৩ ফেব্রুয়ারির সচলাড্ডা এবং বইমেলা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০২/২০১৩ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকায় পা দেবার পর থেকেই সচলাড্ডা চলতেই আছে অবিরাম, প্রথমেই দর্শন মিলল ওডিন দেবতা এবং গর্তবাসী খেকশিয়ালের, তাদের বগলদাবা করে যাওয়া হল রহস্যময় ব্যানার্জী স্যামের আলয়ে, তাকে যখন তখন এমন ব্যানার উপহার দেবার জন্য দুকথা শুনিয়ে আড্ডার সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।

পরের দিনই নজরুল ইসলাম চলে আসলেন নিশা এবং নুপুরের শব্দকে নিয়ে। সেই রাতেই তার বাটিতে দর্শন মিলল বুনোহাঁস, অতন্দ্র প্রহরী, সপরিবারে জুন ভাই, রেজোয়ান ভাই, আকাশ ছোঁয়া তানিম এহসান ভাই, স্যামদার। দুরন্ত আড্ডা চলছিল নানা বাঁকে, মাঝে মাঝে কারণ ছাড়াই ব্যপক হুমিক দেওয়া হচ্ছিল অযাচিত ভাবে দৈহিক আক্রমণের।

রাজশাহীতে দেখা হল যাযাবর ব্যাকপাকারের সাথে, তেমনই ঢাকায় ফিরতেই দর্শন মিলল ষষ্ঠ পাণ্ডব দার, দুষ্টু বালিকার, পরদিন অরফিয়াসের। এমনকি লাওয়াছড়ার বনে চলল বুনোহাঁস, দুষ্টু বালিকার, যাযাবর ব্যাকপাকার, নুপুরের শব্দের সাথে অভিযান। ভ্যাঞ্চিপার আড্ডাতে দেখা পাওয়া গেল তিন কবি তারেক রহিম, মণিকা রশিদ, জুয়েহরি্যাহ মৌ-এর, সাথে বাইকার পলাশ রঞ্জন সান্যাল, লেখোয়াড় সুহান রিজওয়ান। অনেকের সাথে ফোনে কথা চলছেই, কিন্তু ট্র্যাফিক জ্যাম এড়িয়ে বিশাল একটি আড্ডা করা সম্ভব হয় নি। অবশেষে পৌঢ় ভাবনা কবির ভাইয়ের তাগাদায় সহব্লগার জুন ভাই চেষ্টা চালালেন এক চা-চক্রের ( চোব্য চোষ্য লেহ্য পেয়), ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সবার সাক্ষাতের জায়গা নির্ধারণ করা হল বনানী ১১-এর রসনা বিলাস রেস্তোরাঁ।

মহামানব কাজীদার দর্শন শেষে জুন ভাইয়ের সাথে যখন পৌঁছলাম জায়গামত, সেখানে ল্যাম্পপোস্টের মত দণ্ডায়মান তানিম এহসান ভাই, পাশেই গুরুগম্ভীর দর্শনের হাস্যোজ্জল রাতস্মরণীয় দা ( তাজ ভাই), মোলাকাত শেষে বসে পড়া গেল আড্ডায়, রেস্তোরাঁর সবচেয়ে পেছনের টেবিলটাতে জাঁকিয়ে। পাশের টেবিলে ১৫-১৬ তখন তারিয়ে তারিয়ে খেয়ে যাচ্ছে, আমরা অন্যদের জন্য প্রতীক্ষারত, এই সময় রেস্তোরাঁয় ঢুকলেন মৃদুহাস্যরত সচলপিডিয়া নীলকমলিনী আপা, আমাদের সবার হাতনাড়া এবং ডাকাডাকিকে অগ্রাহ্য করে উনি পাশের টেবিলে যেয়ে বললেন- আমি নীলকমলিনী! কারো প্রতিউত্তর না পাওয়াতে কিছুটা থমকে যাবার আগেই অবশেষে আমাদের হাত নাড়া চোখে পড়ল তার। এসে ভিড়ে পড়লেন আড্ডাতে, যেন মাছ ফিরে এল জলে!

