, ভায়োলেট, ব্ল্যাকবেরি গাছের কথা বুঝাইছো। কি ঠিক কইলাম নাকি ছানাউল?

ছানাউল: তোমরা বোঝ নাই আমি কী বলেছি। প্রকৃতি এখানে সঠিক শব্দ নয়। অন্য কোন ভালো শব্দ হলে ভালো হয়। ভালোমতো আশেপাশে তাকাও। বলতে চেয়েছি- বেশি না বকে বরং দেখো।

হাবিবি: কি দেখুম সেই উত্তর এখনো কিন্তু দেও নাই।

রহমত: ছানা ঠিক বলছে। আসলেই আশেপাশে দেখন দরকার। মানুষ গত আড়াই হাজার বছর খালি বকবক করে গেছে।

ছানাউল: সঠিক হিসাবে দুই হাজার আটশো বছর। এই কয়টা বছর লোকে গুনে কেন কে জানে। মানবতার জন্ম কয়েক মিলিয়ন বছর।

হাবিবি: একটা মিস্টেক হইছে। মানবতা না, মানুষ।

ছানাউল: আরে মানবতা বললে মানুষ এসে যায়। একটার সাথে আরেকটা পিঠাপিঠি সম্পর্ক।

হাবিবি: তবে শব্দটার প্রয়োগ কিন্তু ঠিক অইলো না। এই যে ডাক্তর বার্নার্ড হৃৎপিণ্ড অপারেশন করে। উনি মানুষেরটা করেন, মানবতার করেন না।

ছানাউল: খালি শব্দ নিয়ে খেলা করছো। ডাক্তার বার্নার্ড মানুষের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন। সাথে মানবতার হৃদয় ধরেও টান দেন। দেন না?

রহমত: ধুরু, আসেন অন্য পয়েন্টে আসি। মানবতার কথা একটু বাদ দেই, ডাক্তর সাব কিন্তু ভালো ব্যবসা আরম্ভ করছেন। হার্ট-মার্ট চেঞ্জ করতেছেন, এসব নিয়া তারে ভালোমতো জিগানোর কেউ নাই।

ছানাউল: আমি রহমতকে এ কারণে পছন্দ করি। সে আলোচনাকে কুতর্কে নিয়ে যায় না। আমি কুর্দিস্তানের সৈন্য হিসেবে একসময় কাজ করতাম। আসলে সৈন্য বলা ঠিক না। আমি ছিলাম লিউট্যানেন্ট।

হাবিবি: এভাবে হালারা মানুষরে বোকা বানায়। কিছু ব্যাজ পড়ায়ে দিলেই ড়্যাঙ্ক বেড়ে যায়। কাউরে আবাজাব কইরা শক্তিশালী বানায়ে দেয়া। এসবের কোনো মানে নাই। জীবন থেকে দুইটা বছর নষ্ট করনের কোনো উদ্দেশ্য দেখি না।

ছানাউল: দেখ, যুদ্ধ একটা লাগলে কিছু লোক লাগবেই। সৈন্য না থাকলে তুমি যুদ্ধ কীভাবে করবে?

রহমত: এইসব যুদ্ধের কি দরকার আমি বুঝি না। কোথায় যেন পড়ছি এটা মানুষের স্বভাব। মানুষ যুদ্ধের আবিষ্কারক।

হাবিবি: যেমনে মানুষ ঈশ্বর বানাইছে।

ছানাউল: ভলতেয়ারের একটা উক্তি আছে। যদি ঈশ্বর সত্যি সত্যি না থাকতো, মানুষ ঈশ্বর ও বানাতো।

রহমত: মানুষ পারে রে ভাই। এই দু পেয়ে প্রাণী কি না করতেছে।

ছানাউল: এই যে মিসাইলগুলোর কথা ভাবো? দুইশো মাইল রেঞ্জ।

হাবিবি: ফালতু কথা। একটা মিসাইল ক্যামনে দুইশো মাইল যায়?

