লেনদেন মোহর

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ০৮/০৬/২০১৩ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড়মামা ক্ষেপে উঠে বললেন, দুই লাখ থেকে চার আনাও বেশী না। তুই কথা না বলে মুখে টেপ মেরে বসে থাক। এমন কোন হালুয়া মেয়ে না যে বিশলাখ টাকা দেনমোহর দিতে হবে।

মামার বলার দরকার ছিলোনা, আমি এমনিতেই মুখে টেপ না হলেও রুমাল মেরে বসে ছিলাম। তবে মেয়ে একটু হালুয়া আছে। গাজরের না হলেও সুজির তো অবশ্যই।

মেয়ের খালা বললেন, মেয়ের বড়বোনের বিয়ে হয়েছে বিশ লাখে। ছোটবোন কি বানের জলে ভেসে আসছে?

আমি ভেবে দেখলাম কথা সত্য। আর তাছাড়াও বড়বোন থেকে ছোটবোনরা বেশী আকর্ষণীয় হয় এটা গল্প, কাহিনী, সিনেমার মতো বাস্তব জীবনেও সত্য। বড়বোন কাছেই ছিলেন। তাকিয়ে শিউরে উঠলাম। এককালে দেখতে ভালোই ছিলেন হয়তো। এখন মৈনাক পর্বত। বড়বোনের স্বামীকে দেখে কষ্ট হল। বেচারা বিশ লাখ দিয়ে বিরাট লস করছে। পাঁচটা বছর অপেক্ষা করে এখন একই মেয়েকে বিয়ে করলে এক লাখেই পেত।

আমার চাচী এবার একটু ক্ষেপেই গেলেন।
- টেকা কি গাছে ধরে? বিশ লাখ টাকা দেনমোহর তো মন্ত্রী মিনিস্টারদের মেয়েদেরও হয়না।

কথা মিছা না। কয়দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম কোন মন্ত্রী কন্যার বিয়ে হল একশএক টাকা দেনমোহরে।

মেয়ের খালা স্বর এক ধাপ চড়িয়ে বললেন,
- আজকাল ফকিন্নিদের বিয়েও কয়েক লাখ দেনমোহরে হয়

এটাও সত্য। আজকাল নিম্নবিত্ত পরিবারেও দেনমোহর কয়েক লাখে হয়।
দুলাভাই আমার কানে ফিসফিস করে বলেন,
- হুদাই এরা এতো ঝামেলা করতেছে ক্যান? বিশ লাখই হোক আর পঞ্চাশ লাখই হোক রাজী হয়ে গেলেই তো হয়। দিতে কি আর হইবো নাকি। বাসর রাইতে মাফ চেয়ে নিলেই তো হয়।

বড়মামা হুঙ্কার দিয়ে আবার কি যেন একটা বললেন। আমি জানি মামা অত সহজে হাল ছেড়ে দেবার পাত্র না। গেল কুরবানিতে ইন্ডিয়া বর্ডারে ট্রাক আটকা পড়ায় গরুর দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেল। সবাই তিনদিন আগে থাকতেই বলল গরু কিনে ফেলতে। মামা উইলিয়াম ওয়ালেস এর মতো হুঙ্কার দিয়ে বললেন, হোল্ড! চান রাতে সবাই বলল, এখনই শেষ সময়। দাম যাই হোক, গরু কিনতে হবে। মামা আবারও হুঙ্কার দিয়ে বললেন, হোল্ড! গভীর রাতে বর্ডার থেকে সব ট্রাক ছাড়া পেল। গরুর দাম পানি হয়ে গেল। ঈদ এর দিন সকালে মামা আশি হাজার টাকার গরু চল্লিশ হাজারে কিনে যুদ্ধ জয়ী সেনাপতির মতো বাড়ী ফিরলেন। বিক্রেতা গরু দেয়ার সময় ভেউ ভেউ করে কাঁদছিল দেখে আমাদের আধপাগল ইংরেজি জানা কাজের ছেলে সাইফুল্লা মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলল,সামথিং ইজ রং, সামথিং ইজ রং। আমারও অল্পক্ষণের জন্য মনে হল কোথাও কিছু একটা ঠিক নেই। কিন্তু যুদ্ধ জয়ের আনন্দে আমি সহ-সেনাপতি কিছুক্ষণ পরেই সেটা ভুলে গেলাম। সুতরাং মামার সাথে দরদাম করে এত সহজে জিততে পারবেনা মনে হয়।

মেয়ের খালা গলার স্বর আরও একধাপ চড়ায়।

যৌতুক নিয়ে আড়ালে ফিসফাস হয়। দেনমোহর নিয়ে সামনা সামনি কুস্তি লড়তে সমস্যা নেই।

মেয়ের খালা আস্তে আস্তে কোণঠাসা হয়ে যায় আমার মামা, চাচী আর খালার ত্রিমুখী আক্রমণে। শেষ চেষ্টা হিসেবে এবার আমার দিকে তাকান। বলেন,
- ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন। ছেলের সাথে মেয়ের মায়ের কথা হয়েছে। তখন তো বিশ লাখে ঠিকই রাজী হয়েছে।
আমি অথৈ সাগরে পড়লাম। কথা সত্য। মেয়ে আমাকে দুইদিন আগেই বলেছে তার মা বিশ লাখ দেনমোহর চায়। আমি বলেছি, আবার জিগায়। এগুলা কোন ব্যাপার না। এখন বড় মামার অগ্নি দৃষ্টির সামনে আমার গলা শুকায়ে গেল। মিনমিন করে কবুল বললাম, কেউ শুনতে পারলো বলে মনে হয়না। দুলাভাই এগিয়ে আসলেন ত্রাণকর্তা হয়ে,
- ছেলেকে জিজ্ঞেস করতে হবে কেন? এইগুলা মুরুব্বীদের ব্যাপার। আপনারা ঠাণ্ডা মাথায় বসে ঠিক করেন।

মেয়ের মামা হুজুর। সুর করে বললেন, আরজ আছে , “ মোহর দিয়ে তোমরা তাদেরকে তোমাদের জন্য হালাল করো, যাতে তোমরা উহাতে গমন করিতে পারো”
রনি বিড়বিড় করে বলে, দোস্ত হালায় দেখি চরম খাচড়া কথা বলল একটা। এইটা কেমন বিচার। আমি কথা কইলে সবাই বলে খাচ্রামি, আর এই হালায় কইলে বয়ান।
আমি গমন করিতে পার শুনে আড় চোখে মেয়ের দিকে তাকালাম। তারপর কুলকুল করে ঘামতে লাগলাম।
রনি আমার দিকে তাকিয়ে ফিচেল হাসি দিয়ে বলে, শালা লুজ কোথাকার।

আমার চাচাতো ভাই চ্যাংড়া হুজুর। সেরের উপর সোয়া সের। মুচকি হেসে শুরু করল, দেনমোহর দুই প্রকার, তলবি দেনমোহর ও স্থগিত দেনমোহর। দেনমোহর যে অত্যাবশ্যকীয় এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। তবে কথা হচ্ছে পরিমাণ নিয়ে। হানাফি আইন অনুসারে, নির্ধারিত দেনমোহরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে দশ দিরহাম এবং মালিকি আইনে তিন দিরহাম। দশ দিরহাম করে ধরলে বর্তমান বাজারের আড়াই ভরি বার রতি রৌপ্যের সমতুল্য।
দুলাভাই কানে কানে জিজ্ঞেস করেন,
রূপার ভরি কত করে জান নাকি?
হাজার দুয়েক মনে হয়
তোমার চাচাতো ভাই তো দেখি বিরাট প্রতিভা । এক টানে লাখের দরদাম হাজারে নিয়ে আসলো।
ওই দিকে আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে মেয়ের মামার তুমুল তর্ক শুরু হয়ে গেছে। দশ দিরহাম, পঁচিশ দিরহাম, পাঁচশো দিরহাম ইত্যাদি নানা মতবাদ আসতে লাগলো। কে একজন যেন গুন ভাগ করার জন্য চেঁচিয়ে ক্যালকুলেটর চাইল।
ছোটমামা ফিলসফার মানুষ। আমার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
First we make the rules. Then rule makes us. আমরা প্রথমে নিয়ম বানাই, তারপর নিয়ম আমাদের বানায়।
রনি বলে।
এইটা কে বলছে মামা, এরিস্টটল নাকি?
ছোটমামা আরও বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
না, আমি।

আমি পাশে দাঁড়িয়ে হাই তুলি। দেন মোহর নিয়ে লেনদেন চলতেই থাকে।

মেয়ের এক বান্ধবী এক ফাঁকে আমার কানে কানে বলে যায়, ভাইয়া কিছু একটা করেন। আমাদের ফ্রেন্ডদের কারোরই কিন্তু ত্রিশের কম হয়নি। ওর মাত্র দুই হলে ভীষণ লজ্জায় পড়বে সবার সামনে।

হৈ হল্লা বাড়তেই থাকে।
আমাদের আধপাগলা ইংরেজি জানা কাজের ছেলে সাইফুল্লা শুধু কোনায় বসে মাথা দুলাতে দুলাতে বলে, সামথিং ইজ রং, সামথিং ইজ রং।


মন্তব্য

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

দেনমোহর ব্যাপারটাই আসলে খাচ্রামি। তুইলা দেয়া উচিৎ এসব খাচ্রামি বিয়ার মার্কেট দিয়া

চরম উদাস এর ছবি

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

হ, বুইফাই ওঁয়া ওঁয়া

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

স্যাম এর ছবি

গড়াগড়ি গড়াগড়ি গড়াগড়ি দেঁতো হাসি হো হো হো
এতো গল্প নয় উদাস - আপনি ছিলেন নাকি আমি যে অনুষ্ঠানে ছিলাম?!!! মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

এ তো ঘর ঘর কি কাহানি

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক,অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে লেখা পেলুম।
হাসি

মেয়ের এক বান্ধবী এক ফাঁকে আমার কানে কানে বলে যায়, ভাইয়া কিছু একটা করেন। আমাদের ফ্রেন্ডদের কারোরই কিন্তু ত্রিশের কম হয়নি। ওর মাত্র দুই হলে ভীষণ লজ্জায় পড়বে সবার সামনে।

বলেছেন...

----------------------
সুবোধ অবোধ
-----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

সাব্বির রহমান  এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি ওঁয়া ওঁয়া হাততালি গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সত্যপীর এর ছবি

কল্পনার পুলাউ নিয়া যে কিরকম সত্যিকার মারামারি হইতে পারে সেইটা বাংলাদেশের বয়স্করা দেখায় দিছে। দেনমোহরের টাকা কি এবং কেন তা নিয়ে কারু খবর নাই, খালি টাকার অঙ্ক বড় না ছোট এই নিয়ে হাতাহাতি।

..................................................................
#Banshibir.

