একটু ভেবে দেখবেন

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ২৪/০২/২০১০ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর দশেক আগে আমি সাপ্তাহিক "যায় যায় দিনে" একটা ই-মেল লিখেছিলাম ওদের ক্রমবর্ধমান বিএনপি প্রীতি দেখে। আমার চিঠির বংগানুবাদ ইমেল এড্রেস সহ ছাপা হওয়ার পরে আমি গোটা বিশেক ইমেল পাই...এর মধ্যে গোটা উনিশেক ছাপার অযোগ্য...একমাত্র ছাপার যোগ্য মেইলটা ছিল এরকম...

আপনি হয়ত জানেন না যে শেখ মুজিব হিন্দু ছিল। মুসলমান পরিবার তাকে দত্তক নিলেও তার মুসলমানি হয়নি। আপনার চিঠিতে যে আওয়ামী গন্ধ আছে তা থেকে বোঝা যায় যে, আপনারও মুসলমানি হয়নি...আওয়ামি লীগ আপনাকে টাকা খাওয়ালেও আমাদের যাদের ঈমান আছে তারা কখন আত্মা বেচবে না লীগের কাছে।

আশাকরি আপনারা বাকি উনিশটা ই-মেলের অবস্থা বুঝতে পারছেন।

এবার আমি আমার বক্তব্যে আসি, আমি মডারেশনে বিশ্বাস করি, বাধাহীন কলম দিলে সেটা অনেক সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। অসির চেয়ে মসি বেশি শক্তিশালী, কিন্তু আমরা মসিকে প্রায় অসির মতই ধারালো করে রাখি এবং যথাস্থানে গুতো মারি সময়ে অসময়ে। সুতরাং সচলের কঠোর মডারেশন পলিসি আসলে বেশ উপকারি একটা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করার জন্য। আজকের কাগজের নাঈমুল ইসলাম খানকে পাঠকের সাথে দ্বিমুখী সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রতিটা নিউজের শেষে কমেন্টের ব্যবস্থা করেছেন, গিয়ে দেখুন কেমন মিনিংলেস অশ্লীল কমেন্ট।

আমি গত কয়েকদিনে বেশ কিছু পুরানো বন্ধুকে আমার ব্লগের লিংক দিয়েছি। এদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যাঁরা নিজেরাও ভালো লিখেন, জড়তার ভারে আজকাল লেখালেখি থেকে দূরে। আমার উদ্দেশ্য তাঁদেরকে আবারো ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে লেখাতে নিয়োজিত করা। দুঃখজনকভাবে উনার যখন সচলভ্রমণ করছিলেন, তখনই “কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না। (৫ম- পর্ব)” নিয়ে কমেন্ট চালাচালি চলছিল। লেখার চেয়ে এই কমেন্টগুলোর গুঁতোই বেশি খেয়েছেন তাঁরা, আমার এমনই ধারণা হয়েছে।

জনাব কামরুজ্জামান স্বাধীনের লেখার মান নিয়ে সংশয় থাকতে পারে, ওটার মডারেশন পার হওয়া উচিত কি, উচিত না, এটা নিয়ে অনেক মতামত থাকতে পারে, কিন্তু উনাকে আপনারা যদি এভাবে ছিলে দেন, তার প্রভাবটা যে নীরব পাঠকের উপরও পড়ছে, সেটা আশাকরি বুঝতে পারবেন। আমার বন্ধুরা অনেকেই জানেন যে, এই সাইটের সাথে বুয়েটের অনেকেই যুক্ত, যাঁরা আমাদের চেয়ে অন্তত ৮/১০ বছরের জুনিয়র। এই অচেনা অনুজ প্রতিমদের প্রতি আমরা দারুন শ্রদ্ধাশীল, এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা মুখের কথা নয়, কিন্তু তারপরও আমি যদি বন্ধুদের লিখতে বলি, প্রথম প্রতিক্রিয়া হবে, “দোস্ত আমারে যদি ধুইয়া দেয়...”

আমি স্বস্তির শ্বাস ফেলেছি যে, “কিছু টুকরো স্মৃতি-যা কখনো ভুলা যায় না। (৫ম- পর্ব)” কমেন্ট বন্ধ হয়েছে, ওটা ভালো কোন উদাহরণ হচ্ছিল না। সবাইকে একটা অনুরোধ, নিজের ভেতরের মডারেটরটাকে একবার জিজ্ঞেস করুন, যে মন্তব্যটা অন্যকে দিচ্ছি, সেটা নিজের কাছে ফেরত এলে কেমন লাগবে?

####


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

একটু বিবেকের পার্ট প্লে করলাম...আশাকরি সবাই বুঝবেন ব্যাপারটা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

চলুক
লেখার মান বিচারের দায়িত্ব মডুদের, মন্তব্যের দায়ভার আমাদের সবার...
নিক বির্তকের অবসান চাই কেবল!
ভাইয়াকে ধন্যবাদ, পোস্টের জন্য!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাসনীম ভাই, ব্যতিক্রমকে কখনো উদাহরণ ধরে নেয়া ঠিক না, উচিৎও না।

তবে আমি এটাও বলবো না যে ঐ পোস্টে বা ঐ লেখকের অন্য পোস্টে আপত্তিকর যেসব মন্তব্য আছে/হয়েছে সেগুলো একেবারেই জায়েজ! আশার কথা হলো, একদম শুরু থেকেই কিন্তু মন্তব্যের এই হাল হয়নি। তারপরেও কোনো ধরণের আক্রমণাত্বক মন্তব্য সচলে কাম্য হওয়ার কথা না।

আপনার বন্ধুদেরকে লিখতে বলুন নিঃসঙ্কোচে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তাসনীম এর ছবি

একদম ঠিক।

সমস্য হচ্ছে ভাই যে মাঝে মাঝে পড়তে আসে সেতো জানবে না কোনটা ব্যতিক্রম আর কোনটা উদাহরণ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক সচলের সাথে ওনার এক ধরনের খুনসুটির সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল বোধহয়। সেজন্য কিছু মন্তব্য বেলাইনে চলে গিয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই ওভাবে বলা সমর্থন করিনা। তবে ওনার মোটামুটি মানসম্পন্ন (আমি মানের বিচার করতে পারবোনা) লেখা ছাপা হোক সেটা আমি চাই।

মডুরা কমেন্ট নেয়া বন্ধ করেছে, ভালো করেছে। তবে আমাদের উচিত একটু রয়েসয়ে মন্তব্য করা। কারণ সচলায়তনের একটা সুনাম আছে যে এখানে সুন্দর একটা পরিবেশ আছে। সেই পরিবেশটা তেমন রাখার দায়িত্ব আমাদের সবারই।

ইদানিং লক্ষ্য করছি প্রিয় এক সচল আরেক প্রিয় সচলকে কোমল/কঠিন উচ্চারণ নিয়ে ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করছেন। যেটা আমাকে আহত করছে। জানিনা তারাও খুনসুটি করছে কিনা। খুনসুটি করে থাকলে ভালো, না হলে তেমনটা না করাই ভালো।

হাসি

হিমু এর ছবি

আমরা যারা সচলে লিখি, তারা রিডারশিপের আয়তনটা ঠিক ঠাহর করতে পারি না। প্রতিদিন সর্বনিম্ন দেড় হাজার ইউনিক ভিজিট হয় সচলে। বাংলাদেশে এক আইপি বহু ইউজার ব্যবহার করেন, কাজেই যদি গড়ে একটি আইপির পেছনে দু'জন ভিজিটরকেও কল্পনা করি আমরা, তাহলেও প্রতিদিন তিন হাজার ভিজিটর আসেন সচলে [আরো বেশিও হতে পারে]। একটি পিসি থেকে কেবল একজনই পড়েন না, প্রায়ই দেখা গেছে পরিবারের সদস্যরাও পড়েন। যদি পরিবারের দু'জন সদস্যের কথাও ভাবি, ছয় হাজার মানুষ প্রত্যেকদিন সচল অনুসরণ করছেন। খুব একটা কম নয়।

আমাদের অনেকেই মাঝে মাঝে অফসাইড হয়ে যাই। বাকিরা কিন্তু পতাকা তুলে দেখাতে পারি। নাহলে বল নিয়ে ঠেলেগুঁতিয়ে কে কোথায় চলে যাই কোনো ঠিক নাই।

সচলদের কাছে অনুরোধ থাকবে, অতিথিদের জন্যে দৃষ্টান্ত হিসেবে উৎকৃষ্ট মানের লেখা লিখবার। অতিথিদের কাছে অনুরোধ থাকবে সেসব লেখাকে ছাপিয়ে আরো ভালো লেখা সচলে পোস্ট করার। মডারেটরদের কাছে অনুরোধ থাকবে অযথা গড় মানের চেয়ে নিচে কোনো লেখা প্রকাশ না করার। কদাচিৎ সেরকম ঘটলেও, বাকিরা সেই ভুল মডারেটর এবং লেখককে এমনভাবে ধরিয়ে দিন যাতে লেখাটা আক্রান্ত হয়, লেখক নন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হিমু একটু কনাজারভেটিভ এস্টিমেট দিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২২৫০ থেকে ২৫০০ এর মত ভিজিট হয়। কোন কোন দিন ৩৫০০ পর্যন্ত যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রত্যেকে গড়ে সাড়ে পাঁচ পাতা পড়েন। অর্থাৎ ২২৫০ × ৫.৫ = সাড়ে বারো হাজার পাতা পড়া হয় প্রতিদিন। ২০:২৫ মিনিট করে একেকজন সময় দেন সর্বমোট ৭৬৯ ঘন্টা। শতকরা ৫০% লোক দিনে একবারের বেশী ফিরে আসেন সচলায়তনে।

সুতরাং গুরুত্বটা কম নয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার লেখা---

কারো একজনের আসলে এইরকম একটা লেখা দেবার খুব দরকার ছিল।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের লেখার ভক্ত আমি হয়ত নই, কিন্তু তাঁকে নিয়ে অযথা টানাটানি করা, হয়রানি করার কোন মানে দেখি না। আমি দেখেছি অনেকেই তার লেখার ভঙ্গী নিয়ে রসিকতা করেন। তার বানান ভুল ধরা, তাকে নানান প্রসঙ্গে উতোর-চাপান দেয়া--অনেকের কাছেই নিশ্চয় মজাদার একটা খেলা।

কিন্তু আমার মনে হয় এই লোকটার তথাকথিত সমস্ত 'হাস্যকর' সাহিত্য-চেষ্টা নিয়ে একঘেয়ে মজা না করে, তার চেষ্টাটার আমরা সম্মান দেবার প্রয়াস নিতে পারি।

আমি তাঁর লেখা খুব একটা বেশি পড়িনি। এমনকি যে লেখাটা নিয়ে এখানে কথা বলা হচ্ছে, সেইটেও আমার পড়া হয় নি। কিন্তু তাঁর লেখা অল্প কিছু পড়ার পর আমার পর্যবেক্ষন হল, এই লোকটা নিরাশ হয় না। এখানের গৎ বাঁধা তিরস্কারের স্রোতের মুখে সে ঘাড় গোঁজ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ঝড়-ঝাপ্টা থামলে, আবার বেরিয়ে পড়ে নতুন লেখার খোঁজে। সবাই শুরু থেকেই দুর্দান্ত লিখতে পারেন না। আমাদের অনেককেই অনেক সাধনা করে হয়ত মান সম্পন্ন লেখা দেবার মত পরিস্থিতিতে আসতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের শুরুর দিকের সেই দূর্বল, অশক্ত লেখাগুলো নিয়ে যদি এইরকম 'উচ্ছ্বসিত' নির্মম মন্তব্যরাশির মুখোমুখি হতে হত----আমি নিশ্চিত নই ঠিক কত জন শেষ পর্যন্ত লেখালেখি চালিয়ে নিতে পারতেন।

কামরুজ্জামান টিকে আছেন এখনো। তার ভাল কিছু লেখার চেষ্টা অব্যাহত আছে এখনো।

আর কিছু না হোক, তার এই হার-না-মানা প্রত্যয়টার সাধুবাদ তো আমরা জানাতে পারি, তার হতোদ্যম না হবার প্রায়-অমানুষিক ক্ষমতাটার প্রশংসা তো করতে পারি----

আমাদের সাথের এক সহযোদ্ধার জন্যে এইটুকু চাওয়া নিশ্চয়ি বেশি কিছু নয়---

শুভেচ্ছা নিরন্তর

বর্ষা এর ছবি

অনিকেতদা, মন্তব্য না করে পারলাম না। প্রথমেই লেখককে ধন্যবাদ আমাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবার জন্য। সাম্প্রতিক দুটি পোষ্টে হয়তো পাঠকরা তার প্রতি একটু বেশী কঠোর মন্তব্য করে ফেলেছেন।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের লেখার মান নিয়ে কথা বলবো না, কারণ এই অধিকার আমার নেই। তবে ওনার লেখার ধরণ দেখে ওনাকে খুব সরল-সোজা, হার-না-মানা মানুষ মনে করেছিলাম প্রথমে---- আপনার মতো।

অনেকদিন ধরেই ওনার প্রতিমন্তব্যের ধরণ দেখে আমার ভুল ভেঙ্গেছে। নিজের পোষ্টে উনি বেশ হিংস্রভাবেই পাঠকদের আক্রমণ করে প্রতিমন্তব্য দেন।। যারা তার ভুল ধরিয়ে দেন, তাদের লেখার কোনো ভুল পেলেই মন্তব্য রেখে আসেন। এই প্রতিহিংসার প্রবনতা কিন্তু ঠিক গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। দুর্বল মানুষ মাত্রই ভালো মানুষ নাই হতে পারে।

উনি পাঠককে উপেক্ষা করেন, করুন। এটা তার মর্জি। তাই বানান ভুল, লেখার মান উন্নত করার চেষ্টা উনি নাই করতে পারেন বা এটা তার ক্ষমতার বাইরে হতেই পারে। কিন্তু বিনয়ের ছলে পাঠককে আক্রমণ করা, অযথা মিথ্যা বলা, নিপীড়িতের ভূমিকায় নিজেকে বসিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা অনেক চোখে লাগে। আমার স্পষ্ট মনে আছে একজন হয়তো (মনে হয় হিমু) তাকে দলছুট বলে চিনে ফেলেছিলো, সে খুব সরল সরল ভাব নিয়ে উত্তর দিয়েছিলো আপনি কি বলছেন বুঝতে পারছিনা।এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে।
*****************************************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কৌতুহল থেকে প্রশ্ন - ছদ্মনামধারী কোনো ব্লগার যদি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান - সেটা কি যে কোনো লেখকের অধিকার নয়? তাহলে তাকে চিনে ফেলে তার পরিচয় ফলাও করে প্রচার করা বা কেন তার পরিচয় প্রকাশ আমার কাছে করলো না এর জের ধরে তার প্রতি পোস্টে পদে পদে কথা শোনানোর ব্যাপারটা কেমন?