ছানাউল: একদম খাঁটি সত্যি খবর। এটা নিয়েই বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে ঝগড়া লেগে আছে। একবার তো এঁনারা পৃথিবীকেই ভাগ-বাটোয়ারা করতে চেয়েছিলেন। পরে ক্ষান্ত হন এইসব মিসাইলের ভয়ে। এগুলো দিয়ে যার যা যা ধ্বংস করতে ইচ্ছে হয় করে ফেলতে পারবে।

হাবিবি: আসলে মানবতা বিপদের মধ্যে সান্দাইছে। এগুলা নিয়া সিরিয়াস ভাবন দরকার।

ছানাউল: আসলেই ভাবনার বিষয়। বকবক না করে বরং চিন্তা করা উচিত।

হাবিবি: হ, হাবিজাবি না দেইখা ভাবাগোনা করন দরকার।

ছানাউল: পার্থক্যটা কোথায়? যে ভাবে সে দেখেও। যে দেখে সে ভাবতেও পারে।

হাবিবি: দস্তয়েভস্কির পসেসড্ গল্পের স্তাভগোরিনের কথা ভাব। যদি স্তাভগোরিন বিশ্বাস করত যে সে বিশ্বাস করে। বিশ্বাস সে করবেই না সে বিশ্বাস করে। যদি সে বিশ্বাস করত না যে সে বিশ্বাস করে না, সে সত্যিই বিশ্বাস করত না যে সে বিশ্বাস করে না।

ছানাউল: কি যে আবোল তাবোল বকো। বৃহৎ শক্তিগুলো পৃথিবীকে ভাগ করে যুদ্ধ আরম্ভ করে দিচ্ছে। আর তুমি দর্শন ফলাচ্ছো।

হাবিবি: আরে দর্শন হগলে কপচায়। হিপ্পিদের কথা ভাবতে পারো। তারা কিন্তু দুনিয়ায় শান্তি চায়। তারা যে পূব থেইকা দর্শন ধার করছে সেইটা জানো?

ছানাউল: সেটা জেনে কার কী লাভ। হিপ্পিদের দর্শনে পশ্চিমা ট্যাগ লেগে গেছে। পশ্চিমারা বেজায় চালাক, তারা সবকিছু নিজের নামে চালাচ্ছে। তারা এতো সুকৌশলে চুরি করে, সেটা কেউ ধরতে পারে না।

হাবিবি: চুরিটা কোন এঙ্গেলে? বস্তুবাদী না আত্মিক? জিনিস চুরি একটা ব্যাপার, আর আইডিয়া চুরি অন্য জিনিস। এসব পরিষ্কার হওন দরকার।

ছানাউল: আরে বাদ দাও, সবাই জানে তোমার একটা ডক্টরেট ডিগ্রী আছে।

হাবিবি: তুমি আমার কথা বিশ্বাস করতেছ না। আর খালি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছ।

ছানাউল: আমি ভুল বুঝছি! তুমি উলটো আলোচনা না করে খালি শব্দ নিয়ে এদিক ওদিক দৌড় দিচ্ছ।

রহমত: ধুরু। এইবার সাবজেক্ট পাল্টান। ব্রেন ড্রেইন নিয়া কিছু বলেন, ভাইসব।

ছানাউল: ব্যাপারটা সামনাসামনি দেখ। খালি দম্ভ করে যাচ্ছ?

হাবিবি: তুমি একটা জিনিস। কথা কইতেছি। সব কি তোমার মতের লগে হুঁ হাঁ করা লাগবো। তুমিই তো খালি না বুইঝা তর্ক করতেছো?

ছানাউল: তর্ক আমি করছি! আমি কিছু বললেই তুমি এসে কুতর্ক শুরু কর।

হাবিবি: আমার মনে লয় তোমার মইধ্যে কোন কমপ্লেক্স কাজ করে। তুমি আসলেই একটা …

ছানাউল: ও তাই...।

রহমত: এই যে আমি কইতেছি ‘ব্রেন ড্রেইন’ দিয়া। আমার ভাইডা আম্রিকায় গ্যাছে, আর আসতে চাইতেছে না। কত চিঠি লিখছি, কত কইরা কইছি …

ছানাউল: এই তুমি কোন কথা বলবে না। একদম চুপ।

হাবিবি: এত চ্যাতনের কিছু নাই। একটা ভালো সময় কাটাচ্ছি। তুমি …

ছানাউল: তোমরা দুইজনে খুব ভালো জানো কেমন করে মানুষকে উত্ত্যক্ত করতে হয়।

হাবিবি: আসলে অহন মাইনষে বেশিরভাগ সময় আপসেট থাকে। কারো লগে কথা বলবার গেলেই সে তোমারে ছিঁইড়াখুঁইড়া খাইবো। ক্যান এরম ঘটতাছে জানি না। হইবার পারে মাইনষের এত রাগ সৌর বিস্ফোরণের লাইগা হইতাছে।

ছানাউল: কি বলতে চাও?

