ঝালমুড়ি-২ : ঈশ্বর কিন্তু সমাজতন্ত্রী

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৪/২০১০ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি ঈশ্বর আসলেই সমাজতন্ত্রী। মনে হয় একটা লেখাতেও বলেছি সেটা। এই লেখাটা সেই ভাবনা থেকেই। এই মার্কেটপ্লেইসের কেনা বা বেচার মধ্যে ঈশ্বর একদমই নেই। মানুষের ভেতরের যে মানবিক মূল্যবোধগুলো উনি ঠেসে দিয়েছেন সেগুলোও কোন বেচাকেনার ধার ধারে না। সন্তানকে লালন পালন করে বড় করে আমরা কোন বিল পাঠাই না, যদিও বিরাট একটা বিল আসা উচিত যেখানে আইটেমাইজড করা থাকবে কয়টা জ্যামিতি বক্স আমরা হারিয়েছি, কয়টা গ্লাস ভেঙ্গেছি মায়ের, কত টন মাংস নিঃশেষ করেছি বা বিদ্যুৎ ব্যয় করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি। বাবার হোটেলে ফ্রী থাকার মত দারুন ব্যাপারটা উনি আমাদের অস্থি মজ্জায় দিয়ে দিয়েছেন।

চিন্তা করতে পারেন, এই মুক্তবাজারে ঈশ্বরের কোন ওয়েবসাইট নেই? ডটকমতো নয়ই ডটওআরজি (.org) ডোমেইনও উনি কিনেন নি, উনার বাজারপন্থী উগ্র সমর্থকদের থাকতে পারে যদিও। ঈশ্বর যদি এই বিকিকিনির হাটের পক্ষে হতেন তবে উনার একটা ঝলমলে ই-কমার্স সাইট থাকত নিশ্চিত। সেখানে আপনি একটা ফ্রি একাউন্ট খুলতে পারতেন এবং পাপ পূণ্যের পরিমাপ করতে পারতেন সম্পূর্ণ অনলাইনে। পূণ্যগুলো ইহজগতেই এয়ারলাইন্সের মাইলেজের মত ব্যবহার করার ব্যবস্থাও থাকত এবং পূণ্যে শর্ট পড়লে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বাকিটা পূরণ করে নিতে পারতেন। কিন্তু এই বাজার অর্থনীতিতে ঈশ্বর পুরো অনুপস্থিত। উনাকে ডাকার জন্য কোন টোল ফ্রি নম্বর রাখেন নি, এমনকি একটা অনলাইন ফর্ম পর্যন্ত না। আপনার প্রাথর্নার স্ট্যাটাস চেকের কোন উপায়ও নেই। আমাদের বাংলাদেশ সরকার পর্যন্ত এগুলো নাকি চালু করে ফেলতে পারে শুনছি, কিন্তু ঈশ্বরের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ভাবতে পারেন, ঈশ্বর ছাড়া কেউ এভাবে কোম্পানী চালাতে পারত? উনার কোম্পানীতে আর কোন শেয়ারহোল্ডার নেই শুনেছি, তাই মনে হয় বোর্ড মিটিং এ কোন বাদানুবাদও নেই।

সুন্দর কোন দৃশ্য দেখছেন? মায়ের কোল ঘেঁষে শুয়ে আছে কোন শিশু বা ঘোর বর্ষার অন্ধকার দুপুরে ইলেক্ট্রিকের তারের উপর কাকদের বিষন্ন ছায়াছবি? এর মাঝে কেউ এসে বাগড়া দিয়ে বলবে না যে ভাই বাকিটা দেখতে হলে কড়ি ফেলতে হবে। বিনা কড়িতে তেল মাখার সুব্যবস্থা শুধু ঈশ্বরের রাজ্যেই সম্ভব। ধনী আর গরীব সবাইকে একই পাল্লায় তুলে উনি মাপবেন, কোন ফ্যাস্ট ট্র্যাক নেই, নেই কোন প্রিভিলেজ লাউঞ্জ। কর্ম দিয়ে বিচার করবেন সবাইকে অর্থ দিয়ে নয়, এই অনর্থ আর কে করবেন বলুন?

সমাজতন্ত্র ফেল মেরেছে অনেক দেশেই কিন্তু ঈশ্বর এখন তাঁর রাজত্বে এটা কায়েম করে রেখেছেন প্রবলভাবেই। মায়ের বুকে স্তন্যের ধারা দিয়েছেন কিন্তু সাথে কোন ক্রেডিট কার্ড স্লাইড করার মেশিন দেননি। তারপরও কেন জানি পলিটব্যুরোর বর্ষীয়ান নেতাদের মতই উনি একদম নির্বিকার আমাদের দুঃখ, হাসি, কান্না আর আনন্দে। কেন জানি আমাদের নিয়ে উনার কিছুই যায় আর আসে না, কে জানে এটাই হয়ত খাঁটি সমাজতন্ত্র।

[ভাই আপনি আস্তিক অথবা নাস্তিক যাই হন, এই লেখাটা সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই]

[এই লেখা এবং এর আগের আরো দুইটি লেখাতে অফলাইনে বানান শুদ্ধি করেছে তিথীডোর, প্রুফরিডিং এর জন্য অফিসিয়াল ধন্যবাদ জানাচ্ছি এখানে। আমি একটা মন্তব্যের ঘরকে বানান বাক্স বানাচ্ছি, অর্থাৎ যদি আরো বানান ভুল থাকে তবে এই মন্তব্যের জবাবে সেটা জানিয়ে দিতে পারেন। এভাবে শুধু একটা মন্তব্য থাকবে স্পেসিফিক্যালি বানানের জন্য। বানানযোদ্ধাদের জন্য অগ্রীম ধন্যবাদ রইল]


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

বানান বাক্স : ভুল বানানগুলো এই মন্তব্যের জবাবে দিয়ে দেন। সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

ফ্রী > ফ্রি, কোম্পানী > কোম্পানি ( বিদেশি বানানে ঈ-কার পরিহার্য )
দারুন > দারুণ
বাজারপন্থী > বাজারপন্থি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রেনেট এর ছবি

পন্থী ও ইকার হয়ে গেছে? রেগে টং

আবার নতুন করে স্কুলে যেতে হবে দেখা যায় মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নাশতারান এর ছবি

বর্তমান বানান রীতিতে একটি শব্দের জন্য একটিমাত্র বানান রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
যেমনঃ আগে আমরা ভাইয়ের বৌ বোঝাতে ভাবি, ভাবী দুটাই লিখতাম।
এখন,
ভাবি = ভাইয়ের বৌ
ভাবী=ভবিতব্য

ঈ-কারের প্রয়োজন নেই (অর্থাৎ উচ্চারণ দীর্ঘ না হলে) এমন শব্দে ঈ-কারকে ই-কার দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

যেমনঃ জরুরী > জরুরি

এই রীতিটা কি সুবিধাজনক না?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রেনেট এর ছবি

বুঝছি...দুনিয়ার সবকিছুই ইকার দিয়ে লেখা শুরু করব এখন থেকে...আজ হোক কাল হোক সে বানান শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

পল্লব এর ছবি

খুব খারাপ আইডিয়া না। ঈ-কার, ঊ-কার বাদই দেওয়ার চেষ্টা চলছে যদ্দুর জানি। শুধু সংস্কৃত থেকে আসা শব্দগুলো নিয়ে ঝামেলা।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

পল্লব এর ছবি

আমারও গেঞ্জাম লাগতেসে। পন্থি কবে হইল?! Smiley

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

আপনি দেখছি হাচল হয়ে গেছেন! অভিনন্দন!! Smiley

পন্থী কবে পন্থি হলো জানিনা। কিন্তু দাবী যে দাবি হয়ে গেছে আর বন্দী যে বন্দি হয়ে গেছে তা প্রায় একযুগ ধরে জানি। এক পত্রিকায় লেখা দিয়েছিলাম। সেটা যখন সম্পাদিত বানানে ছাপা হলো তখন দাবি, বন্দি দেখে আমিও অবাক হয়েছিলাম বেশ। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

পল্লব এর ছবি

দেঁতো হাসি থেঙ্কু! আজকেই হইলাম। এদ্দিন একটা কিছু লিখে নিচে নাম টাইপ করতে ভুলে গেলে কি যে মেজাজ খারাপ হইত! নিজের একখান ছবি পর্যন্ত লাগাইতে পারতেসি। Smiley

বন্দি, দাবি, ভাবি এগুলা জানতাম। কিন্তু পন্থিটা জানতাম না। জানলাম এখন।

পত্রিকায় কি লেখা দিসিলেন? কোনটায়? কবে? কি নিয়ে?

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

স্কুলে থাকতে ছোটদের কাগজে লেখা দিয়েছিলাম। পোলাপাইনা ছড়া।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

চেষ্টা করেছিলাম, তবু ভুল রয়ে গেছে...
শুধরে দিন সবাই মিলে, ধন্যবাদ! হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

চিন্তিত 'দারুণ' তো ঠিক করেছিলাম!

বাকিগুলোর জন্যে.. বুনোপা, তোমাকে থ্যাংকু!! হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

হালকা ঢঙে লেখা, তবে হালকা লেখা নয়... এটুকু বোঝা গেলো!!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্পর্শ এর ছবি

কই, ঈশ্বরতো সমাজতন্ত্রী না! মোটেই না।
নাকি আমি এই পোস্টের মূল সুর ধরতে ব্যর্থ হলাম। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তাসনীম এর ছবি

না ব্যর্থ হননি, এটা আমার ধারনা মাত্র।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্পর্শ এর ছবি

ওহ, তাহলে স্যাটায়ার। (মাথা চুলকানোর ইমো)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নাশতারান এর ছবি

"কেন জানি আমাদের নিয়ে উনার কিছুই যায় আর আসে না"-এই যদি হয় সমাজতন্ত্র তবে সমাজতন্ত্র নিঃসন্দেহে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।

"সবার প্রতি সমদৃষ্টি" আর "নিজেকে সবকিছুর উর্ধ্বে রেখে সবার প্রতি নির্লিপ্ত থাকা" কি এক?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

"সবার প্রতি সমদৃষ্টি" আর "নিজেকে সবকিছুর উর্ধ্বে রেখে সবার প্রতি নির্লিপ্ত থাকা" কি এক?

সীমারেখাটা খুব ওয়েল ডিফাইন্ড না যদিও...এটা হালকা লেখা, আমি জটিল আলোচনায় যাচ্ছি না, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

ভাইয়া, আপনি হালকা মেজাজে লিখেছেন। লেখার বিষয়বস্তু কিন্তু হালকা নয় মোটেও। এ প্রসঙ্গে জল বহুদূর গড়াতে পারে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

এই বিষয়ে যদি জল বেশি গড়ায় তাহলে লেখাটা সরিয়ে দেব।

আমি আস্তিক, নাস্তিক বা সমাজতন্ত্রী কাউকেই আহত করতে চাই না। আমাদের আপেল কে আপেল হিসাবে দেখার চোখ থাকতে হবে। এর বেশি আর কিছু বলছি না।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

তাসনীম ভাই,

আহত না করে সুশীল থাকা একটা ভ্রান্ত ধারমা বলে আমি ধারমা করি। হক কথা বললে কেউ না কেউ আঘাত পাবেন। তাতে হক কথা বলা বন্ধ করলে চলবে না।

আর এই লেখাটার আগাগোড়া কিছুই বুঝলাম না।

তাসনীম এর ছবি

আহত করে দুঃশীল হওয়ারও কোন কারন দেখি না। হক কথা নানান ভাবেই বলা যায়।

লেখা না বুঝলে অসুবিধা নেই।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বস্‌

এভাবে ভাবি নাই। আসলে বোঝাবুঝি একটা ভ্রান্ত ধারমা। এইমাত্র এই ধারমা জন্মালো। চোখ টিপি

তাসনীম এর ছবি

ভ্রান্ত ধারমাটাই হয়ত আসলে একটা ভ্রান্ত ধারমা ছোটভাই চোখ টিপি

ভালো থেক।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাবিহ ওমর এর ছবি

শান্তি, শান্তি...

নাশতারান এর ছবি

শান্তি কে? চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বর্ষা এর ছবি

"কেন জানি আমাদের নিয়ে উনার কিছুই যায় আর আসে না, কে জানে এটাই হয়ত খাঁটি সমাজতন্ত্র।"---- ইয়ে, দুই মতবাদ ফেল করার কারণও মনে হয় একই।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তাসনীম এর ছবি

তাইতো মনে হয়...মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খালি সমাজতন্ত্র না, ঈশ্বরের দুনিয়ায় পুরাদমে রাজতন্ত্রও বিদ্যমান। অন্যকেউ এখানে এসে গণতন্ত্রের হাদুমপাদুম করতে শুরু করলেই, "যাও বাচ্চা, সো রহো!"

একটু আগে, আমার ফ্লোর মেটকে উপদেশ দিচ্ছিলাম,

-- এক কাম করো!

- কী কাম?

-- তুমি ইলেকশন করো।

- কোন দলের হয়ে?

-- আরে মিয়া, কোনো দলের হয়ে না। ডাইরেক্ট পদের জন্য ইলেকশন করো।

- কী পদ?

-- ঈশ্বর পদ!

- (অবাক হয়ে) কী পদ??

-- আরে ালটা, ঈশ্বর! ঈশ্বর পদের জন্য ইলেকশন করো।

- (এইবার পুলা লাইনে আসলো) তো কেমনে ইলেকশন করবো?

-- এইটা মনেকরো কোনো ব্যাপার না। ইলেকশন কমিশনের সামনে গিয়ে হাউকাউ শুরু করে দাও। ওরা তফসিল ঘোষণা করে দিবে। তারপর যা করতে হবে...

- তারপর কী করতে হবে ইলেকশনে জিততে হলে? মিরাক্যাল, টিরাক্যাল কিছু...?

-- সেইটাই তো কইতেছিলাম। দিলা তো ঠেলে বাম হাত। তারপর তুমি শুরু করবা দুর্নীতি। আংরেজীতে যাকে বলে করাপশন।

- করাপশন করে কি আর ঈশ্বরকে হারানো যাবে?

-- আরে কয় কী বেক্কলে, পারবা না মানে, আলবৎ পারবা। করাপশন দিয়া মিরাক্যালকে হারায়া দিবা! জয় বাবা ভবানী।

আমার আইডিয়া শুনে বেচারা সদ্য বেল করা মাথা চুলকাতে চুলকাতে চলে গেলো। আমি কয়েকবার অবশ্য প্রস্তাব দিছিলাম, "আসো তোমার বেলে পিকাসোর চেয়েও নামী লোকের চিত্রকর্ম এঁকে দেই!" হালায় রাজী হয় না। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তাসনীম এর ছবি

চলুক

অটঃ জিগলিন্ডের বেল মাথা নাকি? আজকাল মেয়েরাও মাথা বেল করে, কলিকাল।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা থেকে মন্তব্যটায় বেশি মজা পেলাম। দেঁতো হাসি

নহক

জি.এম.তানিম এর ছবি

ঈশ্বর সমাজতন্ত্রী কিনা কইতে পারি না... কিন্তু আমি সমাজ জিনিসটা অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে সামাজিক বিজ্ঞান (সোশলজি)। মাধ্যমিকে পড়ার সময় ভাবছিলাম আর এইটা পড়া লাগবে না সারা জীবনে, এবং খুশিও হইছিলাম। তাপ্পরে, মিস্ত্রীগিরি শিখার সময় দেখলাম, ৪ বছরে আমার সবচে প্রিয় হইল সমাজ বিজ্ঞান! এ প্রসঙ্গে হার্বার্ট স্পেনসার বলেছেন... (বইটা খুঁজে বাইর কর্তেসি...)

(সিগনেচার, জিয়েমটি, ধূগো ইঞ্চার্জ, ঢাকা শাখা)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

টিউলিপ এর ছবি

তানিম তোমার সিগনেচার পছন্দ হইলো, একটা সিল বানায় ফেল!
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

জি.এম.তানিম এর ছবি

বানাইলাম! দেঁতো হাসি

ধুগো ইঞ্চার্জ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

পল্লব এর ছবি

হাহাহা! একদম খাঁটি সরকারি সিল হইসে! হো হো হো

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জি.এম.তানিম লিখেছেন:
বানাইলাম! দেঁতো হাসি

ধুগো ইঞ্চার্জ

হে হে হে
ভাবতেছি একটা ধুগো (পিভিটি) লিমিটেড খুলেই ফেলবো কিনা! ফ্রেঞ্চাইজ বেচে দু'চার পয়সা যদি আসে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আজাদ [অতিথি] এর ছবি

..ঈশ্বর একটি তন্ত্রমন্ত্রহীন অবোধ ও পরিপূর্ণ ভ্রান্ত ধারমা..

তাসনীম এর ছবি

হতে পারে, প্রত্যকেরই একটা ঈশ্বর ভাবনা থাকে, বিশ্বাস করলেও থাকে না করলেও থাকে, সংশয়বাদীরও থাকে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

হুমমম ...... আপনার একটা কেমন যেন সহজাত রসিকতা-প্রবণ ভঙ্গি অন্যান্য লেখায় পাই যেটা এই লেখাটাতে পেলাম না হাসি

অতিথি লেখক আজাদের মন্তব্যের উত্তরে দেখলাম আপনি লিখেছেন - "প্রত্যকেরই একটা ঈশ্বর ভাবনা থাকে, বিশ্বাস করলেও থাকে না করলেও থাকে, সংশয়বাদীরও থাকে।"
'জটিল আলোচনা' মনে না হলে, এই 'ঈশ্বর ভাবনা' বলতে আপনি ঠিক কী বুঝিয়েছেন, বলবেন নাকি? মানে, 'প্রত্যেক'এর মধ্যে কি আপনি নাস্তিকদেরও ধরছেন? এই ঈশ্বর ভাবনা বলতে কি মানুষের সৃষ্টি/প্রকৃতি এসবের উৎস সম্পর্কে জানার আগ্রহকে বোঝানো হচ্ছে, নাকি অন্যকিছু?

তাসনীম এর ছবি

বেশি কথা বলা বিপদ তাই কথা সংক্ষেপ রাখতে চাই হাসি

আমাদের সীমাবদ্ধতা থেকেই আমরা ঈশ্বরকে শক্তিশালী কেউ ভেবে থাকি, এটা থেকে এই লেখা। এটাই ঈশ্বরের সাধারণ রূপ।

ঈশ্বর নিয়ে ধর্মীয় আলোচনায় যা বলা হয়, আমি ঠিক সেই কথাগুলোই কিন্তু অন্যভাবে বলেছি একটু, দেখার জন্য কেমন শোনায়। একটু এক্সপেরিমেন্টাল, মনে হয় না সাক্সসেফুল হয়েছি।

লেখার সময় বুঝিনি, কিন্তু মন্তব্য পড়তে গিয়ে বুঝছি, নানান রকম অর্থ হতে পারে এই লেখার। আমি মন্তব্যের গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করছি।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

হা হা - না, তা কেন? বেশি কথা বলার থাকলে বলবেন না কেন? হাসি

ঈশ্বর নিয়ে ধর্মীয় আলোচনায় যা বলা হয়, লেখাটাতে যে আসলে তাইই বলা হয়েছে, সেটা কিন্তু বেশ স্পষ্ট। সত্যি বলতে, লেখা পড়ে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিলো আপনি ঈশ্বরবিশ্বাসী, সেই বিশ্বাস বেশ পোক্ত, এবং লেখাটা সেই অবস্থান থেকে অনেকখানি মুগ্ধতা নিয়ে লেখা।

ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে আমার প্রশ্ন নেই।

আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম, আপনি কি আসলেই মনে করেন যে প্রত্যেকটি মানুষেরই 'ঈশ্বর'-ভাবনা থাকে? সেটা যে মাত্রারই হোক? সাধারণভাবে মানুষ ঈশ্বরকে নিজের চাইতে শক্তিশালী ভাবে, হ্যাঁ ঠিক। কিন্তু, যিনি ঈশ্বরের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করেন না, তিনিও?

তাসনীম এর ছবি

বিশ্বাসের মূল যেমন লম্বা বা ছোট হতে পারে তেমনি অবিশ্বাসের মূলও তাই হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে বিশ্বাসটা যেমন বাইরে থেকে দেখা যায় না অবিশ্বাসটাও তাই। সত্যিকারের বিশ্বাসী পাওয়া যেমন দুষ্কর, তেমনি দুষ্কর সাচ্চা নাস্তিক পাওয়া। আমার ধারনা আমরা মোটামুটি গ্রে-লাইনে বাস করি। মুখে যত ঈশ্বরকে ডাকি, অন্তরে তা না, তেমনি মুখে যত খানি ঈশ্বর দূরে রাখি, অন্তরে তা না। বিপদে পড়লে অনেক নাস্তিক ঈশ্বরকে ডাকেন, তেমনি অনেক ঘোরতর আস্তিক ঈশ্বর ভুলে নানান অনাচার করেন। টু সাম এক্সটেন্ট আমার মনে হয় আমরা সবাই কিছুটা বিশ্বাসী এবং একই সংগে কিছুটা অবিশ্বাসী।

সবাই অল্প ডোজে ঈশ্বরকে আমরা ধারন করি। ঈশ্বর বলতে আমি ধর্ম বুঝাই নি।

আমি কি বুঝাতে পারলাম?

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

শুভ নববর্ষ সবাইকে!!!

(উড়ে এসে যখন এই কমেন্ট জুড়তেই চাইলো আগেভাগে) দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

না, ঈশ্বর বলতে আমিও ধর্ম বোঝাই নি, প্রথম মন্তব্যে তাই সেটা বলেও দিয়েছিলাম। আপনি বোঝাতে পেরেছেন যে আপনি বিশ্বাস করেন -

টু সাম এক্সটেন্ট আমার মনে হয় আমরা সবাই কিছুটা বিশ্বাসী এবং একই সংগে কিছুটা অবিশ্বাসী।
সবাই অল্প ডোজে ঈশ্বরকে আমরা ধারন করি

এবং, আমার প্রশ্ন এটাই ছিলো। অতএব, উত্তর পেয়েছি হাসি

তাসনীম এর ছবি

হাসি

একটু অফটপিক, শিবরাম চক্রবর্তীর আত্মজীবনী "ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা" আপনি কি পড়েছেন? ঈশ্বরের মতই দুষ্কর হতে পারে বইটা এখন পাওয়া, ওয়ার্থ রিডিং...উনি বলেছেন এই তিন বস্তু আমাদেরকে ভুগাতে পারে বিস্তুর, কিন্তু রোগ প্রতিষোধক টিকার মত ছোটবেলায় অল্প ডোজে এই তিন জিনিস পেলে বড় হলে আর কাবু হয় না কেউ এতে। উনার শৈশব ও কৈশোরে উনি তিনটি জিনিস পেয়েছিলেন, তাই নিয়েই আত্মজীবনী।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

বহু, বহু, বহু বছর আগে সেই মোটা বইটা পড়া হয়েছিলো। কিচ্ছু মনে নেই। কোন তিনটা জিনিষ? ঈশ্বর, ভালোবাসা আর পৃথিবী? উনি ভালোবাসা ছোটবেলায় পেয়েছিলেন নিশ্চিত, কিন্তু সারাজীবন তো একাকী ছিলেন। তাই প্রেম অর্থে কোন নর/নারীর ভালোবাসা পেয়েছেন কিনা বলা মুশকিল। অবশ্য, ওনার কথা মতো - না পেয়ে তো টিকার গুণে কাতরও হন নি ......

তাসনীম এর ছবি

হ্যাঁ...ঈশ্বর, ভালোবাসা আর পৃথিবী। রিনি নামের একজন মেয়ের ভালোবাসা তিনি পেয়েছিলেন কৈশোরে, উনার কাছে তিনি ঋণী হাসি

শিব্রামের মা ছিলেন খুবই ঈশ্বর বিশ্বাসী আর অনটনের সংসারে পৃথিবীর উপস্থিতিও ব্যাপক ছিল।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হিমু এর ছবি

দুই খণ্ডে না এটা? ভালোবাসা পৃথিবী ঈশ্বর বোধহয় দ্বিতীয় খণ্ডের নাম।

আমি কেবল নামই শুনেছি বই দুটোর, চোখে দেখা হয়নি, চেখে দেখা তো দূরের কথা। আপনার হাতের নাগালে থাকলে একটা রিভিউ লিখুন না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তাসনীম এর ছবি

আত্মজীবনীর একটাই খন্ড ঈশ্বর, পৃথিবী, ভালবাসা। আমার কাছে আছে, এখনও মাঝে মাঝে পড়ি, কবি নজরুল ইসলাম, প্রেমেন্দ্র মিত্র, হেমেন রায়, এরা সবাই আছেন এই গল্পে। আমার নিজেরো ইচ্ছা আছে বইটা নিয়ে লেখা। কিছু কিছু অংশ বিস্ময়কর। বইটা অনেক খোঁজাখুঁজি করে জোগাড় করেছি, নিউমার্কেটে বুক ভিউতে প্রায় ১২/১৩ বছর আগে। এখন পেতে বেগ হতে হবে বেশ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

হিমুই ঠিক। আত্মজীবনীর দুটি খণ্ড। প্রথমটির নাম 'ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা', দ্বিতীয়টি 'ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর'। আমি প্রথমটাই পড়েছি, তাও খাবলা খাবলা। দ্বিতীয়টা দেখেছি।

শিব্রামের একটা স্বভাব ছিলো, তিনি অনেকক্ষেত্রে ছোটগল্প অনুবাদ করে পত্রিকায় পাঠাতেন, লেখকের নাম উল্লেখ না করেই বা, কৃতজ্ঞতাস্বীকার না করেই।

মজার ব্যাপার হলো, তাঁর পেরথম আত্মজীবনীটায় তিনি সমারসেট মমের (সম্ভবত) একটা ছোট গল্পের অনুবাদ চালিয়ে দিয়েছেন। আপনার কাছে যেহেতু বই আছে, তাই দেখুন, ঘটনাটা হচ্ছে তাঁর বান্ধবীর মায়ের সাথে স্নানের সময়....(বাকিটা লজ্জায় গলা শুকিয়ে গেলো, তাই...)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

তাসনীম এর ছবি

দ্বিতীয় পার্টটা যোগাড় করতে হবে।

তবে আপনার মন্তব্যের পরের অংশটাতে বিস্ময় হচ্ছে। উনার অনেক হাসির গল্প বিদেশি গল্প থেকে নেওয়া সন্দেহ নেই কিন্তু তাই বলে আত্মজীবনীর ঘটনা?

রিনির মায়ের স্নানের ব্যাপারটা পড়তে গিয়ে ব্যাপক ধাক্কা লেগেছিল, সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা সমারসেট মম থেকে মেরে দেওয়া? আপনি কি গল্পটার নাম উল্লেখ করবেন? আমি একটু কনফিউজড হয়ে গিয়েছি। সমারসেট মমের গল্প খুব বেশি পড়িনি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

হ (কপিরাইট: সুমঞ্চৌ)।

আমি গল্পটা প্রথম পাই 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ....গল্প' নামের একটা বইতে। নানা ভিনদেশি লেখকদের অনুবাদ ছিল সেখানে। বইটা আমার এক কাজিনের, যে আবার আমার চাইতে বয়েসে বড়। তাই, বইটা এখন কোথায় পাওয়া যাবে, তা বলতে পারছি না। এবং, গল্পটা আসলে মমের-ই কিনা, তাও নিশ্চিত করতে পারছি না। ওখানটায় পিরানদেল্লো থেকে শুরু করে লরেন্স, কুন্ডেরা ইত্যাদি অনেকেরই লেখা ছিলো। তাই, লজ্জিত!

তবে, আমি গল্পটা পড়েছি, এটা নিশ্চিত। শিব্রামের একটা মধুর রসিকতা হতে পারে এটাও। চোখ টিপি
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

শরতশিশির এর ছবি

মানে 'উপরওয়ালা' - সাকার-নিরাকার যেই হোক না কেন। ধর্ম-মত-বর্ণ-লিঙ্গের সাথে তাকে মেলানো হয় না, তাই না?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

শরতশিশির এর ছবি


আমি কিন্তু বুঝলাম ঠিকই যে, এটা স্যাটায়ার (রম্যরচনা, যেটা আপনি ট্যাগ করে দিয়েছেন)। স্যাটায়ারে সূক্ষ্ণ রসবোধ থাকে, কাজেই অন্য লেখাগুলোর চেয়ে এটার রসের যোগান অন্যরকম।

অনেকভাবেই দেখা যায় লেখাটার পার্স্পেক্টিভ - হয় 'ঈশ্বর' আছেন দেখেই অনেককিছু আমরা 'ফ্রি' পাই, যেটা আবার 'জগতের নিয়ম' বা 'ইউনিভার্সাল ট্রুথ' হিসেবে গণ্য করা হয় যদি কেউ ঈশ্বরে বিশ্বাস না করেন। আবার, অনেক অনাচারেই 'তাঁকে' না পাওয়াটা যেন তাঁর অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। যাঁর দুয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানান দেন নানা ধর্মে আর তাদের নানা পবিত্র গ্রন্থে, সেই 'তিনি' আর 'তাঁর রাজ্যে' চলে যত গোজামিল, আর নানা ধরণের বৈষম্য! কেউ কেউ যেন সাক্ষাৎ বরপুত্র (বা কন্যা) হয়ে আয়েশে পার করে দেন জীবন, আর কেউ কেউ জীবনের নানা গলি-ঘুপচিতে হারিয়ে খুঁজেন নিজের কৌতুকময় অস্তিত্ব। মাঝের যারা, সারাজীবন যেন পুতুল নাচের মতো ব্যালেন্স করে চলেন তাদের অস্তিত্ব।

তাহলে কী তাঁর তন্ত্র - সমাজমুখি, একলব্য শাসন, নাকি বহুমতের আচার? কার জন্যে তিনি, কার জন্যে নন, আর আদতেই কি তিনি আছেন?


''ঝাল্মুড়ি'' যে আপনার পাঁচমেশালী লেখার ঝাঁপি, সেটা আগের পার্টে বলে দিয়েছিলেন কিন্তু একটা পরিষ্কার ডিসক্লেইমার মনে হয় ছিলো না। এরপরের প্রত্যেক লেখাতে সেটা দিয়ে দিয়েন আগে, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে যে এখানে ''আবঝাব'' বা ''ব্লগরব্লগর'' 'তাসনীমিয় চিন্তাভাবনা' হয়ে আসছে। তাহলে, যারা প্রত্যেক লেখাতে একটা সিরিয়াস 'মানে' খুজতে আসবে, তারা এসে আর খুঁজবে না। চোখ টিপি


বানানশুদ্ধির জন্যে আলাদা জায়গা করে দেওয়াটা পছন্দ হয়েছে। তাইলে আর সব মিলে মিশে একাকার হওয়ার সুযোগ থাকে না।


কে কি রেটিং দিলো, একদম দেখবেন না (আমি জানি দেখেন না এম্নিতেও)। এবং, কে কী বললো, সেটাও কন্সট্রাকটিভ না হলে, গায়ে মাখবেন না। আপনার গল্প আপনি বলে যাবেন। কেননা, কেউ না কেউ ঠিকই আপনার কোনো না কোনো পয়েন্টে নিজের ভাবধারা খুঁজে পাবে, এবং একই সাথে অনেকে পাবেও না। নানা মুনির নানা মত। সেটার জন্যেই তো সচলে আমাদের পদচারণা, তাই না?

ভাল থেকেন। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ শরতশিশির। বেশ ভালো একটা সামারি করে দিয়েছ হাসি

রেটিং নিয়ে কখনো চিন্তিত নই, সব লেখা সবার ভালো লাগবে এটা আশা করাও বাতুলতা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

এই ফাঁকে বলি, শুভ নববর্ষ! অস্টিনের বাংলা স্কুলের প্রোগ্রামে যাচ্ছেন আপনারা? ইশ্‌, আমার চেনা মুখগুলো থাকবে কিন্তু আমি থাকবো না!

আর, মেয়েরা 'বেল্মাথা' হলে অসুবিধা কি, হ্যাঁ? আমার তো করার শখ ছিলো, এইচএসসি'র সময়ে আমার মাথার পেছনে একদম শেইভ করা ছিলো, এন্ড আই ওয়াজ ভেরি প্রাউড অফ ইট! চোখ টিপি

দেখেন তো, এই এনাকে চিনেন কী-না? এরকম সুন্দর হলে আমি কবেই পার্মানেন্টলি ''বেল্মাথা'' থাকতাম! অবশ্য আমার মা হার্টফেল করতো! চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সবজান্তা এর ছবি

ঈশ্বর একটা অভ্যাস। এর বাইরে বোধহয় কিছু না।

তবে অভ্যাস না বদভ্যাস সে তর্কে নতুন বছরের এই চমৎকার সকালে আর যেতে চাই না !


অলমিতি বিস্তারেণ

তাসনীম এর ছবি

না যাওয়াই ভালো, শুভ নববর্ষ...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হরফ এর ছবি

তাসনীম আমি অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে ফাইনালি প্রায় নাস্তিক হয়েই গেছি। সরস্বতী পূজোর আগে নির্দিধায় কুল-টুল খাই। ভাবছিলাম ঈশ্বর বনাম প্রকৃতি/আ্যনথ্রপোলজি নিয়ে জোরদার তক্ক করি আপনার সাথে কিন্তু মা-শিশু এসব বলে ঘেঁটে দিলেন ব্যাপারটা। যাগ্গে তোলা রইলো।
-------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

তাসনীম এর ছবি

তোলা থাকুক...আমিও তর্কের মুডে নেই বুঝেছেন নিশ্চয় হাসি

নাস্তিক আর অধার্মিক কিন্তু এক নয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হরফ এর ছবি

ধর্ম অর্থাৎ যা ধারণ করে i.e. লাইফস্টাইল/ জীবনচর্যা, মশাই এর থেকে ঘোর সদিচ্ছে থাকলেও সম্পূ্র্ণ বেরোনো মুশকিল, হয়তো সম্ভবও না। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ফলের আশা না করেই। আমি আপাতত: "ঈশ্বর" এবং অরগ্যানাইজড রিলিজিয়নে অবিশ্বাস অর্থে নাস্তিক বোঝাচ্ছি। কিন্তু ১০০% "যুক্তিবাদী" হতেও ঘোর সাধনার প্রয়োজন, সোজা না একেবারেই।
___________________________
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

পল্লব এর ছবি

ঈশ্বরকে নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার মত জ্ঞান বোধ হয় আমার নাই। কিন্তু যেটুকু দেখেছি, আমার মনে হয়, মানুষের ভাগ্যনির্ধারণের ব্যাপারটা যদি সত্যিই ঈশ্বর নামে কেউ সামলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তিনি খুব খামখেয়ালি গোছের এবং তাঁর খুব আজব, ক্ষেত্রবিশেষে বিশ্রী ধরণের, কৌতুকবোধ আছে।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বানান বাক্সটা রেখেছি বানানের জন্য। ওখানে অন্য মন্তব্য না দিলেই খুশি হব।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হলুদ-মডু এর ছবি

লেখকের অনুরোধে মন্তব্য ৫১ আর ৫২ মুছে ফেলা হল। একটি লেখার উপর ভিত্তি করে মন্তব্য স্রোত কোথায় যাবে সেটার নিয়ন্ত্রন খানিকটা লেখকের থাকা উচিৎ। কারণ অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে লেখক খানিকটা দায়ী বোধ করতে পারেন। একারণেই পূর্ণ সচলেরা নিজ ব্লগে মন্তব্য মডারেশনের সুযোগ পান।

এক্ষেত্রে তাসনীম এর যুক্তিটা গ্রহণযোগ্য ছিল। মন্তব্যদুটি আলোচনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে পারত। তাই মন্তব্য দুটি মুছে দেয়া। মন্তব্যকারীদের কাছে অনুরোধ থাকল এটাকে ব্যক্তিগতভাবে না নেবার জন্য।

আপনাদের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারলাম না। এটি স্বৈরাচার সমর্থন করে এমন একটি সিদ্ধান্ত।

এ ধরণের তর্ক হামেশাই হচ্ছে, এবং আলোচনা অন্য খাতে যাচ্ছে। সেটা মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের ভিত্তিতেই মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা সম্ভব, এবং উচিৎ। আজকে এই লেখককে এই স্বাধীনতা দেয়া হলে, এর আগে যে সব পোস্টে লেখকের বা অনেক পাঠকের ধারণায় ভিন্ন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সে সব ঘটনার প্রতি সুবিচার হলো কী করে? উদাহরণ হিসেবে, নাভিদ সালেহ-র পোস্ট, ষষ্ঠ পাণ্ডবের মুজিব বাহিনী নিয়ে পোস্ট, সিরাতের পোস্ট - এরকম অনেক উদাহরণই আনা যেতে পারে।

এখানে যে মন্তব্য দুটি ছিলো, তাদের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারতো, বা তাদের কাছে মন্তব্যের যুক্তি চাওয়া যেতে পারতো। লেখক সেটা চাননি, কারণ তিনি বিতর্কের মুডে ছিলেন না, সেটা বলেই দিয়েছেন। লেখক কী লিখবেন, আর সেটা কীভাবে পাঠকের কাছে ইণ্টারপ্রেটেড হবে, সেটা লেখক বেঁধে দিতে পারেন না। তাকে তার লেখার কনসিকোয়েন্সগুলো মোকাবেলা করতে হবে। বিতর্কের মুডে না থাকলে সেরকম লেখা না ছাড়াই ভালো।

হলুদ মডুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি।

হলুদ-মডু এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মডারেশন আসলে এখানে কারো পক্ষ নিচ্ছে না। এতে ব্লগারকে অতিরিক্ত প্রোটেকশন দেয়া হচ্ছে না। অতি সম্প্রতি খুব অল্প ব্যবধানে বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে বিধায় আরেকটি সম্ভাব্য বিস্ফোরণ ঠেকানোই এর উদ্দেশ্য ছিল।

লক্ষ্য করুন যে পূর্ণ সচল কিন্তু নিজ ব্লগে নিজে মন্তব্য মডারেট করতে পারেন। ব্লগার নিজের পোস্ট ডিলিটও করতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হলে দুটো ক্ষেত্রেই একপক্ষকে চরম মনক্ষুন্ন হয়ে গিয়ে সিদ্ধান্তটা নিতে হয়। মডারেশনের লক্ষ্য ছিল সেই চরম মুহুর্তটা এড়ানো।

আমরা সবাই আমাদের নিজস্ব অবস্থান এবং সিদ্ধান্তের বৈচিত্র্য নিয়েই একসাথে অবস্থান করতে পারি। নববর্ষে এটাই আমাদের লক্ষ্য হোক।

স্নিগ্ধা এর ছবি

হলুদ-মডু, আপনার প্রতিমন্তব্য প্রকাশিত হবার আগেই আমার নিচের মন্তব্য লিখে ফেলেছি। একই কথা বারবার বলাটা বিরক্তিকর, দরকারও নেই যেখানে আপনি যুধিষ্ঠিরকে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করেইছেন, তাই বাহুল্য মনে হলে আমার মন্তব্য মুছে দেবো।

আমি অবশ্য কোন বিশেষ ব্লগারকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে সেটা মনে করিনি। আমি স্রেফ মন্তব্য মোছার ব্যাপারটা সমর্থন করছি না, এখনও, এটাই জানাতে চেয়েছি।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ওপরে স্নিগ্ধা যেরকম বললেন, আমার বক্তব্য সেটাই। স্রেফ মন্তব্য মোছার ব্যাপারটা সমর্থন করছি না, এখনও। বিচ্ছিন্ন প্রফেনিটির কারণে আমরা আগে মন্তব্য বা পোস্ট মুছে দিয়েছি, সেটি অন্য ব্যাপার। কিন্তু মন্তব্যের প্রবাহ লেখকের আশানুরূপ যাচ্ছে না বলে মুছে দেয়া, সেটি যদি সচলের নর্ম হয়, সেরকম সচল দেখতে পাওয়াটা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক হবে।

