শর্মিলা বসুর কল্পজগৎ। পর্ব এক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২০/০৩/২০১১ - ৫:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শর্মিলা বসু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবপেজে লেখা আছে, তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ওপর বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। শর্মিলা বসুর গবেষণাতে পাকিস্তান দেশটির প্রতি অন্ধ আনুগত্য লুকোছাপা করে আসে না, সেটা আসে প্রকাশ্যে। তিনি একাত্তরের যুদ্ধের গায়ে গৃহযুদ্ধের তকমা লাগান, যুদ্ধের মধ্যে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা খুঁজে পান না, ধর্ষণ আদৌ কোনো পাকিস্তানি সৈন্য করেছে কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন। তিনি একটা বিশেষ মিশনে কাজ করে যাচ্ছেন। একাত্তরের যুদ্ধে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের দায় পাকিস্তানিদের দিক থেকে সরিয়ে তথাকথিত বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের দিকে তাক করাই তার আসল লক্ষ্য।

শর্মিলা বসু আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় মাঝে সাঝে প্রবন্ধ লিখেন। এছাড়া তার বেশিরভাগ কাজ ইংরেজিতে। গুজরাট দাঙ্গার সময় কলকাতার ‘দা টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় তিনি বেশ কিছু কলাম লিখেছেন। তার গবেষণার একটা প্রধান আগ্রহ ১৯৭১ সালের যুদ্ধ; তবে ইতিহাসের অনুগত না থেকে ইতিহাস বিকৃতির নির্লজ্জ কাজ তিনি ধারাবাহিকভাবে করে যাচ্ছেন তার হার্ভাডের ডিগ্রী আর অক্সফোর্ডের চাকুরির ওজন দিয়ে। ভারতীয় জার্নাল ইকোনোমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলিতে প্রকাশিত তাঁর দুটি গবেষণাপত্রের সীমাহীন মিথ্যাচার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রথমটি প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের অক্টোবর মাসে। প্রবন্ধের শিরোনাম: ‘Anatomy of Violence: Analysis of Civil War in East Pakistan in 1971’; পরের পেপারটির নাম: ‘Losing the Victims: Problems of Using Women as Weapons in Recounting the Bangladesh War’; এটি প্রকাশিত হয় একই জার্নালে (সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে)।

শর্মিলা বসুর গবেষণা নামক বস্তুটি একটি বিশেষ উপপাদ্যকে আগে স্থির করে পরে সেটিকে প্রমাণ করতে এগিয়েছে। উপপাদ্যটি হলো: ১৯৭১ সালের যুদ্ধ-পূর্ববর্তী পূর্ব পাকিস্তানীদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ছিল সশস্ত্র ও উগ্র এবং এদের অবাঙালি হত্যাকাণ্ড পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদি গুণ্ডারাই প্রথম করেছে বলে সেটা দমন করতে পাকিস্তান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। এই উপপাদ্যের একই প্রয়োগ দেখতে পাই তার শিষ্য রুবাইয়াত হোসেন কিংবা এবাদুর রহমানদের কাজ কারবারে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের কল্পিত ভূত তাদের তাড়া করে বেড়ায়।

শর্মিলা বসু তাঁর প্রথম গবেষণাপত্রে জেনারেল নিয়াজি, জেনারেল মিঠার বই থেকে রেফারেন্স দিয়েছেন। একাত্তর সালের আগস্টের পাঁচ তারিখে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রকাশিত শ্বেতপত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। খুনে পাকিস্তানি জেনারেলদের কথাকে তিনি মানতে রাজী আছেন। অথচ একাত্তরে পূর্ব পাকিস্তানে নেমে আসা বর্বর গণহত্যার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর ভাষ্যকে তিনি এক কথায় নাকচ করে দেন। পাকিস্তান সরকার তাদের শ্বেতপত্রে বাংলাদেশের মানুষের বর্বরতার গল্প লিখে পৃথিবীকে দেখাবে। সেখানে সত্যের লেশমাত্র থাকবে না- এটা বুঝতে খুব একটা কষ্ট করা লাগে না। অ্যান্থনি মাসক্যারেনহাসের ‘দি রেপ অব বাংলাদেশ’ বইটির কথা প্রায়শ এনেছেন। তবে তার ব্যবহার উপযোগী বাক্যগুলো-ই কেবল উল্লেখ করেছেন। মাসক্যারেনহাস পাকিস্তানিদের বর্বরতার সচিত্র বিবরণ দিয়েছেন। সেগুলো এড়িয়ে গেছেন শর্মিলা বসু।