হাবিবি: আরে সূর্যে সমানে বিস্ফোরণ ঘইটা যাইতেছে। কিছু বিজ্ঞানী বলতেছেন এই যে যুদ্ধ, মাইষের দুর্দশা আরো হ্যানাত্যানা নানা কিছু সব কিছুর কারণ ঐ বিস্ফোরণ।

ছানাউল: এতো বাজে বকো। এটার উত্তর হাজার বছর আগেই দেয়া আছে। যুদ্ধের মধ্যে অর্থনৈতিক কারণ সবচে মুখ্য। এটা লাভ-ক্ষতির খেলা।

হাবিবি: এই লাভ-ক্ষতির হিসাবটা ক্যামনে আসছে আমারে একটু বোঝাও।

ছানাউল: মানুষ খালি লাভ চায়, যুদ্ধ করার পেছনের উদ্দেশ্য সেটাই। সে ক্ষমতা পেতে চায়।

হাবিবি: কিয়ের ক্ষমতা? বিশ্বাসের?

ছানাউল: বিশ্বাসের ক্ষমতা কাজ করবে যদি সব মানুষ সমান হয়। আমি বলতে চাচ্ছি সবাই …

হাবিবি: এই যে বস্তুবাদী ভাবনা। সবকিছুরে অর্থনৈতিক এঙ্গেলে ফেলে দেয়া। আরে ভাই, আত্মিক দিকটা নিয়া একটু ভাব।

ছানাউল: আত্মিক? কি বলতে চাও? তোমার ঐ সোলার ইরাপ্‌সন আত্মিক?

হাবিবি: না, না , ঐটা বস্তুতান্ত্রিক। আমি সেইভাবে কথাটা কই নাই। অদ্ভুত।

ছানাউল: কি অদ্ভুত? আমাদের থেকে তোমার ডিগ্রী বেশী বলে তুমি যাই বলো তাই বিশ্বাস করে যেতে হবে।

রহমত: ছানা, তুমি মনে লয় অনেকদূর চইলা যাইতেছ।

ছানাউল: এই তুমি কোনো কথা বলবে না, খবরদার।

রহমত: ঠিক আছে।

মিসেস ছানাউলের গলার আওয়াজ আসে ভেতর থেকে। এগুলা ক্যান যে না মইরা জিন্দা আছে। আপনারা কথা না বাড়াইয়া যার যার বাড়ি গিয়া ঘুমাইবার পারেন না।

ছানাউল: আমরা বরং ঐ ছোট বারে গিয়ে আমাদের আলোচনা চালাই।

বাকি দুই ভদ্দরলুক মাথা নেড়ে সম্মত হয়।

সতর্কতা: তাড়াহুড়া অনুবাদ।কিছু জায়গায় পরিবর্তিত। প্রায়ানুবাদ।

সূত্র


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

হ, আমাদের মতন আদার ব্যাপারিদের জন্য বারেই এসব আলোচনা করা ভালো।

...........................
Every Picture Tells a Story

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সেটাই

----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সোলার ইরাপশন - বস্তুতন্ত্র ... হা হা
ভালো হইসে
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বস্তুতান্ত্রিক সোলার ইরাপশন-ই যত গণ্ডগোলের মূল। দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

শ্রদ্ধেয় বাউলশিল্পী,

আমি এই পর্যন্ত ৯২ টা পোস্ট দিয়েছি। কষ্ট করে যেগুলোতে একতারা দেন নাই, সেগুলোতে দিয়ে যান।

এই গল্পের অনুবাদ আপনার কাছে একতারা দেয়ার যোগ্য মনে হলো। একটু ব্যাখ্যা করে গেলে আমার সুবিধা হতো। আগে একবার রিকোয়েস্ট করেছিলাম, আবার করলাম এখানে।

ফেসবুকে ই-মেইলে কথা চালাচালি, সামনে সুশীল সাজা, সবদিক রক্ষা করে চলা, গোপনে একতারা মারা- এগুলো অসুস্থতার চর্চা।

একতারা নিয়ে ভাবিত না। তোমারে আমার পছন্দ না, যাই বাল লেখ একতারাই দিমু- এই চর্চার একটা বিহিত দরকার।

---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

শ্রদ্ধেয় বাউলশিল্পী,

বাহ্‌

দেখতে পাচ্ছি আপনি ধারাবাহিকভাবে একতারা দিতে দিতে যাচ্ছেন। চালাতে থাকেন।

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দময়ন্তী এর ছবি

বেচারা পুরুষজাতি! দেঁতো হাসি

পড়তে একটু হোঁচট খেলাম কিন্তু৷ আপনার অনুবাদের স্বত:স্ফুর্ততা এখানে একটু কম কম মনে হোল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পাইলাম... লাফাইয়া লাফাইয়া পুরা পৃথিবীর সবকিছুই লইয়া আইছেন... আবার মামারেও টান দিছেন...