দুই দিনের বৈরাগী হলেও এটা জানি অন্য পোস্টের বা কমেন্টের জের জিইয়ে রাখা কিন্তু কোনো সুস্থ ব্লগিং-এর উদাহরণ হলো না। এক হাতে তালি বাজে না - খুব সত্য কথা - কিন্তু এও কিন্তু ঠিক আপনাকে বাসায় নিয়ে এসে পাইকারী হারে "ভিলেজ ইডিয়ট" বলে আখ্যা দিতে থাকলে কেউ অবিরাম "জ্বি আচ্ছা" বলবে না - রবার্ট ব্রুসও না। এটা বন্ধের ইমিডিয়েট পথ - হয় পোস্টের মান রাতারাতি জাতে উঠে যাওয়া বা মডুদের ঘুম থেকে জেগে ওঠা; প্রতি পোস্টে অমার্জিত ব্যবহার নয় - সেটা যে পক্ষ থেকেই হোক।

বর্ষা এর ছবি

ওয়াইল্ড-স্কোপ, আমি আপনার সাথে পুরো একমত। অনিকেতদা, একটা বিষয় মিস করছিলেন, আমি সেইটা শুধু ধরিয়ে দিলাম।

দলছুট আমি সচলে আসার আগে থেকেই লেখেন। আপনি একটু সার্চ করে দেখুন ওনাকে প্রথম থেকেই কি পাইকারী হারে "ভিলেজ ইডিয়ট" বলা হয়েছে না কি। উনি দলছুট নাম দিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা দিয়ে সবার গঠণমূলক সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে যখন আরেক নিকে লেখা শুরু করেন এবং লেখার মাঝে উল্লেখ করেন যে উনি নতুন তাই সবাইকে তার ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন, তখন কিন্তু আর লেখকের অধিকার থাকে না পাঠকের সাথে ছলনা হয়ে যায়।

আমি বলছিনা তার সাথে সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলোতে যা করা হয়েছে তা ঠিক। তবে পুরো ব্যাপারটায় লেখক, মন্তব্যকারী, মডারেটর, পাঠক সবাই সমান ভাবেই দায়ী।
****************************************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তাসনীম এর ছবি

আমি বলছিনা তার সাথে সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলোতে যা করা হয়েছে তা ঠিক। তবে পুরো ব্যাপারটায় লেখক, মন্তব্যকারী, মডারেটর, পাঠক সবাই সমান ভাবেই দায়ী।

সহমত। আমার এই লেখা সবার জন্যই। লেখকের কমেন্টও খুব ডিসেন্ট ছিল না। মডারেটরা ভুলটা প্রথমে করেছেন লেখাগুলো ছেপে, আর বাকি ভুলগুলো আমরা সবাই করেছি।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সচল জাহিদ এর ছবি

তাসনীম ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত জ্ঞাপণ করছি। এর আগে কামরুজ্জামান স্বাধীনের লেখাতেও রাফি ও অন্যরা এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। আশা করি সচলে এইসব কিছুর অবসান হবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হরফ এর ছবি

তাসনীম এবং আর সব সচল একটা প্রশ্ন করি আপনাদের
"আপনি হয়ত জানেন না যে শেখ মুজিব হিন্দু ছিল। মুসলমান পরিবার তাকে দত্তক নিলেও তার মুসলমানি হয়নি। আপনার চিঠিতে যে আওয়ামী গন্ধ আছে তা থেকে বোঝা যায় যে, আপনারও মুসলমানি হয়নি"

এর উত্তরে যদি কেঊ বলে "তো, তাতে কী এসে যায় মিঞা?" বা "অ-মুসলিমদের কি প্রতিবাদের অধিকার নেই?". তাহলে কি repercussion হ'বে?

তাসনীম এর ছবি

এটা আমাদের অসহিষ্ণুতার উদাহরণ হিসাবে দেওয়া, আপনার জবাবটাই ন্যায্য...কি repercussion হবে এটা না ভাবলেও চলে।

এধরনের লোক সব দেশে আছে, জন ম্যাককেইনকে এক জনসভায় একজন ক্রুদ্ধ লোক জিজ্ঞেস করেছিল, ওবামা মুসলমান কিনা? ম্যাককেইন "না বোধক" উওর দেওয়ায় মিডিয়ার তার সমালোচনা হয়েছিল কেননা ঠিক উত্তরটা হবে ওবামা মুসলমান নন, কিন্তু হলেও কিছু যায় আসে না।

ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তাসনীম ভাই, আপনার পোস্টের সাথে একমত, কিন্তু একটা কথা কি স্বীকার করবেন? কতদূর পর্যন্ত আপনারা সীমারেখা ধরবেন? আজকে একজন জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে রঙ তামাশা করছে, এরপরে একদিন আমাদের ভাষা নিয়ে করবে না? আর যদি বলেন, যার যা মনে আসে বলুক, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। আমার মন্তব্য ছাপার অযোগ্য ছিল, এ ব্যাপারে আমারো কোন মতবিরোধ নেই, কিন্তু এরপরে লেখক এসে যেভাবে সাফাই গাইতে থাকলেন যেন উনি যেটা করেছেন, সেটাই ঠিক। এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।

আর হ্যাঁ, আমার মন্তব্যের জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী সচলের কাছে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সচল জাহিদ এর ছবি

সাইফ আমার মনে হয় এক্ষেত্রে একটি পথ হতে পারে এরকমঃ কোন পোষ্টে আপত্তিকর কথা বা লেখা থাকলে সেটা মন্তব্যে যুক্তিসহ প্রতিবাদ জানিয়ে একই সাথে মডারেটরদেরকে ইমেইল করে জানানো।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এই বুদ্ধিটা ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ জাহিদ ভাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তাসনীম এর ছবি

সাইফ ভাই, আমার এই লেখাটা কিন্তু কাউকে টার্গেট করে লেখা না।

আপনি যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, সেটা আমি বুঝতে পারি এবং সেটা পুরোই ন্যায্য।

কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা সম্পুর্ণ সমর্থন যোগ্য নয়। লেখকের পালটা মন্তব্যটাও সমর্থন যোগ্য নয়। কিন্তু একটা জিনিস এখানে লক্ষ্য করতে হবে, লেখক কিন্তু অতিথি লেখক, উনার কমেন্ট এবং লেখা মডারেট হয়ে আসে,পক্ষান্তরে আপনারটা আসে সরাসরি।

আমার লেখাটা যাঁরা এই প্রিভিলেজটা পান তাঁদের সবার জন্য (আমি সহ), আমরা অনেক সময় ভুলে যাই অনেকেই দেখছে আমাদের, সবাই
কিন্ত সরব নন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এই প্রিভিলেজ তো কেউ কাউকে দিয়ে যায়নি, অর্জন করেই নিয়েছেন সবাই, ঠিক বললাম? তবে এটা ঠিক শালীনতার সীমা এসব যুক্তির বাইরে না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা, ভাইয়া। পূর্ণ সহমত।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার কিছু কথা ছিল:

কারো লেখা ভাল লাগলে মন্তব্য করা হয় বেশি। না লাগলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমার মন্তব্যই করা হয় না। কোন লেখা ভাল না লেগে যদি গায়ে লাগে তাহলে মন্তব্য করতেই হয়।

একটা ব্যান্ডের দল সারারাত গান গেয়েছে। সেখানে সুন্দরী মেয়েদের উল্টা-পাল্টা নাচ দেখা'র সুযোগ ছিল। আসে পাশে থেকে নেশার মাতাল গন্ধ আসতেছিল। একপর্যায়ে অতিথিরা নেশায় মাতাল হয়ে উঠলো। আরো গান শুনতে চাইল। শেষের দিকে গান না পেয়ে বেদের মেয়ে জোছনা গেয়েও ব্যান্ডের গায়করা রক্ষা পায়নি।

এরকম যখন পরিবেশ আর মানুষের অবস্থা, তখন যদি কেউ মাতালদের শান্ত করতে "আমাদের জাতীয় সংগীতটাও গেয়ে শোনায়

তাহলে তাকে আমি ঘৃণা করবই। (সত্যি কথা বলতে, এরকম পরিস্থিতি আমার সামনে হলে আমি গায়কদের ধরে পেটাবো।)

