অলীক বাতায়ন

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ০৪/০৮/২০১৩ - ৭:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শঙ্কর ভুলে গেছে চারপাশের সব আসবাব-পত্র, আফ্রিকা দেশটা, তার রেলের চাকরী, মোম্বাসা থেকে কিসুমু লাইনটা, তার দেশ, তার বাবা –মা- সমস্ত জগৎটা শূন্য হয়ে গিয়ে সামনের ওই দুটো জ্বল-জ্বলে আলোর দানায় পরিণত হয়েছে, তার বাইরে শূন্য! অন্ধকার! মৃত্যুর মত শূন্য, প্রলয়ের পরের বিশ্বের মত অন্ধকার !

ওই দুটো জ্বল-জ্বলে আলোর দানা আসলে আফ্রিকার হিংস্রতম সাপ কালো মাম্বার, এবং শঙ্কর একা না, সাদা শার্ট- নীল প্যান্ট পরে স্কুলের পিছনে বেঞ্চে লুকিয়ে বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় পড়তে পড়তে ঘামছি আমিও, খুব সন্তর্পণে প্রতিটি নিঃশ্বাস ছাড়ছি যেন সামান্যতম বিচ্যুতিতে সাপের চোখে থেকে আলো সরে গেলেই ক্রুর ছোবলে চির আঁধার নেমে আসবে শঙ্করের জীবনে।

রিখটারসভেল্ড পর্বতে অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণে আর রত্নের সন্ধানে আরও অনেক অনেক বার গেছি পাড়া গাঁয়ের অসমসাহসী যুবক শঙ্করের সাথে, সবচেয়ে স্মরণীয় যাত্রা ছিল ২০১০এর গ্রীষ্মে , যখন বাসে চেপে বিশ্বের সবচেয়ে নয়নাভিরাম মানুষের তৈরি পথ ফ্রম কেপটাউন টু জোহান্সবার্গ পাড়ি দিলাম, সাথের ছোট ল্যাপটপে আবার খুলে বসলাম চাঁদের পাহাড় । বন্ধুর রিক্ত রহস্যময় লাল পাথরের পর্বত দেখি, আর কৈশোরের বন্ধু শঙ্কর আমাকে হাতছানি দেয়। কাঁটা ঝোপের সামনে রৌদ্রস্নানরত অলস সিংহের দল ফিরিয়ে নিয়ে যায় টুল বেঞ্চির দিনে লুকিয়ে চুরিয়ে পড়া না-পড়া বইয়ের আলোকময় দিনগুলোতে। বলতে পারেন আফ্রিকার সেই প্রান্তর থেকে চোখ ফিরিয়ে বারবার পড়া একখানা বই পড়া কি খুব জরুরী ছিল? হয়ত না, কিন্তু দিগন্ত বিস্তৃত রোদে পোড়া স্যাভান্না জাতীয় তৃণভূমিতে ফের সেই আনন্দের পরশ পাওয়াটা মহা মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই মুহূর্তে।

কোলাটরাল সিনেমাতে অসাধারণ অভিনয়কারী পর্দার ট্যাক্সি চালক তার সদ্য পরিচিতা আরোহী ( পরবর্তীতে প্রেমিকা)কে বলেছিলেন – প্রতিটা মানুষের ছুটির দরকার, মনের ছন্দময় আনন্দের খোরাকের জন্য। সেই আরোহিণীর সে কবে শেষ ছুটি নিয়েছে তার উত্তরে মুচকি হেসে জেমি বলেছিল প্রায়ই নিই ছোট ছোট ছুটি, দিনে অন্তত এক ডজন বার, বলে মালদ্বীপের একটি চমৎকার ভিউকার্ড দেখিয়ে বলেছিল- ছুটির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলেই এই স্বপ্নের জায়গার ছবির দিকে খানিক তাকিয়েই পেয়ে যাই প্রার্থিত আরাম, নিস্তব্ধতা, সুখ। কিন্তু চাওয়াটা হতে হবে খাঁটি, আসতে হবে ভিতর থেকে।

বই আমার সেই অলীক বাতায়ন।

ঢাকা শহরের পিচ গলা গরমে ঘর্মাক্ত ভিড় আর কর্ণবিদারী হর্নের মাঝে হাতের খোলা বইটি আমায় নিয়ে যেত চির সবুজ আমাজনের অসূর্যস্পর্শা বনে, কোনদিন বরফ না দেখা পদ্মাপারের বালকটিকে আন্তন চেখভ তার গল্পের চরিত্রের মত মাথায় তুষার গলার হিমশীতল অনুভূতি এনে দিতেন, আবার চির শীতের উত্তুরে ভূখণ্ড থেকে এখন সবুজ বাংলা হলুদ শর্ষে ক্ষেতে বিলোল বাতাস এনে দেন বিভূতিভূষণ, নিরিবিলি আন্দেজে তারাশঙ্কর নিয়ে আসেন বাংলার পাগল ঝড়ের আমেজ। রাসকলনিকভের ভয়ংকর জিঘংসা যেমন ফণা তুলে ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট পড়ার সময় তেমন ল্য মিজারেবলের জ্য ভালজা বলে নেন- জীবনে কখনই অন্যায় করবে না, তোমার প্রতি অন্যরা যতই অন্যায় করুক !

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি, হোক না কিন্ডল, ল্যাপটপের পিডিএফ, বা ছাপাখানার ফসল – আমি সুখী হবার জন্য পড়ি।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্লাস এইটে থাকতে পড়েছিলাম বইটা। মনে পড়ে, কী বিপুল আলোড়িতই না হয়েছিলাম! কেন জানি না, বিভূতিভূষণের এই বইটা নিয়ে কথাবার্তা অনেক কম হয়।

আর হ্যাঁ, একটি শঙ্করময় জীবন সবার ভাগ্যে জোটে না। যার জোটে, সে আসলেই ভাগ্যবান।

-------------
মঈন কাদির

তারেক অণু এর ছবি

বাহ, আমরা অনেকেই কিন্তু চাঁদের পাহাড় নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিই আর উচ্ছাস প্রকাশ করি। লেখা -গুড়- হয়েছে

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে তো মিস করি। আমার সেসব আড্ডায় অংশগ্রহণ করা হয় নি।

গুড়ের মর্মার্থ বুঝলাম না। সচলায়তনের ইমোর সাথে এখনো ভাল্ভাবে পরিচিত হই নি কিনা! মন খারাপ

------------
মঈন কাদির

তারেক অণু এর ছবি

মানে মন্তব্য গুড়ের মত মিষ্টি! হাসি

শামীম এর ছবি

আহ জীবিত মানুষদের আনন্দের কথা শুনতে কত ভাল লাগে। এই লেখাখানা পড়ার সময়টুকুর মধ্যেই কন্যা তিনবার হানা দিয়ে মনোযোগ আদায় করে নিয়ে তারপর গেছে!

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তারেক অণু এর ছবি

হাততালি সাবাস বেটি ! জিতে রহো!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি, হোক না কিন্ডল, ল্যাপটপের পিডিএফ, বা ছাপাখানার ফসল – আমি সুখী হবার জন্য পড়ি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আপনি?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পেলেই পড়ে ফেলি... অফসেট হার্ডকভার, দুর্দান্ত পেপারব্যাক... মুড়ির ঠোঙা ... সঅব... সুখী হবার জন্য পড়ি কিনা আগে ভেবে দেখিনি... তবে মনে হচ্ছে না পড়লে হাঁসফাঁস লাগে হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আপনার কমেন্টে প্রথমে পড়েছিলাম - অফসেট হার্ডকোর হো হো হো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

যার মনে যা ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

সফট ?

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি, হোক না কিন্ডল, ল্যাপটপের পিডিএফ, বা ছাপাখানার ফসল – আমি সুখী হবার জন্য পড়ি।

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

সবকটি লাইনের সাথে পুরোপুরি একমত। চলুক

(একেবারে-ই অন্য প্রসঙ্গ। অণু, 'চিলেকোঠার সেপাই' নিয়ে কিছু লিখবে না কি একদিন! এই বইটা আজ বছর সাতেক যাবৎ আমি কিছুতেই একটানা শেষ করে উঠতে পারি না! কয়েকপাতা পড়ার পর-ই লাফিয়ে অন্য কোন পাতায় চলে যাই বা বই বন্ধ করে দিই। আবার যখন শুরু করি, সেটা অন্য কোথাও থেকে। আর তার পর খিজির যা ডাকাডাকি লাগিয়ে দ্যায় পাগলা পাগলা লাগে!)

- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি

ওরে বাবা, ঐটা পড়তে যেয়ে ভাল লাগায় জ্বর চলে এসেছিল ইয়ে, মানে...

আয়নামতি এর ছবি

অবাক হলাম একলহমা, এ জায়গাতে আপনার সাথে মিল পেয়ে। বই আধা খেঁচড়াভাবে রেখে দেয়া আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। কিন্তু আজ অনেকদিন হলো 'চিলেকোঠার সেপাই' অর্ধেক পড়েই ফেলে রাখতে হয়েছে। মন খারাপ

আয়নামতি এর ছবি

আহা! অণু ছেলেটা এত্তু যে ভালু। সে শুধু ঘুরেই বেড়ায় না। নিয়মিত বই পড়ে। আবার যত্ন করে চুলও বাঁধে খাইছে
কিন্তু অণু কি রাঁধতে জানে? রান্না বিষয়ক একটা পোস্ট হয়ে যাক অণু পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি

দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।

তানিম এহসান এর ছবি

বইপড়ুয়া দেখলেই ভাল লাগে। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বই দেখলেও ভাল লাগে, মানে মানুষের বই, আসমানের নয় খাইছে

ফুজিয়ামা এর ছবি

আসমানের বই কিন্তু সুপারস্মার্ট লোকজনের লেখা! বুঝে অথবা না বুঝেই এত বিপুল সংখ্যক মানুষ এই বইগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে এতকাল ধরে। পৃথিবীর ইতিহাসের প্রায় সবগুলো রক্তক্ষয়ী ঘটনার পিছনে বিভিন্ন আসমানী বাণীর সৌহার্দ্য সম্প্রীতির একটা জোরালো ভূমিকা আছে।
বই পড়তে এবং বই পড়ার সময় শব্দ, দৃশ্য কল্পের যেসব অনুভূতির সৃষ্টি হয় চিন্তা চেতনায়, সবকিছু ভালোলাগে।

তারেক অণু এর ছবি

সুপারস্মার্ট লোকজন হয়ত, কিন্তু সেই সময়ের তুলনায়। আমাদের যুগে নতুন করে এই সব গুল্গপ্পো দিলে সোজা হেমায়েতপুরে জায়গা হবে দেঁতো হাসি

ফুজিয়ামা এর ছবি

সাদা বুদ্ধিতে তো তাই হওয়া উচিৎ। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে যে যারা এইসব কিতাবী বুদ্ধি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে তারা হেমায়েতপুরের বদলে লুই আই কানের নকশা করা ভবনে যাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সবার সমর্থন নিয়ে মনোনীত হচ্ছে বা হওয়ার পায়তারা করছে।

তারেক অণু এর ছবি

মানবজাতি অদ্ভুদ মন খারাপ , নিজের চেয়ে কল্পনার মালকে বেশী ভালুবাসে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

PaMaALe এর ছবি

প্রায় কেউই আসমানী বই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করেনা। যদি করতো তবে দুনিয়াতে যেসব মন্দতা দেখি তার কিছুই থাকার কথা নয়। আসমানী বই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে তো ঐ বইকে রাজনৈতিক বা অন্য কোন স্বার্থে ব্যবহার করার বা নিজে সে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবার কথা নয়। আর যারা যতটুকুই মান্য করে, তা করে কল্পিত আসমানী সুপার পাওয়ারের বা বাহ্যিক শক্তির ভয়ে বা তাদেরকে তুষ্ট করার বাসনায়

- পামাআলে

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

ছেলেটা কী বললো ! স্থিত হয়ে বইপড়ার কথা, না কি উচ্ছন্নে দাবড়ে বেড়ানোর অস্থিরতার কথা !

ইশশ্ ! যদি বই না-পড়ে থাকতে পারতাম, কী মজাটাই না হতো ! বিস্তর অবকাশ পাওয়া যেতো ! আহা অবকাশ !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারেক অণু এর ছবি

আহা অবকাশ !! মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি, হোক না কিন্ডল, ল্যাপটপের পিডিএফ, বা ছাপাখানার ফসল – আমি সুখী হবার জন্য পড়ি।

চলুক

-এস এম নিয়াজ মাওলা

তারেক অণু এর ছবি
অগ্নির এর ছবি

প্রথম প্যারাটা পড়তে গিয়েই স্বপ্নে ঢুকে যাচ্ছিলাম । কতদিন কত বিকাল এই বইটার সাথে কেটেছে ! কতশত বয়ম আচার আর কয়েক হাজার প্যাকেট চানাচুর হাপিস হয়ে গিয়েছে এই বই পড়তে পড়তে লইজ্জা লাগে !

তারেক অণু এর ছবি

কয়েক হাজার প্যাকেট চানাচুর মন খারাপ

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আমি পড়ি - বই-ই হোক কি সচলায়তনে তারেকাণুর লেখাই হোক - হি হি
বাথরূমেও পড়ার বদভ্যাসের কারনে আজীবন গাল খাচ্ছি - ছোটবেলায় বাবা মায়ের আর এখন বৌ এর। তবে ভরসা ছেলে আমার পক্ষে!!!
মাত্র গত সপ্তাহে বইয়ের আলমারীর পেছনে পড়ে থাকা বুড়ো আংলা আর চাঁদের পাহাড় তুলে দিলাম ছেলের হাতে - জানি না একটু আর্লি হয়ে গেলো কিনা।
নিজের আনন্দের জন্য পড়ি - কতটা একমত বলে বোঝাতে পারবো না - লেখায় লেখা -গুড়- হয়েছে

তারেক অণু এর ছবি

হাততালি , পড়ুক আমাদের ক্ষুদে পড়ুয়া !

ওডিন এর ছবি

আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা থাকলো প্রোফেসর সাহেব। আমার বয়স যখন পাঁচ, ওইসময় একজন আমার হাতে অবনী ঠাকুরের বুড়ো আংলা তুলে দিয়েছিলেন। এরপর, ওই যাকে বলে- ইতিহাস হাসি

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

‘বই আমার সেই অলীক বাতায়ন।’

আমি পড়ি স্থিরতার জন্য। না পড়লে অস্থির লাগে।

লেখা বরাবরের মতো।

স্বয়ম

তারেক অণু এর ছবি

আমি পড়ি স্থিরতার জন্য। না পড়লে অস্থির লাগে। উত্তম জাঝা!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বই আর পাগলা পানি না থাকলে অবসর সময় কাটতো কিভাবে ?
আর আমিতো মন খারাপ হলেই বই পড়ি। পড়তে পড়তে মন খারাপের কথা ভুলে যাই।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

পাগলা পানি খেয়ে বই পড়েন ক্যাম্নে? সব লাইনত দুইডা কইরা দেখা যায়... চিন্তিত

-- রামগরূড়

অতিথি লেখক এর ছবি

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি, হোক না কিন্ডল, ল্যাপটপের পিডিএফ, বা ছাপাখানার ফসল – আমি সুখী হবার জন্য পড়ি। চলুক চলুক চলুক
চাঁদের পাহাড় কি যে অসাধারন একটা লেখা, গতকাল টেনিদাকে নিয়ে লেখা পড়ে বাসায় যেয়ে টেনিদার চারমূর্তির অভিযান আবার রিভাইস দিয়েছিলাম আজকে আবার চাঁদের পাহাড় পড়তে হবে চিন্তিত ,অনু লোকটা মোটেই ভাল না গুল্লি
ইসরাত

তারেক অণু এর ছবি

খাইছে সবার ভাল হলে চলে !

মন মাঝি এর ছবি

বাস্তবের ঘনাদার কাছ থেকে অবাস্তবের ঘনাদা নিয়ে কিছু আশা করছি।

লেখাটা দারুন! চলুক

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

চাঁদের পাহাড় বইটা আমার কৈশোরের প্রথম রোমাঞ্চ। কৈশোরে যতবারই বইয়ের দোকানে যেতাম আরেকটি চাঁদের পাহাড় খুজে পেতে চেষ্টা করতাম। নস্টালজিক হয়ে গেলুম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে আহা

অতিথি লেখক এর ছবি

সমাজ বদলাবার তাগিদে নয়, নিজেকে উন্নততর চরিত্রের বা রুচির মানুষে পরিণত করার জন্য নয়, এমনকি হয়ত অজানাকে জানার চিরন্তন কৌতূহল থেকেও নয়, কেবল স্বার্থপরের মত অলীক সুখের সন্ধানের জন্যই আমি পড়ি!

ছিঃ! ছিঃ!! আপনি এত স্বার্থপর?

আব্দুল্লাহ এ এম

তারেক অণু এর ছবি

শয়তানী হাসি

ওডিন এর ছবি

রোজ কিছু না কিছু পড়তেই হয়। নাইলে শইল চাবায়।

কি আর কমু। এইটাই হইল আমার বই পড়ার কারণ। ইয়ে, মানে...

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।