হিমাগ্নি

সচল জাহিদ এর ছবি

আমি এর আগেও আমার একটি লেখাতে রেটিং দেয়া নিয়ে কথা বলেছিলাম। একজন পাঠক যদি মনে করেন কোন লেখাতে ১ ভোট দেয়া যুক্তিযুক্ত সেক্ষেত্রে একইভাবে লেখক তার ব্যখ্যা চাইতেই পারেন। বিশেষ করে যখন কেউ একজন ধারাবাহিক ভাবে কারো লেখাতে এমনকি পুরোনো লেখাতেও একাধারে ১ ভোট দিয়ে যান তখন তার শুধু ব্যাখ্যাই লেখক দাবী করেননা সেই সাথে সচলায়তনের মডারেশন বোর্ডের উচিৎ এই ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়া। আমি আশা করছি সচলায়তন কতৃপক্ষ এই বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হরফ [অতিথি] এর ছবি

দাশবাবু, লেখা একরকম লাগলো কিন্তু অন্য একটা কথা ছিল অফটপিক। আপনার বা অন্য কোন লেখকের লেখা যদি কোন পাঠকের ভাল না লাগে তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে কেন? লেখক-ই বা জাবাবদিহি কেন চান/চাইবেন পাঠকের কাছে? ফর্মাল অ্যাকাডেমিক জার্নাল বা পত্রিকা পাঠক নই বলেই কি আমরা ব্লগপাঠকেরা সতত জবাবদিহি করতে বাধ্য হব? সমালোচনা কবে থেকে এবং কেন এতখানি খারাপ লাগতে শুরু করলো লেখকদের? সেটা ভাল না খারাপ লখার জন্য/ লেখকের জন্য? সত্যিই কি ব্লগলেখকরা নিজের লেখার মান নিয়ে আলোচনা করতে চান পাঠকের সাথে? বিভিন্ন একাডেমিক জার্নালের রিজেকশন/আ্যকসেপটেন্সের এই ডাইকোটমিতে আমার বচ্ছরভর কাটে, চাই বা না চাই তাই অনুরোধ রইলো আপনি এ বিষয়ে একটু ভাবুন, আমিও ভাবছি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আলোচনা করতে চাই বলেই তো শ্রদ্ধেয় বাউলশিল্পীকে অনুরোধ করেছি। একটা জায়গায় বলেছি - তোরে দেখতে পারি না, যা লিখবি লেখ, এক দিমু, কারণ দেওনের ক্ষমতা আমার আছে- এই ট্রেন্ডটা অসুস্থ।

আমি মানি, পাঠক জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে একজন লেখকের পুরানো ব্লগ ধরে ধরে ধারাবাহিকভাবে একতারা খচিত করে দেয়ার মানসিকতা যাঁর আছে, তাঁর মধ্যে কী সুশীলতা কাজ করে সেটা পরিষ্কার হওয়া দরকার।

আমার কথা- দিতে থাকুন। একতারা ব্যাপার না। কিন্তু চোরের মতো কেন ভাইডি?

মডারেশন কিছু বললে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়।

-----------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মূলত পাঠক এর ছবি

নিয়মনীতি নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস দেখানোর আগে পাঠকদের মার্জনা চেয়ে রাখি যদি তাতে কোনোরকম সুশীলতার প্রকাশ ঘটে। এই বক্তব্য সাধারণ নিয়মনীতি নিয়ে, সচলে মানার জন্যও লেখা নয়, তবে সচলের বর্তমান নীতি-অনুসারী বলে এখানে বলার সুযোগ রয়েছে। এবং এই মন্তব্য এই লেখার নিচে লেখা প্রসঙ্গক্রমে, এর একমাত্র টার্গেট শুভাশীষ দাশ নন।

আমি এখনো অবধি দেখি নি কোনো লেখককে পাঁচ তারা পেয়ে তার কারণ জানতে চাইতে। অপরপ্রান্তে এক তারা পেলে ক্ষোভের একাধিক নিদর্শন দেখেছি। এর দুটি সোজাসাপটা ব্যাখ্যা ভেবে পেলাম, ফুকো-দেরিদা পড়া থাকলে অনেক জটিল মনোবিশ্লেষণও করতে পারতাম হয়তো, কিন্তু সে আর কী করা।

এক, লেখক লেখার উন্নতির জন্য জানতে চান পাঠক কী কারণে অপছন্দ করেছেন লেখাটি। সেক্ষেত্রে এটা জানলেও তো কাজ দেয় যে পাঁচতারা পাওয়া লেখার কোন অংশ/দিকটা পাঠকের ভালো লেগেছে, যাতে তার উপর জোর দেওয়া যায় বা বিস্তার করা যায় ভবিষ্যতে। উন্নতির এই দ্বিতীয় পথের সন্ধান করতে কেন যে কাউকে কখনোই দেখি না!