তবে আপনি কেন এই লেখাটা লিখেছেন বুঝতে পারছি তাসনীম ভাই। সেজন্যই কেবলই ঘৃণা জানিয়ে যে মন্তব্যটি করেছিলাম তার ধরালো জবাব এলেও আর কথা বাড়াইনি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনার্য সঙ্গীত এর সাথে একমত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি সাধারণত লেখকদেরকে যৌক্তিক মাত্রায় উৎসাহ দেই, লেখার সমালোচনা করলেও লেখকের সমালোচনা করি কদাচিৎ। কামরুজ্জামান ভাইয়ের ওই পোস্টেও তাই মন্তব্য করি নি। কিন্তু এখানে কিছু কথা বলি। উনাকে আমারব্লগ থেকেই দেখছি। পোস্টের নিম্নমান সম্পর্কে ফিডব্যাক পেয়ে উনি যেটা করেন, সেটা হলো নাম ভাঁড়ানি। পোস্টের মান নিয়ে অন্যদের মন্তব্যকে পাত্তা দেয়ার প্রবণতা তার মধ্যে খুব কম দেখেছি। এজন্যই বার বার মন্তব্যের পরেও একই বানান ভুল পোস্টের পর পোস্টে দেখতে হয়। অনেক পাবলিকই এতে বিলা হয়।

অন্যদের মন্তব্যের উত্তরে তার তেমন আন্তরিকতা আছে বলেও মনে হয় না। অতি সাধুতা দেখিয়ে ধন্যবাদ দিয়েই কাজ শেষ। কেউ তার পোস্টকে খারাপ বললে তাকে ছেড়ে কথা বলেন না। তবে অতি সাধুতা গুণে উনার আক্রমণটা খোলা চোখে অনেক সময় দেখা যায় না: বরং তিনি হঠাৎ করে দেখা দর্শকের চোখে নিপীড়িতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

সরি টু সে, উনার ওপর বাড়তি কোনো আদিখ্যেতা দেখাতে রাজি না। আর সাম্প্রতিক পোস্টের ক্ষেত্রে দোষ মডারেটরের, অধিকাংশ সচলের চোখেই যে পোস্টের মান বিলো অ্যাভারেজ, তাকে ছাড়পত্র দেয়াই প্রথম ভুল।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তাসনীম এর ছবি

আর সাম্প্রতিক পোস্টের ক্ষেত্রে দোষ মডারেটরের, অধিকাংশ সচলের চোখেই যে পোস্টের মান বিলো অ্যাভারেজ, তাকে ছাড়পত্র দেয়াই প্রথম ভুল।

একমত।

সরি টু সে, উনার ওপর বাড়তি কোনো আদিখ্যেতা দেখাতে রাজি না।

যে কথা গুলো উনাকে বলা হয়েছে, সেগুলো কিন্তু ভিন্নভাবেও বলা যেত। একই মেসেজ নানান ভাবে দেওয়া যায়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভিন্ন ভাবেও তো কেউ বলেন না, অপ্রিয় সত্যি কথা দেখেছি প্রায় সময়ই হাসিব ভাই, হিমুদা নাহলে মুর্শেদ ভাই এসে বলে যান, মাঝে মাঝে মূলত পাঠকদা বলেন, অন্যরা গ্যালারীতে বসে থাকেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার মনে হয় দলছুট সাহেবের ওপর অনেক ভদ্র শান্ত সচল পর্যন্ত মেজাজ খারাপ কেন করেন সেটা বোঝার জন্য সচলে প্রকাশিত উনার সব লেখা পোস্টের একটা লিঙ্ক দিলে ভাল। তাহলে কিছুটা বোঝা যাবে।

এইসব কমেন্ট নতুন কোন অতিথি দেখতে পেলে সচলের মান নিয়ে ভাববে। এটা ঠিক।

সুতরাং এখানে উন্নত লেখা প্রকাশ পেলেই ভাল। অখাদ্য পোস্ট ঘ্যাচাং দিতে মডুদের 'দিল কি দয়া হয় না' যেন না হয়।

হিমু এর ছবি

দলছুটের সমস্যা হয়েছে, তিনি নিজেকে "ভিলেজ ইডিয়ট" হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছেন। কমিউনিটি ব্লগিঙে এই ব্র্যান্ডিং অপর ব্যক্তি একক প্রচেষ্টায় চাপিয়ে দিতে পারে না, অর্জন করতে হয়। তিনি দুর্বল কলমের আগায় যা আসে, সেই কালিস্রাব সম্বল করে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে বিচরণ করছেন এবং মাঝে মাঝে সচলায়তনেও তশরিফ রাখছেন। শুরুতে সবাই ভাবতো উনি আসলেই লেখার ব্যাপারে আন্তরিক, তাই ওনার বানানভুল, শব্দের ভুল, বাগধারার ভুল, হাবিজাবি যা কিছু আছে ধরিয়ে দিতো। উনি যে লেখার ব্যাপারে মোটেই সিরিয়াস নন, এবং এই কমেন্টে গুতাগুতিটাই উপভোগ করেন, সেটা ধরতে অনেকের সময় লেগে গেছে, অনেকে ধরতেও পারেননি এখনও, এবং ওনার কোনো লেখা এলেই "দেখি আবার কোথায় লালা" গোছের কৌতূহল নিয়ে পড়তে ঢোকেন।

এই খুনসুটি খুনসুটির পর্যায়ে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আবার সচলদেরই। কারণ দলছুট মোটামুটি আড়াইশো মিলিত্রিভূজ ক্যাটেগোরির। উনি শুধু ছাড়েন, কিছুই গ্রহণ করেন না।

তারপরও ওনার লেখা প্রকাশিত হয় কেন? আমার মনে হয় মডারেটররাও মাঝে মাঝে দলছুটের উদ্দেশ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হন। আমার ধারণা, আমরা সচলে ওনার যেসব পোস্ট দেখি, সেগুলো ওনার বিক্রান্ত লেখনী থেকে নিষ্ক্রান্ত মসিমৈনাকের আগামাত্র। টিপ অব দ্য আইসবার্গ। মডুরা কিন্তু উনার লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যাওয়া লেখাগুলিও পড়েন। আর সম্ভবত উনার স্মৃতিচারণপর্বগুলি দলছুটের শ্রেষ্ঠরচনাসমগ্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মতো। ওনার কাছ থেকে প্রকাশযোগ্য কিছু পেলেই মডুরা ছাড়েন, এবং ভুল করেন।

মডারেটরদের শিক্ষা নেয়া উচিত এই ঘটনা থেকে। দলছুটের জন্যে টার্গেট বেঁধে দেয়া হোক। বিশুদ্ধ বানানে, বিশুদ্ধ বাংলায়, লিখনযোগ্য কোনো ঘটনা নিয়ে পঠনযোগ্য একটি লেখা যতদিন উনি লিখতে না পারছেন ততদিন গেইটলক। অযথা উনার ত্রুটিপূর্ণ লেখা ছাপিয়ে হেজেমোনি পাকানোর দরকার নাই।

দলছুট, আপনি এই লেখা পড়ে থাকলে অবিলম্বে ব্লগস্পটে একটা ব্লগ খুলে লিখতে থাকুন। আমার ধারণা অনেক পাঠক পাবেন। আপনার কাঁচা লেখার পাকা পাঠক অনেক। নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই। আস্তা লা ভিস্তা।

আরেকটা ব্যাপার। সচলে শুরুর দিকে এই শৈথিল্য ছিলো না। স্ক্র্যাচপ্যাড হিসেবে সচল ব্যবহৃত হতো না। অতিথিদের কাছ থেকে চাহিদা ছিলো উঁচু। ইদানীং অনেক শিথিল হয়েছে মডারেশন, নতুন সদস্যদের আড় ভাঙানোর জন্যে অনেক গড় লেখা সচলে প্রকাশিত হচ্ছে। আমার মনে হয় মানের ব্যাপারে আবারও মুঠি খানিকটা শক্ত করা উচিত। বাকিরা কী বলেন?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তাসনীম এর ছবি

আমার মনে হয় মানের ব্যাপারে আবারও মুঠি খানিকটা শক্ত করা উচিত। বাকিরা কী বলেন?

একমত।

জাহিদের একটা মন্তব্য কোট করছি

সাইফ আমার মনে হয় এক্ষেত্রে একটি পথ হতে পারে এরকমঃ কোন পোষ্টে আপত্তিকর কথা বা লেখা থাকলে সেটা মন্তব্যে যুক্তিসহ প্রতিবাদ জানিয়ে একই সাথে মডারেটরদেরকে ইমেইল করে জানানো।

এটা করলে সচলের জন্য মংগল হবে। মডারেটররা হয়ত কয়েক মিনিট সময় পান একটা লেখা দেখার জন্য। প্রকাশ পাওয়ার পর সেটা অনেক সময় নিয়ে বাকিরা পড়তে পারেন, যদি মডুরা কিছু মিসও করেন সেটা পাঠকরা মডুদের ধরায়ে দিতে পারেন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রেনেট এর ছবি

আমার মনে হয় মানের ব্যাপারে আবারও মুঠি খানিকটা শক্ত করা উচিত।

খানিকটা নয়, অনেকখানি শক্ত করা উচিত।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাবিহ ওমর এর ছবি

মনে হচ্ছে এইবেলা ধরা খেয়েই গেলুম o.O

হিমু এর ছবি

পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার জন্যে একটা পরিস্থিতিখারাপোমিটার দিলাম। রাফায়েল নামে সচলের এক ফেসবুকবন্ধু "সাহারাঙ্ক" টার্মটার আবিষ্কারক।

saharapoint

এমবেড কোড হচ্ছেঃ



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটাতে "বাবরাঙ্ক" [শত্রুজ পয়েন্ট] এবং/অথবা "আলতাফাঙ্ক" [আল্লার মাল পয়েন্ট] নাই ক্যানো? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

আমি ২০০৮ এর কথা বলি।
তখন আমি অতিথি সদস্য ছিলাম। তখন একনকার মত 'হাচল' বলে কোন পর্যায় ছিল না। সব অতিথিই একগোত্রীয় ছিল। সবার নামই অতিথি লেখক। আর সব অতিথি লেখকরা একই জায়গায় তাদের ড্রাফট জমা দিত। আর এক অতিথি অন্য অতিথির লেখা ড্রাফট অবস্থায় পড়তে পারতো (লেখা প্রকাশিত হওয়ার আগেই)। এই পদ্ধতিতে আমি যেমন আকতার ভাইয়ের বহু ছড়া প্রকাশিত হওয়ার আগেই পড়ে ফেলেছি, তেমনি পড়েছি অনেক ছাড়পত্র না পাওয়া অনেক লেখাই। ২০০৮ এ ছাড়পত্র না পাওয়া অনেক লেখাই "দলছুট" নামধারী লেখকের লেখার চেয়ে উচুমানের ছিল। তারপরও সেসব লেখা প্রকাশিত হয়নি। আমার নিজের অনেক লেখাও কাটা পড়েছে। কিন্তু তারপরও আমি সন্তুষ্ট ছিলাম, কারন সেসবই ছিল সচলায়তনের মান অক্ষুন্ন রাখার জন্যই।

আজ ২০১০ এ এসে যখন সচলায়তনের মান আরো বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেই জায়গায় এমন কিছু কিছু লেখা বা মন্তব্য প্রকাশিত হয়, যে, সচলায়তন আদৌ মডারেটেড ব্লগ কিনা তাই ভাবতে হয় নতুন করে।

আজকের এই পরিস্থিতির পিছনে দায়ী মূলত দুর্বল মডারেশন। মডারেটররা তাদের কাজ ঠিকমত পালন করলে আজ এসব কিছুই লিখতে হয় না। যখন নিম্নমানের লেখা দিনের পর দিন প্রকাশ হয়, তখন ভেবে নিতে হয় এটাই এখনকার সচলের স্ট্যান্ডার্ড। যখন মন্তব্যে লাগামহীন কথাবার্তা হয়, এবং সচল কর্তৃপক্ষ নীরব থাকে, তখন বুঝে নিতে হয় "It's ok to write bullshit"

সচলের মান কিরকম হবে, মন্তব্যের টোন কিরকম হবে, তা কিন্তু মডারেটররাই নির্ধারন করে দেন সচেতন বা অচেতনভাবে।

ভাবমূর্তি গড়তে সময় লাগে অনেক, কিন্তু ভাঙতে সময় লাগে অল্পই। আশা করছি সচলের মডারেটররা প্রফেশনাল হবেন আরও, সচলের স্বার্থেই।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

এটা একটা ভালো পয়েন্ট। আমি রেনেটের পর্যবেক্ষণের সাথে প্রায় একমত।

তবে ২০০৮ সালে সচলের আকৃতি এখনকার সচলের ১০% ছিলো। সেটাকে অনেক সহজে মনিটর করা যেতো সম্পূর্ণ। মডারেটররা বর্তমান সচলের ১০০% চোখে চোখে রাখতে পারবেন না। সচলরা নিজেরা ইনপুট না দিলে অনেক ইস্যু মডারেটরদের চোখের আড়ালে থেকে যাবে।

"প্রফেশন্যাল" হওয়া আসলে সচলদের কারো পক্ষেই সম্ভব না, কারণ এটা কারো প্রফেশন না। শব্দটা হওয়া উচিত "সাবধান"। মডারেটররা সচলের শুরুতে স্বল্প পরিসরে যতটা সাবধান থাকতে পেরেছেন, এখন পারছেন না কেন, সেটাই প্রশ্ন হওয়া উচিত।

তবে নিম্নমানের লেখা "দিনের পর দিন" প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, যখন সচলরাও অতিথিদের সামনে উদাহরণ তৈরি করতে পারেন না। মান নিয়ে আমরা যখনই মুখ খুলতে যাবো, আমাদের নিজেদের একটা দায়িত্ব তৈরি হয়ে যাবে সেই মানের একটা কিছু লেখার, এবং মোটামুটি নিয়মিত লেখার। তখন অন্যকেও তা করতে বলাটা সহজ হয়। অনেক সচল আছেন, বহুদিন কিছু লেখেন না। তাঁরা নীরব থাকেন, জায়গাটা আস্তে আস্তে সরব কিন্তু তুলনামূলকভাবে শূন্যগর্ভ লেখা দিয়ে ভর্তি হতে থাকে, সেসব লেখা সচল এবং অতিথি দুই পক্ষই লেখেন। মান এমন একটা জিনিস, যেটা পরিমাণের মুখে একটু চ্যালেঞ্জের ওপর থাকে।

তারপরও, আমরা যারা দিনের পর দিন নিম্নমানের লেখা লিখে যাচ্ছি, তাদের পক্ষ থেকে আমি সচলের পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যারা উচ্চমানের লেখা লেখেন, তারা সামনে কিছুদিন লিখুন প্লিজ, আমরা জিরাই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রেনেট এর ছবি

হিমু ভাই,
নিম্নমানের লেখা বলতে আমি বুঝিয়েছি সেসব লেখা, যাদের লেখা মডারেশন পার হয়ে আসে, কিন্তু আসার যোগ্য না। পূর্ণ সচলদের ব্যাপারে আমি কিছু বলিনি। পূর্ণ সচলরা তাদের যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়েই পূর্ণ সচল হন। তাদের যোগ্যতা নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন তুলিনি।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

