দেশবিদেশের উপকথা-সুমেরীয়

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১০/০৭/২০০৯ - ১২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[হঠাৎ একদিন এসেছিলাম সচলে, তারপর থেকে মোটামুটি নিয়মিত লেখালিখি চলছে এখানে অনেকদিনই। কত মানুষ ভালোবেসে এই অকিঞ্চিৎকর লেখনীকে গ্রহণ করেছেন। বিরক্ত হলেও বলেন নি, ভালোবেসে কত কোমল কমেন্ট করেছেন। একসময় অতিথি থেকে পুর্ণ সচল করে নিয়েছেন। মাঝে মাঝে ভাবি হয়তো যোগ্যতা ছিলো না এত ভালো ভালো জিনিস পাবার। কি ভেবে তথ্যপাতা খুলে দেখি এইটা আমার ১৫০ তম পোস্ট! উ: উফ উরে বাবা! তাই কিছুদিন বিশ্রামে যাওয়া জায়েজ হয়ে গেছে আমার। গিলগামেশ আর এনকিদুর গল্প পোস্ট করে তাই হাওয়া হয়ে যাবো। হাসি ]

গিলগামেশ ছিলেন উরুক নগরীর রাজা, তিনি দুই-তৃতীয়াংশ দেবতা, মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। যেমন সুন্দর তাঁর চেহারা, তেমনি তার শক্তি বুদ্ধি ইত্যাদি ইত্যাদি। দূরদূরান্ত থেকে লোকেরা তাঁকে দর্শনের জন্য আসতো প্রতিদিন। তিনি প্রাসাদের সামনের উঁচু বেদী থেকে নির্দিষ্ট সময়ে দর্শন দিতেন। (কেজানে মোগলদের ঝরোখা দর্শনের আইডিয়া এখান থেকেই গেছে কিনা! )

এনকিদু থাকতো বনে, সে ছিলো সরলসোজা মুক্ত মানুষ, তার গায়েও খুব শক্তি, তবে কিনা গা ভর্তি বিরাট বিরাট লোম। সে বনে বনে শিকার করে বেড়াতো, পশুচর্ম পরতো, ঝর্ণার জল খেতো, মানুষের নগরসভ্যতা বিষয়ে তার কিছুমাত্র ধারণা ছিলো না।

উরুক নগরীর দেবী ইস্তারের মন্দিরে সুন্দরী নারীরা পূজারিনী হয়ে থাকতো। এদেরই মধ্য থেকে ক'জন মোহিনী বনে গিয়ে এনকিদুকে বশ করে নগরে নিয়ে এলো। উরুকে এসেই প্রথম এনকিদুর সঙ্গে রাজা গিলগামেশের দেখা, পরিচয় শুরু হলো মল্লযুদ্ধ দিয়ে। অনেকক্ষণ যুদ্ধ হলো, গিলগামেশ জিতলো অবশেষে অনেক কসরতের পর। এর পরে এদের দু'জনের গাঢ় বন্ধুত্ব হলো। গিলগামেশ আর এনকিদু একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতেই পারতো না। দুইজনে মিলে অনেক বীরত্বের কাজ করে বেড়ালো এনকিদু ও গিলগামেশ। খুম্বাবা দৈত্য বধ করলো, বন কেটে নগরী সম্প্রসারিত করলো।

এদিকে দেবী ইস্তার একদিন গিলগামেশকে আহবান করলেন তার স্বামী হবার জন্য। গিলগামেশ একেবারেই নারাজ, বলেন, "দেবী, ক্ষমা করুন। আপনার কীর্তিকাহিনি তো আর কারুর জানতে বাকী নেই। কত পুরুষের মুন্ডুই যে চিবিয়েছেন অতীতে! দয়া করে আমাকে ছাড়ান দিন।"

