হংসরাজ নদীর পাড়ে ফরেস্টের পরিত্যক্ত টহল ফাঁড়িতে গোসল করার জন্য থেমেও কাদার জন্য নামে না ফটোগ্রাফার দলটি। নৌকায় দাঁড়িয়েই ছবি তুলতে থাকে আইলাঝড়ে ভাঙা গোলপাতার ফরেস্ট ছাউনি আর নদীর পাড়ে কাঁকড়া ধরতে চেষ্টা করা একটা সাদা বিড়ালের। বিড়ালটাকে হয়ত বসতির অংশ বানিয়ে লোকালয় থেকে কেউ ছাউনিতে এনেছিল কিন্তু ছাউনি ছাড়ার সময় আর ফিরিয়ে নেয়ার কথা মনে হয়নি কারো। ছাউনি ভেঙে গেলেও বিড়ালটা তার কাছাকাছি এই আশায় হয়ত থাকে
আমি আসলে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে তাল মেলাতে পারিনা, কোনটা কখন লিখবেন বুঝিনা, ভাবলাম এই শেষ কিন্তু দেখা গেলো পরের পর্বে আরো চমক, বাদ দিই সেসব, আমি আমার নিজের মত চলি, তবে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে একটু হলেও তাল মিলিয়ে।
এবারের পর্বে প্রথমেই কিছু কিছু চরিত্রের সাথে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।
ছবি-১। ডাকাত ডাকাত চেহারার এ লোকটার নাম এমদাদ হোসেন, বন বিভাগের প্রহরী, বাঘ কাটা ডোম, ক্যামেরা প...
ছবিতে কোন একটা ভ্রমনের বিবরন দিতে গেলে পোস্টের আকার অনেক বড় হয়ে যায়। আমাদের মতন অভাগা কানেকশন দিয়ে তাই মজাটা ঠিক ধরে নেয়া যায় না। একারনেই দ্বিতীয়দিনের ছবিগুলো দুইভাগে পোস্ট করলাম। এখন দেখবেন দ্বিতীয় ভাগ।
সুন্দরবনের নৈসর্গিক দৃশ্য কমবেশী সব জায়গায় একই রকম, কটকায় ছবি তুলে যদি বলেন বুড়িগোয়ালীনীতে তুলেছেন তাতে আমাদের মত নবিস চোখে সত্যতা যাচাইয়ের উপায় নেই।
ছবি-১
নীচের ছবিটা একজ...
এইবার আমি ধরা। ছবি দিতে হইলে পু্রো ক্যামেরা উজার করে দিতে হবে, কিন্তু রাতের ছবি নাই। তিন টাকার কলমে রাতের যে বিবরণ তাতে হতাশ হবার মত যথেষ্ঠ কারন আছে। পুরো চিত্র ফুটাইতে পারেন নাই বা ইচ্ছাকৃত ভাবে দ্যান নাই। কোন এক সচলাড্ডায় হয়তো সেই ঝাঁপি খুলবে।
যাহোক দ্বিতীয় দিনই মুলত আমাদের ছবি তোলার দিন, একেক জন ২/৩শ (!) করে ছবি তুলেছেন (আমার ধারনা আরো বেশী)। আমি ছবি দিচ্ছি এখানে দু ভাগ করে, প্রথম ...
সাপের লেখা আর বাঘের দেখা কপালে থাকতে হয়। যে আগে দেখে টিকে যায় সে আর তার কামড়ে মারা যায় অন্যজন। এটাই সুন্দরবনের নিয়ম
গাঁজাভর্তি বিড়িতে আগুন ধরিয়ে ছোট্ট মাছধরা নৌকার বৈঠা হাতে নিয়ে হাসে আব্দুল ওহাব সরকার- মানুষও তালি কামড়ায়। ...কামড়ায়ইতো। সাপে-বাঘে কামড়ায় দাঁতে আর মানুষ কামড়ায় হাতে; কত কিসিমের দাঁত যে গজায় মানুষের হাতে...
নজরুল ভায়ের লেখার সাথে তাল মেলানো মুশকীল, লোকটা দুই হাতে লিখতে পারে। আমার ছবি প্রসেস করতে সময় লাগে, তার সাথে আছে জিও ট্যাগিং, ইদানীং প্রায় সব ছবিতেই জিও ট্যাগিং করে দিই, ফ্লিকারে যখন ছবি দেখেন তখন ডানদিকের কলামে ম্যাপ বলে একটা লিঙ্ক পাবেন, সেখানে ক্লিক করলে ছবিটা যেখানে তোলা সে জায়গাটা দেখা যায়। সেটাই জিও ট্যাগিং। নীচে প্রথম দিনের ম্যাপ দিলাম।
আপনারা নজরুল ভায়ের লেখায় ইতিমধ্যে...
এর আগে জেনেছেন আমরা সুন্দরবন গিয়েছিলাম, ইতিমধ্যেই নজরুল ভাই ধারাবাহিক শুরু করে দিয়েছেন, আমিও দিলাম, কিন্তু তফাৎ হলো আমি শুধু ছবি দিব। নীচের ছবি গুলো প্রথম দিনের।
ঢাকা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত বাসে এসে মুন্সিগঞ্জের নীলডুমুর ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত আমাদের বাহন ছিল ৮ সীটের মাইক্রো, ড্রাইভার সহ আমরা ছিলাম ১০জন একটু চাপাচাপি হলেও স্ফুর্তি কারো কম ছিলো না। সামনের সীটে আমি আর ড্রাইভার, মা...
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-২
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-১
সুন্দরবনের নাম এলেই অবধারিত ভাবেই কটকা, শরনখোলা আর দুবলার চরের নাম চলে আসে। আমি কটকা গিয়েছিলাম ২০০৭ এর অক্টোবরের আঠারোয়, উনিশ তারিখ ভোরে ঘুম ভাংলে লঞ্চের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি এক অদ্ভুত দৃশ্য, এত সুন্দর মেঘ অনেকদিন দেখিনি, মূহুর্তেই ভুলে গেলাম এই কটকাতেই এই নদীর পাড়েই কিছুদিন আগে গোসল সারতে যেয়ে চোরাবালিতে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে...