প্রথমে ফেসবুকে, পরে ঢাকা ট্রিবিউন মারফৎ জানা গেল ইশ্টিশন ব্লগ নাকি দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ থেকে। মজার বিষয় হল পত্রপত্রিকা কিংবা ব্লগের পাতায় এইটা নিয়ে তেমন একটা টু শব্দ নাই।
বীর জনতা চেচামেচি ছাড়া ভাত খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারে সেইটা দেখতেও বেশ লাগছে! একটা ডাইক্লোফেনাক খেয়ে আমিও ঘুমাতে যাই।
http://www.dhakatribune.com/bangladesh/2016/09/26/istishon-blog-blocked-bangladesh-users/
পেনাং যেতে লেগেছিল পৌনে পাঁচ ঘন্টা। ফিরবার সময় ঘন্টা পাচেক চেষ্টা করে অর্ধেক রাস্তাও এগুনো গেল না। ছয় লেনের মহাসড়কে সুদীর্ঘ যানযট। গাড়ির গতি মন্থরতর হতে হতে এক পর্যায়ে থেমেই গেল। ফোন থেকে মুখ তুলে হঠাৎ মাশীদ বললো, আনিস ভাই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দেখেছো? ক্যানসার..
[justify]গ্রাম বাংলার হাট বাজারের টং ঘর থেকে শুরু করে ইট পাথরের খাঁচায় ঢাকা পড়া মহানগরীর আনাচে কানাচের মুদি দোকান- সর্বত্রই একটি পচনশীল ফল সম্মুখে ধাবমান জনসমুদ্রের দিকে নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে অপেক্ষায় থাকে সম্ভাব্য কোন ক্ষুধার্ত পথিকের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই হয়তো এসে দোকানিকে বাড়তি ব্যস্ততায় না ফেলে নিজের প্রয়োজন মতো সংখ্যায় সেই ফ
২৮ শে মে,২০১৬, কার্গিল, রাত ন’টা
তারিখটা দেখার জন্য মোবাইলের পর্দার দিকে চোখ রাখতে হল। অবশ্য এমনটাই তো হওয়ার কথা। স্বপ্নের ভ্রমণে কে আর খামখা তারিখ নিয়ে মাথা ঘামাতে যায়। এমনিতে কাজের দিনগুলোতে প্রাত্যহিকটার সওয়ারী হয়ে আসে একের পর এক তারিখ। সপ্তাহ। মাস। বছর। সাধারণত একটি তারিখ আরেকটির নির্মম পুনরাবৃত্তি হয় বেশীরভাগ সময়। শুধু হেডলাইনগুলো পালটে যায় নিজের মত করে।
আমাদের মায়ের মাঝে কোনো রহস্য ছিল না। মা ছিলেন সাদামাটা চেহারার বৈচিত্র্যহীন একজন মানুষ। মায়ের পরনে বরাবরই আটপৌড়ে পোশাক। ঘরে বা বাইরে বেরোলেও মায়ের পরনে মাড়হীন জংলি ফুলের নরম শাড়ি থাকতো। সাথে থাকতো কালো রঙের কুঁচি দেয়া বোরকা। সুতি শাড়ির বদলে কখনো জর্জেট বা সিল্ক নতুবা শাড়ির বদলে কামিজ বা ম্যাক্সি পরাও দেখিনি মাকে। মায়ের তোলা শাড়িগুলো আলমারি থেকে বের হতো কদাচিত। কোথায়ই বা যাবে মা?
গুলবদন রান্নাঘর থেকে খরচের তীরটা ছুঁড়ে দিয়ে জানালো, পেঁয়াজ নাই, পেঁয়াজ আনতে হবে।
দূর থেকে তীরটাকে আসতে দেখে পেয়ারালী লুঙিতে গিঁট দিয়ে গাঁট হয়ে বসলো। তীরটাকে খপ করে ধরে আবার জায়গামতন ফেরত পাঠাতে হবে। পকেটে একটা টাকাও নাই। কাল রাতে চাল ডাল তরকারি কিনে সব শেষ। পেঁয়াজের কথা মনে ছিল না। তবে লুঙ্গির গোপন খুপরিতে ১০০ টাকার একটা নোট লুকিয়ে আছে, সেটা আরো মহা কোন বিপদের জন্য। তরকারীতে পেঁয়াজ না খেলে কিছু এসে যায় না। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেবও বলতেন - পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তো কি হইছে, পেঁয়াজ না খাইলে কিতা অয়?
বুকের উত্তাপে রেখে দেওয়া সুখ-দুঃখের ফর্দখানা উল্টেপাল্টে দেখে নিয়ে ওরা প্রত্যেকে এক একটা নতুন গল্প বলবে বলে ঠিক করে। তারা, মানিক, মিতু, সবুজ আর তিতির। ওদের বয়স বাইশ-তেইশ বা মাস দুয়েক কম বেশি। এই বয়সে গল্প বা কল্পগল্প বলতে কাউকে ঠেলাঠেলি করতে হয় না। বরং কথার তোড় বন্ধ করতে মিনতি করা লাগে। তবে হার্ড পয়েন্টের আজকের পরিবেশটাই অদ্ভুত। মায়াময়। ধীরে ধীরে সূর্য জলস্নানে নেমে পড়ছে।