সচলরা মন্তব্য মুছতে পারেন ঠিকই, কিন্তু সেটি সাধারণভাবে সচলে একটি অত্যন্ত অপ্রিয় বিষয়। তারপরও সেটি একজন সচলের ব্যক্তিগত হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু মডুরা যখন এটি সমর্থন করছেন, তার মানে দাঁড়ায় যে এটি সচলের নীতি। এই নীতি হয়ে যাওয়াটাতেই আমার আপত্তি। সেটি বহাল থাকলো।

কালো-মডু এর ছবি

আপনার আপত্তিতে মডারেটরদের আপত্তি নেই। বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে এটা আপনার যৌক্তিক অবস্থান। তেমনি মডারেটরদের মন্তব্যকারীদের মন্তব্য নিয়েও খুব জোর কোন আপত্তি নেই। আপত্তি নেই লেখকের অবস্থান নিয়েও।

সচলায়তনকে যদি একটা হাব বা রাউটারের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে মডারেটরের অবস্থান হচ্ছে একটা হাবের নিয়ন্ত্রক সত্ত্বার মত। সবার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের আদান প্রদান চলছে এই সচলায়তন হাবের মাধ্যমে। কিন্তু এটা যখন সংঘর্ষে পরিণত হতে যায় তখন সেই সাংঘর্ষিক আদান প্রদান কে নিয়ন্ত্রন করে এই মডারেশন। এটা মডারেটরের স্বেচ্ছাচারিতাও নয়, স্বৈরাচারিতাও নয়। সাধারণ কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন। এই সচলায়তন হাবই হচ্ছে আমাদের এক হবার কেন্দ্র, এই হাবই হচ্ছে আমাদের ভিন্ন মতামত সহাবস্থানের কেন্দ্র।

তবে মডারেশনের নিজস্ব কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান আছে। সেটা নীতিমালায় স্পষ্ট আকারে বলা আছে। সেটুকু বাদে কারো পক্ষ নেয়া মডারেশনের উচিৎ নয়।

মন্তব্যের বা লেখার আপত্তি করলে অতীতে নীচের তিনটি পদক্ষেপের একটা নেয় হত:
১। আপত্তিকর বিষয়টিতে মডারেটররা সম্মতি জ্ঞাপন করেন না। আপত্তি তুলে নেয় হয়।
২। আপত্তিকর বিষয়টিতে মডারেটররা সম্মতি জ্ঞাপন করেন। বিষয়টি সরিয়ে (মুছে বা অপ্রকাশিত করে) দেয়া হয়।
৩। বিষয়টি শুধুমাত্র অবস্থানের পার্থক্য। হয় দুপক্ষই সঠিক অথবা দুপক্ষই ভুল। এক্ষেত্রে আলোচনা করা হতে পারে অথবা আপত্তিকর চিহ্নিত হিসেবে বিষয়টি রাখা যেতে পারে।

সময়ের সাথে আমরা স্বৈরাচারিতা বা ফ্যাসিজম ব্যাপারটার কথা চিন্তা করে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকি। এর ফলাফল হচ্ছে সাম্প্রতিক অসহিষ্ণুতা এবং ব্লগারদের বিদায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন বড় কিছু না। অথচ ফলাফল মারাত্মক!

তাই আমাদের সাম্প্রতিক উপলব্ধি হচ্ছে, স্বৈরাচারিতা বা ফ্যাসিজমের কাদা গায়ে লাগুক কিন্তু আত্মঘাতী বিষয়গুলো যেন ঠেকানো যায়। মত দ্বৈততা যেন আত্মঘাতী কিছু না হয়।

সেইসাথে মডারেটরদের সমালোচনাও চালু থাকুক। আফটার অল, কমুউনিটি হিসেবে সচলায়তনও বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মডারেশন হয়ত সবসময় তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করবার সময়, সুযোগও পাবে না। কিন্তু এটুকু বিশ্বাস রাখুন আমরা বড় আকারের সমস্যাগুলোর কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত গুলো নিচ্ছি। আর আমাদের নিজেদের মধ্যে এই বিশ্বাসটা যতদিন থাকবে ততদিন আমরা সচলরা নিজেদেরকে সেরা ব্লগার হিসেবে দাবী করতে পারব। সচলায়তনের নামকরনের সার্থকতা তখনই প্রমানিত হবে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আপনার মন্তব্যে আমার সহমত আছে। আপত্তি ছিলো হলুদ মডুর এই কথাটাতে:

এক্ষেত্রে তাসনীম এর যুক্তিটা গ্রহণযোগ্য ছিল। মন্তব্যদুটি আলোচনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে পারত। তাই মন্তব্য দুটি মুছে দেয়া।

আমার বোঝার ভুল হতে পারে, তবে এটি আপনার কথার মূলভাব থেকে একটু ভিন্ন অর্থ বহন করে। নীচে তাসনীম ভাইয়ের বক্তব্য দেখেও মনে হলো, উনি মূলত প্রফেনিটি-র জন্যই লেখা মুছে দিতে বলেছিলেন। বক্তব্যের স্রোত বা ভিন্নস্রোতকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য নয়। শুধু প্রফেনিটি বন্ধে মুছে দেয়া হলে আমার আপত্তি নেই।

কিন্তু যদি শুধুই লেখকের ইচ্ছে অনুযায়ী বক্তব্যের ধারা যাচ্ছে না বলে কিছু মুছে দেয়া হয়, তাহলে ব্যাপারটা "দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি" হয়ে যায়। এটাই বলতে চেয়েছিলাম।

রেনেট এর ছবি

কালো মডুর অবস্থান ও তার প্রকাশ পছন্দ হল চলুক
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্নিগ্ধা এর ছবি

এই সিদ্ধান্তটিকে আমিও স্বাগত জানাতে পারলাম না! বুঝতে পারছি অনতিদূর অতীতে অনেকসময়ই মন্তব্যের গতি পোস্টের বক্তব্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেছে, লেখক এবং হলুদ-মডু সেরকম পরিস্থিতি এড়ানোর সদিচ্ছা থেকেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন, কিন্তু তারপরও। ওপরে যুধিষ্ঠির যে পোস্টগুলো নিয়ে বললেন, সেগুলোর কোন কোনটাতে সচলে মন্তব্য না মোছার প্রচলন নিয়েও কিন্তু মন্তব্য আছে।

বিতর্কটা একটা তিক্ত দিকেই যাবে, সেটা কি এতোটাই নিশ্চিত ছিলো? হাসি

যেতে পারতো, সম্ভাবনা ছিলো, কিন্তু তাসনীমের/লেখকের বিবেচনাবোধের ওপর আমার আস্থা আছে। উনি চাইলে তর্ক না করেও বিতর্কের পরিধি সীমার মধ্যে রাখতে পারতেন/পারবেন বলে মনে করি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একমত।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার কিঞ্চিৎ অস্বস্তিটুকুও জানিয়ে গেলাম।

