দোল পূর্ণিমা, কীর্তনখোলা নদী আর আমরা পাঁচজন

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৩/২০১২ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আজকে দোল পূর্ণিমা ভাই’, কথা শুনে তাকিয়ে দেখি আমাদের চক্রবর্তী মহাশয় হাতে ছোট একটা টর্চ জ্বালিয়ে তীরে ভেড়ানো একটা বার্জের উপর দাঁড়িয়ে আছেন; আমাদের নিষ্পাপ নিরাভরণ দেশী নৌকা সেই বার্জের গায়ে ভেড়ে। নৌকার মাঝি ইউনুস ভাই সহ আমরা তিনজন আর কীর্তনখোলা নদী একা হয়ে গেলে নিপাট ভদ্রলোক সঙ্গী বলে উঠেন ‘আজকে লালনের আখড়াতে সাধুরা বসবে’, তাতে সায় কাটেন সদ্য-সঙ্গী, ‘আমাগো ধর্মের লোকেরাও আজ রাতে রঙ খেলবে ভাই’ --- আমি জেনে যাই দোল পূর্ণিমা-তিথি তার আচারের সাথেই সনাতন। কৌতূহল নিবৃত্ত করতে না পেরে জানতে চাই ‘মাঘী পূর্ণিমার সাথে দোল পূর্ণিমার নামের পার্থক্য কেন?’।

চক্রবর্তী মানুষটার আসল নাম জানতে হলে আমি যেখানে থাকি সেখানে আসতে হবে আপনাকে, আসলে টের পাবেন চক্রবর্তী মহাশয় সহ আরো সব নামে ডাকতে আমার কোনভাবে কতটা ভালো লাগে; আমার ভালো লাগে ব্যস। তার অভ্যেস হচ্ছে মানুষকে প্রশ্ন করা, অযথাই প্রশ্ন করা এবং এই বিষয়ে তার ব্যাখ্যাটা অনেকটা এরকম, ‘এমনেই করি, করতে ভালো লাগে ভাই, একটা ফান আছে’। কাজেই সে তার স্বভাবমতো কোথাও ফোন করে, সেখানকার উত্তর তাকে সন্তুষ্ট করেনা বলে তাকে আমরা বলতে শুনি, ‘ কৃষ্ণ এই রাতে রাধার কুঞ্জে গেছিলো হেইআতো আমিও বুঝলাম কিন্তু তারপরে সেইখানে কি ঘটছিলো সেইটা না বলতে পারলেতো হবেনা, নামের মাহাত্ম খুঁজতাছি আমরা, বুঝতে হবে; দাঁড়াও দাঁড়াও, আমি মা’রে ফোন দিতেছি।’

আমরা চুপ করে বসে থাকি, ইউনুস ভাই বৈঠা বাওয়া বন্ধ করে রেখে তার মনোযোগ আরো নিবদ্ধ করেন আমাদের দিকে। মায়ের কাছে ফোন দিয়ে তিনি একদমই ভিন্নভাবে প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন, তাকে বলতে শোনা যায় ‘মা, দোল পূর্ণিমা রাতের মাহাত্ম কোনখানে আপনার বৌমারে জিগাইআ দেখলাম, সেতো কইতে পারেনা, আপনারে ফোন দিতে বললো।’ কিছুক্ষণ অপর-পাশের কথা শুনে তারপর তিনি বলেন ‘জি আচ্ছা মা। কৃষ্ণ আর রাধা এইরাতে একজন আরেকজনকে খুইইজ্জা পাইছিলো বইলা এই রাতে মানুষের মধ্যে প্রেমভাব জাগ্রত হয়, আমি বুঝছি। বিষয়টাতে দেখি একদমই অন্যোরহম; মা, আপনের বৌমারেও এই কথাটা বুঝাইয়া বইলেন, রাখি।’

