জেমস জয়েসের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ডাবলিনার্স’। ১৯০৬ সালে বইটি প্রকাশকের কাছে পাঠালে প্রকাশক তা ফেরত পাঠিয়ে দেন। প্রকাশকের অভিযোগ, বইটি একই সঙ্গে অশ্লীল ও অশোভন ভাষা ব্যবহারে দুষ্ট। এর মাঝে আরো তিনবছর যায়। এ সময়ে প্রকাশক থেকে প্রকাশকের দপ্তরে ঘুরে বেড়ায় ‘ডাবলিনার্স’-এর পাণ্ডুলিপি। একদিন এক প্রকাশক উদ্যোগী হন। বইটি ছাপিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরেই আবার তা নষ্ট করেন। কারণ, ওই একই অভিযোগ। পরে অবশ্য, এই প্রকাশকই
।।এক।।
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় খবরের কাগজ ছিল ইত্তেফাক। বড়দের রাজনৈতিক আলোচনায় হয়তো "ইত্তেফাক" আর "সংবাদ" রেফারেন্স হিসাবে পাশাপাশি থাকত ("ইনকিলাব" আর "সংগ্রাম" বাদ দিয়ে, ওইগুলান ভিন্ন লাইনের), কিন্তু অনেক কিছুর বিচারেই ইত্তেফাক ছিল এক নম্বরঃ বেকারদের জন্য অজস্র চাকরির বিজ্ঞাপন, বাড়ি ভাড়া, বিদেশযাত্রার সংবাদ, বিবাহের খবর, দেশি বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন (সেই আমলের সামাজিক-রোমান্টিক ছবি), আরও কত কী! কিন্তু আমার শৈশবের ইত্তেফাক প্রিয় হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল 'টারজান'! সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে টারজানের সেই তিনটা ব্লক পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পত্রিকাওয়ালার অপেক্ষায় বসে থাকতাম।
বিশ্বকাপ এসে গেল, আমার লেখাও চলে এল। ফুটবলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি যতটা মাথা ঘামাই, এ নিয়ে আমি তার কানাকড়িও না। সত্যি বলতে, ক্রিকেটপাগল এক দেশে না জন্মালে আমি এই সাড়ে সাত ঘন্টার খেলা দেখার মানুষ হতামই না। তবে বলে নেওয়া ভাল, ছোটবেলায় যে ক্রিকেট খেলা দেখতাম, তার তুলনায় এখন অনেক ভাল। তখন পাঁচদিনের ভার্সান দেখাই যেত না, একদিনের ভার্সান প্রায়ই একঘেয়ে হয়ে যেত। এখনও মাঝে মাঝেই একদিনের খেলা একঘেয়ে হয়ে যায়, কি
অনেকদিনের ভ্যাপসা গরম জীবনের রস-রূপ-স্বাদ-গন্ধ শুষে নিচ্ছিলো একেবারেই। তারপর সেদিন যখন দুপুর থেকেই আকাশ কালো হওয়া শুরু করলো তখন একটু স্বস্তি পেলাম। ঝড়ো বৃষ্টি না হোক, গরমটাকে তাড়াতে অন্তত একটু মাঝারি বৃষ্টিই হোকনা কেন? শেষমেশ সেই বৃষ্টি পড়ল অফিস থেকে বের হবার সময়ে। বৃষ্টিতে ভিজতে সবসময়েই ভালো লাগলেও সারাদিন অফিস করে রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানি মাড়াতে হবে ভাবতে ভালো লাগে?
অ
[justify]মৌলবাদের সাথে প্রথম মোলাকাত কবে সেটা বলা দুষ্কর। আমাদের দেশে যারা বড় হয়ে উঠেছেন তাদের সদূর শৈশবে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। ক্লাস টুতে পড়ার সময়ে কে একজন বলেছিল লাল পিঁপড়াগুলো নাকি কাফের, আর কালোগুলো মুসলমান। কালো পিঁপড়াগুলো তাই কামড়ায় না!
কল্কত্তা হাওয়াই অড্ডা অর্থাৎ কিনা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাত আড়াইটেয় প্লেনে উঠলাম। ফ্রাঙ্কফুর্ট-বোস্টন। প্রবল ঘুম পেয়েছে, কিন্তু প্লেনে ঘুম আসে না, তাই কিংকর্তব্য ভাবছি। যাত্রী বোর্ডিং চলছে, আইল সিটে বসে স্থূলাঙ্গী বধূ থেকে স্থূলাকৃতি লাগেজ সবার গুঁতো খাচ্ছি। এমন সময় এক মাঝারিউচ্চতাবিশিষ্ট ছোটকরেছাঁটাগাঢ়সোনালীগোঁপদাড়িওয়ালা শ্বেত(তামাটে)’আঙ্গ মাঝবয়সী ব্যক্তি আমার লাগোয়া উইন্ডো সীটটায় সুড়ুৎ করে বসে
অ
নজু ভাই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সুহান মিয়া আমার নিকটতম প্রতিবেশী। একজন সৎ প্রতিবেশীর মত ছেলেটা ঠিক সন্ধ্যা ছয়টার সময় ফোন দিল, বলে- যাবেন নাকি আজকে বইমেলায়? চীনদেশে নাকি প্রবাদ আছে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রাখা ফরয কাজ তাই আমিও আর না করলাম না। সাড়ে ছয়টায় রওনা দিলাম দুইজনে, আজকেও বাহন এগার নাম্বার বাস মানে দুই পা।
আ
অ
ফেব্রুয়ারী মাস কে নানা কারণে ভালু পাই এরমধ্যে অন্যতম হল বইমেলা। বইমেলা কে কেন ভালু পাই এই জাতীয় কাউন্টার ন্যারেটিভ ডির্সকোর্সে না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে পারি নতুন বইয়ের গন্ধ ভাল লাগে, মানুষ বই কিনছে এইটা দেখে ভাল লাগে। আর এত এত নতুন বই আর নতুন বই কেনা মানুষ বইমেলা ছাড়া কই পাওয়া যাবে বলেন তাই বইমেলা ভালু লাগে।
আ