যেই বিবেচনা থেকে মন্তব্যগুলো মডারেট করা হয়েছে, তার সাথে আমি একমত। তবে, এটি যুধিষ্ঠিরের দেখানো উদাহরণগুলোর ক্ষেত্রেও চর্চা করা উচিত ছিলো। একই যুক্তি অতীতে বিভিন্ন সময় কার্যকর ছিলো।

বর্তমানকে পক্ষপাত বা স্বৈরাচার মনে করি না আমি, তবে অতীতের নীরবতাকে অবশ্যই অনবধানতা মনে করি। এক বা একাধিক পাঠক স্রেফ ধারণার বশবর্তী হয়ে অতীতের অনেক পোস্ট নষ্ট করেছেন। যদি আজ থেকে তেমন সব পোস্টেই মডারেশনের চর্চা হয়, তবে জোরকণ্ঠে স্বাগত জানাচ্ছি। বিচ্ছিন্ন একটি কাজ হয়ে থাকলে আশা রাখছি এটা নিয়মিত ভাবে করা হবে।

পোস্টের মূল সুর থেকে সরে এসে অন্য মন্তব্য করার জন্য তাসনীম ভাইয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার মতামতটুকু কোনো মডারেটরের দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্র তা মুছে দিতে পারেন।

শরতশিশির এর ছবি

চলুক আমি আপনার তিন নম্বর প্যারার সাথে একমত।

সহনশীলতার বড় প্রয়োজন আজকাল। এবং, সেই সাথে বুদ্ধিদীপ্ত, গঠনমূলক মন্তব্য। আমরা ভুলে যাই এগুলো অনেকসময়। সেজন্যেই মন্তব্যেও ক্ষেত্রবিশেষে মডারেশানের প্রয়োজন আছে।

আজকে শুরু হলো। চলুক। হলুদ মডুকে ধন্যবাদ। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

তাসনীম এর ছবি

৫১ ও ৫২ নম্বর মন্তব্যে কিছুটা প্রোফ্যানিটি ছিল। মন্তব্যের শালীনতা আমার একান্তই কাম্য। আশাকরি এইটুকু আমি মন্তব্যকারীদের কাছ থেকে পেতে পারি। মন্তব্য, প্রতি মন্তব্যে এবং আমার জবাব এর রেশ ধরে ঘটনা অনেকদূর গড়াতে পারে দেখে আমি মডুদের সহযোগিতা কামনা করি।

অদূর অতীতে এই রকম ঘটনা ঘটেছে, সামান্য ঘটনা অনেক বিশাল আকার পেয়েছে। আমার উদ্দেশ্য দুঃখজনক ঘটনা না ঘটতে দেওয়া। ইদানীং কেন যেন মনে হচ্ছে আপাত সাধারণ সব ঘটনা বিরাট আকার ধারন করছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

তাসনীম ভাই, আপনার লেখায় প্রোফেনিটি দেখতে হলো, সেজন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। এটা কারোই কাম্য নয়, কিন্তু সেটির প্রতিবাদ জানানোর উপায় হিসেবে "আপত্তি জানান" লিঙ্কের ব্যবহারটিই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়। উপরে হলুদ মডুর বক্তব্যের জবাবে আমার অবস্থানটা ব্যক্ত করেছি। আশা করি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

তাসনীম এর ছবি

"আপত্তি জানান" এটা যে করা যায় সেটা জানতাম না, এর আগে কখনো হয় নি। আমার ব্লগে প্রফেনিটি থাকলে সেটা যার মন্তব্যই হোক না কেন আমি মুছে দেব যদি আমার মুছে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। এবং প্রফেনিটি মোছার জন্য কারো কাছে কোন জবাবদিহি করতে আমি রাজী নই। আমার এই অবস্থানটা সচলে সবার কাছে ১০০% ক্লিয়ার করছি। প্রফেনিটির ব্যাপারে আমি মডারেশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছিলাম, সেটা আপত্তি জানান লিঙ্ক দিয়ে নয়, ই-মেইল করে। উনারা ৫ মিনিটের মধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন এই জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।

এখানে কোন স্বৈরাচারী মনোভাব নেই, দ্য হোল ওয়ার্ল্ড ইজ আউট দেয়ার ফর প্রফেনিটি, টলারেন্স ইন মাই ব্লগ ইজ শ্রেফ জিরো।


উপরে হলুদ মডুর বক্তব্যের জবাবে আমার অবস্থানটা ব্যক্ত করেছি। আশা করি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

আমি আপনার বক্তব্য ব্যক্তিগতভাবে নেই নি, আমি আমার বক্তব্য ব্যাখ্যা করলাম।

দুঃখজনকভাবে সচলে উইটলেস শ্লেষ বেড়ে গেছে। এখানে অনেকেই অনেক সময় দেয়, আমার হাতে সময় খুবই সীমিত, আমি কাউকে চিনিও না যারা এসে আমার জন্য কথা বলবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বিরোধী মানুষ, কিন্তু আমার ব্লগে অশ্লীল কথা বললে সেটা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমার কোন আপত্তি নেই, যদি আমাকে চলে যেতে হয় তবে সেটাও আমি করব। নির্বিরোধ মানে দুর্বলতা নয়।

পরিশেষে সবার প্রতি একটা অনুরোধ দয়া করা আপেলকে আপেলের মত দেখুন, রজ্জু দেখে সর্পভ্রম হওয়ার কোন কারণ নেই।

আমার সকল মন্তব্যে ইতি এখানেই।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

জল বহুদূর গড়িয়েছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্পর্শ এর ছবি

বহুদূর গড়ানো শুনে আমার কুঁজো বুড়ির গল্পটা মনে পড়ল।

‘লাউ গড়-গড়, লাউ গড়-গড়,
খাই ছিঁড়ে আর তেঁতুল,
বীচি ফেলি টুল্‌-টুল্‌।
বুড়ি গেল অনেক দূর!’


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নাশতারান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ, স্পর্শ! সেই ছোটবেলার গল্পটা!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এটি আপনি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। আপনি একটি গভীর জলের হাঁস হাসি

রেনেট এর ছবি

সচলায়তনের মেঝে মনে হয় ঢালু হয়ে যাচ্ছে। জল আজকাল যেখানেই পড়ে, বহুদূর গড়ায়।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাফি এর ছবি

লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। তবে যে মাপকাঠিতে ঈশ্বর সমাজতন্ত্রি সেই একই মাপকাঠিতে সে অন্ধ,মূক, বধির এবং অসহায়।

আলোচনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না হবার কারণে যে মন্তব্য মোছা হলো তা নিয়ে তর্ক বিতর্কে আলোচনা আরেক দফা ভিন্নখাতে চলে গেল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।