সমস্যাটা আসলে অন্যরকম। আমি কোয়ান্টিফাই করে বলি।

ধরা যাক, সচলে লেখা প্রকাশিত হতে গেলে সেটাকে সার্বিক বিচারে ১০ এ ৫ পেতে হবে। একজন একটা লেখা দিলেন, ৪ মানের। ঘ্যাচাং করা হলো। আবার দিলেন তিনি, ৪.৫। ঘ্যাচাং করা হলো। এরপর তিনি লিখলেন, ৫, প্রকাশ করা হলো।

মুশকিল হচ্ছে, তাঁকে এরপর বোঝানো যায় না যে ভাই লেখা আরো ভালো হতে হবে। তিনি ৫-কে বেঞ্চমার্ক ধরে লিখতে থাকেন। এই কানের পাশ দিয়ে গুল্লিঘেঁষা লেখা প্রচুর, আমি স্বীকার করি। ৫ থেকে বাড়িয়ে ৬ করলে দেখা যায় কোনো লেখাই আর প্রকাশ করার জো থাকে না, এবং কয়েকজন সচলের লেখাও হয়তো প্রথম পাতা থেকে সরাতে হয়।

এখন এই বোঝানোর দায়টা কি একা মডুদের? নাকি সচলরা তাঁদের প্রত্যাশার কথা পরিষ্কার করবেন অতিথিদের কাছে? আমরা নিজেরাই অনেক সময় কোনো মন্তব্য করি না, রেটিং দিয়ে কেটে পড়ি, হুঁ হাঁ করি, কিন্তু যিনি নতুন এসেছেন সচলে, নতুন লিখছেন, এবং হয়তো সব ভাও বোঝেন না, তাঁকে কারা বোঝাবেন যে ১০-এ ৮ পাওয়া লেখা দিতে হবে?

আর একজন ব্যক্তি তো অতিথি হিসেবে লিখছেন না। প্রতিদিন কুড়ি থেকে তিরিশটা লেখা অপ্রকাশিত থেকে যায়, সেগুলোর মান নিয়ে কথা না বলাই ভালো। ওর ফাঁকে ঐ ৫-ঘেঁষা লেখা এলেও ছাড় দেয়া হয়, কারণ অনেকেই আছেন হয়তো একটু সময় এবং মনোযোগ পেলে আড় ভেঙে গুছিয়ে লিখতে পারবেন। এই যে একটু আলগা হয়েছে মুঠি, এর ফাঁক দিয়েই দুর্বল লেখা নিয়মিত আসে। কিন্তু দুর্বল হাতকে সবল করার দায়িত্ব তো মডুদের একার নয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সব সচলেরই যোগ্যতা আছে নতুনদের লেখার দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দেবার। আমরা সেটা না করলে দুর্বল লেখা একটা দুইটা আসবে, তারপর সেই লেখক যখন হালে পানি পাবেন না, কেটে পড়বেন, তাঁরই মতো অন্য কেউ কয়েকদিনের জন্যে দুর্বল লেখা সাপ্লাই দেয়ার দায়িত্ব নেবেন, কিন্তু লেখা আর সবল হবে না। এই পরিস্থিতি মোটেও দেখা দিতো না যদি সচলরা নিয়মিত লিখতেন। উপন্যাস লিখতে হয় না, গুছিয়ে ছোটো সুন্দর একটা লেখা লিখলেও চলে। আমরা নিজেদের লেখার লিস্টের দিকে তাকিয়ে তারিখ যদি দেখি, বুঝতে পারবো আমরা নিজেরা কতটুকু দিচ্ছি আর সচলের কাছ থেকে কতটুকু চাইছি।

আর কোনো লেখা যদি প্রকাশের অযোগ্য মনে হয়, সে লেখায় আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকে। সেটা মডারেটরদের কাছে যায়, এবং পরবর্তীতে সে ধরনের লেখা যাতে প্রকাশিত না হয়, সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন। মডুদের বিবেচনা ১০০% সঠিক মনে করার কোনো কারণ নেই, কিন্তু সেই ভুল তাদের ধরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা আছে, তাদের সতর্ক করার সুযোগও প্রত্যেকটা পোস্ট আর কমেন্টের নিচে আছে। সেটার সদ্ব্যবহার জরুরি।

আর সিরিয়াসলি, এখন থেকে দিনের পর দিন আর লিখছি না। কিছু উচ্চমানের লেখা দেখে শিখি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রাগিব এর ছবি

গত দুই দিন বাইরে থাকায় ঐ পোস্টটা পড়ার আগেই এই পোস্টে এসেছিলাম। এটা পড়ে ঐ পোস্টে গেলাম।

পোস্টের মান ততো ভালো না, কিন্তু আলোচনার নামে একজনকে দলগতভাবে তামাশার পাত্র করে তোলাটা ভালো লাগেনি। কামরুজ্জামান স্বাধীনের লেখার মান যাই হোক, আলোচনাটা ভদ্রভাবে করা যেতো। অশালীনভাবে ব্যঙ্গ করা, আর দলগতভাবে তাতে তাল দিয়ে মজা লোটা যেতে পারে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে এখানকার পরিবেশটাকে সেটা বিষিয়ে তোলে।

সচলায়তন ব্লগ নয়। এটা শুরু থেকেই ঘোষণা দিয়ে রাইটার্স কমিউনিটি। এই কথাটা মনে রাখলে এবং দলগত ব্যঙ্গের চলটা কমালে সেটাই পরিণামে এই সাইটের জন্য ভালো হবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রাগিব,

এই ব্যাপারটা দলগত ব্যঙ্গ না বলে ব্যঙ্গটা দলগত হয়ে যাওয়ার দিকে মোড় নেয় বললে ভাল।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের শুভমতি হোক। আমার ও হোক।

মনামী এর ছবি

সচলায়তন 'অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি' এই কথাটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ রাগিব ভাই। এখানে সৃষ্টিশীল লেখার চর্চা ও বিকাশ হয়। এই প্ল্যাটফর্মটি যাতে কক্ষচ্যুত না হয় সেই চেষ্টা আমাদের সকলের করা উচিৎ।

স্বাধীন এর ছবি

সচলায়তন ব্লগ নয়। এটা শুরু থেকেই ঘোষণা দিয়ে রাইটার্স কমিউনিটি।

এই কথাটি সর্বাগ্রে সকলকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন কিছু দিন পর পরই এ রকম মডু নোটের মাধ্যমে।

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

দলছুট বা স্বাধীনের সর্বশেষ লেখায় সাইফ তাহসিন এর মন্তব্য নিয়ে আপত্তি করেছিলাম আমি নিজে। একটা ব্যাপার আমি নিজে ভুলে গিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে দলছুট "আমার জানা নেই, আপনাদের কি আছে"- এরকম নামের দুটো লেখা দিয়েছিলেন; সে লেখা দুটাতে কিন্তু (আমি শেষ পড়া পর্যন্ত) কোন বাজে মন্তব্য দেখা যায় নি। ওনার লেখায় উত্তেজক মন্তব্য করার পেছনে কতোটা তামাশা আর কতোটা সদিচ্ছা সেটা নিয়ে বোধহয় ভাবতে হবে আরো।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই কথাটা আমি উনাকে একবার মনে করিয়ে দিয়েছিলাম। উনি কথা শোনেন না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাঝে মাঝে এরকম পোস্ট এবং সাদা-মডুর মডারেশন নোট আমাদের মত পুরনোদের জন্যও খুব দরকারী। আমরাও অনেক সময় দেখেও না দেখার ভান করি, কিছুটা প্রশ্রয় দেই। একই সাথে অনেক পুরানো ব্লগারের ব্যস্ততা হয়তো এর জন্য দায়ী। আশা করি এই মেসেজটা সবাই নিজ-গুনে বুঝে নিতে পারবো।