দুই, লেখক একাধিক তারাকেই একমাত্র যথার্থ মূল্যায়ণ মনে করেন, এক তারা পেলে সেটা অনায্য ভেবে ক্ষুব্ধ হন। এই ব্যাখ্যাটা ঠিক হলে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা লেখক ভেবে দেখতে পারেন: সর্বোচ্চ মূল্যায়ণে সমস্যা না থাকলে সর্বনিম্নে কেন।

নীতিমালা ভঙ্গ না করেও পাঠকের ইচ্ছে মতো তারা দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে, বলাই বাহুল্য। পাঠক কোনো লেখা ভালো না লাগলে যে কোনো সংখ্যক তারা দিতে পারেন, লিটেরারি ক্রিটিক হতে হবে তার জন্য এমন কথা নীতিমালা উক্ত বা অনুক্ত কোনোভাবেই ইঙ্গিত করে না। লেখকের আশঙ্কা যদি জিঘাংসাবশতঃ তারাদান নিয়ে হয়, তার একটা ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে পাঠক একে একে সেই লেখকের লেখা পড়েছেন এবং রেটিং করেছেন। দুটি লেখা রেটিং করার মাঝে সময়ের ফাঁক রাখার কথাও নীতিমালা বলে না। "একতারা ব্যাপার না" কিন্তু দিলে ঘোষণা করে দিতে হবে, নইলে চৌর্যবৃত্তির অপবাদ। কয়েকটি স্যাম্পল নিয়ে দেখলাম, হিসেব করে দেখলে অন্ততঃ যতগুলো পাঁচতারা পড়েছে বলে বোঝা যায়, ততোগুলো "পাঁচতারা দিলাম" এই ঘোষণা আছে কি না মন্তব্যে। দেখে কী পেলাম সে কথা বোধ হয় সকলেই জানেন।

লেখক যদি নিজেকে পাঁচের নিচে রেটিং পাওয়ার মতো না ভাবতে পারেন, পাঠকেরও তো সুযোগ থাকে কোনো লেখকের লেখাকে তাঁর লেভেলের পাঠযোগ্য না ভাবতে পারা? দুর্বাশামুনিকেও অতিথি নারায়ণ জ্ঞানে আপ্যায়ন করা হতো এক কালে, পাঠক লেখা পড়েছেন এতেই লেখকেরা খুশি হতেন। তবে সে সব ডাইনো যুগের কথা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার মন্তব্য নিয়ে হালকা বিস্তারে যাচ্ছি।

আমার পাঠকভাগ্য দেখে খুব উল্লসিত বোধ করছি। দেঁতো হাসি ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আমার বিশটা ব্লগ পড়ে প্রীত হয়ে প্রতিটাতে একতারা দান করে আমাকে সৌভাগ্যের ভাগীদার করেছেন। নীতিমালার মারপ্যাঁচ তিনি ভালোই জানেন বা না জানলে আপনার মারফত জেনে নিলেন। বাহ্‌। আপনার মন্তব্যের তারিফ না করে পারছি না।

পাঁচ দিলাম কেউ ঘোষণা না দিলেও এক দুইটা মন্তব্য পড়ে বোঝা যায় লেখাটা তাঁদের কিছুটা ভালো লেগেছে। আমি নিজে এক দুইবার ছাড়া পাঁচ দিলাম বলি নাই, মুগ্ধতা জানিয়েছি সাথে পাঁচ দিয়ে দিয়েছি।

ঘোষণা দেয়ার দরকার তো নাই, কেন ভালো লাগে নাই হালকা জানালে ক্ষতি কী।

ছফাগিরির দশম কিস্তি লিখতে এই ফালতু লেখকের ৩০টা দিন লেগেছে (মানে ৩০ টা দিনের ক্ষুদ্র বৃহৎ বিভিন্ন সময়)। আমার পাঁড় পাঠক ৫ কি ১০ মিনিট পড়ে সেটাতে একালেন। এতো আনন্দ রাখি কোথায়!!

