নেভারেস্ট: পর্ব ১ ▬ নেভারেস্ট: পর্ব ২
নেভারেস্ট সিরিজের তৃতীয় পর্ব লেখায় হাত দিয়েছি। ভাবলাম, তার আগে আরো কিছু সাক্ষাৎকার নিয়ে রাখি। কার সাক্ষাৎকার নেয়া যায়?
মাথায় এসেছিলো মুসা ইব্রাহীম আর আনিসুল হকের নাম।
কর্ড ব্লাড কী?
শিশুর ভ্রূণ তৈরির পর মায়ের শরীর থেকে তার শরীরে একটি কর্ড বা রজ্জু দ্বারা পুষ্টি, অক্সিজেন এবং অন্যান্য জৈবিক উপাদান স্থানান্তরিত হয়। এর নাম আমবিলিকাল কর্ড। এই কর্ড হল শিশুর লাইফ লাইন।
এই আমবিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে শিশুর জন্য অতি প্রয়োজনীয় আরেকটি উপাদান স্টেম সেলও পরিবাহিত হয়। স্টেম সেল অ ...
নব্বুইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট যখন এল তখন এটি ছিল খুবই একটি খরুচে প্রযুক্তি। মাইক্রোসফ্ট অফিস/উইন্ডোজ সহ দামী কম্পিউটারের সাথে আট হাজার টাকা দিয়ে মডেম কেন, ইমেইলের জন্যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আইএসপির ডায়ালআপ অ্যাকাউন্ট খোল - ইত্যাদি - এর সাথে সাথে ফোন বিল ও আইএসপির মিনিট প্রতি চার্জের ব্যাপারটি তো ছিলই। কিন্তু আজকের কথা চিন্তা করুন, ফোনেই থাকে মডেম আর বাংলাদে ...
আজকে ইফতারে অতিভোজন হয়েছে। খাবারের আইটেমগুলা ছিল জটিল, পেটে ক্ষিধাও ছিল প্রচুর, তাই গলা পর্যন্ত খেয়েছি!
রমজান মাসে খাওয়া-দাওয়া বড়ই উমদা হয়। সারাদিন অভুক্ত থাকার কারণেই হয়ত মানুষ ইফতারের সময় উপাদেয় খাদ্য দিয়ে রসনা মেটাতে চায়। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এই রমজান মাসের অধিকাংশ দিনই মোটামুটি ঘরে বসে কাটিয়েছি। আজকে ঈদের কেনাকাটার জন্য দিনের বেলা বাইরে অনেক্ষণ ঘুরাঘুরি করতে হয়েছে, তাতেই গল ...
তখনঃ
পি,আই,এ-র টিকিটের দাম ছিল স্টুডেন্ট কনসেশনে মাত্র ২৫ টাকা - ঢাকা-যশোর বিমান ভাড়া। তখন এক ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। তার মানে এখনকার ৫০০ টাকার কমে প্লেনে যেতে পারতাম। এখন মনে হতে পারে কত সস্তা। কিন্তু এটা ছিল আমার এক মাসের হোস্টেলের মেসিং চার্জের কাছাকাছি। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তখন মাসিক মেসিং চার্জ ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মত। তবে বাবার পাঠানো টাকার সাথে স্কলারশিপের টাক ...
গত শনিবারের ঘটনা। সকাল থেকে আলস্যের কারণে বিছানা ছাড়া হচ্ছিল না। প্রথমতঃ উইকএন্ড, তার উপর প্রচণ্ড বৃষ্টি। ব্রিটিশ আইলস-এ বৃষ্টি প্রধানতঃ ঝিরঝিরে প্রকৃতির। কিন্তু গত কয়েকদিন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী শহর ডাবলিনে সেটা রীতিমত মুশলধারে হতে শুরু করেছে। ফলে বিছানায় শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে একটা রোম্যান্টিক পরিবেশ উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ মনে হলো একটু পত্রিকা পড়ি। কী হচ্ছে এই দেশে ...
১.
ছোটবেলা থেকেই আমার ভয়াবহ রকমের ক্যামেরাভীতি। মনে আছে, বড় ভাইয়া যখন কাজিনদের গ্রুপ ফটো তুলতেন (তখন ক্যামেরা জিনিসটা এতো সহজলভ্য ছিলো না), আমার হাত-পা ঠকঠক করে কাঁপতো। দেখে মনে হত, কেউ যেন আমার ম্ত্যুদন্ডাদেশ ঘোষণা করেছে। এক্ষুণি আমাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাতে নিয়ে যাবে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। যাই হোক, বড় হয়েও আমার ক্যামেরাভীতি পুরোপুরি যায় নি। বন্ধুরা যেখানে ক্যামেরার সামনে দিব্য ...
কথাটা ন্যাকা শোনাচ্ছে, আমি জানি। অবশ্যই হাসপাতাল পারে, এবং উঠতে বসতে পেরে দেখায়, যে দ্যাখো, আমি সংকটাপন্ন রোগী ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারি। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, নৈতিক এবং আইনী দৃষ্টিতে হাসপাতালের এই অস্বীকৃতি জ্ঞাপন সমর্থনযোগ্য কি না।
নিকট অতীতে খবরের কাগজে পড়া দু'টি সংবাদ ব্যবহার করছি এই পোস্টে।
একটি ৩১ আগস্ট, ২০১০ তারিখে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদ।
...
হিযবুতে তাহরীর সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানতাম না। যখন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তখনো খুব বেশি পাত্তা দেইনি। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়ার পর একদিন ক্লাসে এইটা নিয়ে কথা উঠায় জানতে পারলাম আমার নিজের ইউনিভার্সিটিতেও হিযবুতে তাহরীর ছিল। অবাক হয়েছিলাম শুনে কিন্তু তখনও পাত্তা দেইনি। ভাবছিলাম, ছিলতো কী হয়েছে, ওরা এসে প্রীচিং করলেই কী আর প্রাইভেটের ছেলে-মেয়েরা গলে যাবে! এত সোজা নাকি! সেটা ছিল গত বছ ...
তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই ...