সাংবাদিক পাথর আর বিশাল বক্ষার দেশে - ১

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৯/২০১২ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC02066

আজকাল দেশের প্রায় সকল সাংবাদিককেই হলুদ মনে হয়, মতিকন্ঠ ছাড়া । তাই মনে হল, ইয়েলোস্টোন এর বাংলা নাম হলুদ পাথর না হয়ে সাংবাদিক পাথর করলে মন্দ হয়না। বাকি রইল গ্র্যান্ড টিটন । আসুন দেখি Grand Teton এর নামকরণ সম্পর্কে Wiki কি বলে,
The origin of the current name is controversial. The most common explanation is that "Grand Teton" means "large teat" in French, named by either French-Canadian or Iroquois members of an expedition led by Donald McKenzie ... ইত্যাদি ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে প্রচলিত মতবাদ, টিটন কথাটা এসেছে teat থেকে (সবাই বলেন নাউজুবিল্লা)।

এতক্ষণেও যদি গ্র্যান্ড টিটন মানে না বুঝে থাকেন তবে বলবো Wiki (লিকস না, অরিজিনাল) এর Grand Teton পাতায় গিয়ে ওই শব্দের উপর নিজ দায়িত্বে ক্লিক করেন অথবা প্রথম আলোর অনলাইন ডেস্ক এ যোগাযোগ করেন। সহজ করে উদাহরণ দিয়ে সেইদিন এক বন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম, মনে কর যেইটা আমারও নাই, তোরও নাই, keira knightley এরও নাই তবে এম এ জলিল এর আছে, সানি লিওন এর আছে, পুনম পাণ্ডের আছে। কিছুক্ষণ মাথা চুলকে সে প্রশ্ন করে, ইস্পিকিং অ্যান্ড লিসেনিং পাওয়ার? আমি বলি, শালা কাঠ বলদ।

যাই হোক, অনেক ত্যানা পেঁচালাম। মূল বক্তব্য হচ্ছে, ইয়েলোস্টোন আর গ্র্যান্ড টিটন ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণ নিয়ে এই লেখা লিখতে বসেছি। শুরু করি না হয় গ্র্যান্ড টিটন এর পর্বতমালার একখানা ভাঙ্গাচুরা ছবি দিয়ে।

DSC02457

আমি প্রচুর ঘুরাঘুরি করলেও মনের দুঃখে ভ্রমণ কাহিনী লেখা বাদ দিয়েছি। লিখতে বসলেই মনে হয় একটা ঝর্ণার সামনে দাঁড়িয়ে জনৈক তথাকথিত ভদ্রলোক ৪২ দাঁত বের করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর বলছে, ও এই জিনিস, এ তো কত দেখেছি, যখন আমি উলানবাটরের জঙ্গলে পাখিদের পরকীয়া দেখছিলাম অথবা যখন আমি আন্দেজের চিপায় বসে সাপ-লুডু খেলছিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই ইবনে বতুতা নাকি আজকাল আমার ভক্ত পাঠিকাদের তালিকায় ভাগ বসিয়েছে। তাকে নাকি পাঠিকারা মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করে, আপনিও কি চরম উদাসের মতো খুব বেশী বড়? সে কাঁচুমাচু হয়ে উত্তর দেয়, না না এতো বড় না, ছোট। আমি শুনে বলি, ওরে বুড়বক নিজের কুড়ালে নিজ পা মারলি। সে যাই হোক, তবুও শেষ পর্যন্ত আবার ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসলাম। সেই মহামানব ভদ্রলোক এর পদধূলি অত্র এলাকায় এখনো পড়েনি। তাই ভাবলাম বাইসনের গলা জড়িয়ে বিয়াল্লিশ দাঁত বের করে তিনি হাসার আগেই আমি একটু হেসে নেই।

পার্ক শুনলেই আমাদের রমনা বা শিশু পার্ক ধরণের কিছু মনে হয়। আমেরিকার এই ন্যাশনাল পার্কগুলো আয়তনে বিশাল। এর ভেতরে লাখে লাখে রমনা পার্ক ঢুকে যাবে। ইয়েলোস্টোন একাই আয়তনে প্রায় নয়হাজার বর্গ কিলোমিটার। আমেরিকার রোড আইল্যান্ড আর ডেলওয়ার ষ্টেট মিলে যত বড় তার চেয়েও খানিক বড়। ইয়েলোস্টোন এর নামের উৎপত্তি ইয়েলোস্টোন রিভার থেকে। কোন এক তারেক অণুর মতো পর্যটক নদীর ধারের উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের পাথরের আধিক্য দেখে নদীর নাম দিয়েছিলেন হলুদ পাথর। সেই ইয়েলোস্টোন নদীর দুই ধার ঘেঁষে নানা তাপীয় তামাশা নিয়ে গড়ে উঠেছে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক। ইয়েলোস্টোন থেকে খানিক দক্ষিণে গেলে বিশাল পর্বতমালা আর লেক নিয়ে শুরু হয় গ্র্যান্ড টিটন। প্রকৃতির এরকম অসম বণ্টন দেখলে আফসোস হয়। আমরা টেক্সাস এলাকায় একটা ঢিবি দেখলেই ওরে কি চমৎকার পাহাড়, ডোবা দেখলেই কি চমৎকার লেক বলে হৈ হল্লা করে তার ধারে বারবিকিউ করতে বসে যাই। আর এখানে একই জায়গায় প্রকৃতি অবহেলার সাথে সাজিয়ে রেখেছে কত বিচিত্র সৌন্দর্য।

