আমার একটা স্বপ্নের জার্নাল ছিলো, তার পাতাগুলো সাদাই ছিলো, কোনোদিন কিছু লেখা হয় নি। আস্তে আস্তে বিবর্ণ হলদেটে হয়ে পাতাগুলো কেমন জীর্ণ হয়ে গেল, তখন একদিন সে কাগজগুলো আরো অনেক পুরানো খবরের কাগজের সঙ্গে জ্বেলে আগুন করলাম এক শীতের বিকালে। আগুনের সোনালী-কমলা শিখাগুলো ঘিরে বসে হাতের পাতা সেঁকতে সেঁকতে চা আর মুড়ি খাচ্ছিলাম আমরা।
ঘটনা-১
পথ চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমেছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তাই পথ চলতি গেরুয়া বসনের, দাড়ি চুলের জটাধারী লোকটি একটা অবস্থাপন্ন গৃহস্থের বাসায় আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। সদাশয় গৃহস্থ মুসাফিরকে ভেতরে ডাকলেন। রাতের খাওয়া দাওয়ার সময় কথাবার্তা থেকে বুঝতে পারলেন যে, অতিথি বিরাট বুজুর্গ লোক। তাই, বাড়ির সবচেয়ে ভাল ঘরটাতে ওনাকে থাকতে দিলেন।
পরদিন সকালে আতিথিয়েতার প্রশংসা করে বুজুর্...
গতকাল দুই লাখ টাকার একটা চেক পাইছি। একটা গাড়ী কিনবো ভাবতেছিলাম। হাসতেছেন? ব্যাটা পাগল নইলে মাতাল। বাংলাদেশে দুই লাখ টাকায় টেক্সীও মেলে না, আবার গাড়ীর শখ। পোলাও খাবা স্বপ্নেই খাও। নইলে ধোলাই খালের চোরাই মার্কেটে যাও। পাইলেও পাইতে পারো ঘষামাজা টয়োটা নিশান।
মেজাজ খারাপ করে কোন লাভ আছে? তারচেয়ে দুকলম হেঁকেই কইলজা ঠান্ডা করি।
যাদের নিজের গাড়ী হাঁকাবার সামর্থ্য আছে তাদের তেমন অ...
[justify]
ঘুম নিয়ে একটা সমস্যায় ভুগছি, তাই খুব বোরিং কিছু লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়বো ভাবছি। কী নিয়ে লেখা যায়, ভাবতে ভাবতে এই লেখার গল্প শুরু করলাম।
ব্লগে আমি যে নিরর্থক হাবিজাবি লিখে যাই, সেই লেখালেখির শুরুটা হয়েছিলো কবিতা দিয়ে! সেসময়ে আমি বিস্তর কাব্যস্রাবে আশপাশ ভিজিয়ে দিয়েছি পৃথিবীর সব নতুন কবিদের মতো। পাঠের অযোগ্য সেসব কবিতার বেশিরভাগই পরে আমি নিজের হাতে নষ্ট করে ফেলেছি, অন্য কারো...
সাড়ে ৩ হাজার টাকার মধে একটা ইন্ডিয়ান বেহালা কিনতে পারা যায়। একটু দেখে-শুনে কেনা ভালো। ভারতের 'মোহিনী'কোম্পানীর বেশ নামডাক আছে বেহালা বানানোয়। (আরে ভাই, সায়েন্সল্যাব তো আর আলাস্কায় নয়, পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিয়েই যান না!) শিখতে গেলে দুটি ঝামেলায় পড়বেন, প্রথম প্রথম টিউন করায় আর প্রথমবার গোটা বারো স্বর চিনে নেয়ায়।
গতজন্মবেলা পৌষের গভীর রাতের ফিনিকফোটা জ্যোৎস্নার মতন, যখন মনে পড়িপড়ি করে কবেকার বিকালের হারানো নীল পুঁতিমালা, আকাশে ডানামেলা মেঘ আর কী যেন একটা কথা যা কবেই ভুলে গেছি।
নরম পালকের মতন হাওয়া, এক্কাদোক্কা খেলার উঠানজোড়া ছক আর কি একটা নাম না জানা পাখি যে উড়তে উড়তে চলে গেছিলো দিগন্তের ওপারে। এইসব এলোমেলো এলোমেলো স্মৃতিবেদন, বেদনসুখ..... সুখের গভীরে সোন...
ভর চৈত্র মাস। সেই যে ফাল্গুনের পনের তারিখে সূর্যদেব মাথার ওপর উঠে বসে আছেন, আর নামার নাম নেই। ন্যাড়া চক-পাথার, ফসলহীন। চৈতালী উঠে গেছে। শুধু গম পড়ে আছে, পড়ে থেকে পেকে ঝনঝন করার পর তাদের কেটে আনা হবে। সকালে উঠে আমাদের বাড়ির সামনের বড় উঠোনে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে মাইল দেড়েক দূরের ত্রিভাগদি গ্রাম কেমন আবছা দেখা যায়, অথচ এই মাত্র কিছুদিন আগেই শীতের সকালে এই উঠোনে দাঁড়িয়ে চোখ মেললে একধ...
ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত ব্লগ দেখা হয়না। তাই এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে কিনা জানিনা। তবু কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, লিখছি; লিখতে তো দোষ নেই।
বেশ কিছুদিন ধরেই দিন বদলের হাওয়া টের পাচ্ছি। তবে প্রথম আলোর শুরু করা ক্যাম্পেইনটাই বেশী নজর কাড়ছে। রেডিওতে প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষের শপথের নমুনা শুনতে পাচ্ছি। এর মাঝে গতকাল এই লিফলেটটি আমার হাতে এলো।
বুদ্ধিটা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের...
এই যে আমি বেঁচে আছি বইয়ে এবং বন্ধুবান্ধবে পরিবৃত হ'য়ে, ভালোবাসা দিয়ে এবং পেয়ে, রৌদ্র এবং নক্ষত্রের আলোয় ঘুরে ঘুরে -- কোনো-কোনো মুহুর্তে আমার মনে হয় এই জীবন বড়ো সুন্দর, বড়ো আশ্চর্য, যেন ভেবে পাই না মানুষের মনে কেন থাকে মালিন্য, ঈর্ষা, বিদ্বেষ -- যার প্রমান পেয়েছিলাম একবার যখন সন্ধ্যার আবছায়ায় দুটি মুখে-রুমাল-বাঁধা যুবক প্রহার করেছিল আমাকে আর পরিমলকে -- ভেবে পাই না কেন কুৎসিত বাসনা-কামনা...
এও বহুদিন আগের কথা,সেই কোমলগান্ধারের সময়ের। তখনও সবকিছু হালকা, আলগা, উড়োউড়ো পালকমেঘের মতন। প্রজাপতিডানার রেণুধূলির মতন উড়ে উড়ে এসে লাগতো মুখে,চুলে,চোখের পাতায়। সেই সময়ের কথামালা এগুলো। কিছুদিন আগে ফের স্মৃতির ধূলা সরিয়ে সরিয়ে, প্রাচীন দেওয়ালের সবুজ দরোজাটা খুলে উঁকি দিয়ে দেখছিলাম, দানাদানা নুনচিনির উপরে রোদ্দুরের মতন ঝিকিয়ে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছিল...