এক ডজন হাইকুর সাথে ছবি মেলানোর চেষ্টা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৫/২০১৩ - ৬:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

8
In my humble view

hell must be

an autumn evening.

-- BASHO

হাইকু ভাল লাগে অনেক দিন ধরেই, খুব যে বুঝি তা মোটেও নয়, কিন্তু পড়ার সময় বুকের ভিতরে ভাললাগার একটা রিনরিনে সুর বেজে যায়। একবার মনে হল হাইকুর সাথে ছবি মেলানোর চেস্টা করলে কেমন হয়? খুবই ভাল হয় তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সেই সূক্ষ ভাব আর বিশাল ব্যপক ভাবনার ক্যানভাস ছবিতে আনব কিভাবে ? বিশেষ করে যেখানে রবি ঠাকুর নিজেই হাইকু নিয়ে যে কথা বলে গেছেন জাপানযাত্রী বইতে--

জাপানি বাজে চেঁচামেচি ঝগড়াঝাঁটি করে নিজের বলক্ষয় করে না। প্রাণশক্তির বাজে খরচ নেই ব'লে প্রয়োজনের সময় টানাটানি পড়ে না। শরীর-মনের এই শান্তি ও সহিষ্ণুতা ওদের স্বজাতীয় সাধনার একটা অঙ্গ। শোকে দুঃখে আঘাতে উত্তেজনায়, ওরা নিজেকে সংযত করতে জানে। সেইজন্যেই বিদেশের লোকেরা প্রায় বলে, জাপানিকে বোঝা যায় না, ওরা অত্যন্ত বেশি গূঢ়। এর কারণই হচ্ছে, এরা নিজেকে সর্বদা ফুটো দিয়ে ফাঁক দিয়ে গ'লে পড়তে দেয় না।

এই যে নিজের প্রকাশকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করতে থাকা, এ ওদের কবিতাতেও দেখা যায়। তিন লাইনের কাব্য জগতের আর কোথাও নেই। এই তিন লাইনই ওদের কবি, পাঠক, উভয়ের পক্ষেই যথেষ্ট। সেইজন্যেই এখানে এসে অবধি, রাস্তায় কেউ গান গাচ্ছে, এ আমি শুনি নি। এদের হৃদয় ঝরনার জলের মতো শব্দ করে না, সরোবরের জলের মতো স্তব্ধ। এপর্যন্ত ওদের যত কবিতা শুনেছি সবগুলিই হচ্ছে ছবি দেখার কবিতা, গান গাওয়ার কবিতা নয়। হৃদয়ের দাহ এবং ক্ষোভ প্রাণকে খরচ করে, এদের সেই খরচ কম। এদের অন্তরের সমস্ত প্রকাশ সৌন্দর্যবোধে। সৌন্দর্যবোধ জিনিসটা স্বার্থনিরপেক্ষ। ফুল, পাখি, চাঁদ, এদের নিয়ে আমাদের কাঁদাকাটা নেই। এদের সঙ্গে আমাদের নিছক সৌন্দর্যভোগের সম্বন্ধ--এরা আমাদের কোথাও মারে না, কিছু কাড়ে না, এদের দ্বারা আমাদের জীবনে কোথাও ক্ষয় ঘটে না। সেইজন্যেই তিন লাইনেই এদের কুলোয়, এবং কল্পনাটাতেও এরা শান্তির ব্যাঘাত করে না।

এদের দুটো বিখ্যাত পুরোনো কবিতার নমুনা দেখলে আমার কথাটা স্পষ্ট হবে:

পুরোনো পুকুর,
ব্যাঙের লাফ,
জলের শব্দ।

বাস! আর দরকার নেই। জাপানি পাঠকের মনটা চোখে ভরা। পুরোনো পুকুর মানুষের পরিত্যক্ত, নিস্তব্ধ, অন্ধকার। তার মধ্যে একটা ব্যাঙ লাফিয়ে পড়তেই শব্দ শোনা গেল। শোনা গেল--এতে বোঝা যাবে পুকুরটা কী রকম স্তব্ধ। এই পুরোনো পুকুরের ছবিটা কী ভাবে মনের মধ্যে এঁকে নিতে হবে সেইটুকু কেবল কবি ইশারা করে দিলে; তার বেশি একেবারে অনাবশ্যক।

আর-একটা কবিতা:

