কাসেল: বদ্দার বাড়ীতে নুন বাড়ন্ত

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ০২/০৯/২০০৯ - ১:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বদ্দার বিরিয়ানীর নাম দুনিয়া বিস্তৃত। সেই বিরিয়ানী জন্যে স্বর্গে যেতেও রাজী। ওনিও নাকি মাঝে মাঝে সামান্য উদ্বৃত্ত থাকলে ওখানেও সাপ্লাই করেন। নরকে সাপ্লাই করায় তার কোন আগ্রহ নেই। নরকের বাসিন্দাদের যে এই মহাভোগ হালাল নয়, সেটা বদ্দাও জানেন। কাসেল তো আর নরক নয়, তাই বিরিয়ানীর আশা সেখানে জাগ্রত। ভোররাতে উঠে পুতুল ভাইকে বগলদাবা করে ছুটলাম চারশোআশি কিলোমিটারের পথ পেরোতে। চোখ রাজ্যের ঘুম থাকলেও, একটি বিষয় ভোলার পাত্র পুতুল নন। তাই বোতল বিশেক বাভারিয়ান বিয়ার বগলদাবা করে গাড়ীতে চড়লেন। ওনার চোখে ঘুম দেখে আমারও ঘুম পেয়ে গেলো। কিন্তু ঘুমালে চলবে কি করে? যে গতিতে গাড়ী চলে, মুহুর্তের মাঝেই নরকে চলে যেতে পারি। নরকে বিরিয়ানী বাড়ন্ত, তাই মনের ভেতরে তাড়া থাকলেও সাবধানেই স্ট্রিয়ারিং ধরলাম।

শনিবার দুপুরে পৌঁছেই শুনি, বিরানী তো দূরের কথা, একমাত্র অচ্ছুত বলাই ছাড়া সবাই নাকি রোজদার। শুনে টাসকি লাগলো, মনও খাবাপ হলো। বিয়ারের বোতল গাড়ীর ভেতরে লুকোনো ছিল, লুকানোই রইলো। সবার সাথে আমি আর পুতুল দুজনেই বাধ্য হয়ে সেদিন রোজদারদের দেলেই যোগ দিলাম। আসার পথে সকাল সাড়ে এগারোটায় যে “বার্গার কিং”এ সেহরী সেরে নিয়েছি, সেটাই উদরে সারাদিনের সঙ্গী হয়ে রইল। একটু পরই হল্যান্ড থেকে এলেন গোলাপী বোরকায় আবৃত তানভীরা, দুলাল, আর দুর্দান্ত আর তার সহধর্মিনী। আর তাদের সাথে তাদের কন্যাসন্তানরা। তারাও নাকি রোজদার। শুইন্না শরম পাইলেও পূলকিত হইলাম। এইটুকু পোলাপানেরা বোজা রাখে, শুইন্না তো পুলকিত না হইলে হাশরের ময়দানে কি করুম! তারপর ক্রিকেট খেলা নিয়ে যা ঘটলো, তার বর্ননা তো অচ্ছুত বলাইয়ের লেখনীতেই জানেন। মেজাজ খারাপ আছিল, বাড়ি যা দিছি, লাইগ্গা গেছিল।

দিনশেষে বলাই-গিন্নী ইফতার আর খাবারের ব্যাবস্থা করলেন। এরপর বসলো ওয়াজ-মহফিল। বাংলাদেশ থেকে নামকরা এক ওয়াজী-হুজুর (থুড়ি: কুকুর) কে ইউ-টিউবে চড়িয়ে কাসেলে এনেছেন বলাই। সেই হুজুরের কুকুরীয় বয়ান শুনে বেশ পূন্যার্জন করলাম সবাই মিলে। মনে হলো নাজী জমানা থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তেমন বেশী নয়। এত পূন্য অর্জন করলাম সবাই মিলে যে, সেই পূন্যের জোরে সেহরী না খেয়েই রোজা রাখলাম পরদিন।