সুজন চৌধুরীর করা শর্মিলা বসুর ক্যারিকেচার

শর্মিলা বসু কেস স্টাডি করেছেন বলে তাঁর গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে তদন্ত করে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এতো উপাত্ত একা সংগ্রহ করা বেশ শ্রমসাধ্য। কিন্তু কোনো সহযোগির নাম তিনি উল্লেখ করেননি। পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো যুদ্ধ ঘটেনি। শর্মিলা বসু বাংলাদেশে যুদ্ধ শেষ করে পাকিস্তানে ফেরত যাওয়া হানাদার বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাদের কথাবার্তাকে ধ্রুব সত্য ধরে নিয়ে তাঁর উপাত্তের পাল্লা ভারি করেছেন। এই ধরণের কেস স্টাডির বিস্তারিত বিবরণ থাকা প্রয়োজন। স্থান কাল পাত্র- এই তিনটি খুব নির্ধারিত করে দেয়া না থাকলে এইসব কেস স্টাডি কতোটা কল্পনা কতোটা বাস্তব সেটা নিয়ে সন্দেহ করা যায়। গবেষণা করতে গিয়ে কতোটা নিচে নামা সম্ভব সেটা শর্মিলা বসুর দ্বিতীয় গবেষণাপত্রটি পড়লে বীঝা যায়। সেখানে স্বাধীনতার দলিলপত্রে প্রকাশিত প্রত্যক্ষদর্শী সুইপার রাবেয়া খাতুনের বয়ান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ধর্ষণে আমোদ লাভ করেন বলে একাকি তার বাংলোতে থেকে গেছেন বলে মত দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান মণ্ডলের কথাবার্তাকে ঘুরিয়ে তাকে অভিযুক্ত করেছেন। নয়নিকা মুখার্জির একটা গবেষণাপত্র ভুলভাবে ব্যাখা করেছেন। আখতারুজ্জামান মণ্ডল ও নয়নিকা মুখার্জির প্রতিবাদ পরে সেই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা দুজনে তুলোধুনো করেন শর্মিলা বসুর মিথ্যাচারকে। শর্মিলা বসু এর প্রত্যুত্তর দেয়ার আর সাহস পাননি। ফলে প্রথম গবেষণার কেস স্টাডিতে মিথ্যা তথ্য প্রবেশ করানোর ব্যাপারে সন্দেহ বাড়ে। তাই বলা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের পঁয়ত্রিশ বছর পরের বিশেষ মিশনে নামা শর্মিলা বসুর অপরিচ্ছন্ন কেস স্টাডি সত্য নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো ভূমিকাই রাখে না।

শর্মিলা বসু রেফারেন্স উল্লেখ করে মিথ্যা কথা লিখেন। রুবাইয়াত হোসেনের গবেষণা, সিনেমা নির্মাণে শর্মিলা বসুকে অন্ধভাবে অনুকরণ করার প্রবণতা আছে। ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের কবিতার ব্যবহার, আকাশ থেকে নেমে আসা কেস স্টাডি, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কথা, নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ থেকে নিজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার মতো কথাবার্তা ব্যবহার, রেফারেন্স সহ মিথ্যাচার- এরা দুজনেই করেন। শর্মিলা বসু তাঁর ‘Losing the Victims: Problems of Using Women as Weapons in Recounting the Bangladesh War’ পেপারে রেফারেন্স উল্লেখ করে বলেছেন-


(Bose: 2007)

বইয়ের সূত্র দেখলে এর পেছনের উদ্দেশ্য আর ঢাকা থাকে না।


(Bose: 2007)

নিয়াজির মতো একজন যুদ্ধাপরাধীর বই বা কথাবার্তা থেকে তিনি প্রয়োজনমাফিক মিথ্যা টুকে নেন।

একাত্তরের ডিসেম্বরের ষোলো তারিখে পাকিস্তানি সৈন্যদের সংখ্যা ৯০,০০০ বা তার চেয়ে বেশি ছিল সেটা নানা জায়গায় উল্লেখ আছে। সেগুলো এড়িয়ে তাঁকে তথ্য নিতে হয় নিয়াজির কাছ থেকে।


(Cheema: 2002)

‘একাত্তরের নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ বলার মধ্যে তাদের অপমান করা হয়’ বলে প্রায়শ কুম্ভিরাশ্রু বর্ষণ করেন শর্মিলা বসু ঘরানার লোকজন। শর্মিলা বসুর দ্বিতীয় গবেষণাপত্রে আছে-


(Bose: 2007)

পরে সেটাকে গাণিতিক হিসেব করে দেখিয়েছেন তিনি।


(Bose:2007)