স্যাম এর ছবি

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

কল্পনার পুলাউ হো হো হো ... অসাধারণ উপমা। আগে কইলে আমার গল্পের নাম কল্পনার পুলাউ দিতাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পল্লব এর ছবি

দেনমোহর জিনিসটা যৌতুকের মতই ইকুয়ালি কুৎসিত। অথচ এইটা নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করবে না, যৌতুক নিয়ে যেমন করবে। কারণ "ইস্লাম ধর্মে আছে"। দেনমোহর যাইতেসেও ছেলেপক্ষের থেকে মেয়েপক্ষের কাছে, প্রচলিত যৌতুকের ভিকটিমের কনসেপ্টের বিপরীত। মেয়ের পরিবারও বুঝবে না যে এইটা করে তাদের মেয়েরেই বাজারে মাংস বেচার মত করে বেচতেসে। প্রেস্টিজ, "লোকে কি বলবে", লজ্জা ইত্যাদির তোড়ে সুশিক্ষিত, প্রগতিশীল পরিবারের সব সুশিক্ষা, প্রগতিও ভেসে যাইতে দেখসি এই তর্কবিতর্কে। বরকনের পরিবার ঝগড়া করবে, আর ঝগড়া মিটানোর জন্য বরকনেরে মাঝখানে দাড় করায়া তাদের সম্পর্কেও ফাটল ধরাবে।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

চরম উদাস এর ছবি

দেনমোহর নিয়ে হিমুর এই লেখায় কথা হয়েছিল। লেখা ছোট কিন্তু কমেন্টে আলোচনা ইন্টারেস্টিং দিকে মোড় নিয়েছিল ...
http://www.sachalayatan.com/himu/42029

সত্যপীর এর ছবি

গয়না যৌতুক দেনমোহর নিয়ে এই লেখার কমেন্ট পড়তে পড়তে মাথা চক্কর দিয়ে উঠবেই।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

চলুক ইয়েপ

পল্লব এর ছবি

এই লেখার কমেন্ট লাইভ পড়সি। কি কমু, আপনার গল্পের মেয়ের বান্ধবীর মত মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের এইভাবে নিচা করে। আর বরকনেও বেশিরভাগসময় মেরুদন্ড থাকলেও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের চাপে বলে, "আব্বুআম্মুর পছন্দই আমার পছন্দ।"

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

চরম উদাস এর ছবি

আমি দেনমোহর পছন্দ করিনা কিন্তু ... (ত্যানা)
টেকাটুকার অঙ্ক বড় না তবে ... (ত্যানা)

পল্লব এর ছবি

ইয়েপ। ফ্রি টাকা পাইতে আসলে কারোরই খারাপ লাগে না। ছেলেপক্ষ নেয় যৌতুকের নামে, মেয়েপক্ষ নেয় দেনমোহরের নামে। ধর্মটর্ম আসলে উসিলা।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

চরম উদাস এর ছবি

আরে টাকা আর পায় কই ... ওই যে সত্যপীর বললো না কল্পনার পুলাউ।

মারভিন এর ছবি

আবদুল্লাহ পড়েন নাই। বৌ মরার পর আব্দুল্লাহর শ্বশুর তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকা আদায় করসিলো।অংক কমানোর জন্য কি সাধে হাউকাউ করে?

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

অনহুত পরিব্রাজক এর ছবি

সামথিং ইজ রঙ্গ, সামথিং ইজ ভেরি রঙ্গ। আমার জানামতে চরম উদাস বিবাহিত, উনি কি আবারও বেল গাছ তলায় যাচ্ছেন, নাকি চর্বিত চর্বণ ??

চরম উদাস এর ছবি

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না ... লেখকের সাথে লেখা মেশাবেন না খাইছে

তাসনীম এর ছবি

এই গল্পটা বেস্ট অফ চরম উদাস বইতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

টুপি খোলা কুর্নিশ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

হ, আপ্নে আছেন খালি আমার গল্প পাঠ্য বইয়ে ঢুকানোর তালে। এই দফায় আপনাকে শিক্ষামন্ত্রী বানিয়েই ফেলব।

বটতলার উকিল এর ছবি

খাসা হয়েছে গল্প। এই দেনমোহর নিয়ে যে কি পরিমান ত্যানা প্যাচানো হয়, আমাদের দেশের বিয়েগুলোতে- মাথা হেট হয়ে আসে মাঝে মাঝে শিক্ষিত মানুষগুলোর কর্মকান্ড দেখে।

বটতলার উকিল।

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

মার্দিয়া, বস! ("ভালুবেসে ডেকেছিনু ভাই, পুটু মার্দিয়া তাই" দ্রষ্টব্য!)
সবাই আপ্নাকে ভালুবেসে এট্টু লেখাটেকা পড়ে, তা বলে এমনে মাইনষের সাধাহ্লাদে ইস্ক্রু টাইট দিয়া দিলেন? লুক খ্রাপ আপ্নে!

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

চরম উদাস এর ছবি

"ভালুবেসে ডেকেছিনু ভাই, পুটু মার্দিয়া তাই ... হো হো হো

তমসা এর ছবি

আমাদের বুয়ার মেয়ের প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তার আপন খালাতো ভাইয়ের সাথে।বিয়েতে যৌতুক দিতে হল নগদ ৩০হাজার টাকা।আমরা অবাক।আত্মীয়,তার ওপর প্রেমের বিয়ে।মা-তো খুব বকাঝকা করল বুয়াকে। কিছুদিন পর জানা গেল ব্যাটা ঢাকাতে একটা বিয়ে করেছিল। যৌতুকের ৩০ থেকে ২০ হাজার দেনমোহর পরিশোধ করে প্রথম বৌকে তালাক দিয়েছে।

চরম উদাস এর ছবি

ভালো টেকনিক দেখি যৌতুক দিয়া দেনমোহর কম্পেনসেট ... হাসি

আল-আমিন কবির এর ছবি

হা হা হা। মধ্য রাতে তো হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম হো হো হো

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

হিমাগ্নি এর ছবি

ওরে ভাই, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম। দেঁতো হাসি
ঐ রুমে এতগুলা যুদ্ধ পরে ক্যামনে শেষ হইল??? জানতে মুঞ্চায়। তারপর বউয়ের ঝাটার বাড়িও কি পড়ছিল দুই-একটা? চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

কিছু কথা থাক না গুপন খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

দেনমোহর নিয়ে দেনদরবার করার জন্য প্রায় প্রতিটি পরিবারেই একাধিক জনপ্রিয় পেশাদার ধরনের আত্মীয় থাকেন (আমাদের পরিবারে দেখেছি আত্মীয়া; উনার গলার আওয়াজ এমন বাজখাঁই যে উনি কথা বলা শুরু করলে আর কেউ কথা বলতে পারে না ) ! সারা বছর খোঁজ না নিলেও বিয়ের কথাবার্তা মোটামুটি ঠিক হওয়ার সাথে সাথেই এদেরকে খবর দেওয়া হয় । এরাও অত্যন্ত উৎসাহের সাথে কোমর বেঁধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গলার রগ ফুলিয়ে দরদাম করেন ।

চরম উদাস এর ছবি

Exactly! এইসব শুভাকাঙ্ক্ষীদের কেন যে পরে আর বিপদাপদে খুঁজে পাওয়া যায়না মন খারাপ

সবজান্তা এর ছবি

আজকালকার বিয়েতে সর্বত্রই টাকার ছড়াছড়ি। কে কার চে কতো বেশি জাকজমকের সাথে করতে পারে, কে কতো দামি ফটোগ্রাফার আনতে পারে, দামি জামা... যার সামর্থ্য আছে সে করুক, কিন্তু এই পাল্লা দিয়ে খরচ করার কালচারটা অনেক মধ্যবিত্তের উপর ভয়াবহরকম চাপ ফেলে। আমার মনে হয়, এইটাই একদম সঠিক সময়,এই প্র্যাকটিসটা থেকে বের হয়ে আসার- এটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার।

আমি তাসনীম ভাইয়ের সাথে সহমত জানাইলাম- এইটা সম্ভবত আপনার সেরা গল্পগুলির একটা। একটা শব্দই মাথায় আসছে গল্পটা পড়ার পর,লক্ষ্যভেদী!

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

ওই যে লোকাল বাস হাল্কা থামলেই এক ধরণের লিফলেট ছুঁড়ে দেয় না যেটাতে লেখা থাকে - "বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন" টাইপ কথাবার্তা?
আমি বিয়ে করতে ভয় পাই। মৌনতা অবলম্বনের জন্য নয়, ভয় পাই বিয়েশাদিতে খরচাপাতির ক্ষেত্রে আজকালকার বাড়াবাড়ি বাহাদুরিমূলক ব্যাপারস্যাপারের জন্য। এত টেকাটুকা পামু কই? মন খারাপ

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

চরম উদাস এর ছবি

আমার চোখ একটু খারাপ, ম কে য দেখি।
আমি পড়লাম ... আমি বিয়ে করতে ভয় পাই। যৌনতা অবলম্বনের জন্য ...
এইটুকুর পর আর আগাইতে পারলাম না। চিন্তায় পড়ে গেলাম, ছেলেটাকে তো ঢাকায় ভালোই দেখে এলুম, আচ্ছা খাছা নওজোয়ান ... এখন সে লিফলেট টুকায় কেন ... চিন্তিত

উচ্ছলা এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো

-----------------
সুবোধ অবোধ
------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

মেঘা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি কথা কইলে সবাই বলে খাচ্রামি, আর এই হালায় কইলে বয়ান।

চলুক

স্বপ্নহারা এর ছবি

দুনিয়াতে সবকিছুর দাম খালি বাড়েই রে ভাই, তাড়াতাড়ি চুপেচাপে সাইরা ফালাও- নাইলে সাম্নের বছর হালুয়ার দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস এর ছবি

হে হে , সামনে পুলসিরাত, আগে ত্থেকেই রেডি হও। দেনমোহর তো খেয়ালি পুলাউ , না দিলেও চলে। এরপরে মনে কর গয়নাগাটির ব্যাপার সেপার আছে। আমি গল্পের দ্বিতীয় পর্ব "ময়নার গয়না" লেখা শুরু করে দিলাম খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

"ময়নার গয়না" হাততালি

..................................................................
#Banshibir.

ইতু এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি হাততালি গুরু গুরু হো হো হো গুল্লি লেখা -গুড়- হয়েছে কস্কি মমিন! বাঘের বাচ্চা কোলাকুলি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উচ্ছলা এর ছবি

মেরুদন্ড আর কোমরভাঙ্গা পাত্র-পাত্রীগুলা যেগুলা খালু-দুলাভাই-চাচা-বাপ-মাকে দেনমোহরের মত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হাউকাউ করতে এ্যালাও করে, সেই পাত্র-পাত্রীগুলার গালে দিছেন কইষা এক চড় চলুক চলুক

ঐসব অশ্লীল, বেশরম, ক্যাচালবাজ জনগোষ্ঠীর জন্য One Word : CDM ! (কমোডে ডুইবা মর্!)

শিশিরকণা এর ছবি

CDM শয়তানী হাসি ):)- পছন্দ হইছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

পল্লব এর ছবি

CDM খুবই কিউট গালি হয়ে যায় এদের জন্য।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

শিশিরকণা এর ছবি

এখন বলেন, আপনি হালাল গমন করেন না হারাম গমন করেন? চিন্তিত

নিজেরটা মাফ দেই নাই, জামাইরেই আবার ক্ষুদ্র ঋণ দিছি। সময়মতো সুদে আসলে ইনফ্লেশন রেট ধরে আদায় করব। উত্তম বিনিয়োগ! শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সত্যপীর এর ছবি

এখন বলেন, আপনি হালাল গমন করেন না হারাম গমন করেন?

গমন করা দিয়া কথা ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

এই না লাইনে আসছে উচ্ছলা। আপনার সেই আদিকালের যুদ্ধংদেহী পোস্টগুলা মিস করি। শুরু করলেন বেগম রোকেয়া হয়ে , আর এখন হই গেলেন সিদ্দিকা কবির, এইডা কেমন বিচার?

উচ্ছলা এর ছবি

সিদ্দিকা কবির হইলে অবিচার হবে? তাহলে খেলব না।

আলতাইর এর ছবি

সিদ্দিকা কবির হওয়াতে আমার হাল্কা-পাতলা প্রফিট হইসে। মাঝে মাঝে বুয়া হরতাল হইলে সচল খুইলা আপ্নেগো রেসিপি পইড়া তারপরে ১গেলাস পানি খায়া ফালাই। প্যাট ভরপুর দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

ইমা  এর ছবি

চলুক চলুক

ইমা

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

দেনমোহর নিয়ে দেনদরবার করার জন্য প্রায় প্রতিটি পরিবারেই জনপ্রিয় পেশাদার ধরনের কিছু আত্মীয় থাকেন (আমাদের ক্ষেত্রে আত্মীয়া; উনার এমন বাজখাঁই গলা যে উনি কথা বলতে শুরু করলে আর কারো কণ্ঠ শুনতে পাওয়া যায় না) ! সারা বছর খোঁজ খবর না নেওয়া হলেও কারো বিয়ের কথাবার্তা মোটামুটি ঠিক হলেই এদের খবর পাঠানো হয় । এরাও অত্যন্ত উৎসাহের সাথে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গলার রগ ফুলিয়ে দরদাম শুরু করেন ।

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই

তারেক অণু এর ছবি

আমাদের আধপাগল ইংরেজি জানা কাজের ছেলে সাইফুল্লা চিন্তিত

লেখা পুরাই গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

সাইফুল্লাতে সমস্যা কি? শুরুতে লিখছিলাম আধপাগল ইংরেজি জানা তারেইক্কা। পরে মানহানির মামলা খাওয়ার ভয়ে (আপনার কাছ থেকে না, বড় গণতন্ত্রের কাছ থেকে) বদলে দিলাম।

বাই দ্যা ওয়ে, আপনাকে যদি এখন থেকে গণতন্ত্র অণু ডাকি সমস্যা আছে?? চিন্তিত

মইনুল রাজু এর ছবি

টপিকটা এত বেশি গুরুত্ব্পূর্ণ যে পর্ব করে আরো একটু লিখেতে পারেন। অন্যরাও বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে এগুলো নিয়ে লিখতে পারেন। দেখি আমি নিজেও কাছাকাছি বিষয়ে একটা চেষ্টা দেব। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

চরম উদাস এর ছবি

লেখা হয়েছে তো ...
এইখানে - http://www.sachalayatan.com/himu/42029
আর এইখানে - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42593

আলুচনা করে কুন ভালু হয়না। দিনশেষে সবাই নিজ নিজ তালগাছ ধরে "এই তাল আমার" বলে বসে থাকে।

রাব্বানী এর ছবি

এই বিষয়ের ‌উপর ফেসবুকে একটা 'আড়িপেতে শোনা' পাতা খোলার দাবি জানায় হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আর কত আড়িপাতা , লোকজনের চান্স পাইলেই খালি আড়ি পাততে চায় খাইছে

স্বপ্নহারা এর ছবি

এইরাম ক্ষেত্রে টেক্সাসের রুল প্রযোজ্যঃ গমনে রাজি না হইলে 'ঢিঁসা'! বরপক্ষের রেটে রাজি না হইলে 'ঢিঁসা', কনেপক্ষের রেটে রাজি না হইলে 'ঢিঁসা'!

আইচ্ছা, কতটাকা দেনমোহর দিলো এইটা কী বরপক্ষের প্রেস্টিজ ইস্যু হয় না? নাকি কমদামে ভাল জিনিস কিনে জেতাটাই আসল? কিংবা ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরের বদলে ৫০ লাখের যোউতুক- কাটাকাটি করা যায় না? দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস এর ছবি

আর বইলেন না। টেক্সাস ওই মামলার রায় দেখে হতভম্ব হয়ে গেছি। দিনশেষে, সান্ত্বনা একটাই আম্রিকার ছাগলের সংখ্যা আমাদের দেশে ছাগলের সংখ্যার তুলনায় নিতান্ত কম না।

মরুদ্যান এর ছবি

ব্যাপক বিব্রতকর ছিল আমার জন্য। শ্বশুরবাড়ি কয় ১৫, আমার বাড়ি কয় বেশি হইলে পাঁচ আর না। পরে আমি কইলাম থাক এ্যভারেজ কইরা দিতাসি, সাত দশমিক পাঁচ!

টাকা অখনও হাতে দেইনাই, তয় জমা রাখসি ছেফ জায়গায়। যদি মইরা টইরা যাই, নগদে পায়া যাইব।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
এই যুদ্ধ এই কাহিনী সবখানেই

আলতাইর এর ছবি

পুরাই তালগাছটা আপনাকে দিলাম

নাশতারান এর ছবি

স্বচ্ছল পরিবারগুলোতে দেনমোহর নিয়ে দর কষাকষি দেখেছি। তথাকথিত স্বাবলম্বী মেয়েদের দেনমোহর নিয়ে বড়াই, অভিযোগ দুইই করতে দেখেছি। দেনমোহর দেওয়ার ভয়ে ভগ্নপ্রায় বিয়েকে নামকাওয়াস্তে বয়ে বেড়াতেও দেখেছি। দেনমোহর এড়ানোর জন্য অনেক "উঁচু" শ্রেণীর মানুষকে অনেক নিচে নামতেও দেখেছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
সেটাই।
কিন্তু শুধু দেখলে তো হবে না, লিখতেও হবে যা দেখেছেন। আপনি আপনার শাদিনামা সিরিজ নামাতে পারেন এইসব নিয়ে। বাঁচতে হলে জানতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ কি করে মানুষের মূল্য ধার্য্য করে আর তার পরেও নিজেকে সভ্য বলে, ঈশ্বরবিশ্বাসী বলে - এ আমার কোন হিসাবেই আসে না! আর সব থেকে বড় আশ্চর্য এই যে শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে এই বীভৎসতা চালিয়েই যায় - হয় সগৌরবে নয় তো গোপনে ছুরি শানানোর মত নির্লজ্জ সঙ্গীদের সাহায্য নিয়ে। আশার কথা তবু এই যে, এই কুৎসিত জঘন্য প্রথা সব মানুষকে পেড়ে ফেলতে পারে নি - কোনো যুগেই। আর, এই মানুষ-রা সংখ‌্যায় বাড়ছে।
পথ লম্বা, কিন্ত পথ সঠিক, আর যারা চলছে, তারা দম-দার!

আফনের আগের গল্পগুলির মতন এইটাও চরম হইসে!
- একলহমা

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
সান্ত্বনা এটাই যে অনেক মানুষ এখন এই দরাদরি নিয়ে অন্যভাবে ভাবতে শিখেছে।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

তিন তাসের ফ্রেন্ডলি আসরে পকেট ফুরায় গেলে আঙ্গুলে দান দেওয়ার মত লাগলো। মুখে মুখেই সব, এইদিকে পাওনা ট্যাকাটুকার আনন্দে চান্দা উঠায়ে খাওয়া দাওয়া সারা। অতঃপর গালাগালি, মায় হাতাহাতি কিংবা মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দিন শেষে সবার পকেট ঠনঠন। জোস চাল্লু

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো খামাখাই কিছু মানুষ ক্যাচালে মজা পায়, বিয়েবাড়িতে এসব বেশি দেখা যায়- অসহ্য!
আপনার প্রায় সব লেখাই পড়েছি, দারুন লিখেন আপনি! তবে এলেখায় কোথায় যেন হুমায়ুন আহহমেদের ছায়া
আছে ইয়ে, মানে... (জানি চ্রম বিরক্ত হয়ে কচ্ছেন, 'কইছে তোরে রেগে টং ) আমি আপনার গল্পের কাজের ছেলের মত কিছুটা ইংরেজি জানি তো, তাই ব্যাপারটা ধরতে পারছি, অন্নেরা কিন্তু পারেনি শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

আপনার লেখালেখি নাই কেন? ২০১২ তে শেষ লেখা অ্যাঁ ... লাইনে আসেন

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

ধুর শালা এতো পেজগি, মালা বদলেই কাজ সারুম ভাবতেসি।

অসাধারন লেখা , গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

আলতাইর এর ছবি

সেই গুড়ে পদ্মা সেতুর বালি। ফুলের দাম জানেন??

সাকিন উল আলম  এর ছবি

হ , ভ্যালেন্টাইনে জি এফ রে শাহবাগ থেকে কিনা দিলাম , গোলাপ পার পিস ৩০ টাকা করে মন খারাপ
আর একটা ফুলের মুকুটেই গেলো ২০০ টাকা।

মালায় কত যাবে ১০০০ -১৫০০ মন খারাপ :( মন খারাপ

কি আছে জীবনে ,বিয়াই করুম নাহ মন খারাপ

অরণ্যের হুঙ্কার এর ছবি

পাঁচ মিনিটের জন্য মনে হচ্ছিল একটা দেন্মহরের আসরে বসে আছি চরম লাগল। গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ক্লোন৯৯ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বড় হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেলো যে মন খারাপ

চরম উদাস এর ছবি

আরও কাইজ্জা শুনতে চান ??

বিবর্ণ সময় এর ছবি

মনে বড় আশা ছিল ........হুনাতাম চাই। মজা ফাইছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পড়তে পড়তে উদাস হয়ে গেলাম! চোখ টিপি

যথারীতি, একটি চরম উদাসীন গল্প! দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নকিম  এর ছবি

সামথিং ইজ রং, সামথিং ইজ রং চিন্তিত

চরম উদাস এর ছবি

স্পর্শ এর ছবি

চরম হইসে!
আজকাল হাসতেই ভুলে গেছিলাম। গল্পটার জন্য ধন্যবাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

চারিদিকে খালি দুঃসংবাদ আর হতাশার গল্প, হাসতে আমরা সবাই ভুলে যাচ্ছি দিন দিন

মেঘা এর ছবি

ছিঃ ছিঃ ছিঃ ধিক্‌ আমাকে!! আমি এই পোষ্ট চোখে দেখলাম ৭১টা কমেন্টের পর!!! ওঁয়া ওঁয়া

পড়ে আবার কমেন্ট করছি। এতোক্ষণ চোখে ক্যান দেখলাম না দেখেই মেজাজ গরম হয়ে গেছে নিজের উপর রেগে টং

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মেঘা এর ছবি

বিয়ে হয়েছে কয়েক মাস ধরে তাই এই দেনমোহর কি জিনিস ভালই জানা আছে আমার। আমার বিয়ে হয়েছিল রাত পৌনে বারোটায়। আমি আব্বু আর আম্মু তিনজন মানুষ আমাদের পক্ষে আর ওরা জনা দশের মত। দেন মোহর লিখতেই হবে কিছু একটা তাই ওরা যা বলেছে সেটাই লেখা হয়েছে। আমি এক টাকাও দেন মোহর নিবো না বলেই দিয়েছিলাম।

তবে মজার একটা ব্যাপার দেখলাম সেদিন আমার বোনের বান্ধবীর পালিয়ে এসে বিয়ে (তাও আমার আমাদের বাসায় বিয়ে পড়ানো হতে যেয়ে) করলো। মেয়ে এনার্জি প্যাকে অনেক বড় চাকরি করে ডেপুটি ম্যানেজার। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। ছেলে ডিপ্লোপা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে অনেক বছর চাকরি করে এখন প্রাইভেটে বিএসসি পড়ছে। সেই ছেলে আমাদের সেই আপুর ঘাড়ে ভর করে কানাডা যাচ্ছে আপুর হয়ে যাওয়া ইমিগ্রেশনে। বিয়ের জন্য একটা শাড়ি একটা আংটি তো কেনেই নি তার উপর সে দেনমোহর দিতে চায় দেড় লাখ টাকা। হাসি দেনমোহর আসলেই কল্পনার পোলাউ। কেউ কোনোদিন বরের কাছ থেকে দেনমোহরের টাকা নেয় না। যৌতুক প্রকাশ্যে নেয়। তাই এই দুটোকে এক না করাই ভাল। আপনারা যারা বিয়ে করেছেন তারা কয়জন বউকে দেনমোহর পরিশোধ করেন? যা হোক এগুলো নিয়ে আমার আর আমার বরের কারও মাথা ব্যথা নেই। তবে সেই আপুর বিয়ে দেখে আমার একটাই মনে হয়েছিল ছেলে মানুষ এতো খাইছ্রা হলে ভাল লাগে না। এতো ফকিন্নি মার্কা কাজ হবে কেন? একটা শাড়ি একটা আংটি কিনতেও কষ্ট লাগে? বউ এর ঘাড়ে উঠে কানাডা যেতে সম্মানে লাগছে না?

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

বটপাকুড় এর ছবি

আপনাকে এবার একটা ভিন্ন গল্প শোনাই, একই মুদ্রার অপর পিঠ। এই ঘটনা আমার নিজের চোখে দেখা। এটা কোন পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনা না, পুরোপুরি অবিভাবকের সম্মতিতে। ছেলে দেশের পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে অনার্স করে দেশের বাইরে এমএস করে পিএইচডি করছে। মেয়ে দেশের সরকারী মেডিক্যালে ইন্টার্নি করছে। ছেলেটা গয়না এবং টাকা মিলে পুরো দেনমোহর শোধ করে দিয়েছে বিয়ের তিন মাসের ভিতর। ছেলেটা কি দিয়েছে শুনবেন, একটা সাধারন সোনার আংটি, আর কিছুই না, এমনকি কোন জামা কাপড় না।আর মেয়েটাকে এক কাপড়ে ছেলেদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছে কোন অনুষ্ঠান না করেই, অন্য দিকে ছেলেরা সবই করেছে, কারণ ছেলের বাবা মা র সমাজে একটা অবস্থান আছে, শিক্ষিত, প্রগতিশীল বলে। মেয়ের পরিবার মধ্যবিত্ত। এখন সেই ছেলের হাত ধরে মেয়ে ইউরোপে যাচ্ছে। এখন বলুন তো মেয়ের বাবার লজ্জা লাগার কথা না?
আর সবসময় ছেলেরা যে খারাপ হবে আর মেয়ের পক্ষের সবাই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা এই ভাবনাতে বসে থাকা ঠিক না।

মেঘা এর ছবি

ভাই সব সময় ছেলেরা খারাপ হবে আমি আমার লেখায় সেটা কোথায় বলেছি? আমি খুঁজে পেলাম না। আমি বলেছি ছেলেদের এতো খাইছ্রা হলে ভাল লাগে না। মানে কিটামির একটা সীমা থাকার দরকার আছে। যে মেয়েরটা সে নিচ্ছে খাচ্ছে কিন্তু তাকে বিয়ের দিন সামান্য একটা আংটি দিতেও তার কষ্ট লাগছে। অথচ এই বিয়ের ছবিগুলো ওদের নাকি অ্যাম্বাসিতে দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত আমার শাড়ি গয়না পরিয়ে তারপর বিয়ে দিতে হয়েছে। এটা কি খুব ভাল কাজ হলো না ছেলের সম্মান বাড়লো। আর এগুলো এমন বিষয় যে কথা বললে কথা বাড়তেই থাকে। তাই কোন তর্কে যাব না। একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি মাত্র। আমি ধোয়া তুলশী পাতা এটা জানানোর জন্য লিখি নি।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

বটপাকুড় এর ছবি

আপনি যে প্রশ্ন করলেন ছেলেটার কিপটামি নিয়ে, আমার সেই একই মতামত, তবে মেয়ের পরিবারের দিকে।

মানে কিটামির একটা সীমা থাকার দরকার আছে। যে মেয়েরটা সে নিচ্ছে খাচ্ছে কিন্তু তাকে বিয়ের দিন সামান্য একটা আংটি দিতেও তার কষ্ট লাগছে। অথচ এই বিয়ের ছবিগুলো ওদের নাকি অ্যাম্বাসিতে দিতে হবে।

এখানে মেয়ের কাছে থেকে নিচ্ছে তাই অনেক দোষ, কিন্ত আমার ঘটনায় ছেলের কাছে থেকে দেনমোহর , গয়না নিচ্ছে , কোন কিছু না করে সেটা বললে স্বাভাবিক ব্যাপার মেয়ের পরিবারের কাছে ?এর মানে কি দাড়ালো!!

ক্ষমা করবেন, আপনাকে উদ্দেশ্য করে তুলসী পাতা বলা হয়নি, বলা হয়েছে এই সব ঘটনা যারা করছেন তাদের কে।শুধু বলা হচ্ছে, ছেলেরা যেমন করেছে আপনার ঘটনাতে সেটা যেমন নিন্দনীয়, মেয়েরা সেই রকম করলে সেটাকে অবশ্যই একই ভাবে দেখা উচিৎ ।

এই বিষয়টাকে এখানেই যতি টানছি আমি। কারন, তর্কে অনেক দূর যাওয়া যাবে

চরম উদাস এর ছবি

বটপাকুড় ভাই, এই নিয়ে আগে এই দুইটা পোস্টে ব্যাপক কুস্তি হইছে ...
http://www.sachalayatan.com/himu/42029
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42593

আমার ব্যক্তিগত মতামত সবুজ বাঘের মতই ...দুনিয়া জুড়া প্রচুর গিয়ানজাম ইয়ে, মানে...

মান সম্মান প্রেস্টিজ একটা অতি ইম্পোটেন্ট জিনিস খাইছে

ইতু এর ছবি

মান সম্মান প্রেস্টিজ একটা অতি ইম্পোটেন্ট জিনিস গুল্লি

আলতাইর এর ছবি

আল্লায় বাচাইছে! ইম্পোটেন্ট না হইলে বাড়তেই থাকতো...বাড়তেই থাকতো...বাড়তেই থাকতো.......

চরম উদাস এর ছবি

এতো ফকিন্নি মার্কা কাজ হবে কেন? একটা শাড়ি একটা আংটি কিনতেও কষ্ট লাগে?

সেটাই ফকিন্নি হওয়া ঠিক না। মান সম্মান বলে কথা ... খাইছে

মেঘা এর ছবি

পালিয়ে বিয়ে করছে সেখানে মান সম্মান অন্য কারও সামনে যাচ্ছে না শুধু বউয়ের কাছেই যাচ্ছে। আর মেয়েটা তো কিছু চায় নি তার কাছে। তাই বলে কি মানুষ সামান্য কিছু দেবে না? বউকে একটা মেয়ে চিন্তা না করে একটা মানুষ যে আমার জন্য এতোটা করছে তাঁকে দিচ্ছি চিন্তা করেও তো দেয়া যায়! নাকি তাও যায় না? যা হোক আমি নারীবাদী নারী না। আমি মানুষের পক্ষে। আর দেনমোহর লেনদেন কোনটাই পছন্দ না। নিজেকে পণ্য পণ্য লাগে!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

তাই বলে কি মানুষ সামান্য কিছু দেবে না?

সমস্যাটা আসলে কিছুর ডেফিনেশন। কিছু জিনিসটা আসলে ধরমানুভুতির ডেফিনেশন এর মতই ভেজাইল্যা। কে যে কতটুকুতে খুশী হয় বা ব্যথা পায় সেটা নির্ণয় করা অসম্ভব। ভাবতেছি বউকে গিয়ে বলবো, হ্যাঁ গো এই যে তোমাকে বিদেশ নিয়ে এলুম, তোমার জন্য এত কিছু করলুম, কাগজ পত্তর বানিয়ে দিলুম আমাকে তো কিছু দিলে না খাইছে

যাই হোক, আলোচনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গল্পটা দেনমোহর নিয়ে কুস্তাকুস্তি নিয়ে, দেনমোহর থাকা উচিৎ বা অনুচিত বা থাকলে কত মিনিমাম হওয়া উচিৎ বা বিয়ের সময় কার মান রক্ষার্থে কাকে কিছু মিছু দেয়া উচিৎ তা নিয়ে না।

মেঘা এর ছবি

হ্যাঁ আসলেই আলোচনার মোড় অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। কে কতটা দিলে আর কতটা করলে খুশি হয় সেটা প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রেই আলাদা হয়ত। আমার কাছে যে জিনিসের কোন গুরুত্ব নেই অন্য কারও কাছে সেটাই সম্মানের।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মনিরুল ইসলাম  এর ছবি

মেঘা আপু ,আপনার বক্তব্যর সারমর্ম বোঝা খুবই কষ্টকর ।আপনি বিয়েতে দেনমোহর নিবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন ?এই প্রথা খারাপ বলে ?তাই যদি হয় তবে ,আপনার গল্পের পাত্র দেনমোহর কম না বেশি দিল সেটা পয়েন্ট উঠে আসছে কেন ?বরং মেয়েপক্ষ দেন মোহরের টাকার অঙ্ক কে যদি কম মনে করে থাকে তবে তাদেরই নিন্দা করা উচিত ।আর এই গল্পের সাথে 'বউয়ের ঘাড়ে চড়ে কানাডা যাওয়া'সম্পর্ক কি বুঝতে ব্যর্থ ।স্পাউসের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের সু্যোগ পাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা ।এটা যদি অস্মমানের হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর বেকার মেয়ে স্বামীর ''ঘাড়ে'' চড়ে বিদেশে যাচ্ছে সেটাও চরম লজ্জার ব্যাপার হওয়া উচিত আপনার যুক্তি ফলো করলে । ছেলেটির একাডেমিক যোগ্যতা মেয়েটির চেয়ে কম আর কানাডা যাওয়া একধরনের প্রমোশন ,আর ছেলেটির এটা প্রাপ্য না -এমনই টোন আপনার বক্তব্যে ।আর এই স্পাউসের সাথে ইমগ্রেশন নিয়ে আপনার হীনমন্যতার কারন কি ?আপ্নিও কি এভাবেই বিদেশে গেছেন ?এখন অন্য কেও এভাবে আসলে ভালো লাগছে না ?