পরদিন কাসেলের সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে ক্ষিদে পেয়ে গোলো। ধুসর গোধুলি সাতার জানেনা দেখে পানিতেই নামলে না। পানিতে না নেমে, গা না ভিজিয়ে এদিক সেদিক আচমকা ফিল্ডিং মেরে কোন কাজ হয় নাকি? চার ঘন্টা ফিল্ডিংএর পর বিকিনি বালিকারা ধুগোর দিকে মাঝে মাঝে তাকালো বটে, কিন্তু চোখ ফিরিয়ে নিতেও দেরী করলো না। সে সুযোগটা নিল হিমু। পানিতে নেমে ভুড়ি চিতিয়ে যেরকম নাচানাচি করলো, তাতে আমাদের টাসকি লাগলেও অনেকেরই ভালো লেগে গেলো। সেখানেই এক ভুড়িওয়ালী বিকিনি বালিকার সাথে তার পরিচয় ও আমাদের সবার আলো্চনায় বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে যায়। দেখেশুনে বদ্দার আনন্দ দেখে কে! ক’দিন আগে নিজে বিয়ে করে একটু একাই হয়ে গিয়েছিল। এইবার সুথ দু:খের কখার জন্যে আরেকজনকে পাবে। সে আনন্দে সবাই রবিবার দূপুরে রোজা ভেঙ্গে তার স্পেশাল বিরিয়ানী খেতেও রাজী হয়ে গেলাম।

আহা বদ্দার বিরিয়ানী! অফিসে বইসা এখনও লোল পড়তাছে। বহুত মজাদার হইছিল। তবে একটা বড় সমস্যা পার হইতে হইছে। মনে হইলে এখনও ঘাম ছোটে শরীরে। বদ্দার বাড়ীতে হাড়ি, খুন্তি, তেল, গোশত, মশলা, সাবান, বালতি থাকলেও নুন ছিল না। তার সমাধান করলো চাল্লু হাসিব। সে আরেকর ধুসরকে ইনিয়ে বিনিয়ে হিমুর বিয়ের খবরটি মনে করিয়ে দিল। হিমু বউ পায়, ধুগো পায় না! আহা কি কষ্ট! ধুসর গোধুলির যে কান্দন! কান্দন আর কান্দন! পাষানের মন গললেও আমাদের গললো না। তার কান্দন থামানোর চেষ্টা করলাম না কেউ। নইলে বিরিয়ানীর নুন পেতাম কোথায়! সেজন্যে ধুসরকে আবারো ধন্যবাদ জানাই!


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

আস্তে আস্তে বহুত কিছু বায়রায় আইতেছে । আল্টিমেটলি পাবলিকের মুখ বন্ধ রাখা যাবে না ।

তানবীরা এর ছবি

সবার একটা করে পোষ্ট দেয়ার কথা, তোমারটা কোথায় ?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মেজাজ খারাপ আছিল, বাড়ি যা দিছি, লাইগ্গা গেছিল।

হা হা হা! হিমুর কপালটাই খারাপ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তানবীরা এর ছবি

একমাত্র অচ্ছুত বলাই ছাড়া সবাই নাকি রোজদার। শুনে টাসকি লাগলো,

এটা ব্যাপক।

তীরুদা, বাবুল নামের কেউ সেখানে ছিল নাকি, উনি কে ?

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তীরন্দাজ এর ছবি

গোলাপী বোরখা দেখে যদি ভয়ে বাবলু কে বাবুল বানিয়ে ফেলি, সেটা কি আমার দোষ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার এই কমেন্ট পড়ে দুলাল ভাই মেট্রিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়া হাজির হবেন পত্রপাঠ। নিজের নামের সত্যাসত্য প্রমাণ করার জন্য। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তীরন্দাজ এর ছবি

দানে দানে তিন দান! এইবার ঠিক করলাম। এতো সত্যে মধ্যে একটা মিথ্যা থাকলে ভালো লাগে না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এবার দ্বিতীয়বার বিভ্রান্ত হওয়ার পালা। তীরু ভাই, কার পোস্ট সঠিক আপনারটা না হিমুরটা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিমুর পোস্ট সঠিক ভাবার কোনো কারণ নাই গো পিপিদা। এই ব্যাটা আস্ত একটা ফ্যাসিস্ট। কিছু কইলেই কয়, অতিথি বানায়া দিবো! মন খারাপ

সাধে কি আর দলে দলে পাবলিক তারে ইমপিচ মারার দাবী জানাইছে! এমনকি দুর্দান্ত'দার ছোট বাবুটাও "ইমপিচ, ইমপিচ" বলে মিছিল শুরু করে দিছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হায় হায় বলেন কি? অতিথি হলে খাইবেন কী? মন্তব্য করবেন কেমনে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেইজন্যই তো কিছু বলি না। ভয়ে তীরুদাও কিছু বলেন নাই। তাঁর হাত থেকে নাকি তীর-ধনুক কেড়ে নিয়ে একটা থ্রিনটথ্রি রাইফেল ধরায়ে দিয়ে "অতিথি গোলন্দাজ" বানায়া দিবে! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তীরন্দাজ এর ছবি