পচা ডাল,
একটা কাক,
শরৎকাল।

আর বেশি না! শরৎকালের গাছের ডালে পাতা নেই, দুই-একটা ডাল পচে গেছে, তার উপরে কাক ব'সে। শীতের দেশে শরৎকালটা হচ্ছে গাছের পাতা ঝরে যাবার, ফুল পড়ে যাবার, কুয়াশায় আকাশ ম্লান হবার কাল--এই কালটা মৃত্যুর ভাব মনে আনে। পচা ডালে কালো কাক বসে আছে, এইটুকুতেই পাঠক শরৎকালের সমস্ত রিক্ততা ও ম্লানতার ছবি মনের সামনে দেখতে পায়। কবি কেবল সূত্রপাত করে দিয়েই সরে দাঁড়ায়। তাকে যে অত অল্পের মধ্যে সরে যেতে হয় তার কারণ এই যে, জাপানি পাঠকের চেহারা দেখার মানসিক শক্তিটা প্রবল।

এইখানে একটা কবিতার নমুনা দিই, যেটা চোখে দেখা চেয়ে বড়ো:

স্বর্গ এবং মর্ত্য হচ্ছে ফুল,
দেবতারা এবং বুদ্ধ হচ্ছেন ফুল--
মানুষের হৃদয় হচ্ছে ফুলের অন্তরাত্মা।

আমার মনে হয়, এই কবিতাটিতে জাপানের সঙ্গে ভারতবর্ষের মিল হয়েছে। জাপান স্বর্গমর্ত্যকে বিকশিত ফুলের মতো সুন্দর করে দেখছে; ভারতবর্ষ বলছে, এই যে এক বৃন্তে দুই ফুল, স্বর্গ এবং মর্ত্য, দেবতা এবং বুদ্ধ--মানুষের হৃদয় যদি না থাকত তবে এ ফুল কেবলমাত্র বাইরের জিনিস হত--এই সুন্দরের সৌন্দর্যটিই হচ্ছে মানুষের হৃদয়ের মধ্যে।

যাই হোক, এই কবিতাগুলির মধ্যে কেবল যে বাক্‌সংযম তা নয়, এর মধ্যে ভাবের সংযম। এই ভাবের সংযমকে হৃদয়ের চাঞ্চল্য কোথাও ক্ষুব্ধ করছে না। আমাদের মনে হয়, এইটেতে জাপানের একটা গভীর পরিচয় আছে। এক কথায় বলতে গেলে, একে বলা যেতে পারে হৃদয়ের মিতব্যয়িতা।

তারপরও চেস্টা করলাম, আর আবার করব কি না তার সিদ্ধান্ত আপনাদের---

At the end of the path

the overpowering scent

of flowers on a thorn bush.

----- Buson
10

Out over the fields,

attached to nothing,

a skylark sings.

---- BASHO
11

Someone has managed to

light a fire in the builders

shed this foggy morning.

----- SHIKI
904313_10152766572855497_98913098_o

The beginning of all art:

a rice planting song

in a remote district.

--- BASHO
1

Autumn nightfall

and the long road

empty.

--- BASHO
2

Quietly in the night,

a worm in moonlight

burrows through a chestnut.

---- BASHO
4

This mushroom is

deadly. And, of course,

its also very pretty.

---- Issa
5

Laid waste on the journey.

My dreams wander scattered

through desolate fields.

---- BASHO
3

Wake up, butterfly!

Come on - wake up!

I want friendship.

----- Basho
7

Summer grass.

All that remains

of warriors dreams.

---- BASHO
6

শেষের ছবিটা আমার তোলা না , কিন্তু নিজেই ছবি মাঝে উপস্থিত থাকার জন্য তো বটেই , সেই সাথে সাথে এক ডজন পুরো করার লোভ সামলাতে না পেরে দিয়েই ফেললাম।

Once behind the gate

I too am a traveller

in the autumn twilight.

---- BUSON
12

ইদানীং একটা গানের সিডি গাড়ীতে চাপলেই শোনা হচ্ছে, নানা ধরনের মন ছোয়া গান- প্রেম, বিরহ, একাকীত্ব, প্রকৃতি এবং মোটের উপর মানুষ নিয়ে। দারুণ ব্যাপারটা হচ্ছে অধিকাংশ গানগুলোরই কন্ঠ, কথা এবং সুর দিয়েছেন একজনই- কিন্নরী কন্ঠের এক গায়িকা। এবং তিনি সচলায়তনের জনপ্রিয় একজন কবি।

সিডির নাম বরষার শেষে এসে, গায়িকার নাম মণিকা রশীদ!!

এই সামান্য পোস্টটি মণিকাদির জন্য। উনি যেন তার গান, কবিতা দিয়ে আমাদের মোহিত করেন আরো অনেক যুগের পর যুগ।


মন্তব্য

পিনাক পাণি এর ছবি

গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
সাফাত এর ছবি

ভাইয়া জাপানীদের নিয়ে লেখা অনেক ভাল লাগলো। আপনি তো ক্যারিবিয়ান এও গেসেন,পারলে ওদের লাইফ আর ফিলসফি নিয়েও কিছু লেখেন।আমার জাপানীদের চেয়ে ক্যারিবিয়ানদেরই বেশি পছন্দ।

তারেক অণু এর ছবি

রবি বাবু তাদের নিয়ে লিখেছে কি ?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার পোস্টগুলো সব সময়ই আলাদা ধরণের এবং চমৎকার।
শুভকামনা রইল।

তুহিন সরকার।

তারেক অণু এর ছবি
মেঘা এর ছবি

মাত্র তিন লাইনের কবিতায় এতো কথা লুকিয়ে থাকতে পারে প্রথম ছোট দুটো কবিতার ব্যাখ্যা না পড়লে আমার মাথায় আসতো কিনা জীবনে কোনোদিন কে জানে!!

আমরা বাঙালীরা অনেক বেশি কথা বলি বলেই হয়ত আমাদের জন্য প্রথম দেখায় এই তিন লাইন কোন অর্থ বহন করবে না। অনেক ভাবলে তারপর অনেক কিছুই বের হয়ে আসবে নিঃসন্দেহে। ছবির সাথে কবিতাগুলো চমৎকারভাবে মিলে যাচ্ছে ভাইয়া। ডালের ফাঁক দিয়ে চাঁদের ছবিটা মুগ্ধ করেছে। আর ট্রেডমার্ক হিসেবে শেষে তোমার একটা ছবি না থাকলেই না আসলে। চমৎকার পোষ্ট চলুক

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

আর ছবি কুতায় !

মেঘা এর ছবি

বাসায় ছিলাম না তাই ইমেইল করতে পারি নি। আজকে আবার করবো দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি
শুভায়ন এর ছবি

গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

তারেক অনুর পোষ্ট সচেতন ভাবে এড়িয়ে যাই--
পড়তে গেলেই দেখতে হয় মন হু হু করা ছবি, সেই সাথে আছে তার অসাধারণ বর্ণনা---
ভীষন হিংসুটে মানুষ আমি---
তার পোষ্ট পড়া মানে মনের মাঝে হিংসের আগুনটা ধ্বক ধ্বক করে জ্বলে ওঠা---
কিন্তু সব কিছুর পরও তার লেখা পড়া হয়--পড়তে হয়---
এ যেন আমার নিয়তির মতন---

আরো একটা অ-সা-ধা-র-ণ লেখার জন্যে সাধুবাদ জানাই তারেকানু কে--
সেইসাথে অকুন্ঠ শুভাশীষ আর শুভ কামনা সচলায়তনের সুকন্ঠী সদস্যা মণিকা'দি কে--কথায়-সুরে যিনি অহর্নিশ আলো জ্বেলে পথ চলেছেন--

শুভেচ্ছা নিরন্তর---

তারেক অণু এর ছবি

মণিকা'দির সাথে আবার একটা গান করেন চলুক

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

প্রথম চার লাইন মিলে গেল অনিকেতদা। তবে আমি আপনার চেয়ে বেশি হিংসুটে শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি
ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ওরে ছবি! এত ভালো কেনু কেনু কেনু

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

দারুণ দারুণ ! অল্প কথায় কতই না গল্প করে ফেলা সম্ভব ! আমরা অবশ্য ভাবসম্প্রসারন করাতে ওস্তাদ । ৩ লাইনের হাইকি 'তাই তো কবি বলতে চেয়েছেন' বলে বলে ৩ পৃষ্ঠা লিখে ফেলা তো ছেলেখেলা (প্রাসঙ্গিক কিছু ? নৈব নৈব চ!)
যা হোক, ভালো লাগল খুব ! ধন্যবাদ ।

তারেক অণু এর ছবি
জুঁই মনি দাশ এর ছবি

ছবি যে দৃশ্যকাব্য তা আবার বুঝিয়ে দিলেন......কবিতা লেখার মনটার সাথে দেখার চোখটাও বেঁচে থাকুক...... এতদিন হাইকু পড়লেও আজ দেখলাম, অনুভূতিটা চেনা ঘর নতুন করে দেখার মত। অনেক ভাল থাকবেন এই সুন্দর দেখার চোখটা নিয়ে............।

