মহাজ্ঞানী আলু!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।এক।।
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় খবরের কাগজ ছিল ইত্তেফাক। বড়দের রাজনৈতিক আলোচনায় হয়তো "ইত্তেফাক" আর "সংবাদ" রেফারেন্স হিসাবে পাশাপাশি থাকত ("ইনকিলাব" আর "সংগ্রাম" বাদ দিয়ে, ওইগুলান ভিন্ন লাইনের), কিন্তু অনেক কিছুর বিচারেই ইত্তেফাক ছিল এক নম্বরঃ বেকারদের জন্য অজস্র চাকরির বিজ্ঞাপন, বাড়ি ভাড়া, বিদেশযাত্রার সংবাদ, বিবাহের খবর, দেশি বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন (সেই আমলের সামাজিক-রোমান্টিক ছবি), আরও কত কী! কিন্তু আমার শৈশবের ইত্তেফাক প্রিয় হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল 'টারজান'! সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে টারজানের সেই তিনটা ব্লক পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পত্রিকাওয়ালার অপেক্ষায় বসে থাকতাম।

কিছুদিন পর বাংলাদেশের খবরের কাগজের ধারায় ভিন্ন এক রূপ নিয়ে আসলো "আজকের কাগজ"; ঝকঝকে ছাপা, অন্যরকম ফন্ট! তখন আজকের কাগজ হয়ে গেল প্রিয় পত্রিকা, বিশেষত মাঝের একটা পাতায় ইতিহাস-জ্ঞানের কথা থাকত, কমিকস থাকত, খেলার পাতাটাও ছিল বেশ গুছানো...আর কী চাই? সপ্তাহে একদিন বিদেশি সেলিব্রিটিদের (যে সময় যে কোন গল্পের বই পড়া বড়দের কাছে "আউট বুক" বা "নভেল" হিসেবে বিবেচিত হত, আর পড়ুয়াকে কিঞ্চিত উত্তম-মধ্যম দেয়া হত) কিছু উত্তেজক (এখনকার তুলনায় বোরখাধারী!) ছবি-খবর থাকত, সেটা আজকের কাগজ পছন্দ করার আরেকটা বড় কারণ ছিল। এরপর কী যেন ঝামেলার কারণে আজকের কাগজের আরেকটা ভার্সন বের হলো চোখ ধাঁধানো রূপ নিয়েঃ "ভোরের কাগজ"! সেই পেপারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল সোমবারের "মেলা"! "মেলা" অবশ্য ছোটদের জন্য নিষিদ্ধই ছিল বলা যায়; অথচ কিশোর মহলে তা ছিল অবশ্য পাঠ্য! মেলার সেইসব রগরগে (সেই আমলের ভাষায়)-ঝকঝকে বিভিন্ন মডেল-নায়িকারা আমাদের স্বপ্নে অহরহ হানা দিয়ে দোষ ঘটাত! "মেলা" তাই ছিল গুপ্ত স্যারের নোটের কাভার পেজের মতই আরাধ্য কিন্তু অনেক অনেক নিরাপদ (ধরা পড়লে উত্তম-মধ্যমের তীব্রতার লেভেল হিসেবে) আর সহজলভ্য!

কিন্তু ভোরের কাগজের সেই সুদিন বেশিদিন রইলো না! বাজারে নতুন মুখ হিসেবে দেখা দিল ফর্সা নিউজপ্রিন্টে ছাপা "জনকণ্ঠ"; যা চোখের পলকে কিশোর-তরুণদের সবার প্রিয় পত্রিকাতে পরিণত হল। বৃহস্পতি আর শুক্রবারের জনকণ্ঠের চাহিদা থাকত অনেক অনেক বেশি...বিশেষত রঙিন-মনমাতানো-উত্তেজক ছবিসহ পাতাগুলো। মনে আছে, শুক্রবার সকালে এক স্যারের বাসায় পড়তে যেতাম; স্যার অঙ্ক করাতেন আর পেছনে একদল স্যারের পেপারের সেই পাতাগুলো গোগ্রাসে গিলত!

জনকণ্ঠ অনেকদিন শীর্ষে থাকার পর আস্তে আস্তে প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠল "প্রথম আলো", ততদিনে কৈশোরের সেই শিঙালো ভাব চলে গিয়েছে; খেলা আর রঙিন দুনিয়া পেছনে পড়ে রইল, আগ্রহের তালিকায় উঠে আসল কলাম, দেশ-বিদেশের খবর, সাহিত্য, তথ্যপূর্ণ আলোচনা...ইত্যাদি। প্রথম আলো তাই সহজেই আপন হয়ে উঠল...পত্রিকা পড়তে হলে, প্রথম আলো পড়ি!