শাফক্বাত এর ছবি

মন খারাপ
আসলেই তো, ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেল। আগের পোস্টে করা মন্তব্য নিয়ে মর্মযাতনায় পীড়িত হচ্ছি। সেইসাথে ১০ এ ৫ পেয়ে নাম-মাত্র পাশ করার বেঞ্চমার্কটাও ভাবিয়ে তুলছে।
তবে অনেক জিনিস জানলাম সেটা ভাল লাগছে। সচলায়তন কোনও ব্লগ নয়, রাইটার্স কমিউনিটি-এটা আজকে জানলাম। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় হোমপেজটা রি-ডিজাইন করা উচিত নইলে আমার মত অনেকেই এটাকে একটা ব্লগ-সাইট ভেবে ভুল করতে পারে। মন্তব্যে পজিটিভ-নেগেটিভ অনেক ভাবেই পার্সোনাল টাচ থাকে, সেটা বর্জন করা শ্রেয়। সাদা-মডু সাহেবের পোস্ট থেকে বুঝলাম বানানরীতির শুদ্ধতা অপরিহার্য, সেটা লেখায় এবং মন্তব্যে দু'দিকেই থাকতে হবে।
তাহলে কিন্তু আমাদের মত মিডিওকার মানুষেরও প্রত্যাশা অনেক অনেক বেড়ে গেল। রেসিপি'র লিঙ্ক দিয়ে পোস্ট নিয়েও আমার মনে মডুদের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছিল, সেটা আর হবেনা আশা করি।
নাম উল্লেখ করে ঝামেলা পাকাতে চাইছিনা কিন্তু সপ্তাহখানিক আগেই একজন পূর্ণসচলের অত্যন্ত আপত্তিকর কিছু শব্দমালা এবং ইচ্ছাকৃত তামাশাজনিত ভুল-বানান-ময় কবিতার মন্তব্যে অনেক "সাধু-সাধু" কিংবা "গুরু-গুরু" টাইপ প্রশংসা দেখেছিলাম। তখন আমি কোনও মন্তব্য করিনি কারণ মনে হয়েছিল এটা সচলের নীতিমালা তো ভঙ্গ করেনি, আমি নগণ্য অতিথি তাহলে আগ-বাড়িয়ে বলার কে?
কিন্তু এখন সাদা-মডুর লেখা আমি আমার প্রিয়-পোস্টে যোগ করবো। (যেহেতু সেখানে মন্তব্য করার সুযোগ নেই যদিও পাঁচতারা দিয়েছেন কেউ একজন, তাই এখানে লিখছি খানিকটা প্রাসংগিক মনে করেই)। আশা করছি "এখন থেকে" সচলের পাতায় উন্নতমানের লেখা প্রকাশিত হবে যেটাকে বেঞ্চমার্ক ধরে নিয়ে আমরা মিডিওকার-রা নিজেদের লেখার মান বাড়াতে পারবো।
প্রফেশনাল হওয়া নিয়ে একটা কথা উঠেছে একখানে। হয়তো এইখানে লেখকরা কেউ পেইড নন। তবুও কিন্তু একটা "মানদন্ডের বিচারে" তাদেরকে প্রফেশনাল বলা যায়। যেখানে নীতিনির্ধারক আছেন, নীতিমালা ভঙ্গকারীদের শাস্তিপ্রদানের ব্যাবস্থা আছে, ডেডিকেইটেড কিছু মানুষ যাঁরা এইকাজে নিয়োজিত আছেন তাঁদের নিশ্চয়ই এটা একটা জব। সেই জবের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী তাঁদের কাছ থেকে প্রফেশনালিযম আশা করা-ই যায়।
পরিশেষে, "খুব ভাল" লেখক যাঁরা, ১০ এ অন্ততঃ ৭-৮ পেয়ে যাঁদের লেখা ছাপা হয়, তাঁরা যদি লেখা আদৌ না-দিতে থাকেন তবে কিন্তু আমাদের মত নগণ্য লেখকদের প্রতি অবিচার করছেন বুঝতেই পারছেন। আমরা প্রতিনিয়ত তবে কোন মানদন্ডের কষ্টিপাথরে নিজেদের লেখা যাচাই করবো?
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

অনিন্দ্য এর ছবি

১। "আর সিরিয়াসলি, এখন থেকে দিনের পর দিন আর লিখছি না। কিছু উচ্চমানের লেখা দেখে শিখি।"-হিমু ভাইকে অনুরোধ করছি,এটা করবেন না। আপনার লেখা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। অন্যদের বরং আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে,বিশেষ করে নতুন লেখকদের এবং আমার মত মন্তব্য যারা করেন,কিন্তু লেখেন না,তাদের জন্যও অনেক কিছু জানার এবং শেখার থাকে।

২। সাইফ ভাই,আপনাকে অনুরোধ করবো মন্তব্য করার সময় আবেগটা সামান্য কমাতে (বেশি কমানোর দরকার নেই)।এ কথা মানি যে জাতীয় সংগীত,পতাকা এ সব ব্যাপারে শুধু আমরা নই,বিশ্বের সব জাতির আবেগই একটু চড়া সুরে বাধা থাকে। আমাদের অবশ্যই উচিত না এগুলোর সামান্যতম অপমান সহ্য করা। কিন্তু প্রতিবাদটা আরেকটু ভালো ভাষায় করা যেতো না,তা কিন্তু না। সুন্দর ভাষায় কি ভাবে বকে দেয়া যায়, সে জন্য স্নিগ্ধা আপুর মন্তব্য পথপ্রদর্শক হতে পারে। অবশ্য আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশি দিন ধরে সচলের সাথে জড়িত,কাজেই আপনি আশা করি আমার চেয়ে আরো অনেক ভালভাবেই বুঝতে পারবেন। অনেক মানসম্পন্ন লেখা দিয়েই আপনি সচল হয়েছেন(যেটা সব সচলের জন্যই সত্য),এখনো দিচ্ছেন, মন্তব্য করার সময় সেটা খেয়াল রাখলেই হয়।

৩। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে,বাংলা ব্লগের যে সব সাইট আছে,তার মধ্যে সচলের পরিবেশটাই এখনো সবচেয়ে সুন্দর। এই সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ৭ জন মডারেটর কি যথেষ্ট? বেশিরভাগ সচলকেই আমার কাছে যথেষ্ট নিরপেক্ষ মনে হয়েছে। তাই প্রয়োজনে মডারেটরদের সংখ্যা কি বাড়ানো যায় না? আমি প্রায়ই অবাক হই যে প্রাত্যহিক সব কাজের চাপ সামলে উনারা যেভাবে সচলায়াতনকে সচল রাখছেন, আসলেই অনেক কষ্টসাধ্য একটা কাজ হবার কথা।

আমি আপনাদের তুলনায় কিছুই না,তবুও অনেক বড়ো বড়ো কথা বললাম,কিছু মনে করবেন না।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি জানতাম তাসনীম ভাই এক দুই দিনের মধ্যে এইরকম একটা লেখা দিবেন। আপনি আসলেই বড়ভাই। আপ্নেরে সেলাম। দেঁতো হাসি

তাসনীম এর ছবি

একটু দাদাগিরি করার লোভ সামলাতে পারলাম না হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রেনেট এর ছবি

ভেবেছিলাম আর কোন মন্তব্য করবো না মডারেশন বিষয়ে, তারপরও করছি।

মডারেশন পেইড জব হোক, আর ভলিন্টিয়ারি হোক, কাজের ডেফিনিশন কিন্তু তাতে বদলায় না।

মডারেশন আছে অযোগ্য লেখা/কমেন্ট ঘ্যাচাং করার জন্যই। মডারেটরদের প্রতি আমার প্রত্যাশাও সেই পর্যায়েরই।

