গদি থেকে নামিস যখন
জনগণের ব্ন্ধু তখন,
দেশের জন্য দু'চোখ বেয়ে
গড়িয়ে পড়ে জল
ঢের ঠকেছি, এবার বলি
ছল সবইরে ছল-
খারাপ কাটুক দেশের দিনটা
তোদের কেবল একটা চিন্তা
গদি এবং গদি পেলেই
তোরা সবাই লাট বাহাদুর
অন্য সবাই তুচ্ছ নেহাত
মশা, মাছি, ইঁদুর, বাদুড়-
সারাজীবন এইতো হলো
তোরা খেলি, ওরাও খেলো
আমরা কেবল দেশের মানুষ
দেশের সাথে পচে মরি
তোরা ওরা গদি নিয়ে
করিস পাছা মারামারি-
বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংষ্কৃতি বর্তমানে গড়ে উঠেছে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে লুটেরা শ্রেণীর চরিত্র পূর্নাঙ্গভাবে ধারন করেছে এ কথা আজ নির্মম সত্য। দূর্নীতি আজ সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শ্রেণী চরিত্র মূলতঃ একই হলেও এটা ঐতিহাসিক সত্য নয়। বিভিন্ন ধারার সবচেয়ে লুটেরা শ্রেনীর লোকগুলো সামরিক ও বেসামরিক আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগী মধ্যবিত্ত সাম্রাজ্যবাদের দালাল বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের শুরু থেকেই সংগঠিত হয়েছে। এরাই অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার রূপকার, ধারক ও বাহক যা এদের শ্রেণী চরিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য চরমভাবে অপরিহার্য। এরাই কৌশলগতভাবে সর্বহারা, শ্রমজীবি ও কৃষক ইত্যাদি নিন্মবর্গীয় শ্রেণী থেকে দালাল সৃাষ্টি করে এবং এইসব দালালদের অর্থনৈতিক শ্রেনী-উত্তোরণ ঘটায়। এসব দালালের মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদী নেটওর্য়াক নিন্মবর্গীয় মানুষের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে শোষনমূলক এক অসম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহমান রেখেছে।
পোস্টের সম্পূর্ণ বক্তব্যই আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডার কথা জানাতে এখানে আমার উপস্থিতি ভেবে থাকলে ভুল করবেন। সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম পোস্ট। আশা করি অল্প কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরিভাবে সচল হতে পারব।
- - - - - - - - -
পাপী
- - - - - - - - -
১.
আজকের পত্রিকার অনেক খবরের মাঝে রাষ্ট্রপতি'র ক্ষমা বিষয়ক একটি খবর আছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে তিনি ক্ষমা করতে পারেন; বাংলাদেশের জনগণ সেই অধিকার তাকে দিয়েছে। সেই অধিকার বলে তিনি এবার ক্ষমা করেছেন চিহ্ণিত এক খুনিকে।
অনেক আশা ছিল, অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক বিশ্বাস ছিল...এইবার নিশ্চয়ই জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে; এখন থেকে নিশ্চয়ই নিজেদের ভুল বুঝে ঠিক পথে চলতে পারবেন। কিন্তু আমরা আসলে গাধা, শুধুশুধু আশা করি, স্বপ্ন দেখি। আপনারা যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনি যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনাদের সমাজের সবাই আসলে একই রকমঃ কোন পরিবর্তন নেই...শক্তি থাকলে আর কিছুর পরোয়া করেন না!
বাংলাদেশের প্রকৃতিক সম্পদ, তথা তেল/গ্যাস আহরণে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানীর মুখাপেক্ষী হবার এবং তাদের সাথে অসম চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনের পক্ষে সরকার ও তাদের তাঁবেদার বুদ্ধিজীবি সমাজ এবং পদলেহনকারী সংবাদ মাধ্যম যে যুক্তি সামনে নিয়ে আসে তার অন্যতম প্রধান হচ্ছে
আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার অভাব।
কনোকো ফিলিপসের সাথে চুক্তি-- স্বার্থের পেছনের স্বার্থ
ভেবেছিলাম পাশ কাটিয়ে যাবো, কোন কিছুই লিখবো না। কিন্তু সচলে লেখা প্রকাশের লোভেই হোক আর নিজের ভেতরের ভাবনাগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করার তাগিদেই হোক কিছু একটা লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
সংবিধানে বেশ অনেকখানি কাটাছেড়া আর জোড়াতালি হল আওয়ামী সরকারের ক'বছরে। ৫ম সংশোধনী বাতিল দিয়ে শুরু, আর শেষ পর্যন্ত নতুন করে ১৫তম সংশোধনী। সংবিধান কতটা সাংঘর্ষিক হল, সেই আলোচনা তো চলছেই, কিন্তু আরো একটা বিষয় আমাকে ভাবাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কি সংবিধানে একটা ব্যাকডোর তৈরী করল? অসাংবিধানিক শক্তির আসার পথকে রুদ্ধ করল, নাকি অন্য কোন অশুভ শক্তির পথ খুলে দিল?
(অনেকটাই যদি-কিন্তুর মালা গাথা, আজাইরা ভাবার মত অলস মাথা না থাকলে মাফ করবেন প্লিজ...)
[justify][i]প্রতিবারই জোর করে কী-বোর্ডের সামনে বসার সময় মনে হয় আমার অস্তিত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চারদিকে যতকিছু ঘটে যাচ্ছে তার বৃত্তান্ত টুকে রাখার আমি কে? আমার দায় কী?
[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।