অভী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৭/২০১৩ - ৩:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাৎ দেখা হলো মধুরিমার সঙ্গে। মধুরিমার সঙ্গে ওর ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখে আমার ভাইঝি রুন্তুলির কথা খুব মনে পড়লো। যখন দেশ ছেড়ে চলে আসি তখন রুন্তুলি প্রায় এই বয়সীই ছিল।

"কী নাম রেখেছিস মেয়ের?"

"ওকেই জিজ্ঞেস কর না। এমনিতে খুব টরটরি। আজকে তোকে নতুন দেখে চুপ করে গেছে। মামণি, বলে দাও তো তোমার নামটা।"

টরটরি চুপ করে দেখছে, তারপরে আরেকটু সাধ্যসাধনার পরে বললো "তোমাকে বলবো কেন?"

ফুটফুটে বাচ্চাটাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বললাম, "বলো, আমি আন্টি হই তো তোমার।"

" তাই নাকি? আমি তো কোনোদিন তোমায় দেখিই নি। তুমি কেমন করে আমার আন্টি হও?"

বাঃ, সত্যিই তো টরটরিয়ে কথা বলে! বললাম " নাহয় তোমার মাকেই জিজ্ঞেস করো।"

"হ্যাঁ মা, ইনি আমার আন্টি হন?"

'হ্যাঁ মামণি, তোমার আন্টি।"

"আন্টি, আমার ভালো নাম মধুছন্দা আর ডাকনাম হলো মৌ।"

"বাঃ, খুব সুন্দর নাম। আর তুমি আমাকে এই সুন্দর নাম দুটো বলছিলে না?"

মধুরিমার সঙ্গে অনেক গল্প হলো। কতো পুরণো কথা উঠে পড়লো আজ। কতো সাধারণ ঘটনা আজ দেশকালের এই দূরত্বে অসাধারণ হয়ে ধরা পড়লো।

মৌকে আবার আদর করে বলি " মৌ, তুমি এখন কোন গ্রেডে যেন?"

"আমি এখন থার্ড গ্রেডে।এই তো স্প্রিং শেষ হয়ে যাবে।পরীক্ষা হয়ে যাবে,লম্বা ছুটি।তারপরে ফোর্থ গ্রেড।"

"আরেব্বাবা, তুমি তো তাহলে অনেক বড়ো হয়ে যাবে!"

"জানো আন্টি,সামারের ছুটিতে মা আমায় কোথায় নিয়ে যাবে? ডিজনি ওয়ার্ল্ড, ফ্লরিডায়। তখন আবার বাবাও আসবে টেক্সাস থেকে।" ছোট্টো মেয়েটার চোখ দুটো খুশীতে জ্বলজ্বলে।

"আন্টিকে সাথে নেবে, মৌ?"

"যাবে তুমি আন্টি?ভালো হবে খুব।"মৌ আমাকে জড়িয়ে ধরে মুখের দিকে তাকায়।

আমি মধুরিমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলি।"ওরে রিমু, তোর মেয়ে দেখি এর মধ্যেই আমার ন্যাওটা হয়ে গেছে!"

মধুরিমা ও হাসে। বলে,"এ মেয়ের সে গুণটি আছে।খুব তাড়াতাড়ি ন্যাওটা হয়ে পড়ে। এখন কোনো সাহেব বাচ্চাকে বয়ফ্রেন্ড করে ফেললেই তো চিত্তির। জামাই বাংলা জানেনা, সে অবস্থায় আমার কী হবে রে মিমি?"

"ওঃ তুই পারিসও বটে রিমু। রাম না হতে রামায়ণ। নাহয় হলো ই একটা ফুটফুটে ফর্সা জামাই, তাতে তোর এত আপত্তি কিসের? নাতিনাতনি গুলো যে গোলাপ ফুলের মতো হবে, সেই বেলা?"

আমি হাসতে হাসতে বলি। মধুরিমা খুব হাসতে থাকে, বলে,"তুই যে দেখি আমার রিম্পিদির মতো কথা বলছিস।"

"রিম্পিদি কে?"

"আরে সে আমার এক প্রতিবেশিনী ছিল। প্রথমে তো বিয়ে হয়ে আমি এসেছিলাম দক্ষিণের এক রাজ্যে। সেখানে তো যত ফর্সা তত কালো। ভদ্রমহিলা প্রথম এসে তো কালোদের দেখলেই দু'হাত ছিটকে পিছিয়ে যেতেন। নিজের একটা মেয়ে ছিল, তাকে কোনোমতেই বৃটিশ বা জার্মান বা ঐসব ফর্সা জাত ছড়া কারুর সঙ্গে বিয়ে দেবেন না, একথা খুব দৃঢ় গলায় বলতেন। একদিন আমার সামনে একেবারে কেঁদেই ফেললেন নিজের রঙ কালো বলে।ওকে নাকি শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা খুব অত্যাচার করতো কালো বলে।তারপরে তিনি কেন বাঙালী মেয়েরা দুশ বছর সময় পাওয়া সত্বেও বৃটিশ ছেলেদের বিয়ে করেনি, এই দুঃখে কাঁদতে থাকলেন। আমি তো যাকে বলে একেবারে থ।"

আমি খানিকক্ষণ থমকে রিমার মুখের দিকে চেয়ে রইলাম, তারপরে হাসি থামাতে না পেরে হাসতে হাসতে একেবারে পড়ে গেলাম প্রা্য়।এ ও হয়,হতে পারে?

বেশ কিছুক্ষণ লাগলো সামলে নিতে।তারপরে বললাম,"যাঃ, তুই বানাচ্ছিস।"

রিমা ও হাসছিল।বললো, "প্রথমে শুনলে মনে হবে সত্যিই বুঝি বানাচ্ছি। কিন্তু মহিলাটিকে যদি দেখতিস, তাহলে বুঝতিস।"

"মেন্টাল পেশেন্ট? "

"তা কিছুটা তো বটেই। কিন্তু এমনিতে সহ্যের অতিরিক্ত নয় বলেই কোনোরকমে সমাজে মানিয়ে নিতে পারছে। পরে শুনলাম,মহিলার মা নাকি ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ।"

"ও, তাই বল।তা শেষ পর্যন্ত কী হলো? মহিলা কি জার্মান জামাতা পেয়ে গেলেন?"

"সে কে জানে? আমরা তো তারপরেই চলে গেলাম টেক্সাসে।তারও বেশ কিছু বছর পরে আমি এখানে এলাম চাকরি পেয়ে।ওদের কোনো খবর তো সেই সময় থেকেই আর পাই নি। এখানে মানুষকে বড্ড যাযাবর চরিত্রের হতে হয় রে।"

"তা যা বলেছিস। যেখানে চাকরি, সেখানেই ছুটতে হবে।অবশ্য মানুষ তো শেষ পর্যন্ত যাযাবরই রে। কিন্তু তুই তো বেশ স্বামীকন্যা নিয়ে গুছিয়ে ঘর করছিলি, হঠাৎ চাকরি নিয়ে একেবারে কর্তাকে ছেড়ে মেয়ে নিয়ে চলে এলি যে বড়ো?"

"হ্যাঁ, বেশ চলছিল। কিন্তু তারপরে কেমন যেন বোর লাগতে থাকলো, জানিস? মনে হলো, নিজের এই যে এত কষ্ট করে সংগ্রহ করা কিছু ডিগ্রী, কিছু দক্ষতা, কিছু শিক্ষা- শেষ পর্যন্ত কোনো কাজেই লাগবে না?অন্যের গড়ে দেওয়া একটা নিশ্চিন্ত জীবন নিয়ে কেটে যাবে?যেন খাঁচায় পোষা পাখী? ভালো লাগতো না রে, একেবারে ভালো লাগতো না। তখন মৌ ছোটো, তাও যতদিন স্কুলে যেতে শুরু করে নি, ওকে নিয়ে সময় কেটে যেতো আমার। কিন্তু ও যখন স্কুলে ভর্তি হয়ে গেল, তখন আর সময় কাটতে চাইতো না। শান্তনু অফিসে, মৌ স্কুলে- দুপুরগুলো আমার কীরকম যে অসহ্য হয়ে উঠতো! এখানে তো আর দেশের মতো অবস্থা নয় যে পাড়া বেড়াতে বেরোবো। আস্তে আস্তে চাকরি খোঁজা শুরু করলাম।"

"তা বেশ করেছিস।কিন্তু কাছেপিঠে চাকরি ছিল না? একেবারে এত দূরে চলে আসতে হলো? মেয়েটাকে দ্যাখ তো,বাবাকে ছেড়ে থাকতে ওর কেমন লাগছে?"

