আমার অফিসে স্যান্ড্রা নামে একজন মহিলা ছিলেন। তিনি অনেক উঁচু পদে ছিলেন। বিচিত্র এক কারণে তিনি সবার পিছনে লাগতেন। যাদের পেছনে লাগতেন তারা কেউই তার সমতুল্য না, মানে অফিসে চুনোপুঁটিদের তিনি নানান ঝামেলাতে ফেলতেন। আমরা কুমির কুমির খেলার মতো স্যান্ড্রা থেকে যতদূরের সম্ভব তত দূরেই থাকতাম। কিন্তু একবার আমি ঝামেলাতে পড়ে গেলাম। স্যান্ড্রা আমার উপর ক্ষেপে গেলেন।
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ একটি বই পড়ার পর আমার কাছে যা মনে হয় পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আমি তা অকপটে লেখার চেষ্টা করি। বইয়ের বেচাবিক্রির কথা বিবেচনা করে বা অতিসংবেদনশীল পাঠকের অনুভূতি বিচার করে ‘বাকিটুকু রূপালী পর্দায় দেখুন’ ধাঁচের প্রতিক্রিয়া লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়; অমন কিছু লেখার ইচ্ছাও নেই। সুতরাং যারা স্পয়লারের ভয়ে রিভিউ পড়তে আগ্রহী নন্ তাদের পক্ষে এই পোস্টে না ঢোকাই শ্রেয়।]
(এই লেখাটি আইজাক আসিমভের একটি প্রবন্ধ থেকে অনুবাদ করা। ১৯৫৯ সালে লেখা এই রচনাটি একটি সরকারী গবেষণার নির্দেশিকা হিসেবে লিখিত হয়ে ছিল। লেখক এইখানে বৈজ্ঞানিক নতুন সৃষ্টি এবং এর পেছনে প্রয়োজনীয় চিন্তার জন্যে আদর্শ পারিপার্শ্বিকতার কথা বলেছেন। লেখাটি অনেক বছর অপ্রকাশিত অবস্থায় রয়ে গিয়েছিল লেখকের এক বন্ধুর কাছে। তারপরে এটি প্রকাশিত হয় এমআইটি টেকনলজি রিভিউতে।
ঘন্টা দেড়েক হয় গরম জলে ডুবে আছি।
আলো-আঁধারি ঘর, মৃদু লয়ে একটা সুর বাজছে কোথাও, জানালার গোড়ার খিলানটা স্পাইডার প্লান্ট আর আইভি গাছে ভর্তি। জলাধারের একপাশে আমার সঙ্গীর জন্য একটা চেয়ার। সাথে লাগোয়া একটা ছোট টেবিলে ট্রে-তে সাজানো ঠান্ডা জল আর ফলের রস।
হ্যানার কথার মতোই শান্ত কোনো স্নেহ যেন মিশে আছে এ ঘরের গাছ গুলোয়, আইভির সুবাসে, আমার স্নানের ঊষ্ণ জলাধারে ।
মনে হয় সব মানুষের জীবনেই একটা সময় আসে যখন, যে কাজ তার ধ্যান-জ্ঞান, নেশার মতো । যা নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকলেও উৎসাহের কোন ঘাটতি হয় না, সেই ভালোলাগার ক্ষেত্রতেও বিতৃষ্ণা ভর করে। তাৎপর্যহীন জীবনে যে কর্মক্ষেত্রকে আলিঙ্গন করে নিজের জীবনকে অর্থবহ করে তোলার চেষ্টা করা হয়, সে ক্ষেত্রটাই হয়ে ওঠে অসহনীয়। এরকম অবস্থা থেকে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ? কিভাবে ফিরে পাওয়া যায় সেই পুরোনো ভালো লাগার অনুভূতিটাকে ?
রিচার্ড ফাইনম্যান। আইনেস্টাইনের পরপরি যাঁকে এই দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদার্থবিদ বলে ধারণা করা হয়। জীবনের একটা পর্যায় এসে তিনিও বিতৃষ্ণ হয়ে গিয়েছিলেন পদার্থবিদ্যার গবেষনায়। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, একটা টলমলে পিরিচ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল তার প্রায় হারাতে বসা কর্মজীবন। কি হয়েছিলো আসলে ? তাঁর রেখে যাওয়া জীবনালেখ্য থেকে জানা যাক ঘটনাটা -
ছবিঃ পিরিচের টালমাটাল অবস্থার ডায়াগ্রাম । বৃত্তগুলো দিয়ে কক্ষপথ বোঝানো হয়েছে। কালো বিন্দুগুলো টালমাটাল কক্ষপথের ছেদ। (সূত্রঃ [১])
কয়েক বছর আগে গ্রামের রাস্তায় উল্টাদিক থেকে আসা একটা গরুকে বাঁচাতে গিয়ে গর্তে পড়ে যাই। শুনেছিলাম— আমার বোন বলছিল— রাস্তাটা গাড়ি চলার মতো বড় হয়েছে।
দশ।।
শমশের খাঁর শরীর ভালো নেই। দুপুরে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাবার পর থেকে পেটের ভেতর ভুটভাট শব্দ হচ্ছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বুক থেকে গলা অবধি তীব্র একটা জ্বলুনি। স্ত্রী সুরজাহান একবার মিনমিন করে জিগ্যেস করেছিলেন বুকে গরম তেল মালিশ করে দেবেন কিনা। শুনেই তাঁর মেজাজটা ভাদ্র মাসের শুকনো বিলে লাফাতে থাকা কই মাছের মতো খলবল করে উঠলো। এই মহিলার কি কোনই মায়া দয়া নেই? কতোবার বলেছেন তরকারিতে ঝালটা একটু কম দিতে, কিন্তু কে শোনে কার কথা! মাছের ঝোল রাঁধতে গেলে সুরজাহান বেগমের আর হুশ থাকে না। আর রান্নাটাও এমন স্বাদের হয় যে গলা পর্যন্ত না খেয়ে ওঠে আসা মুশকিল। বুক জ্বালিয়ে দিয়ে এখন এসেছে তেল মালিশ করতে! মেজাজ কিছুটা ঠাণ্ডা হবার পর কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক দিলেন,
পদার্থ বিজ্ঞানে ফি বছর নোবেল প্রাইজ দেয়ার রেওয়াজটা শুরু সেই ১৯০১ সাল থেকে, তারপর একে একে ২০৯ জন পদার্থবিদ বিজ্ঞানের এই সর্বোচ্চ পুরষ্কার প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন । এই বিরল সম্মানার্থীদের তালিকা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ত্বত্তীয় পদার্থবিদদের চেয়ে গবেষক পদার্থবিদরাই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে। এ যাবত নোবেল প্রাপ্ত পদার্থবিদদের মোট ৭১.৩% গবেষক পদার্থবিদ, আর বাকিরা ত
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস।দুপুর থেকে সবার মন উড়ুউড়ু করে।অফিসের কাজের চাপ একটু কম থাকলে অনেকেই আগে আগে বাসার দিকে ছুট লাগান। পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে একটু বেশি সময় কাটানোর আশায়।কিন্তু অজানাকে জানা ই যাদের একমাত্র তৃষ্ণা, জ্ঞান চর্চাই তাদের মনের খোরাক জোগাবে তাতে আর আশ্চর্য কি!
(এই লেখাটির শুরু সচল এস এম মাহবুব মুর্শেদ-এর পোস্ট ‘বড় বনাম ছোট প্রতিষ্ঠান: একটি সাবজেক্টিভ তুলনা’-তে করা আমার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। আমার মন্তব্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের বেসরকারি চাকুরি নিয়ে বিধায় সেটি নিয়ে বর্ধিত আলোচনা ঐ পোস্টে দেবার পরিবর্তে একটি ভিন্ন পোস্ট হিসাবে দিলাম। এতে কোন প্রকার বিধি লঙ্ঘিত হলে তা জানানোর জন্য পাঠকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকলো। বিধি লঙ্ঘনের আপত্তি উত্থাপিত হলে পোস্টটি অনতিবিলম্বে মুছে ফেলা হবে।)