খাবারের অর্ডার দেওয়া হল নানা পর্যায়ে, এর মাঝেই অফিস থেকে এসে যোগ দিলেন সিমন ভাই, বুনোহাঁস। অবশেষে দেখা মিলল মননে তরুণ পৌঢ়ভাবনা কবির ভাইয়ের, এসেই দাবী করলেন উনি সবচেয়ে বয়স্ক সচল ( নীলু আপার দাবী অগ্রাহ্য করে), কিন্তু মুখে দুষ্টু কিশোরের মিটিমিটি হাসি।

IMG_6563

আড্ডায় কথার চেয়ে বেশী চলল হাসাহাসি, রাতদা বললেন কে নাকি জাঁকালো গোঁফ দেখে আড়ালে তাকে নিজাম ডাকাত বলে সম্বোধন করেছিল, কবির ভাই আমার সেটল হওয়া লেখা নিয়ে ঠেস দেওয়া কথা বলতেই Most Eligible Bachelor হিসেবে তানিম ভাইয়ের দিকে আঙ্গুল তাক করে কেটে পড়া হল আলগোছে। আড্ডার শেষ সদস্য হিসেবে আবির্ভূত হলেন অরফিয়াস এবং আশালতা। মাথা ন্যাড়া কিশোর অরফিয়াসকে দেখে সবাই অবাক, ভেবেছিল ডারউইনের মত দাড়িওয়ালা কাউকে দেখা যাবে। আশালতাকে অনেক কথার বর্শা দিয়ে খোঁচা দিয়ে তবেই বাহির করা গেছে, এসেই চকলেটের টানে উনি ভিড়ে গেলেন নীলু আপার সাথে। আরও অনেকেই ফোনে আড্ডায় অংশ নিতে লাগল মেজাজ খারাপ করে, তাদের সশরীরে অংশ নেওয়া সম্ভব না বলে! পরের আড্ডা কোথায় হবে এই নিয়ে জল্পনার ফাঁকে ফাঁকে নীলু আপা আসছে গ্রীষ্মে তার নিউইয়র্কের বাড়ীতে আড্ডার দাওয়াত দিলেন। তানিম ভাই তার শিবির ঠেঙ্গানোর কাহিনী শোনালেন সংক্ষেপে, কথা হল চরম উদাসের বউ নিয়ে দেশে এসে বউকে চাচাতো বোন হিসেবে পরিচয় দিয়ে কনে দেখার নাম করে ফাউ ফাউ খাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া হবে। জার্মানির সচলগণ বিশেষ করে ধু গোদার রহস্য ফাঁস হয়ে গেলে আড্ডার এক পর্যায়ে ( সেটা এখানে বলা যাচ্ছে না আপাতত), এর ফাঁকে টেবিলে চলে আসল তানিম ভাইয়ের পছন্দের হাজির বিরিয়ানি ( সত্যি বলছি- খুবই বিটকেল খেতে), সেটা শেষ হবার আগেই বুনোহাঁস উড়ে গেল, সিমান ভাই নিষ্ক্রান্ত হলেন, আড্ডায় আসলে তখন ভাঙ্গনের টান কারণ বইমেলায় এসে গেছে অন্যরা।

অন্যদের টাটা দিয়ে বইমেলা যাওয়া হল অরফিয়াস এবং জুন ভাইয়ের সাথে। মেলায় ঢুকতেই জাঁকালো গোঁফের সচল ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন খপ করে হাত ধরে বললেন- এই মিয়্যা, তোমার না একটা বই বাহির হবার কথা, আহো আমার লগে! বলেই বিমূঢ় অবস্থায় নিজেকে আবিস্কার করলাম টেলিভিশনের লাইভ শো-এর সামনে। উনি নিজে থেকেই সচলায়তন নিয়ে খান দুই প্রশ্ন করলেন, উত্তর দিয়ে কোনমতে পালালাম জনতার আড়ালে, দেখি বজ্জাত অরফিয়াস ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে বলছে- কী ধরা খেয়েই গেলে!

