প্রজ্ঞার বুড়ো দাদু এবং চাহিদা-যোগান

সাঈদ আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন সাঈদ আহমেদ (তারিখ: শুক্র, ১৮/১২/২০০৯ - ১১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

: বাবা, এই বুড়ো দাদুটা কে?
: ইনি একজন যোদ্ধা, মামণি।
: যোদ্ধা কি করে?
: যুদ্ধ করে।
: যুদ্ধ কী?

এইখানে আমি একটু ঝামেলায় পরে যাই। কোথায় যেন পড়েছিলাম, “শিশুকে একটা পোকা না মারতে শেখানো আসলে শিশু ও পোকা দুজনের জীবনের জন্যই একই রকম জরুরী”।
জ্ঞানের কথা! আমি কখোনই মেয়েকে বন্দুকজাতীয় খেলনা দিয়ে খেলতে দেই না, মারামারি-কাটাকাটি জাতীয় কার্টুনও বাসায় নিষিদ্ধ। এমনকি ব্যাটম্যান-স্পাইডারম্যানও না। এসবে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা জানি না, তবে মাঝে মাঝে যন্ত্রণায় পড়তে হয়। এই যেমন এখন যুদ্ধের একটা শিশুতোষ ব্যাখ্যা বের করতে হচ্ছে।

যেই বুড়ো দাদুকে নিয়ে তার প্রশ্ন, তাকে আসলে আমার মেয়ে ঠিক চিনতে পারছে না। কিন্তু একটা ছবি নিয়ে তার ব্যাপক কৌতুহল। কারন ছবিতে দেখা যাচ্ছে সে ওই অপরিচিত “বুড়ো দাদু”-র কোলে বসে একটা জন্মদিনের কেক দেখছে।

: এটা আমি যখন অনেক ছোট্ট ছিলাম তখনকার ছবি, তাই না বাবা?
: হ্যা
: আমার তো এখন পাঁচ বছর, তাই আমি অনেক বড়, একদম আকাশের সমান বড়, তাই না?
: হ্যা মা।

এরপর আবার শুরু হয় তার ছবি নিয়ে প্রশ্ন। কেন এই বুড়ো দাদুর দাড়িটা লাল, অন্যদুই বুড়ো দাদু কে? ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রশ্নবাণ শুনে আমি বরং নিশ্চিন্ত হই। যাক, মনে তাহলে প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে। পরিকল্পনা কাজে লাগছে। এখন এই প্রশ্নগুলো বড় হয়ে মাথায় থাকলেই হয়! প্রশ্ন তৈরীর করার জন্যই তো তিন বছর আগে এই বুড়ো দাদুর কোলে বসিয়ে ছবিগুলো তোলা।

ছবিটা আমার মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতা-র দ্বিতীয় জন্মদিনে তোলা। স্থান মিরপুর রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রোগমুক্তি বিশ্রামাগ্রার। আর প্রজ্ঞাকে কোলে নিয়ে হুইল চেয়ারে বসা বুড়ো দাদুটি হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর বিক্রম। পাশের দুজনও যুদ্ধাহত (পঙ্গু বলতে আমার ভালো লাগে না) মুক্তিযোদ্ধা। সর্বডানে শুকুর আলী, মাঝে নিজের নাতনী কোলে মো: তোজাম্মেল হক।

আসলে মেয়েকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তার ফল এই ছবি। আমি প্রায়ই ভাবি, প্রজ্ঞা যখন বড় হবে, তখন একাত্তর নিয়ে কী রকম হবে ওদের অনুভুতি? কোন আবেগ কি আদৌ আর অবশিষ্ট থাকবে? মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জীবদ্দশাতেই যদি স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবস নিয়ে প্যাচ লেগে যায়, রাজাকার হয়ে যায় মন্ত্রী আর নির্বিঘ্নে দাবী করে বসে স্বাধীনতা সংগ্রামের কৃতিত্ব, সেখানে কীইবা আশা করতে পারি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যারা জন্মই নিয়েছে রাজাকারেরা মন্ত্রী থাকা অবস্থায়?

