আজ হাওয়ার মাঝে ছড়িয়ে আছে শুকনা মরিচডলা
ছাগলশালার আগলখোলা পাগল পেছনজ্বলা
-আঁকারটুন
আমি একজন ধূমপান ত্যাগী মানুষ। জানি ধূমপান ত্যাগ করা খুব সহজ, আমি ছাড়াও আরও অনেক মানুষ প্রতিনিয়তই ধূমপান ত্যাগ করছেন, অনেকে জীবনে বহুবার ধূমপান ত্যাগ করেছেন। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়াটা কোন ব্যাপার নয়, বহু মানুষ হরদম এই কাজ করছেন এবং খুব তাড়াতাড়ি আবার ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে ধূমপান ত্যাগ করতে পারাটা একটা ব্যাপার, আমি সেই বিশেষ কাজটা করতে পেরেছি বিধায় বিষয়টা আপনাদের সাথে কিঞ্চিৎ
বাপরে!
কোরো নাকো অবহেলা
প্রকৃতির চাপ রে।।
............
এইতো!
এতোদিনে এলে তুমি
ঠিক পথে, সেই তো।
গলছে দখিন মেরু
উত্তরও উষ্ণ
প্রকৃতি পুলিশ নয়
খায় না সে ঘুষ, নো!
বাড়ছে ধূসর মরু
মানুষের স্বার্থে
সবুজ উজাড় হলে
টিকবে কে আর্থে!
পোড়ে তেল ওড়ে ছাই
কল কারখানাতে
বাঁচবে কোথায় গেলে
বৈরুত! ঘানাতে?
নদীর পানিতে বিষ
মাছ নেই সাগরে
প্রলয় ঘনায় বলে!
এইবার জাগো রে
মাত্র ২৭ বছর বয়সে কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া জেন, তারপরো আরো আবিস্কার উপহার দিয়েছেন। শিম্পাঞ্জীরা নিরীহ নিরামিষভোজী বলে আমাদের যে ধারনা ছিলো সেটাকে ভুল প্রমান করেছেন। তারা সর্বভোজী, আমাদের মতই। আর দূঃখজনকভাবে যুদ্ধবাজ। সেই ২২ বছর বয়সে, প্রবল উৎসাহ নিয়ে জেন যখন এস এস কেনিয়া ক্যাসেল-এ উঠেছিলো কেনিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ী দেবার জন্য, সে জানত না তার কাজ একদিন শুধু শিম্পাঞ্জীদের সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে না, উপরোন্তু, প্রাণীর চেতনার জটিলতা সম্পর্কেও আমাদের ধারণা লাভ করতে একদিন সাহায্য করবে।
ছবিঃ ন্যাট জিও-তে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের তুলনায় সর্বাধিকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জেন গুডালের কর্মজীবনের উপর।
খনাকে নিয়ে বহুদিন থেকে কৌতূহল। সেই ছোটোবেলা থেকে খনার বচন আর খনার বিষয়ে নানারকম কিংবদন্তী শোনার সময় থেকেই। খনার বচন নামে প্রচলিত ছোটো ছোটো দ্বিপদী কবিতা, যা নাকি আবহাওয়া, চাষবাস, শুভযাত্রার গণনা ইত্যাদি নানাধরণের ব্যাপারের সঙ্গে জড়িত, সেই দ্বিপদীগুলো খুব চমৎকার লাগতো।
[মুখপাঠ: এটি চট্টগ্রামের ইতিহাস বিষয়ক একটি প্রশ্নবোধক পোস্ট। চট্টগ্রামের ইতিহাসটা বাংলার মূল ইতিহাস থেকে একটু আলাদা এবং গোলমেলে। আদিকাল থেকেই চট্টগ্রাম বাংলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্নভাবে শাসিত হয়েছে বিভিন্ন পরদেশী শাসকদের হাতে। হাজার বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রাম বহুবার শাসিত/দলিত/মথিত হয়েছে আরাকান, ত্রিপুরা, সুলতান, পাঠান, মোগল ইংরেজ ইত্যাদি নানান শক্তির হাতে। গত ৫০০ বছরের শাসনকালের মধ্যে ষোড়শ শতকের প্রায় পুরোটা চট্টগ্রাম নিয়ে ত্রিমুখী কাড়াকাড়িটা এত বাড়াবাড়ি ছিল যে এই অঞ্চলটা কখন কার দখলে কতদিন ছিল কেউ শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেননি। এর মধ্যে সবচেয়ে অস্পষ্ট সময়কালটা হলো ১৫৪০-১৫৮৬। এই সময়টাতে বারবার হাতবদল হয়েছে চট্টগ্রাম। একের পর এক আরাকান, পাঠান ও ত্রিপুরার মধ্যে যে বিচিত্র রকমের যুদ্ধ বিগ্রহ হয়েছে সেই ইতিহাসের সত্যিকারের চেহারাটা খুঁজে বের করা পাঠকের জন্য দুরূহ কাজ। শুধু পাঠকই নন গবেষকরা ও বিভ্রান্ত। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদদের দেয়া তথ্যের মধ্যেও প্রচুর ফারাক দেখা যায়। তাই এই সময়কালকে অস্পষ্ট বা বিভ্রান্তিকর সময় মনে হয়েছে আমার। তবে আমার বিশ্বাস এখানে কেউ না কেউ এই বিপুলায়তনের প্রশ্নবোধক লেখাটি পড়ে কোথাও কোথাও আলোর নিশানা দিতে পারবেন। লেখার মধ্যে তথ্য বিভ্রাট থাকলে সেটি শোধরানোর পরামর্শ দিতে পারেন। তাহলে তা হবে পোস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।]
অন্তর্জাল ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ করেই হোঁচট খেলাম এক পুরোনো বিজ্ঞান সাময়িকীতে। কলকাতায় ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়েছিলো বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ নামে এক বিজ্ঞান সচেতনতা প্রচার ও প্রসার বিষয়ক সংগঠন। প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি নিয়ে চমৎকার সব প্রবন্ধ রয়েছে এতে, যদিও কালের আবর্তে তথ্যগুলো এখন আর তেমন সময়োপযোগী নয়। কিন্তু বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর এই ছোট্ট পুনঃপ্রকাশিত লেখাটা এখনো তাঁর আবেদন হারায়নি বলেই আমার বিশ্বাস। কবি এবং বিজ্ঞানীর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে তিনি যে সামঞ্জস্যতা দেখাতে চেয়েছেন তা আমার মনে হয় সবার কাছেই খুবি চমৎকার একটা পর্যবেক্ষন হিসেবে পরিগণিত হবে। সেই সাথে এই দুই ধারাকে সবসময় আলাদা করে দেখার যে সংস্কৃতি আছে সেটাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় বৈকি। চলুন পড়ে দেখা যাক -
কবিতা ও বিজ্ঞান
- জগদীশচন্দ্র বসু (জ্ঞান ও বিজ্ঞান । ৩২ তম বর্ষ। পঞ্চম সংখ্যা। মেঃ ১৯৭৯)
শীত চলে যাচ্ছে। দিন লম্বা হচ্ছে, রোদ উঠছে নিয়মিত তবু ঠান্ডা কমছে না। কারণ তীব্র বাতাস। সকালে উঠেই সেই বাতাসের আক্রমনে পড়লাম বাপ ছেলেতে। আবহাওয়া নিয়ে বাবাইর নিজের অনেক মতামত আছে। সিরি নামের এক মহিলার সাথে তার ব্যাপক খাতির। ওর কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করে তারপর নিজের মতামত যোগ করে। বেশিরভাগ সময় সেগুলো ঠিক হয়। মাঝে মাঝে বাঙ্গাল সূলভ বেশি কথা যদিও বলে, আমিও বাঙ্গাল সূলভ পিতাভাব ধরে সেগুলো এড়িয়ে যাই। গাড়িতে উঠতে উঠতে বলে, বাবা আজকে অনেক মেঘ হবে। ঝুম ঝুমায়া মেঘ পড়বে। তুফানও হবে। ওর কথা সত্যি হয়ে যায় মিনিট কয়েকের মাঝে। চারদিক ঝাপসা করে আসে, সাথে ঝড়ো বাতাস। বাবাই বলে, দেখলায়তো বাবা আমার কথা সত্যি হলো। আমি বলি, হু, তুমি হইলা আবহাওয়াবাবা। মাথায় একটা পাগড়ি বাইন্ধা দেই...