।।দুই।।

প্রথম আলোর প্রতি ভালবাসায় প্রথম বড় ধাক্কাটা খেলাম যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকব ঢুকব করছি তখন। আওয়ামী লীগ আমলের শেষভাগে ছাত্রদলের উচ্চপর্যায়ের নেতা পাড়ার এক বড় ভাইয়ের সুবাদে বেশ কিছু জিনিস জানতে পারি। তার একটা হল ২০০ টাকা, এক কাপ চা, আর এক প্যাকেট বেনসন দিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় (ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত) যেকারো পক্ষে-বিপক্ষে রিপোর্ট ছাপানো যায়! আমার সেই ভাইয়া ছিলেন তখনকার ছাত্রদলের ক্ষমতাসীনদের একজন, তার বিপক্ষের কিছু ছেলে নিয়ে রিপোর্টটার ড্রাফট আমার সামনে বসে লেখা!

বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি; হঠাৎ বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের বুকের উপর বিশাল এক শোক-যন্ত্রণার পাষাণভার চেপে বসল! আমরা হারালাম আমাদের সহপাঠিনী সাবেকুন্নাহার সনিকেঃ ছাত্রদলের টেন্ডারবাজি-বন্দুকযুদ্ধের কারণে একটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেল। সেসময় বুয়েট প্রশাসন, ছাত্রদলের সন্ত্রাসী, পুলিশ, এন-এস-এফ, সরকারের নানা রকম অত্যাচার-নির্যাতনের সাথে গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত ছিল প্রথম আলোর ব্যালান্সিং রিপোর্ট! ধারেও কাটে না, ভারেও না...

'ধরি মাছ না ছুঁই পানি'- টাইপের সেই সব রিপোর্ট থাকত ভীষণ রকম ব্যালান্স করাঃ দশ লাইন সত্য-মিথ্যা মেশানো প্যাঁচানো কথার পর পাঁচ লাইনের উপসংহার, যা অনুবাদ করলে দাঁড়াত "ছাত্রদল জিন্দাবাদ"! প্রায়ই দেখা যেত ছাত্রদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের সহকারী কারো বক্তব্য থাকত - সাথে থাকত বুয়েটের কিছু চিহ্নিত জামাতি শিক্ষকের মতামত! বুয়েটের সেই আন্দোলন চলাকালে ক্ষিপ্ত ছাত্ররা প্রথম আলোর রিপোর্টারকে একবার ধরে আনে উত্তম-মধ্যম প্রদানের ভয় দেখানোর জন্য; কিন্তু সে দাবি করে তার কিছু করার নেই কারণ রিপোর্ট নাকি হয় উপরের নির্দেশে!

প্রসঙ্গতঃ সেই আন্দোলনের দুইটি পর্যায় ছিল, অরাজনৈতিক পর্যায়ে ছিল সাধারণ ছাত্র ও সনির সহপাঠীরা; রাজনৈতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের জন্ম হয় যেখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে ছিল ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের বড় একটা অংশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শামসুন্নাহার হলের ঘটনায় আন্দোলনকারী, এবং সাধারণ মানুষজন। আন্দোলনের দ্বিতীয় সেই রাজনৈতিক পর্যায়ে, পুলিশ যখন মুকি ও তার সহযোগীদের জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে হারিকেন-হ্যাজাক-টর্চ-কামান-মিসাইল দিয়ে খুঁজছে (!), তখন প্রথম আলো তার শনিবারের সাময়িকী (ছুটির দিনে) বের করে সনির উপর। সেখানে সেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তিনজন সাধারণ ছাত্রের নাম উদ্ধৃত করে বিবৃতি ছাপা হয়; বিবৃতির বিষয়বস্তুঃ ছাত্ররাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক! আন্দোলনের সেই পর্যায়ে সেটা সাধারণ ছাত্রদের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে একটা বিরাট অবিশ্বাসের সৃষ্টি করে। সেই তিনজন ছুটে যায় প্রথম আলো অফিসে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে, তিনি আশ্বাস দেন এরকম আর হবে না। তিনি ভেবেছেন বুয়েটের সবাই-ই ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে! এবং কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার সাথে মুকির প্রায়ই কথা হয়। অবশ্য তার আগের দিনই তিনি প্রথম পাতার একটি রিপোর্টে লিখেছেন মুকি দেশের বাইরে!!! প্রথম আলো আজকাল যখন কোনো পক্ষাবলম্বন করে, কিছুতেই কেন যেন বিশ্বাস হতে চায় না 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়'; বরং মনে হয় নিশ্চয়ই "পুরা ডাইলই কালা"!

।। তিন।।

আমি ছাপোষা গোবেচারা মূর্খ মানুষ; কিন্তু আজকাল প্রায়ই প্রথম আলোর রিপোর্ট পড়ি আর রাগে-ক্ষোভে গা জ্বলতে থাকে। তার প্রধান কারণ প্রথম আলোর নির্লজ্জ পাকিপ্রীতি, ভারতের প্রতি সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে অকুণ্ঠ সমর্থন, আর সবদিক ব্যালান্স করা রিপোর্ট। সাকাচৌ যখন গ্রেফতার হয়, তখন মূল রিপোর্টে তার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ছাপা হয়, "কথিত আছে", "অমুক বলেন" ...এইসব ভাষা সহযোগে। যদিও তার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ছাপা হয় আরেকটি সিরিজ, কিন্তু সেটায় রিপোর্টের ঢং দেখে মনে হয়, 'পেছনের দরজাটা খোলা রাখি, সে আবার ফেরত তো আসবেই!'

প্রথম আলোর খেলার পাতায় পাকিবন্দনায় মাঝে মাঝে অস্থির লাগে, ভাবি কোন দেশের পেপার পড়ছি? কয়দিন আগে পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক হয়ে গেলেন রূপকথার নায়ক! আর পাকি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় উসমান খাজা অভিষেকে ৩৭ রানের এক ইনিংস খেলে হয়ে গেলেন আগামী বিশ বছরের জন্য ক্রিকেটের ওবামা। সেদিনের রিপোর্ট পড়ে মনে হল, নিশ্চিত কোন পাকিস্তানি বেশ্যার সুসন্তান এটা লিখেছে!

।।চার।।

মেহেরজান সম্পর্কে প্রথম আলোর অবস্থান খুবই পরিস্কার...একটা কারণ বোধহয় এর সাথে তাদের ব্যবসা-লাভ-লোকসান জড়িত। আর সাথে আছে কলমের কাল কালি দিয়ে দেশ-দুনিয়ার যেকোন ঘটনায়-সংকটে প্রথম আলোর পাতায় রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়া ভাড়ায় খাটা (কম কষ্ট না কিন্তু) শান্তিকামী-প্রগতিশীল-উত্তরাধুনিক-সুশীল বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠি। যাদের অনেকের লেখা পড়লেই মনে হয়, তাদেরকে কেউ টাকা দিলে তারা

অমুকের পুরীষের রঙ কালো হওয়াতে দেশের (থুক্কু দেশ ছুড জিনিস হইয়া গেল, ধরেন গিয়া ইউনিভার্স) মূর্খ জনগনের মধ্যে শিক্ষার হার শতকরা পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনায় একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আচরণের ফলস্বরূপ আমেরিকার ওবামা প্রশাসনের মার্কিন আধিপত্যবাদ নীতিতে কেন ইরাকে কোরিয়ার একজন পানি খেতে পারল না

এর উপর প্রতি সপ্তাহে একটা করে অর্ধপাতাব্যাপী মোক্ষম কলাম লিখে ফেলতে পারবেন। তাতে আবার অনেক কঠিন কঠিন শব্দগুচ্ছ (যার একেকটি ভাবগাম্ভীর্যে 'গল্পগুচ্ছ'-এর সমান!) যেমন থাকতে পারে, তেমনি যথার্থ-প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় সে লেখকের পুরনো ছয়খান লেখার বিভিন্ন অনুচ্ছেদের সংকলনও হতে পারে! ছোটবেলায় যেমন আমরা যেকোন রচনা-ভাবসম্প্রসারণের মধ্যে 'Man is mortal', 'To err is human', আর 'Life is not a bed of roses' এই তিনটা কোটেশন গুঁজে দিতাম, তাদের অনেকের লেখার ভাব-ভঙ্গি-ফর্মূলা একই!

।।পাঁচ।।

আমি এখানে বলে নিই, আমি প্রথম আলোর একবিন্দুও বিরুদ্ধাচরণ করছি না, আমার অনেক জ্ঞান- শেখা অনেক কিছুর জন্য আমি ঋণী প্রথম আলোর কাছে! আজকে যেমন নিচের খবরটা পড়ে বেশ ভালো লাগল এই জন্য যে দেশে আজকাল বৃদ্ধ হুজুররা ফেসবুক ব্যবহার করছেন- তারা মেহেরজান দেখতে চাইছেন; হিজবুত তাহরীর-এর ডিজুস তরুণদের সাথে মিলে মেহেরজান প্রদর্শনী বন্ধের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এইটা অতি অবশ্যই খবর হওয়ার মতো বিষয়, এবং এটা কেন প্রথম পাতার হেডিংয়ে গেল না বুঝে পেলাম না! ডিজিটাল দেশের এগিয়ে যাওয়ার এই ব্যাপারটি সবাইকেই জানানো উচিত। এখানে দেখুন।

আজকে আরও জ্ঞান লাভ হল "কম্পিউটার প্রতিদিন"-এর হেল্প লাইন থেকে। এখানে দেখুন। কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বলছেনঃ

