মা দিবসটি কেমন করে এলো?

তানবীরা এর ছবি
লিখেছেন তানবীরা (তারিখ: শনি, ০৯/০৫/২০০৯ - ৫:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মা দিবসটি কেমন করে এলো?

বছর ঘুরে আবার এলো মে মাস। এ মাসের দ্বিতীয় রোবাবারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটা করে পালিত হবে "মা দিবস' । এ দিবসকে উপলক্ষ্য করে দোকানীরা তাদের পশরা সাজাতে ব্যস্ত এখন, "মা দিবস' এর বিশেষ মগ, চকলেট, লকেট, শোপিস, টিশার্ট আরো কতো কি। তাদের গায়ে লেখা থাকে "মা তুমি কতো মিষ্টি", কিংবা "তুমিই সবচেয়ে লক্ষ্মী মা", "মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি" ইত্যাদি নানা রকম মিষ্টি মধুর কথা। ছেলেমেয়েদের মনের কথাই দোকানীরা তুলে রেখেছে তাদের পন্যের গায়ে। যে কথাটা হাজারো কাজের ভীড়ে দিনে হয়তো লক্ষ বার মনে পড়ে কিন্তু বলি বলি করেও মাকে বলা হয়ে উঠে না, সেটিই তখন মগ কিংবা চকলেটের মধ্যে দিয়ে মায়ের কাছে পৌছে দেই আমরা।

ইতিহাস থেকে জানা যায় ‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রথম প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রতি বসন্তকালে একটি দিন দেবতাদের মা ‘রিয়া’ যিনি ক্রোনাসের সহধর্মিনী তার উদ্দেশ্য উদযাপন করা হতো। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় ‘মা দিবস’ পালিত হতো বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে। রোমানরা পালন করতেন ১৫ মার্চ থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে, তারা দিনটিকে উৎসর্গ করেছিলেন ‘জুনো’র প্রতি। ষোলশ শতাব্দী থেকে এই দিনটি যুক্তরাজ্যেও উদযাপন করা হতো ‘মাদারিং সানডে’ হিসেবে। ইষ্টার সানডের ঠিক তিন সপ্তাহ আগের রোববারে এটি পালন করেন তারা। নরওয়েতে ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় রোববারে, সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, লেবাননে বসন্তের প্রথম দিন অর্থ্যাৎ ২১শে মার্চে এই দিনটি উদযাপিত হয়। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে এই যে বনার্ঢ্য ‘মা দিবস’ এর উদযাপন, এটি আসে মূলত এ্যামেরিকানদের থেকে। ১৮৭০ সালে সমাজসেবী জুলিয়া ওয়ার্ড হো এ্যামেরিকার নারীদেরকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, সাথে এই দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য রাষ্ট্রের কাছে প্রচুর লেখালেখি করেন। তার ঘোষনাপত্রে লেখা ছিল,

As men have often forsaken the plough and the anvil at the summons of war,
Let women now leave all that may be left of home
For a great and earnest day of counsel.
Let them meet first, as women, to bewail and commemorate the dead.