অনেক যদি কিন্তু হতে পারে মিশিয়ে আপনার কাল্পনিক যুক্তিগুলো মন্দ নয়। চোখ টিপি

------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নীতিমালা ভঙ্গ না করেও পাঠকের ইচ্ছে মতো তারা দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে, বলাই বাহুল্য। পাঠক কোনো লেখা ভালো না লাগলে যে কোনো সংখ্যক তারা দিতে পারেন, লিটেরারি ক্রিটিক হতে হবে তার জন্য এমন কথা নীতিমালা উক্ত বা অনুক্ত কোনোভাবেই ইঙ্গিত করে না। লেখকের আশঙ্কা যদি জিঘাংসাবশতঃ তারাদান নিয়ে হয়, তার একটা ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে পাঠক একে একে সেই লেখকের লেখা পড়েছেন এবং রেটিং করেছেন। দুটি লেখা রেটিং করার মাঝে সময়ের ফাঁক রাখার কথাও নীতিমালা বলে না।

একি পাঠুদা! আপনার মুখে একথা শুনে যারপরনাই অবাক হলাম! নীতিমালায় নাই বলেই আপনার এথিক্সে জিঘাংসাবশতঃ এক তারা দেয়াটা আটকায় না? তাহলে আপনার সচলভাষায় বলা এত নীতিকথা বলার কী মূল্য থাকল?

খুবই অবাক হলাম! খুবই!!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মূলত পাঠক এর ছবি

@মাহবুব মুর্শেদ,

আমার প্রকাশের দোষেই সম্ভবতঃ, বক্তব্য ঠিকভাবে বোঝা যায় নি। আরেক বার বলি।

"লেখকের আশঙ্কা যদি জিঘাংসাবশতঃ তারাদান নিয়ে হয়, তার একটা ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে পাঠক একে একে সেই লেখকের লেখা পড়েছেন এবং রেটিং করেছেন।"

যে ঘটনাটিকে শত্রুতা মনে হয় লেখকের, সেটা যেমন শত্রুতা হতে পারে তেমনি এ-ও হতে পারে যে পাঠকের ঐ লেখাগুলো ভালো লাগে নি। সেক্ষেত্রে পাঠকের পড়া থামিয়ে দেয়া উচিত কিম্বা পড়লে লেখার রেটিং না করা উচিত, এ সিদ্ধান্তগুলো পাঠকের হাতেই থাকে। ঠিক যেমন কী ভাষায় লেখক লিখবেন সে স্বাধীনতা তাঁর। এ নিয়ে আমি অনুরোধ করতে পারি, বিদ্রুপ করার অবকাশ কম। নেই তা বলা যায় না হয়তো। বক্তব্য এইটুকুই।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সরাসরি প্রশ্ন করি। ২০টা ব্লগ আপনি পড়ছেন? একতারার যোগ্য মনে হয়েছে? সরাসরি বলেন।
ধানাই পানাই করে লাভ কী। যদি না পড়েন তাইলে সেই কাল্পনিক পাঠককে এতো গুরুত্ব দিচ্ছেন, আর লেখক বোকাচোদা ফালতু লেখকের ট্যাগ করতে চাচ্ছেন-এটা উদ্দেশ্যমূলক মনে হচ্ছে।

মডারেটরদের অনুরোধ করি, এই তারা দেয়ার ডাটা তাঁদের কাছে আছে। কে দিয়েছেন জানার দরকার নেই। তারানো কতোক্ষণের মধ্যে হয়েছে সেটা খোলাসা করলে ভালো হয়। তাতে মূলত পাঠকের সুবিধা, আমারো সুবিধা।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি আপনার অধিকাংশ ব্লগ পড়েছি, কাজেই উত্তরটা হ্যাঁ।

একতারার যোগ্য কি না তার উত্তর আমি দিতে পারি না পুরোটা। এ কথা আগেও বলেছি, সাহিত্য সমালোচনার হিসেবেই তারা দেওয়া হয় এমন কথা নেই। কারো ভালো না লাগলেও তারা দিয়ে সেটা প্রকাশ হয়। সরাসরি যখন জানতেই চেয়েছেন তো বলি, আপনার লেখা আমার ভয়ানক কিছু ভালো লাগে না। সেটা আমার নিজের মত, সাহিত্যের আকাশে তাতে কটা তারা জ্বললো তার হিসেব সেখানে মিলবে না।

'ধানাই পানাই' করে লাভ কী জানি না, এই মন্তব্য লিখেও তো লাভ কিছু নেই। কথাটা তারা দেয়া না দেয়া নিয়ে হলে কিছু জেনেরাল আলোচনা আসে, কথাগুলো সেই বাবদই বলা। আপনার পছন্দ না হলে আমি নিরুপায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কথা আরো বাড়ানো যায়। থামি না হয়।

ধন্যবাদ, সরাসরি বলার জন্য।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

হিমু এর ছবি

কারো যদি ভালো না লাগে কোনো কিছু, সে ১ রেইট করতেই পারে। বহুদিন আগে শিমুল বলেছিলো কথাটা, আজ মূলত পাঠক বলছেন, ৫ তারা পেলে আমরা প্রশ্ন তুলি না কেন?