তারপর আমরা অনেকরকম কথা বলি, শ্রোতা আর কথক পাল্টায়... মাঝেমাঝে এমন হয় যে আমি অনুমতি নিয়ে কানে হেডফোন গুজে নৌকার পাটাতনে শুয়ে গান শুনতে থাকি, মাঝেমাঝে নকিয়ার একরত্তি স্পিকারটা সাথে করে নিয়ে যাই, কখনো মোবাইলে গান বাজে। কিংবা কেউ চোখ বন্ধ করে এমনিতেই শুয়ে থাকে, মাঝে মাঝে অন্যপাড়ে নৌকা ভেড়ে, কেউ কেউ পানি ছিটিয়ে হাঁটে। গানের বেলায় আমার আর চক্কোত্তির রীতিমত ভক্তিভাব, কেউ আশেপাশে থাকেনা বলে প্রায়শই গলা ছেড়ে গান গাই। আমাদের সঙ্গে থাকা নিপাট ভদ্রলোক মানুষটার ভেতর কোনকিছুতেই তেমন একটা আলোড়ন ঘটেনা বলে আজকে আমি তাকে অনেক কড়াকড়া কথা বলি। অনেকক্ষণ পর হুট করে টের পাই দোল পূর্ণিমার চাঁদ ঘিরে জটলা পাকিয়ে থাকা মেঘগুলো সরে গেছে... নদীর উপর চাঁদের ঝিকিমিকি-দীঘল-দীঘল অদ্ভুত একটা প্রতিবিম্বিত প্রতিফলন, বাতাসও জোরালো হয়ে গেছে আগের চাইতে। আমাদের এইভাবে কত রাত কেটে গেলো আমার এই পরবাস জীবনে।

কুমার-চক্রবর্তী মহাশয়েরও চিৎকার করে গান গাওয়ার অভ্যেস আছে এবং তিনি রীতিমত ওস্তাদের কাছে তবলা শেখা মানুষ, সেই তুলনায় আমার বড়জোর টেবিল চাপড়ে গানে ধুয়া দেয়ার চেষ্টা করা সার কিন্তু আমাদের দু’জনের গানের পছন্দে খুব মিল। আমি গানের বেলায় সর্বভুক আর আমাদের কুমার-চক্রবর্তী সর্বভুক হলেও তার খাদ্যাভ্যাসে একদম দেশজ গান ছাড়া আর কোনকিছুর প্রাবল্য নেই। আমি আমাদের পুরনো দিনের বাংলা সিনেমার গান খুব শুনি, কালেকশনও মোটামুটি ভালো। বৌদির কথা ভেবেই কিনা জানিনা, তিনি হুট করে একটা গান গলাছেড়ে গেয়ে উঠলে পরে আজকে হঠাৎ টের পেলাম আমাদের শৈশবের গানগুলো একদম অন্যরকম ছিলো।

‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা, বন্ধু চিরকাল --- রেললাইন বহে সমান্তরাল, বহে সমান্তরাল’- এই গানটা যখন শুনি তখন আমি গানের সাথে আপাদমস্তক সাড়া দিতে শিখে যাওয়া বয়সে পৌঁছে গেছি। এটা সিনেমার গান না, বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটা নাটকের গান। আমাদের বাসায় টিভি এসেছিলো অনেক পরে কিন্তু পাশের বাসার টিভিটা বহুদিন আমাদেরও টিভি ছিলো। আমাদের বাসায় পাশের বাসার আগে ফ্রিজ এসেছিলো বলে আমাদের টিভি আর ফ্রিজ কেন্দ্রিক একটা আত্মীয়তাও ছিলো। মাঝেমাঝে নাটক দেখে পাশের বাসার খালাম্মারও আমার মায়ের মত প্রথমে নাক লাল হয়ে যেতো, তারপর দরদর করে চোখ বেয়ে পানি গড়াতো আর তাই দেখে আমার বাবা’র সাথে সাথে পাশের বাসার চাচাও বেশ মজা পেতেন, নানানরকম মন্তব্য করতেন। আমাদের মায়েদের আটপৌরে কান্নার সাথে আমাদের অজস্র শৈশব জড়িত হয়ে আছে।

