-আঁকারটুন
আমি শোষকের বংশধর, তাই চিরকালই শোষকের পক্ষে। জাতিসংঘের কোন অধিকার সনদ আমার জন্য প্রযোজ্য নয় কেননা আমি জন্মসুত্রে অধিকার প্রাপ্ত রক্তশোষক। আমার চৌদ্দ পুরুষ এমনকি চৌদ্দ লক্ষ কোটি পুরুষও রক্তশোষকই ছিল। আমাদের জাতিগত নিয়ম হলো - যেখানে জন্মাইবে সেখানকার সম্ভাব্য সকল প্রাণীর রক্ত শোষণ করিয়া মৃত্যুবরণ করিবে। জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমাদেরকে সংক্ষিপ্ত শিক্ষা সফরে নিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয় আমাদের অধিকারের সীমান
ভটভট শব্দ করতে করতে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে আমাদের স্টীমার ওয়াইও নদীর বুক চিরে। কোন অত্যাধুনিক জলযান নয়, সেই ১৯শতকের শুরুর দিকে ব্যবহৃত স্টীমইঞ্জিন চালিত প্যাডল হুইলবিশিষ্ট স্টিমবোটেরই এক নব অনুরূপ । কিন্তু একি স্টেয়ারিং হুইল এ কার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন ? স্বয়ং এই নাদানের হাতে! নিজেকে ত পপাই দা সেইলরম্যান মনে হচ্ছে! শুধু মুখে পাইপ আর নাবিকদের টুপিটাই পড়া বাকি। কিন্তু সাথে স্পিনাচ না থাকায় সেই বিশাল কাঠের স্টিয়ারিংটাকে ফ্যানের মত ঘুরান্তি দিতে পারলাম না। সত্যি বলতে গেলে দুহাতে খুব জোর দিয়ে স্টিয়ারিং কিছুটা ঘুরিয়ে সামান্য ডানে-বায়ে করতে পারলাম স্টীমারটাকে। ঠিকমত এগিয়ে নিতে পারবো তো ?
ছবিঃ ব্লেনারহ্যাসেট ম্যানসন।
পুণে শহরে জলাভাব বরাবরই। সেই কবে ব্রিটিশরা এসে খড়গওয়াসলা বাঁধ ও জলাধার বানিয়েছিল, সেই জলাধারই বহুবছর পুণের মানুষজনকে গৃহস্থালীর কাজকর্ম ও খাবার জলের যোগান দিয়ে গেছে। তারপর আস্তে আস্তে এলো পানশেত, পওনা, মুলশি, কাসারসাই ইত্যাদি জলাধারগুলো। যতবেশী জায়গা জুড়ে তোলা জল নল বেয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছাতে লাগল ততই মানুষের থেকে দূরে সরতে লাগল মুঠাই, নীরা, মুলা নদীরা।
[justify]রৌদ্রজ্জ্বল একটি দিন, একপাশে সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাস্তা, অন্যপাশে বিস্তীর্ণ সৈকত ছুয়ে নীলে রঙের সাত আটটা শেড তৈরি করতে করতে সমুদ্র মিশেছে গাড় নীল দিগন্তে। ভয়ংকর সুন্দর বুঝি একেই বলে!
[justify]বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ’৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান হাবিব রুমনের “[url=https://www.prothomalo.com/opinion/article/1598125/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0...
[justify]১০৬ মিলিয়ন বছর আগেকার কথা,। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের অটওয়ে সমুদ্রতট। সেসময় এই উপকূলের তাপমাত্রা আজকের চেয়ে অনেক কম, কারন অস্ট্রেলিয়া ছিল এন্টার্কটিক সাইকেলের ভেতরে। সুবিস্তীর্ণ সমুদ্রের সুনীল জলরাশি নিরন্তর আছড়ে পড়ছে অনাদিকালের নিরবতা কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে। যেন প্রতিমুহূর্তে সগৌরবে মহা কালকে মুচকি হেসে বলছেঃ "তুমি একাই প্রাচীন নও, হিসেব করে দেখো, আমিও ছিলাম; আছি; আর থ
নদীতে নতুন পানি এসেছে। বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলে সে পানি। তার মধ্য দিয়ে ভেসে যায় কত কি? জমাট বাধা খড়ের টুকরো। বিচ্ছিন্ন কচুরিপানা। নোংরা পলিথিনের ব্যাগ। গাছের গুড়ি। আর- আর সে।
সে ভেসে যায়। নাল্লাপাড়ার বাজারের ব্রিজের নীচ দিয়ে। মসৃণ গতিতে। পানিতে মাথা ডুবিয়ে মাছ খোজা কোন শিকারী পানকৌড়ির মতো।
১
একটা গাধা হাসতে খেলতে নাচতে নাচতে এক নতুন জঙ্গলে এসে পড়ে। মনে তার দারুণ ফুর্তি। এ জঙ্গলে কত নতুন ধরণের গাছ, লম্বা লম্বা ঘাস। আনন্দে গাধা – ‘ইঁইইই অঁঅঅঅ, ইঁইইই অঁঅঅঅ!’ আওয়াজে গান গেয়ে নেয় কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ডুবিয়ে লম্বা রসালো ঘাস খেতে মনযোগী হয়।
পশ্চিম ইউরোপের বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে দীর্ঘ স্রোতস্বিনী রাইন। রাইনের পূর্ব তীরে ছবির মত ছিমছাম পরিপাটি এক দেশ। প্রায় পনেরশ বছর আগে পাহাড়ের মাঝের এই বিচ্ছিন্ন ভু-খন্ডে থিতু হতে আসা আলেমানি গোষ্ঠীর বংশ ধারা বয়ে এসেছে এদেশের অধিবাসীদের মাঝে। যদি ‘এক দেশে ছিল এক রাজা, রানী, রাজ পুত্র আর তাদের প্রজাকুল’ এভাবে শুরু করতে পারতাম তবে যথার্থ হত। সুবিশাল আল্পস পর্বতমালার একাংশ গভীর আলিঙ্গনে ঘিরে রেখেছে রু