"আসলে তখন এরকম একটা মানসিক অবস্থা গেছে আমার! শান্তনুকেও তখন আর সহ্য হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল কোথাও চলে যাই, দূরে, অনেক দূরে-যেখানে একটু স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারবো। আমি যেন ওর ব্যক্তিত্বের কাছে নিষ্পেষিত হয়ে যাচ্ছিলাম। ওর এত কাজ, সময়ই নেই, সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ- আর আমার এত সময় কেন? মাঝরাতে ঝগড়া শুরু হয়ে সেই ঝগড়া ---" এইখানে এসে মধুরিমার মুখ লাল হয়ে গেল।

আমি টিভিটা অন করে কার্টুন চ্যানেলে দিলাম। অমনি মৌয়ের চোখ অতখানি হয়ে গেল। ও বসার ঘরে টিভি দেখছে, আমরা দুজনে শোয়ার ঘরে ঢুকলাম কথা বলার জন্য।

আরো বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন ওরা বিদায় নিচ্ছে, আমি বার বার করে আবার আসতে বলছি ওদের-মৌ কিছুতেই আমার কাছ থেকে কথা আদায় না করে ছাড়বে না, কবে আমি যাবো ওদের বাড়ী। বললাম যাবো একদিন, কিন্তু দিনক্ষণ আদায় না করে মেয়ে ছাড়বে না। বারবার বলে,"সামনের উইকএন্ডে, আন্টি?"

অবশেষে কথা দিয়ে তবে শান্তি।

ঘরে এসে বসে রইলাম খানিকক্ষণ, চুপটি করে।কেমন যে লাগছে, মাথার ভেতরটা। তারপরে উঠে গেলাম, ফ্রিজ থেকে পানীয় বার করে গ্লাসে ঢাললাম।

শোবার ঘরে গিয়ে অল্প অল্প চুমুক দিচ্ছি, জিভটা অল্প জ্বালা করছে।কিন্তু সে তো ভালই। সেই জন্যেই তো এই অবেলায় এটা নিয়ে বসেছি।

মধুরিমা কড়া পানীয় খায় না। ওদের দুজনকেই অরেঞ্জ জুস দিয়েছিলাম।আর আমার নতুন শেখা টোম্যাটো-চিকেন।ও তো বললো ভালই হয়েছে। কে জানে বন্ধুর মন রাখতে বললো কিনা।

বিছানার পাশের ছোটো টেবিলটার উপরে হাতের গ্লাসটা নামিয়ে রাখলাম। কেন কিছুতেই তৃষ্ণা দূর হচ্ছে না আজকে?

বাক্স খুলে অনেক ভাঁজ কাপড়ের তলা থেকে বার করে আনলাম তার ছবি। অনেক বছর আগে তোলা-সে তখন তরুণ। কী আশ্চর্য নিষ্পাপ মুখ! অথচ কী আচমকা ঝড়ে সব ভেঙে গেল, হারিয়ে গেল! কিন্তু তার স্মৃতিটুকু হারায় নি। সে আলোর মতো, বাতাসের মতো- চিরদিন নিষ্পাপ, চিরদিন নির্মল। ফাঁকি দিয়ে যে পালালো---

ছবিটা মুখের উপরে চেপে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লাম। এতদিনের জমা করা তরল কান্নার স্রোত। "অভী, কেন তুমি স্বার্থপরের মতন একা একা চলে গেলে? "

ওকে শেষ দেখা দেখতে পাই নি, আমি নিজেই তখন হসপিটালে, চেতনা আর অচেতনার মাঝখানে দুলছি দিনের পর দিন।

তীব্র তৃষ্ণায় গলা খটখটে হয়ে উঠলো। ফ্রিজ থেকে বোতল বার করে এবার বোতল থেকেই গলায় ঢালতে লাগলাম। তবু একটুও কমে না আকন্ঠ তৃষ্ণা আমার। সমস্ত ভিতরটা জুড়ে বালি বালি- যেন একটা বিরাট মরুভুমি। আস্তে আস্তে চেতনা আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে লাগলো। আহ, এবার ঘুম, সর্বদুঃখহর শান্তির ঘুম। কিন্তু কোথায় ঘুম? কোথায় শান্তি?

