Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

দিনপঞ্জি

আমার প্রতিদিন - ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৭/০৭/২০১৪ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এক রকম বিপাকে পরেই শেষ পর্যন্ত এখানে লিখতে আসলাম। জানি না আর কয়টা দিন টিকে থাকতে পারবো, মাথার উপরে যেভাবে করে একটু একটু করে আকাশ ভেঙ্গে পরার অবস্থা হচ্ছে বুঝতে পারছি আর বেশি দিন আয়ু নেই।
আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করার পাঁয়তারা করছেন।


এক একদিন প্রতিদিন-৬

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

সেদিনের সোনা রোদে চমৎকার ড্রাইভ শেষে অফিসে পৌঁছে যার যাথে পরিচয়, তার নামটি পড়তেই আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল।

এদেশে প্যানসি নামে একটা ফুল ফোটে, স্প্রিং থেকে ফোটা শুরু করে এরা নানা বর্ণে। সামার, ফল শেষ করে শীত এলেও এরা ফুটতেই থাকে। এদের ঠাণ্ডা সহ্য করার অসীম ক্ষমতার জন্য এখানে রোড আইল্যান্ডে গুলোতে বা অফিস এবং বাগান গুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে এরা ব্যবহৃত হয় ব্যাপক ভাবে। এদের শুধু মাত্র নিয়মিত জল দেয়া ছাড়া আর তেমন কোন যত্নআত্তিও লাগে না।


এক একদিন প্রতিদিন-৫

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৭/২০১৪ - ৩:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাক ভোরে ঘুম ভাঙলেও অনেকক্ষণ দুই চোখ বুজে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কান পাততে ইচ্ছে করে নৈশব্দের গহীন কুহরে, কোন অনুদ্দেশের পাড় থেকে সেখানে ভেসে আসে নিলীয়মান কিছু ভৈরবী সুর...।

হয়তো কোন বোষ্টমী বাড়ীর পেছনের সরু পথ দিয়ে যেতে যেতে তার ছোট্ট একতারায় প্রভাতী সুরে ঘুম ভাঙানিয়া গায়,

"প্রভাত সময়ে
শচীর আঙিনার মাঝে
গৌর চাঁদ নাচিয়া বেড়ায় রে।
জাগ নি গো শচী মতো
গৌর আইল প্রেম দাতা


রকমারি রক সিটি আর হেলানো রেললাইন

মেঘলা মানুষ এর ছবি
লিখেছেন মেঘলা মানুষ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৭/২০১৪ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই, কিছু বিজ্ঞাপন দিয়ে নিই, তা না হলে লেখা পড়বার উৎসাহ পাবেন কোথায়? এখানে নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া রেলপথ আছে যেটাতে এখনও যাত্রীবহন করা হয়। (রোলার কোস্টারগুলো বাদে) এটার একটা অংশে নাকি ৭২% ঢাল আছে! এর মানে হল, আপনি ১০০ ফুট সামনে এগুলে (আনুভূমিক), আপনাকে ৭২ ফুট উপরে (উল্লম্ব) উঠতে হবে। আরও না কি আছে এক অত্যুচ্চ স্থান যেখান থেকে নাকি ৭টি রাজ্য দেখা যায়! সাথে আরও রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মনোহর জলের ধারা।


আমার শহর নোংরা রাখার অধিকার আমারই! তবু মাননীয় চট্টল মেয়র....

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২২/০৬/২০১৪ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির জন্মলগ্নে নগরবাসীর পয়ঃপ্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নগরীর চার কোনায় দশটি করে চল্লিশটি বাঁশের তৈরী পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছিল এবং ঘোষণা করা হয়েছিল নগরবাসী এসব নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে যত্রতত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। তার প্রতিবাদ আন্দোলনে একদল নগরবাসী পাবলিক টয়লেটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃটিশদের পাল্টা অ্যাকশানে শহর থেকে অর্ধে