নানা বইয়ের স্টল দর্শনের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের সাথে জুটে পড়লেন সদ্য শহীদ হওয়া সস্ত্রীক রায়হান আবীর, ওডিন, মৌ, মণিকা দি, একমুখ দাড়ি নাচিয়ে মানুষ থেকে গেরস্থে পরিণত হওয়া লীলেন দা, অভ্রের বিখ্যাত মেহদি, দুষ্টু বালিকা, অন্দ্রিলা, তপতী এবং আরও অনেকেই। সেই গল্প লিখবেন আশা করি অন্যরা-

IMG_6597


মন্তব্য

ullash এর ছবি

আমার চরম মিস হইয়া গেল গা । শান্তি নাই । আড্ডার কথা শুইনা কানতে ইচ্ছা করতাসে।

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার

সাফি এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের বাটিতে বুনোহাঁস পড়ে আমি ভাবতেছি, নজু ভাই করছে কী? তারেকাণুরে বুনোহাঁস খাওয়া দিয়েছে!!! আরেকটু পড়ার পরে বুঝলাম।

তারেক অণু এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

যদি মনে সাহস আর বুকে বল থাকে তবে আর এক সপ্তাহ ঝুলে থাকেন, আমি দেশে আইতেছি আগামী হপ্তায়।

তারেক অণু এর ছবি

হাজি সাহেবের এক জবান!

সাফি এর ছবি

হাজি সাহেবের বিরানি মেরে এখন জবান নিয়া টানাটানি?

তারেক অণু এর ছবি

বিরানিটা খুবই ফালতু ছিল

রু এর ছবি

ঠাডা কখনো জায়গা মত পড়ে না!

রাস্তাঘাটে কোনো ভক্তের সাথে দেখা হয় নাই?

তারেক অণু এর ছবি

কেন না!

রিসালাত বারী এর ছবি

কবে যে একটা আড্ডায় থাকাত সুযোগ হবে! বইমেলায় আবার গেলে আওয়াজ দিয়েন।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আগে ভাবতাম ফিনল্যান্ডের বাতাসে ভাইটামিন আছে। সেই ভাইটামিনের কারণেই অণু খটাখট পোস্ট নামিয়ে ফেলে। কিন্তু এখন তো দেখি বাংলাদেশের ধুলাবালি থেকেও সে দৈনিক দুইটা পোস্ট নামানোর ভাইটামিন জোগাড় করে ফেলে...

ক্যাম্নে কী?

অমি_বন্যা এর ছবি

ওনার ঘাড়ে জীনের আছর আছে। খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

কোথায়! স্পিডের ঠ্যালাতে পোস্টই দিতে পারছি না অনেক দিন। দেখেন না ২ পোস্ট মিলিয়ে ১ পোস্ট করে দিলাম খাইছে

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

ধুত্তোরি মিয়া এম্নেতিই শাহবাগ যাইতে পারতেছি না দেইখা মেজাজ কিড়বিড়াইয়া রইতাছে তার মধ্যে আপ্নে এইসব ফাল পারতেছেন। ভাল হইব না কয়া দিলাম।
মানুষজনরে কইলাম, বাপ তগো পাউরুটির দোহাই লাগে শাহবাগে একটা গুগল হ্যাংআউটের ব্যাবস্থা কর দেশের বাইরে দিয়া আরো ৪-৫হাজার বাঙ্গালী ২মিনিটের মধ্যে হাজির হইব, কেউ পাত্তাই দেয় না রেগে টং আর অহন আপ্নে এই সচলাড্ডার কাহিনী শুনাইয়া আরো তড়পানি বাড়াইলেন ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আড্ডাবাজির কথা শুনলেই মন উদাস হয় আর সচলাড্ডা হলে তো কোন কথায় নাই। মন খারাপ
এমনিতে শাহবাগ যেতে পারছিনা মন খারাপ খুব তার উপরে আপনি বইমেলা, সচল আড্ডা এইসব গল্প শুনাচ্ছেন। ঠিক না অনুদা, একদম ঠিক না। রেগে টং

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারেক অণু এর ছবি

উদাসের আড্ডায় আহেন!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হু, আমি কিন্তু আমার দাবীতে অটল।
সচলে আমিই বয়োজ্যেষ্ঠ হ+অচল!

তারেক অণু এর ছবি
মেঘা এর ছবি

হাসি বাহ্‌ চমৎকার আড্ডা। মরে না গেলে আশা করি দেখা হবে কোন একদিন মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

মইর না! মইর না!

মেঘা এর ছবি

মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

এক থাবড়া দিব, আসিতেছি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত হলেও ভালো লাগলো অণু। আশারাখি ভবিষ্যতে দীর্ঘ আড্ডা হবে।

সফল আয়োজনের জন্যে জুনকে অনেক ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

জুন এর ছবি

আমি (অণু)ঘটক ছিলাম মাত্র। শেষ পর্যন্ত তানিম ভাই নাক না গলালে মোটেও সফল হতো না ভাই। এতজনও আসতে পারতেন না। বনানীর আইডিয়াটা উনারই ছিল।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি

জয় তানিম ভাইয়ের জয়

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই

অরফিয়াস এর ছবি

হে হে আড্ডা শুনলেই আমি হাজির, কোন মিস নাই ! চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি
রূপক এর ছবি

ওডিন দা'র সাথে বই মেলাতে দেখা হোলো ৬ তারিখ। এ মা! একটু পর পর ওনার সাথে সাক্ষাত্ হচ্ছিলো। শেষে না পেরে বলে বসলাম, "দাদা! আপনাকে পুরো মেলা জুড়ে দেখছি। ঘটনা কি?"‌

জুন এর ছবি

হো হো হো

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি

উনার অনেকগুলা যমজ ভাই

রূপক এর ছবি

অথবা হলোগ্রাফিক প্রজেকশন...

নিলয় নন্দী এর ছবি

আর কদ্দিন আছেন ভাইয়ু। হাসি
বইমেলায় আসেন, হয়তো দেখা হবে।

babunee এর ছবি

আমার খুব ইচ্ছা ছিল ঢাকার কোনও একটা সচল আড্ডায় যোগ দেয়ার। যাদের লেখা পড়ে মুগ্ধ হই তাদের সবার সাথে দেখা হত। বইমেলায় গেলে ঢাকার সচলের সবার সাথে বোধয় দেখা হত।

কিন্তু গত ৪ তারিখ আমার বাবা এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনন্তের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মনটা খুব ভারী হয়ে আছে। বুঝতে পারছিনা কোথায় গেলে মন হাল্কা হবে। তাই সচলে ঢুকলাম, অণুর পোস্ট টা দেখে পড়লাম, কমেন্ট দিলাম। সবাই ভাল থাকবেন, আর আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

আশা করি সচলের পরবর্তী কোনও এক আড্ডায় যোগ দিতে পারব।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো কাঁঠালগাছে ইলশা মাছের দোপেঁয়াজি খুঁজলে এমনই হয়। বনানী গিয়া হাজির বিরানি খাইলে তো বিটকেল লাগবেই, আমারে কইতেন আদি ও অকৃত্রিম হাজীতে লইয়া যাইতাম। দেঁতো হাসি

যাউকগা, এবার আড্ডা-টাড্ডা হবে না? বইমেলার এক সপ্তাহ তো গেলগা। চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

ধুৎ! ২ বছর আগের পুরোনো পোস্ট মন খারাপ ভাবলাম নতুন পোস্ট, বই মেলার খোঁজ খবর জানা যাবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঘুম পাইছে, কাইলকা দিমুনি, এলায় পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম খান

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।