দেবী রেগে চটে ক্ষেপে একেবারে আগুন। ছুটে গেলেন পিতা আণুর কাছে, ইনিয়ে বিনিয়ে নালিশ করলেন গিলগামেশের নামে, সে নাকি মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তার নামে। আবদার করলেন স্বর্গের ভীষণ বৃষকে উরুক নগরীতে লেলিয়ে দিতে। আদি দেবতা জ্ঞানী আণু প্রথমে রাজি হন না, বলেন " কন্যা, তাহলে সাত বছর খরা চলবে।" কিন্তু ইস্তার কান্নাকটি করে অনর্থ করতে থাকেন। এনলিল, নিনুর্তা, শামাশ, ঈয়া-সব দেবতারা মিলে থামাতে পারে না তাকে, অবশেষে আণু রাজি হন স্বর্গবৃষকে লেলিয়ে দিতে।

এই বৃষ এসে উরুক নগরী উলৎখন্ড করতে শুরু করলো, বহু লোক মারা গেল। খবর পেয়ে গিলগামেশ আর এনকিদু ছুটে এলো, এনকিদু লাফিয়ে গিয়ে ষাঁড়ের শিং ধরলো চেপে আর গিলগামেশ তার তলোয়ার নিপুণ লক্ষ্যে ষাঁড়ের গলার মধ্য দিয়ে চালিয়ে দিল। বিপুলদেহ ষাঁড় মরে লুটিয়ে পড়লো মাটিতে। ষন্ডের হৃৎপিন্ড কেটে সূর্যদেবতা শামাশকে আহুতি দিলো গিলগামেশ আর এনকিদু।

এইভাবে সাধের ষাঁড় মরে গেলো বলে দেবী ইস্তার আরো রেগে গেলেন। দেবতাদের দরবারে বিচার চাইলেন। গিলগামেশ আর এনকিদুর মধ্যে একজনকে মরতে হবে। দেবতারা দরবারে বসে ঠিক করলেন এনকিদুর জীবন নেওয়া হবে। শামাশ প্রতিবাদ করলেন, কিন্তু তিনি সংখ্যালঘু, বাকী সব দেবতারা রাজী।

এনকিদু অসুস্থ হয়ে পড়লো, গিলগামেশ দিনরাত সেবা করল বন্ধুর, কিন্তু বৃথা। অসুখ তার সারলো না। একদিন দিন শেষ হয়ে এলো তার। এনকিদুর শেষকৃত্য সেরে গিলগামেশ আক্রান্ত হলেন তীব্র বৈরাগ্যে। এই তাহলে মানুষজীবন? এত ক্ষণিকের? এই আছে এই নেই? এই জেনে ও মানুষ সন্তুষ্ট থাকে খানাপিনা নাচাগানায়? এমন কি কেউ নেই যে তাকে সন্ধান দিতে পারে অমরত্বের?

গিলগামেশ শুনেছিলেন তার এক বহু পূর্বপুরুষ উৎনাপিশতিম্‌ নাকি বেঁচে আছেন, কেউ কোনোদিন পার হয় নি এমন এক মহাসমুদ্র পার হয়ে তবে তাঁর কাছে পৌঁছানো যায়। গিলগামেশ ছেড়ে দেবার বান্দা নন, সাধারণ তো নন তিনি। তিনি রওনা দিলেন দীর্ঘ যাত্রায়। চলতে চলতে পার হন কত মাঠ, বন, নদনদী। তারপরে এক জোড়া পাহাড়ের কাছে এসে দেখেন এক বিরাট ফটক, বন্ধ। ফটকে পাহারা দেয় একজোড়া অদ্ভুত প্রহরী, তারা অর্ধেক মানুষ অর্ধেক ড্রাগন। সাধারণ মানুষ হলে তাদের দৃষ্টিতেই ভস্ম হয়ে যেতেন গিলগামেশ, কিন্তু তিনি তো দুই-তৃতীয়াংশ দেবতা, তাই তাঁর কিছু হলো না।

