‘প্যাঁচা’র পাঁচালী

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৭/০৩/২০১৬ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘প্যাঁচা হচ্ছে একই সঙ্গে মানুষের সবচেয়ে পরিচিত এবং অপরিচিত পাখি। যে কোন মানুষকে এমনকি শিশুকে বললেও কোনরকম দ্বিধা ছাড়া একটি প্যাঁচা এঁকে দিতে পারবে কিন্তু যদি বলা হয় শেষ কবে বুনো প্যাঁচা দেখেছে তখন সেটি মনে করতে পারবে না, কারণ হয়ত সে কোনদিনই প্রকৃতিতে প্যাঁচা দেখেই নি।’ – এইই ছিল ‘দ্য ন্যাকেড এপ’ খ্যাত বিখ্যাত জীবতত্ত্ববিদ ডেসমণ্ড মরিস রচিত ‘প্যাঁচা’ বইটির প্রথম লাইন।

রীতিমত ভাবাবার মত কথা! প্যাঁচার প্রতি আমার বিশেষ ধরনের টান আশে শিশুকাল থেকেই, নানা দেশের প্যাঁচার ছবি সম্বলিত ডাকটিকেট, টি-শার্ট, নানা স্মারক বিশেষ করে নানা জাতের প্যাঁচার ক্ষুদের ভাস্কর্য সংগ্রহের প্রতি একটা ঝোঁক আছে এখনো, কিন্তু কেন প্যাঁচার প্রতি মানুষের এই আকর্ষণ তাতো ভেবে দেখি নি!

উত্তর মিলেছে পরের প্যারাতেই- কারণ প্যাঁচার মাথা এবং চোখ! এমন মানুষের মত চওড়া, গোলাকার মাথা, প্রায় সমতল মুখ এবং পাশাপাশি এক জোড়া বড় বড় প্রশস্ত টানা টানা চোখ আর কোন পাখির নেই। যে কারণে পুরাতন ইংরেজিতে প্যাঁচাকে বলা হত Human-headed Bird! যে কারণেই হয়ত প্যাঁচাকে নিয়ে যত কুসংস্কারের সৃষ্টি, বিশেষ করে তাকে জ্ঞানী মনে করা এবং একই সাথে অমঙ্গলের চিহ্ন মনে করা! পরের অধ্যায়গুলোতে এক প্যাঁচাময় পৃথিবীকে তৈরি করেছেন লেখক অপূর্ব সব তথ্যের সমোরোহ ঘটিয়ে, এবং মানবসমাজের ইতিহাসের প্যাঁচার স্থান একেবারে স্থানকালপাত্র বিবেচনা করে।

অসাধারণ এই বইটি প্রকাশ করেছে REAKTION BOOKS, প্রসঙ্গত বলে রাখি এই প্রকাশনাটির Animal সিরিজের যে কোন বইই সেই প্রাণীর উপরে প্রকাশিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই, যে হোক পিঁপড়া কিংবা নীলতিমি, এর আগেও এই সিরিজের গরু এবং বাঘের উপরে প্রকাশিত বই পরে রিভিউ লিখেছিলাম সচলে। তাই প্রবাসী বিশেষ করে ইংরেজিভাষী দেশে অবস্থানরত সচলদের প্রতি বিশেষ আবেদন যদি এই প্রকাশনীর অ্যানিমেল সিরিজের বই যদি সস্তায় পান , অনেক সময়ই পুরাতন বইয়ের দোকানে ২-৩ ডলার/ ইউরো/ পাউন্ডে বিক্রি হয়, আমি নিজেও কিনেছিলাম, দয়া করে কিনে ফেলুন, কোন না কোন সময় আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন। বইয়ের সেই উল্লেখিত দাম তো দিবই ( পরিবহণ খরচ বাদে কিন্তু) সেই সাথে দিব প্রতিটি বইয়ের একটি করে রিভিউ, প্রমিজ!