তাঁর গাঁজাখুরি হিসেবে ৩৪,০০০ জন পাকিস্তানি হানাদার সদস্য (বা তার চেয়েও কম) পূর্ব পাকিস্তানে ধর্ষণে অংশ নিয়েছে। প্রকৃত ৯০,০০০ সংখ্যার কথা উল্লেখ করলে গাণিতিক হিসেব পালটায়। তখন জনপ্রতি ধর্ষণের ভিক্টিমের সংখ্যা ৬ থেকে ১২ এর বদলে ২ থেকে ৪ হয়। এখানে আরো একটা ব্যাপার- যুদ্ধ চলেছে ২৬৫ দিন। পাকিস্তানিদের মতো সঙ্গমকাতর পুরুষদের জন্য ২৬৫ দিনে দুই থেকে চারজন নারীর উপর পাশবিক অত্যাচারের হিসাবটা বরং কষ্টকল্পনা।

শর্মিলা বসু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ২০০৫ সাল থেকে। কিন্তু পাকিস্তানি জেনারেলদের বিবৃতিতে তিনি কোনো মিথ্যা খুঁজে পান না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্যে বেলুচ সেনাদের ভালোমানুষ হিসেবে দেখানোর মানসিক অঙ্কের একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বেলুচ জনগণ পাকিস্তানে শোষণের শিকার বলে তাদের সাথে নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রামীরা। ফলে মিথ্যা মিথ্যা বেলুচ সৈন্যদের গুণগান চালু হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্যে। পাকিস্তানের জেনারেলদের কাছ থেকে ভালোমতোন খবর নিয়ে তিনি জেনেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে নাকি কোনো বেলুচ সৈন্য ছিল না। এই কথাটা তিনি বুক ইভেন্টে স্পষ্ট করে বলেন যদিও তাঁর আগের গবেষণায় এই কথা জোর গলায় বলেন নাই। ফলে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমায়ও বেলুচ সৈন্য মানবিকতার ঢাল পড়ে ঢুকে পড়ে।

শর্মিলা বসু তার মিশনে আরো এগিয়ে গেছেন। একাত্তর নিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যমূলক গবেষণার কাল্পনিক রূপকে তিনি বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। বইয়ের নাম ‘ডেড রেকনিং: মেমোরিজ অফ দা ১৯৭১ বাংলাদেশ ওয়ার’। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি'র উড্রো উইলসন সেন্টারে বইটি নিয়ে একটা বুক ইভেন্ট হয়েছে। বইয়ে কি কি অধ্যায় থাকবে আর সেগুলোর নির্যাস সম্পর্কে আলোচনা করে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসহনীয় এথনিক আচরণের মনগড়া ব্যাখ্যা দেন।

বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন-

It examines the repeated misrepresentation of the Bengali uprising as a non-violent, non co-operation movement when, in reality, it is openly and proudly armed and militant.

শর্মিলা বসুর এই বিশ্লেষণ আঁশটে। রেফারেন্স ঘেঁটে এর জবার দেয়া খুবই সহজ। তবে একটা সাধারণ কথা বলি। সেই সময়ে বাংলাদেশের মানুষের হাতে অস্ত্র থাকলে পঁচিশে মার্চের কালোরাতে এভাবে নিরস্ত্র হয়ে পাকিস্তানিদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হতো না। শর্মিলা বসু কাউন্টার ন্যারেটিভের জোরে ইতিহাস পালটে দিতে চান।

এক জায়গায় বলেন-

It shows also, for example, how the militancy and violence of Bengali Nationalism in 1971 was a chaotic one, not an organized one under a national leadership. The national leadership was involved in a double game of public incitement on the one hand and private negotiation for power on the other hand.

শর্মিলা বসু ইয়াহিয়া, ভুট্টোদের ডাবল গেমের কিছু দেখেন না। যা কিছু দেখেন সব বাঙালি জাতীয়তাবাদিদের দ্বিচারিতা। তাঁর কথাবার্তা, লেখালেখি দেখে তাকে স্কলার তো দূরের কথা বরং একজন গণ্ডমূর্খ ও যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পদলেহনকারী ভাড়াটে লেখক বলে মনে হয়।

শর্মিলা বসু ইংরেজিতে লিখেন বলে তাঁর লেখার পাঠক আন্তর্জাতিক। বাংলাদেশের একাত্তরের যুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যা বলে তিনি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চান। একাত্তরের যুদ্ধের আসল ইতিহাস যারা জানেন না, তারা এগুলোকে সত্য বলে ধরে নিয়ে রাষ্ট্র পাকিস্তানকে অনাড়ষ্টভাবে বুকে জড়াবে। বাংলাদেশ সরকার শর্মিলা বসুর কথাবার্তাকে ছাড় দিয়ে আসছে। শর্মিলা বসুর এইসব মিথ্যচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেয়া না হলে শর্মিলা বসু ফ্যান ক্লাব আরো কিছু মেহেরজান প্রসব করবে। আর তাদের বাঁচাতে বসু-স্টাইলে বাঙালি জাতীয়তাবাদিদের গাল দিতে দিতে নানারকম ডিসকোর্সের অবতারণা করবেন আমাদের কালের বিপ্লবী ফারুক ওয়াসিফ কিংবা সুবিধাবাদী কতিপয় ফাহমিদুল হকেরা।

