প্রভাবিত ও অপ্রভাবিত সহানুভূতিসমূহ
বেশ অনেকদিন হয়ে গেল... গঙ্গা থেকে কতো জল সীমানা পেড়িয়ে যে পদ্মায় পড়ে পানি হলো তার হিসেব কতো কিউসেক হবে তা আমাদের জানার বাইরে, সেটা নদী বিশেষজ্ঞদের ব্যাপার। তবে এর মধ্যেও কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমাদের এবং পুরোটাই আমাদের ব্যাপার। সেটার হিসেব কোন বিশেষজ্ঞ রাখেন না, কোন পরিসংখ্যানেও তার গুরুত্ব কমে যেতে থাকে সময়ের সাথে। আজও দেখলাম; একটি এগারো বছরের শিশু তার শিক্ষকের সন্তান বহন করে চলেছে শরীরে। কোন বিচার বা অন্যায়ের প্রতিবাদ এখনো হয় নি, যা হয়েছে তা প্রহসন মাত্র। তবে খবরের কাগজের পাতায় খবর ওঠার কল্যানে আজ থেকে সবাই হামলে পড়ে এই ঘটনার বিচার দাবী করবে, ধর্ষকের নিন্দায় আমরা আকাশ বাতাস এক করে ফেলবো। কিন্তু কতো দিন? খুব বেশী হলে সপ্তাখানেক এই নিয়ে আমরা মেতে থাকবো। এর পর খবরের কাগজ নতুন কোন খবর ছাপিয়ে নতুন হুজুগে মাতিয়ে কাটতি বাড়াতে থাকবে, কিন্তু এই এগারো বছর বয়সী ধর্ষিতা মেয়েটির অবস্থা যা ছিল, তাই থাকবে। কাগজে খবর ছেপে যাবার জন্য তার অবস্থার বিশেষ কোন পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না।
অ
হরতাল খারাপ জিনিস তবে এর একটা ভাল দিকও আছে। হরতাল থাকলে সকালবেলা ক্লাসে দৌড়ানোর ভয় থাকে না, দুই মিনিট দেরি করে আসলে স্যারের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ারো ভয় থাকে না তাই ইচ্ছে মত ঘুমান যায়। আজকে সারাদিন এইরকম ঘুমটুম দিয়ে যখন মেলার উদ্দ্যেশে এগার নাম্বার বাসে রওনা দিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা। রাস্তায় হাটতে হাটতে দেখি গাড়িঘোড়া খুব কম, বলা যায় ঢাকার রাস্তায় অন্য সন্ধ্যার তুলনায় আজকে প্রায় গাড়ি নেই বললেই চলে। এইসব দেখে বুঝলাম আজকে মেলায় লোক কম হবে কিন্তু টিএসসির সামনে এসে দেখি ঘটনা উলটা। বিশাল এক লম্বা লাইন। মেলার শুরুর দশদিনে সাধারণত অফিস ডে'তে লাইন দিয়ে ঢুকতে হয় না আজকে হচ্ছে। সবাই মনে হয় আমার মত সারাদিন বাসায় বসে বসে বিরক্ত হয়ে সন্ধ্যায় বের হবার সুযোগ পেয়েই প্রথমে বইমেলায় হাজির হয়েছে। হাটতে হাটতে একদম সামনে এসে বুঝলাম ঘটনা কী, পুরা মেলায় ঢুকার জন্য সিকিরিউটি আর্চওয়ে রাখা হয়েছে মাত্র একটা তাই লাইন বড় হয়ে গেছে. এতবড় একটা মেলায় ঢুকার রাস্তা কী হিসেবে একটা রাখা হয়েছে বুঝলাম না। তবে ভিতরে ঢুকে একটু হাটাহাটি করতেই বুঝলাম আজকে হরতালের তুলনায় লোক সমাগম আসলেই অনেক ভাল বলা যায়। বিটিভির আটটার সংবাদের ভাষায় বললে বলতে হয়, বাংলাদেশের আপামর সাধারণ জনতা মেলায় উপস্থিত থেকে জানান দিয়েছে তারা এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে
[justify]
There is no outside-the-text.
টেক্সটের ল্যাটিন গোড়ায় টেক্সট্র, মানে বয়ন। জিনিস বোনা । দেরিদা বলছে টেক্সটের বাইরে কিছু নাই। আসলে বলে নাই।
টিভি দেখিনা একদম, তাও বছর তিনেক হবে। সিনেমা বা অন্য যা কিছু দেখি সবই পিসিতে। হঠাৎ হঠাৎ টিভিতে কোন কিছু দেখার সময়ে মাঝের বিজ্ঞাপন বিরতিগুলো তাই সহ্য হয় না।
উপরের যে ছবিটি দেখছেন- তা ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তোলা ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যাওয়া রাজধানী ঢাকার একটি ছবি। চাইলে এমন ছবি বিশ্বকাপের সময় সারা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তেই বসে তোলা যাবে। আমাদের দেশ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলে না। তাই বিশ্বকাপের সময় আমরা পরের পতাকা উড়াই। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখি...একদিন আমরাও!
দুর্গম পথ ধরে হেঁটে আসা স্বপ্নগুলো, কষ্টগুলোকে আঁকড়ে ধরে পৌছাতে চায়
ঘরের ঐ ছোট্ট বিছানায়, যেখানে অবিন্যস্তভাবে ছড়ানো তোমার এলোকেশী চুল;
সন্ত্রস্তভাবে তারা গুটি গুটি পায়ে আগানোর অব্যর্থ চেষ্টা চালায়, কিন্তু ব্যর্থ হয়।
ব্যর্থ তো হবেই, কারণ এখানে জড়িয়ে রয়েছে কত শত সহস্র ব্যথাতুর সব ভুল।
বৃষ্টিস্নাত চোখের পলকে ঝাপসা দৃষ্টিতে দেখেছিলাম আমাদের ভবিষ্যত, আকাশের
গত দুদিন ভীড়, আগামীকাল হরতাল, আজকে তাই মেলা একেবারেই শান্ত। লোকজন নেই বললেই চলে।
এতবছর ধরে একুশের বইমেলা হয়...
[justify]
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে বাংলানিউজ২৪ সংবাদ ছাপিয়েছে ‘মেহেরজান’ সিনেমার পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের ওপরে।
বার বার কেন আমার থিসিসের বিষয়টি আসছে আমি বুঝতে পারছি না। আর আমি জার্নালিস্টদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।’
তিন দিন পার হয়ে গেলো, কাজের ব্যস্ততায় ঢাকায় থেকেও বইমেলায় যেতে পারলাম না, মেজাজটা খারাপ ছিলো। তাই শুক্রবারে সকাল থেকে সাজ সাজ রব, বইমেলায় যাবো। নূপুর আর নিধি বিরাট এক সচল বাহিনীর সাথে পুরান ঢাকায় ঘুরতে গেছে। নিজের বউ নাই কী আর করা... পরের বউ নিয়েই মেলায় গেলাম... সঙ্গী রোয়েনা