কম্পিউটার ভাইরাস কী? এটি কী করে? ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। এটি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়ায়। এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়, অনেক প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার নষ্ট করে ফেলে, কম্পিউটারে কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে, ভুল ইনফরমেশন দেয়। তবে খুশির সংবাদ হলো ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলেই ক্ষতি করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চালানো (রান) হয়। অর্থাৎ ভাইরাস দিনের পর দিন কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংগ্রহ করে কম্পিউটারে জমা করে রাখেন।
ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কপি, কাট, ডিলিট ইত্যাদি করতে পারবেন, এতে আপনার কম্পিউটারের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু সমস্যা হলো ভাইরাসযুক্ত ফাইলকে আপনি কখনো দুই ক্লিক করতে পারবেন না বা ভাইরাসযুক্ত ফাইলের ওপর মাউস রেখে কখনো ডান বাটনে ক্লিক করে ওপেন-এ ক্লিক করবেন না।

নিউটন বলেছিলেন "জ্ঞান সাগরের তীরে আমি নুড়ি কুড়িয়েছি মাত্র"; তিনি আসলে বলতে চেয়েছিলেন "দেখ ব্যাটা, আমি নুড়ি কুড়াইলে তোরা তো এখনও সাগর পারে যাসই নাই!" আজ হেল্প লাইনের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দেখে আমার মনে হলো, "সারাজীবন মূর্খই রয়ে গেলাম, কিছুই শিখতে পারলাম না।" তাই আমার দুই বন্ধুর কমেন্টঃ

কম্পুটার কেনার তিন মাসের মধ্যে ছয়টি টীকা নিলে সারা জীবন নিরাপদ ---এই তথ্যটা পাঠকদের জানানো উচিত ছিল।

আর

ভাইরাস ধরলে কম্পিউটার নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।


মন্তব্য

আসিফ (নাম দখল হইয়া গেছে!) এর ছবি

তারপরও প্রথম আলোই পড়ি।
উপযুক্ত বিকল্পের অভাব মন খারাপ (কালের কন্ঠ অফিসে পড়ি, শাহ আলমকে টাকা দিতে ইচ্ছা করে না)

যেটা অনুমান করি, প্রথম আলো'তে এখন দক্ষ সাংবাদিক/সাব এডিটর এর সঙ্কট। হাতুড়ে দিয়ে কাজ চালানো হয় অগুরুত্বপূর্ণ (!) পাতাগুলো।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ্যাঁ, উপযুক্ত বিকল্পের অভাবের সাথে সাথে প্রথম আলোর ব্যবসাবুদ্ধিও বেশ ভাল...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

দাদা... খুব ভাল একটা লেখা... আপনার লেখাপড়ে মনে হচ্ছে আপনি ও আমি খুবি সমসাময়িক হতে পারি...
ইত্তেফাকের টারজান আর ছবির বিজ্ঞাপনা... আজকের কাগজ হয়ে জনকন্ঠ প্রথম আল... সবগুলোই মনে হল আমার প্রজন্মের লেখা...!

--- থাবা বাবা!

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ থাবা বাবা। আমি ইন্টার ৯৯...আসলে আমাদের ওই প্রজন্মে গ্যাপগুলো মনে হয় কম ছিল! এখন যেমন এক বছরে এত্ত ঘটনা ঘটে যে সেটা আপ-টু-ডেট না থাকলে একযুগ পিছিয়ে পড়েছি মনে হয়!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নিবিড় এর ছবি

তবে খুশির সংবাদ হলো ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলেই ক্ষতি করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা চালানো (রান) হয়। অর্থাৎ ভাইরাস দিনের পর দিন কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংগ্রহ করে কম্পিউটারে জমা করে রাখেন।

অ্যাঁ গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইটা চরম হইছে।

আলু হলো আলুর মতো গোলাকার, তা সবদিকেই গড়ায়। প্রথম আলু আমাদের তেলতেলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। লেখায় নিচের ছবির জিনিসটা বাদ পড়ছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বাংলার চে গুয়েবাড়া ফারুক ওয়াসিফ মনে হয় এই ছবি দেখেই রিকনসিলিয়েশন তত্ত্ব হেগেছেন। আফটার অল, মতি সাহেবও তো এককালে বামছাল গায়ে ঘুরতেন।

স্বপ্নহারা এর ছবি

একটা কথা আছে না, ডাক্তার আর উকিল অপরাধী হইলে তাদের ধরা বড় কষ্ট! তেমনি বাম-ছাল গায়ে নিয়া পুঁজিপতি হলে সাফল্য নিশ্চিত, কারণ পুঁজিবাদের-এন্টি পুঁজিবাদের সব ফাঁকফোকর গুলান জানা থাকে...