যদিও এটা হো’র মৌলিক পরিকল্পনা ছিল না, তিনি ১৮৫৮ সালে শান্তিকর্মী এ্যান জার্ভিসের শুরু করা প্রচেষ্টাকেই সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এ্যান জার্ভিস যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ্যামেরিকার নারীদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারীতা নিয়ে প্রচার ও কাজ শুরু করেছিলেন। ১৮৬৮ সালে তিনি নারীদের সংঘবদ্ধ করেন এবং এ্যামেরিকার কিছু কিছু জায়গায় প্রচারনা চালান টম্যেটোর চারা যেনো সবাই ‘মা দিবসে’র পরেই রোপন করেন তার আগে নয়। এ্যান জার্ভিস দিনটির সরকারী অনুমোদন পাওয়ার জন্য বিভিন্নধরনের চেষ্টা চালাতে থাকেন, কিন্তু সফলকাম হতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর তার মেয়ে এ্যানা জার্ভিস মায়ের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরনের কাজে হাত দেয়। তিনি চেষ্টা করতে লাগলেন একটি বিশেষ দিন ঠিক করে ‘মা দিবস’টি উদযাপন করার জন্য। সেই লক্ষ্যেই ১৯০৮ সালের ১০ইমে তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফিটন শহরের সেই চার্চে, যেখানে তার মা এ্যান জার্ভিস রোববারে পড়াতেন সেখানে প্রথমবারের মতো দিনটি উদযাপন করলেন। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে এটি বিস্তার হতে থাকে চারিধারে এবং এক সময় এ্যামেরিকার ৪৫টি অঙ্গরাজ্যে এই দিনটি পালন হতে থাকে। ১৯১২ সালে সর্বপ্রথম এইদিনকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হয় এ্যামেরিকার কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে। প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ১৯১৪ সালে দেশব্যাপী সরকারী ছুটি ও জাতীয় উৎসবের মর্যাদা দেন এই দিনটিকে। সে সমস্ত মায়েরদের সম্মানে দেশব্যাপী পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হতো যাদের পুত্ররা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। এরও নয় বছর পর থেকে আজকের মতো ব্যবসায়িক আঙ্গিকে ‘মা দিবসে’র উদযাপন শুরু হয়েছে। যাতে এ্যানা জার্ভিস স্বয়ং ভীষন আহত ও ক্ষুবধ হয়েছিলেন। ‘মা দিবসে’র গাম্ভীর্য ও মর্যাদা তার মতে এতে ব্যাহত হবে।

কিন্তু তবুও আজ অবধি মা দিবস যথেষ্ঠ ভালোবাসা ও উৎসাহের সাথে বিশ্বব্যাপী উদযাপন হয়ে আসছে। যান্ত্রিক জীবন আর অপরিসীম ব্যস্ততা যা আজকাল মানুষের পারিবারিক জীবনের অনেকটা সময় কেড়ে নেয়, যার কারণে প্রিয়জনদের মধ্যে অনেকটা অকারন দূরত্বও তৈরী হয়, সে সমস্ত দূরত্ব কাটিয়ে নৈকট্য নিয়ে আসতে ‘মা দিবসে’র তুলনা নেই। বিশেষ করে বিভিন্ন কারণে যারা মায়ের কাছ থেকে দূরে অবস্থান করেন পশ্চিমে তাদের কাছে এইদিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। সে জন্যই হয়তো পশ্চিমের দেশ গুলোতে এটি রোববারে উদযাপন করা হয়। বেশীর ভাগ লোকদেরই সেদিন ছুটি থাকে, দেখা যায় তারা মায়ের পছন্দের ফুল, চকলেট, কিংবা পারফিউম উপহার নিয়ে চলে যায় মায়ের কাছে। সারাদিন মায়ের কাছে তারা দিনটি কাটান। বিভিন্ন ভাইবোন বিভিন্ন জায়গায় থাকার কারণে রীতিমতো দেখা - সাক্ষাত যাদের মধ্যে সম্ভব হয় না, সেদিন দেখা যায়, সবাই মাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে একে অপরকে পেয়ে আহলাদিত হয়ে উঠেন। জমে উঠে পারিবারিক উৎসব। অনেক সময় এ উৎসব আরো বড়ো আকারে নানা বাড়িতেও উদযাপন হয়ে থাকে। মা চলে যান তার নিজের মাকে শুভেচ্ছা জানাতে, সেখানে তখন জড়ো হোন পুরো পরিবার, মামা - খালা, তাদের সন্তানরা। যাদের মধ্যে হয়তো সারা বৎসর কোন যোগাযোগ থাকে না, এই একটি দিনে তারা কাছাকাছি চলে আসেন। সেসব দিক দিয়ে এই দিনটির গুরুত্ব অনেক। তবে যারা মায়ের কাছেই থাকেন, যেমন শিশুরা, তারা সাধারণত সেদিন মাকে বিছানায় ফুল নিয়ে যেয়ে ঘুম ভাঙ্গান, গিফট দেন, ছোট ছোট শিশু হাতে নাস্তা সাজিয়ে দেন, মাকে সেদিনের তার রুটিনের অনেক কাজ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। মাকে ঘিরে চলে সারাদিনব্যাপী উৎসব।