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

দারুণ দারুণ ! মাত্র ৩ লাইনে কত কিছু বলে ফেলা সম্ভব ! আমরা অবশ্য ভাবসম্প্রসারন করাতে ওস্তাদ । ৩ লাইনের হাইকিকে 'তাই তো কবি বলতে চেয়েছেন' বলে বলে ৩ পৃষ্ঠা লিখে ফেলা তো ছেলেখেলা (প্রাসঙ্গিক কিছু ? নৈব নৈব চ !)
তারচে' হাইকির সাথে ছবিই বেশ যায় মনে হচ্ছে ।
ভালো লাগল খুব । ধন্যবাদ ।

তারেক অণু এর ছবি
কিষান এর ছবি

চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি
আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

মিলেছে, দারুনভাবে মিলে গ্যাছে।

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

দারুন! চলুক

#
An empty can glides
Across shattered asphalt lots
Eight pigeons take flight

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
Damama এর ছবি

ভাল লাগল

তারেক অণু এর ছবি
আলোকিতা এর ছবি

অণুদা,প্রথম ছবিটা কি এই পৃথিবীর?কি অদ্ভুত সব রং!নাম পর্যন্ত জানিনা এইসব রঙের!! গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

এই গ্রহের বাহিরে আর যেতে পারলাম কুতায় ! মন খারাপ

স্যাম এর ছবি

আমার এক-ই চিন্তা! ফিল্ম/নেগেটিভ এর যুগ হলে এম্নিই মেনে নিতাম - কিন্তু ডিএসেলার এর যুগে অপার্থিব লাগছে আকাশের এই রঙ। দারুন!!!

তারেক অণু এর ছবি
তমসা এর ছবি

ছবি, কবিতা সবগুলো দেখেই মনের মধ্যে যে গানটা গুনগুনিয়ে উঠছে সেটা হলো " আমার মুখের কথা তোমার নাম দিয়ে দাও ধুয়ে/ আমার নীরবতায় তোমার নামটি রাখো থুয়ে"

নাহ্‌ , যেখানেই যাই, যা কিছুই শুনি বা দেখি, বুড়োটা পিছু ছাড়ে না-----------

তারেক অণু এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমারটা কেমন হল দেখেন তো (ছবি সহ),

'বিপদ - ফাঁসি
বাঁচাতে - জান
চন্দ্রে - অভিযান?'

বিদ্রঃ আশা করি এই ১৩ টা হাইকু সচলের চাকতির কোন ক্ষয়ক্ষতি করবে না।

তারেক অণু এর ছবি
তমসা এর ছবি

বাকী ১২টাকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জন্য ১৩ নাম্বার একাই যথেষ্ট গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
তমসা এর ছবি

কবিতা, ছবি সবকিছু একটাই লাইনের গুঞ্জন তুলছে মনে---- "আমার মুখের কথা তোমার নাম দিয়ে দাও ধুয়ে/ আমার নীরবতায় তোমার নামটি রাখো থুয়ে" ( উফ্‌ , যেখানেই যাই , যা কিছুই দেখি বুড়োটা পিছু ছাড়ে না )

তারেক অণু এর ছবি
মেঘা এর ছবি

গুল্লি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

শাব্দিক এর ছবি

১৩ নম্বরটা একদম ১৩ টা বাজায় দিসে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হো হো হো হাততালি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনে মানুষ না অনুদা..... চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারেক অণু এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমার মতে হাইকু'র সাথে ছবির প্রোজেক্ট তেমন দরকারি বস্তু না। আমি অনেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম, অতি প্রাসঙ্গিকতা মাঝে মাঝে বিরক্তিকর। যদিও এটা আমার একান্ত নিজের মত। অনেকগুলাই সুন্দর মিলেছে, কয়েকটা আবার বেশি মিলেছে। সব মিলিয়ে সুন্দর। আর হাইকু গুলা আসলেই মজার।

তারেক অণু এর ছবি

স্রেফ চেস্টা , মনে হল হাতে আকা ছবির সাথে হাইকু দেখ, তোলা ছবির সাথে কেমন হবে ! কিন্তু খুব কঠিন কাজ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কিন্তু খুব কঠিন কাজ

সঠিক

তারেক অণু এর ছবি

৩ ন ম্বর লাইনে এসে প্যাচ লেগেই যায় ! এমন কিছুর কথা থাকে যে আর সম্ভব হয় না ! মন খারাপ