সূত্র:

১। Bose, Sarmila, Book Event for ‘Dead Reckoning: Memories of the 1971 Bangladesh War’, March, 2011
২। Bose, Sarmila, ,Losing the Victims: Problems of Using Women as Weapons in Recounting the Bangladesh War Economic and Political Weekly September 22, 2007
৩। Bose, Sarmila, Anatomy of Violence: Analysis of Civil War in East Pakistan in 1971’, Economic and Political Weekly, October, 2005
৪। Cheema, Pervaiz Iqbal, The Armed Forces of Pakistan, Allen & Unwin, 2002

(চলবে)


মন্তব্য

পাগল মন এর ছবি

শুধু উত্তম জাঝা! দিয়ে যাই। আর কিছুই বলার নেই। শেয়ার দিলাম।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

হিমু এর ছবি

শর্মিলা বসুকে পাকি ব্যারাকে নয় মাস শুতে পাঠানো হোক।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

লাভ হবে না হিমু ভাই। ফিরে এসে কোন প্রবন্ধ ঝাড়বে মাই নাইন মান্থস্ প্লেজার ট্রিপ ইন পাকি ব্যারাক।

এইসব *** ** দের জন্য প্রতিদিন একদলা থুথু বরাদ্দ।


love the life you live. live the life you love.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

তারাপ কোয়াস,
চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্মম ক্ষতগুলোকে নিয়ে ভারতীয় রাজাকার শর্মিলা বোসের এই গবেষণা ক্রীড়ার পেছনে কোন 'মহৎ' স্বার্থ জড়িত আছে কিনা সেটা তদন্ত করা উচিত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এই গো+এষনা জাতীয় বস্তুসমূহ আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইবুনালে উপস্থাপিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। আমরা কি সরকারের সঠিক দরোজায় কড়া নাড়তে পারবো?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দ্রোহী এর ছবি

আহারে বেচারি! কার ঠাপ খেয়ে যে এইসব বলতে বাধ্য হয় তা জানতে বড় ইচ্ছা হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সরকারের বক্তব্য/পদক্ষেপের জন্য আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হয় কে জানে। সরকার আদৌ এসবের খবর রাখে কি? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এসব বসুদের বই-পুস্তকই হবে অপরাধীধের আশ্রয়স্থল। এসব কাজ যদি সরকারের দিক থেকে প্রতিবাদের মুখে না পড়ে তাহলে সামনে বিপদ আছে।

দ্রোহী এর ছবি

লুঙ্গির আবার জিপার চান?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জিপার না দিয়ে উপায় আছে? এখন হালকা বাতাসেই এদিকওদিক উদোম হয়ে যাচ্ছে, ঝড় শুরু হলে তো কুলাবে না।

দ্রোহী এর ছবি

জিপার পাবেন না। দড়ি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. এই ধরনের রচনাগুলো অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি পত্রপত্রিকাতে আসতে হবে। নয়তো ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত দেশের বড় অংশ মানুষ এই অপপ্রচারের স্বরূপ বুঝতে পারবে না। ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও আলোচনাগুলো আসা দরকার। তবে ভয় হয় সেখানে তো আসিফ নজরুলরা হচ্ছে টক শোগুলোর হর্তা-কর্তা।

২. এই ধরনের রচনাগুলো ইংরেজীতেও প্রকাশ করা দরকার। সম্ভব হলে ঐ সমস্ত পত্রিকা-জার্নালে যেখানে শর্মিলা বোসেরা এই রকম অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। নয়তো শর্মিলা বোসদের আসল চেহারাটা বাইরের দুনিয়ার কাছে অজ্ঞাত থেকে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

উত্তম জাঝা! গুরু গুরু

মেজাজ বিলা , বিপিও হাই তাছাড়া এই শুয়রের বাচ্চাকে নিয়ে লিখতে গেলে ভাষার সূশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়না । তাই লিখব লিখব করেও লিখতে পারিনা ।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল । লিঙ্কটি ছড়িয়ে দিচ্ছি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়। তার আগে।

পশ্চিমের বড় বড় আশ্রমে দীক্ষা পাওয়া এমন অনেকই দেখা যায়। এদেরকে অ্যাকাডেমিকালি মোকাবেলা করা ভাল। কিন্তু লাভ কতটা। অ্যাকাডেমিক রিসার্চের স্ট্যান্ডার্ড তো এই বমিলা বসু মানে নাই। এইটা তার প্রবন্ধ, বই যারা ছাপায়, তারে যারা বক্তৃতা দিতে ডাকে তারাও কি জানে না? এইগুলা সবগুলা হোলসেলে ছাগুরাম সুলভ ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