পরিবারের সুখ - সুবিধার প্রতি দৃষ্টি রাখতে যেয়ে, প্রতিদিন নিজের আরাম নষ্ট করে, নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে, সন্তানদের পৃথিবীতে চলার যোগ্য তৈরী করে দেন যিনি, তিনি মা। সেই নমস্যা ‘মা’ কে বছরে একটি দিনও যদি আনন্দ দিতে পারি, জানাতে পারি বিশেষভাবে তোমার তুলনা তুমিই ‘মা’, সেটাই কম কিসে?

তানবীরা তালুকদার
নেদারল্যান্ডস।

***এই লেখাটি ২০০৭ সালের ১৩ই মে মা দিবস উপলক্ষ্যে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছিল ***


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ভালো একটি লেখা উপযুক্ত একটি সময়ে প্রকাশের জন্য সাধূবাদ।

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পুতুল এর ছবি

তোমার তুলনা তুমিই ‘মা’, সেটাই কম কিসে?

তাইতো! আপনিও একজন মা, আপনাকে অভিনন্দন।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আঁচলের মাকেও অভিনন্দন রইলো আমাদের তরফ থেকে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

মা দিবসের শুভেচ্ছা রইল। দারুন একটা লেখা।
-------------------------------------------

--------------------------------------------------------

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ ভুঁতের বাচ্চাকে আর অভিনন্দন ভুঁতের বাবা মাকে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মামুন হক এর ছবি

মা দিবসের শুভেচ্ছা রহিল।
কিন্তু আমার নিকট প্রতিটি দিনই একেকটা 'মা দিবস'। বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে মাকে লইয়া -বিশেষ কিছু করিতে আমার প্রবৃত্তি হয়না।
ইহা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত হাসি

তানবীরা এর ছবি

মামুন ভাই, বেশি পাকনা কথা কইয়েন না। সারা বছর খুব মা'র খিদমত করেন মনে হয়? বছরে একদিন করবেন সেইটাও পরবৃত্তি হয় না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নাহার মনিকা [অতিথি] এর ছবি

মামুন হকের সঙ্গে আংশিক একমত। আমার নিজের মায়ের ক্ষেত্রে এরকমই মনে করি। কিন্ত আমার দুই মেয়ে আজকে তাদের মাকে লুকিয়ে বাপের সঙ্গে বিশেষ সারপ্রাইজ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে, আমি ওদের উত্তেজনাটা অনুভব করতে পারছি। রোজকার জড়িয়ে ধরার সঙ্গে আগামীকালেরটা একটু বিশেষ নিশ্চয়ই মনে হবে। বাচ্চাদের স্কুলে এইসব দিবস নিয়ে এত আড়ম্বর থাকে যে ওরা খুব প্রভাবিত হয়। আর তখন আমরা বাদ থাকি কি করে। আমি নিশ্চিত আমার মা ও আগামিকাল আমার ফোন পেলে অন্যরকম খুশী হবে, এখন তো সেও জানে - মা দিবসের কথা।

সুন্দর তথ্যসহ লেখা তানবীরা। আপনাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।

তানবীরা এর ছবি

মনিকা, একদম ঠিক কথা। তুমি আমার পোষ্ট বেশি বেশি ভিজিট করবা, আমার মনের কথা আর তোমার কথা যেহেতু এক, তুমি আমার হয়ে উত্তর গুলো লিখে ফেলবা, কেমন?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি একটা পিট্টি দিবসের দাবী জানাই - যে দিন মা'রা মন খুলে এবং মন ভ'রে বাচ্চাদের পেটাই করতে পার্ব্বে ....... দেঁতো হাসি