ভয়ানক প্রহরীদ্বয় গিলগামেশকে বলে, " এই দরোজা দিয়ে ঢুকলে ভিতরে নিকষকালো অন্ধকার। কোনো মানুষ এখান দিয়ে যায় নি। তুমি ফিরে যাও।"
গিলগামেশ বলে, "না, ফিরে যাবো বলে তো আমি আসিনি। "

তারা আরো খানিক কষাকষির পরে খুলে দেয় ফটক, গিলগামেশ ঢোকে। কালির মত কালো অন্ধকার তার চোখমুখ ঢেকে ফেলে, সে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে এগোতে থাকে। দীর্ঘ সে অন্ধকার-যাত্রা, সে চলে আর চলে। অবশেষে পথের প্রান্ত মেলে, সুড়ঙ্গের শেষে একটুকরো আলো। গিলগামেশ আলোতে বেরিয়ে আসে।

সামনে দিগন্তবিস্তৃত সমুদ্র, জীয়ন্তে কেউ এ সমুদ্র পেরোয় নি কোনোদিন। শুধু সূর্যদেব শামাশ তার আলোর রথে চড়ে আকাশপথে পেরিয়ে যান এই জলরাশি। এরই পরপারে উৎনাপিশতিম থাকেন। কিভাবে সেখানে যাবে গিলগামেশ?

জলের ধারে বসে থাকে গিলগামেশ, বসে বসে ভাবে আর ভাবে। কোনো পথ পায় না। এমন সময় দেবী সিদুরী সাবিতু এসে সামনে দাঁড়ান তার। বলেন, " গিলগামেশ, ফিরে যাও। জন্মালে মরতেই হয়, এ পরম সত্য, কিন্তু জীবন বড় সুন্দর গিলগামেশ। এভাবে জীবন নষ্ট কোরো না, ফিরে যাও। খাওদাও আনন্দফূর্তি করো, রাজত্ব করো প্রাণভরে। কেন এই ভরা যৌবনের দিনে সব ছেড়ে ছিন্নবসনে খালিপায়ে উসকোখুশকো চুলে পথে পথে ঘুরছো তুমি? আমার কথা শোনো, ফিরে যাও।"

গিলগামেশ কেঁদে লুটিয়ে পড়ে দেবীর পায়ে, " দেবী, আমায় সমুদ্র পেরুবার পথ বলে দিন। উৎনাপিশতিমের কাছে আমার যে যেতেই হবে। আমার এ জীবনের কোনো অর্থ নেই, যদি সেখানে না যেতে পারি।"

দেবী একেবারে গলে জল, ধরে তোলেন গিলগামেশকে। বলেন, "ঠিক আছে, ঠিক আছে। এত ভেঙে পড়তে হবে না বাছা। চোখ মোছো। খেয়ামাঝিকে বলে দিচ্ছি তোমায় নিয়ে যাবে উৎনাপিশতিমের কাছে।"

খেয়ামাঝি গিলগামেশকে পৌছে দেয় উৎনাপিশতিমের কাছে। সেই বহুপুরাতন পূর্বপুরুষ ও তার স্ত্রী, দুজনে গিলগামেশকে স্বাগত জানিয়ে ঘরে নিয়ে যান। গিলগামেশ তো অবাক! একেবারে তারই মতন মানুষ-মানুষ দেখতে এঁরা, সুপার-হিউম্যান কিছু তো না!

বুড়ো উৎনাপিশতিম গিলগামেশকে সামনে বসান, ধীরে ধীরে বলেন, "বাছা, তোমার মন দুঃখে পরিপূর্ণ। কি হয়েছে তোমার? কেনই বা এ দুর্গম পথ অতিক্রম করে এসেছ এখানে? "

গিলগামেশ মলিনমুখে আস্তে আস্তে বলে, " আমার প্রিয়বন্ধু মারা গেছে। তার মৃত্যুর পরে আমার কাছে জীবন এক অর্থশূন্য দু:স্বপ্নের মত লাগছে। "

উৎনাপিশতিম বলেন, "মানুষকে তো মরতেই হয়, এ তো সকলেই জানে।"

গিলগামেশ বলে, "তাহলে আপনারা কিকরে পেলেন দেবতাদের মত অনন্ত জীবন?"

