দেশবিদেশের উপকথা- পূর্ব কেপ (আফ্রিকা)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ৩১/১০/২০০৯ - ৫:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আফ্রিকার আরেক উপকথা, এটা পূর্ব কেপ দেশের গল্প। আশেপাশের অন্যান্য নানা দেশে নানা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই গল্পের নানা রূপ পাওয়া গেছে। গ্রীক উপকথার কিছু কিছু গল্পের মধ্যে এই গল্পের প্রতিধ্বনি শুনে চমকে উঠতে হয়।

গল্পে চলে যাই এবারে। সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখন নদীতীরের এক গ্রামে এক মানুষ থাকতো যার ছিলো অনেক জমিজমা গরুভেড়া। বাড়ীঘর ধনদৌলত কোনোকিছুর তার অভাব নেই, কিন্তু তার আপন বলতে কেউ নেই। বুড়া বাপমা মরে গেছে, সে নিজে বিয়েও করে নি। এদিকে বিয়ের বয়সও তার প্রায় পেরিয়ে গেছে।

একলা মানুষটা নদীতীরে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, খুব একা লাগে তার। বিছিয়ে থাকা জমি দিগন্তে মিশে গেছে, সবুজ হয়ে উঠেছে শস্য, হাওয়া দুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে গাছগুলোকে। দূরের মাঠে চরে বেড়ায় তার গরুভেড়ারা, মাইনে করা রাখালেরা চরায় তাদের। এসব দেখতে দেখতে সে ভাবে কত অর্থহীন সব! নদীতীরের বিরাট এক গাছের তলায় এলিয়ে বসে সে ভাবে, বিয়ে করে ফেলতে হবে। সংসার না করতে পারলে এতসব থেকেই বা কি লাভ? আরো বয়স হয়ে গেলে তখন আর কোনো মেয়েই রাজি হবে না, এইবেলা বৌ হবার যোগ্য কাউকে খুঁজে পেতে সংসার শুরু করে ফেলাই ভালো। কিন্তু কোথায় খুঁজে পাবো ? এমন কাউকে কি কখনো খুঁজে পাবো যাকে দেখামাত্র মনে হবে একে ছাড়া জীবন আমার বৃথা?

নদীর ধারার একেবারে কাছ ঘেঁষে ঝলমল করছে একটা সবুজ পাতাভরা গাছ, সোনালী সূর্যকিরণ পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে পাতাগুলো। আমাদের গল্পের একলা মানুষটা সেই সূর্যপিয়াসিনী সবুজ গাছটির প্রেমে পড়ে গেল।

মানুষটা কাঠের মূর্তি বানাতে পারতো। সে কুঠার দিয়ে গাছটি কেটে বাড়ী নিয়ে গেল। তারপরে দিন নেই রাত নেই মনপ্রাণ ঢেলে বানালো এক কাঠের নারীমূর্তি সেই গাছের কান্ড থেকে। এত সুন্দর হলো সেই মূর্তি যে শিল্পী পলক না ফেলে চেয়ে রইলো তার দিকে। আহা! যদি জ্যান্ত হতো!

সে তাকে ঘিরে ঘুরতে ঘুরতে মন্তর পড়তে লাগলো আর তারপরে বারে বারে কাঠের মূর্তির চোখেমুখেনাকে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বলতে লাগলো, " জ্যান্ত হও, জ্যান্ত হও, নদীর মেয়ে ক্যামিও, তুমি জ্যান্ত হও।"

মূর্তি মানুষী হয়ে জেগে উঠলো। একলা মানুষটা এতদিনে বৌ পেলো। সে বৌকে সুন্দর সুন্দর শাড়ী দিলো, ওড়না দিলো, আয়নাগয়না দিলো। সে তাকে বললো কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তো বোলো, আমি ক্যামিও, নদীর মেয়ে ক্যামিও।

বৌ শুনে মাথা কাত করে বললো, " তাই বলবো। বলবো আমি নদীর মেয়ে ক্যামিও।"

তারপরে দিন যায়, বৌ ঘরে থাকে আর রাঁধেবাড়ে। মানুষটা কাজ করে ফিরে বৌয়ের মিষ্টি হাসিমুখ দেখে ভারী খুশী হয়। দু'জনে মিলে খেতে খেতে তারা গল্প করে। সুখে দিন যায়।

একদিন গ্রামের কয়েকজন তরুণ বাড়ীর পাশ দিয়ে যেতে যেতে ক্যামিওকে দেখতে পায়। তারা বলাবলি করে, এমন ফুটফুটে সুন্দর একটা অল্পবয়সী মেয়ে কিনা এই টাকার কুমীর বুড়োর বাড়ীতে? লোকটা এমন বৌ জোটালো কিভাবে? যেভাবেই জোটাক, ও কখনো বুড়ার ঘরে থাকার জন্য নয়। আমরা তরুণেরা থাকতে এমন নারীরত্ন বুড়োর ঘরে পড়ে থাকবে এ হতে পারে না। আমরা ওকে উঠিয়ে নিয়ে যাবো।

যা বলা সেই কাজ। তারা ক্যামিওকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গেল। কাজের থেকে ফিরে শূন্য ঘরে বিষন্নমনে একলা বসে রইলো ক্যামিওর স্বামী। খবর সে পেয়েছে আগেই। কিন্তু কি করবে সে? সে বসে বসে ভাবে আর ভাবে।

দু'খানা পোষা যাদুপাখি ছিলো মানুষটার। তারা কথাও বলতে পারতো। সে তাদের সব শিখিয়ে পড়িয়ে পাঠিয়ে দিলো ক্যামিওর কাছে। পাখিরা উড়ে গেল মাঠ-পাহাড় পার হয়ে, তারপরে তারা গিয়ে পৌঁছালো সেই বাড়ীর উঠানে যেখানে চুপ করে বসে আছে ক্যামিও। বাড়ীর উঠানের গাছে বসে পাখিরা সুর করে বললো, " নদীর মেয়ে ক্যামিও, নদীর মেয়ে ক্যামিও, আমরা তোমার স্বামীর কাছ থেকে আসছি। সে তোমার ওড়নাটা ফেরৎ চায়।"

সেই ছেলেগুলি পাখিদের কথা শুনতে পেয়েছিলো, তারা বললো, " দিয়ে দাও ওড়না। আমরা তোমাকে আরো ভালো ওড়না কিনে দেবো।" ক্যামিও দিয়ে দিলো ওড়না। পাখিরা ঠোঁটে ওড়না নিয়ে উড়ে চলে গেলো।

পরদিন আবার তারা এলো, সুর করে বললো," নদীর মেয়ে ক্যামিও, নদীর মেয়ে ক্যামিও, আমরা তোমার স্বামীর কাছ থেকে আসছি। সে তোমার গলার হার ফেরৎ চায়।"

সেই ছেলেগুলি সেদিনও পাখিদের কথা শুনলো, তারা বললো, " দিয়ে দাও গলার হার। ভারী তো এক হার। আমরা তোমাকে আরো ভালো সোনার হার দেবো।" ক্যামিও গলা থেকে খুলে দিয়ে দিলো গলার হার। পাখিরা ঠোঁটে হার নিয়ে উড়ে চলে গেলো।

পরদিন আবার তারা এলো, সুর করে বললো," নদীর মেয়ে ক্যামিও, নদীর মেয়ে ক্যামিও, আমরা তোমার স্বামীর কাছ থেকে আসছি। সে তোমার প্রাণ ফেরৎ চায়।"

ক্যামিও হেসে উঠে দাঁড়ালো, উপরের দিকে মুখ তুলে বললো," নাও, নাও, নাও। " পাখিরা বিদ্যুতের মতন নেমে এসে ঠুকরে দিলো ক্যামিওর চোখে। যেই না ঠোক্কর দেওয়া অমনি জ্যান্ত ক্যামিও মুহূর্তে হয়ে গেল কাঠের মূর্তি।

তারপরে তার হাত আর পা খসে গেল, মাথাও খসে গেল। দেহটা আবার হয়ে গেল বৃক্ষকান্ড, সে গড়িয়ে গড়িয়ে চললো নদীর দিকে। গড়াতে গড়াতে অনেক পথ পার হয়ে যেই না পড়লো নদীর ধারায়, অমনি সে আবার পাতা গজিয়ে হয়ে গেল গাছ। নদীর ধারে ঝলমলে সবুজ পাতা নিয়ে আজও সে দাঁড়িয়ে আছে, সূর্যকিরণে ঝলমল করে ওঠে সে প্রতিদিন।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

শুরুটা পিগম্যালিয়ন আর গালাতেয়ার মতো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তুলিরেখা এর ছবি

আমিও পিগম্যালিয়নের সাথে মিল দেখে চমকে উঠেছিলাম।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

সেই মানুষটার কী হয়েছিল তাতো আর গল্পে কিছু বলা নেই। তবে ভেবে নেওয়া যায় নানাভাবে। হয়তো সে পুনরায় এক পরমাসুন্দরীর পাণিগ্রহণ করে ছেলেপিলেনাতিপুতিভরা সংসার রেখে তবে দুনিয়া ছেড়ে গেছিলো। অথবা হয়তো সে আর বিয়েটিয়ে না করে বৈরাগ্যসাধনের জন্য সাধু হয়ে পাহাড়ে চলে গেছিলো।
অথবা হয়তো সে তার শিল্পীসত্ত্বার আবেদনে সাড়া দিয়ে আরো আরো অনেক মূর্তি বানিয়ে গেছিলো জীবনভোর। অথবা হয়তো----কেজানে কি হয়েছিলো!
হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খুব ছোটবেলা থেকেই আমার প্রবল আগ্রহ, গল্পগুলো যেখানে শেষ হয় ঠিক তারপর কী হয়েছিলো, তা জানতে। গল্পের পরের গল্প। এখনও হয়। এই যেমন আপনাকে জিজ্ঞেস করলাম।

বৈরাগ্য মানুষ কখন নেয়? যখন সে তার খুব প্রিয় জিনিষটিকি হারিয়ে ফেলে বা সেই প্রিয় জিনিষটির কখনো দেখা না পায়। কিন্তু এই গল্পের মানুষটাতো তার প্রেয়সীকে পেয়েছে। আবার সেই সবুজ পাতার গাছ রূপে। সে ইচ্ছে করলেই প্রেয়সীকে নতুন রূপদান করতে পারে। তার বৈরাগ্য নেয়ার দরকার কেনো!