দুটো পার্কই মূলত ওয়াইয়োমিং অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। সামান্য কিছু অংশ মন্টানা আর আইডাহোতে পড়েছে। আমেরিকার বাকি সব বিখ্যাত ন্যাশনাল পার্ক রকি মাউন্টেন, ইয়েসোমিটি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, স্মোকি মাউন্টেন, বিগ বেন, জায়ন ইত্যাদি ঘুরা আরও আগেই সমাপ্ত হয়েছে। সেগুলোর ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসেও চরম উদাস হয়ে থেমে যাই। কি কারণ আগেই ব্যাখ্যা করেছি। বাকি সবগুলোর তুলনায় ইয়েলোস্টোনে যাওয়া একটু ঝামেলার। টেক্সাস থেকে ড্রাইভ করে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, দুইদিন লেগে যাবে। আবার আশেপাশে তেমন কোন বড় শহর নেই। যে কারণে বিমানের টিকেট আকাশছোঁয়া। একদিন Grand Theft Auto খেলতে খেলতে আমাদের (আমার আর আমার ইয়ের) উপলব্ধি হল, কি আছে জীবনে। পুরা দুই নম্বর গেম। যাবতীয় কুকর্ম করা যায়। আমার চেয়ে আমার স্ত্রী আরও কয়েক কাঠি সরেস। ৯১১ এ ফোন করে এ্যাম্বুলেন্স ডাকে ইমারজেন্সি বলে, তারপর এ্যাম্বুলেন্সওয়ালাকে পিটিয়ে তার পয়সাপাতি নিয়ে নেয়। রাস্তার ধারের দেহপসারিণীর পাশে গিয়ে গাড়ীর হর্ন বাজালে সে গাড়িতে উঠে রঙঢঙ করে, বিনিময়ে ৫০ ডলার চলে যায়। আমার স্ত্রী তাকেও পিটিয়ে উল্টা আরও টাকা নিয়ে নেয়। সেই সাথে একের পর এক গাড়ী চুরি তো আছেই। খেলে আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, আহা, If life were GTA.। এইভাবে নানা দুই নম্বরি করে আমরা GTA তে টাকা জমাই, সেটা পরে কাজে লাগাবে বলে। এইভাবে হাজার হাজার ডলার জমিয়ে এক সময় দেখি গেম শেষ। লাস্ট মিশন শেষ, সকল শত্রু খতম, গেমও শেষ। এখন এই টাকা নিয়ে আমি কি ভেরেণ্ডা ভাজবো? আমি দার্শনিক মানুষ, তাই ঠিক সেই মুহূর্তে মনে গভীর দর্শনের উপলব্ধি হল। বললাম, এইভাবে একদিন আমাদের গেমও শেষ হইয়া যাবে। যোগ বিয়োগ করে হাতে থাকবে কেবল পেন্সিল। টাকা পয়সার গুল্লি মার, চলো যাই ইয়েলোস্টোন।

আমার এক বন্ধু আছে, সুপারম্যান। শুধু মাত্র আন্ডারওয়্যারটা প্যান্টের উপরে না পরে নীচেই পরে, এ ছাড়া সুপারম্যানের সব গুণাবলীই আছে। তাকে বলা মাত্র সে রা টা টা টা করতে করতে সমস্ত প্ল্যান করে ফেললো। আমরা সল্ট লেক সিটি পর্যন্ত উড়ে যাবো, সেখান থেকে আরও পাঁচ ঘণ্টা ড্রাইভ করে ওয়েস্ট ইয়েলোস্টোন এর কাছে ঘাটি গাড়বো। প্রথমে সকলেই গড়িমসি করতে থাকলেও আস্তে আস্তে দেখা গেল গ্রুপ এর আকার বড় হচ্ছে। তিনজন থেকে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত সেটা আনলাকি তেরতে গিয়ে থামল। ছয়জন পুরুষ, পাঁচজন নারী, দুইজন ঘেঁটু পুরুষ (প্রতিদিন সকালে উঠে যাদের চুল শুকাতে হয়, আঁচড়াতে হয়, হাতে পায়ে লোশন মাখতে হয়, ঠোঁটে ভেসিলিন লাগাতে হয়, চুল না গজালেও শেভ করতে হয়)।

তেরজনের গ্রুপ নিয়ে ভ্রমণে যাওয়া আর পঞ্চাশ কেজি আটার বস্তা কাঁধে নিয়ে হিমালয় জয় করতে যাওয়া সমান কথা। আমি মনে মনে বললাম, এই বেলা ইয়েলোস্টোন এর ইয়েলোটুকুই দেখা হবে শুধু, স্টোন পর্যন্ত যাবার সময় হবে না। তবে ভালো দিক হচ্ছে, ভ্রমণের পাশাপাশি বিস্তর গ্যাঁজানো চলবে। পাঁচজন নারী মিলে সকাল বেলা কষে পরোটা বানাবে আর আলু কুচি করবে। গ্রুপের পুরুষ যারা আছে তারাও রান্নায় কেউ কারো চেয়ে কম যায়না। আরাম করে থাকার জন্য সাত রুমের একখানা কাঠের বাড়ী ভাড়া নেয়া হল। তবে বেডরুম সাতটা হলেও রান্নাঘর একটাই। পাঁচ নারী মিলেমিশে এক রান্নাঘরে কতদিন থাকতে পারে? উত্তরটা পরে দিবো। বেশ আগেই নতুন এসো নিজে করি, কিভাবে ভ্রমণ করবেন, How to travel like Tareq Onu লিখার জন্য বিস্তর গবেষণা শুরু করেছিলাম। এই ভ্রমণের পর সেই গবেষণা সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই লেখায় না হয় আমার বিস্তারিত গবেষণার ফলাফল দেয়া যাবে। এই লেখায় বরং অন্যদিকে না গিয়ে লাইন সোজা করে আমার মূল ভ্রমণ কাহিনীতে ফিরে আসি। এরই মধ্যে পাঁচ ছয় প্যারা লেখা হয়ে গেছে, অথচ এখনো বিমানেই উঠলাম না। পাঠক হৈহল্লা শুরু করার আগেই এই বেলা বিমানে চেপে সল্টলেক সিটি চলে যাই। সেখান থেকে দুদু খানা SUV নিয়ে পশ্চিম ইয়েলোস্টোন। পথের দৃশ্য অতি মনোহর।

IMG_2126

DSC01986

সল্ট লেক সিটি ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। অনেকের মতেই ইউটাহ আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর ষ্টেট। আমরা ইউটাহ পার হয়ে আলুর জন্য বিখ্যাত ষ্টেট আইডাহোতে চলে আসলাম। আমাদের কেবিন সেই আইডাহোর একেবারে উত্তর প্রান্তে। সামান্য উত্তরে গেলেই মন্টানা, পাহাড় আর নদী ঘেরা আরেক সুন্দরী ষ্টেট। সামান্য পূর্বে গেলেই ওয়াইয়োমিং , ইয়েলোস্টোন আর গ্র্যান্ড টিটন এর প্রায় পুরোটাই যেখানে।


(ছবিসূত্রঃ http://away.com/ )

আমাদের নয়দিনের ভ্রমণের প্রথম দিনের বেলা শেষে এসে পৌঁছলাম আমাদের কেবিনে। তিনতলা কাঠের বাড়ি। একপাশে জঙ্গল, একপাশে ক্ষেত।

DSC00913

আসার পথে সল্টলেক সিটি থেকে বিস্তর বাজার সদাই করে আনা হল। তেল, চাল, ডাল, মাংস থেকে শুরু করে ডিম কলা পর্যন্ত যা পেলাম তাই তুলে আনলাম। এই এক সপ্তাহে আমি জীবনে যত কলা খেয়েছি, একটা বানর তার সারাজীবনেও এত কলা খেয়েছে কিনা সন্দেহ। কলা হচ্ছে দুনিয়ার বুরকা পরা পবিত্র ফলদের একটি। মহান সাঈদীর ভাষ্যমতে - "কলাটা আল্লাহ প্যাকেট করে দিয়েছেন না? আনারসটা প্যাকেট করে দিয়েছেননা? লিচুটা প্যাকেট করেছেন না ... কলা, ল্যাংড়া আম, কাঁঠাল সব ছিলাইয়া যদি বায়তুল মোকারমের সামনে নিয়া বসে, কেউ কিনবে? কেনবো তা নাই, এর উপর পড়বে মাছি ... সুতরাং জিনিস যতো ভালো আল্লা তাকে পর্দা করে রেখেছেন। নারী হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।" কথা সত্য। আমি এজন্য সবসময় বুরকা পরা মেয়ে আর প্যাকেট করা ফল পছন্দ করি। আবার আম, কাঁঠাল এর বুরকা খুলা মহা ঝামেলার কাজ, আনারস এর বুরকা খুলার চেয়ে সাকিব খানের স্কিন টাইট প্যান্ট খুলা সহজ। বাকি রইল কলা, সুন্দর প্যাকেট এর মধ্যে নিরাপদ থাকে আবার এক টান দিলে খুলেও আসে। আমরা তাই ভ্রমণে খালি কলা খাই। কলা খেতে খেতে আমার সুপারম্যান বন্ধুর কাছ থেকে মুফতে কিছু জ্ঞানও অর্জন হয়ে গেল। কলা কিভাবে ছিলতে হয় জানেন? আমি জানতাম না। কলার ডাঁটি চেপে ধরে গোরা থেকে কলা ছিলে গেছি সারা জীবন। জানলাম, কলা আসলে ছিলতে হয় আগা থেকে। বানর ওভাবেই কলা ছিলে। কারণ আগা থেকে ছিললে কলার উপরের যেই বিরক্তিকর সূতা টাইপের বস্তু আছে সেটার বেশীরভাগ কলার ছালের সাথে উঠে চলে আসে, খেতে আরাম হয়। সুতরাং কলার গোড়া নয় আগা ধরে টানুন। যাহোক, এই হচ্ছে আমার ভ্রমণ কাহিনী লিখার অবস্থা! কোথায় কলা আর কোথায় ইয়েলোস্টোন!! মূল কাহিনীতে ফিরে যাই বরং। মুফতে না হয় লোকজনকে একটা মিনি এসো নিজে করি টিউটোরিয়াল দিয়ে দিলাম। এসো নিজে করি- কিভাবে কলা ছিলবেন / How To Peel A Banana Like A Monkey


ইয়েলোস্টোনের দর্শনীয় জিনিসগুলো মোটামুটিভাবে চার ধরণের। নানা ভূ-তাপীয় ক্রিয়াকলাপ, পাহাড় ও ঝর্ণা, ওয়াইল্ড লাইফ, নদী ও লেক। আজকে বরং ইয়েলোস্টোনের ভূ-তাপীয় ক্রিয়াকলাপ (বারবার লিখতে গিয়ে দাঁত খুলে যাচ্ছে) নিয়ে লিখি। এই বেলা একটু চামে চিকনে জ্ঞান ঝেড়ে দেই। ইয়েলোস্টোন বিখ্যাত এর ভূ - তাপীয় ক্রিয়াকলাপের (geothermal activity) জন্য। এই তাপীয় তামাশা গুলোকে মূলত চার ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। উষ্ণ প্রস্রবণ (hot springs), কাদা পাত্র (mud pots), গাইজার (geysers) আর বাষ্প রন্ধ্র (Fumaroles)। এদের কার কিভাবে জন্ম এই নিয়ে বিস্তর জ্ঞান দেয়া যায়। অত জ্ঞান না দিয়ে বরং নিচের ছবিখানাই দেই। মোদ্দা কথা হচ্ছে সবারই উৎপত্তি গরম পানি থেকে। এখন কে কিভাবে বের হয়ে আসছে তার উপর নির্ভর করে এরা কখনো রঙ্গিন পুকুর হয়ে যায়, কখনো বাষ্প হয়ে বের হয়, কখনো বিশাল পানির ঝর্ণা হয়ে বের হয়ে আসে, আবার কখনো বা ফুটন্ত কাদামাটি হিসেবে বের হয়ে আসে।

যেমন এই যে একজন বিশিষ্ট মাড ভলকানো। টগবগ করে কাদা মাটি ফুটে বের হচ্ছে। শসা আর কাদামাটি দেখলেই মেয়েদের মুখে মাখার শখ হয়। আমি অনেক কষ্টে গ্রুপের মেয়েদের আটকালাম এই বলে, ওরে নারে, ওটা মুখে মাখতে যাসনে, ওতে ত্বক এমনই মসৃণ হয়ে যাবে যে সুন্দর মাংস থেকে খুলে চলে আসবে।

উষ্ণ প্রস্রবণ মনে হয় এখানকার সবচেয়ে কমন জিনিস। নানাবর্ণে, নানা গন্ধে ছড়িয়ে আছে পুরো ইয়েলোস্টোন জুড়ে। তীব্র সালফারের গন্ধে কোন কোনটার কাছে বেশীক্ষণ দাঁড়ানো যায়না।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় Grand Prismatic Spring. শুধু এখানেরই না, সাড়া আমেরিকার সবচেয়ে বড় হট স্প্রিং এটা, সারা বিশ্বে তৃতীয়। নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা আর খয়েরী বর্ণ মিলে এঁকে চমৎকার এক বর্ণালী তৈরি করার কারণে এর নাম প্রিজম স্প্রিং।