উৎনাপিশতিম হাসেন, বলেন, "সে এক বিরাট লম্বা গল্প। শুনতে চাও?"

গিলগামেশ উৎসুক হয়ে ঝুঁকে পড়ে, বলে, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ, শুনতে চাই।"

উৎনাপিশতিম বলেন, " সে বহুকাল আগের কথা। তখন আমার যৌবনের দিন। সদ্য বিবাহ করেছি, সামনে আশায় ভরা দিন ছড়িয়ে আছে। সুরিপ্পাক নগরে ছিলো আমাদের বাড়ী। সেখানে কত সব দেবমন্দির, পূজার্চনা, আনন্দ-উৎসবে সারা বছর ভরে থাকতো সে নগর। কিন্তু যুদ্ধবিগ্রহ লাগলো একসময়, সেই মারাত্মক গন্ডগোলে দেবতাদের পূজা বিঘ্নিত হতে লাগলো। তখন দেবতারা বৈঠকে বসলেন। দেবতা এনলিল রেগে গেছিলেন খুব, তিনি বললেন জলোচ্ছাসে তিনি ডুবিয়ে দেবেন দুনিয়া। মানুষের মতন এমন ঝামেলাবাজদের বাঁচিয়ে রেখে কোন লাভ নেই। এরা একেবারে আগাপাশতলা খারাপ। বাকী দেবতারাও বললেন "হ্যাঁ, তাই।" শুধু মানবহিতৈষী দেবতা ঈয়া একবার একটু বললেন," কিছু কিছু ভালো মানুষও তো আছে। তাদেরও এভাবে মেরে ফেলা হবে? " কিন্তু সংখ্যাগুরুর চিৎকারে তার স্বর চাপা পড়ে গেল।"

তারপরে সেই রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে আমি দেখলাম দেবতা ঈয়াকে, তিনি ফিসফিস করে বললেন," সুরিপ্পাকের মানুষ, সুরিপ্পাকের মানুষ, শুনছো? তুমি বিরাট এক নৌকা বানাও, সবদিক ঢাকা ছাদওয়ালা নৌকা। সেই নৌকায় সবরকমের গাছের বীজ নাও। সবরকম প্রাণীর একজোড়া করে নাও। বিরাট মহাবন্যা আসবে, সব ডুবে যাবে, বাঁচতে চাও তো এখনই নৌকা বানাতে লাগো। এখনই, এখনই।" ঘুম ভেঙে গেল, কথাগুলো তখনও কানে লেগে রইলো। একটুও সময় না নষ্ট করে কাজে লেগে গেলাম আমরা। তারপরে সব কিছু নিয়ে সেই নৌকায় উঠে বসলাম আমি আর বৌ ।

এলো ভীষন বর্ষা, প্রবল বন্যা। ছয়দিন ছয়রাত্রি একনাগাড়ে চললো বৃষ্টি, দুনিয়া ডুবে গেল। বন্ধ নৌকা আমাদের নিয়ে ভাসতে লাগলো। সব রকমের বীজ আর সবরকমের প্রাণীর একজোড়া করে নিয়ে আমরা দুটি মানুষ ভাসছি অগাধ জলে, প্রলয়ের অন্তে ফের দুনিয়াকে প্রাণময়ী করবো বলে।

সপ্তম দিনে বৃষ্টি থামলো, নিশাত পর্বতের চূড়ায় নৌকা এসে ঠেকলো। জানালা খুলে দেখি জল শুধু জল চারিদিকে, আমরা দুজন মানুষ প্রাণভরে কাঁদতে লাগলাম। তিনখান পাখি উড়িয়ে দিলাম, পায়রা, সোয়ালো আর দাঁড়কাক। দিনের শেষে প্রথম দুটো পাখি ফিরে এলো, খুব ক্লান্ত ওরা। কিন্তু দাঁড়কাক ফিরলো না, তবে কি সে কোনো ডাঙা পেয়েছে? নাকি ভাসতে থাকা মৃতদেহের উপরে বসেছে?