সেইবার অভী আর আমি ফিরছিলাম পাহাড়ে ছুটি কাটিয়ে, একজায়গায় গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারালো। তারপরে আর আর আমার কিচ্ছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরে দেখেছিলাম আমি হসপিটালে, কতদিন যে ওখানে জেগে ঘুমিয়ে জেগে ঘুমিয়ে কেটে যাচ্ছিল বলতে পারি না। চিকিৎসকরা আমার প্রাণ রক্ষা করতে পারলেন কিন্তু ওকে বাঁচাতে পারলেন না।

অভী যে নেই, জানতে পেরেছিলাম সুস্থ হয়ে উঠে। শুধু বিষাদ না, কেমন একটা তীব্র অভিমান হয়েছিল ওর উপরে। একা একা চলে গেলে?

ছোট্টো কচি গলার একটা ফুঁপিয়ে কান্না আমি আজও শুনতে পাই। এক রাতে, ক্লিনিকে, কড়া সিডেটিভের আচ্ছন্নতায় কেবলই সরারাত একটা কচি কান্না শুনেছিলাম আমি। কে জানে কে কাঁদছিল? আমার মনের ভুল হয়তো।

ক্রমে চেতনা থেকে সব ভাবনা হারিয়ে যেতে থাকলো। অতীত নেই, ভবিষ্যৎ নেই, শুধু অন্ধকার, বিপুল অন্ধ অন্ধকার। হঠাৎ সেই অন্ধকারের মধ্যে আলতো আলোর দাগ পড়লো, আস্তে আস্তে ফুটে উঠলো এক তরুণের মুখ, অমলীন হাসি। অভী, যাকে ভালোবাসতো এক তরুণী। সেই তরুণী তো আমি নই! আমি দিনে দিনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছি, কিন্তু সেই তরুণী রয়ে গেছে একই, ঠিক ছবির অভীর মতন।

কোনো সময়হীন আলোর দেশে আমরা মিলবো, আসছি অভী, আর একটু অপেক্ষা করো।

(শেষ)


মন্তব্য

বনজোছনা এর ছবি

আপনার আর সব লেখার মতই অদ্ভুত মায়াময় ।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ বনজোছনা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনার নিকটা ভারী সুন্দর, মায়াময়। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক নাটক সিনেমায় গল্পে উপন্যাসের পরেও শুধু আপনার লেখার গুনে ঘটনাটা পড়ে বিষাদ হলো। ভালো লাগলো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বন্দনা এর ছবি

আপনার লেখা আসলেই খুব মায়াময় তুলিদি।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

মধুরিমাদের অংশটা ঠিকঠাক লেগেছে। মধুরিমার বান্ধবী, গল্পের লেখিকা চরিত্রটি গল্পর শেষভাগে এসে যখন নিজের মাঝে মগ্ন হয়ে অভীকে তুলে আনছে, তুলে ধরছে গল্প-পড়ুয়ার কাছে, সেখানে গল্প দুর্বল হয়েছে, বাঁধুনি আলগা লেগেছে। আর এ গল্পের বেশীটার জন্যই অভীকে আপতিত লেগেছে, সংপৃক্ত লাগেনি। তাই গল্পের নামকরণ-এ 'অভী'-র পরিবর্ত্তে অন্য কিছুর জন্য একটা আকাঙ্খা থাকছে।
তুলিদিদি, আপনার লেখা আমার খুব-ই ভাল লাগে। আপনার লেখার জোর আছে, নিয়মিত লেখেন-ও আপনি। তাই উপরের ওই বিশ্লেষণ। মন খারাপ কইরেননা, নইলে আমার খুব কষ্ট হবে, পিলিজ লাগে কিন্তু।
- একলহমা

মর্ম এর ছবি

কাছাকাছি কিছু কথা বলতেই এসেছিলাম, তুলিদি! দুটো অংশ মধুরিমাকে নিয়ে অংশটা আর অভীকে নিয়ে অংশটা কেমন আলগা লাগছিল!