জোছনায় প্লাবিত বরিশাল শহরের ক্রমশ জেগে ওঠা সোডিয়াম আলোয় আলোকিত পথ ধরে ফিরে আসতে আসতে শুনলাম পিংক ফ্লয়েডের ‘কামিং ব্যাক টু লাইফ’। ’ডেভিড গিলমোর না রজার ওয়াটার্স?’ --- তর্কের বাইরে থাকতে পারলে এই গানটার শুরুতে গিলমোরের হাতে গিটারের স্ট্রিংগুলো যে ভাষায় কথা বলে সেই ভাষা বুঝতে আমার আনন্দ হয় সবচাইতে বেশি। পুরো গানটা বহুবছর আগে যেদিন প্রথম একাংকিত মনোযোগ দিয়ে শুনি তখনও টের পেয়েছিলাম ‘তুমি’ বলে কেউ না থাকলেও ‘তুমি’ বলে একটা সর্বাত্মক বোধ মানুষকে একাকী রাখে। সেই একাকী মানুষটা আশৈশব নিজস্ব বিলাস আর আত্মমগ্ন কোন এক শিশুর জাগ্রত ইচ্ছেগুলোর কাছে ঋণী থেকে যায়, যায় বলেই ক্রমাগত আরো বেশি বাণিজ্যিক হতে থাকা পৃথিবীতে আবার খুব করে ইচ্ছে করে একটা কাগজের নৌকার কাছে সবটুকু ভেসে থাকা নিয়ে ভেসে যাই, কোন সুদূর শৈশবে কোন এক বন্ধুর দেয়া একটা গাছের পাতা, তিনটা পাথর, পাঁচটা মার্বেল, সাতটা বাদাম আর নিরানব্বইটা বই, গান আর স্মৃতির কাছে সহস্র জীবনেরা বারবার ফিরে ফিরে আসে!

বালক তোমার শিশুকালের তোমার কাছে বাঁধা পড়া নিকট অতীত,
ভবিষ্যতের বসন-ব্যসন আর যতটা বাকি জীবন;
শৈশবে আর কিশোরবেলায় চরকাকাটা জীবন তোমার অদ্যাবধি,
অদ্যাবধি জেনে গেছো বেঁচে আছো , বাঁচিয়ে তোলে সেইসে শিশু আবোলতাবোল ছন্নছাড়া
গালের উপর হাতটা রেখে আনমনা মন, অঘোর ঘোরে ভুলতে মানা অযুত সময় নিযুত জীবন!

শৈশবের প্রতিটি স্বপ্নের পরিপূরক জীবনযাপন করে যেতে চায় সবাই,
সবার পরিচয় লুকোনো থাকে নিজ নিজ শৈশবে!

http://www.youtube.com/watch?v=NUL8ca8gWpg

http://www.youtube.com/watch?v=nVxnNNGjubg


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি

একটু হাসি, একটু কষ্ট পাই।

কিছু পরম্পরা এখনো টিকে আছে। দোল উৎসবটা ধর্মের মোড়কে না সাজালে আমারও ভালো লাগে। ভালো লাগে বসন্তের রঙ বাহার। আজও আমাদের বাড়িতে ঘটা করে দোলোৎসব পালিত হয়। তবে পূর্বের সেই কলতান আর দেখতে পাইনা, যখন দাদু ছিলেন কি সুন্দর লোক কীর্তনের আসর বসত। এখন কর্পোরেটের যুগে সবই দায়সারা। যেমন গতকাল আমাদের বাড়িতে উৎসব হয়ে গেলো, কত মানুষ এলো, আগামীকালও আসবে, কিন্তু আগের সেই ছোঁয়া নেই। নেই রঙের আনচান মাদকতা। দোলের দিনে সবার আগে ঠাম্মাকে রঙ লাগাতাম। বলতাম তুমি বৌ! তারপর পিচকিরি নিয়ে দে ছুট………..

কত কিছু হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে সেই শৈশব। কবে শেষ রঙ নিয়ে আবির কলতানে মেতেছিলাম নিজেই ভুলে গেছি। পোড়া বসন্ত এলে তাই মনটা কেমন করে। বসন্তের একটা গন্ধ আছে। এই যে একটু আগে বাইরে গেলাম, উঠুনে, বেলী ফুলের গন্ধ পাচ্ছি, বাগানে। মনটা চঞ্চল হয়।

লালন শুনি না অনেক দিন হল। গান শুনলে আজকাল কেমন জানি লাগে। গত কিছুদিন ধরে খুব ব্রায়ান এডামস এর গান শুনছি। আগের কিছু সময় এক মুহূর্তের জন্য ফিরে পেলে ভালো হত।

আর কীর্তনখোলার কথা বলে আপনি একেবারেই শেষ করে দিলেন তানিম ভাই। হায় বরিশাল।

তানিম এহসান এর ছবি

চোখ বন্ধ করে এখনও দেখে নিতে পারি বলে বেঁচে আছে স্বপ্নেরা, স্বপ্ন বাঁিচয়ে রাখার কাজ নিজেকেই করে যেতে হয়।

ব্রায়ান এডামসতো খুব ভালো, আমার খুব পছন্দ। অ্যাকুস্টিক লাইভ আরো জোশ লাগে, একটা পছন্দের ব্রায়ান এডামস আপনাকে উপহার দেয়া হলো হাসি

http://www.youtube.com/watch?v=oC8_BmkyQ4o

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আসবো খুব শীঘ্রই, নওগাঁ যেনো তৈরী থাকে হে দীর্ঘাঙ্গ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

আসেন, যদি সেই সময়টায় বরিশালেই থাকি আপনার সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগবে। নওগাঁ বুঝলামনা মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

নওগাঁ সাক্ষাতে বুঝিয়ে দেবো। ভালো থাকেন তানিম।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

খুব ভাল লাগল।
পোস্টে পাঁচতারা।
সৃত্মিকাতর করে দিলেন ভাই।
আসেন জোৎস্না গিলি। হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

আরে, রাজা মহাশয়! জোৎস্না কি গেলা যায়? আমিতো স্নাত হই। কি জানি! তবে এই গানটা আমার জীবনের সাথে ওতেেপ্রাতভাবে জড়িয়ে গেছে http://www.youtube.com/watch?v=0oS6nZHSegQ

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

কল্পনায় তো সবই সম্ভব, তাই না! হাসি
রাতে রেস্ট হাউজের ছাদে অনেকক্ষণ হা করে জোৎস্না পান করলাম। ভালই লাগল। দেঁতো হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

শুনে খুব ভালো লাগলো, জোছনাপ্রেমীদের (বিশেষ করে নীরব থাকতে জানে যারা) খুব ভালো পাই। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ছুয়ে গেল।

চালনায় এমন ভরা পূর্ণিমা দেখেছিলাম স্কুলে জীবনে, আহা, কি সব দিন।

তানিম এহসান এর ছবি

চালনায় তিনরাত থেকেছিলাম গতবছর, ভরা পূর্ণিমা পাইনি কিন্তু যতটা পেয়েছিলাম তার তুলনা হয়না।

এখন এই গানটা বাজছে, একসাথেই শুনি নাহয় হাসি

http://www.youtube.com/watch?v=tijeIi3CFpA

জালিস এর ছবি

কোন কীর্তনখোলা ?

তানিম এহসান এর ছবি

আমি বরিশাল এর মানুষ নই, জীবিকার প্রয়োজনে এসে আটকে গেছি এখানে; পৃথিবীতে কীর্তনখোলাতো একটাই আছে ভাই। আমাদের শৈশবে গানটা শুনেছিলাম দেখুনতো চিনতে পারেন কিনা! http://www.youtube.com/watch?v=jl5-khk9nr4

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

ভেসে যেতে চায় মন ভেসে যেতে চায় সেই কিনারায় সব চাওয়া সব পাওয়া____
প্রকৃতি চির নবীণ প্রবীণ হয়ে যাই কেবল আমরা।

তানিম এহসান এর ছবি

তাই কি? সবকিছু মনের উপর, মনের কোন বয়স নেই ভাই। ধন্যবাদ জানবেন। আপনার জন্যআপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

