আশফাক আহমেদ
১.
টিউশনিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো একদল ছেলেপেলে, গ্যাদা পোলাপান ই বলা চলে কি কারণে জানি ঝগড়া বাধিয়ে বসেছে। খানিকটা দূর থেকে ওদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করলাম কিছুক্ষণ। শেষ পর্যন্ত ঘটনার শানে নুযূল বোঝা গেল। ওরা দুই দলে ভাগ হয়ে বিস্বকাপ ফাইনাল খেলবে আজ। তো এক দলকে স্পেনের রিপ্রেজেন্টেটিভ হতে হবে। আরেক দল হবে 'নেদারল্যান্ড'। মজার ব্যাপার হল, কেউই নেদারল্যান্ডের হয়ে ...
১
কাজ নিয়ে আমার চিন্তার অন্ত নাই। এ ব্যাপারে নানা লোকের নানা মত।
কেউ বলে, এত্ত ভাবার দরকার কী?
কেউ বলে, কাজ উপভোগ করার চিন্তাই আমি করি না; বা, 'কাজ ইজ কাজ'।
কেউ আমার চেয়েও বেশি ভাবে/ভাবসে, বা একশনও নিসে; এমন কাজ করে, যেটায় ডুবে থাকতে কোনোই কষ্ট হয় না।
মানুষের সাথে 'আদর্শ কাজ' নিয়ে আলাপ হয়। সেটা কি সোনার হরিণ, নাকি পাওয়া সম্ভব?
২
আমি যে খুব কষ্টের কাজ করি তা না। আমার কাজে বৈচিত্র্য ...
যে কারনেই হোক লোডশেডিং এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অত্যাচার। আগেও ছিল। সমস্যটা এত বিশাল যে এটার কোন দ্রুত সমাধান সম্ভবত সম্ভব না। একটু ভিন্নকোণ থেকে দেখার জন্য আজকের পোস্ট।
এই মাসে খেয়াল করলাম, গত কয়েক মাস হল পকেটে যা আসছে, সব চলে যাচ্ছে। যেহেতু আমরা কেউই নিজের স্বার্থে দূর্নীতিবাজ না, ভেবে দেখলাম এখনই ব্যবস্থা না নিলে খুব শীঘ্রি পকেটেও লোডশেডিং শুরু হবে। সঞ্চয় বলতে কিছুই হচ্ছে ...
"আমি মাইর-দিও-না বলচি। আমি এখুনও ভামোস ভামোস আর-জিতি-না ফুটবল দলের বল ম্যানেজার আচি। অবশ্য আমার লাফ-ঝাঁপ অখন বন্ধ আচে, কারও কোলে ওঠার সুযোগও পাইতেচি না বহুত দিন অয়! যা হোক, শুনেচি দুঙ্গারে ব্রাজিল পত্রপাঠ বিদায় দিচে। এক যাত্রায় দুই ফল বোধ অয় ইহাকেই বলে, হেঃ হেঃ হেঃ!
যারা আমাকে নিন্দোচ্চেন, একটু পেচনে তাকিয়ে দেখুন। ঈশ্বরের হাত এবং আমা ...
আমি ব্রিটিশ টেলিকমে কাজ করি। বেডরুম অফিস করি। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছাকাছি আমাদের অফিস ইন্ডিয়াতে। তাই মাঝে মাঝেই ব্যাঙ্গালরে গিয়ে ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারদেরকে জ্ঞ্যান বিতরণ করে আসতে হয়। ঢাকায় ফিরতে আকাশ পথে প্রায় ১০ ঘন্টার মত ভ্রমন। ব্রিটেন যেতে ১২ ঘন্টার মত লাগে, তাই বলাই বাহুল্য আমার জন্য এটা যথেষ্টই ক্লান্তিকর। ভোর ৩টায় উঠে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিতে হয়। অন্য বিম ...
বাংলাদেশের মিডিয়াতে মানুষের আন্তর্জাতিক অর্জনগুলো যে বিস্তৃতি নিয়ে কাভার করা হয়, সেটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঠিক কী কী ধারণা হতে পারে? ধরা যাক, ভিনগ্রহ থেকে জনৈক আগন্তুক এসে হাজির হলো বাংলাদেশে, স্কাউটশিপ থেকে নেমে কোনো নিউজস্টল থেকে কিনলো এক কপি প্রথম আলো, কিংবা টিভি খুলে ধরলো এটিয়েনবাংলা। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস নোবেল পেলেন, মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করলেন [এ নি ...
সাবরিনা সুলতানা
আমার পায়ের কাছেই বিরাট জানালা । সকালে সূর্যের কিরণ এসে চোখে মুখে মাখামাখি । সে এক অবস্থা আর কি! সেই সময়ে আলসেমিটা কাটানো মুশকিল হয়ে পরে । ঘুমের রাজ্য থেকেই বেরিয়ে আসতে আসতে আমি আকাশের নীল আর গাছেদের সবুজের মাঝে কিছুটা সময় ডুবে থাকার চেষ্টা করি । দেখতে থাকি মেঘের সাথে পাখিদের লুকুচুরি খেলা । ঠিক এমনি সময়ে মোবাইলে বেজে উঠে আইয়ুব বাচ্চুর গলা । ফোনটা রিসিভ কর...
রাত জাগার প্রতি এক ধরনের আকর্ষন কাজ করে। অলস বসে থাকি কিংবা গান শুনি। আর তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ভাবি। কেমন একটা অপার্থিব শান্তি শান্তি ভাব ভর করে মনে। মাঝে মাঝে হিসেব মেলানোর অপচেষ্টা চালাই। খুব একটা লাভ হয় না তাতে। কারন জীবনের ক্যালকুলাসটা নিউটন সাহেব আবিষ্কার করেন নি, করেছেন স্রষ্টা নিজে।
আজকে অবশ্য একা বসে নেই। কয়েকজনকে জোগাড় করে দল ভারি করে ফেলেছি। এই দলে আছে তিনটা টিকটি...
মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদটি আমি শোনার পর বিশ্বাস করেছিলাম। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। যদিও জানতাম না, তিনি আদৌ এ বছর এভারেস্ট বরাবর রওনা হয়েছেন কি না। জানতাম না তার গাইড কে ছিলো, জানতাম না তিনি কোন অভিযাত্রীদলের সাথে গিয়েছেন, এভারেস্টের কোন দিক থেকেই বা তিনি চড়লেন, এই বিপুল ব্যয় কে নির্বাহ করলো, কীভাবে সংবাদটি পেয়ে এভারেস্ট থেকে বহু নিচে বসে কেউ একজন ব্লগে ব্লগে ছড়িয়ে দিলে ...
গতকাল বিকেলে অফিসের গাড়ীতে বাসায় ফিরছিলাম ক্লান্তিতে ঝিমোতে ঝিমোতে। আচমকা একটা ভাঙচুর হামলার হৈ রৈ শব্দ সামনে। গাড়ীটা কড়া ব্রেক কষে থমকে দাঁড়ালো।
চোখ মেলে দেখি সামনে শখানেক গজ দুরে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের মাথায় উন্মাতাল ভাঙচুর করছে কয়েকশো উন্মাদ শিবির ক্যাডার। গাড়ীঘোড়া যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে। দেরী না করে আমাদের ড্রাইভার চট করে গাড়ী ঘোরালো। আমরাও পালালাম ভিন্ন পথে। যে ...