কাসেলের সমুদ্র যেমন ঠিক, আমারটা তেমনি ঠিক!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তানবীরা এর ছবি

আমি সাক্ষী, ঠিক, ঠিক ঠিক
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মুস্তাফিজ এর ছবি

বদ্দার বিরিয়ানী খাইতে মঞ্চায়

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দোহাই আপনার, এই কথা ভরা মজলিশে বইলেন না মুস্তাফিজ ভাই। বদ্দা খালি রান্ধে। তার আগে তার সব যোগাড় যন্তর করতে যোগালী হিসাবে হিমু আর আমারে তার খুবই পছন্দ। হিমু যোগালীগিরিতেও আমার লগে মডুগিরি করে। কয়, তার কথা না শুনলে নাকি আমারে "অতিথি গোধূলি" বানায়া দিবে। এই হুমকি দিয়া আমারে দিয়া কী না করাইছে! নিজে ট্রিপল এক্সেল সাইজের পেঁয়াজ বগলদাবা করে আমারে দিছে টুনিটেক সাইজের পেঁয়াজ কাটতে। তার লগে আবার নানাবিধ ইন্সট্রাকশন, কেমনে কাটিলে কী হৈবে! আদা রসুন হাম্বলদিস্তায় আমারে দিয়া ডলাইছে। তার এহেন ফ্যাসিবাদী আচরণে আমি বাধ্য হয়া কাটাকুটি থাইকা 'সিক লিভ' নিয়া বলাই'দার লগে ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু করছি। ঐখানে আইসাও শান্তি দেয় নাই। কয়, যা তেহারি 'লাইড়া' দিয়া আয়! বলাই'দা যেই না কইলো, আরে পুলাডা অসুস্থ, ইট্টু ক্ষ্যামা দ্যাও। অমনি বলাই'দারে সে হুমকি দিছে, "তাইলে আপনেরেও "অতিথি বলাই" করে দেওয়া হবে"! এরপর অবশ্য বলাই'দাও পার্টি চেঞ্জ করে ফেলছে! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

হা হা হা হা
অনেক মজা পাইলাম

ঢাকায় আসেন আমিই বিরিয়ানী খাওয়ামুনে।

...........................
Every Picture Tells a Story

তীরন্দাজ এর ছবি

জানুয়ারীর শেষে ঢাকায় আসছি। বিরিয়ানী খাওয়াবেন?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তীরন্দাজ এর ছবি

চেত ক্যান! দেয় নাই বইলাইতো চাইলাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

দুর্দান্ত এর ছবি

এমনিতেই সুমনের চ্যাম্পিয়ান রান্না, তার অপর ধুগোর উপর্যুপরি লাড়ায় কাঁচামরিসগুলা যেমুন 'বাইঙ্গা বাইঙ্গা' গেছিলো, আহ! হেই বেহেস্‌তি ঝালের কথা মনে হইলে আমার লান্চের পরে রাখা লুজা মাফ্রুহ অবার পারে। তয় আমি দুই সুডু লুকমার বেশী বাগে পাই নাই, তাই পুরা গটনা কইতার্তাম্না।
--
@ধুগো, গতরে বেশী ব্যাদনা করলে এইদিকে আইসা পড়। ইয়েলোগাইড খুঁইজা রটারডামের চ্যাম্পিয়ান মালিশওয়ালীরে এত্তেলা দিয়া রাখি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রোযা রমজানের দিন মালিশওয়ালীর লোভ দেখান? আপনে লুক ভালু না, আপনে ঈমানদারের ঈমানি শক্তিরে চ্যালেঞ্জ করেন!

আইজকা খোয়াবে দেখলাম কবিরাজ ইয়া বড় এক সিরিঞ্জ লৈয়া আমারে কৈতাছে, "গতরে চর্বি হৈছে? লাইন ছাইড়া বেলাইন হইছোস তো এইটা দ্যাখ, খবরই আছে তোর চান্দু!" আমার মালিশওয়ালী লাগবো না গো দুর্দান্ত'দা। আমি ইঞ্জেকশনরে বড়ই ডরাই! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুর্দান্ত এর ছবি

ডুপ্লিকেট ঘ্যাচাং

দুর্দান্ত এর ছবি

স্বপ্নে সিরিন্জ হাতে কবিরাজরে দেখসো নাকি ট্রেনের সেই বালিকারে? বোগদাদী খাবনামায় চেক করতো, তোমার মত সুপার ফিট যোয়ানমর্দের আতিক্কা স্বপ্নে সিরিন্জ দেখলে হায়াত থাকে না নাকি যায়?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বালিকারে দেখলে তো এতোক্ষণে খুশিতে বগল বাজাইতাম! আপসুস, সেই কপাল কি আর আমার আছে? চউক্ষে পানি আয়া পড়লো! মন খারাপ

আর হায়াতের কথা কন? সেই তো কবে থেকেই এক্স অক্ষের বাম দিকে চলতাছে হায়াতের রেখা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আসল কাহিনীতো বুঝতাছি না! একেকজন একেকভাবে কইতাছে!