স্পর্শ এর ছবি

প্রথম ছবিটা দেখে পাগল হয়ে গেলাম!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারেক অণু এর ছবি

এখন লমবা হউন শয়তানী হাসি

এপোলোনিয়া এর ছবি

হাইকুর সাথে ছবির সমন্বয় খুবই ভাল লেগেছে। ছবিগুলোও চমৎকার।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি হাইকু নিয়ে লেখা একটি অসাধারন পোষ্ট ।

আরাফ করিম

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হাইকু গুলো পড়ি নাই, ছবিগুলো দেখলাম। সুন্দর। বেশ কিছু ছবি আগেই দেখা।
মনিকাদির গান... আহ্... শুনতে শুনতে যায় বেলা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

শুনতে শুনতে যায় বেলা

ঘুমকুমার এর ছবি

অসাধারণ লাগলো। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি
অমি_বন্যা এর ছবি

দারুন পোস্ট বরাবরের মতই। ছবিগুলো অসাধারণ।

মাসুম আহমদ এর ছবি

সব কিছু মিলিয়ে খুব দারুন একটা পোস্ট হৈছে

শাব্দিক এর ছবি

বুকের ভিতরে ভাললাগার একটা রিনরিনে সুর বেজে যায়।

পুরা পোস্ট জুড়ে এমন সুর বাজছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি

জগতটা বড্ড সুন্দর গুরু গুরু

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লাগল পোস্টটি, ছবিগুলো অসাধারন। শুভকামনা মণিকাদির জন্য। ভাল থাকুন, আর এমন সব পোস্ট দিয়ে আমাদেরকে আপনার সাথেই রাখুন।
hironmoydigonto

তারেক অণু এর ছবি

চেষ্টা করে যাব, মণিদির কোন পাত্তা নেই দেখি !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নাহ্, কিচ্ছু বলবোনা, শুধু বলবো, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন আর অনেক অনেক লিখে যান।

তারেক অণু এর ছবি
ধুসর জলছবি এর ছবি

প্রতিটা ছবিই দারুণ। কিন্তু প্রথম ছবিটা দেখে স্তব্ধ হয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। সামনাসামনিও কি এমন ছিল দেখতে? জায়গাটা কোথায়? ঠিকানা দেন, আমি মরার আগে একবার যেতে চাই গুরু গুরু গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

হেলসিংকি বন্দর, আসলে জানিয়েন

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

আপনে কি হাইকু লেখা শুরু করবেন নাকি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

না ভাবতেছি, আপনে তো হাইকুর আসল মানেই জানেন না।
হাই সাহেব যখন কু কু করেন সেটাই হচ্ছে হাইকু।
এই যেমন এইটা একটা দুর্দান্ত হাইকু

টিভি ক্যামেরার
সামনে মেয়েটি
বুড়ো বয়সে ভীমরতি

তারেক অণু এর ছবি

সব বয়সেরই ভীমরতি গুল্লি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

সব ঠিকমত মেলেনি, এই যেমন অটাম নাইটফল...

তারেক অণু এর ছবি

যাহ বুটা শয়তানী হাসি

ইমা  এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

ইমা

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হাইকু ব্যাপারটা বড়ো অদ্ভূত, ভালে লাগে, লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো, নতুন কিছু শিখলাম, ধন্যবাদ।
কান্নার শব্দ
একটা স্বপ্ন
জীবনটা সুন্দর

তারেক অণু এর ছবি
প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

বাহ এই তিন লাইনের ঘটনাটা তো জানতাম না।

অনেক ধন্যবাদ। আর যেভাবে জাপানিদের বর্ণনা করেছেন সেটাও খুব ভাল লাগল।

তারেক অণু এর ছবি

আজ্ঞে ঐটা রবি ঠাকুরের লেখা খাইছে

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ইয়ে, মানে...
সত্যি মূর্খরা কিভাবে বেকুব বনে।
যাই হোক রবি ঠাকুরকে খারাপ তো বলি নাই খাইছে

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

কাব্য আর ছবি উভয়ই অস্সাধারণ!

সিরাজুল লিটন

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক চলুক

মাসুদ সজীব

নরম মানুষ  এর ছবি

যথারীতি খুব সুন্দর লেখা ।একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল ।আমার ছোট ভাই একদিন বলল তার জাপান ফেরত এক বন্ধু নাকি হাইকু লেখা শুরু করেছে ।একটা শোনাতে বললাম।

কলা খায়
ভাবি তাকায়
মন কাঁদে ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।