অফটপিক- আমি বিদেশও থাকি না আর বিয়েও করিনি ।

মেঘা এর ছবি

আমি দেনমোহর নেই নি কারণ আমার নিজেকে পণ্য ভাবতে অসুবিধা আছে। আমার এই প্রধায় কোন বিশ্বাস নেই। সেই আপুর ঘটনাটা উঠে আসছে কারণ আপু প্রবলভাবে বিশ্বাস করে এটা আসলে তার স্বামী তাঁকে মূল্যায়ন করে তাঁর ভরণ-পোষণের জন্য দিচ্ছেন। আমি যখন আপুকে সাজাচ্ছিলাম তখন আপু আমার মাকে বলছিল "আন্টি দেড় লাখ টাকা দেনমোহর করতে চায় এটা কি কোন কথা বলেন?" তো আমার কাছে মনে হয়েছে এই যে আপুর জন্য ভাইয়া কিছুই করলো না এটা তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে। আমার নিজের বিয়ের সঙ্গে এই ঘটনাটার কোন মিল নেই। আমি ঘটনাটা চরম উদাস ভাইয়ার গল্পের প্রেক্ষিতে বলেছি যে দেনমোহর বেশি দেয়াটা দেখছেন কেন শুধু মানুষ এমন কমও দেয়।

আর ভাইয়া আমি আমার বরের ঘাড়ে চেপে বিদেশে যাচ্ছি না। আমি বাংলাদেশেই থাকি। ব্যক্তিগত আক্রমণ ভাল জিনিস তর্কের জন্য তবে সেটা জেনে করাটাই ভাল। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে না জেনে ব্যক্তিগত আক্রমণ তো বোকামীর লক্ষণ!

বিয়ে করেন নি এখনও ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই করবেন। তার জন্য আগাম শুভকামনা। ভাল থাকবেন। হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

পল্লব এর ছবি

সেই আপুর ঘটনাটা উঠে আসছে কারণ আপু প্রবলভাবে বিশ্বাস করে এটা আসলে তার স্বামী তাঁকে মূল্যায়ন করে তাঁর ভরণ-পোষণের জন্য দিচ্ছেন। আমি যখন আপুকে সাজাচ্ছিলাম তখন আপু আমার মাকে বলছিল "আন্টি দেড় লাখ টাকা দেনমোহর করতে চায় এটা কি কোন কথা বলেন?"

LOL! ব্যাপারটাকে এইভাবেও দেখা যায়, বউ বরের থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি সবদিক দিয়ে উঁচুতে থাকলেও তার এতটুকু আত্নবিশ্বাস/আত্মসম্মান নাই যে স্বামীর থেকে একটা টাকা না পাইলে সে চলার ভরসা করতে পারতেসে না, তার স্বামীর থেকে ভরণপোষণ লাগবে। কিন্তু কোরবানীর গরুর থেকে এইটুক বেশি আত্মসম্মান আছে যে নিজের দাম কম ঠিক হইসে বলে খারাপ লাগতেসে।

হুমমম। ইন্টারেস্টিং।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অচল  এর ছবি

আপনের একটা কথাতে তেব্র নিন্দা জানাই গেলাম। খাইছে আপনি ছেলে আর মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দাড়িপাল্লায় মাপছেন কিন্তু তাদের ভালবাসাটা আপনার চোখে পড়েনি ।

বউ এর ঘাড়ে উঠে কানাডা যেতে সম্মানে লাগছে না?

, আমি তো দেখছি প্রায় সব কেসেই বড় ভাইরা তাদের বউকে স্পাউস ভিসা দিয়া নিয়ে আসতে, সেই ক্ষেত্রে কি মেয়েদের সন্মানের প্রশ্ন উঠে না??? না কি আপনি ধরেই নিছেন ছেলেরাই সবসময় মেয়েদের থেকে শিক্ষা, যোগ্যতা আর অর্থের দিক থেকে বড় হবে তা না হলে বিয়েটা ঠিক ম্যাচ হল না। আপনার ওই আপুকে আমার তরফ থেকে দিলখোলা অভিনন্দন রইল। তিনি শুধু মুখেই ভালবাসার কথা বলেননি, সেটা তিনি মন থেকে বিশ্বাস করছিলেন। আর প্রচলিত অসম যোগ্যতার ঠুনকো বেড়া ডিঙ্গানোর সাহস তার আছে যেটা বাংলাদেশের খুব কম মেয়ের ভিতরই আমি দেখছি।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

মেঘা এর ছবি

শিক্ষাগত যোগ্যতাটা আসলে আমি একা মাপছি না সেটা ওদের পরিবারের মানুষ মাপছে। সেজন্যেই তাঁরা বিয়ে দিতে চায় নি। আর আপুর পক্ষে বাংলাদেশে থেকে এতো মানুষের কথা শুনে ভাইয়ার সাথে সংসার করা কঠিন হবে বলে সে দেশের বাইরে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্যাটা খুব ছোট আর দিলখোলা অভিনন্দন দেবার মতোন হলে কেউ পুরো পরিবারকে ফেলে বিদেশে চলে যায় না। পুরো সমাজকে ফেস করার সাহস থাকলে বাংলাদেশেই থেকে যেত। তো বুঝতেই পারছেন আপনি যেটা বলছেন সেটাও আসলে পুরোপুরি ঠিক না। যে বিয়ে করেছে সে নিজেও এটা নিয়ে প্রাউড ফিল করছে না। আমি ছোটবেলা থেকে আপুকে চিনি আমি তাই আমি জানি। কিন্তু সে সম্পর্ক ভাঙার মত মেয়ে না তাই বিয়ে করেছে। যা হোক ওরা সুখে থাকুক এটাই কামনা করি সব সময়।
তবে আপনাদের এই বড় ভাইয়েরা কি এমন মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে যান যারা বিদেশে যেয়ে আর কিছুই করে না? লেখাপড়াও না চাকরিও না? হাউজ ওয়াইফ হয়ে বসে থাকে? না সেটা থাকে না। আমার যতগুলো বান্ধবী বিয়ের পরে বিদেশে গেছে তারা কেউ লেখাপড়া বাদ দিয়ে বসে নেই। পার্টটাইম চাকরি করছে সেই সাথে লেখাপড়াও করছে। মেয়েরা বয়েছে ছোট হয় বলে শিক্ষাগত যোগ্যতায় কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে থাকে কিন্তু সেটাকে সারাজীবনের জন্য ধরে নিলে ভুল হবে।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

পল্লব এর ছবি

তবে আপনাদের এই বড় ভাইয়েরা কি এমন মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে যান যারা বিদেশে যেয়ে আর কিছুই করে না? লেখাপড়াও না চাকরিও না? হাউজ ওয়াইফ হয়ে বসে থাকে? না সেটা থাকে না। আমার যতগুলো বান্ধবী বিয়ের পরে বিদেশে গেছে তারা কেউ লেখাপড়া বাদ দিয়ে বসে নেই। পার্টটাইম চাকরি করছে সেই সাথে লেখাপড়াও করছে। মেয়েরা বয়েছে ছোট হয় বলে শিক্ষাগত যোগ্যতায় কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে থাকে কিন্তু সেটাকে সারাজীবনের জন্য ধরে নিলে ভুল হবে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি অনেক মেয়েকে চিনি যারা বিদেশে এসে হাউজ ওয়াইফ হয়ে বসে আছে। হাউজ ওয়াইফ হওয়াটা অসম্মানজনক কিছু বলে মনে হয় না। মেঘা, আপনি এইটা নিয়ে আর কথা বাড়ায়েন না প্লিজ।
রু

পল্লব এর ছবি

চলুক

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

যৌতুক, দেনমোহর, এইগুলা ফালতু বিষয়! কিন্তু.........................

আব্দুল্লাহ এ.এম.

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে
সেটাই

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

চরম উদাস এট হিজ বেস্ট! চলুক

চরম উদাস এর ছবি

লইজ্জা লাগে

নজমুল আলবাব এর ছবি

আজকালকার বিয়ার হিসাব-পত্তর দেখলে মাথা ভনভন করে। আমিতো শুকরিয়া করি আগেভাগে কম্মো করে ফেলার জন্যে। গহনার দামইতো জোগাড় করতে পারতাম না এখন।

চরম উদাস এর ছবি

মাথা ভনভন করে লাভ নাই উস্তাদ,
জান গেলে যাক মান থাকলেই হইল

তানিম এহসান এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু হাসি

চরম উদাস এর ছবি

হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

মন্তব্য করার মত ভাষা নাই ইমো দিয়ে যাই তাই।
গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি গুরু গুরু চলুক

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু প্রফেসর সাব

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গুরু গুরু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাত-প্রহরী এর ছবি

"খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না ... লেখকের সাথে লেখা মেশাবেন না"
- আপনার লেখার মতই এই কমেন্টটায় মজা পেয়েছি। তবে আমি খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর পক্ষে।
গল্প অসাধারণ লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা। গুরু গুরু

- কামরুজ্জামান পলাশ

চরম উদাস এর ছবি

হ ... খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর পক্ষে আমিও

কাজি মামুন এর ছবি

আবারও বারুদ! আর কিছু বলার নাই, চরম উদাস ভাই!

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাজ্জাদ এর ছবি

মেয়েরা স্বামীর হাতে মার খেয়ে বান্ধবীর সামনে দাড়াতে ভয় পায়্না, কিনতু দেনমোহর এর টাকা কম হয়ে গেলে দাড়াতে ভয় পায়।

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাইরে এত কম লিখলেন কেন? আসরটা মাত্র জমতাছিল। আমার ক্ষমতা থাকলে আপনের এই গল্প দিয়া একটা নাটক বানাইতাম।

বড়মামা হুঙ্কার দিয়ে আবার কি যেন একটা বললেন। আমি জানি মামা অত সহজে হাল ছেড়ে দেবার পাত্র না। গেল কুরবানিতে ইন্ডিয়া বর্ডারে ট্রাক আটকা পড়ায় গরুর দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেল। সবাই তিনদিন আগে থাকতেই বলল গরু কিনে ফেলতে। মামা উইলিয়াম ওয়ালেস এর মতো হুঙ্কার দিয়ে বললেন, হোল্ড! চান রাতে সবাই বলল, এখনই শেষ সময়। দাম যাই হোক, গরু কিনতে হবে। মামা আবারও হুঙ্কার দিয়ে বললেন, হোল্ড! গভীর রাতে বর্ডার থেকে সব ট্রাক ছাড়া পেল। গরুর দাম পানি হয়ে গেল।

হো হো হো হো হো হো

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস এর ছবি

আপনে ডিরেকশন দেন নাইলে ভালো দেখে ডিরেক্টর দেন একটা , আমি এইটারে লম্বা করে নাটকের স্ক্রিপ্ট বানায়ে দিব, কসম সে । আমার জীবনে লেখা একমাত্র প্রেমের গল্প নিয়া সামস সুমন আর কারে জানি নায়ক বানায়া কি যে একটা নাটক বানাইছিল চ্যানেল আই এর বুরবকগুলা। ওই দুঃখে আর কোন প্রেমের গল্পই লেখিনাই এই জীবনে ইয়ে, মানে...