প্রথম আলোর ব্যবসাবুদ্ধি খারাপ এইটা মনে হয় পাগলের ভাই উম্মাদও বলবে না! ব্যবসায়িক স্বার্থে তাদের কাছে গু-খাওয়া ও হালাল...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শামীম এর ছবি

বাকী অংশটুকুও তো মজার:

ভাইরাস আমাদের যতটা না ক্ষতি করে, তার চেয়ে বেশি আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।

এই ব্যাটার কম্পিউটারে নিজের তৈরী ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট বলে কিছু নাই বোধহয়। আছে খালি পাইরেটেড গান, মুভি, গেম - যেগুলো আবার কপি করা যাবে।

কম্পিউটার থাকলে ভাইরাস থাকবেই এবং ভাইরাস মাঝেমধ্যে কম্পিউটারে আক্রমণ করবেই, এটাই স্বাভাবিক।

এইটা হইলো আমিনুর বাণী।

এই নিয়ে গতকাল থেকে ফেসবুক আর প্রজন্ম ফোরামে হাসাহাসি চলতেছে।

সবচেয়ে বড় জোক হল: এইটা কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগের লেখা, টেক হিউমার বা রস-আলোর লেখা নয়।

আরেকটু হাসতে পারেন:

একবার ভাইরাস আক্রমণ করে ফেললে তার সমাধান একটাই। পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়া।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

না জানা পাপ নয়; না জেনে লেখাও মানা যায়; কিন্তু সেটা নিয়ে গোয়ার্তুমি করাটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা। ত্রিভুজরে লোকজন হুদাই গাইলায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হে হে হে।

একবার ভাইরাস আক্রমণ করে ফেললে তার সমাধান একটাই। পুনরায় আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়া।

উনি তো এক জায়গায় মনে হয় এন্টিভাইরাস চালানোর কথাও বলছিলেন। হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ শামীম ভাই, আসলেই হাসাহাসির ব্যাপার...এর চেয়ে একটা কম্পিউটার ব্যবহারকারী ৮-১০ বছরের পিচ্চিরে দিয়া বিশেষজ্ঞ কলাম লেখাইলে পারত!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অমিত এর ছবি

ভাইরাস আমাদের যতটা না ক্ষতি করে, তার চেয়ে বেশি আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি

মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার পর কি উনার অসহ্য মাথাব্যথা হয় ? তাহলে মনে হয় ধরতারলাম উনার কম্পিউটারে কি আছে হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

এক যোগব্যয়ামের বইতে পড়েছিলাম, তরুণ বয়সে শিরা রোগের অন্যতম কারণ "ক্ষয়জ শিরা রোগ"...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার পর কি উনার অসহ্য মাথাব্যথা হয় ?

হেবোর পোষ্টের কথা মনে পড়ে গেল ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

শামীম এর ছবি

শয়তানী হাসি
পুরানো সেই দিনের কথা মনে পড়ে যায় খাইছে

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

"চৈত্রী"

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনাকে (গুড়) দিলুম। কিন্তু ওই মহাশয়কে কী দেওয়া যায়? দেশের সমস্ত খেজুরগাছ দিয়ে দিলেও বোধহয় কম পড়বে!

স্বপ্নহারা এর ছবি

অসুবিধা নাই, খেজুর গাছ দিয়েই গুড় বানিয়ে ফেলবেন উনি!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমাদের একজন কলিগ তাঁর অফিসের কম্পিউটারটি ব্যবহার না করে সর্বদা ঢেকে রাখতেন। জিজ্ঞ্যেস করায় উত্তর দিয়েছিলেন যাতে ধুলোবালি লেগে ভাইরাস ইনফেক্টেড না হয় তার ব্যবস্থা নিয়েছেন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হা, যখন প্রথম কম্পিউটার দেখি তখন এইরকমই শুনেছিলাম; পা ধুয়ে-মুছে কম্পিউটার রুমে ঢুকতে হয়, সেই রুমে অনেক ঠান্ডা এসি চালানো লাগে, কোনভাবেই যেন সে রুমে ময়লা না থাকে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

আমার এক বন্ধু বলেছিল কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্ককে প্ল্যাস্টিকে মোড়ায়ে অজানা ড্রাইভে ঢুকাবেন, তাহলেই নিরাপদ থাকবেন। এটা অবশ্য ইন্টারনেট যুগের আগের কথা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

হাহাহাহাহাহা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভাইরাস ধরলে কম্পিউটার নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পেনড্রাইভের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমন রোধে পরামর্শ হচ্ছে পেনড্রাইভটাকে কনডম পরিয়ে ঢুকানো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

আজকাল ভাইরাস অনেক শক্তিশালী, এক্টাতে কাজ হবে?!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিমু এর ছবি

মেহেরজানকে হালাল করার জন্য আলুর ছোটোবড়ো সব লোক খেয়ে না খেয়ে লড়ে যাচ্ছে। মশিউল আলম থেকে শুরু করে কেরানী-থেকে-উপফিচার-সম্পাদক-হয়ে-ওঠা ফিউশন ফাইভ পর্যন্ত। আশা করি আলুপেপারে যে ছোকরাটা চা বানায়, সেও উপসম্পাদকীয় পাতায় একটা কিছু লিখে ফেলবে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

এখন মনে হয় সাংবাদিকদের আর মহান-চ্যালেঞ্জিং-নীতিবাদি পেশার লোক হিসাবে না ধরে, মার্সেনারি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত! তাতে, এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধা একটু হলেও বজায় থাকবে!

মেহেরজানের সাথে অনেকেই জড়িত; বিডি নিউজে দেখলাম রুবাইয়াতের প্রশস্তি গেয়ে আলী যাকের-হুমায়ূন ফরীদিরা বিবৃতি দিয়েছেন! হাজার হোক মন্ত্রির মেয়ে...

বাই দ্য ওয়ে, আমি ভাবতেছি আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটিটা ভুল প্রমাণ করে প্রথম আলোতে ছাপানোর জন্য পাঠাবো; ম্যাথে আমি একদম হুঁ হুঁ (ক্যাল্কুলাস দেখলে আমার এখনো পেট নেমে যায়!), তবে আমি সেটা প্রমাণ করে দেখালে ছাপবে না?

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিমু এর ছবি

অপেক্ষায় আছি, মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মাকে নিয়ে লেখা বই বেচে খাওয়া আনিসুল হক কবে মেহেরজানের জন্য কলম হাতে নামে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমুদা... চিন্তার কোন কারন নাই... ধরে ফেলবে! রাখাল সর্দার কি আর ছাগলের কান্না শুনে চুপ থাকতে পারে!!!

--- থাবা বাবা!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হাফ-সচল হওয়ার আগে অতিথি হিসেবে একটা ব্লগ দিয়েছিলাম সচলায়তনে "প্রথম আলোঃ গো এহেড টু তালিবানস্‌"। লিংকটা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ্যাঁ, আমি ওই পোস্টটা পড়েছিলাম; ফেসবুকেও মনে হয় শেয়ার দিয়েছিলাম। কমেন্টগুলো মডারেশন যেভাবে হয়, তাতে ব্যাপক পাকিপ্রেমের প্যাটার্ন ধরা পড়ে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

নাশতারান এর ছবি

(গুড়) পোস্ট।

ইত্তেফাক থেকে প্রথম আলো আর আজকের গোলালুপেপার নিয়ে অনুভূতিগুলো মিলে গেল।

টারজান ছাড়াও ইত্তেফাকের আরেকটা আকর্ষণ ছিলো কচিকাঁচার আসর।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ্যাঁ, ওটা ভুলে গিয়েছিলাম...হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

ফাহিম হাসান এর ছবি
তানজিমুর এর ছবি

সেই রকম হয়েছে মাইরি...আলুর আড়ৎদার তো মনে করে করে দেশটা সেই চালায়।
লিখার জন্য গুরু গুরু
জনকণ্ঠের জনপ্রিয়তার আরেকটা কারণ ছিল ঢাকার বাইরেও বেশ কয়েকটি জায়গায় একসাথে প্রকাশ হোত বলে সকালবেলাতেই হাতের কাছে পৌঁছে যেত।আমার ফেভারিট ছিল শুক্রবারের রঙ্গেভরা বঙ্গদেশ পাতা।তবে ঐ সময় যৌনকণ্ঠের রাতভর, উপুর্যুপুরি ও পালাক্রমে রিপোর্টিং টিনেজ মহলে বেশ আলোচিত হোত।

----------------------------------------------
ঝিম খাঁডি থাক

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ্যাঁ শুক্রবারেরটা ছিল অনেক আকাঙ্খিত!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রানা মেহের এর ছবি

ইত্তেফাকের সবচেয়ে মজার ছিল কচিকাঁচার আসর।
আজকে দেশে পাকিস্তান এ্যাটাক করলে প্রথম আলো তাকেও সমর্থন করবে। চরিত্র বলে কিছু এর বাকি নেই

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্বপ্নহারা এর ছবি

পাকিস্তান যাই করুক আলু সাপোর্ট করবে; ওরা মনে হয় রিকন্সিলিয়েশনের প্রবক্তা...হামিদ মীরকে প্রায় বাংলাদেশের জাতীয় হিরো বানিয়ে দিয়েছে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব টেক হেল্প যারা লেখে, তারা সম্ভবত নতুন কম্পিউটার ব্যবহারকারী, কিংবা পাড়ার দোকান থেকে কম্পিউটারের কোর্স করা। এরাই কিছুদিন পরে ব্লগস্পটে ব্লগ খুলে ইন্টারনেটে কিভাবে টাকা কামানো যায় তা নিয়ে বিশাল বিশাল লেখা লেখে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ্যাঁ সেটাই; আমার ধারণা যে লেখাটা লিখেছে সে কোন পাড়ার সাইবার ক্যাফে বা ল্যানের দোকানের ক্যাশিয়ার...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সজল এর ছবি