একজন পাঠক এর ছবি

শর্মিলা বসুর সাথে মেহেরজান তর্কে যারা গ্রান্ডন্যারোটিভ আর জাতিয়তাবাদী ডিসকোর্সের বিরোধীতা করেছে তাদের মধ্যে বাস্তবে রাজনৈতিক পার্থক্য কি?
এটা কি এই যে, শহুরে পত্রিকায় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনা করলে ইসলামী জাতীয়তাবাদী ডিসকোর্সের সরাসরি সমর্থক হওয়া যাবে না? হলে বাজারে ছি ছি রব পড়ে যাবে? এটা আরও ‌'কাপরুষতা' এবং চাতুর্যপূর্ণ ভন্ডামি। এর থেকে সরাসরি জামাত ইসলাম অনেক সহজ হিসেব নিকেশের ক্ষেত্রে। আমিন!

অতিথি লেখক এর ছবি

মগবাজার হতে সরাসরি এই লাদী বাজারজাত করা হলে মানুষ সন্দেহ পোষণ করতে পারে একারনে এগুলাকে জামাতি আলবদর ফিরোজ কামাল মাহবুবেরা আম্রিকা PHD( PUBIC HAIR DRESSER ) ধারী বশুর মতো লোকদের দিয়ে বাজারে ছাড়ে, আমি খালি অপেক্ষায় আছি লুঙ্গী মজাহারিয় বাম গোষ্ঠী এক্কে alternative discourse শব্দবলি দিয়ে একে কীভাবে হালাল করার চেষ্টা করে।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

"এইটা তার প্রবন্ধ, বই যারা ছাপায়, তারে যারা বক্তৃতা দিতে ডাকে তারাও কি জানে না?"

এখানে একটু টুইস্ট আছে, যা শুভাশীষের লেখায় পুরোপুরি উঠে আসে নি।

ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন নামে ICSF-এর সাথে জড়িত, সম্ভবত আইনজীবী, এক ভদ্রলোকের একটা লেখার (Who's afraid of Sharmila Bose) কিয়দংশ উপস্থাপন করছি। এখানে মিজ বোসের পাকপিঠচুলকানোর বেশ কিছু সূত্র পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

Dr. Bose has a bad reputation in South Asia; questions have been raised about her academic objectivity and questionable bias in her attempts to rewrite modern South Asian history. In June 2005, Dr. Bose was invited to deliver an academic paper at a two-day conference in Washington D.C at the request of the United States Department of State. In the paper she claimed that sections of Bangladesh and Indian society had deliberately exaggerated war crimes allegations.

In October 2005, she wrote an article called ‘Anatomy of Violence: Analysis of Civil War in East Pakistan in 1971’ in the Economic and Political Weekly which echoed her lecture she gave at US State Department. The article caused a stir to say the least. Bangladeshi and Indian historians called it a ‘whitewash’ some have even called it a fabrication which leaned too closely to Bose’s seeming professional sympathy for Pakistan’s military. She’s even lavished praise on Musharraf in Pakistani newspapers.

Before her seminal article, on the alleged embellishment of war crimes in Bangladesh, she wrote a widely circulated opinion piece with W. B. Milam, former US Ambassador to Pakistan, for the Christian Science Monitor in April, 2005. Bose was a relative unknown at this point. The article was called ‘The Right Stuff: F-16s to Pakistan is Wise Decision.’ It was after the series of articles in 2005, Bose’s star rose to the ascendant professionally. But her links to the US political establishment and the effect on her work has been called into question.

Nayanika Mookherjee wrote about Bose and her affiliations in 2006. He argued that an academic helping to flog F16s to Pakistan after a US embargo on the delivery is surely a cause for concern about her objectivity. Lobbying by academics is seen as an occupational hazard. London School of Economics (LSE) is currently experiencing the humiliation of being aligned with tyrants for the sake of realpolitik.

Western academia have shown that they can often have a negative effect on foreign policy due to lobbying; this behaviour should be put under the microscope. Dr. Bose also gave a lecture on Bangladesh’s ‘claims’ of war crimes for The Pakistan Society at the LSE in 2007. She has become an establishment figure in the West. She was also present at high-level talks on Pakistan at The Ditchley Foundation, Oxfordshire in 2007 with security and intelligence figures from Pakistan and the West.

সাধে মার্ক্স বলেছিলেন, "অর্থনীতিই হচ্ছে সমাজনীতি, ধর্মনীতি আদি সবকিছুর চালক"!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সংসপ্তক এর ছবি

এই লেখাটার ইংরেজি অনুবাদ থাকা দরকার। করবো?