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

নাটকের নাম কি ছিল, United Nations want to know.
আম্রিকার নিয়মটা খারাপ না, আলাদা হবার সময় দাঁড়িপাল্লা আনো (মানে মাপঝাপ করার জন্য, রাজনীতির মার্কা না),
আর সমান সমান ভাগ করো।
প্রসঙ্গক্রমে, ঐ যে একটা স্ক্যাম আছে না [আমার গাড়ির দাম ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠেয়ে দিলেই চলবে। গাড়ির এত কম দাম কেন? কারণ এটা আমার এক্স-জামাইয়ের, ডিভোর্সের সময় আমি পাইছি। তাই, পানির দামে বেচলেও সমস্যা নাই ]

কয়েকজনের নাম শুনছিলাম, যারা কোটির নিচে দেন মোহর করে না।
আবার, আমার বউয়ের আত্মীয়ের (কাজিন বোন) বিয়ের সময় জামাই ৩৫ হাজার টাকা দামের জুতা কিনাইছিলেন শ্বশুরকে দিয়া। আমি তখন জিজ্ঞেস করছিলাম যে, ঐ জুতা পরলে কি হাঁটা লাগে, নাকি জুতা নিজেও হাঁটায়ে দেয় ?

চরম উদাস এর ছবি

নাটকের নাম কি ছিল সেইটা জাতিসংঘ কেন FBI জানতে চাইলেও কমু না। ইজ্জত কা সাওয়াল। আমি আগে প্রেমের গল্প লিখতুম এইটা প্রকাশ পেলে পাড়ার লোকের কাছে মি আর মুখ থাকবে ইয়ে, মানে...

বিয়েক খরচাপাতি নিয়ে কথা বলতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে। সেগুলো নিয়ে একখানা এসো নিজে করি - কিভাবে বিয়ে করবেন লিখে যাচ্ছি অনেককাল ধরেই শম্বুকগতিতে। স্ট্যাটাসবাজি একটা বড়ই খাচ্চর রোগ রে ভাই, বড়ই খাচ্চর রোগ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আগে প্রেমের গল্প লিখতুম এইটা প্রকাশ পেলে পাড়ার লোকের কাছে মি আর মুখ থাকবে

আমরা জাইন্যা ফালাইছি!!
খিক খিক খিক

বিয়েক খরচাপাতি নিয়ে কথা বলতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে। সেগুলো নিয়ে একখানা এসো নিজে করি - কিভাবে বিয়ে করবেন লিখে যাচ্ছি অনেককাল ধরেই শম্বুকগতিতে। স্ট্যাটাসবাজি একটা বড়ই খাচ্চর রোগ রে ভাই, বড়ই খাচ্চর রোগ।

এই ডড়ে বিয়া পিছায়া দিছি কয়েক বছর!! আদৌ করতে পারমু কিনা কিতে পারি না!!
খাইছে

--------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

তুলিরেখা এর ছবি

আরে কী আর বলি! লেখা তো দারুণ, সে আপনার লেখা সবসময়ই দারুণ। লেখার কমেন্টগুলা আর কমেন্টে পাওয়া অন্য লেখার লি‌ঙ্ক পাইয়া সেই লেখায় গিয়া কমেন্টশুদ্ধা সব পইড়া মাথা চাক্কর দিতেসে! অ্যাঁ

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

চরম উদাস এর ছবি

এতদিনে পড়লেন খাইছে

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

লেখাটা পড়েছি কাজে বসেই। মন্তব্য করার জন্য বহু বহুদিন পর সচলে লগাইলাম। দেখো, তোমার এই লেখার লেজ ধরে আমরা সবাই আবার সচলে এসে আড্ডায় বসে গিয়েছি। ঠিক সেই আগের মতো। অনেকদিন পর খুব খুব ভালো লাগছে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এই ধরণের বা এই বিষয় নিয়ে একটা লেখায় মন্তব্য করে হেবি গাল খেয়েছিলাম কার কাছে যেন। একই বিষয় নিয়ে এতো মজা করে লিখেছো! গড়াগড়ি দিয়া হাসি আসলেই এই গল্পটা বেস্ট অফ চরম উদাস বইতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত না, কইরা ফেল্লাম। দেঁতো হাসি

এরপর কিন্তু বিয়ের সময় তোমার সেই চকলেটের গল্পটা বলতে থুরি লিখতে হবে। সব লিখতে হবে কিন্তু, আমাদের কিন্তু ঠকাবে না কিন্তু হো হো হো

--------------------------------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

আসলে দেনমোহর থাকার যৌক্তিকতা আছে কি নাই সে নিয়ে আগে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে নানা মত দেয়। নিন্মবিত্ত সমাজে এটা থাকায় বউ এর সিকিউরিটি থাকে ইত্যাদি নানা উদাহরণ দেয়। আমার ব্যক্তিগত মত এর প্রয়োজন নেই।

তবে আমার এই লেখায় দেনমোহর আসলে থাকা উচিৎ কি না সেটা নিয়ে না ।
লেখাটা নিন্মবিত্ত সমাজ নিয়েও না।
আমার গল্পটা স্রেফ এই দেনমোহর মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্ত সমাজে যে নোংরা যে রেসলিংটা হয় সেটা ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে।

সত্যি বলতে কি এই যে লিখলে এত এত কমেন্ট পড়ে আর পুরান সচল, নতুন অতিথি সবাই ভিড় আর আড্ডা জমায় কমেন্টের পাতায় এই লোভেই তো লিখি দেঁতো হাসি

তমসা এর ছবি

[/সত্যি বলতে কি এই যে লিখলে এত এত কমেন্ট পড়ে আর পুরান সচল, নতুন অতিথি সবাই ভিড় আর আড্ডা জমায় কমেন্টের পাতায় এই লোভেই তো লিখিquote]
এক উদাস ফুল ,লাখো মৌমাছি চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চরম উদাস, শুধু মাত্র এই গল্পটার জন্যই আপনি চিরকালের জন্য আমাকে কিনে ফেললেন।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস এর ছবি

কি যে বলেন ... লইজ্জা লাগে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

যেহেতু ইসলাম ধর্মে দেনমোহরের বিষয়টা পাকাপাকি ভাবে আছে সেহেতু এই চর্চা থেকে বাঙালী মুসলমানের মুক্তি অনেক সময়ের ব্যাপার। তবে যৌক্তিকভাবে অতি কুৎসিত পর্বগুলো নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে যন্ত্রণা কিছু কমতো!

তবে ব্যক্তিগত জীবনে এরকম কিছু বিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে যেখানে দাম কষাকষির মত কিছু হয় নি। এক কথায় ঝামেলা শেষ।

আশাবাদী যে কোন একসময় এই প্রথারও বিলুপ্তি হবে। বিয়ে হবে ভালোবাসার ফলস্বরূপ, কেনাবেচা নয় মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস এর ছবি

আশাবাদী যে কোন একসময় এই প্রথারও বিলুপ্তি হবে। বিয়ে হবে ভালোবাসার ফলস্বরূপ, কেনাবেচা নয়

চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনি একখান অমানুষ মিয়া গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

চরম উদাস এর ছবি

সবই আপনাদের ‌দুয়া খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক শেষ পর্যন্ত আপনি লেখা দিলেন হাততালি । বরাবরের মতই অসাধারন গুরু গুরু । হাসতে হাসতে চাপা ব্যাথা হয় গেল হো হো হো । আমাপ ছোট ভাইয়ের বিয়ে এই মাসের শেষে, দেনমহর নিয়া যেই একখান তেলেস্মতি কারবার শুরু হইছে - মেয়ে পক্ষ বিশ লাখের কমে রাজি না আর আমাদের বাড়ীর লোকজন পাঁচ লাখের বেশি দিবে না বিরাট দড়ি টানাটানি চলতাছে। সবচেয়ে আজব হইল মেয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু সেও এই ব্যাপারে কোন কথা বলে না উল্টা আমার ভাইরে বলছে 'আমার দাম কি এত কম নাকি, ইঞ্জিনিয়ার মেয়ের অনেক দাম', শুইনা হাসব না কাঁদব বুঝতে পারতেছি না। ওঁয়া ওঁয়া । আমি এক্তু বলতে গেছিলাম যে এগুলা ফালতু ব্যাপার, প্রেমের বিয়া একজন আরেকজনরে ভালবাসে এইসব ফালতু জিনিস নিয়া দরদাম করার দরকার কি? আমারে মুরুব্বিরা ধমক দিয়া চুপ করায় দিছে, বলছে 'তুমি কি বুঝ তোমার তো কোন বাস্তব বুদ্ধি নাই আর তুমি আল্লাহ খোদা মান না তুমি কি বুঝবা', অতএব কি আর করা আমি চুপ কইরা গেছি ইয়ে, মানে...
আর ইয়ে আমার একখান জিজ্ঞাস্য ছিলঃ চরম উদাস উদাসিনীরে কত টাকা দেনমহরে হালাল করেছেন?