এখন সচলের পরিধি আগের তুলনায় বেড়েছে, যেটা হিমুভাই তার মন্তব্যে বলেছেন। মডারেটরদের পক্ষে প্রফেশনাল হওয়া সম্ভব না, কারন সেটা তাদের প্রফেশন না। মানি। কিন্তু ন্যুনতম পেশাদারিত্ব তাদের কাছ থেকে আশা করতেই পারি। "স্বাধীন" সাহেবকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সিরিজেরই ৫ টি পর্ব তিনি প্রকাশ করে ফেলেছেন। এরপরও যদি বলা হয় মডারেটররা বুঝতে পারছেন না তার লেখা প্রকাশ করা উচিত কি উচিত না, তাহলে হয় মডারেটর তার কাজে শতভাগ কমিটেড নন, আর তা নাহলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই লেখাগুলো প্রকাশ করছেন, যেন ঐ লেখককে তামাশার পাত্র বানিয়ে একটু মজা করা যায়।

এখন, মডারেটররা যদি তাদের উপর ন্যস্ত কাজ পালন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়া উচিত। সচল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, সচলের পরিধি আগের চেয়ে বেড়ে গেছে, মডারেটরা হিমশিম খাচ্ছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে, তাহলে আমার প্রশ্ন, ২০০৭ এ ৬ জন মডারেটর থাকলে ২০১০ ও মডারেটর ৬ জনই থাকতে হবে কোন কথা আছে? সচলের পরিধি যদি বাড়ে, মডারেটরের সংখ্যাও বাড়ানো হোক। তবুও
মডারেশনের মান অটুট থাকুক।

কাজেই, মডারেটরদের কারো জীবিকা মডারেশন না/ বর্তমান ক্রমবর্ধমান পাঠক/লেখককূলের এত কার্যকলাপ আগের মত খেয়াল রাখা সম্ভব না---এগুলো আমার কাছে খোঁড়া যুক্তি।

If you are there to moderate, do your job. If you can't do it, retire.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তাসনীম এর ছবি

রেনেট ভাই, মডুদের প্রতি এতটা কঠোর না হলেও চলে। শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই উনাদের সিদ্ধান্ত সঠিক, কিছু কিন্তু আমাদেরও হাতে। আমাদের মন্তব্য কেউ মডারেট করে না।

এইটা মাথায় রেখেই মন্তব্য করা উচিত। মডারেশনকে থ্যাঙ্কলেস জব করা উচিত নয়। কোন কাজই ১০০ ভাগ ঠিক করা যায় না, সেটা পেইড আর ভলান্টারি যাই হোক না কেন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রেনেট এর ছবি

মডারেশন অবশ্যই থ্যাঙ্কলেস জব না। মডারেটররা আছে বলেই সচলে আসি।
মডারেটরদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা সকলেই, এটাও নতুন করে বলার কিছু না। তাই বলে তারা সমালোচনার উর্ধেব নয়।

এমন অনেক অতিথি লেখকের লেখা দেখেছি, যেটা মডারেশন পার হয়ে আসা উচিত না, কিন্তু এসেছে...কিন্তু ঘটনা এখাইনেই শেষ না...এক বা একাধিক মডারেটর পোস্টে ঢুকে পোস্টের কন্টেন্ট নিয়ে/লেখককে নিয়ে বিদ্রুপও করেছে। সেখানেই আমার আপত্তি। মডারেটররা সজ্ঞানে জানেন ঐসব পোস্ট ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্য না। তবুও তারা জনসম্মুক্ষে লেখককে হাসির খোরাক যোগানোর জন্যই এমন করেন, যেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উদাহরন হিসাবে বলা যায় সাম্প্রতিক 'রান্না বিষয়ক পোস্ট', আরো আগে "একটি গজল" এরকম আরো উদাহরন দেয়া যাবে।
দলছুটের ভূড়ি ভূড়ি পোস্টের কথা বাদই দিলাম।

এখন, আমার অভিযোগ মডারেশনের সামগ্রিক মান নিয়ে। ব্যক্তি হিমু, বা ব্যক্তি মুর্শেদ কাউকেই আমি এগুলো বলছিনা। কাজেই তারা আমার মন্তব্যগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে না নিলেই খুশি হবো।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বহু আগে দলছুট ভাইয়ের লেখা পড়েছি, কিছু অম্ল-মধুর মন্তব্যও করেছি। কিন্তু এখন কোনো অতিথির লেখা ২টা লাইন দেখেই যখন বুঝি যে এইটা "দলছুট" ভাইয়ের তখন লেখার নীচে লেখকের নাম মিলিয়ে নিয়ে জাষ্ট কেঁটে পড়ি। এসব পড়ার সময় আমার হাতে একদমই নেই। আমি নিজেও যে খুব একটা ভালো লিখি সেটা বলবো না আবার প্রমানও করতে পারোবো না। কারণ মডুরা "কামরুজ্জামান" ভাইয়ের লেখাও ছাড় দেন আবার আমারটাও দেন।

তবে আমার কষ্ট টা অন্যজায়গায় - আমার বেশির ভাগ লেখায়ই ছবি থাকে, কারন ঐ একটা কাজই আমি একটু-আধটু পারি - ফটোগ্রাফি। এখন পর্যন্ত কেউ আমার লেখার মান নিয়ে কোনো কথা বলেননি, মান উন্নয়নের ব্যাপারতো বহুদূর! তাহলে কি আমার ছবির সাথে লেখা দেয়ার কোনো দরকার নেই, না কি আমার লেখাটাই কেউ পড়ে দেখেন না? আবার এমনও হতে পারে - আমার লেখা খুব উন্নতমানের, তাই এই ব্যাপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন !! কিন্তু সত্যি বলতে আমি আপনাদের সবার কাছ থেকে অনেক সাজেশন চাই, নিজের ফটোব্লগ গুলোকে ভালো লেখা দিয়ে কি করে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায় - এই নিয়ে।

তবে এটা সত্য যে, মন্তব্যের ব্যাপারে আমাদের সবার আরও সহনশীল ও সৃজনশীল হওয়া দরকার। মেজাজ ঠিকভাবে ধরে রাখতে না পারলে আমি সাধারনত মন্তব্যই করিনা। আমার মনে হয় কোনো বাজে মন্তব্য করার চেয়ে একদম মন্তব্য না করাই ভালো। সচলে কেউ কেউ আছেন (আমি নাম বলবো না) যারা একটু পা বাড়িয়েই রাখেন এবং ছুতা খোঁজেন, আমি তাদের চোখ বন্ধ করে 'ইগনোর' করি। আমার কাছে এটাই মনে হয় একমাত্র অস্ত্র।

মডুরা আশা করি সচলের মান আরো বাড়াতে উদ্যোগী হবেন, এতে আমার লেখা ঘ্যাচাং হলেও মেনে নেবো। কিন্তু সচলে আসি সেই বহু আগে থেকে (যদিও ৪-৫ মাস হলো লিখি) এখন এর মানের কোনো হের-ফের হোক সেটা চাইনা, চাইবোনা।

এরকম একটা 'সচলগুরুত্বপূর্ণ" লেখার জন্য তাসনীম ভাইকে হাজারো কদম্বুসি।

===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনুপম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এইরকম একটি লেখার খুব দরকার ছিল। সহমত।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আশরাফ আপনাকে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে বাবা! ভয় পেলাম। এতো আলোচনা!
তবে যাই হোক না কেন,মডারেশনের মাধ্যমে সচলের মান উন্নত থাকুক। সবার আগে নিশ্চয়ই আমার লিখাগুলো ঘ্যাচাং হবে,তাতে কী!

(এই ক্ষুদ্র পাঠক আবার ভুল কিছু বলে ফেলল না তো!)

-স্নিগ্ধা করবী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।