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

করে ফেলো, অর্ক।

অমিত আহমেদ এর ছবি

সমস্যা হচ্ছে রাজাকার/নিও-রাজাকারদল অনেক পয়সা/সময় খরচ করে এদের তৈরি করেছে/করছে। এদের দলে নাম লেখালে সুবিধাও কম পাওয়া যায় না। আজকে যদি আমি বলি আমার দামী ডিগ্রী আছে এবং আমি পাকিপ্রেমের লেখা লিখতে/গবেষণা করতে চাই - আমার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক দিয়ে ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। চাকরি ও অন্যান্য সুবিধা তো আছেই। এখানেও মজা। আমাদের যেমন বদঅভ্যাস আছে একজনের বাবা/চাচার রাজাকারী/জামাতী পরিচয় দেখে তাকে যাচাই করা। এটা এদের মধ্যে নাই। কারও বাবা-চাচা মুক্তিযোদ্ধা হলে এরা আরো বেশি আমোদিত হয়। দেখে ব্যক্তিগত ভাবে আমি কি বিশ্বাস করি। কেমন লাইফস্টাইল লীড করি। ইত্যাদি। এমন নেটওয়ার্কের খবর কানে আসে এখানেও। এরা খুব প্রোঅ্যাকটিভ - অনেক আগে থেকেই রিক্রুটিং চলছে। অন্যদিকে আমাদের কিন্তু নিজেদের গরজেই কাজ করে যেতে হয়। স্বাধীনতাপক্ষের কে '৭১ নিয়ে বড় ইন্সটিটিউটে গবেষণা করছেন জানতে ইচ্ছে করে। আমি মাঝে কৌতুহলে খোঁজ করেছিলাম - বাংলাদেশের রাজনীতি ও '৭১ নিয়ে বড় স্কুলগুলোতে কেমন গবেষণা হচ্ছে। পাকিপ্রেমী/ইসলামী ফ্যানাটিক ছাড়া তেমন কাউকে পাইনি। পাবলিকেশন টাইটেল দেখলেই বোঝা যায়। যেমন একটা পাবলিকেশন ছিলো - কেনো ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক শাসনই উপযুক্ত! আমার অনুরোধ যাঁরা পলিটিক্স, সোস্যিওলোজি, সোস্যাল এনথ্রোপোলোজি, ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা অবসর সময়ে হলেও বাংলাদেশ ও '৭১ নিয়ে একটু কাজ করুন। ইন্টারন্যাশনার কনফারেন্স/জার্নালে একটা লেখা পাঠান। ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কেস করা যায় এই কৃমির বিরুদ্ধে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রানা মেহের এর ছবি

এই লেখাগুলো ইংলিশে হওয়া খুব জরুরি।
রুবাইয়াত যেসব উপমহাদেশের বড় ইতিহাসবিদদের কথা বলছিলেন তিনি বোধহয়
আসলে বলছিলেন এই শর্মিলা পশুর কথা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা। আমাদের নিজেদের জানার জন্য যেমন এই লেখাগুলো দরকার, তেমনি বিদেশীদের জন্যও অনুবাদ করে ছাপার ব্যাবস্থা করা দরকার।

-----------
চর্যাপদ

কী কমু এর ছবি

বেশ্যারা কিন্তু লেখাপড়া শিখলেও বেশ্যাই রয়ে যায়। শর্মিলা বসু পেশায় যাই হোক, স্বভাবে বেশ্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাকা খেয়ে সে পাকিস্তানিদের শরীর ভাড়া দেয়, বিনিময়ে এসব মিথ্যার মল কাগজে ছাপায়। এসব নোংরা কাজের প্রত্যূত্তরে কিছু বলাও রুচিতে বাধে, কিন্তু না বললে যে এসবকেই একসময় ইতিহাস দাবি করে বসবে এইসব বেশ্যা ও তার দালালেরা। পাকিস্তান ও তার জারজ সন্তান জামাতীরা প্রচুর পয়সা খরচ করছে নতুন নতুন বেশ্যার সন্ধানে, কাজেই আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের উলঙ্গ রূপটা তুলে ধরার জন্য।