এখনো আলুই পড়ি। আলুর সবচেয়ে মেজাজ খারাপ করা বৈশিষ্ট্য হলো এর সব দিক ম্যানেজ করে চলার প্রবণতা। গত নির্বাচনের আগে এমাজউদ্দিন আহমেদের একটা লেখা পড়েছিলাম, যেখানে উনি একশ ভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপি ১৮০ এর মত আসন জিতবে, আওয়ামীলীগ জিতবে ৬০ টার মত। সব ঘরানার দলীয় লোকদের কাছ থেকে লেখা নিয়ে ছেপে নিরপেক্ষতা জাহির করতে চায় এই পত্রিকা। আর একটা বিরক্তিকর স্ট্যান্স হলো একটা সার্টিফায়িং অথরিটি ভাব নেয়া। এরা একটা বুদ্ধিজীবী এবং/অথবা সুশীল প্যানেল তৈরী করেছে, যাদের কথা অবশ্যই মেনে চলতে হবে, আর মাঝে আসিফ নজরুল ধরনের লোক ও অন্তর্ভূক্ত।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

স্বপ্নহারা এর ছবি

নিরপেক্ষতা মানে ব্যালান্স করা নয়, নিরপেক্ষতা মানে সত্যটা তুলে ধরা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা!
তারা নিজেদের নিরপেক্ষতা জাহির করুক তাতে কারও কোন সমস্যা নেই... কিন্তু ন্যায়ের বিরুদ্ধে মনে হয় যে কোন কিছুতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে, সিচুয়েশন ইউটিলাইজ করতে চায়, সব পেপারেরই একটা ভিউ থাকে...আলুর সেটা নেই। অন্যদিকে তাদের মূল লক্ষ্য কোথায় কী লাভ হবে-ব্যবসা! আজকাল তাদের প্রায় সব রিপোর্টই ভুলে ভরা-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অথবা পাকিগন্ধি মনে হয়...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিল্লোল_ এর ছবি

দারুণ লাগল লেখাটা।

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ...হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

নীচে আলুর বন্ধু সুসমীপেষুতে প্রকাশিত একটি প্রশ্ন ও তার জবাব তুলে দিলাম...


সু ব ন্ধু স মী পে ষু
| তারিখ: ০১-০২-২০১১
প্রশ্নঃ আমি স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অবশ্য আমার চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি। এসব নিয়ে আমি খুব হতাশ ও বিরক্ত। এর মধ্যে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পড়ানোর কাজ শুরু করি। কিছুদিন যাওয়ার পর মেয়েটি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে তার সঙ্গে সম্পর্কে করি। আমাদের দৈহিক সম্পর্কও হয়। এর মধ্যে সে একদিন তার বড় বোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তার বড় বোনও আমাকে জানায়, সে আমাকে পছন্দ করে। আমি এতে পুরোপুরি অসম্মতি জানাই। কিন্তু তিনি আমাকে বারবার ফোন করতেন, মাঝেমধ্যে ফোনে কান্নাকাটিও করতেন। আমি টিউশনিটা ছেড়ে দিতে চাই। কিছুদিন বন্ধও রাখি। একদিন আমার প্রেমিকার বড় বোন ফোন করে বলেন, তিনি আমাকে আর বিরক্ত করবেন না, আমি যাতে আবার টিউশনি শুরু করি। আমি তাদের বাসায় যাই, তখন প্রেমিকার বড় বোন একা ছিলেন। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করেন এবং একসময় তাঁর সঙ্গেও আমার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন আমার খুব খারাপ লাগছে। পড়াশোনা করতে পারছি না। সামনে পরীক্ষা। আমার প্রেমিকা জানতে চাচ্ছে, কেন আমি এমন করলাম। আমি এখন কী করব?
শরীফ
সাভার

উত্তরঃ বিষয়টি জটিল। বড় বোনটা আপনাকে একধরনের বাধ্য করেছে। আবার যদি টিউশনি শুরু করেন, জটিলতা বাড়বে। আমি বলব, আপাতত আপনি ওই বাড়ির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজের ভবিষ্যৎটা দেখুন।

খেয়াল করুন, এইখানে এমন ভাবে প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া হয়েছে যেন পাছায় চুলকানির চিকিৎসা সঙ্ক্রান্ত কোন প্রশ্ন করা হয়েছে আর মিসেস জাকের সেইটার চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রশ্নকর্তা (আদতে কেউ এই প্রশ্ন করেছেন নাকি আলু নিজে বানাইছে সন্দেহ আছে) প্রথম যে অন্যায়টি করছে তা হল- সে একজন শিশুর (এস এস সি পরিক্ষার্থী) সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে, এটি যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এই বিষয়টি নিয়ে মিসেস জাকের কোনো কথাই বলেননি!!!
আলুর এই আলুর দোষ কবে দূর হবে।

মাহফুজ খান

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ার, আজব ‘স্বপ্ন’ কোইনসিডেন্স আমাদের, সচলায়তনে তোমার নিক ‘স্বপ্নহারা’ আর আমার ‘স্বপ্নসতী’ হাসি তুমি যে ব্লগিং করো তাই জানতাম না, ভালো লাগলো। পোস্ট বিষয়ক লম্বা একটা মন্তব্য লিখছিলাম, সচলের সার্ভার খায়ে ফালাইলো। আবার লিখতেছি।