পরে মনে হল- "পেয়ে যে হারিয়েছে সে-ই কেবল বুঝতে পারে পেয়েও যে পাওয়ার মূল্য বোঝেনি তার হারিয়ে ফেলাটুকু"-এ যদি হয় গল্প থেকে পাঠকের পাওয়া বার্তা তাহলে হয়ত ঠিকই আছে!

কিন্তু, কথা সেটাই, তুলিদি বলেই খুঁত ভাল লাগে না!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তুলিরেখা এর ছবি

মর্ম,
অনেক ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। একলহমাকে যে উত্তর দিয়েছি, সেটা আপনার জন্যও। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

একলহমা,

না না কিছু মনে করবো কেন, ভালো বিশ্লেষণ আর আলোচনাই তো লেখার ভালোমন্দ দেখিয়ে দেয়, লেখকের কাছে তার থেকে আকাঙ্ক্ষিত আর কী থাকতে পারে বলুন? হাসি

আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক, মধুরিমাদের অংশটা আর মিমির নিজের অংশটার মাঝে একটা গ্যাপ রয়ে গেছে, আসলে মূল গল্পটা আরো অনেকটা বড়ো ছিল আর সেখানে অভী চরিত্রটা আরো গাঢ় করে আঁকা ছিল, আরো অনেক বেশী অভিঘাতময় ছিল সম্পর্কটা, সেটা স্বল্প পরিসরে ফোটে নি। গল্পটাকে আবার নতুন করে লিখবার একটা প্ল্যান রইলো।

আপনাকে ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

রুন্তুলি' নামের অর্থ কি রে দিদি? বেশ মনে ধরলো নামটা। গল্প কাটছাঁট না করলে কি হতো?
আর তোমার ব্যাপারখানা কী বলো তো? ধারাবাহিকগুলো শেষ করবে কবে?
তিনটে ধারাবাহিক চলছে মনে থাকে যেন হুহ!

তুলিরেখা এর ছবি

আমাদের পাশের বাড়ীতে বেড়াতে আসতো দুটি মেয়ে-রুন্তুলি আর বুন্তুলি। নামের মানে তো জানি না, শুনতে সুন্দর লাগতো, তাই মনে রয়ে গেছে। হাসি

গল্প কাটছাঁট না করলে সেন্সরবোর্ড মারতো। খুবই মারাত্মক সব ব্যাপার ছিল কিনা! সেসব সব বাদ দিয়ে তবে না অভীকে ছিমছাম ভালোমানুষটি দেখানো গেছে! নাহলে খবরই ছিল! হাসি
তবে পরে গল্প রিকন্সট্রাক্ট করলে সবই রাখার চেষ্টা করবো। হাসি

আহা, তিনটে ধারাবাহিক কোথা? মোটে তো দুটো---"ত্রিস্রোতা" আর "কথা ছিল তারে বলিতে"। আসবে তারা সময় হলেই আসবে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

হেহেহে... 'নামের মানে কী'? এই ভাবটা নানাভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া। উশখুশ করি তাই অপরিচিত
নাম দেখলে অর্থ জানার জন্য। সুন্দর নাম রে দু'বোনের! ওম্মা! আরেকটা চলছিল যে রূপকথার? ওটা কি শেষ করেছো? ঘুলে খেয়েছি দেখি আমি ইয়ে, মানে...

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ ঐ উপকথা, মানে সাইকি-কিউপিডের গল্প, ওটা তো সমাপ্ত করে দিয়েছি। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আয়নামতি এর ছবি

অ্যাঁ আমার মিস হলো নাকি ওটা? খুঁজে আসি তবে....

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সব লেখার মতই মন খারাপ করানো মন খারাপ
ইসরাত

তুলিরেখা এর ছবি

সে কী? আমার সব লেখাই মন খারাপ করানো? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।