চলুনে চলে যায় প্যাঁচা হয় প্যাঁচানী, খাসা তো চেঁচানির জগতে-

ফসিল ঘেঁটে জানা গেছে প্যাঁচারা পৃথিবীতে আছে প্রায় ৬ কোটি বছর ধরে! যদিও মানুষের আঁকা প্রথম প্যাঁচার শিল্পকর্মের বয়স ৩০,০০০ বছর। দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের এক গুহাতে Great Horned Owl এর এই দারুণ ছবিটি পাওয়া গেছে। প্যালিওলিথিক যুগের নিস্তব্ধতার মাঝেও সরব ছিল মানুষের শিল্পকর্মে বিশেষ করে ভাস্কর্যে প্যাঁচার অবস্থান। প্রাচীন মিশরীয় ভাষাতে অদ্ভুত ভাবে প্যাঁচার জন্য কোন শব্দ না থাকলেও তাঁদের ভাষা হায়ারোগ্লিফিক্সে একটি চিহ্নই ছিল প্যাঁচা, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার পা ছিল ভাঙ্গা, যেন সে কোন দিন উড়তে না পারে!

প্রাচীন গ্রীস মুদ্রা বলতেই প্যাঁচা বোঝানো হতো, যে কারণে অ্যারিস্টোফানিস আড়াই হাজার বছর আগের রচিত ‘পাখি’ নাটকে লিখেছিলেন ‘রূপার প্যাঁচারা হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম পাখি, তারা কোনদিনই তোমাকে ছেড়ে যাবে না, বাসাতেই থাকবে, তোমার ব্যাগে বাসা করবে এবং ছোট ছোট খুচরা বাচ্চাপ্যদা করবে!’ বর্তমানে গ্রীক ইউরোতেও ক্ষুদে প্যাঁচার ছবি আছে। এক কালে এথেন্সে প্যাঁচার সংখ্যা এত বেশি ছিল যে ‘তেলা মাথায় তেলা দেওয়ার’ গ্রীক ছিল ‘এথেন্সে প্যাঁচা নিয়ে যাওয়া।’ এক গ্রীক সেনাপতির কথা জানা যায় যিনি যুদ্ধে যাবার সময় খাঁচায় একটি প্যাঁচা নিয়ে যেতেন, এবং যুদ্ধের সময় ছেড়ে দিতেন, যাতে তার ডানা মেলে আকাশে ওড়া দেখে সৈন্যরা বিজয়ের চিহ্ন ভেবে উৎসাহিত হয়।

অন্যদিকে রোমানদের কাছে প্যাঁচা ছিল মৃত্যুর প্রতীক। আবার প্রাচীন চীনদেশে ৩৫০০ বছর আগে স্যাং ডাইনেস্টির সময় বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত প্যাঁচার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যগুলো নির্মিত হয়েছিল, যদিও চীনদের কাছে প্যাঁচা কোন জ্ঞানী আদরণীয় পাখি ছিল না, এবং রাতের ভয়ংকর শিকারি পাখি বলেই বিবেচিত হত।

আর নিশাচর পাখি বলে প্যাঁচার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা, যার পয়লাটি হচ্ছে প্যাঁচা দিনের আলোতে চোখে দেখে না!! প্যাঁচা দিনের আলোতে আমার-আপনার চেয়ে কোন অংশেই কম দেখে না, বরং বেশীই দেখে। আবার প্যাঁচা রাতের আলোতে এই ভাল দেখে বলে আমরা মনে করি যে প্রাচীন ভারতে মনে করা হত প্যাঁচার ডিম খেলে রাতে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে, চেরোকি ইন্ডীয়ানরা ভাবতো বাচ্চাদের চোখে প্যাঁচার পালক মেশানো পানি দিলে তাদের রাত জাগার ক্ষমতা বাড়বে। এমনকি শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথেও এক তুকতাক ঔষধ তৈরির জন্য প্যাঁচার ডানার কথা উল্লেখ আছে।

নানা পুরাণে প্যাঁচা নিয়ে আছে অযুত পাঁচালি, এক বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টেই ১৬ বার প্যাঁচার উল্লেখ আছে এবং সবই কিছুটা ঘৃণামিশ্রিত। ঝাড়ুতে উড়ন্ত ডাইনির সাথেও প্যাঁচাকে দেখানো হয়েছে নানা দেহের লোককথায়। অন্য দিকে প্রাচীনে ভারতে প্যাঁচাকে দেবী লক্ষীর বাহন হিসেবে দেখানো হয়েছে, যদিও উত্তর ভারতের লুধিয়ানা শহরে দিওয়ালি উৎসবের সময় অসংখ্য প্যাঁচা ধরে বলি দেওয়া হয়।

ভিক্টোরিয়ান আমল থেকে প্যাঁচাকে অশুভের বদলে বরং জ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করার হতে থাকে অনেক বেশি ভাবে, ১৮৭৫ সালে একটি চমৎকার ছড়া প্রকাশিত হয় , যা ছিল

There was on owl lived in an oak,
The more he heard, the less he spoke,
The less he spoke the more he heard-
O, if men were all like that wise bird.

যদিও সাহিত্যে প্যাঁচার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ২৬০০ বছর আগে ঈশপের গল্পে। আর ‘পঞ্চতন্ত্র’-এ। অনেক বিখ্যাত মানুষই প্যাঁচা পালতেন, যাদের মধ্যে পাবলো পিকাসোর নাম সবার জানা থাকলেও প্যাঁচা-পালক হিসেবে অন্যদের নাম অনেকেরই অজানা, বিশেষ করে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, যার প্রিয় প্যাঁচা Athena কে স্টাফ করে রাখা আছে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল জাদুঘরে। শিল্পীদের তুলিতে প্যাঁচা সন্দেহাতীত ভাবে সবচেয়ে বেশিবার আঁকা পাখি। আরেক পরিসংখ্যানে জানা গেছে ১৯২টি দেশের ১২২৪টি ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়েছে প্যাঁচার উপরে। প্যাঁচা হচ্ছে একমাত্র বুনোপ্রাণী যা মাইকেল এঞ্জেলো তার ভাস্কর্যে অমর করে রেখেছেন ( মেডিচির সমাধি স্তম্ভে)। একটি পুরো অধ্যায়ে লেখক সেই সব শিল্পীদের নিয়ে আলোচনা করেছেন যারা তাদের শিল্পকর্মে প্যাঁচাকে অমর করে রেখেছেন যাদের মধ্যে Hieronymus Bosch, Albrecht Durer, Francisco Goya, Edward Lear, Rene Magritte, Pablo Picasso, Tracey Emin প্রমুখ অন্যতম। ( এই নিয়ে আমাদের নভেরা আহমেদের কথা মনে হয়ে গেল।)

প্যাঁচার নানা বৈশিষ্ট্য নিয়ে লেখক সংক্ষেপে লেখেছেনে যে প্যাঁচারা মূলত একাকী প্রাণী, সাধারণত প্রজননঋতু ছাড়া তারা একসাথে হয় না, কেবল মাটির গর্তে থাকা বারোয়িং প্যাঁচারা দলবদ্ধ ভাবে থাকে। আবার প্যাঁচাদের পায়ে দুইটি আঙুল সামনে দিকে এবং দুইটি আঙ্গুল পিছনের দিকে থাকে, অথচ অধিকাংশ পাখির ৩টি আঙ্গুল সামনের দিকে এবং ১টি আঙ্গুল পিছনের দিকে।

কিছু কিছু প্যাঁচার চোখের ওজন প্রায় মানুষের চোখের ওজনের সমান হয়ে থাকে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে প্যাঁচার চোখ একেবারে কোটরে ফিক্সড করে বিবর্তিত হয়েছে, ফলে যে মানুষের মত চোখ বাঁকাতে পারে না, বরং ঘাড় বাঁকাতে হয়, এবং তা সে প্রায় ২৭০ ডিগ্রী পর্যন্ত পারে! তবে অনেক গবেষণার পর প্যাঁচার চোখের ভূমিকা নিয়ে দুইটা নিশ্চিত ভাবে জানা গেছে- তারা অত্যন্ত কম আলোতেও দেখতে পারে, এবং অতি সামান্য নড়াচড়াও তাদের নজর এড়ায় না। আর ঝকঝকে রোদেও প্যাঁচারা ভালই দেখে, অন্তত অধিকাংশ মানুষের চেয়ে ভাল!

পাখিজগতের মধ্যে সবচেয়ে তীক্ষ্ণ শ্রবণশক্তির অধিকারি আমাদের চির-পরিচিত লক্ষী প্যাঁচা। সেই নিয়ে লেখা আলাদা ব্লগের লিঙ্ক নিচে দেওয়া হল-
এর পরের অধ্যায়গুলোতে ছয় মহাদেশ এবং আর্কটিক অঞ্চলে জুড়ে থাকা নানা ধরনের প্যাঁচা, তাদের প্রজনন, ডিম দেওয়া, সন্তান লালন ইত্যাদি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া শেষে লেখক বিশেষ বিশেষ সব প্যাঁচা নিয়ে আলোকপাত করেছেন, যেমন সবচেয়ে বড় প্যাঁচা, ক্ষুদ্রতম প্যাঁচা, অদ্ভুত স্বভাবের প্যাঁচা, কিন্তু সবচেয়ে করুন ভাবে মনে দাগ কেটে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাহামু দ্বীপে পাওয়া যাওয়া Bahaman Great Owl, আমাদের জানা মতে উড়তে অক্ষম একমাত্র বিশালদেহী প্যাঁচা কিনা লম্বায় ৩৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হত! ইউরোপিয়ানরা দ্বীপটি আবিষ্কারের পরের সমস্ত জঙ্গল কেটে ফেলে, ফলে বিলুপ্ত হয়ে যায় প্রাণীজগতের এই বিস্ময়টি।

আগে লেখা ব্লগ থেকে একটি কথা পুনরায় লেখলাম-
কদিন আগে একজন বলল এত কিছু থাকতে পেঁচা নিয়ে এত মাতামাতি কেন! তাকে মিনিট দুয়েকের মাঝে কিছু হিসেব করতে বললাম ক্যালকুলেটরে, একটা পেঁচা প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ইঁদুর খায়, বাংলাদেশের এই আগুনমূল্যের বাজারে একটি ইঁদুর কমপক্ষে ১০,০০০ টাকার শস্য ধ্বংস করে থাকে, তাহলে প্রতিবছর একটি পেঁচা ১০,০০০ x ৩৬৫ টাকা রক্ষা করে! আর পেঁচাটি যদি কমপক্ষে ১০ বছর বাঁচে তাহলে কত টাকা রক্ষা করে! সেই জ্ঞানবান ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেছিলাম তাহলে সত্য করে বলুন কে দেশের বেশী উপকারে আসে, একটি পেঁচা না আপনি, আমি! )

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৫ ধরনের প্যাঁচা দেখা গেছে, যার মধ্যে খুড়ুলে-প্যাঁচা এবং লক্ষী-প্যাঁচার দেখা মেলে একটু চেষ্টা করলেই। আর জীবনানন্দ দাশ নামের কবিটি মনে হয় প্যাঁচা নিয়ে সবচেয়ে বিষণ্ণ মুগ্ধতামাখা ধূসর লাইনগুলি লিখে গিয়েছেন তার ধূসরতর পান্ডুলিপিতে, যা নিয়ে আলোচনা আরেক দিন হবে। এখন চিন্তা করছি কাল দুধপুকুরিয়ার বনে যে বিশালদেহী প্যাঁচার জোড়া দেখেছিলাম তাদের পরিচয় নিয়ে, আর আজ সন্ধ্যায় দেখা এশিয়-দাগীপ্যাঁচার মুক্তকণ্ঠের ডাক নিয়ে।

( এই পোস্টটি আমার সমস্ত প্যাঁচা প্রেমী বন্ধুদের জন্য এবং বিশেষ করে তনুশ্রী মজুমদারের জন্য। মনে রেখ বন্ধুরা প্যাঁচা বুনো পাখি, তার কিউটনেসের জন্য তাকে খাঁচায় আটকে পোষার মতিগতি যেন কারো না হয়। )

প্যাঁচা নিয়ে অধমের লেখা আগের কয়েকটি পোষ্ট-

http://www.sachalayatan.com/tareqanu/51948

http://www.sachalayatan.com/tareqanu/53351

http://www.sachalayatan.com/tareqanu/44200

http://www.sachalayatan.com/node/41611

http://www.sachalayatan.com/tareqanu/42478


মন্তব্য

তনুশ্রী  এর ছবি

হাসি

তারেক অণু এর ছবি

প্যাঁচা দেখলে এর মাঝে?

অতিথি লেখক এর ছবি

সন্ধ্যায় যেখানে আড্ডা দিই তার কাছে পিঠেই একটা প্যাঁচা থাকে সম্ভবত লক্ষ্মী প্যাঁচা। মাথার ওপর ওড়াউড়ি করে, আড্ডা দিতে দিতে মাঝে মাঝেই উপরে তাকিয়ে খেয়াল করি তার ওড়ার সময় হলো কিনা। প্যাঁচা নিয়ে আপনার এত পোষ্ট আছে জানতামনাতো। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সোহেল ইমাম

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার দেখিয়েন তো, পারলে বিরক্ত না করে, ফ্ল্যাশ না দিয়ে একটা ছবি তুলে পাঠিয়েন

সাজ্জাদ এর ছবি

লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লাগল ।কয়েক বছর আগে একটি documentary দেখেছিলাম "Nature's Stealth" নামে। সেখানে দেখাল এই দারুন শিকারী পাখী অনেকটা নিঃশব্দে শিকার ধরে। শিকার কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাখীর থাবায় স্থান পায়।

তারেক অণু এর ছবি

সত্য

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ছোটবেলায় আমাদের বাসায় একটা কাজের ছেলে ছিল, কেমন করে জানি কোথা থেকে সে একটা পেঁচা ধরে এনেছিল। দুদিন সেটাকে একটা খাঁচায় রাখা হয়েছিল আমার এবং পাড়ার সকল ছেলেমেয়েদের দেখার জন্য। সে সময়েই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম এই সুন্দর প্রাণীটির।

তারেক অণু এর ছবি

আশা করি, পরে সে ডানা মেলে চলে গেছিল কোন এক বন পাহাড়ে

মন মাঝি এর ছবি

একটা পেঁচা প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ইঁদুর খায়, বাংলাদেশের এই আগুনমূল্যের বাজারে...... কে দেশের বেশী উপকারে আসে, একটি পেঁচা না আপনি, আমি! )

হা হা হা! একটা পেঁচার দাম তাহলে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা?

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

আরও অনেক বেশি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুক্খু পাইলাম। ছবিও নাই জীবনানন্দও নাই অথচ প্যাঁচার গপ্প শেষ হইয়া গেলো

তারেক অণু এর ছবি

সেই গল্প কি আর শেষ হবার!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাঁশপাতা- মরা ঘাস- আকাশের তারা;
বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা;
ধানখেতে- মাঠে
জমিছে ধোঁয়াটে
ধারালো কুয়াশা;
ঘরে গেছে চাষা;
ঝিমায়েছে এ-পৃথিবী-
তবু পাই টের
কার যেন দুটি চোখে নাই এ-ঘুমের
কোনো সাধ।

কলেজেজীবনে পূর্ণিমারাতে এই বাক্যগুলো অবশ করে রাখত।

বহুদিনের প্রতিবেশী পেঁচাটাকে ছেড়ে চলে এলাম গত সপ্তাহে! কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

কে হায়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।