কারো ভালো লাগা বা মন্দ লাগার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাওয়া ঠিক নয়। আমি নিজেও গোপন একতারার মূর্ছনার শিকার। এ নিয়ে একদিন মডারেটরদের কাছে অভিযোগও ঠুকে বসেছিলাম। কিন্তু আমি নিজেই অতীতে বলেছি, আজও বলছি, পাঠক যদি ১ রেইট করতে চান, সেটি লেখকের দৃষ্টিতে জিঘাংসাবশত হলেও তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাওয়া দীনতার লক্ষণ।

আর কেউ যদি বিনা কারণে হঠাৎ আবিষ্কার করেন, অমুকের গত কুড়িটি লেখায় ১ দেয়া হয়নি, যাই দিয়ে আসি, তিনি একটু থেমে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, নিজের প্রতি সুবিচার করছেন কি না। ইউ মাস্ট বি বেটার দ্যান দ্যাট।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তুলিরেখা এর ছবি

১,২,৩,৪, বা ৫ যেকোনো তারা দিলেই নাম দেখায় না বা কোনোভাবে বোঝা যায় না কে দিলেন। এটা খুবই জটিল একটা ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতি তৈরী করে। আগেও এই নিয়ে লিখেছি। জানা গেল না ১ তারা দিয়ে একজন বুঝিয়ে গেলেন লেখাটা ভালো লাগে নি, এদিকে আরেকজন লেখাটা পড়ে ভালো ভেবেছেন, একটা ভালো মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যকারীর নাম দেখা যাচছে, এদিকে উপরে ১ তারা। লেখক ভুল বুঝতে পারেন যে এই লোকই বুঝি মুখে মিঠাকথা কয়ে উপরে ১ তারা দিয়েছেন। খুবই ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। মডুরা ভেবে দেখতে পারেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্বাধীন এর ছবি

মোটেই ভাল চিত্র নয় এটা। যিনিই দিচ্ছেন কাজটি ঠিক হচ্ছে না। আশা করি মডুরা ব্যাপারটিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

তাসনীম এর ছবি

এই হোলসেল একতারা আমারো পছন্দ হয় নি।

তারা নিয়ে আমার নিজের একটা অবসার্ভেশন যোগ করি। কিছুদিন আগে আমার একটা ব্লগে দুটো প্রোফেইন মন্তব্য এসেছিল, খুব সাংঘাতিক কিছু নয়। কিছুটা বিরক্তি নিয়েই আমি মডুদের সেই মন্তব্যের ব্যাপারে আপত্তি জানাই এবং মুছতে অনুরোধ করি। সেটা তাঁরা করেন। আমার পরে মনে হয়েছে আমি হয়ত অন্য ভাবেও হ্যান্ডেল করতে পারতাম এটা, মোছাটা দরকার ছিল না। এর পরপরই এটা নিয়ে বেশ কয়েকটা মন্তব্য আসে, এক পর্যায়ে আমি বেশ ক্রুদ্ধ মন্তব্য দিয়ে আমার স্ট্যান্ডটা জানাই।

সেই প্রথম আমি তারার ব্যবহারটা লক্ষ্য করি, আমি দেখলাম যে এরপর কেউ একজন (?) একতারা দিয়েছেন, এরপর কেউ আবার ৪ বা ৫ তারা দিয়ে রেটিংটা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

কেন ১ তারা বা ৪ অথবা ৫ তারা দেওয়া হয়েছিল সেটা আমি এখনো জানি না, কিন্তু বুঝেছি কেউ কেউ লেখার মানের চেয়েও ব্যক্তিগত রাগ/বিরাগ/পছন্দ/অপছন্দ/মতামত টেনে এনে রেটিং দেন। সেটা কী ভালো না মন্দ সেটা মডুদের বিবেচনা।

রেটিংটা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত একটা লেখাকে টপচার্টে রাখতে পারে। আমি নিজে হাতে সময় কম থাকলে এই চার্ট ফলো করে ব্লগ পড়ি। হয়ত অনেকেই পড়েন।