দারুণ লাগল|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার দারুন লেগেছে জেনে আমারও ভালো মন আরো ভালো হয়ে গেলো হাসি ভালো থাকবেন দিদি, শুভেচ্ছা।

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার দারুন লেগেছে জেনে আমারও ভালো মন আরো ভালো হয়ে গেলো হাসি ভালো থাকবেন দিদি, শুভেচ্ছা।

সুমন তুরহান এর ছবি

অসাধারণ, স্মৃতিজাগানিয়া লেখা; এমন লেখা অনেকদিন পড়িনি!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

স্যাম এর ছবি

সাম গাইজ হ্যাভ অল দা লাক - তানিম চোখ টিপি চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

এন্ড দোজ গাইজ কুড হ্যাভ দ্যাট লাক ফার বাহাইন্ড বাট টু টাচ হোয়াট দে আর লংগিং ফর! স্যাম নামের আড়ালে প্রিয় বড়ভাই, বন্ধু, কতদিন তোমাকে মাউথ অর্গান বাজাতে শুনিনা!

আমাদের সেই দিনগুলোতে আমাদের সেই একটা গান, যেটা আসলে আমার গান ছিলো, Hooters ভার্সন হাসি http://www.youtube.com/watch?v=lBdzhx-KSVA

তানিম এহসান এর ছবি

সচল জীবনের প্রথম সুহৃদ সুমন তুরহান, বহুদিন পর আপনাকে কথা বলতে দেখে যারপরনাই আনন্দিত হাসি

ধূসর জলছবি এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। আসলেই সবার পরিচয় লুকানো থাকে নিজ নিজ শৈশবে চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

আসলেই তাই। ইদানীং এই কথাটা খুবই মনে হচ্ছে। আপনিও এটি মেনে নিলেন বলে সেই মনে হওয়াটা আরো শক্তিশালী হলো... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং সেইসাথে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

শৈশবের প্রতিটি স্বপ্নের পরিপূরক জীবনযাপন করে যেতে চায় সবাই--- ঠিক।

অনেক ভালো লাগলো।

-----------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

তানিম এহসান এর ছবি

পথিক প্রাণ যদি তাই মনে করে থাকে তাহলেতো আরো নিশ্চিত হয়ে গেলাম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আহা। লেখাটা পড়ে মনে হলো টর্চলাইট জ্বালিয়ে শৈশবের পূর্ণিমা খুঁজতে বেরোই

তানিম এহসান এর ছবি

লীলেন ভাই! আপনার মন্তব্য পেয়ে দারুণ অনুপ্রাণিত হলাম। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

জালিস এর ছবি

আহা সেই কীর্তনখোলা মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ আবার কবে যামু কে যানে । মনডা খারাপ হইয়া গেল

তানিম এহসান এর ছবি

হেইয়া বরিশাল কি আমনেগো নিজেগো দেশ! আমনে আমনের মনডারে শক্ত কইরা ধইরা রাহেন, তারপর আইয়া পড়েন। আপনাদের বরিশাল বিভাগ সমগ্র উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সবচাইতে নিরাভরণ, সবচাইতে প্রাচুর্যময় হাসি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমাদের নদীগুলার নাম এত সুন্দর ক্যান?

লেখা ভালো লাগলো।

তানিম এহসান এর ছবি

আমাদের নদীগুলার নাম এত সুন্দর ক্যান?

আমারও একই প্রশ্ন। সেইসময় আমাদের মানুষের মন সুন্দর ছিলো মনে হয় হাসি আপনাকে ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা হাসি

বন্দনা এর ছবি

আপনি এত মজায় থাকেন কেন , হিংসা লাগে। নৌকায় শুয়ে পূর্ণিমায় আকাশের চাঁদ দেখার ইচ্ছে মেলাদিনের, কিন্তু হয়ে উঠেনি এখন ও।

তানিম এহসান এর ছবি

মন খারাপ নদীর এপার আর ওপারের দীর্ঘশ্বাস-জনিত দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শুভেচ্ছা হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।