এ প্রসঙ্গে আমি সচলায়তনের মডুদের দৃষ্টি আকষর্ণ করছি। আমার মনে হয়, সচলায়তন একটি ইংরেজি চ্যাপ্টার খুলতে পারে, মূল বাংলা ব্লগের অধীনেই, যার পরিধি সীমাবদ্ধ থাকবে কেবল এইসব বিষয়ে, যেখানে আন্তর্জাতিক মহল জড়িত। এই চ্যাপ্টারে বাছাই করা কিছু লেখা, যার মান ও প্রকাশ দুটোই বিশ্বমানের হবে, মাঝে মাঝে ছাপানো যেতে পারে। খুব বেশি কিছু নয়, বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বা বুদ্ধিবেশ্যাবৃত্তির বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক জোরালো প্রতিবাদ আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গবেষণামূলক লেখার মধ্যে এই চ্যাপ্টারটি সীমাবদ্ধ রাখা যেতে পারে। আঁটঘাট বেঁধে নামলে আর উদ্যোগী কর্মী পেলে (সচলায়তন কিন্তু প্রমাণ করে, আছে) এই চ্যাপ্টারই হয়ে উঠতে পারে এতদ্সংক্রান্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ইংরেজি ব্লগমাধ্যম। এর মাধ্যমে আমরা সমমনা বিদেশি পাঠকদেরও সম্পৃক্ত করার সুযোগ পেতে পারি।

ইংরেজি চ্যাপ্টারের মডু ও লেখকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে তাঁদের লেখাটি তাঁরা যেন একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে (ইন্সটিটিউট, পত্রিকা, ব্লগ, গ্রন্থপ্রকাশক ইত্যাদি যেখানে বাংলাদেশবিরোধী লেখা ছাপা হয়েছে) পাঠানোর ব্যবস্থা নেন, যাতে সেই মাধ্যমও প্রতিবাদটি নিয়ে সক্রিয় বা বিকল্প ভাবনা ভাবতে বাধ্য হয়। এর ফলে সচলায়তন একটি সামাজিক আন্দোলনেও পরিণত হবে (এরই মধ্যে কিছুটা হতে শুরুও করেছে বৈকী। লেখকদের কাজও কি আসলে প্রকারান্তরে সামাজিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা ও চালিয়ে যাওয়া নয়? নইলে লিখে আরেকজনকে পড়ানোর মানে কী, কেবল পিঠ চাপড়ানো পাওয়া, নাকি তার মধ্যেও আমার অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতামতটি চারিয়ে দেওয়া?)। ভাল লেখা (এক্ষেত্রে শুভাশীষদার এই লেখাটির কথা বলা যেতে পারে) একই সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি দুটো মাধ্যমেই ছাপা হতে পারে (লেখক নিজেই অনুবাদ করতে পারেন, কিংবা তাঁর পছন্দমাফিক নির্ভরযোগ্য কাউকে দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন)। সবচেয়ে ভাল হয়, লেখাটি আগে বাংলায় প্রকাশের পর বিজ্ঞ পাঠকদের মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে একটি সমৃদ্ধ ইংরেজি ভারশন ইংরেজি চ্যাপ্টারে তুলে দিলে।

একটা কথা এখন দিবলোকের মত স্পষ্ট। প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম (পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি) এখন মালিক ব্যবসায়ীদের (যাদের অধিকাংশই আবার দুর্বৃত্ত) স্বার্থে একশভাগ কাজ করে যাচ্ছে, তাদের কাছ থেকে দেশের বা জনগণের পক্ষে দায়িত্বশীল কিছু অনেকাংশেই আশা করা যায় না। এই কাজটা নিজের অজান্তেই নিয়ে নিয়েছে ব্লগ মাধ্যম, যা আসলে এই শতকের সত্যিকারের মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হয়ে উঠছে (ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়, ব্লগ কিন্তু ওইসব পত্রিকা টেলিভিশনওয়ালাদেরও রয়েছে, যার ভূমিকা সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের সম্পূরক)। সচলায়তন আজ যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, তাতে করে এই দায়িত্বেবাধ থেকে সে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারে না।

মন্তব্য হিশেবে কিছুটা বড় হয়ে গেল বলে আমি দুঃখিত, তবে এ নিয়ে কেউ পূর্ণাঙ্গ পোস্ট দিলে তাতে সানন্দে অংশ নেব। এ প্রসঙ্গে আমার কিছু নিজস্ব চিন্তাভাবনাও বিনিময় করতে আগ্রহী।

শুভাশীষদার লেখাটি খুবই ভাল লাগল। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত।

মনমাঝি

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যরি, লেখাটা পুরোটা পড়তে পারলাম না মেজাজটা এতই বিগড়ে গেছে। মাথা ঠান্ডা হলে পরে পড়বো। তবে এই লেখার ইংরেজি অনুবাদ হওয়া উচিৎ। লেখককে ধন্যবাদ।

মনমাঝি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখাটা শেষ করে ইংরেজি করার উদ্যোগ নিব।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

সুজন'দা শর্মিলা বসুর একটা মারাত্মক ক্যারিকেচার করেছেন। পোস্টে এমবেড করে দিলাম। সুজন'দাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ক্যারিকেচারটা ছোট করে দেন। এত বড় করে দেয়ার যোগ্য উনি নন। তাছাড়া এত বড় ইমেজের কারণে লেখা পড়ার ফ্লো নষ্ট হয়ে যেতে পারে (আমার যায়)।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ছোট করে দিলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রীক পুরানের পিশাচী মেডুসার আদলে আঁকা ক্যারিকেচারটাও দারুন হয়েছে। এখন আমাদের এমন একজন ইন্টেলেকচুয়ালি বাংমেডুসা-বধী পার্সিউসের দরকার :

মনমাঝি

আড্ডাবাজ এর ছবি

শুভাশীষ, চমৎকার একটি লেখা লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। চলুক এই সিরিজটা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। সচলে আপনার পোস্টটা না আসলে এই লেখার তাগিদটা আসতো না।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুজন্দার ক্যারিকেচারটা দারুণ হইছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আরিফুর রহমান এর ছবি

ইতিহাস উল্টে দেবার বৃহৎ প্রচেষ্টা চলছে... প্রথমে রুবাইয়াৎ, এখন শর্মিলা.. আমাদের পরের জেন্রেশন তো বলবে মুক্তিযুদ্ধ আসলে একটা মিথ...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বিরানায়; মুক্তিযুদ্ধ,
হায়, বৃথা যায়, বৃথা যায়, বৃথা যায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

শিরোনামটা বেশ মোলায়েম রেখেছেন দেখছি! চোখ টিপি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই সব বজ্জাতগুলারে কইশ্যা পেঁদানি দেয়া দরকার।

পরের পর্ব আসুক ... অপেক্ষায় রইলাম।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

 শুভাশীষ মনি এর ছবি

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা..

মাহবুবুল হক এর ছবি

লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। একই সাথে মেহেরজানের রুবাইয়াত, ক্রিকেটর ইমরান, প্রথমআলোর মীর, উড্রো'র শর্মিলার লিংক আপটা বোঝা গেল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রাক্কালে এই আন্তর্জাতিক চক্রটির মুখোশ উন্মোচনের প্রয়োজন আছে। কাউন্টার ডিসকোর্স বা এসব স্যান্ডুইচ মার্কা টার্ম দিয়ে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদেরকেও চিনে রাখা দরকার। মেহেরজানকে পরিকল্পিতভাবে ওঠানো-নামানোর মধ্য দিয়ে এসব লোকজনকে একটেবিলে বসার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। সেই টেবিলে বেশ বগড় করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মুক্তপাঠ আলোচিত হচ্ছে।
আমাদের সংগ্রাম চলবেই।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

আমি জনহপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছি। আজকে এক পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান একরকম জেচে এসে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, ইসলাম- এসব বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে কথা বলতে শুরু করল। বেশিরভাগ শিক্ষিত বাংলাদেশির যা বলার কথা আমিও তাই বলছিলাম। হঠাৎ সে শর্মিলা বসুর উদ্ধৃতি দিয়ে আমার বক্তব্যকে খন্ডন করা শুরু করল। তার কথা হল- 'তুমি যা বলছ তা তোমাদের মনগড়া interpretation, যা স্বভাবতই biased হবে। তাই একজন নিরপেক্ষ স্কলারের বয়ানই এক্ষেত্রে একমাত্র গ্রহণযোগ্য।' আর 'নিরপেক্ষ স্কলার' হিসেবে সে শর্মিলা বসুকে উপস্থাপন করা শুরু করল। বুঝলাম- এখনো এদের ঝাল যায়নি। বুঝলাম- এরা এখনো ওত পেতে আছে শর্মিলা বসুদের মিথ্যাচারকে উপজীব্য করে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে। তাই আমাদের খুব প্রয়োজন academic way তে এসব academic culprit দেরকে জবাব দেবার। কোন লিঙ্ক থাকলে প্লিজ জানাবেন। অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণায় আছি; কাল পরীক্ষা- পড়তে বসতেও ইচ্ছা করছেনা। শান্তি পাচ্ছিনা যতক্ষণ পর্যন্ত তার মুখের উপর উপযুক্ত জবাব ছুঁড়ে মারতে না পারছি। ইংরেজিতে কোন টেক্সট আছে যা ব্যবহার করতে পারি? আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে- এর কি কোন ইংরেজি ভার্সন আছে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঐ পাকিটাকে বলেন, "তুমি একটা হারামজাদা। তুমি যে হারামজাদা না সেটা তোমার বাবা-মা সাক্ষ্য দিলে হবে না। সেটা তাদের মনগড়া ইন্টারপ্রেটেশন যা স্বভাবতই বায়াসড হবে। দেখো আমি অন্য একটা দেশের নিরপেক্ষ স্কলার, সুতরাং আমার কথাই ঠিক এবং এক্ষেত্রে এটাই একমাত্র গ্রহনযোগ্য"। দেখেন তার প্রতিক্রিয়া কী হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।