সবজান্তা এর ছবি

মা দিবসে আপনার মেয়ের জন্য রইলো সমবেদনা মন খারাপ


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

আমি ঘোরতর প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আমি এক জীবনে মা'র হাতে মার কম খাইনি । আর খাওয়ার ইচ্ছাও নেই ।

আমি উলটা টফি-লজেন্স দিবসের ডাক দিচ্ছি । যেই বাচ্চাদেরকে (আমার মত) মায়েরা ধুমসে পেটায়, তাদেরকে ঐদিন টফি-লজেন্স খাওয়ান হবে । সেইদিন পোলাপানদের সকল বাঁদরামো মাফ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্নিগ্ধা এর ছবি

সবজান্তা আর এনকিদু - আরে ভাই আমার মেয়েকে যদি আমি পিটাতামই তাইলে কি আর আলাদা করে পিট্টি দিবস চাই?! অ্যাঁ

দময়ন্তী এর ছবি

স্নিগ্ধা'র পিট্টি দিবসের কাছাকাছি আমিও একটা পিট্টি দিবস চাই, যেদিন মাসিপিসীরা বাচ্চা-পিটানো-মা'কে আচ্ছা করে পিট্টি দেবে৷
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

দময়ন্তী - আমার খুব সন্দেহ হচ্ছে আপনি শুধু মাসি পিসী গোত্রের কেউ, মা গোত্রেরও কেউ হ'লে এতোক্ষণে লাফাতে লাফাতে পিট্টি দিবসের দিন ঠিক করতে বসতেন!!!

আর আমাদের মেয়ের সম্পর্কে কাফি কী বলতো জানেন? "ও তো তোমার Mini Me!"

এবার কি বুঝতে পেরেছেন কেন আমি পিট্টি দিবস চাই? দেঁতো হাসি

তানবীরা এর ছবি

আপনি দিবসের অপেক্ষা করেন? আমিতো দুমদামতো দিতে থাকি ফাকে ফুকে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নাহার মনিকা [অতিথি] এর ছবি

আপনার দাবীর সাথে আছি স্নিগ্ধা ।
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল- কলাম্বিয়ার এক লোক তার ছেলে বা মেয়ের দুষ্টামিতে টিক্তে না পেরে একদিন দিয়েছে পিট্টি। হয়তো বেশীই মেরেছিল। বাচ্চাগুলো করে দিয়েছে ৯১১ এ ফোন। ফলাফল বাবা শ্রীঘরে।
তো যা হোক বাবা ছাড়া পাওয়ার পর- তোদের দেশে থাকুম না -বলে বউ বাচ্চা সবাই কে নিয়ে ক লাম্বিয়া গিয়ে ছেলে মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে - বলেছে- কর এখন পুলিশে ফোন কর! আহা বেচারা ক্যানেডিয়ান পুলিশ কি আর কলাম্বিয়ে পৌছাতে পারে!

কুইবেকে, মানি আমি যে প্রদেশে থাকি, মাত্র গত বছর- পাঁচ বছরের বড় বাচ্চাকে খুব দুষ্টামি করলে কেবল পশ্চাতদেশে চড় চাপড় মারার বিধি পাশ হয়েছে!

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

কুইবেকে, মানি আমি যে প্রদেশে থাকি, মাত্র গত বছর- পাঁচ বছরের বড় বাচ্চাকে খুব দুষ্টামি করলে কেবল পশ্চাতদেশে চড় চাপড় মারার বিধি পাশ হয়েছে!

কুইবেকিয়ানরা তো বস হো হো হো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার মেয়ে দু'টোর নাম রিটন ভাইয়ের কোন এক মন্তব্য থেকে জেনেছিলাম - চারণ আর চিত্রণ, তাই না? কী চমৎকার নাম! হাসি

আর এখানে এতো রকম খবর শুনি, আইন না করেও উপায় নেই! মা মানেই যে মহান কিছু না সেটা বারবারই প্রমাণ করে কিছু মানুষ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আলাদা করে মা-দিবসের দরকার সেভাবে বোধ করি না, তারপরও দিনটা পালন করাতেও তেমন খারাপ কিছু দেখি না।

'মা দিবসে' পৃথিবীর সকল মা'র জন্য শুভেচ্ছা রইল।

তাতাপুকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য হাসি

তানবীরা এর ছবি

প্রহরী, বড়ই পলিটিক্যাল উত্তর দিতে ওস্তাদ। সব পক্ষ খুশি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

এনকিদু এর ছবি

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানবীরা এর ছবি

তোমারেও আমার তরফ থেকে বুইড়া আঙ্গুল।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুমন সুপান্থ এর ছবি

পড়লাম
আপনাকে আর তাবত্‌ মা'দের অভিবাদন ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তানবীরা এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ সুমনকে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আমার মা, আপনার মা, সবার মা-কে।

তানবীরা এর ছবি

শুভেচ্ছা আনন্দের সাথে গ্রহন করা হলো

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

হাসান মোরশেদ এর ছবি

তখন তিতা লাগলেও এখন বুঝি মা'র হাতের চড় থাপ্পরের চেয়ে জরুরী ঔষধ এই দুনিয়ায় নাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তানবীরা এর ছবি

আমিও তাই ভাবি হাসান ভাই। মেয়ের দেই মাঝেই মাঝেই এই জরুরী উপহার

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

s-s এর ছবি

তানবীরা আপুকে এবং বাচ্চাকে (ছেলে না মেয়ে?নাকি দু'টোই?) মা দিবসের শুভেচ্ছা, দিবস টিবস যাই হোক, ভালো তো লাগেই, আমি সন্তান দিবস হলেও এমন ভাবেই মা'কে আদর পাঠাতাম।

হ্যাপি মাদারস ডে

তানবীরা এর ছবি

মায়েদেরতো রোজই সন্তান দিবস, আবার কি? শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মা দিবসে বিশ্বের সকল মাকে শ্রদ্ধা।
মা তো সবসময় আমাদের হৃদয় জুড়ে জড়িয়ে আছে। একটা দিন না হয়, একটু বেশি আহ্লাদিপনা দেখাইলাম।

তানবীরা এর ছবি

হুমম, কথা এইটাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

তানবীরার মাকে, তানবীরাকে ও তার বাচ্চাদের মা দিবসের শুভেচ্ছা। তথ্য বহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

তানবীরা এর ছবি

কবিরাজ সাবরেও থ্যাঙ্কু

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানবীরা এর ছবি

দমুদি, তুমিও আমারে বুইড়া আঙ্গুল দেখাইলা?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নজমুল আলবাব এর ছবি

মাকে শ্রদ্ধা।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

তানবীরা এর ছবি

হুমম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার কাছে মা দিবসের আলাদা মূল্য নাই। যদিও আমি এক বিরাট খারাপ ছেলে। ঢাকা শহরে থেকেও মায়ের সাথে রেগুলার দেখা করা হয় না আমার।
তবে এবার খারাপ লাগতেছে। মা বুঝি আর কিছুদিন পরেই আমেরিকায় যাবেন। আবার কবে দেখা হবে কে জানে? মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

যদিও আমি এক বিরাট খারাপ ছেলে।

আবার জিগস

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

মা'কে নিয়ে আমার একটিই কথা- সবাখানেই-

শুধু জন্মটুকু দেয়ার জন্যই তো মায়ের ঋণ সারা জীবনেও শোধ হবার নয় ! বাদবাকি যা করে যান মায়েরা, সেটা হিসাব করলে একজন্মের জন্য কত হাজার জন্মের দরকার বলেন তো !
এজন্যই পৃথিবীর এই অবিকল্প সত্ত্বাটিকেই 'মা' বলা হয়। মহাকাল আজো যে মায়ের বিকল্প বানানোর নিয়ম আয়ত্ত করতে পারে নি। কখনো পারবে কি ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপু।
জানলাম।
হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।