এক একদিন প্রতিদিন-৪

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

আজ গাড়িটা অনেক দূরে পার্ক করেছি, ইচ্ছে করেই। সাইড ওয়াকের পাশে প্রবল সবুজ ঘাসের মধ্যে মধ্যে বিচিত্র রঙের সব ঘাস-ফুল ফুটে থাকে এসময়, হেঁটে যাবার সময় ওদের দেখবো বলে। এখানে দেশী সব ঘাস ফুল গুলো নেই। থাকলেও অবশ্য ওদের নাম বলতে পারতাম না। তবে এখানে যে সব বিদেশী ফুলগুলো ফুটেছে, নিজেকে অবাক করে দিয়েই তাদের অনেকের নাম জানি। খুব বেশী দেখা যায় উজ্জ্বল হলুদ রঙা ড্যান্ডিলায়ন, সাথে আছে ম্লান সাদা আর হালকা গোলাপী রঙের ক্লোভার, আরো দেখা যায় ম্যাজেন্টা এবং গোলাপী রঙা ভেচ। এদের দেখে দেখেই হাঁটছিলাম আস্তে ধীরে। আজ কাজে অতো তাড়া নেই। হঠাত-ই একটা খুব পরিচিত ছোট্ট নীলচে বেগুনী রঙা ফুল নজরে এলো, আমি কাছে গিয়ে ভালো করে দেখবার চেষ্টা করবো কিনা, ভাবছি। কিন্তু পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পরিচিত সহকর্মী দের একজন, সে আবার কি না কি ভাববে! সেকারণে ঠিক হোয়ে উঠল না। ওকে এড়াতেই দ্রুত পথটা পেরিয়ে হাসপাতালে ঢুঁকে পড়লাম। ভেবেছিলাম যাবার পথে আবার খুঁজে দেখব। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার পর হঠাত করেই সব কেমন জানি ব্যস্ত হোয়ে গেল। ফিরবার পথে ফুলটি খুঁজবার কথা মনে থাকলেও ঠিক কোন জায়গায় দেখেছিলাম মনে করতে পারিনি, হাতে সময়ও ছিলনা। আমি নিজেকেই নিজে তাড়া দিচ্ছিলাম, তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল।


পাতালপুরের গান

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৬/২০১৪ - ৮:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১. ঘুম আসে না, ঘুমও স্বার্থপর..♪♫

বড়মামা জিজ্ঞেস করছিলেন সেদিন-- সচলে লিখিস না এখন?
কথা হচ্ছিল স্কাইপতে। নানুমণির একটা মাইল্ডস্ট্রোক হয়ে গেছে গতসপ্তাহে। টেনশন করব বলে আমাকে জানানো হয়েছে হাসপাতাল থেকে ফেরার দিন। বুড়িকে দেখতে চেয়েছিলাম নিশ্চিত হতে, আসলেই কতটা ঠিকঠাক আছে এখন। প্রশ্নটা সেই পারিবারিক ভার্চুয়াল সম্মেলনের সময় করা।


এক একদিন প্রতিদিন-৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১১/০৬/২০১৪ - ৪:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

''মন হারিয়ে গেছে' কথাটি গেল বছর দেশে গিয়ে শুনেছিলাম। খুব পুরাতন এবং বহুল ব্যবহৃত একটি কথাই অন্য রকম করে বলা। বড়দির বাসার গৃহকর্মী মেয়েটি গারো পাহাড় থেকে আসা। এদের হতদরিদ্র পরিবারটিতে তিন বা চারটি বোন, বাবা নেই। মা একাই মেয়েদের দেখাশোনা করেছেন এতদিন। মেয়েরা বড় হোয়ে উঠায় আর পেরে উঠছেন না বলেই বড়দির কাছে দিয়েছেন ওকে। প্রথম দিকে বেশ মন খারাপ করে থাকত শুনেছি, তবে এখন বেশ মানিয়ে নিয়েছে বলেই মনে হোল। টিভির নেশাটা ধরেছে ওকে ভীষণ রকম করে, সেটাও মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে বলে মনে হয়। মেয়েটি এমনিতে বেশ চুপচাপ, ওর ভাষা বাংলা নয়। ওকে নিয়মিত বাংলা শেখায় আমার বড় ভাগ্নি। ওর উচ্চারণে সমস্যা তেমন নেই, কিন্তু বাক্য গঠন এবং শব্দ চয়ন বেশ অদ্ভুত। আমার সামান্য সময়ে 'সব করবার প্রজেক্ট' ওর সাথে খুব একটা গল্প-কথা হয়নি। শুধু এই কথাটা খুব মনে গেঁথে আছে, কিছু ভুলে গেলে 'আমি ভুলে গেছি' না বলে ও বলে, 'আমার মন হারিয়ে গেছে'। কথাটাইয় কেমন একটা আদুরে ভাব আছে, মিষ্টি লেগেছিল শুনতে আমার।


তিন তিরিকে নয় (পর্ব ৩)

মইনুল রাজু এর ছবি
লিখেছেন মইনুল রাজু [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০৬/২০১৪ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চলার পথে নিজ জীবন, নিজ দেশ কিংবা ভিনদেশে হওয়া কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়েই এই সিরিজ- তিন প্যারার তিনটি ছোট ছোট গল্প নিয়ে লেখা "তিন তিরিকে নয়"।

[justify]#১


অনীলের একদিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/০৬/২০১৪ - ৩:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কে যেন বলেছিলো বৃষ্টির দিনে নাকি গাঢ় নীল রঙের জামা পড়তে হয়। কে বলেছিলো এতদিন পর আর মনে পড়ে না। তবুও কথাটা সত্যি মনে করে আজ বেশ খুশি খুশি লাগছে! কারণ, কাকতালীয় ভাবে আমার এখন গাঢ় নীল রঙের শার্ট।