------------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ধুগোদার ভার্সনটা কবে আইবো!!??
--------------------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধুগোদার ভার্সনটা কবে আইবো!!??

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। যে য্যাম্নেই বলুক না কেন, সব কাহিনীই মজার লাগতেসে। দেখা যাক, বাকি কাহিনীগুলাও আসুক। তারপর না হয় গোয়েন্দা লাগানো যাবে কারটা সঠিক খাইছে

কিন্তু ছবি কই? চিন্তিত

তীরন্দাজ এর ছবি

কাসেলের সমুদ্রের ফটুক হিমু তুলছে। হিমুরে কন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

হায় ভগবান ........., এই পবিত্র মাসে এত মিথ্যাচার... অনাচার ......!!!!
এই লোকগুলার কলমের কালি শেষ কইরা দাও...... নইলে আমারে অক্ষরজ্ঞান-শুন্য কানা কইরা দাও......

আমিন ! ! !

দুলাল।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মজারু হৈছে তীরুদা'।

লোল-নুন আমাদেরও ঝরে এখানে পোড়াদেশে ব'সে, এইসব গল্প শুনে। মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তীরন্দাজ এর ছবি

একেক জায়গায় একেক রকম আনন্দ। ঢাকায় যখন ভাই-বোন, ভাগ্নে ভাগ্নীরা সবাই মিলে আড্ডায় বসে, তখন আবার আ´মি হিংসে করি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ভুতুম এর ছবি

বিরানী খাইতে মন্চায়। মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

তীরন্দাজ এর ছবি

আইসা পড়েন, খাওয়ামু!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আচ্ছা, বিরানীর একটা ছবি ব্লগ ছাড়েন কেউ... তারপর অন্য আলাপ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

মজা লইলাম

কীর্তিনাশা এর ছবি

আইজকা ইফতার ফখরুদ্দীনের বিরানী দিয়াই করুম ঠিক করছি। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

তীরুদা'রে বহুত দিন পর পাইলাম। কেমন আছেন?

লেখা জম্পেশ হইছে। চালিয়ে যান।

তীরন্দাজ এর ছবি

ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন? ইদানীং আবার লেখা শুরু করতে পেরেছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তীরুদারে বিরানীর দাওয়াত দিলে তীরুদা বাভারিয়ান বিয়ার নিয়া আসে... এইটা জানলাম... মনে থাকবো চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি

সেই হুজুরের কুকুরীয় বয়ান শুনে বেশ পূন্যার্জন করলাম সবাই মিলে। মনে হলো নাজী জমানা থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তেমন বেশী নয় হি হি হি। তয় বিরানী বিরানী কইরা রোজাডা ভাঙ্গাইবেন দেখছি ( কৃত্রিম )।
*********************************************
আমার আত্মা বোমায় দু'হাত উড়ে যাওয়া কোনো আফগান শিশুকন্যা।

*********************************************

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এরকম গ্যাঞ্জাম আবারো হবে। বর্তমান দশক শেষ হওয়ার আগেই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা সময়ে ঢাকায় ডজন ডজন সচল/হাচল/অচল থাকতেন। তখন তারা প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট আকারের আড্ডায় বসতেন। বছরে চার-পাঁচটা বড় আকারের মজমা অবধারিত ছিল। এখন নানা কারণে লোকজনের সংখ্যা কমেছে সরল ধারায় আর আড্ডা কমেছে গুনোত্তর ধারায়। গত পাঁচ/ছয় বছরে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টেছে অকল্পনীয় ভাবে। তার প্রভাব পড়েছে আড্ডায়, আলোচনায়, লেখায়। দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পরিস্থিতি বিভিন্ন রকমের, সেটা নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব না।

এই দমবন্ধকরা অবস্থা থেকে বের হবার জন্য এমন গ্যাঞ্জাম করা দরকার - দেশে, দেশের বাইরে। যত দ্রুত সম্ভব।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।