আজকাল খুব একটা পত্রিকা পড়া হয় না। টিভিও তেমন একটা দেখা হয় না। টিভির রিমোট থাকে বউ আর বোনের হাতে। ওরা সিরিয়াল দেখে। ওদের হাত থেকে রিমোট পেলে সংবাদ চ্যানেলগুলোতে একটু ঘুরে এসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, এইচবিও অথবা স্টার মুভিজে গিয়ে থিতু হই। গত পরশু সংবাদ চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে চ্যানেল২৪-এ এসে দেখি, মির্জা ফখরুল সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন। তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র ভাবনাচিন্তার কথা বলছেন। তার বক্তব্য শুনতে থ
ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম সফল প্রেসিডেন্ট। ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের সময় আমেরিকা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছিল। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ২২ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান যা কিনা কোন একক রাষ্ট্রপতির আমলে সর্বোচ্চ, সর্ব কালের সর্বোচ্চ বাড়ী বিক্রয় হার, আমেরিকার ইতিহাসের সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার, শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সহ আরো ডজন ডজন সাফল্য গাঁথা ছিল ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের। কিন্তু তারপরও ক্লিনটনের পর কোন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। ক্লিনটনের স্থলাভিষিক্ত হলেন রিপাবলিকান জর্জ বুশ (জুনিয়র)/ এই জুনিয়র বুশের আট বছরে আমেরিকা কোথা থেকে কোথায় গেছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমার সবচাইতে অবাক লাগত এই ভেবে যে কিভাবে আমেরিকার মানুষ ক্লিনটনের উত্তরসূরি হিসাবে বুশ কে নির্বাচিত করল?
গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবারে মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজিনার বাসায় ইফতার পার্টি ছিল। সেখানে এক টেবিলে বসেছিলেন সৈয়দ আশরাফ, এইচ এম এরশাদ, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ। পাশের টেবিলের কোনোটিতে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, মঈন খান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সুশীল সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দেওয়া রায়ে সরকারের কোনো হাত নেই, তবুও কেন আওয়ামী লীগের এত সমালোচনা করা হয় -- এই প্রশ্ন লীগ-ঘেঁষা যেকোনো মানুষের। তারা আরও বলে থাকেন, জামায়াতের হাতে নিহত-আহত হয়েছেন শুধুই ছাত্রলীগের কর্মীরা, তাই কোনো আঁতাতের অভিযোগ তাদের কাছে বিস্ময়কর। সবশেষে তারা জানতে চান আওয়ামী লীগকে কেন বিচার শুরু করার জন্য বাহবা দেওয়া হয় না।
অন্ধ হয়েই জন্মেছিলো বিচার; সুদীর্ঘকাল পর সুপথে চলার দায় অর্পিত হলো শক্তিমন্ত এক শাদাছড়ির উপর।
অতঃপর, বিচারের বাণীতে ধর্ষিত হয় পুনঃ অযুত বীরাঙ্গনা-শহীদের ত্যাগ...
---
আনু-আল হক
ছলনার রায় মানি না,
অন্য কিছু জানি না,
শুধু এটাই জানি-
ঘুচেনি আজো গ্লানি।
হতভাগা ঘাটের মড়া
(তোর) মুখ থেকে হাসি সরা।
ভাবিস না তুই বেঁচে গেছিস আজি
অল্পতে তুই পার পাবি না অলপ্পেয়ে পাজি।
দেশের মানুষ আছে এখন সজাগ সর্বক্ষণ
প্রয়োজনে শাস্তি দেবে দেশের জনগণ।
আমেরিকার গণতন্ত্রের একটা দারুণ দিক হলো মধ্যবর্তী নির্বাচন ("মিডটার্ম ইলেকশন")।