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

কিছু কথা থাক না গুপন

অমি_বন্যা  এর ছবি

ব্যাপক মুজা পাইলাম উদাস দা। লইজ্জা লাগে

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নাসির এর ছবি

আমার বিয়েতে গল্পটা এরকমঃ
আমার ১৫-২০ জন মুরুব্বি নিয়ে গেলাম হবু বউয়ের বাসায়। গিয়ে শরবত-টরবত খাওয়া শেষ করেই আমি বললাম - 'দেখেন, আমার বিয়ের দেনমোহর বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমি নিজেই কথা বলতে চাই। আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি এই ব্যাপারটা একটা অনর্থক তিক্ততার জন্ম দেয়, আমি চাইনা সেই তিক্ততা আমার পরিবারের সাথে আপনাদের হোক, তার চেয়ে অনেক ভালো আমার সাথেই যা হবার হয়ে যাওয়া।
বলাই বাহুল্য এই কথার পর জল আর খুব বেশি ঘোলা হতে পারলো না। আমিও এমন কিছু বললাম না যা তাদের ইগোকে আহত করে, তারাও এমন কিছুই করলেন না যা আমাকে লজ্জিত করে !
হু হু, আমি সোহরাব আলী তালুকদারের আমলের ম্যাট্রিক পাশ আমার সাথে ওস্তাদি অত সহজ না !
আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু আমার প্রতিশ্রুতি যথাসময়েই পুরণ করেছিলাম । সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র।

চরম উদাস এর ছবি

আশার কথা এটাই যে এখন অনেকেই এই কাইজ্জাটা এভয়েড করেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গুলি করে হত্যা, জবাই করে হত্যা, গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা, শ্বাসরোধে হত্যা কিংবা ধর্মান্তরে বাধ্য/অবাধ্য করে ধর্ষণ করে হত্যা! হত্যা, হত্যাই। একে চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই কিংবা জখম ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে হত্যার মতো অপরাধকে লঘু কিংবা গুরু করার কোনো অবকাশ নেই।

তেমনি,

গয়না, দেনমোহর, লাগেজ ভর্তি করে পাঠানো নানা রকম কসমেটিক্স এবং অন্তর্বাস সামগ্রী, সাইকেল, রেডিও, টিভি-ফ্রিজ, শেরওয়ানী, চোখা নাগরা- ইত্যাদি জিনিসগুলোকে যে সর্বনামেই আখ্যায়িত করা হোক, দিন শেষে এদের সকলেই সোজা বাংলায় যৌতুক নামের এক ম্যাজিক ওয়ার্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়।

হত্যা‌কে যেমন কোনো অজুহাতেই ছিনতাই বলার অবকাশ নেই। একইভাবে ট্রাডিশন, পরিস্থিতি, বাপেও দেয়, বোনদেরও হয়েছে/দিয়েছে, আমি সস্তা নাকি!— —- ইত্যাদি কি-ওয়ার্ড সংক্রান্ত বাগ্মীতায়ও যৌতুককে কোনোভাবেই লঘু, মতান্তরে হালাল করে নেয়ার, নিতে চাওয়ার সুযোগ নেই। যেভাবেই নেওয়া/দেওয়া হোক, যৌতুক, যৌতুকই।

নিদেনপক্ষে, আধুনিক যুগের একজন ছেলে যদি বলতে পারে, শ্বশুর বাড়ি থেকে একটা সূতাও নিবে না, একজন মেয়েরও সেটা বলতে পারা উচিৎ। মেয়েকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে লেনদেন মোহর নিয়ে যে কদাকার, অশ্লীল মূলোমূলি হয়- সেটা আধুনিক যুগের একজন মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়ার কথা না।

বান্ধবীদের বিয়ের গয়না ট্রাক ভাড়া করে নিতে হইছে- আপনার বেলায় একটা মাইক্রো ভর্তি না হইলে কেমনে, বোনদের দেনমোহরের অংক সপ্ত আসমানে গিয়া ঠেকে ঠেকে ভাব - আপনারটা মিনিমাম প্রথম আসমানেই না গেলে কেমনে কী, আপনার ভাইরা কি সুন্দর করে ভাবীদের সাথে করে বিদেশ চলে গেলো- আর আপনার বর মিনষে কিনা আপনারই ঘাড়ে চড়ে বিদেশ যাচ্ছে- ইত্যাদি ইত্যাদি হীনমন্যতায় না ভুগে, এইসব অশ্লীল ফাত্রামীতে নিজেকে বিলিয়ে না দিয়ে শুধু মানুষটাকে বিয়ে করুন, ভালোবেসে। সে নিজে থেকেই আপনাকে গয়না গড়ে দিবে নিজের সাধ্যমতো, সে নিজে থেকেই আপনার দায়িত্ব নিতে চাইবে একেবারে শেষ দিনটি পর্যন্ত। এগুলোতে কোনো ট্রাডিশন, শো-অফ, হীনমন্যতা কিংবা অশ্লীলতা থাকবে না। থাকবে নিঁখাদ ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়া।

চরম উদাস এর ছবি

নিদেনপক্ষে, আধুনিক যুগের একজন ছেলে যদি বলতে পারে, শ্বশুর বাড়ি থেকে একটা সূতাও নিবে না, একজন মেয়েরও সেটা বলতে পারা উচিৎ। মেয়েকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে লেনদেন মোহর নিয়ে যে কদাকার, অশ্লীল মূলোমূলি হয়- সেটা আধুনিক যুগের একজন মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়ার কথা না।

চলুক

সমঅধিকার এর কথা বলা সোজা, পালন সবাই করতে পারে না। পালন করা এত সোজা না। তবে বেশ কিছু ছেলে মেয়েকে দেখেছি এই গয়না, স্ট্যাটাস, মান সম্মান এর বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসেছে। দিনে দিনে হয়তো আরও আসবে।

পল্লব এর ছবি

চলুক

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

অচল  এর ছবি

চলুক

আলতাইর এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

আলতাইর এর ছবি

এন্ড অফ দ্য ডে অন্য সব ধর্মীয় রীতি-নীতির মত এইটারেও মাইনষে শোপিস বানায়া দিলো। মার্কেটিং এর ক্লাসে স্যার একটা কথা কইতো ওয়ারেন্টি পলিসি নিয়া। কথাটা হইলোঃ "১ বছরের ওয়ারেন্টি বলতে উৎপাদক বুঝায় যে তার জিনিস ১ বছরের মধ্যে নষ্ট হওয়্যার কোনোই কারন নাই। কিন্তু এখন আমরা বুঝি ১বছরে যতবার নষ্ট হবে ওই জিনিস ততবার রিপেয়ার কিংবা রিপ্লেস করে দিতে উৎপাদক বাধ্য!" দেনমোহর এর ব্যাপারটাও কেমন জানি এইরকম বইলাই মনে লিতাছে। সবার একটাই চিন্তা থাকে- যদি কোনো ঝামেলা হয় তাইলে এই টাকা ভবিষ্যতে কাজে দিবে। কয়জনের মাথায় এই প্রশ্নটা আসে যে, সমস্যা কেনো হবে? আর যার সাথে সমস্যা হইলো তার কাছে টাকা চাইতে হবে? কেনো?

যাউকগা!! এইসব উচ্চবংশীয় বিষয়-আশয় লয়া উচ্চতলার মাইনষে কাউ-মাউ করুক, আমি বরং একখান ঘটনা কই। আমার বন্ধুর বিয়া। পোলায় অনার্স শ্যাষ কইরাই বিলাত যাওনের সুযোগ পাইছে, লাস্ট মোমেন্টে ফরয সাইরা যাইতে চাইতাছে। তার বাপেও ইহুদী-নাছারা মাইয়াগোর বদলে দেশী মাইয়াই ঘরে আনা বুদ্ধিমানের কাম মনে করছে। তা সেই বিয়াতেও দেনা-পাওনা (মতান্তরে দেনমোহর) লয়া বিশাল ক্যাচাল। ২জনের হাতে দেখলাম ৩টা ক্যালকুলেটর!!! রাইতের বাজে সাড়ে ১০টা। এই সময়ে মেয়েপক্ষের কাছে খবর গেলো মাইয়া পলাতক। কোন ফাঁকে ভ্যানিশ হয়া গেছে। পাত্রপক্ষ হুঁহুঁ টাইপের একখান হাসি দিয়া উঠতে না উঠতেই টের পাইলো পোলাও গায়েব। কয়েক ঘন্টা পরে মুরুব্বিগো কাছে পোলার ফোনঃ "আপ্নেগো মুলামুলি শ্যাষ হইসে?? হইলে পরে বাসায় আসেন। আমি আমার বউরে লয়া বাইরে গাড়িতে আছি। একটু আগে গাড়ির ভিতরেই কাজি সাহেব ৫০১ টাকা মোহরে বিয়া পড়ায়া দিছে!!" পুরা বিয়াবাড়িতে যুদ্ধবিরতিকালীন নিস্তব্ধতা। আর একটু আগের শার্দূল কন্ঠের অধিকারীদের ভলিউম তখন কালা বিলাই থেকেও নিচু। একমাত্র ছেলের মামা আমার পাশে খাড়ায়া গজগজ করতাছে- "বংশের মুখে চুনকালি দিলো...ছি ছি!" কারবার দেখেন... বংশও তার!! খানিকক্ষণ পরে ছেলের বাপ গিয়া মেয়ের বাপের লগে ফুসুরফাসুর কইরা মান-সম্মান লয়া বাড়িত ফেরত গেলো...পুত্রবধূ নিয়াই চোখ টিপি

চরম উদাস এর ছবি

বস পুলা। পুলা আর মাইয়ারে আমার লাল সেলাম।

মনিরুজ্জামান মনির এর ছবি

স্ত্রীকে হালাল করতে ইসলামিক রীতিতে দেনমোহর এর প্রচলন শুরু হয়। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান সময়েও তা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু তার ব্যবহার এ পরিবর্তন ঘটেছে। একজন দর্শক টিভিতে ভাল চ্যানেল দেখছে, অন্যজন খারাপ চ্যানেল দেখছে। এখেত্রে ডিস লাইন এবং টিভি এ দুটোর কেউ-ই দোষী নয় বরং দোষী ঐ দর্শক ব্যক্তিটি। স্ত্রীকে হালালের প্রশ্নে দেনমোহর প্রদানের রীতি কোন ভাবেই খারাপ কোন রীতি নয়। কিন্তু এই রীতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা বড়ই দোষের। এখনকার সমাজে কনে পক্ষ দেনমোহরকে কনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা বা সিকউরিটি হিসাবে বিবেচনা করেন। তারা ভাবেন একটা বিরাট অংকের টাকা দেনমোহর হিসাবে স্থির করতে পারলে ঐ দেনমোহর পরিষোধের ভয়ে তাদের মেয়েকে অকারনে ডিভোর্স দিতে পারবেনা বা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটবে না। আর ঘটলেও দেনমোহরের টাকা দিয়ে মেয়েকে দ্বিতীয়বার অন্যত্র ভাল বিয়ে দেয়া যাবে। প্রকৃতপক্ষে যদিও দেনমোহর পরিশোধ করার পর তবেই স্ত্রী স্বামীর জন্য হালাল হয় কিন্তু অভিভাবকগণ ঐ কথাটি বেমালুম ভুলে গিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ঐ দেনমোহরের টাকা পরিশোধের হিসাব কষে। এই হল বর্তমান দেনমোহর নির্ধারনকারীদের যুক্তি। অথচ তারা একটি বারের মত চিন্তা করে দেখেনা বিরাট অংকের দেনমোহর যা সচারচর অপরিষোধিত থাকে এমন অপরিষোধিত দেনমোহরের জন্য তাদের কন্যাটি ঐ স্বামীর কাছে হারাম অবস্থায় থাকে অর্থাৎ তারা সারা জীবন ধর্মের মুখোষে অধর্মের কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। যা ইসলাম কোন সময়ই সায় দেয় না। কিন্তু অভিভাবকগনতো বটেই এমনকি সমাজও তা ভেবে দেখেনা।
তাই এই অধর্ম থেকে বেড়িয়ে আসতে যার যার সাধ্য মত দেনমোহর ধার্য্য করা দরকার এবং তা পরিষোধ করে তবেই সম্পর্ক স্থাপন করা উচিৎ।

সত্যপীর এর ছবি

স্ত্রীকে হালাল করতে ইসলামিক রীতিতে দেনমোহর এর প্রচলন শুরু হয়।

স্বামীকে হালাল করা লাগেনা?