তবে তারার মাধ্যমে গোপন রাগ ঝাড়া যায়। আমি প্রস্তাব করব তারা দেওয়ার অপশন একটা ব্লগ পাব্লিশ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার পর আর রাখার দরকার নেই, যদি এটা টেকনিক্যালি পসিবল হয়। এক্ষেত্রে কিছু এবিউজ হয়ত ঠেকানো যাবে। মডুরা ভেবে দেখতে পারেন আমার প্রস্তাবটা।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আগের গুলোর মতো অনুবাদ হয়নি...ছন্দপতন ছিলো হয়তোবা আমার পড়াতেই...তবে আমোদিত হয়েছি! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ওডিন এর ছবি

হাবিবি: আসলে অহন মাইনষে বেশিরভাগ সময় আপসেট থাকে। কারো লগে কথা বলবার গেলেই সে তোমারে ছিঁইড়াখুঁইড়া খাইবো। ক্যান এরম ঘটতাছে জানি না। হইবার পারে মাইনষের এত রাগ সৌর বিস্ফোরণের লাইগা হইতাছে।

মিয়া আপনে অমানুষ একটা! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আর বিষদা, তারাফারা সব ভ্রান্ত ধারমা! দ্যাশে থাকলে আপনেরে লগে নিয়া বিসমিল্লাহর কাবাব ঘরে বাকি আলোচনা চালানোর ইচ্ছা ছিলো। আপনে নাই, কি আর করা! মন খারাপ

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মামুন হক এর ছবি

শুভাশীষদা অনেক খাটাখাটনি, পরিশ্রম, পড়াশোনা করে আমাদের একের পর এক দারুণ সব লেখা উপহার দিচ্ছেন। লেখার মেরিট আলোচনায় না গিয়ে, ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে না দিয়ে যিনি নিরলসভাবে এক তারার মচ্ছব লাগিয়ে যাচ্ছেন তাকে ধিক্কার জানাই। এর কোনো অর্থ হয় না। হাউ অ্যাবাউট গ্রোয়িং আপ আ বিট ফর আ চেঞ্জ?

দ্রোহী এর ছবি

লেখাটা জমলো না বেশি। আপনার লেখালেখির মানের সাথে গেল না। [একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত]


কি মাঝি, ডরাইলা?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার সাথে খোমাখাতায় কথা হইছিল, আমার লেখায় প্রায়ই এমন হয়, আমি এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নেই, নিজের লেখার মান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে, তাই ১ ভোট পেতেই পারি।

কিন্তু আমার আর আপনার জুতার মাপ জামার মাপ এক হবে না, তাই একই থিওরি আপনার ক্ষেত্রে খাটবে বলে মনে হয় না, কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে ১ ভোট দিয়ে যাচ্ছে, এরকম হলে সরাসরি আমি মডুদাদাদের তড়িৎবার্তা করে দিতাম। তাতে এটা ধরা পড়ত এবং দরকার মোতাবেক উপযুক্ত ব্যবস্থাও মডুদাদারা নিতে পারতেন।

আমি কাউকে উপযুক্ত সমালোচনা করার যোগ্যতা রাখি না, তাই ভালো লাগলে স্তুতিবাক্য ঝেড়ে বিদায় নেই, খুব খারাপ লাগলে বা আপত্তিকর লাগলেও সেটা বলে যাই। ভোটও আমি দিলে ৫ নাহলে ১। তবে ১ দিলে আমি ঘোষনা দিয়েই দাগাই। দলছূট এর ২ পোস্ট, সিরাতের এক পোস্ট এবং কারুবাসনার এক পোস্টে ১ তারা দাগিয়েছিলাম। সেখানে উল্লেখ ও করে গিয়েছিলাম কেন ১ তারা দাগিয়েছিলাম। তবে কেউ ঘোষনা দিবেন কিনা সেটাও কিন্তু সেই সচলের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি অতি অল্পতেই খুশি হয়ে যাই কিনা! তাই তারা দাগাতে কার্পণ্য করি না। আর দাগাবোনাই বা কেন? যারা সচলায়তনে লিখছেন, তারা একটা মডারেশন প্যানেলের মাঝে দিয়ে গিয়েছেন, আর যারা এখনো সচল হননি তারা সরাসরি মডারেশনের হাতে ফিল্টার হয়েই আসছেন।

অনেক বেহুদা প্যাচাল পাড়লাম, আপনার এই লেখাটা ভালো লাগল, ৫ তারা দাগায় গেলাম। আপ্নার টুকুন গল্প দারুণ হয়, আশাকরি খুব শীঘ্রই শততম পোস্ট দিয়ে সেলিব্রেট করবেন! আমি তারা নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।