অন্য কোনো পরমা সুন্দরীর পাণি গ্রহন করবে কী করে? বুড়ো বয়সে কে তাকে বিয়ে করবে? বাধ্য হয়ে সে যা করবে, পুনরায় তার যাদুর প্রয়োগ। সে একই অবয়বের প্রেয়সী তৈরী করবে। তাকে পুরনো প্রেয়সীর ওড়না, গলার হার দিবে, এগুলো পরে প্রেয়সী আগের মতোই তাকে ভালোবাসবে। কিন্তু মানুষটা সেটা করলো না কেনো?

আর মানুষটা যদি এর পর অনেক গুলো গাছ কেটে অনেকগুলো নারীমূর্তি বানিয়ে থাকে তাহলে তো সে ভালো মানুষ না। সে দুষ্টু লোক, আমার মতো। খাইষ্টা লোক। এক মানুষটা একসাথে এতোগুলো সুন্দরী বালিকাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে বলেই তো আমরা কেউ চারদিকে তাকিয়ে সুন্দরী বালিকার সন্ধান পাচ্ছি না। মানুষটাকে কইষ্যা মাইনাস দিলাম আমাদের ভাগের বালিকা নিয়ে মাস্তানী করার জন্য। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

বলা যায় না হয়তো পরমসুন্দর এক গোরিলা হয়ে সে সেই গাছে গিয়ে রইলো, প্রেয়সীর বুকে। হাসি
এদিকে বনের পরমাসুন্দরী গোরিলানিরা তারে না পাইয়া শুকাইয়া গেল। মন খারাপ
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাহ, আপনে আমারে বেক্কল পাইয়া আজগুবি কাহিনী শোনাইতাছেন এখন।
যাই, ঘুমাই গিয়া। চোখ টানতাছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পের ব্যাপারে বলার কিছু নেই, বরাবরের মতই চমৎকার। এভাবে চালালে এই ফেব্রুয়ারীতে না হোক পরের ফেব্রুয়ারীতে একশ' উপকথার সঙ্কলনটা ঠিকই হাতে পাওয়া যাবে।

গল্পের বাইরে একটা কথা। শিরোনামে "ট্রান্সকেই" নামটা দেয়া কি দরকার ছিল? কারণ, এই ট্রান্সকেই দেশটা একটা বানানো দেশ - যার সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সাবেক আমলের কুখ্যাত বর্ণবাদী রাজনীতির ইতিহাস জড়িত। পূর্ব কেপ প্রদেশ, তার মানুষ আর তাদের গল্পগুলো বানানো নয় - তাদের গল্প তাদের দেশের নামেই হলেই কি ঠিক হয় না?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

বদলে দিলাম।
আসলে সঙ্কলনে ট্রান্সকেই নামটা ছিলো দেখে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেছিলাম। বইটা ১৯৯৪ এর বেশ আগের সঙ্কলন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
নানা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মহাদেশটাকে নিয়ে যে কি করেছে সভ্য দুনিয়া!

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরে দারুণ গল্প তো! দেখি পড়তে পড়তে যদি গল্প বলা শিখতে পারি ...

তুলিরেখা এর ছবি

আপনি এমনিতেই তো দারুণ বলেন!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ভ্রম এর ছবি

খুব সুন্দর গল্পতো!

তুলিরেখা এর ছবি

আসলেই গল্পটা খুব সুন্দর।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

অন্য গল্পগুলোর মতোই চমৎকার একটি 'ছোটবেলার গল্প'।
তবে এ গল্পটা অনেকটা উদাস করা।
সত্যি, লোকটি তারপর কি করলো?
এমনও হতে পারে এরপর একাকী নির্জন প্রতিটি রাতে সে হয়তো ওই গাছের নীচে এসে বসতো, সারাটি জীবন তার এভাবে কেটে গেল.........

---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

তুলিরেখা এর ছবি

গল্পটার মধ্যে অশেষ একটা ব্যাপার আছে। খানিকটা বিধুর, করুণ অথচ মধুর।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কমেন্ট নাই

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

আফসোস, জ্যান্ত করার ক্ষমতাটা যদি আমার থাকতো মন খারাপ

স্পার্টাকাস

তুলিরেখা এর ছবি

বটে! তা আপনি কাকে জ্যান্ত করতে চান? হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শামীম রুনা এর ছবি

বরাবরের মতোই সুন্দর একটি উপকথা পড়লাম।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ রুনা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

গল্পটা আদতে অতো বেশি ভালো লাগলো না অন্যগুলোর মতো। তবে, আপনার লেখায় সবকিছুই সুন্দর, লেখা অসাধারণ অবশ্যই। হাসি চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

খেকশিয়াল এর ছবি

শুরুটা পিগম্যালিয়নের মত!
দারুণ একটা গল্প!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাফি এর ছবি

দারুন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।