আবারও সুযোগে খানিকটা জ্ঞান দেয়া যাক। স্প্রিং এর চারধারের এইসব উজ্জ্বল বর্ণের মূল কারণ ব্যাকটেরিয়া।কি ধরণের ব্যাকটেরিয়া আর পানির তাপমাত্রা কত তার উপর নির্ভর করে সবুজ থেকে লাল পর্যন্ত নানা বর্ণ তৈরি হয়। বর্ণ দেখে কোন অংশের তাপমাত্রা কত সেটাও বোঝা যায়, পুরা লিভিং থার্মোমিটার হিসেবে কাজ করে। নীচের ছবিটা দেখে ব্যাপারটা একটু ভালোভাবে বোঝা যেতে পারে। মাঝখানে তাপমাত্রা অনেক বেশী থাকায় সেটা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে, সেইসাথে নীলবর্ণ থাকে।

আমার ধারণা ছিল শুধু মাত্র আমাদের দেশেই পাবলিক চান্স পেলেই টাট্টিখানা বা রাস্তার দেয়ালে নিজের নাম খোদাই (মোবাইল নাম্বার সহ) করে যায়। সেইসাথে অমুক প্লাস তমুক লিখে চারপাশে নিজের হৃদয় আঁকাআঁকি তো আছেই। এখানেও দেখলাম লোকজন নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ব্যাকটেরিয়া ম্যাটের উপরে নানা কারুকাজ করে রেখেছে কাঠি দিয়ে।

IMG_2461

IMG_2466

যাইহোক, এই পর্যায়ে বলে রাখা ভালো আমার বেশীরভাগ ছবিই ভাঙ্গাচুরা এক সনি ক্যামেরা দিয়ে তোলা। তদুপরি আমি ইমেজ প্রোসেসিং এ পিএইচডি বলে জ্ঞানের ভারে এবং চোখে খানিক কম দেখি বলে দৃষ্টিশক্তির অপ্রতুলতায় ঠিকমতো ছবি তুলতে পারিনা। তবে, ছবি তুলতে না পারলেও লোকজনের ছবি বিষয়ে নানা সমালোচনা করতে বেশ ভালো পারি। তো এইরকম অন্যের ছবির একের পর এক সমালোচনা করে যাওয়া এবং নারীদের ছবি না তুলে শুধু প্রকৃতির ছবি তুলে যাবার কারণে এই পর্যায়ে আমার কাছ থেকে ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হল। তাই আইফোনই এখন ভরসা।

এর পরে আছে Fumaroles বা Steam Vent। দিন নাই, রাত নাই চেইন বিড়িখোরের মতো করে ধুমা ছেড়ে যাচ্ছে।

আবার এই ড্রাগন মাউথ স্প্রিং এর মতো কেউ কেউ পানি আর ধোয়া দুটোই ছেড়ে যাচ্ছে।

সবশেষে আছে সবচেয়ে বিখ্যাত গাইজার (geysers)। কেউ কেউ নিয়মিত বিরতিতে আবার কেউ কেউ অনিয়মিত ভাবে থেকে থেকে ভুস করে গ্যালনকে গ্যালন গরম পানি ছুড়ে মারছে আকাশে। কেউ একদম তেড়েফুঁড়ে পানি ছুড়ছে।


কেউ বা আবার পিচিক পিচিক করে একটু পানি ছুড়ছে।

আর এদের মধ্যে সবার বড়, সবচেয়ে বিশ্বস্ত আর বিখ্যাত হচ্ছে Old Faithful. ওল্ড ফেইথফুল গাইজার নিঃসন্দেহে ইয়েলোস্টোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণ। এতোই জনপ্রিয় যে গাইজারের সামনে রীতিমতো স্টেডিয়াম সিটিং এর ব্যবস্থা করে রেখেছে। শতশত পাবলিক সিটে বসে আরাম করে গাইজারের তামাশা দেখে। গাইজারের সামনে এরকম মিনি স্টেডিয়াম দেখে একটু বিরক্তই লাগলো। আমেরিকানরা টুরিস্ট আকর্ষণের জন্য বরাবরই একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলে। আটলান্টায় স্টোন মাউন্টেন দেখতে গেছি একবার। অতিকায় আকারের একটা পাথর, ওই এক পাথরই পর্বত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খুব বেশী দর্শনীয় কোন বস্তু না। ব্যাটারা টুরিস্ট বাগানোর জন্য এই পাথরের চারপাশ ঘিরে রেললাইন বানিয়ে ট্রেন বসিয়ে দিয়েছে। আধাঘণ্টায় ট্রেনে পর্বত ঘিরে এক চক্কর ঘুরে আসার ব্যবস্থা। একটু পর পর ট্রেন থামিয়ে নানা জ্ঞান দেয়া হয় বোনাস হিসেবে। পাহাড়ের নীচ থেকে উপরে উঠার জন্য রোপ ওয়ে ট্রাম বানানো। পাহাড়ের চারপাশের লেকে আধাঘণ্টা ধরে ষ্টীমার এ ঘুরার ব্যবস্থা। এইসব করে পাবলিককে একটু এক্সট্রা বিনোদন দেয়া, আর সেইসাথে ডলার পকেটে পুরা। নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত বোধকরি ঠিক আছে, কিন্তু মাঝে মাঝে সীমা অতিক্রম করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। যেমন কিছুদিন ধরে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এ থিম পার্ক বানানো নিয়ে গুনগুন চলছে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর উপর থেকে নীচ পর্যন্ত রোলার কোস্টার, ট্রাম লাইন, নিচের নদীতে ওয়াটার রাইড ইত্যাদি ইত্যাদি। বুদ্ধির ঢেঁকি আর কাকে বলে! সে যাই হোক, ওল্ড ফেইথফুলে ফিরে আসি। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই ব্যাটা বিশ্বস্ততার সাথে দিনের পর দিন প্রতি নব্বই মিনিট পর পর চার পাঁচ মিনিট করে গ্যালনকে গ্যালন জল আকাশে ছুড়ে সে এক তামাশা করে যাচ্ছে। আমরা পর পর গ্যালারীতে বসে পর পর দুই বার সেই তামাশা দেখলাম।

জল ছোড়া শেষ হলে পাবলিক বিপুল হাততালি দেয়। আমি মনে মনে বলি, হুহ! এ আর এমন কি আমাদের দেশেও আছে। এই যে, এই হচ্ছে, আমাদের ওল্ড ফেইথফুল। দিনের পর দিন বিশ্বস্ততার সাথে থুতু ছিটিয়ে যাচ্ছে কিনা বলেন? আবার পাবলিক সেই তামাশা দেখে দিব্যি হাততালিও দিয়ে যাচ্ছে।


চিত্র - আমাদের ওল্ড ফেইথফুল ( ছবিসূত্রঃ http://jatiyo-party.com)

যাহোক, বেহায়া আনফেইথফুল এর ছবিখানা পেস্ট করে নিজেরই এখন পেট গুলাচ্ছে। ও আচ্ছা, নীচের এই ছবিখানা তোলা ম্যামথ হট স্প্রিং এ। আমাদের ওল্ড ফেইথফুল এর সাথে প্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে এখানে দিয়ে দিলাম।

আজকে বরং এই পর্ব শেষ করি। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, বাইসন, হরিণ, গ্রিজলি ভালুকদের গল্প নিয়ে পরের পর্বে ফিরে আসবো দ্রুতই। ইস্টে টিউন্ড। শেষ করি একখানে প্যানারমিক গ্রুপ ছবি দিয়ে। ইয়েলোস্টোনের সবচেয়ে উঁচু জায়গাগুলোর একটা মাউন্ট ওয়াশবার্ন এর উপরে তোলা।


মন্তব্য

মেঘা এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

এখন পড়ি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

মেঘা এর ছবি

এইভাবে আমার মাথায় ইট ভাঙলেন ভাইয়া মন খারাপ কিন্তু আমি ব্যথা পাই নাই দেঁতো হাসি

ইটা রেখে গেলাম রাতে আর পড়তে পারলাম এখন। পোষ্ট বড়ই সৌন্দর্য হয়েছে। তারেকাণু হবার চেষ্টা চোখ টিপি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

রিসালাত বারী এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

চরম উদাস এর ছবি

শাব্দিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অরফিয়াস এর ছবি

উদাসদা, প্রথম ছবির সাইজটা একটু ঠিক করে দিন ;)। ওটা একটু বেখাপ্পা আসছে মনে হয়।

সব জায়গায় সাইজ নিয়েই যত গোলামাল !! বড় আর ছোটর পার্থক্য !! যাই হোক, হইলদা পাত্থড় দেখতে গেছিলেন এইটা আর এমন কি হইলো, আর হের উপরে গরম জল। খাইছে ছবি তুলছেন কৈলেন ভাঙ্গা ক্যামেরা দিয়া, তাতেই চকচক করতাছে, ভালো ক্যামেরা হইলে না জানি কি হইতো !!

ম্যামথ হট স্প্রিং কিন্তু ভালো, এইটা আমাদের চাচার নির্বাচনের মার্কা হইতে পারে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

খৎনা করে ফেলে দিলাম কিছু অংশ ইয়ে, মানে... , এখন ঠিক আছে না??

অরফিয়াস এর ছবি

আমিও মন্তব্যের শুরুতে খৎনা দিলাম। শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্যাম এর ছবি

এইটা না পড়ে ঘুমানো যাবেনা।।।।।।।।

স্যাম এর ছবি

হাহহাহহাআহহাহাহাআ ------৫ তারা

স্যাম এর ছবি

আমি প্রচুর ঘুরাঘুরি করলেও মনের দুঃখে ভ্রমণ কাহিনী লেখা বাদ দিয়েছি। লিখতে বসলেই মনে হয় একটা ঝর্ণার সামনে দাঁড়িয়ে জনৈক তথাকথিত ভদ্রলোক ৪২ দাঁত বের করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর বলছে, ও এই জিনিস, এ তো কত দেখেছি, যখন আমি উলানবাটরের জঙ্গলে পাখিদের পরকীয়া দেখছিলাম অথবা যখন আমি আন্দেজের চিপায় বসে সাপ-লুডু খেলছিলাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

হাহহাহাহাহাহাহ - এই ভদ্রলোক্কে সবাই চিনে দেঁতো হাসি

স্যাম এর ছবি

ইউরেকা ইউরেকা!!!!


এই ছবিটা থেকে রঙ নেয়া হয়েছিল নীচের ব্যানার এর-

চরম উদাস এর ছবি

যাক, খুঁজে পাইলেন তাইলে। আমি নিজেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না কোন ছবি থেকে রং নিছেন। তবে ইয়েলোস্টোন আসলেই খুব কালারফুল জায়গা।

খেকশিয়াল এর ছবি

ছৈলত ন! এইভাবে ধোঁকাবাজি! কী ভেবে আসলাম আর কী দেখলাম মন খারাপ

যাউকজ্ঞা, পড়ি আবার থুক্কুমুক্কু ফিরের থিকা

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

সব পাপী মন। শিরোনাম দেখেই ফাল দিয়ে উঠে খাইছে

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখা, ছবি ও শেষাংশে চলুক
আপনার পোস্টগুলো আসলেই নির্মল বিনোদন। চোখ টিপি
শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু। আপনের ব্যাঙ গবেষণা কেমন চলে?

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

তারেক অণুর ভ্রমণকাহিনির অধিকাংশ জায়গাগুলোতে যাওয়া দূরে থাক অনেক সময় নামও শুনিনি।

আজকে দিন ভালো, মুস্তাফিজ ভাইয়ের হুইসলার আর তোমার এই হলুদ আর বিশাল ইয়ে দুটোই কমন পড়েছে।

ইয়েলস্টোন আমার দেখা বিস্ময়কর জায়গাগুলোর একটা। ছয়জন মিলে গিয়েছিলাম, স্মৃতি এখনো অক্ষয় আছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

লিখে ফেলেন ইয়েলোস্টোন নিয়ে আপনার ভ্রমণ কাহিনী। আসেন সবাই কাঁধে কাধ মিলিয়ে আমরা তারেক অণুকে উৎখাত করি।

নাসাদ সাফা এর ছবি

লেখা সরেস হইছে চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্বপ্নহীন এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে চলুক

সত্যপীর এর ছবি

উপ্রে নাম দিলেন বিশাল বক্ষা আর ভিত্রে দিলেন উল্টাদিকে ছিলা কলা আর আমাগো ওল্ড ফেইথফুল। ধুর্মিয়া।

ইয়ে, "তারেকাণু এখনো এইখানে পাড়া দেয়নাই" সাইনবুড নেওয়ার কথা ছিল নেন্নাই?

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

সাইনবুড ওইখানে পুঁতে দিয়ে আসছি খাইছে
সব পাপিষ্ঠের দল নাম দেখে লাফাইতে লাফাইতে পোস্ট পড়তে আসছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিরা নাইটলির কি নাই ঠিক বুঝলাম নাহ্‌ গুল্লি

-কিংশুক

চরম উদাস এর ছবি

গ্র্যান্ড টিটন নাই ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

উবুত হয়া মাটি কিলাকিলি'র ইমো!!!!

ফাহিম হাসান এর ছবি

অনেক আশা নিয়ে লেখা পড়তে এসেছিলাম উদাস ভাই। বিশাল বক্ষার বিষয়ে কিছু নাই দেখে কিঞ্চিৎ হতাশ মন খারাপ তবে এ প্রসঙ্গে এক ঘটনা মনে পড়ল - হুটারস এ এক বাংলাদেশী ওয়েইট্রেস এর দেখা পেয়েছিলাম - প্রচন্ড স্মার্ট আর বেশ ইয়ে (বিস্তারিত বর্ণনা মেসেজে)! যতদূর জানি এই শহরে কিম্বা প্রভিন্সে সেই একমাত্র বাংলাদেশী হুটার্স গর্ব!

এই পোস্টে সত্যি কথা বলতে গেলে লেখার চেয়ে ছবি ভালো এসেছে! আপনার ছবি তোলা নিয়ে যত বিনয় করলেন সব যে ভণিতা সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ইয়েলোস্টোন জায়গাটাও অপূর্ব।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে! কোন হুটারস এ?? ডিটেইলস জানান তো, দেখি ডালাস হুটারস এ বদলি করে নিয়ে আসা যায় কিনা। আর খবর্দার প্রথম আলোর অনলাইন ডেস্ক যেন এই খবর না জানে!

হিমু এর ছবি

দেশী হুটার্স-নন্দিনীকে নিয়ে ফটুব্লগ চাই

চরম উদাস এর ছবি

চলুক আমিও চাই।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

কী শিখলাম? নাইরকেল হৈল সবথেইকা পবিত্র ফল, তয়- ইয়ে মানে খুরমা খেজুর নিয়ে কিঞ্চিত টেনশিত... খাইছে

বড়ই সৌন্দর্য- ছবি-লেখা...

চরম উদাস এর ছবি

তা যা কইছেন, খুরমা খেজুর পুরাই বেওয়াচ ফ্রুট দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ধুর মিয়াঁ, ভাবছিলাম যে এল্কটা আপনারে কইছে যে সে এল্ক সেই কাহিনী আর এফিডেভিট করা ছবি থাকবে, দেখি সবই ফাঁকা!

লেখা তরতর করে আগাক, সেই কবে আপনের কাহিনী পড়ছিলাম আরেক পার্ক নিয়া খাইছে

ভাইরে আম্রিকা আসবই যে একটা কারনের জন্য সেটা ইয়োলোস্টোন, তবে আপনার নাম করনের শানেনযুল বুঝে গেছিলাম হো হো হো পরের পর্ব ছাড়েন, এল্কের ডাক শুনি!

চরম উদাস এর ছবি

এল্ক এর কাহিনী আসবে আগামী পর্বে। আপনে যে এল্ক আর মুজ নিয়া বিলা লাগাইছেন সেই ঘটনা সহ। বিচারের ভার পাঠকের উপর।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ঠিকই যামু একদিন, খালি ভিসাডা হউক।

...........................
Every Picture Tells a Story

চরম উদাস এর ছবি

চলে আছেন মুস্তাফিজ ভাই। ইনফেক্ট আমার এইখান থেকে ইয়েলোস্টোন ম্যালা দূরে, কানাডা থেকে বরং আরও কাছে হবে।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

মাথা খারাপ করা সব ছবি । লেখাও দারুন ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

কি কন? মাথা খারাপ করার মতো ছবি তো মাত্র একটাই দিলাম (চাচামিয়ার ছবিটা)

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

পড়তে পড়তে পেটে খিল ধরে গেল । বলুনতো কেন? বলতে হলে পুরো লেখাটাই এখানে উদ্ধৃতি করতে হয় । বিশেষ করে কলা ছিলার ব্যাপারটা । সেই সঙ্গে সাইদীর ওয়াজটা হো হো হো । ঠিক করেছি যেদিনই কোন কারনে মন খারাপ করবে, তখনই এসে এই লেখাটা পড়ে যাব । ঐ দিনের হাসির "ডোজ" হয়ে যাবে, ওভার ডোজ হওয়ারও চান্স আছে অবশ্য ।

যাক গে ইয়েলো, রেড, ব্লু, গ্রীন যত স্টোন আছে সব স্টোন নিয়ে লিখতে থাকুন ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

রু এর ছবি

তারেক অণুকে ভদ্দরনোক বললেন?! যাই হোক, ছবিগুলা খুব সুন্দর। লেখা অমানবিক।

চরম উদাস এর ছবি

ভদ্দরনোক বলি নাই, তথাকথিত ভদ্দরনোক বলছি খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ দিয়ে শুরু! দেঁতো হাসি

দারুন পোস্ট! হাততালি

দেবা ভাই
-----------------------------------------
'দেবা ভাই' এর ব্লগ

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু দেবা ভাই

শাব্দিক এর ছবি

অনেক তথ্য সম্বলিত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোস্ট। চিন্তিত কলা ছিলা থেকে শুরু করে নানারকম বিষয়ে জ্ঞান আরোহন ইয়ে মানে আহরণ করলাম।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

চরম উদাস এর ছবি

আর বইলেন না, জ্ঞানের ভারে আমি আজ পর্যুদস্ত। তাই সুযোগ পেলেই কিছু জ্ঞান ত্যাগ করি আরকি খাইছে

শিশিরকণা এর ছবি

অপেক্ষায় ছিলাম এই পোস্টের জন্য। অফিসে বসে পড়া ঠিক হয় নাই। এখন আরেকবার রিভিশান দেই।

আপনার প্রো-পিকের বান্দরগুলার কি কলা খাওয়ার বয়স হইছে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস এর ছবি

কলা খেতে কি আর বয়স লাগে?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

এর আগেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে অফিসে বসে আপনার লেখা পড়বো না, চাকরী চলে যাবে। অনেকদিন পরে আপনার নতুন লেখা পেয়ে সেই প্রতিজ্ঞা ভুলে গিয়েছিলাম, এখন তার মাসুল গুনতেছি, চেয়ার থেকে পড়ে যাইনি (রেলিং দেয়া চেয়ার তো তাই) কিন্তু হাসি চেপে রাখতে যেয়ে কাশি শুরু হয়ে গেছে।

অমানুষিক লেখা এবং ছবি।

চরম উদাস এর ছবি

আমি অফিসে বসে লিখি আমার চাকরী যায়না (কেন যে যায়না এখনো বুঝতেছি না) আর আপনি লেখা পড়লে চলে যাবে এ কেমন বিচার?

জুন এর ছবি

আপনার অফিসের বস লেভেলের কেউ বাংলা জানে?

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

চরম উদাস এর ছবি

আমার কুনু বস নাই। আমার বস আমি চাল্লু

সত্যপীর এর ছবি

আজিরা পাট কম লন। দিমু ভাবিরে ফুন কৈরা সব কৈয়া।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

ম্যাঁও

জুন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তানিম এহসান এর ছবি

ছবি দেখেতো যাইতে ইচ্ছা করতেসে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

চলে আসেন তানিম ভাই, কি আছে জীবনে।

সাবেকা  এর ছবি

অনেক দিন পর আপনার লেখা ! তাড়াতাড়ি পরের পর্ব গুলো পড়তে চাই চলুক

চরম উদাস এর ছবি

অফিসের কাজে আর নিজের ঘুরাঘুরি মিলিয়ে গত দুই মাস পুরা তারেক অণু হয়ে ছিলাম। এইজন্য অনেকদিন পর লিখলাম।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভাইজান তো বেশ বড় বান্দর দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আমি?? কই, না তো খাইছে

Kibria এর ছবি

যেমনে ধুয়া উডে আর পানি বাইর অয়...আঙ বাড়ির লগে অইলে মাজার বয়াইয়া দেওন যাইত |
চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায়। আমি তো ভাবছিলাম ওইখানেই গরম উদাস পীরের মাজার খুলে ফেলবো। পীর খেপলে খালি ধুয়া বের হবে।

রংতুলি এর ছবি

জায়গাটা আসলেই 'চরম', আর এটা দেখে না যাইতে পারার দুঃখে মনটা... (এইবার আপ্নের পুরা নামটাই)!

বহুমুখী ব্যাপক বিনোদনে ভরা, আপাদমস্তক নাউজিবিল্লাহ পোস্ট! খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

হিমু এর ছবি

চাক নরিস রজনীকান্তের চুটকিগুলির মতো তারেকাণুরে নিয়েও ভৌগোলিক সুপারম্যান চুটকি বানানো যায়। যেমন ধরেন,

একবার তারেকাণু আম্রিকায় বেড়াতে গিয়ে যাত্রাপথে ভাত বেশি খেয়ে ফেলে। ফলে সে পরদিন চুপচাপ নিরিবিলিতে পেট হালকা করতে বের হয়। একটা জংলামতো জায়গা পেয়ে বসে পড়ে।

সেই জায়গার নাম পরে রাখা হয় ইয়েলোস্টোন।

স্যাম এর ছবি

দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এইরকম আরও কিছি জোকে বানায়ে এই বই মেলায় বই বের করে ফেলবো। ১০১ টি তারেক অণু জোকস নাম দিয়া

তারেক অণু এর ছবি

সবগুলা আমার শত্তুর ধইরা ঠুয়া দিয়া দিমু...

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

দেঁতো হাসি

ধুসর জলছবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জুন এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এরিক এর ছবি

উত্তম জাঝা!

আবছায়া এর ছবি

কলম্বাস আমেরিকাতে আসলে তাকে স্বাগত জানিয়েছিল তারেকাণু।।

আলোকিতা এর ছবি

ছবি দেখে মন খুশি। চলুক

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছবিগুলো দারুণ হয়েছে। লেখাও সুখপাঠ্য। এক জায়গায় অক্ষরবিন্যাসে ইচ্ছাকৃত ভুল লক্ষ্য করলাম।

দুদু খানা SUV নিয়ে

ঠিক করে লিখলে, দু দু'খানা SUV নিয়ে, নয়কি ?

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমি খেয়াল রাখতেছিলাম কার চোখে এইটা আগে পড়ে, শেষ পর্যন্ত কিনা আপনার চোখেই পড়লো ...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমি আবার বোকাসোকা মানুষতো, তাই ফাঁকিবাজি বুঝিনা। তাই পড়াতেও ফাঁকি নাই। পুরো মনযোগ দিয়েই পড়ি। হয়তো সে কারনেই.....।

জুন এর ছবি

দেঁতো হাসি প্রৌঢ়দার কি আগের কাহিনীগুলা জানা নাই? এই জন্যই ধরা খাইলেন। আমি দেখছিলাম, এইটা শিওর যে যারা পড়ছে সবাই দেখছে; কিন্তু সচলে এই দুদু নিয়া কথা দুদুবার করে কথা বলার সাহস করাটা ঠিক না। শয়তানী হাসি

চমৎকার লেখা এবং ছবি। আর হিংসা করতে ভালো লাগেনা। তাই ভাবতাছি বৌদ্ধধর্ম-এ দীক্ষা নিমু। মন খারাপ

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

চরম উদাস এর ছবি

হ, মালাই লামা, জোকাই লামা ইত্যাদি এর পর এখন মার্কেটে জুন লামা খাইছে

জুন এর ছবি

কস্কি মমিন! ব্যপক পছন্দ হইছে।।। জুন লামা। আমার নতুন নিক এইটা। ও মডুভাইরা। ইট্টু বদলাইদেন নাগো। দেঁতো হাসি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

অরফিয়াস এর ছবি

আমার চোখে প্রথমেই পড়ছে, কিন্তু কই নাই, কৈলে আবার সবাই ভাববো আমার মনে খালি ইয়ে !! খাইছে

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাই/বাছা, বলেনতো এমন কোন মানুষটা আছে যার মনে 'ইয়ে' নাই। কেউ সরাসরি প্রকাশ করে আর কেউ ভঙ ধরে। এই যা তফাৎ। ঠিক কিনা ?

চরম উদাস এর ছবি

এই যে আমি আছি, মনে কোন ইয়ে নাই ...