১। জনকন্ঠ বের হওয়ার একদম শুরুর দিকে ধর্ষণবিষয়ক যেকোন খবর ‘চটি’ স্টাইলে ছাপাতো। ধর্ষিতার বয়ানে ধর্ষণের রগরগে ধারাভাষ্য তো থাকতোই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব খবর ছাপা হতো প্রথম পাতায়। জনকন্ঠের প্রাথমিক জনপ্রিয়তার কারণ ছিল মূলত দুইটা - ‘শিক্ষাসাগর’ নামের ফিচার পাতায় গাইড বই-সুলভ আলোচনা/প্রশ্নোত্তর, আর রেপ কেসগুলার ট্রিটমেন্ট। পরবর্তীতে অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়ে (বা কাংক্ষিত মার্কেট শেয়ার হাসিল হয়ে যাওয়ায়) এসব ক্রাইম রিপোর্টগুলা মানুষ হওয়া শুরু করে।

২। মিডিয়ার বেলায় ‘নিরপেক্ষতা’ খুব আপেক্ষিক একটা শব্দ। সাত বছর ধরে সাংবাদিকতা এবং আরো কয়েক বছরের ফ্রি-ল্যান্স লেখালেখির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সম্পাদকমন্ডলী/মালিকপক্ষ/সমর্থিত রাজনৈতিক দল সম্পর্কে এতটুকু বিরুদ্ধাচরণ কোন পত্রিকাই করে না। যেমন ধরো, টেলিকম কম্পানিগুলা গাদা গাদা অ্যাড দেয় - কাজেই এদের সম্পর্কে কোন খারাপ (i.e. সত্যি) কথা বলা হারাম। প্রথম আলোর সম্পাদকের স্ত্রীর এনজিওতে গন্ডগোল লাগলে প্রথম আলো কিই বা করতে পারে? (দেশের সব মিডিয়ায় সেই খবর লিড স্টোরি হলেও প্রথম আলো ছাপলোই না!) এরকম আঙুল তোলা যায় আমাদের দেশের সব পত্রিকা সম্পর্কেই।

৩। কোন অদ্ভুত কারণে আমাদের দেশের কোন কোন বরেণ্য সম্পাদক নামিদামি হোটেলের লবি বা সুইমিং পুলের ধারে বসে ভারতীয় হাইকমিশনের হোমড়াচোমড়া এবং বিতর্কিত সালমান এফ-টাইপ ব্যবসায়ীদের সাথে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। ঘটনা কি?

৪। সাংবাদিকমহলে একটা কথা প্রচলিত আছে, বাংলাদেশে তিনটা পেশার জন্য কোন যোগ্যতা লাগে না - রাজনীতি, রিকশাচালন এবং ... হাসি

৫। নিউজরুমগুলির অন্দরমহলের আরেকটা কথা, এবার সিরিয়াস। রিপোর্টিং মিডিয়ার প্রায় সবকিছূ, কিন্তু আমাদের দেশে রিপোর্টারদের স্বীকৃতি সামান্য। টক শো-গুলাতে আসা কয়জন সাংবাদিক রিপোর্টার ছিলেন? কয়জন সম্পাদক (ভালো) রিপোর্টার ছিলেন? অবস্থাটা এমন, যাদের মেধার উপর পত্রিকাগুলি দাঁড়িয়ে তাদের পে-স্কেল দেখলে মানুষের চোখে পানি চলে আসবে। আর তাদের পরিশ্রমের ফসল ভোগ করে যায় সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় যারা লেখে, তারা।

৬। ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক-গ্রাফিক আর্টিস্ট-ফটোগ্রাফারদের দুর্ভোগের কথা আর নাই বললাম। (আচ্ছা একটু বলি- বেশিদিন আগের কথা না, একসময় বাংলা পেপারে আড়াইশ শব্দের একটা আর্টিকেল ছাপা হলে সম্মানী মিলত মোটে পঞ্চাশ টাকা। সেই টাকাটা পাওয়া যেত পরের মাসে, অবশ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক চেকটা লিখতে ভুলে না গেলে। আর হ্যা, মাঝে মাঝে ক্যাশিয়ার ভ্রাতাদের চা না খাওয়ালে চেক পেতে সবসময়ই ‘পরের মাসে আসেন’ শুনতে হতো...)

৭। আরেকটা ইনসাইড স্টোরি, এবার হাসির (শুনেছি ঘটনা সত্যি)। জনকন্ঠ একবার আনোয়ার জাহিদের নাম ভুলে ছাপলো ‘জানোয়ার জাহিদ’। পরদিন তারা দুঃখপ্রকাশ করলো এভাবে - গতকালের পত্রিকায় অমুক খবরে আনোয়ার জাহিদের নাম ভুলবশত ছাপা হয়েছে ‘আনোয়ার জাহিদ’। আসলে তার নাম হবে ‘জানোয়ার জাহিদ’। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

লম্বা কমেন্টের জন্য স্যরি।
- তাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।