১৯৯৭ সালের শুরুর দিকের কথা। বুয়েটের ক্লাস শুরু হয়েছে মাস দুয়েক হল। প্রথম সেমিস্টারেই পাঁচ টা কোর্স আর তিনটা সেশানাল নিয়ে অবস্থা কেরসিন... বিশেষ করে মেকানিক্স কোর্স নিয়ে তো রীতিমত হিমশিম অবস্থা। এর মধ্যে শুনলাম ইউকসু ইলেকশান হবে। বেশ একটা থ্রিল অনুভব করলাম। ডাকসু ইলেকশানের কথা শুনে শুনে বড় হয়েছি, ডাকসু নেতাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা পেপারে পড়েছি, বিবিসি বাংলায় শুনেছি। তো আমি একে ওকে জিজ্ঞাসা করা শুরু করলাম জানার জন্যে যে কে কোন দল থেকে ইলেকশান করছে, কে কেমন ইত্যাদি। জানতে পারলাম ইউকসু ইলেকশান হয় প্যানেল ধরে, সাতজনের একেকটা প্যানেল...ছাত্র দল একটা প্যানেল দেয়, ছাত্র লীগ একটা প্যানেল দেয়, ইউনিয়ন একটা প্যানেল দেয় ... এরকম। প্যানেল গুলো পরিচিত হয় ভিপি-জিএস-এজিএস প্রার্থীর নামে। যাই হোক ধীরে ধীরে প্যানেল ঘোষণা করা হল প্রায় সব দলের। তারেক-কামাল-কল্লোল প্যানেল হল ছাত্রদলের... জাহিদ-খালেদ-তুহিন হল ছাত্রলীগের প্যানেল। অন্য আরও প্যানেল বোধহয় ছিল কিন্তু আমার মনে নাই। প্রচারনা শুরু হল। সারা বুয়েট ছেয়ে গেল পোস্টারে পোস্টারে। এরকম একটা পোস্টারে একটা চেনা মুখ দেখে তো আমি অবাক...... আনোয়ার জাহিদ ভাই। জাহিদ-খালেদ-তুহিন প্যানেলের জাহিদ যে আনোয়ার জাহিদ তা দেখে তো আমি অবাক। বছর খানেক আগের বুয়েটে ভর্তির কোচিং সুত্রে আনোয়ার জাহিদ আমাদের অতি প্রিয় মানুষ। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় তখন পর্যন্ত ১০০% স্কোর করা একমাত্র পরীক্ষার্থী উনি। সান রাইজ কোচিং সেন্টারে স্বাগত জানানো থেকে শুরু করে আমাদের নিয়মিত ক্লাস নিতেন ইনি। আনোয়ার জাহিদ আমাদের ভোটে সেরা টিউটরও নির্বাচিত হয়েছিলেন সান রাইজের। আমি তো মহা খুশী এমন একজন গুনী মানুষ ইলেকশান লড়ছেন দেখে। একটু আশা জাগল মনে যে না ছাত্র রাজনীতি মানেই নষ্ট ছেলে আর ক্যাডারদের তাণ্ডব না। আমরা যারা লেভেল ১ টার্ম ১ এর নতুন ছাত্র ছাত্রী তারা তো প্রায় নিঃসন্দেহ যে জাহিদ ভাই ই জিতে যাচ্ছেন।
"Everything originates in water
Everything sustained by water"
- Johann Wolfgang von Goethe (1749-1832)
এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক প্রধান বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইরিন খান। শাহবাগের আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যানশনালের মনোভাব বিষয়ে ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করছিলাম দিন কয়েক আগে। এই সুত্রেই জানতে পারলাম যে ২০০৯ এর শেষে আইরিন খান কে এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টি ছিল গোয়ান্টানা মোবে তে যেসব মুসলিম বন্দী ছিল তাদের উপর অত্যাচারের ব্যাপারটি অতিরিক্ত একপেশে ভাবে বিশ্বের সামনে আনা যেখানে ওই টেরোরিস্ট বন্দীরা যে কি পরিমান নাশকতা ও নৃশংসতা ঘটিয়েছে সে বিষয়টি এ্যমনেস্টি অতটা সামনে আনেনি। অর্থাৎ আইরিন খান গোয়ান্টানা মোবে তে আটক থাকা বন্দীদের মানবাধিকার রক্ষায় যে পরিমান সোচ্চার ছিলেন তার কিয়দাংশও ছিলেন না ওই বন্দীরা যে সব মানবতা বিরোধী কাজ করেছে সেগুলোর প্রতিকার করা বা অন্তত সেগুলোকে বিশ্বের কাছে জানানোর ব্যাপারে। এই অভিযোগে আইরিন খান কে সরাসরি অভিযুক্ত করা না হলেও জঙ্গীবাদের উত্থান ও বিস্তারের প্রতি নমনীয় মনোভাবাপন্ন বলে মন্তব্য করে তাকে সরে যেতে বলা হয়। মনে করা হচ্ছিল যে জঙ্গীবাদের জন্যে "অতি" মানবতা দেখানো আইরিন খান সরে গেলে জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রন সহজ হবে। আইরিন খান সরতে রাজি না থাকায় তাঁকে বিপুল অর্থের প্রস্তাব দেয়া হয় এবং আইরিন খান তাঁর বার্ষিক বেতনের চাইতে প্রায় পাঁচ গুন বেশী অর্থ নিয়ে নীরবে রফা করে সরে যান। এই বিপুল পরিমান অর্থ কেন আইরিন খান কে দেয়া হল এ নিয়ে এ্যমনেস্টির নিজেদের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধান বলেন যে যেহেতু আইরিনের ভুমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছিল তাই অর্থের বিনিময়ে তাকে সরে যেতে বলা ছিল একটি আপোষ এবং একে "Least Worst Outcome" উল্ল্যেখ করে বলেন এব্যাপারে যেন এ্যমনেস্টি বা আইরিন কোন পক্ষই আর কথা না বলে তার জন্যেই এব্যাবস্থা।