পাহাড়ের চূড়ায় ডাঙা জেগে উঠলো, জল নেমেছে। নৌকার দুয়ার খুলে নেমে এসে আমরা দেবতাদের পূজার্চনার ব্যবস্থা করলাম। এনলিল টের পেয়ে রেগে আগুন, কী ই ই ই? এরা পালিয়ে বেঁচেছে? আমার মহাপ্রলয় থেকে? কেউ এদের সাবধান করে দিয়েছিল! কে সে? কেন দিয়েছিলো?

দেবতারা সবাই মিলে এনলিলকে শান্ত করলেন, বললেন," দ্যাখো এরা কত শুদ্ধসত্ত্ব ভালো মানুষ! এরা কি মরবার যোগ্য? কত যত্নে দ্যাখো সব বীজ রক্ষা করেছে, কত যত্নে সব প্রাণী এনেছে জোড়া জোড়া! এরা বাঁচলে এদের সন্তানসন্ততি এদের মত ভালো হবে, দুনিয়া খুব ভালো জায়গা হবে তখন। তাছাড়া, মানবজাতি না থাকলে কারা আমাদের উপাসনা করবে? কারা পূজা করবে, প্রসাদ দেবে, নানা উপচারে দেববন্দনা করবে? মিষ্ট সুরে স্তব করবে? মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা তো কথাই বলতে পারে না! "

এনলিল গলে জল, এগিয়ে এসে আমার আর আমার বৌয়ের হাত ধরে পাশাপাশি দাঁড় করালেন, কপাল ছুঁয়ে আশীর্বাদ করলেন, বললেন, "আজ থেকে তুমি উৎনাপিশতিম (আত্মনপশ্যতম্‌?),এতদিন তোমরা দুজন মানুষ ছিলে, আজ থেকে তোমরা পেলে দেবতাদের মতন অনন্ত জীবন।"

গিলগামেশ এতখানি বড় বড় চোখে শুনছিল সব, এইবার কোথা থেকে তার চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে এলো। সে শুনলো যেন উৎনাপিশতিম বহুদূর থেকে কইছেন, "গিলগামেশ, গিলগামেশ, কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা পেয়েছি অমরত্ব, তুমি কি দিতে পারবে সেইরকম কঠিন পরীক্ষা? এই দ্যাখো, পরীক্ষা দেবে কি, এ ছেলে তো ঘুমিয়েই পড়ছে।"

গিলগামেশ জেগে উঠলো সাত দিন সাত রাত পার করে, উৎনাপিশতিম বললেন, "গিলগামেশ, তুমি খুব দুর্বল মনুষ্য, তুমি অমরত্বের উপযোগী ঠিক নও। দ্যাখো তো কত ঘুমালে, সাতদিন সাতরাত হুঁশ নেই, রা নেই। যাও বাড়ী যাও এবারে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাও। "

গিলগামেশ কেঁদে ফেলে, " হায়, ঘুম দস্যুর মতন চুরি করে নিল আমার সবকিছু। এখন কোথায় ফিরবো আমি? কার কাছে? আমার উরুক নগরে? না:, এ ব্যর্থ অবস্থায় সেখানে ফেরা অসম্ভব। আমার মরণই ভালো, বন্ধুকে সেখানে ফিরে পাবো, সেই ধূলার প্রাসাদে, ইরকালার ধূলার প্রাসাদে। আমি কিসের দুরাশায় এতদিন ঘুরলাম, আমি কী জানতাম না আমার গতি সেই ধূলার প্রাসাদেই হবে শেষ অবধি?"