একটা গল্প বলি। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সায়ীদ স্যার তখন ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক। একদিন স্যার ক্লাস নিচ্ছেন, এমন সময় দেখেন একটি ছেলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। বোঝাই যাচ্ছে ছেলেটির মনোযোগ অন্যদিকে, স্যারের কথার দিকে নয়। স্যার তখন ভাবলেন, ছেলেটির বাইরে তাকিয়ে থাকার দায় শিক্ষক হিসেবে তার নিজেরও… তিনিই হয়তো আজ কোন কারনে ঠিক মতন সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছেন না। স্যার তাই ছেলেটিকে কিচ্ছু বললেন না। কোন একটা অজুহাত দিয়ে ওই দিনের জন্য ক্লাস নেয়া বন্ধ করলেন। শুনতে খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই কিন্তু একাত্তর নিয়ে ব্যাপক অনীহা। তাদের কাছে একাত্তর একটা একঘেয়ে চর্বিতচর্বণ, বোরিং বিষয়। আমি জানি না এতে কার দায় কতটুকু। কিন্তু আমি প্রায়ই ভাবি, আমার মেয়ে যদি কখোনও একাত্তর অনুধাবন করতে না পারে, তাহলে তার দায়ভার কিছুটা হলেও আমাকে নিতে হবে।

জোর করে কিছু গেলানো যায় না। আমাকে এমন কিছু করতে হবে, যা থেকে ওর নিজের মনেই আগ্রহ তৈরি হয় একাত্তর সম্পর্কে। সেই আকাংখা থেকেই ওর দ্বিতীয় জন্মোৎসবের ধারনা মাথায় আসে। আমরা কেক-খাবার সবকিছু নিয়ে চলে যাই মিরপুর রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রোগমুক্তি বিশ্রামাগারে। বিশ্রামাগ্রারের জীর্ণ একটা ঘর আলো করে বিপুল আনন্দে প্রজ্ঞা কেক কাটে একদল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সাথে। আমি আশায় থাকি, এই ছবি দেখে হয়তো বড় হয়ে একদিন ও নিজেই জানতে চাইবে কেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিশ্রামাগারে ওর জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মের কাছে জন্মদিন তো আবার এক বিশাল ব্যাপার। সেই জন্মদিনের সূত্র ধরে হলেও কী সে জানতে চাইবে না বাংলাদেশের ইতিহাস?

*****
গত বই মেলায় আমার এক বন্ধু একটা বাদামী রঙের প্যাকেট আমার হাতে দিয়ে বললো, প্রজ্ঞার জন্য দুইটা কমিক বই এনেছি, ওকে পড়ে শোনাস। প্যাকেট হাতে নিয়ে আমি একটু বিব্রত। নিশ্চই Ben10 আর pokemon জাতীয় জিনিস হবে! মুখে একটা বানানো হাসি দিয়ে প্যাকেটটা খুললাম। এসব জিনিস ঘরে উঠানোই যাবে না। কিন্তু প্যাকেট খুলে আমি রীতিমত অবাক। কমিক বই ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। বন্ধুর বাবা (সাজ্জাদ এ জহির, বীর প্রতীক) এর লেখা অবলম্বনেই করা দুটো সচিত্র (comic) বই । এমন সব বীরত্বগাঁথা থাকতে আমাদের কেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তা করতে হবে? Braveheart এর মতন বড় বাজেটের ছবি করার অর্থ না থাকতে পারে। না হয় ছোট বাজেটের ছবিই হবে, কিন্তু Brave কাহিনীর তো অভাব নেই। ঠিকমতন তৈরী করতে পারলে, বীরশ্রেষ্ঠর বীরত্বের কাছে কমিক নায়কদেরকেই বরং হাস্যকর লাগবে!

: বাবা, মুক্তিযোদ্ধা কী? (প্রজ্ঞার প্রশ্নবাণ চলমান)

আমি তৃপ্তির-হাসি হাসি আর অর্থনীতির চাহিদা-যোগান তত্ত্ব নিয়ে ভাবি। জানার চাহিদা তৈরি করতে হবে, শুধু যোগানে কাজ হবে না। শিশুর মস্তিষ্কে অনেক কিছু জানার আগ্রহ থাকে, এর মধ্যে ঠিক জিনিসটা জানার চাহিদা ঢুকিয়ে দিতে হবে।

আমাদের প্রজন্মে এখন অনেক আকিয়ে, অনেক ছবিয়াল, অনেক লেখক… সবাই এমন কিছু করে রাখতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের শত বছরের বীরত্বের ইতিহাস সম্পর্কে নিজেরাই আগ্রহী হয়ে উঠে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

হবে। গল্প হবে, ছবি হবে, কবিতা হবে, কমিক্স হবে, অ্যানিমেশন হবে। সব হবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কি হবে হিমু ভাই !? অত আশা কি করব ?!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

আসলে গুন চাই, গুণতে চাই না। অল্প হোক, কিন্তু আকর্ষণীয় আর মানসম্পন্ন হোক।

একাত্তর নিয়ে নব্বইয়ের দশকে করা কিছু ছবি দেখে হল ছেড়ে বের হয়ে যেতে হতো। তবে আমি আশা করে হবে... হতেই হবে।

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাবিহ ওমর এর ছবি

হূমায়ুন আহমেদকে মানুষজন যতই গালাগালি করুক, আগুনের পরশমনি (মাইনাস বিপাশা হায়াতের প্যানপ্যানানি) সিরাম একটা ছবি, নূরের কী অভিনয়...এই লোকটা বুড়া হয়ে গেলোরে!

