সাম্প্রতিককালে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর হবার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এই ঘটনার ব্যাপারে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হয় ও গৃহীত হয়। পাকিস্তান সরকারের এই নজীরবিহীন পদক্ষেপ বাংলাদেশে সর্বস্তরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে এই সময়ে নানা আলোচনায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পাকিস্তানী পণ্য বর্জনের ডাক এসেছে। এর আগে বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক ফেলানী হত্যাকাণ্ডের সময়ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক এসেছিল। সাময়িকভাবে সেই ডাকে কিছুটা সাড়া পড়লেও আখেরে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যে সেই ডাকের কোন ছাপ পড়েনি।
কোন দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে নানা ধরনের কাজ করে থাকে। এর মধ্যে সবার উপরে থাকে ভাস্কর্য তৈরি। জার্মানী ও রাশিয়ার রাস্তায় এ ধরনের ভাস্কর্য অনেক বেশি করেই চোঁখে পড়ে। রাস্তায় রাস্তায় বীরদের বীরত্ব আর দেশের ইতিহাসের কাহিনী। সেদিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল। সে সময় অনেকের চোঁখে দেশকে নতুন করে গড়ার চিন্তা থাকলেও কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন। যাদের চিন্তা ভাবনায় থাকত কিভাবে স্মৃতিকে সমুজ্জল করা যায়। জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত তেমনি একটি ভাস্কর্য।মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর। এ স্মৃতিসৌধটি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।
ওস্তাদজী-কে চা দেয়া হয়েছে। সাথে কয়েকটা বিস্কিট। তিনি শিক্ষার্থীর সুর সাধনা শোনার ফাঁকে ফাঁকে চায়ে চুমুক দিলেন বটে, কিন্তু বিস্কিট গুলো ছুঁয়েও দেখলেন না। যাবার সময় ছাত্রীকে বললেন; শুভ একটা কাগজ দাও। ওস্তাদজী কাগজ হাতে পেয়ে তার ভেতর বিস্কিট গুলো মুড়িয়ে নিলেন, রুমালে পয়সা বাঁধার মতো খুব যত্নে। মুখে একটা সহজ ভাব এনে বললেন; আমার মেয়েটার জন্য নিয়ে যাই, ও খুব খুশী হবে।
"আই স্পিড অন ইউর গ্রেইভ" এই নামে হলিউডে একাধিক মুভি তৈরী হয়েছে। ধর্ষকের কি ধরনের শাস্তি হতে পারে, এই মুভিগুলোতে পরিচালক অত্যান্ত নিখোঁত ভাবে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমাদের দেশের কিছু ঘটনার পর, পত্রিকায় কিছু কিছু খবর পড়ার পর আমার বার বার ঐ ছবিগুলোর কথা মনে পড়ে। কেন যেন মনে হয় ঐসব ছবিগুলোর মতো কিছু কিছু অন্যায়ের বিরল শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে অনেক ভালো হত।
এস. এস. সি. পরীক্ষার প্রথম দিন হল পরিদর্শক আর এক ছেলের কথোপকথন।
পরিদর্শক: এই ছেলে আজকে বাংলা পরীক্ষা আর তুমি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ইংরেজী লিখে যাচ্ছ কেন?
পরীক্ষার্থী: স্যার ইংরেজী একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে ইংরেজীর ...
পরিদর্শক: (আরো দুই পৃষ্ঠা পিছনে গিয়ে) হায় হায়! ব্যাংয়ের প্রজননতন্ত্র আঁকলা কেন? তুমি সায়েন্সের? বায়োলজি আছে?
[left]একটি গল্প দিয়ে শুরু করি...
বছর পনের আগের কথা। তখনও অনেক ছোট আমি, ক্লাস সেভেন কি এইট এ পড়ি। সেই সময়ে প্রতিদিন গভীর আগ্রহে সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতাম, কখন আব্বা অফিস শেষে বাসায় ফিরবে। প্রতি রাতে খাবার পরে আব্বা আমাদের তিন ভাই বোন কে নিয়ে গোল হয়ে বসতেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ,কখনো বা নিছক রুপকথা,গল্প বলার ফাঁকে ফাঁকে নানান রকম দুষ্টুমি ও করতেন, আবার মাঝে মাঝে নিজ থেকেই যুদ্ধের দিনগুলোর গল্প বলতে থাকতেন...সেই সময় আমার ছোট ভাই আবিরের বয়স হবে বছর তিনেক/চারেক।
হাসপাতালটার ঠিক উল্টোদিকেই অনেকগুলো দোকান, বেশিরভাগই খাবারের। দোকানগুলোর বৈচিত্রও চোখে পড়ার মতো – একটা ঝকঝকে চেহারার দামি ফাস্ট ফুডের দোকান, গোটা দুয়েক মাঝারিমানের হোটেল, আর একদম বামদিকের কোনায় একটা খুপড়িঘরে চায়ের দোকান। বোঝাই যায় যে হাসপাতালটা থাকার কারনেই এখানে এতগুলো দোকান গজিয়ে উঠেছে, এবং সবকয়টাই মোটামুটি ভালো চলে। বিশেষ করে এই শেষ বিকালের সময়টাতে চায়ের দোকানের ভিড়টা বেশ ভালোই জমে উঠেছে।
ক্লাসে ফার্স্ট হয়েও কখনো ফার্স্ট হবার মর্যাদা উপভোগ করতে পারিনি, নতুন বছরের শুরুতে নতুন ক্লাসের রোলকলে নিজের নাম শুনার জন্য ক্লাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাদে বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে থাকা হয়েছে, বছর বছর স্কুলও পাল্টে যেতো। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি, উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলায় থাকি। প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেতাম, স্কুলের পাঠ শেষে ছয় বা আট ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাসায় ফির