উৎনাপিশতিমের বৌ গিলগামেশের করুণ এ বিলাপে একেবারে গলে গিয়ে স্বামীকে বলে, " তুমি যেন একটা কীরকম হয়ে গেছ ! আগে তো তুমি এমন ছিলে না! মানুষ হয়ে তুমি মানুষের দুর্বলতা ভুলে গেলে? বাছা এত কষ্ট করে এলো, কিছু দিলে না তুমি ওকে? দ্যাখো তো কি রোগা হয়ে গেছে ছেলেটা, হাড়গুলো গোণা যায়। তুমি বিশ্রাম করতে না দিয়ে গপ্পো করেছ, এখন আবার ঘুমের দোহাই দিয়ে বকছো! "

উৎনাপিশতিম এবারে নরম হলেন, কইলেন, "ঠিক আছে, আচ্ছা দেখি কি করা যায়। গিলাগামেশ, কেঁদো না বাছা আর। তোমাকে আমি সন্ধান দেবো এক আশ্চর্য জিনিসের।"

আগে গিলগামেশকে ভালো করে স্নানের ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি, বহুকালের ধূলাময়লা ধুয়ে ধৌতবস্ত্র পরে গিলগামেশ তাজা হয়ে উঠলো। সঞ্জীবনী জল ছিটিয়ে তাকে আরও তাজা করে তারপরে উৎনাপিশতিম তাকে এক আশ্চর্য ওষধির সন্ধান দিলেন, সেই ওষধি খেলে বুড়া মানুষ ফের যৌবন পায়।

গিলগামেশ সেই ওষধি নিয়ে বুড়া আর বুড়ীর পায়ে লুটিয়ে প্রণাম করে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে চললেন খেয়ামাঝির নৌকায়। সমুদ্র পেরোলেন, প্রাণে তার আশা তার উরুক নগরীর বৃদ্ধ জ্ঞানীরা আর কেউ মরবে না, সকলে পুনর্যৌবন পাবে।

কিন্তু তীরে এসে তরী ডোবার মতন অবস্থা হলো শেষে। পুনর্নবা-ওষধি পাড়ে রেখে এক হ্রদে জল খেতে নেমেছিলেন গিলগামেশ, সেই সুযোগে এক মহানাগ চুরি করে নিয়ে গেল সে ওষধি। জলপান করে ফিরে এসে গিলগামেশ আর পেলেন না তা।

সেই থেকে মানুষ মরণশীলই রয়ে গেল, যৌবন শেষে তার জরা আসে, তারপরে মৃত্যু। সাপেরা কিন্তু প্রতি শীতের শেষে খোলস পালটে নতুন যৌবন পায়।

(এই কাহিনি পাওয়া গেছে আসিরিয়ার সম্রাট অসুরবাণীপালের গ্রন্থাগারে। বারোটি পাথরের ফলকে কীলক লিপিতে লেখা মহাকাব্য, এপিক অব গিলগামেশ। পুরাতত্ত্ববিদেরা নানা কসরত করে একটু একটু করে জুড়ে জুড়ে উদ্ধার করেছেন এইটুক। কেজানে আরো কত চাঞ্চল্যকর রোমহর্ষক কাহিনি ছিলো আদিতে! আশা করা যাক পুরাতত্ত্ববিদেরা কালক্রমে আরো আরো জিনিস খুঁজে পাবেন যা কিনা আমাদের কুয়াশাচ্ছন্ন অতীতে আলো ফেলবে আর মানবজাতির ভবিষ্যৎকে পথ দেখাবে হানাহানি থেকে মুক্ত হবার।)


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গিলগামেশ আর এনকিদুর গল্প পোস্ট করে তাই হাওয়া হয়ে যাবো।

ইয়ার্কি ডু?

১০০টা উপকথা শেষ করেন আগে তারপর যেখানে যাবার যান

০২

বহু বহু আগে পড়েছিলাম গিলগামেশ। সম্ভবত হায়াৎ মামুদের অনুবাদ
একটা ঝাড়া রিভিউ হয়ে গেলো আবার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি


______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

যাইয়েন না...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা এর ছবি

আরে ১০০ কি কন? ১৫০ হইয়া গেছে গিয়া!
আমরা হাওয়া হওয়া এখন জায়েজ। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বেশ ভাল্লাগলো চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

তুলিরেখা এর ছবি

থ্যাংকু সিমন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

১৫০তম পোষ্টের জন্যে অভিবাদন--!!

নিরন্তর শুভেচ্ছা---

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত।
আর একটা অনুরোধ, এলএইচসি তে নতুন কিছু হতে শুরু করলেই সেই বিষয়ে লেখা
দিবেন কিন্তু।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শামীম রুনা এর ছবি

ভালো লাগলো আবারও।
হাওয়া হয়ে কই যেতে চান? বুড়া উৎনাপিশতিমের সন্ধানে?

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তুলিরেখা এর ছবি

বুড়ারে পাইলেও তো কথা কইতে পারমু না, ভাষাই তো জানি না! মন খারাপ
অবশ্য প্রাণে প্রাণে কথা হইলে কোনো কথা নাই, নাইলেই ঝামেলা। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার ।
উৎনাপিশতিমের গল্পটা নুহের মহাপ্লাবনের ঘটনা মনে করিয়ে দিল।
যোগসূত্রটা কী?

তুলিরেখা এর ছবি

সুমেরীয় গল্পটাই হিব্রু উপকথায় এসেছে নতুন হয়ে।
তবে মহাপ্লাবনের গল্প সারা দুনিয়ার প্রাচীন উপকথাতেই অল্পবিস্তর এসেছে, মৎসপুরাণের মনুর কাহিনিতে, সার্বিয়ার সেই ট্রিকস্টার দেবতার গল্পে, নেটিভ আমেরিকান বিভিন্ন উপজাতির গল্পে, চীনের উপকথায়, জাপানের উপকথায় -আরো নানা জায়গার গল্পে এ মহাপ্লাবন ঘুরে ফিরে এসেছে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

বলার ধরণ মজা লাগলো।
এনকিদুকে সৃষ্টির কাহিনীটা বাদ পড়ে গেল যে?

তুলিরেখা এর ছবি

আরে কাহিনি তো আরো ছিল, সেই গেন্ডুয়া খেলতে খেলতে পাতালে পড়ে যাওয়া, তুলে আনতে কত কাহিনি, তারপরে খুম্বাবাকে বধ করতে যাবার সময় কত সব স্বপ্ন দেখে গিলগামেশ, সেগুলো আবার ভাঙা ভাঙা মানে পাথরের ফলক এত ভাঙা যে অর্থোদ্ধার করা যায় নি- সব কিছু তো দিতে পারিনি, মোটামুটি গল্পের মাঝের সুতা ধরে বরাবর চলে গেছি মূল পয়েন্টগুলো ধরে ধরে, মোটামুটি একটা গোটা মালা হবার মতন অপ্টিমাম হতেই দিয়ে দিয়েছি। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ঢাকা ছাড়ার আগে তো এনকিদুরে ভালোই দেইখা আসলাম... এর মইধ্যেই এত কিছু হইয়া গেল, হায় হায়...
গিলগামেশের মতোই আমারও তো দিল-খামোশ হয়ে গেল!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তুলিরেখা এর ছবি

আপনেরা এতজনে এত কথা কন, এনকিদুরে তো দেখি না!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

বলেন কি, ১৫০? আপনি তো মোটেও মানুষ না!

লেখা বরাবরের মতোই চমৎকার!

তুলিরেখা এর ছবি

মানুষ না, তবে কি?
হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ভুতুম এর ছবি

অভিনন্দন ও ধন্যবাদ দুটোই জানিয়ে দিলাম।

---------------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

তুলিরেখা এর ছবি

আমারও ধন্যবাদ নিন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পথে পাওয়া মেয়ে বলে দিয়েছেন...
এনকিদু জন্মকথা- বাদ পড়ে গেলো কেনো ?? তবে কী ব্যবিলনের মুল ফলকে এনকিদুর জন্ম বিবৃত নেই ??

হায়াত মামুদের অনুবাদ আমারো একবার আবছা মনে পড়ে গেলো...

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

তুলিরেখা এর ছবি

পথে হারানো মেয়ে তো উনি! পথে পাওয়া তো না! চিন্তিত
তবে আমি উত্তর দিয়ে দিয়েছি, দেখে নিন। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এনকিদু থাকতো বনে, সে ছিলো সরলসোজা মুক্ত মানুষ, তার গায়েও খুব শক্তি, তবে কিনা গা ভর্তি বিরাট বিরাট লোম। সে বনে বনে শিকার করে বেড়াতো, পশুচর্ম পরতো, ঝর্ণার জল খেতো, মানুষের নগরসভ্যতা বিষয়ে তার কিছুমাত্র ধারণা ছিলো না।...
তাই নাকি? চিন্তিত

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা এর ছবি

এনকিদুরে জিগান। চোখ টিপি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

খেকশিয়াল এর ছবি

এত মজা কইরা গল্পটা করলেন যে কি কমু.. তুলনা নাই। লেখতে থাকেন উপদেবী। অনেক অনেক আগে পড়ছিলাম গিলগামেশের গল্প, আমার ধূসর মেমোরি থিকা গল্পটা বাইর কইরা আনলেন, অনেক ধন্যবাদ।

উৎনাপিশতিম, নুহ, মনু.. একটা লিস্ট করা লাগবো সব নিয়া।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তুলিরেখা এর ছবি

উপদেবী শুনলেই মনে পড়ে পেত্নী! হাসি
বিসর্জনের রঘুপতি রেগে আগুন হয়ে অপর্ণাকে কইছেন, " জয়সিংহে চাহিস কাড়িতে তুই দেবীর নিকট হতে ওরে উপদেবী!" হাসি
বনফুলের গল্পে আরেকজন কইছেন আরে মেঘদূতের যক্ষপ্রিয়া মনে হলো পেত্নী, কারণ যক্ষ হলো ভুত। হাসি
বলছেন " তণ্বী শ্যামা শিখরিদশনা পক্কবিম্বাধরোষ্ঠী" মানে হলো- "সে শুঁটকো, সে কালো, তার দাঁতের ডগা সূক্ষ্ম আর তার ঠোঁট পাকা তেলাকুচোফলের মতন।" পেত্নী ছাড়া কি?
দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা শৈশবে নিয়ে যায়...

আমি পুরো দুই বছরে ৯৭টি পোস্টে আটকে আছি। লজ্জা দিলেন আপনার ১৫০ পোস্টের কথা বলে। অনেক অনেক অভিনন্দন। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আমি দুই বছরে ৫২ টি পোস্ট ও একটি বইয়ের পাতা লিখেছি। ৫২টি পোস্টের মধ্যে সত্যজিতের জন্মদিন বিষয়ক পোস্টটা প্রায় হুবহু রেখে পর পর দুই বছর পোস্ট করেছি। আশা রাখছি আগামী জন্মদিনেও সেই একই পোস্টটা দিয়ে সত্যজিতকে স্মরণ করতে পারবো।
দেঁতো হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

সুন্দর সুন্দর লেখাগুলি না দিয়া ডাইরিতে জমাইয়া রাখেন কেন? দিয়া দ্যান!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দ্রোহী এর ছবি

তুলিরেখা। ১৫০ তম পোস্টের অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আশা করছি শীঘ্রই আপনি হাজারী উপাধী লাভ করবেন।

ব্যবিলনের এনকিদুর গল্পতো হলো। এবার সচলের এনকিদুর গল্প লিখে ফ্যালেন।

তুলিরেখা এর ছবি

সচলের এনকিদুর গল্প এনকিদুরে জিগান। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বইখাতা [অতিথি] এর ছবি

অনেকদিন আগে, ছোটোবেলায় পড়েছিলাম গিলগামেশের গল্প, খুব অস্পষ্ট মনে পড়ে। আবার পড়া হয়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে |

তুলিরেখা এর ছবি

আমার পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।