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
স্বামীরা মনে হয় বাই ডিফল্ট হালালই থাকে

সত্যপীর এর ছবি

হ এক্কেরে ফ্যাক্টরি ডিফল্ট।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি
হারাম, মানে হারামি স্বামীরা? দেঁতো হাসি

শেহাব এর ছবি

আমি তিনমাস কিছু হায়দারাবাদির সাথে রুমমেট ছিলাম। তখন দেখেছিলাম ওরা অনলাইন ক‌্যালকুলেটরে যৌতুক হিসেব করত। যেমন, পাত্র যদি 'রেড্ডি' পদবীর হয় তাহলে এক ধাক্কায় যৌতুক এক কোটি টাকা বেড়ে যায়, আমেরিকারন ডিগ্রী থাকলে বেড়ে যায়। এইচওয়ানবি ভিসা থাকলে সেটাও হিসেব করার ব্যবস্থা ছিল। দেনমোহরের জন্য এইরকম কোন সিস্টেম নাই?

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

^_^ এর ছবি

লেখা বরাবরের মতই চরম । হাততালি " এসো নিজে করি - কিভাবে বিয়ে করবেন " এ লেখাটাও শেষ করবেন কিন্তু । দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার আবার এইসব মূলামুলি ঝুলাঝুলি দেখতে খুব মজা লাগে। একেজনের একেক স্টাইল, কেউ হুঙ্কার দিয়ে উঠেন, কেউ অপ্রয়োজনেই ফিসফিস করে কথা বলেন (ঘটকদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশি লক্ষ্য করা যায়); কেউ সোজাসাপ্টা একটা এমাউন্ট বলেন (২০ লাখের কম না) , কেউ আশপাশের ঝোপঝাড়ে বাড়ি মারেন (অমুক এতো দিল, তমুক এটা করতে চাচ্ছে, এখন দেখেন আপনারা কি করতে পারেন)। সব মিলায়ে ব্যাপক বিনোদন।
রু

চরম উদাস এর ছবি

এইসব মূলামুলি ঝুলাঝুলি অন্যের জীবনে হলে দেখতে মজাই লাগে হয়তো, নিজের জীবনে হলে তখন আর মজা লাগার কথা না খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর লেখা হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সিরিয়াস সামাজিক ইস্যু নিয়ে এমন সরস লেখা বোধহয় চরম উদাসের পক্ষেই সম্ভব! গুল্লি
যারা আলোচনায় সিরিয়াস টার্ন নিয়েছেন তাদেরকে মামার ভাষায় বলছি - হোল্ড! চাল্লু

তবে প্রেম মহব্বতের সম্পর্ককে বৈধতা দেবার প্রক্রিয়ার নাম যদি হয় বিবাহ, তাতে মুলামুলি জিনিসটা অবৈধ না হলেও অশ্লীল!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

হ আমি ভাবতেছিলাম হোল্ড বলবো খাইছে
সাধারণত বিশেষ কিছু কিওয়ার্ড থাকলে অনেক পাবলিকের বেরেক ফেল করে।

নীলকমলিনী এর ছবি

আমি তোমার নাম দিলাম চরম রসিক। যাদের দীর্ঘ বিবাহিত জীবন তাদের তো দেনমোহরের টাকা উশুল হয়ে যাবার কথা। যারা দেন মোহরকে অতো গুরুত্ব দেন, আমার মতে বিয়ের বিশ বছর পর নুতন করে দেন মোহর দিয়ে তাদের বউয়ের সাথে বিছানায় যাওয়া উচিৎ।
লাখ লাখ টাকা দেন মোহর শুনলে মনে হয় একজন মেয়ে বিক্রী করছে, অন্য জন কিনছে। আমার ছাত্র স্বামী যত টুকু দিতে পেরেছেন আমার বাবা সেভাবেই আমার দেন মোহর ঠিক করেছিলেন, যা নাকি আমার বন্ধুদের থেকে অনেক অনেক কম।

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মনি শামিম এর ছবি

আপনি ভাই মানুষ না। লেখা পড়ে প্রথমে এটাই মনে হল। এত উইট, এত ফ্লেয়ার। আপনার লেখায় ফুল চন্দন পড়ুক। এই প্রথম মন্তব্য করলেও আপনার লেখার ভক্ত পাঠক আমি। কোনটা মিস করিনা। ভালো থাকবেন।

চরম উদাস এর ছবি

আপনি তো পুরা আরেক তারেক অণু । আপনার ছবি আর ভ্রমণকাহিনীগুলোরও ভক্ত হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন।

রিপন  এর ছবি

হাততালি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার হবু শাশুড়ি আমার এক মামার কাছে দেনমোহর দাবি করেছেন ২০লক্ষ টাকা।উত্তর কি হবে জানি না,তবে এটা জানি এটা নিয়ে পারিবারিক আলোচনায় একটা মাছের বাজার বসে যাবে।তবে সেটা হয়তো কাওরান বাজারের মাছের বাজার হবে না,হবে হয়তো অভিযাত এলাকার মাছের বাজার।যেখানে খুব বেশি দামাদামি হবে না,কারন হবু বউ আমার একটু দূরের মামাতো ভোন হয়।সামাজিক বিয়ের আগেই আমরা একবার কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেছি যেটা অপ্রকাশিত,কে উ জানেনা,আজ সচলে বলে দিলাম আপনার দেনমোহরের লিখা পড়ে।হা হা,সেই বিয়েতে আমার হবু বউ দেন মোহর নিয়ে একটা কথাও বলেনি,১ কি ২ লক্ষ টাকা ধরেছিলো দেনমোহর আমার বিয়ের সাক্ষী বন্ধুরা।দেন মোহর নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা তখনও ছিলোনা এখনও নেই।আমি বরাবরি এই সবকে শুধু মাত্র প্রথা হিসাবে দেখি।আর এখন সেই প্রেমকে সামাজিক রুপ দিতে দরাদরিতে যেতে হবে।দোয়া রাখবেন যেন পরিস্থিতি কাওরান বাজারের মতো না হয়।।
আর আপনার লিখা বরাবরের মতো চমৎকার আর প্রানবন্ত হয়েছে।

মাসুদ সজীব

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
আশাকরি সবকিছুই নিশ্চয়ই ভালোভাবেই শেষ হবে।

বিয়ের আসরে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শেখা হয়। আপনার যে কতকত আত্মীয়স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী ইত্যাদি আছে সেটা শুধুমাত্র বিয়ের আসরেই বোঝা যায়। সাবাই আপনাকে জেতাতে চাবে নানাভাবে। দেনমোহর, গয়নাগাটি, উপহার থেকে শুরু করে বিয়ের গেত ধরা পর্যন্ত প্রতিকাজে আপনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাবেন যারা আপনার হয়ে নিষ্ঠার সহিত মুলামুলি দরদাম করবে। এদের অনেককে আপনি হয়তো এই জীবনে আর কখনও কোথাও দেখবেন না, আপনাকে জিতিয়ে দিয়ে এরা উধাও হয়ে যাবে। শুধুমাত্র যদি বিবাহিত জীবনে কোন ক্যাচাল লাগে তাইলে আবার এরা ফিরে আসবে আপনাকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে জেতানোর জন্য ... খাইছে

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

এই লেখাটা বেশ কিছুদিন আগে সামুতে পড়ে হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। সবচেয়ে ভাল লেগেছে

তবে মেয়ে একটু হালুয়া আছে

, যতবারই পড়ি মন ভাল হয়ে যায়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দেনমোহর নিয়ে দেন দরবার!
লেখাটা অতি উৎকৃষ্ট মানের হয়েছে।
এবার মুসলিম বিবাহে মোহর নিয়ে দু-একটি কথা।
প্রথমেই বলি, আমি যেটুকু বুঝেছি তা হল, নির্দিষ্ট পরিমান সম্পদের বিনিময়ে কোন নারীর দেহসম্ভোগের নিমিত্ত সমাজসম্মত অধিকার অর্জন করা।
এবারে দু-একটি হাদিস....

৩২৭৮। সালামা ইবনুল আকওয়া (রা) এবং জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন : "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন এবং আমাদেরকে 'মুত'আ' (সাময়িক বিয়ে) করতে অনুমতি দিলেন।
সহিহ মুসলিম, পঞ্চম খণ্ড, পৃ :১০। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, কাঁটাবন মসজিদ ক্যাম্পাস, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০ কতৃক প্রকাশিত।

৩২৮০। আবুয্ যুবায়ের থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : আমি জাবির ইবনে আবদুল্লাহকে (রা) বলতে শুনেছি : আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এবং আবু বাকরের (রা) খিলাফতকালে এক মুঠি খেজুর ও আটার
বিনিময়ে কয়েকদিনের জন্য 'মুত'আ' (সাময়িক বিয়ে) করতাম। অবশেষে আমর ইবনে হুরাইসের ঘটনার প্রেক্ষিতে উমার (রা) তা নিষিদ্ধ করে দিলেন।
সহিহ মুসলিম, পঞ্চম খণ্ড, পৃ : ১০-১১। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, কাঁটাবন মসজিদ ক্যাম্পাস, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০ কতৃক প্রকাশিত।

৩২৮৩। রবী ইবনে সাবরাহ জুহানী কর্তৃ্ক তার পিতা সাবরা জুহানী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে 'মুত'আ' বিয়ে করার অনুমতি দিলেন। একদিন আমি ও অন্য এক ব্যক্তি বনী আমের গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলাম। মহিলাটি ছিল যেন দীর্ঘ গ্রীবা বিশিষ্ট একটি যুবতী উটনী। আমরা দু'জন তার কাছে নিজেদের (জন্য প্রস্তাব) পেশ করলাম। সে বললো, বিনিময়ে আমাকে কি দেবে? আমি
বললাম : আমার এই কাপড়খান। আমার সঙ্গীও বললো, আমার এই কাপড়খানা। আমার সঙ্গীর কাপড়খানা ছিলো আমার কাপড়খানার চাইতে উৎকৃষ্ট। তবে আমি ছিলাম তার চাইতে বয়সে তরুন। মহিলা যখন আমার সঙ্গীর কাপড়খানার দিকে তাকাল তা তার পছন্দ হল। আবার যখন আমার দিকে তাকাল তখন আমি তার কাছে ভাল লাগছিলাম। সে আমাকে বললো, তুমি এবং তোমার কাপড়ই আমার জন্য যথেষ্ট।অতঃপর আমি তার সাথে তিনদিন পর্যন্ত থাকলাম।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন : কারও কাছে মুত'আ সূত্রে কোন স্ত্রীলোক থাকলে সে যেন তাকে ছেড়ে দেয়।
সহিহ মুসলিম। পঞ্চম খণ্ড, পৃ :১২। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, কাঁটাবন মসজিদ ক্যাম্পাস, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০ কতৃক প্রকাশিত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।