সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তী: হুদাই মজা পোস্ট, কোনোভাবেই এখানকার কোনোকিছুরে সিরিয়াসলি নেওয়া যাবে না।
আজকে ছিলো কালা দিবস, সবাই কালা। শুধু দুজন কুলি... ১) শাহেনশাহ্ কুলি, ২) হাসিব হক্কুলি
কারণ তারা ঘাড়ে করে বই আনছে
অভিনন্দন হে মিশরবাসীগণ। টানা ১৮ দিনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর জনগণ তাঁদের জয় ছিনিয়ে নিল। অবসান গঠিয়েছে ত্রিশ বছরের স্বৈরশাসনের এবং জনগণকে উপহার দিয়েছে নুতন দিনের স্বপ্ন। যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৫ শে জানুয়ারী, তার পূর্ণ বিজয় আসলো আজ (১১ই ফেব্রুয়ারী) ঘন্টাখানিক আগে। মুবারকের পরিচয় এখন ক্ষমতাচূত্য একজন সাবেক স্বৈরশাসক। অথচ তার সামনে সুযোগ ছিল আরেকটু সম্মানজনক পরাজয়ের।
অ
স্বাস্থ্য সকল সুখের মূলে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য দুপুরের খাবারের পর একটু ঘুমানো উচিত এই কথাটা আজকে আমার মনে পড়ল বিকেল সাড়ে চারটায়। যদিও মনে ছিল সন্ধ্যা ছয়টায় গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও তার দলবল তাদের অভিযান শুরু করবে তাও হাতে মেলা সময় আছে ভেবে স্বাস্থ্য মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য একটা ঘুম দিলাম এবং ঘুম থেকে উঠে টের পেলাম সোয়া ছয়টা বাজে।
সাবরিনা সুলতানা
অ
মাথার ভেতরে গল্পেরা অবিরাম ধাক্কাধাক্কি করে যায়। এ ওকে ধাক্কা দেয় তো ও একে মারে ঠেলা। কার আগে কে বেরিয়ে আসবে এই নিয়ে ঝগড়া, মারামারি, গালিগালাজ, ঠেলাঠেলি। ...কেননা ঘুম এখনও গাঢ় হয়নি। কিছুটা সময় পাওয়া যেতে পারে - এটুকুই আশা। স্বপ্নেরা এখনও হানা দেয়নি একযোগে। মাথার ভেতরটা এ মুহূর্তেও যথেষ্ট পরিষ্কার। তবে কিনা এই সুযোগ চলে যাবে যেকোনো মুহূর্তে। লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা, কালো, ধূসর স্বপ্নেরা ঝেঁটিয়
[justify]বিকালবেলা সময় চারটার চৌহদ্দিতে ঢুকলেই মনটা আনচান শুরু করে। বারবার ঘড়ি দেখতে থাকি। অফিস শেষ সাড়ে চারটায়। তারপর যেতে যেতে আরও আধাঘন্টা কমপক্ষে, কাওরানবাজার থেকে শাহবাগ। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমার শাহবাগ ভ্রমণ প্রতিবার প্রায় প্রতিদিন ঘটতে থাকে। কারণ আর কিছুই নয়, বইমেলা। সাহিত্য কিংবা বই বিষয়ে আমার প্রাথমিক জ্ঞান নিতান্তই প্রাক-প্রাথমিক। তাই বলে এটা ভাববার কোনো অবকাশ নেই যে, আমি মূলত আমার জ্ঞানের কিংবা বই এর ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বইমেলায় যাই। আসলে এক অন্যরকম অনুভূতির টানে যাই সেখানে। এত্তএত্ত বই মিলে সেখানে যেন এক অন্যরকম প্রাণের আবহ। এক একটি অবারিত জগত যেন আটকে আছে বর্ণিল মলাট আর গ্রাফাইটের ভাঁজে ভাঁজে। সেগুলোর দিকে চেয়ে দেখতেও কেমন যেন এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। কেন করে জানিনা। তবে এই বইমেলাতে যাওয়ার সুবাদে এবং আমার কতিপয় অত্যন্ত পড়ুয়া বন্ধুর কল্যাণে আমি সাহিত্যের অনেক অজানা মনোমুগ্ধকর বিষয় কিছুকিছু অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছি। আর এরই টানে আমি হয়ত এখন মাঝেমধ্যেই ছুটে যাই বই এর দোকানে। বই দেখি, পাতা উল্টাই, লেখার ভিতরে লেখকের সত্ত্বাটাকে চেনার চেষ্টা করি। মানিব্যাগ সম্মতি দিলে সাথে সাথে কিনে ফেলি। কখনওবা ব্যাগভর্তি বই নিয়ে হাঁটার সময় নিজে নিজেই চমকে উঠি, খাইছে! কতগুলো কল্পনার জগত আমার এই হাতের মুঠোয়। নিজেকে আকাশগঙ্গা ভাবতে থাকি। আর বাসায় এসে তার গ্রহ-নক্ষত্র, তারকারাজি আর নীহারিকাপুঞ্জ আবিষ্কার আর উপভোগে তন্ময় হয়ে যেতে থাকি।
সুমেল এর মেজাজটা হঠাত করেই খারাপ হয়ে গেল। সকাল বেলা উঠেই এমন খারাপ খবর পড়লে আর কিভাবে মন ভালো রাখা যায়। এই মাত্র কদিন হল সুমেল বিলেত থেকে মাস্টার্স শেষ করে এলো। এক মাসও হয়নি। এর মধ্যেই এমন বিরক্তি ধরে যাবে সে ভাতেই পারেনি। না কোনও খুন খারাবির খবর না, চুরি ছিনাতাই ও না। এসব খবর তো প্রতিদিনই পড়তেই হয়। বিলেত থাকতেও পড়েছে অনলাইনে। আজকের মন খারাপের কারন অন্য খবর। অটোরিক্সাচালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে মি