ধুসর জলছবি এর ছবি

সচলে সবাই অণু ভাইরাসে আক্রান্ত। দেঁতো হাসি
ছবি, লেখা , শিরোনাম সবই চরম উদাস খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

স্যাম এর ছবি

আসলেই ভাল লেখাটা - পড়তে মজা লাগা আর সুন্দর ছবি - দুয়ে মিলে তথ্যগুলো মনে থাকবে অনেকদিন - এবছরের শেষে একটা ইচ্ছা আছে এখানে যাওয়ার।

চরম উদাস এর ছবি

চলে আসেন, কি আছে জীবনে

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

সেই চিরায়ত চরম উদাস, এই লেখাতেও হাসি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস এর ছবি

কই চিরায়ত? আমি তো আরও ভ্রমণ কাহিনী লিখবো বলে সিরিয়াস ভাবে লিখতেছি এই সিরিজ

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখাইলেন মুরগি, খাওয়াইলেন ডাইল... বিশালবক্ষা কই গেলো?? এইসব গ্রেইজার মেইজার, ফুল-পাখি-লতা-পাতা দিয়া কি করমু? জুম্মার দিন মনে করলমাম একটা ঈমানী পোস্ট দিছেন!!!
দুর্ণীতিতে দেশটা ভইরা গেলো, বিশ্বব্যাংক কি খামাখা কান্দে!!!
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।
বিশালবক্ষা চাই!!! দু'দু বার চাই!!!

চরম উদাস এর ছবি

হ, বুঝলাম। আমি একেবারে বোল্ড বিশালবক্ষা চান। বোল্ড না হয়ে ইটালিক হলে চলবে?

আইলসা এর ছবি

বোল্ড এন্ড বিউটিফুল হইলে ভালু হয় তয়, ইটালিয়ান ও চইলত।

-আইলসা

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনন্ত জলিল পুনম পাণ্ডে আর সানি লিওনির আছে... এটুক পইড়াই গইড়ায়া হাসলাম
জটিল লেখা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এখন মিনিসোটায় আছি। ইয়োলো স্টোন দেখাতে যেতে চাচ্ছি কিন্তু সঙ্গী পাচ্ছি না। পরিচিত যারা ওখানে আছে বলল দেখার মত কিছু না, তাই তাদের কাছে সাহায্য আশা করছি না। কি করা যাই ঠিক বুঝতে পারছি না। কিছু আপনার লেখা পড়ে যাবার ইচ্ছা আরও প্রবল হল।
গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু আপনার লেখার একটা বিশেষ দিক হল একই সাথে শিক্ষণীয় এবং অনান্দদায়ক। পরের পর্বের অপেক্ষায়
রইলাম। দেঁতো হাসি

ইমা

চরম উদাস এর ছবি

আরে কোন বেকুব এই কথা বলছে যে দেখার কিছু নাই অ্যাঁ । চলে যান, অসাধারণ জায়গা

বাওয়ানী এর ছবি

ভাবলাম মন্তব্যের ঘরে নতুন কি আর লিখবো। কিন্তু সেন্চুরী করার লোভে উত্তম জাঝা! দিয়ে গেলাম

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

-অয়ন

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কল্যাণ এর ছবি

ছবি গুলো দারুণ। দ্বিতীয় কিস্তিতে শিরোনাম লেখার সাথে ঠিক মিলে যাবে তাই না চউদা?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস এর ছবি

হ হ , আশায় থাকেন। আগামী পর্বে খুল যা সিম সিম হবে

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনার ছবির হাত দারুন; আর লেখা তো সবসময়ই সরস শয়তানী হাসি (যদিও আমার লেখায় পোষ্ট করা আপনার বর্ননা টা বেশি সরস চোখ টিপি )

ভালো লাগলো পড়ে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু। আমি বদ লোক, কাউরে পচানির সুযোগ পাইলে ছাড়ি না (এমনকি নিজেরেও না দেঁতো হাসি )। তবে কসমসে, আমি কিন্তু বুলি ফুলি করার জন্য আপনাকে পচানি দেই নাই। লাইনে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করছি, দোয়া রাইখেন ইয়ে, মানে...

ক্রেসিডা এর ছবি

ব্যাপার না, আমি নিজেও বে-লাইনে থাকা মানুষ চোখ টিপি

ভালো থাকুন ।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ক্লোন৯৯ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু

জটিল!! জটিল!! এতক্ষনে বুঝলাম মডুরে কেন আমার ইয়েসেমেতির পোস্ট আটকাইয়া দিছে। যাউগ্গা ‌ব্যাফার না। নেক্সটা টার্গেট গ্রান্ড ‌ক্যানিয়ন। বাই দ্যাট টাইম আমিও ভ্রমণ কাহিনী লেখা শিখে ফেলবো অণুফাইড আর উদাফাইড এর মত হুহ!! বাকেট লিস্টেড: সাংবাদিক পাথর আর বিশাল বক্ষা!!

চরম উদাস এর ছবি

গ্রান্ড ‌ক্যানিয়ন নিয়ে লিখে ফেলেন। আমি ঘুরে আসছি কিন্তু খুবই অল্প সময়ের জন্য। আবার যাবো।

উচ্ছলা এর ছবি

লেখাটা গপাগপ খেলাম।
(ফটোগুলো দেখলাম আর ফটুরে লোকটিকে মনের সুখে শাপ শাপান্ত করলাম )

চরম উদাস এর ছবি

শাপ শাপান্ত ক্যান? কি কইচ্চি?? ইন্দোপাকে খানাদানা কেমন চলে??

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিতো সুন্দর। কিন্তু লাইনে লাইন রসে ঠাসা।

<দেখক >

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এইভাবে একদিন আমাদের গেমও শেষ হইয়া যাবে। যোগ বিয়োগ করে হাতে থাকবে কেবল পেন্সিল।

আহা! বরই দুক্ক!! কতাডা এদ্দিন আমার মাথায় খেলে নাই। নাহ কাল্কেই গাট্টি বাইন্দা বিরিশিরি দেখতে রওনা দিমু কিনা ভাবতেসি
তবে কিনা- আমি ১খান প্রস্তাব করতে চাই! উপ্রের নামকরণ বিষয়ক ধাঁধাকে লুল স্কেলের পরিক্ষক হিসাবে ধার্য করা হউক! এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতাকে লুল স্কেল এ ৫ এরশাদ হিসাবে ধরা হবে!!

অনুরূপ হিমু এর ছবি

ক্যামনে যে এই ব্লগটা খুঁইজা পেলাম ।টেনশিত ।

যাইহোক ।ভালো লাগল ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।