স্নিগ্ধা এর ছবি

এই যেমন এখন যুদ্ধের একটা শিশুতোষ ব্যাখ্যা বের করতে হচ্ছে।

আমার মেয়ে অসুস্থ ছিলো বলে ১৬ই ডিসেম্বর স্কুলে যেতে পারে নি, সারাদিন একটু পর পর বলেছি সেদিন কেন একটা বিশেষ দিন, কী হয়েছিলো এইসব। তখন এই প্রসঙ্গে এটাও বলেছি যে পাকিস্তানী আর্মি আমাদের ওপর কেমন করে 'টর্চার' করেছিলো, মেরে ফেলেছিলো - যাদের মধ্যে বাচ্চারাও ছিলো, বাংলাদেশী মানুষজন কেমন করে যুদ্ধ করে 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট' হলো 'লাইক হিরোস'। স্কুলে ওর পাকিস্তানী বন্ধু আছে। থাকুক, সেটা নিয়ে আমার কোনই সমস্যা নেই। কিন্তু, আসলে কী হয়েছিলো সেই ইতিহাসটাও জানতে হবে। ওকে একটু একটু করে '৭১ এর ছবি দেখাচ্ছি - হয়তো ভালো করছি না ওরকম ছবি দেখিয়ে, হয়তো এটা ওর এই বয়সের কোমল মনের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে - কিন্তু, হয়তো এটুকু ধাক্কার দরকারও আছে। জানি না।

ইংরেজী কথাগুলো কমার মধ্যে দেয়ার কারণ, আমার মেয়ে মূলত ইংরেজীভাষী - যেসব কথা আমি চাই তার মাথায় তাড়াতাড়ি ঢুকুক, ইংরেজীতেই বলি। ব্যাপারটা কারুর খারাপ লাগলে - মা হিসেবে সেটার সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমার।

মেয়েকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নিয়ে গিয়েছেন বলে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এর পরেরবার দেশে গেলে এই কাজটা আমিও করবো, আইডিয়াটা আপনার কাছ থেকেই নিলাম!

প্রজ্ঞা পারমিতা নামটা এমনিতেই আমার পছন্দের একটা নাম, আশা করছি এরকম দূরদর্শী বাবার মেয়ে হিসেবে এই নামের মেয়েটি একজন বুদ্ধিমান, বিবেকবান মানুষ হয়ে বড় হয়ে উঠবে হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার মেয়ের নামটা সুন্দর। আপনি রেখেছেন? প্রজ্ঞা পারমিতা পুঁথির গল্পটা নিয়ে আমার বিরাট কৌতুহল আছে।

আমার মেয়েটার বয়স আড়াই বছর। আরেকটু বড় হলেই আমি তারে একে একে নিয়ে যাবো নানান জায়গায়। তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা অন্যতম। রোগমুক্তি বিশ্রামাগারে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমারও।

আমি প্রথমে ভাবতাম মেয়ের সামনে শুধু ভালো ভালোগুলোই দেবো, খারাপ কিছু যাতে তার সামনে না আসে। কিন্তু এখন আমি পুরাই উল্টা নীতিতে। ওর চোখের সামনের দূয়ারটা বন্ধ করতে চাই না। সবকিছু দেখে শুনে বড় হোক। বড় হয়ে হুট করে অনেকগুলো ধাক্কা একসাথে খাওয়ার চেয়ে এখন থেকেই দেখে শুনে বড় হোক। যদি কিছু খারাপ হয়, তা নিজেই অপছন্দ করতে শিখুক। ভালো খারাপ সবকিছু তার সামনে দিয়ে কেন এটা খারাপ সেটা উপলব্ধি করতে শেখাবো।

আপনার বন্ধুর বাবার করা কমিকসের বইগুলো কোথায় পাওয়া যাবে জানাতে পারবেন? আমি সংগ্রহ করতে আগ্রহী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। নামটা আমারই রাখা, তবে এটা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা পোহাতে হয়েছে।

আকিকা দিতে এসে 'হুজুর' মিনমিন করে বললো-
: মুসলমানের মেয়েকে হিন্দু নামে আকিকা দিবেন, এইটা কেমুন কথা?

আমি বললাম-
: হুজুর, নামটা তো হিন্দু নাম না, বাংলা নাম।

: কেন, একটা মুসলমান নাম রাখতে পারলেন না?

: জ্বী, ওইটা চিন্তা করেই তো নামটা রাখা। বাংলা ওর মাতৃভাষা, আর নবীজীর নামওতো তাঁর মাতৃভাষাতেই ছিল, তাই না? কুরায়শদের ভাষায় রাখা নাম তিনি কিন্তু নবুয়ত প্রাপ্তির পর বদল করেননি!

হুজুর কিছুক্ষণ বোঝার চেষ্টা করলো আমি সিরিয়াস নাকি ফাজলামি করছি। অবশেষে আমার "ফাজিল ডিগ্রী" নেই ভেবে আকিকা দিতে চলে গেলেন হাসি

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাবিহ ওমর এর ছবি

কোন একটা হাদিসে (নিশ্চিত না কিন্তু) নাকি আছে যেকোন অর্থবহ নামই ইসলামসম্মত। (আমার এ কী সর্বনাশ হলো রে! দেঁতো হাসি)

তানবীরা এর ছবি

চলুক
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

বইগুলোর প্রাপ্তিস্থান জানার ব্যবস্থা করছি, শীঘ্রই জানাবো। ইত্যবসরে মুক্তিযোদ্ধাদের হারানো কবর অনুসন্ধানে তাঁর বর্তমান কর্মকান্ড নিয়ে জানতে পারেন এখানে-
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=117921

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

নজরুল,
বইগুলি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়-

72 Indira Road (1st Floor), Farmgate, Dhaka-1215, Bangladesh

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আগামীর শিশুরা পরিপূর্ণ মানুষ হোক...অনুধাবন করুক নিজের অহংকারের জায়গাগুলো...প্রজ্ঞা'র জন্য শুভকামনা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এনকিদু এর ছবি

মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মেয়ের জন্মদিন পালন করাটা খুবই ভাল লাগল । শ্রদ্ধা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রজ্ঞার জন্য আশির্বাদ, আপনার জন্য শুভকামনা। বাচ্চাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কীভাবে আগ্রহী করে তোলা যায় তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভাবনায় ছিলাম। আপনার আইডিয়াটা আসলেই অনেক ভালো। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
---- মনজুর এলাহী ----

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ শুভেচ্ছার জন্য।

এমনকি বড়দের জন্যও বিশুদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণের সাথে সাথে আকর্ষণীয় মাধ্যম গুলোও ব্যবহার করতে হবে একাত্তরের বিরত্বগাঁথা তুলে ধরার জন্য।

(আসলে আমার একাত্তরের ছবি সিরিজটার প্ররণা এটাই ছিল।)
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

রানা মেহের এর ছবি

চমতকার লাগলো আপনার চিন্তা
শ্রদ্ধা জানবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কনফুসিয়াস এর ছবি

খুব ভালো লাগলো, আপনার আইডিয়ার পাংখা হয়ে যাচ্ছি দিন দিন।
প্রজ্ঞা আরেকটু বড় হলে পরে, যখন যুদ্ধ কী বুঝতে শিখবে, তখন এই বইটা পড়তে দিয়েন ওকে।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

লেখাটার লিংক দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এই কাহিনীগুলো দিয়ে কী চমৎকার এ্যানিমেশনই না হতে পারে! কিনবো... অবশ্যই কিনবো।

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

সজল, তোমার প্রজ্ঞার জন্মদিনের এই ব্যাপারটা আমাকে তখনই অনেক নাড়া দিয়েছিল অনেক, তোমাকে বলা হয় নি।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তাসনীম এর ছবি

দেরিতে হলেও কমেন্ট করছি, আপনাকে সাধুবাদ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মেয়ের জন্মদিন পালনের শুভ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। অসাধারন একটা আইডিয়া, আমিও দেশে গেলে এটা করব ভাবছি।

প্রজ্ঞা পারমিতার জন্য শুভকামনা ও আদর, অতীত জেনে যে বড় হয়, তার ভবিষৎ উজ্জ্বল হবে সুনিশ্চিত।

কমিক বইগুলোর নাম কি? ইন্দিরা রোডের যে ঠিকানা দিয়েছেন, সেটা কি বইয়ের দোকান? তোফাজ্জল বুক স্টোর নামে একটা দোকান আছে...কিন্তু সেটা সম্ভবত ৭২ নম্বর না।

--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।